Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Murshidabad: ভোট পূর্ববর্তী মৃত্যুমিছিলে ১৮ তম সংযোজন মুর্শিদাবাদের অরবিন্দ মণ্ডল

    Murshidabad: ভোট পূর্ববর্তী মৃত্যুমিছিলে ১৮ তম সংযোজন মুর্শিদাবাদের অরবিন্দ মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামপুর (Murshidabad) থানার অন্তর্গত হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায় পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় বিশ্বনাথ মণ্ডল নামে এক কংগ্রেস কর্মীর মাথা ফাটে এবং অরবিন্দ মণ্ডল নামে আরও এক কংগ্রেস কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ভোটের আগের দিন এই রাজনৈতিক সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন।

    কী অভিযোগ (Murshidabad)?

    পরিবারের (Murshidabad) অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃণমূলের লোকেরা অরবিন্দেরকে মারধর করে, সেকারণেই শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ জানিয়েছে অরবিন্দ মণ্ডলের হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। আর সেজন্যই গন্ডগোলের খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে মারা গিয়েছেন। একই কথা বলে হত্যাকে অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু নিহত পরিবারের লোক মানতে নারাজ, তাঁরা বলেছেন শাসকদলের লোকেদের হাতে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে অরবিন্দ মণ্ডলের।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত কংগ্রেস কর্মী অরবিন্দ মণ্ডলের স্ত্রী অন্নপূর্ণা মণ্ডল (Murshidabad) বলেন, আমরা কংগ্রেস দল করি, শুধু মাত্র কংগ্রেস করবার জন্যই আমার স্বামীকে বাড়িতে ঢুকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড তৃণমূল দুষ্কৃতীরা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত থেকেই ঝামেলা শুরু হয়েছে, রাতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রশান্তের নেতৃত্বে প্রথমে আক্রমণ করে। আর তারপর আজ সকালে, বাড়ির উঠানের সামনে ২০ জন দুষ্কৃতী প্রাশান্তের নেতৃত্বেই লাঠি-বাঁশ দিয়ে প্রচণ্ড পেটায় আর তারপরেই আরবিন্দবাবুর মৃত্যু হয় বলে জানান অন্নপূর্ণাদেবী। মৃত অরবিন্দ বাবুর মেয়ে বলেন, এই ভোটের জন্য আমার বাবাকে কেন রাজনৈতিক হত্যার শিকার হতে হল?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Murshidabad) এক তৃণমূলের নেতা বলেন বলন এই হত্যা কাণ্ডের পেছেনে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে কংগ্রেসের কর্মীরা আমাদের উপর আক্রমণ করে। আজ আমরা থানায় আক্রমণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।

    হিংসা এবং হত্যা নিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধরির মন্তব্য

    কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি (Murshidabad) শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তপাত করে ভোটকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। অথচ, মা মাটি মানুষের সরকারের শাসনে পঞ্চায়েত নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ চলছে! সমস্ত পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আইসি অফিসাররা কংগ্রেস কর্মীদের বার বার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হাইকোর্টের আদেশে বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হয়েছে? পর্যবেক্ষকরা কীভাবে কাজ করছে? তা আমাদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।” তিনি আরও বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজ্য প্রশাসনকে ভোটের পূর্বে ঘটা এই হিংসার দায়িত্ব নিতে হবে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ফের আমবাগানে প্রচুর বোমা উদ্ধার, আতঙ্কিত স্থানীয়রা

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ফের আমবাগানে প্রচুর বোমা উদ্ধার, আতঙ্কিত স্থানীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়া থানার সাহেবনগর এলাকায় একটি আম বাগানের মধ্যে তাজা বোমা উদ্ধার। সেই সঙ্গে ভরতপুর থানার অন্তর্গত সরকারপাড়ায় গ্রামের ফাঁকা মাঠে মধ্যে পরিতক্ত বাড়ি থেকে জার ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার। সামনে ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোট! তাই এই বোমা কী নির্বাচনকে অশান্ত করে ভোট লুট করতে রাখা হয়েছিল? বিরোধীদের ঠিক এই প্রশ্ন শাসক দলের বিরুদ্ধে। জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য।

