Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Recruitment Scam: বাড়িতে মিলল দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড! পুকুরে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল খুঁজছে সিবিআই, কেন?

    Recruitment Scam: বাড়িতে মিলল দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড! পুকুরে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল খুঁজছে সিবিআই, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) থেকে বাঁচতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার কর্মকাণ্ড দেখে সিবিআই (CBI) কর্তারা হতবাক। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে চলছে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি। আর সময় যত গড়াচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  সংক্রান্ত নতুন নতুন নথি সিবিআইয়ের হাতে আসছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের বাড়ি থেকে প্রায় দুবস্তা নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এবং নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার একাধিক চাকরি প্রার্থীর অ্যামডিট কার্ড রয়েছে। এছাড়া একটি ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সিবিআই (CBI) কর্তাদের আশঙ্কা, এই ডায়েরির মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) লেনদেনের হিসেব থাকতে পারে। শনিবার তৃণমূল বিধায়কের দুই আত্মীয়ের বাড়িতে নতুন করে সিবিআই (CBI)  তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

    সিবিআই তল্লাশির সময় বাড়ির পাশে পুকুরে মোবাইল ফেলে দেন বিধায়ক!

    শুক্রবার সকাল থেকে রাজ্যের ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থার বেশ কয়েকটি টিম। বড়ঞার এই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয় সকাল থেকে। তল্লাশি চলে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও। তল্লাশির পাশাপাশি বিধায়ককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর, সিঁদুরের কৌটোর মধ্যে মোবাইলের মেমরি কার্ড লুকিয়ে রেখেছিলেন বিধায়ক। সেই মেমরি কার্ডে রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ির পাশের পুকুরে নিজের দুটি মোবাইল ফেলে দেন বিধায়ক। সঙ্গে দুটি পেন ড্রাইভ, একটি হার্ডডিস্কও ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান।  প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে সেই মোবাইলটি বিধায়ক ব্যবহার করছিলেন বলে সূত্রের খবর। ফলে, তাতে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই তথ্য লোপাট করতেই পুকুরে মোবাইল ফেলা হল কি না তা সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যেই পুকুরে পাম্প নামিয়ে জল বের করে মোবাইল খোঁজার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এমনিতেই শুক্রবার থেকে সিবিআইয়ের (CBI)  একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছেন। কিন্তু, বিধায়কের বাড়ি থেকে তথ্যের ভাণ্ডার উদ্ধার হওয়ায় শনিবার ভোরে ৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছান।  তাঁরাও তল্লাশি শুরু করেছেন। মনে করা হচ্ছে, পুকুর থেকে মোবাইল দুটি পেলে তদন্তকারীদের হাতে আসতে পারে অনেক তথ্য। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) লিঙ্কম্যান হিসেবে মুর্শিদাবাদ থেকে  কৌশিক নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হন। তাঁকে জেরা করেই উঠে আসে এই জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। পরে, কিছু ব্যাঙ্কের চেকের সূত্র ধরে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা নিশ্চিত হয়। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘সিআইডির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই’, ভুয়ো শিক্ষক মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর  

    Murshidabad: ‘সিআইডির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই’, ভুয়ো শিক্ষক মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডির (CID) ভূমিকায় আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই। তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না। সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গোথা এআর হাইস্কুলে চাকরি করছিলেন জনৈক অনিমেষ তিওয়ারি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা আশিস তিওয়ারি। আশিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুতির স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে ছেলে অনিমেষকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

    অনিমেষ অধরা…

    এই অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলার তদন্তে সিবিআই নয়, সিআইডির ওপর ভরসা রেখেছিল আদালত। সেই মতো তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৭ ফেব্রুয়ারি ভবানী ভবনে টানা সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আশিসকে (Murshidabad) গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। যদিও আশিসের ছেলে অনিমেষ এখনও অধরা। এদিন সেই প্রসঙ্গেই বিচারপতি বসু বলেন, সিআইডির ভূমিকায় আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই। তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না। এভাবে তদন্ত চললে সিআইডির ডিআইজিকে ডেকে পাঠাব। প্রয়োজনে আদালতের পর্যবেক্ষণ সার্ভিস বুকে উল্লেখ করতে নির্দেশ দেব। সেটা কিন্তু ভাল হবে না। বিচারপতি বলেন, মামলাকারীরা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন। আমি সিআইডির ওপর ভরসা করেছিলাম। তার এই পরিণাম।

    আরও পড়ুুন: শাহি দরবারে শুভেন্দু, পঞ্চায়েতের আগে কী আলোচনা হল দু’ জনের?

    তিনি বলেন, এমন কড়া মন্তব্য করতে বাধ্য করবেন না যাতে সিআইডির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাঁর প্রশ্ন, কেন অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারিকে এখনও গ্রেফতার করা গেল না? কীভাবে এতদিন তিনি বেতন পেতেন? কার বদান্যতায় সেটা হল? কেন এখনও তার সন্ধান পেল না সিআইডি? এদিন আদালতে সিআইডি জানায়, অনিমেষ এ রাজ্যে নেই। তাঁর মোবাইল ফোনের লোকেশন কখনও উত্তর প্রদেশ কখনওবা বিহার দেখাচ্ছে। ৬ এপ্রিল এ বিষয়ে ফের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

    বিচারপতি বসু বলেন, আমি কিছু শুনতে চাই না। যেখান থেকে হোক অভিযুক্ত বহিষ্কৃত শিক্ষককে (Murshidabad) খুঁজে বের করুন। তিনি বলেন, তদন্তে যে গাফিলতি হয়েছে, সেটা স্পষ্ট। ৬ এপ্রিলের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা না হলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি বসু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • MGNREGA: দুর্নীতির তদন্ত করতে ফের রাজ্যে আসছে  কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    MGNREGA: দুর্নীতির তদন্ত করতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দুর্নীতি (Scam)  নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। যা নিয়ে শাসক দলের নাস্তানাবুদ অবস্থা। এরইমধ্যে পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের প্রকল্পে বড়সড় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ ব্লকে। ১০০ দিনের প্রকল্পে বড় রকম আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগের তদন্ত করতেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল শুক্রবারই রাজ্যে আসছে।  সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। নতুন কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে শাসক দলের মধ্যে এখন জল্পনা চলছে। এরইমধ্যে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ ব্লকে ১০০ দিনের প্রকল্পের বিষয়টি সামনে আসতেই শাসক দলের পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিরা রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়বেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কারণ, এই ব্লকের সব পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে রয়েছে। তাই, ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি হলে শাসক দলের উপর দায় চাপবে। তবে, ১০০ দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির (Scam) অভিযোগে রাজ্যের একাধিক জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে রয়েছে। কাজ না করেই মাস্টার রোলে নাম তুলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বহু পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এর আগেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যের একাধিক জেলায় পরিদর্শনে গিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষে এই প্রকল্পে এলাকার মানুষ আদৌ সুবিধা পেয়েছেন কি না তা তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন। তবে, এই দুর্নীতি নিয়ে যারা অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় টিম তদন্ত করতে আসায় তারাও খুশি।

    কেন্দ্রীয় টিমে কারা রয়েছেন? Scam

     প্রতিনিধি দলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধিকর্তা মিনাক্ষী হুদা এবং তাঁর সঙ্গে দপ্তরের আরও একজন আধিকারিক রয়েছেন। শুক্রবার তাঁরা সকালেই কলকাতা পৌঁছবেন। সেখান থেকে তাঁরা মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেবেন। ২২ মার্চ পর্যন্ত তাঁরা ১০০ দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির তদন্ত করতে মুর্শিদাবাদ জেলায় থাকবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বেলডাঙা-২ ব্লক এই প্রকল্পের দুর্নীতির (Scam)  তালিকায় রয়েছে। জেলা শাসকের মাধ্যমে বিডিওকে এই তদন্তের কাজে সবরকমভাবে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। ফলে, এই ব্লকের যে সব পঞ্চায়েতে এই প্রকল্পে দুর্নীতি (Scam)  হয়েছে, সেই সব জায়গায় তাঁরা পরিদর্শনে যেতে পারেন। প্রয়োজনে তাঁরা এলাকার মানুষের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bomb Blast: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে ফের বোমা বিস্ফোরণ! মৃত ১, গুরুতর জখম ৩

    Bomb Blast: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে ফের বোমা বিস্ফোরণ! মৃত ১, গুরুতর জখম ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। আবারও বোমা বিস্ফোরণ মুর্শিদাবাদের নওদায় (Bomb Blast)। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন অন্তত তিন জন। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের নওদা থানার মধুপুর পঞ্চায়েতের এলাকার ডাঙ্গাপাড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় মৃতের নাম মেজবুল শেখ। আহত এক ব্যক্তির নাম কাবিজুল শেখ। বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিপত্তি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, রাতে মধুপুরের কাবিজুল শেখের বাড়ির পাশে বোমা বাঁধছিলেন কয়েক জন যুবক। সে সময়েই আচমকা বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় আহত হয়ে ছিটকে পড়েন ৩ জন। আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসা চলাকালীন এক জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নওদা থানার পুলিশ। তবে কে বা কারা বোমা মজুত করেছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি স্থানীয় বাসিন্দারা।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মৃতের পরিবারের দাবি