    আম বাগানে বোমা উদ্ধার (Murshidabad)

    সাতটি সুতলি বোমা উদ্ধার। আম বাগানের মধ্যে একটি কাপড়ের ব্যাগের মধ্যে বোমাগুলো রাখা ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বোমাগুলো দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর খবর দেওয়া হয় সাগরপাড়া (Murshidabad) থানার পুলিশ প্রশাসনকে। পুলিশ পৌঁছে বোমার জায়গা ঘিরে রাখে। বাড়ির পাশে আম বাগানের মধ্যে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তিন দিন আগেই একই এলাকা থেকেই একটি কালভার্টের নিচে দুই বালতি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছিল। তারপর আজকে আবার ব্যাগভর্তি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এটাই আমাদের রাস্তা, সব সময় স্থানীয়রা এই বাগানের মধ্যে দিয়ে সাহেবনগর বাজারে যাতায়েত করে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরাও আম কুড়োনোর জন্য বাগানে ঘোরাফেরা করে। সেখানেই বোমা উদ্ধার হয়। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো বলে, জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বহরমপুর (Murshidabad) থেকে বোম ডিস্পসাল টিম এসে বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করে। বোমা নিষ্ক্রিয় করার পর কিছুটা হলেও আতঙ্ক কমেছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরেও বোমা উদ্ধার হয় এই দিনে।

    গ্রামে জার ভর্তি তাজা বোম উদ্ধার (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ভরতপুর থানার অন্তর্গত সরকারপাড়া গ্রামে গতকাল রাত্রে ভরতপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে অভিযান চালিয়ে, একটি গ্রামের ফাঁকা মাঠে পরিতক্ত বাড়ি থেকে জার ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জার ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। বোমাগুলি উদ্ধার হবার পর বোম ডিস্পসাল টিমকে খবর দেয়া হয়েছে বোমা গুলি নিষ্ক্রিয় করবার জন্য।

    এছাড়াও, সামশেরগঞ্জের চাচন্ড গ্রামে কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়ির পেছন থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। কী উদ্দেশ্যে এবং কেন বাড়ির পেছনে বোমা গুলো রাখা হয়েছিলো তার তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এইদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়ির পেছন থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নির্বাচনে টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    Murshidabad: নির্বাচনে টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মিজানুর রহমান। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলেরই নেতার অভিযোগে দলে চরম অস্বস্তি।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Murshidabad)

    ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী (Murshidabad) ব্লকের সাদিখাঁদেয়াড় অঞ্চলে। দলীয় কার্যালয়ে বসে অঞ্চল সভাপতির অনুগামীরা প্রার্থী হওয়ার টিকিট না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকি যাঁরা দলের নির্দেশে নমিনেশন জমা করেছিলেন, তাঁদের অনেকেই দলের বি ফর্ম না মেলায় নির্দল হয়ে গেছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর তাতেই চাপে পড়ে যায় ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। টিকিট না পাওয়া এক বিক্ষুব্ধু তৃণমূল নেতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দলের কর্মীরা যাঁকে প্রার্থী হিসবে নির্বাচন করবেন, দল তাঁকেই প্রার্থী করবে। সুতরাং ব্লকের কর্মীরা যে ব্যাক্তিদের টিকিট দিলেন, তাঁরা কেন প্রার্থী হতে পারল না? সবটা মিলিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল স্পষ্ট।

    কী বললেন অঞ্চল সভাপতি?  