    অন্যদিকে মৃতের পরিবারের দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়ে নয়, বোমা ছুঁড়ে খুন করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির ছেলে বকুল শেখ বলেন, “এটা কোনও বোমা বিস্ফোরণ নয়। মধুপুরের এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর গুন্ডাবাহিনী আমার বাবাকে বোমা মেরে খুন করেছে। ওরা এর আগের পঞ্চায়েতে ছাপ্পা ভোট করেছিল। আমাদের ভোট দিতে দেয়নি।” এ ব্যাপারে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল বলেন, “বোমা বাঁধতে দিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ নাকি বোমা ছোঁড়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এছাড়াও সেই জায়গায় আরও বোমা পড়ে রয়েছে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তবে স্থানীয়দের দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়েই তাঁদের এই অবস্থা। এর পর ঘটনাস্থলে নওদা থানার পুলিশ পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নওদার আমতলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। তার পর সেখানেই মেজবুলকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “ওখানে বিধায়ক গোষ্ঠী ও সাংসদ গোষ্ঠী দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদমান। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কে প্রধান হবেন আর কে টিকিট পাবেন, সেই নিলাম নিয়ে গন্ডগোলের দু’চারটে মরছে। কী আর করা যাবে!”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Erosion: মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম, হুঁশ নেই প্রশাসনের, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    Erosion: মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম, হুঁশ নেই প্রশাসনের, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিজ ভূমে পরবাস। চোখের সামনে বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গার ভাঙনে (Erosion) তলিয়ে গিয়েছে। এবার গ্রাস করতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুর, ধানঘরা, শিবপুর সহ একাধিক গ্রামের বাড়ি। একটি বা দুটি নয়। গত আড়াই বছরের মধ্যে এই সব গ্রাম থেকে হাজারের বেশি বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। এটা গ্রামবাসীদের মন গড়া কোনও তথ্য নয়। খোদ ব্লক প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে। ফলে, জমি, বাড়ি হারিয়ে নিজের ভিটে ছেড়ে কেউ খোলা আকাশের নীচে রয়েছেন। কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছেন। কেউ আবার স্কুলের পাশে জমিতে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়়া গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে বহু পরিবার। গত তিন দিনের মধ্যে নতুন করে এই সব গ্রামে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। চার-পাঁচটি বাড়ি ফের গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। ভাঙন (Erosion) কবলিত গ্রামের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক এবং অনিশ্চতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

    ভাঙন প্রতিরোধে আসা ঠিকাদারকে কেন বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা? Erosion

    এই জেলায় গঙ্গা ভাঙন (Erosion) নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু, ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধে গঠনমূলক কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আগের বাম শাসনের আমলেও এই বিষয়ে কেউ কোনও উদ্যোগ নেয়নি। আর ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। এই জেলায় জেলা পরিষদের ত্রিস্তরে বহু বছর ধরে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু, ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান করার বিষয়ে কারও কোনও হেলদোল নেই। এমনটাই অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় বাসিন্দা ছবি খাতুন বলেন, চোখের সামনে একের পর এক বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। গ্রামের সকলে মিলে প্রশাসনের কাছে দরবার করেছে। কিন্তু, পাথর দিয়ে গঙ্গা বাঁধানোর কারও উদ্যোগ নেই। তাই, গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের বক্তব্য, লোক দেখানো করে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন (Erosion) মোকাবিলা করা হয়। তাতে ঠিকাদারদের পকেট ভরে। কিন্তু, গঙ্গার ভাঙন (Erosion) রোধে কোনও কাজ হয় না। বহুবার প্রশাসনের কর্তাদের কাছে সে কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু, টনক নড়েনি প্রশাসনের। ফলে, নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনের কর্তারা। এলাকায় ঠিকাদার পাঠিয়ে বালি বোঝাই বস্তা দিয়ে ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু, গ্রামবাসীরা তা মানতে রাজি হননি। লোক দেখানো কাজ নয়। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান করতে হবে। যদিও  পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। বিক্ষোভকারীদের একটাই অভিযোগ, এভাবে বালির বস্তা দিয়ে গঙ্গা বাধা হয় না। পাথর দিয়ে ভালো করে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে  ব্যবস্থা না নেওয়া হলে  আমরা কাজ করতে  দেব না। এই বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র মুন্ডা বলেন, আমার পক্ষ থেকে যেটুকু সাহায্য করা সম্ভব তা আমি করেছি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের চাল- ত্রিপল সহ কিছু আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের সেই প্রধান শিক্ষক, ছেলে অধরা

    Murshidabad: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের সেই প্রধান শিক্ষক, ছেলে অধরা

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Teacher Recruitment Scam) গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতির গোঠা এ আর হাইস্কুলের ঘটনায় চাঞ্চল্য। সোমবার ভবানী ভবনে আশিস তিওয়ারি নামে ওই প্রধান শিক্ষককে টানা সাত ঘণ্টা জেরা করা হয়। টানা জেরায় বেআইনিভাবে ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে কবুল করেন ওই প্রধান শিক্ষক। এদিন বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। আশিষের ছেলে অনিমেষ অবশ্য এখনও পলাতক।

    সিআইডি…

    জানা গিয়েছে, আশিসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে চিঠির কোনও জবাব দিচ্ছিলেন না তিনি। শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ তাঁর বাহাদুরপুর এলাকার বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় সিআইডির পাঁচ সদস্যের একটি দল। বাড়িতে তখন তালা ঝোলানো ছিল। আশিসকে না পেয়ে হাজিরার নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়ে আসেন তদন্তকারীরা। তার পরেই সোমবার সকালে ভবানী ভবনে হাজির হন ওই প্রধান শিক্ষক। সিআইডি সূত্রে খবর, এদিন জিজ্ঞাসাবাদে ওই প্রধান শিক্ষক স্বীকার করেছেন অনিয়ম করে ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    প্রসঙ্গত, সুতির (Murshidabad)  স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে আশিসের ছেলে অনিমেষ চাকরি পেয়েছেন, এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় কীভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পেলেন অনিমেষ? উত্তরে নানা অসঙ্গতি ছিল আশিসের। কীভাবে বেতন পেতেন ছেলে? এমনই সব প্রশ্নের উত্তর প্রথমে এড়িয়ে যান ওই প্রধান শিক্ষক। টানা জেরায় অবশ্য শেষমেশ স্বীকার করেন অনিয়ম করে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন ছেলেকে।

    সিআইডি সূত্রে খবর, এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি ছিল। তদন্তেও অসহযোগিতা করছিলেন। সেই কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। জানুয়ারি মাসে এই মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তার আগে অনিমেষের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অনিমেষ স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ। বাড়ি ফেরার সময় গুলি করে খুন করা হল তৃণমূল নেতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের লালবাগে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে মুর্শিদাবাদে শুটআউটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের লালবাগে। মৃত তৃণমূল নেতার নাম আলতাফ হোসেন। তাঁকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দু’রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে খবর। এরপর তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে বা তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কি প্রাণ গেল ওই ব্যক্তির? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের রানিনগরের কেশবপুর নওদাপাড়ার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন পেশায় নওদাপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক। তবে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। মঙ্গলবারই লোচনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নতুন প্রধান নির্বাচন ছিল। সেখানেই প্রধান নির্বাচিত হন আলতাব-ঘনিষ্ঠ সোনালি বিবি। প্রধান নির্বাচনের পর মঙ্গলবার রাতে একাই বাইক চালিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, তখনই মুর্শিদাবাদ থানার আজিমসরা এলাকায় আলতাফ হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

    আরও পড়ুন: অধিকৃত জমি ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন! অমর্ত্য সেনকে চিঠি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

    পুলিশ সূত্রে খবর, আলতাব হোসেনের পিঠে একটা গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আলতাব। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। রাতেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে অস্ত্রোপচার করা হয় আলতাফের। বের করা হয় গুলি। তবে শেষ রক্ষা হল না। এরপর এদিন সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই তৃণমূল নেতা।

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পেশায় স্কুলশিক্ষক আলতাব হোসেন ২০০৮–২০১৩ সাল পর্যন্ত রানিনগর–১ ব্লকের লোচনপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক তিনি। তাঁর এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। একাংশের ধারণা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