    সাদিখাঁদেয়াড় অঞ্চল (Murshidabad) তৃণমূল সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, দলের মধ্যে অনেকদিন ধরে আমাদের একটা ক্ষোভ রয়েছে। দলের নির্দেশে আমরা নমিনেশন জমা করেছিলাম। কিন্তু কোনও প্রার্থীই বি ফর্ম দিতে পারলেন না। এইরকম ঘটনার যথার্থ কারণ কী, তাই বুঝতে পারছি না। নমিনেশন প্রত্যাহারের কথা কেন উঠছে বলেও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক জেলার নেতৃত্বদের নিয়ে একসঙ্গে বসে টিকিট বণ্টন করেন। মন্ত্রী এবং জেলার নেতাদের সামনে যে প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া হয়েছে, মনোনয়নের পর সেই মতন কাজ হয়নি। ষড়যন্ত্র করে তালিকা বদল করে বাইরের লোককে পার্টির টিকিট দেওয়া হল কীভাবে, তাই জানতে চেয়েছেন মিজানুর রহমান। অঞ্চল সভাপতি আরও বলেন, টাকার বিনিময়ে বিধায়ক টিকিট বিক্রি করেছেন। এই অবস্থায় দলের ভরাডুবি হলে সেই দায় তাঁরা নেবেন না জানান অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বোমা ফেটে জখম ৫, রাজ্যের রিপোর্ট তলব জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    Panchayat Election 2023: বোমা ফেটে জখম ৫, রাজ্যের রিপোর্ট তলব জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) আগে রাজ্যের যত্রতত্র বোমা তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। বড়দের পাশাপাশি তার মাশুল গুণতে হচ্ছে শিশুদেরও। এই যেমন হল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুরে। সোমবার আমবাগানে পড়ে থাকা একটা গোলাকার বস্তুকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমার ঘায়ে জখম হয়েছে ৫ শিশু। তার মধ্যে একজনের অবস্থ আশঙ্কাজনক। কীভাবে ওই ৫ শিশু বোমার ঘায়ে জখম হল, তা জানতে মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। জাতীয় শিশু সুরক্ষা আইনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে রাজ্যের কাছে। তলব করা হয়েছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টও। অকুস্থল পরিদর্শন করতে বাংলায় আসতে চায় কমিশনের বিশেষ টিম। সেই অনুমতিও চাওয়া হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে।  

    জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চিঠি

    জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে দুটি চিঠি লেখা হয়েছে। একটি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। তাতে লেখা হয়েছে, “মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এলাকায় বল ভেবে (Panchayat Election 2023) বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে ৭ থেকে ১১ বছর বয়সি ৫ শিশু জখম হয়েছে। তারা জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।” ঘটনাটিকে গুরুতর ‘শিশু অধিকার লঙ্ঘন’ হিসেবে উল্লেখ করে কমিশনের আর্জি, স্বতঃপ্রণোদিত তদন্ত করুক রাজ্য। জখম শিশুদের দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তাও দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।

    রাজ্যের রিপোর্ট তলব

    ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্টও তলব করা হয়েছে। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণায় হওয়ায় লাগু হয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি। তাই রাজ্যে আসার জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমতিও চেয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। নির্বাচন (Panchayat Election 2023) কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন বলেছে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে আমাদের টিমকে ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুুন: হুমায়ুনের পর এবার বিদ্রোহী মনোরঞ্জন! ছাড়লেন দলীয় পদ

    ফরাক্কার ইমামনগর এলাকার একটি বাগানে খেলা করছিল ৫ শিশু। তাদেরই একজনের নজরে পড়ে বলের মতো গোলাকার একটি বস্তু। তাতে সজোরে লাথি মারে শিশুটি। কান ফাটানো আওয়াজ করে ফেটে যায় তাজা বোমাটি। জখম হয় পাঁচজনেই। দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে পাঠানো হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    Murshidabad: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরের (Murshidabad) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, তৃণমূল নেতা অশোক দাসকে পাশে বসিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শাওনি সিংহরায়কে অপসারণ করতে হবে বলে দাবি তুললেন। শাওনির জায়গায় নিয়ামত শেখকে বসাতে হবে বলেও তাঁর দাবি। একধাপ এগিয়ে তিনি আরও বলেন, জেলার আরও এক নেতা অপূর্ব সরকারকেও সরাতে হবে। কার্যত তৃণমূলের এই বিধায়ক জেলার নিজের দলের বিরুদ্ধেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তাঁর গুরুত্বকে আরও একবার প্রমাণ করতে দলের বিরুদ্ধে এভাবেই বিস্ফোরক হলেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

    কীভাবে ক্ষমতায় এল তৃণমূল?