  • Calcutta High Court: প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে বেআইনিভাবে চাকরি ছেলের! সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে বেআইনিভাবে চাকরি ছেলের! সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই স্কুলে চাকরি করেন বাবা-ছেলে! অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক বাবা, আর তাঁরই স্কুলে জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন ছেলে। শুধু তাই নয়, তিন বছর ধরে বেতনও পেয়েছেন। অথচ তাঁর নিয়োগপত্রও নেই, আর এই অবাক করা ঘটনা জানা নেই জেলা স্কুল পরিদর্শকের! এই ঘটনা সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। তাই এবারে এই মামলায় সিআইডি (CID) তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই মামলায় সিআইডি ডিআইজিকে তলব করে মামলার তদন্তের রিপোর্ট ২ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ‘ভুয়ো’ শিক্ষকের স্কুলে প্রবেশ ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

     মামলাটি ঠিক কী?

    মুর্শিদাবাদের গোথা এয়ার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি। অভিযোগ, তাঁরই স্কুলে চাকরি করেন তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি। এক আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী মামলা করেছেন হাইকোর্টে। মুর্শিদাবাদের ওই ‘ভুয়ো’ ভূগোল শিক্ষক অন্য এক প্রার্থী অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর নকল করেই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে মামলাকারী সোমা রায়ের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম। এর পরেই আদালত অনিমেষের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এমনকী, ওই শিক্ষক স্কুলে ঢুকতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে ডিআইরা

    এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ মামলায় স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তাঁর কথায়, “ডিআইয়ের (জেলা স্কুল পরিদর্শক) কাছে এই নিয়োগের তথ্য নেই। মানে ডিআই সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। নিয়োগে দুর্নীতি মানা যাবে না। এর পর এমন তথ্য সামনে এলে রাজ্যের বিপক্ষে যাবে।” তিনি প্রশ্ন করেন, “আমি দেখে অবাক হচ্ছি যে, জেলা স্কুল পরিদর্শক এই নিয়োগ নিয়ে কিছু জানেন না। অথচ ওই শিক্ষক গত ৩ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন। কী করে এ বিষয়ে কেউ কিছু জানেন না!”

    আরও পড়ুন: ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের! নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    সিআইডি ডিআইজিকে তলব

    আজ সকাল সাড়ে দশটায় সিআইডি ডিআইজিকে তলব করেছিলেন তিনি। নির্দেশ মত হাজিরা দেন ডিআইজি-সিআইডি। এরপরই বিশেষ দল গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, স্কুল পরিদর্শক স্বতঃপ্রাণোদিত এফআইআর দায়ের করবে। এরপরই তাঁর নির্দেশ, ২০১৬ সালের পর থেকে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, সব জেলার স্কুল পরিদর্শকরা তাঁদের ডেটা তৈরি করবেন। ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ২ ফেব্রুয়ারি মামলাটি আবার শুনবে আদালত।

  • Recruitment Scam: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পাশ করা এক শিক্ষকের সুপারিশপত্র জাল (Recruitment Scam) করে সেই স্কুলেই চাকরি করছিলেন ছেলে। এক আধ বছর নয়, টানা তিন বছর। শেষমেশ ফাঁস হল কেলেঙ্কারির পর্দা। বুধবার অনিমেষ তিওয়ারি নামের ওই শিক্ষকের স্কুলে ঢোকা ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে শুনানি ছিল মামলাটির। এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে সিআইডির ডিআইজিকে উপস্থিত থাকার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

    কেলেঙ্কারি…

    বছর তিনেক আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতির এক নম্বর ব্লকের গোথা এয়ার স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের ছেলে অনিমেষ। এতে সন্দেহ হয়ে অনেকেরই। দায়ের হয় মামলা। তথ্য জানার অধিকার আইনেও অনিমেষের নিয়োগ নিয়ে তথ্য জানতে চান অনেকে। তার পরেই জানা যায়, অনিমেষ ওই স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরে চাকরি করলেও, জেলার স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নামে কোনও নিয়োগপত্রই নেই। ভূগোলের শিক্ষক অনিমেষ ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষাই দেননি (Recruitment Scam) বলে অভিযোগ। এদিন আদালতে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, মেধা তালিকায় নাম ছিল না অনিমেষের, কোনও সুপারিশও হয়নি তাঁর নামে। আসলে আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে দাবি পর্ষদের। শুধু তাই নয়, অরবিন্দ মাইতি নামে অন্য এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র জাল করে অনিমেষ চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    জানা গিয়েছে, প্রত্যেক নিয়োগপত্রের একটি মেমো নম্বর থাকে। অনিমেষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেই মেমো নম্বর এক রেখে নিজের নাম বদলে দেন নিয়োগপত্রে (Recruitment Scam)। সেই নকল মেমো নম্বরের নিয়োগপত্রেই ভূগোল শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান গোথা এলাকায় স্কুলে। আরটিআইয়ের মাধ্যমে স্কুলের কাছে অনিমেষের ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন, অনিমেষ কর্মশিক্ষার শিক্ষক। অভিযোগ শুনে বিচারপতি বসু বলেন, দেখে অবাক হচ্ছি। এমন আর কত হয়েছে? হেড মাস্টার জানেন না, যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি তথ্য বিকৃত করছেন কি না? তাহলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Murshidabad: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, ফ্যাক্টরিতে আয়কর  হানা, কেন জানেন?