    হুমায়ুন বলেন, এই জেলার (Murshidabad) রাজনৈতিক ইতিহাস দীর্ঘদিনের। অশোক দাসের মতো মানুষ ১৯৯৮ সাল থেকে দলের সদস্য। সেই সময় এই জেলায় তৃণমূলের ভোটের পরিমাণ ছিল ৪%। পরে অশোক দাসকে দলের সভাপতি করলে ভোটের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯%। সেই সময় তাঁকে জেলার ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল। এরপর মোহম্মদ আলি যখন প্রেসিডেন্ট হন, তখন দলের ভোট ৯% থেকে ২৪% এ পৌঁছায়। যারা যোগ্য, যারা জিতেছে, তাদের মধ্যে কেউ দলের ক্ষমতায় নেই। কিন্তু যারা হেরেছে, তাদেরকেই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে! ঠিক এইভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান দলের বিধায়ক হুমায়ন কবীর।

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ

    হুমায়ুন কবীর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যখন নন্দীগ্রামে হেরেছিলেন, আমরা ২১৩ জন বিধায়ক তখন মুখ্যমন্ত্রীকে দলনেত্রী হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছিলাম। রাজ্যপালের কাছে শপথ নেওয়ার সময় আমরা বিধায়করাই সই করেছিলাম। সেখানে শাওনি সিংহরায় সই করেনি! হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের সামনে আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাকে আগে প্রয়োজন! হুমায়ুন কবীরকে (Murshidabad) না শাওনি সিংহরায়কে? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে! তাঁর এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্যে দলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: বিধায়কের নির্বাচনী কমিটি থেকে বাদ ব্লক সভাপতি, প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল

    Panchayat Election: বিধায়কের নির্বাচনী কমিটি থেকে বাদ ব্লক সভাপতি, প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election)  ভরতপুর- ২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতিকে কোণঠাসা করতে ফের আসরে নামলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তারসঙ্গে যোগদান করলেন ভরতপুর- ২ ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি আজহারউদ্দিন সিজার। ৪১ জনের নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করলেন বিধায়ক। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী বললেন বিধায়ক?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) দিন ঘোষণা হওয়ার পরও মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে-২ ব্লকে কমতেই চাইছে না তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। জেলায় বিতর্কিত নেতা হিসেবে হুমায়ুনের নাম রয়েছে। ভোট ঘোষণা হওয়ার পরও সেই বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়তে চাইছে না। ব্লক সভাপতিকে ছাড়াই মুর্শিদাবাদ জেলার সালারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দলীয় কমিটি ঘোষণা করলেন বিধায়ক। নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করার পর কার্যত নিজের দলেরই ব্লক সভাপতিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তিনি। তিনি বলেন, ৪৩ হাজার ভোটে আমি জয়ী হয়েছি। তারপরও ব্লক সভাপতি বলছেন আমার বুথে কোনও লোক নেই। এরকম ব্লক সভাপতিকে আমি মানি না। সালারের উন্নয়ন, সালারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যা পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার তা আমি করব। ব্লক সভাপতি হয়ে তাঁর দশটা হাত হয়ে গিয়েছে। নিজেকে তিনি বিশাল কিছু ভাবছেন। তাই, তাঁরসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, আমরা আমাদের মতো করে কমিটি গঠন করে নির্বাচনে লড়াই করব। হুমায়ুনের বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত ছিল সিজার। সেই সিজার এবার বিধায়কের সঙ্গে হাত মেলালেন। স্বাভাবিকভাবে বিধায়ক গোষ্ঠীর দিকে কিছুটা হলেও পাল্লা ভারী হল। তৃণমূল নেতা সিজার সাহেব বলেন, বিধায়কের সঙ্গে কিছু বিষয়ে মতানৈক্য থাকতে পারে। তবে,  উন্নয়নের প্রশ্নে আমরা সকলেই এক। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা লড়াই করব।

    কী বললেন ব্লক সভাপতি?

    ভরতপুর-২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ আছে যারা ভোটের রাজনীতিটা করেন। সারাবছর মানুষের সঙ্গে থাকেন না। ভোট (Panchayat Election)  আসার জন্য তাঁরা অপেক্ষা করে থাকেন। স্বার্থপূরণ হলে তৃণমূল করে। আর তা নাহলে বিজেপি, কংগ্রেসে নাম লেখায়।” তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি বিরোধী বনাম শাসকের বদলে ঘাসফুল বনাম তৃণমূলের লড়াই দেখবে মুর্শিদাবাদবাসী সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: রাজ্য সড়কের ধারে বেআইনিভাবে যথেচ্ছ গাছ কাটার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    TMC: রাজ্য সড়কের ধারে বেআইনিভাবে যথেচ্ছ গাছ কাটার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান। স্বামী এলাকার বেতাজ বাদশা। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস নেই। তাই, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্য সড়কের ধারে বেআইনিভাবে একের পর এক সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার চোঁয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলের প্রধানের স্বামী ও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে এই গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    হরিহরপাড়ার আমতলা রাজ্য সড়কের ধারে লাইন দিয়ে বড় বড় প্রচুর গাছ ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই রাস্তার ধারে সেই গাছ কাটা চলছিল। রীতিমতো শ্রমিক লাগিয়ে এই গাছ কাটা হচ্ছিল। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দাঁড়িয়ে এই কাজ করায় কেউ গাছ কাটার প্রতিবাদ করার সাহস দেখাননি। ফলে, গত কয়েকদিনে ১৪ থেকে ১৫ টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এদিনও গাছ কাটা চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অভিযোগ পেয়ে এদিন হরিহরপাড়ার বিডিও রাজা ভৌমিক সহ প্রশাসনের কর্তারা গজনীপুরে যান। তিনি গাছ কাটার কাজ বন্ধ করে দেন। শ্রমিকদের বক্তব্য, বন দফতরের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না জানি না। তবে, প্রধানের নির্দেশে আমরা গাছ কাটতে এসেছিলাম। যদিও এই ঘটনার পর অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।

    গাছ কাটা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা ইনসার আলি বিশ্বাস বলেন, তৃণমূল (TMC) কোনও আইন মানে না। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। যারা গাছ কেটেছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। প্রধান বা প্রধানের স্বামী বলে কেউ যেন ছাড়া না পায়। প্রয়োজনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি জাহাঙ্গির শা বলেন, তৃণমূল মানে একটি চোরের দল। বিধায়ক গোটা বিধানসভার সব গাছ কেটে সাফ করে দিচ্ছে। আর এই প্রধান তার নিজের এলাকার সব গাছ কেটে ফেলছে। আমরা এই ঘটনার কঠোরতম শাস্তি চাই। তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি হাতাদউদ্দিন শেখ বলেন, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। দল এসব বেআইনি কাজে পাশে নেই। আইন মেনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আমি আবেদন জানাব। দলের পঞ্চায়েত প্রধান বলে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

    কী বললেন অভিযুক্ত প্রধানের স্বামী?

    তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী রাকিবুল হক বলেন, কয়েকদিন আগে ঝড়ে ডাল ভেঙে পড়ায় রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছিল। তাই, বিডিওর কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়ে আমরা গাছ কাটার কাজ শুরু করেছি। মূলত রাস্তার ধারে কয়েকটি গাছ কেটেছি। বড় গাছ কাটা হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • STF: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুঙ্গের থেকে দেদার অস্ত্র ঢুকছে রাজ্যে! এসটিএফের জালে ৩

    STF: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুঙ্গের থেকে দেদার অস্ত্র ঢুকছে রাজ্যে! এসটিএফের জালে ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে এগরার খাদিকুলে ভানু বাগের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যুর পর পুলিশ-প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। রাজ্য জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। জেলায় জেলায় বস্তা বস্তা তাজা বোমা উদ্ধার হয়। এখনও বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসক দলের নেতাকর্মীরা বোমা মজুত রাখার ঘটনায় জড়িত রয়েছেন, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বিরোধীদের আনা সেই অভিযোগ প্রমাণিত করেছে। বোমা তৈরির পাশাপাশি পঞ্চায়ত ভোটের আগে এবার মুঙ্গের থেকে রাজ্যে দেদার অস্ত্রও ঢুকছে। সোমবার কাটোয়া রেল স্টেশনে বেঙ্গল এসটিএফ (STF)-এর জালে তিনজন ধরা পড়ার ঘটনা সেকথাই প্রমাণ করছে।

    ধৃতদের কাছ থেকে কত অস্ত্র উদ্ধার করল এসটিএফ (STF)?