    Murshidabad: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, ফ্যাক্টরিতে আয়কর হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিপুরের (Jangipur) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) বাড়ি ও কারখানায় আয়কর হানা। বুধবার সকাল থেকেই এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদে। এদিন দুপুরে সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি ফ্যাক্টরি, ধুলিয়ান পুরসভার খরবোনা এলাকাতে বিজলি বিড়ি ফ্যাক্টরি এবং সুতির বিধায়ক জাকিরের শিব বিড়ি ফ্যাক্টরিতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

    কোথায় কোথায় আয়কর হানা

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ সামশেরগঞ্জের গোবিন্দপুরের আনন্দ ফ্যাক্টরি এবং সুতিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক জাকিরের বাড়ি সংলগ্ন বিড়ি ফ্যাক্টরিতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। প্রথমে বিএসএফ জওয়ানদের দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় কারখানার চারদিক। বিড়ি কারখানাগুলিতে থাকা বিভিন্ন নথিপত্র এবং সামগ্রী পরীক্ষা করে দেখেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,আনন্দ বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক জনৈক ওলিউল ইসলাম এবং বিজলি বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক জনৈক লায়েক আলি, এঁদের বিরুদ্ধেও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানে গেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী তিনটি জায়গাই ঘিরে রেখেছে। 

    আরও পড়ুন: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআইয়ের

    এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, আয়কর দফতরের আধিকারিকরা যখন জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দেন, সেই সময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। বাড়িতে ঢুকে আধিকারিকরা তৃণমূল বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের ফোনগুলো নিয়ে নেন বলে প্রাথমিকভাবে খবর।  কয়েকজন আধিকারিক এরপর পৌঁছে যান জাকির হোসেনের অন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানেও তল্লাশি চলছে। কাউকে সেই জায়গায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জেলার অন্যতম বড় ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের বিড়ি তৈরির ব্যবসা ছাড়াও চাল, ডাল, তেল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ একাধিক ব্যবসা রয়েছে।। সূত্রের খবর একাধিক ব্যবসা থেকে জাকির হোসেন ঠিকমত আয়কর প্রদান করেননি বলেই আয়কর দফতরের আধিকারিকদের কাছে তথ্য পৌঁছেছিল। 

    কলকাতায় তৃণমূল মেয়র পারিষদের বাড়িতে আয়কর আধিকারিকরা

    তৃণমূল মেয়র পারিষদ, কলকাতার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমির উদ্দিন ববির হোটেলে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে কলকাতার মৌলালির ওই হোটেলে বেশ কিছু ক্ষণ ছিলেন তাঁরা। রিপন স্ট্রিটের হোটেলের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয় বলে খবর। জানা গিয়েছে, হোটেলের বিদ্যুতের বিল রয়েছে আমিরের নামে। কলকাতার মৌলালি অঞ্চলে তৃণমূল কাউন্সিলারের বিলাসবহুল হোটেল। আর সেখানেই বুধবার পৌঁছে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা (IT Raid)। হোটেলের সমস্ত তথ্য তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখেন বলে খবর। এমনকি কাগজ-পত্রও খতিয়ে দেখেন আয়কর আধিকারিকরা। এমনটাই খবর। তবে কী কারণে তৃণমূল কাউন্সিলারের হোটেলে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তা স্পষ্ট নয়। প্রায় ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে চলে এই তল্লাশি। যদিও দীর্ঘ এই তল্লাশি চলাকালীন কাউন্সিলারের হোটেল সম্পূর্ণ ভাবে ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা। ওই সময়ে কাউকে হোটেলে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হয়নি বলেও জানা যাচ্ছে। তৃণমূল কাউন্সিলারের হোটেলে হঠাত তল্লাশি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share