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাত ১১টা নাগাদ কাটোয়া রেল স্টেশনে জিআরপিকে সঙ্গে নিয়ে এসটিএফ অভিযান চালায়। তিন ব্যক্তিকে আটক করে এসটিএফ (STF)। এই তিনজন কাটোয়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কাছে দাঁড়িয়েছিল। আগ্নেয়াস্ত্র সহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। তিনজনের মধ্যে একজনের বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে ও বাকি দুজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদে। ধৃতদের নাম কাউসার সেখ, শ্রীলাল মণ্ডল এবং সুদীপ খান। কাউসারের বাড়ি মুর্শিদাবাদের নওদায়। সুদীপের বাড়ি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায়। আর শ্রীলালের বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে। এদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, ছটি ম্যাগাজিন ও ১৪ রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করে এসটিএফ। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মঙ্গলবার সকালে তিনজনের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। তবে, স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কাছে কেন তারা অপেক্ষা করছিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। হরিহরপাড়া এবং নওদা এলাকার যে দুজনকে ধরা হয়েছে, তাদের নামে আগে কোনও থানায় মামলা রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mango: নবাবের দেশে একই গাছে ১৩০ রকমের আম! তাক লাগালেন জিয়াগঞ্জের গবেষক চাষি

    Mango: নবাবের দেশে একই গাছে ১৩০ রকমের আম! তাক লাগালেন জিয়াগঞ্জের গবেষক চাষি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের আমের সুখ্যাতি শুধু দেশ নয়, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও। ঐতিহাসিক এই মুর্শিদাবাদে নবাবদের ইতিহাস থেকে জানা যায়, তাঁরা বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে নানা প্রজাতির গাছ এনে নিজস্ব আমবাগানে লাগাতেন। তাঁদের বাগানে কমপক্ষে ২০০র বেশি প্রজাতির আম (Mango) ছিল। কিন্তু আজ অধিকাংশ আমবাগান কেটে বসতি গড়ে উঠছে। হরেক রকম আমের নাম থাকলেও এখন অধিকাংশই আমাদের কাছে দুর্লভ হয়ে উঠেছে। এখন আমরা আর নতুন প্রজন্মকে সব ধরনের আম দেখাতে পারি না। এরই মধ্যে আশার আলো দেখিয়েছেন জিয়াগঞ্জের আমডাওড়ার একজন আম গবেষক এবং চাষি কুশল ঘোষ।

    কীভাবে সম্ভব হল এই কাজ (Mango)?

    হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রজাতির আম আর দেখতে না পেয়ে তাঁর মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল। তখনই তিনি চিন্তাভাবনা করেছিলেন, বাগানে নানা ধরনের আমের ফলন করবেন। কথা অনুযায়ী শুরু করে দেন কাজ। তিনি গ্রাফটিং-এর সাহায্যে ১৫০ থেকে ২০০ প্রজাতির আমের ফলন করে নবাবি আমলের বিভিন্ন প্রজাতির আমের (Mango) অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। কুশলবাবু তাঁর আমবাগানে শঙ্করায়ন পদ্ধতির সাহায্যে শ্যাম ভোগ, বেল চম্পা, ল্যাম্বো, বিভী প্রভৃতি প্রজাতির আম উৎপন্ন করছেন। তিনি বলেন, উদ্যান পালন আধিকারিকের কাছ থেকে ২০০০ সালে গ্রাফটিং-এর মাধ্যমে হাতে-কলমে আম গাছে বিভিন্ন প্রজাতির আমের ফলনের শিক্ষা তিনি লাভ করেন। তারপর সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আমের কলম বসানোর কাজ শুরু করেন। এসব কাজ শুরু করার ২-৩ বছরের পর থেকেই ভালো আম পাওয়া শুরু হয়। খুব স্বাভাবিক কারণে বিভিন্ন রকমের আম দেখে কুশলবাবুর উৎসাহ আরও বাড়তে থাকে এবং গাছের প্রজাতির সংখ্যাও বেড়ে যায়।

    কী বললেন তাঁর সঙ্গী?

    কুশলবাবুর সব সময়কার সঙ্গী প্রতাপ সিংহ বলেন, এখানকার গাছে (Mango) কোহিতুর, আলফানসো, ফজলি, গোলাপখাস, সারেঙ্গা, বিল্লি, বিরা এরকম ১৬৫ প্রজাতির আম তাঁর এই বাগানে ফলার রেকর্ড রয়েছে। তিনি বলেন, বিগত বছরে ১০০র বেশি প্রজাতির আম হলেও চলতি বছরে সংখ্যা একটু কমেছে। কুশলবাবু জানান, শঙ্করায়নের মাধ্যমে বঙ্গবাসীকে তিনি নানা রকমের আম উপহার দেবেন। ভবিষ্যতেও তিনি যতদিন থাকবেন, মুর্শিদাবাদ থেকে যতই আমগাছ কেটে ফেলে দেওয়া হোক না কেন, তিনি জেলাবাসীকে একটি গাছের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির আমের ফলন সংক্রান্ত শিক্ষা দিয়ে যাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য কৃষক সন্তান অর্ণব সাহার

    Murshidabad: উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য কৃষক সন্তান অর্ণব সাহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যন্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) এলাকার দরিদ্র কৃষক পরিবারে পড়াশুনা করে কীভাবে সাফল্য পাওয়া যায়, সেই দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে অর্ণব সাহা। পরিবারে, বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৭৮ নম্বর পেয়ে মুর্শিদাবাদে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে অর্ণব সাহা। তার বাড়ি কান্দি থানার অন্তর্গত জীবন্তি জিয়াদারা গ্রামে। তার সাফল্যে স্কুল, পরিবার থেকে এলাকায় নেমে এসেছে খুশির হাওয়া। পরিবারে বাবা মা, তার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। আগামী দিনে পড়াশুনা করে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে সমাজসেবার কাজ করতে চায় সে। 

    অর্ণব বাড়িতে (Murshidabad) কীভাবে পড়াশুনা করতো?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুলের কলাবিভাগের ছাত্র অর্ণব সাহা। তার বিষয় ছিল বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষাবিজ্ঞান, ভূগোল ও দর্শন। প্রতিটি বিষয়ে ৯০ এর উপরে নম্বর থাকলেও একমাত্র বাংলায় ৬৭ নম্বর পেয়েছে সে। অর্ণব জানিয়েছে, ভালো রেজাল্টের আশা করেছিলাম, কিন্তু বাংলায় এতো কমে পাব ভাবতে পারিনি। রিভিউ করলে আশাকরি নম্বর আরও বাড়বে! বাংলায় আরও বেশি নম্বর পেতে পারতাম। প্রতিদিন প্রায় ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পড়াশোনা করতো বলে সে জানিয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি তুলতে এবং খেলাধূলা করতে পছন্দ করে অর্ণব।

    পরিবারের (Murshidabad) প্রতিক্রিয়া

    অর্ণবের বাবা পেশায় কৃষিকাজ করে পরিবার চালান। অত্যন্ত অভাব আর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে পরিবার চলত বলে জানিয়েছেন পরিবার। উচ্চ মাধ্যমিকের এই সাফল্যের পিছনে বাবা মায়ের (Murshidabad) যেমন পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে, তেমনি তাকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তার পিতা সঞ্জীব সাহা জানান, ছেলে অর্ণবের ভালো ফল হয়েছে, আশাকরি ভবিষৎতে আরও এগিয়ে যাবে। অর্ণব আগামী দিনে উচ্চ শিক্ষা শেষ করে সরকারি অফিসার হয়ে সমাজসেবার কাজে নিযুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। কৃষক পরিবারের সন্তান অর্ণব সাহার এই ফলাফলে খুশির হাওয়া এলাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share