Tag: muslim

muslim

  • Mohan Bhagwat: “আরএসএস নীতিকে সমর্থন করে, কোনও ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে নয়”, সাফ জানালেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “আরএসএস নীতিকে সমর্থন করে, কোনও ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে নয়”, সাফ জানালেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আরএসএস (RSS) নীতিকে সমর্থন করে, কোনও ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে নয়”। এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “কংগ্রেস যদি অযোধ্যায় রামমন্দিরের দাবি সমর্থন করত, তাহলে আরএসএস কর্মীরা কংগ্রেসকেই সমর্থন করতেন।”

    কী বললেন সরসংঘচালক (Mohan Bhagwat)

    সরসংঘচালক বলেন, “আমরা কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা নির্বাচনী রাজনীতিতে অংশ নিই না। সংঘ সমাজকে একত্রিত করার কাজ করে, আর রাজনীতি সমাজকে বিভক্ত করে। আমরা ব্যক্তি বা দলের নয়, নীতির সমর্থক। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, আমরা অযোধ্যায় রামমন্দির চেয়েছিলাম। তাই আমাদের স্বয়ংসেবকেরা তাঁদের ভোট দিয়েছেন যাঁরা মন্দির নির্মাণের পক্ষে ছিলেন।” তিনি জানান, বিজেপি সেই দাবি মেনে নিয়েছিল। এর পরেই সংঘ প্রধান বলেন, “কংগ্রেস যদি সমর্থন করত, তাহলে আমাদের স্বয়ংসেবকেরা কংগ্রেসকেই ভোট দিতেন।” তিনি বলেন, “আমাদের কোনও একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ নেই। সংঘের কোনও দল নেই, কোনও দলও আমাদের নয়। আবার সব দলই আমাদের, কারণ তারা ভারতীয় দল। আমরা ‘রাষ্ট্রনীতি’কে সমর্থন করি, ‘রাজনীতি’কে নয়। আমাদের নিজস্ব মত আছে এবং আমরা চাই দেশ একটি নির্দিষ্ট পথে এগিয়ে যাক। যে দল দেশকে সেই পথে নিয়ে যাবে, আমরা তাদেরই সমর্থন করব।”

    আরএসএসে মুসলমানরা

    মুসলমানরা আরএসএসে যোগ দিতে পারেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “সংঘে কোনও ব্রাহ্মণকে আলাদা করে অনুমতি দেওয়া হয় না, কোনও জাতির মানুষকে আলাদা করে অনুমতি দেওয়া হয় না, কোনও মুসলিমকে আলাদা অনুমতি দেওয়া হয় না, কোনও খ্রিস্টানকেও নয়। বিভিন্ন ধর্মমতের মানুষ, সে তিনি মুসলিমই হোন বা খ্রিস্টান, সংঘে আসতে পারেন, যদি তাঁরা তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় সরিয়ে রেখে আসেন। শাখায় আসার সময় সবাইকে ভারত মায়ের সন্তান হিসেবেই আসতে হয়। মুসলিম ও খ্রিস্টানরা শাখায় আসেন, কিন্তু আমরা তাঁদের গণনা করি না (RSS)। আমরা কখনওই জিজ্ঞেস করি না তাঁরা কোন ধর্মের (Mohan Bhagwat)।”

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দুদের ওপর আক্রমণ, দেখে নেওয়া যাক এ সপ্তাহের ছবিটা

    Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দুদের ওপর আক্রমণ, দেখে নেওয়া যাক এ সপ্তাহের ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) চলছেই। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ২৫ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ এবং বিদেশে।

    ভারতের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। মুজফ্ফরনগরের বুধানা এলাকার একটি ঘটনায় অপহরণ ও ধর্মান্তরের অভিযোগ উঠেছে। তফসিলি জাতির বছর উনিশের এক তরুণীকে এক মুসলমান ব্যক্তি প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত ব্যক্তি মিরাটের পাঞ্চলি বাজার্গ গ্রামের বাসিন্দা। সে বিবাহিত। তার চারটি সন্তানও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি বিয়ে আড়াল করে জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও ‘লাভ জেহাদে’র উদাহরণ বলেই দাবি স্থানীয়দের একাংশের। এদিকে, কনৌজের একটি গ্রামের বছর সতেরোর এক ছাত্রী সপ্তাহ দুয়েক ধরে নিখোঁজ ছিল। দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর তাকে উদ্ধার করা হয়। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, হিন্দু ওই অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীটি বোরখা পরে রয়েছে। তার পাশেই রয়েছে ইমরান নামের এক মুসলমান যুবক।

    বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পাথর

    দেবী প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার আমলা শহরে। খবরে প্রকাশ, কালী মূর্তি বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়া হয়। শোভাযাত্রাটি যখন পীর মঞ্জিল এলাকার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই কাছাকাছি দোকানের পিছন দিক থেকে দুষ্কৃতীরা পাথর ছোড়ে। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলার। সাংকিসা থানা এলাকার তফসিলি জাতির এক পরিবারের বছর পনেরোর কিশোরী নিখোঁজ। পরিবারের অভিযোগ, গ্রামেরই এক মুসলমান যুবক ওই নাবালিকাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে। এফআইআর অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি কিছুদিন ধরে মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। তাকে বাড়ি ছাড়তেও রাজি করিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটার পর ওই পরিবার থেকে সোনার গয়না ও নগদ প্রায় ৮০ হাজার টাকাও খোয়া গিয়েছে (Roundup Week) বলে অভিযোগ।

    কিশোরীকে গণধর্ষণ

    পরিবারের দাবি, অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা আগেই বিষয়টি জানত (Hindus Under Attack)। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মধ্যপ্রদেশেরই বালাঘাট জেলার লালবাড়া থানা এলাকায় বছর পনেরোর এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই হিন্দু কিশোরীকে চারজন মুসলিম, যাদের মধ্যে আবার দু’জন নাবালিকাও রয়েছে, ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্তরা প্রথমে ওই কিশোরীর আপত্তিকর ভিডিও তোলে। পরে তা ব্যবহার করে ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা আদায় করতে থাকে। পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। পলাতক একজনের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। বিদেশের ছবিটাও খুব একটা আলাদা কিছু নয় (Hindus Under Attack)। আমেরিকার টেক্সাসে হনুমান মূর্তি প্রতিষ্ঠার পর এবং গণেশ চতুর্থীর শোভাযাত্রাকে লক্ষ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু-বিদ্বেষী আক্রমণ শুরু হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এবার ক্যারোলিনায় নির্মীয়মাণ একটি মুরুগন মন্দিরকে ঘিরে নতুন করে হিন্দু- বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    হিন্দুদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধের পেছনে থাকে এমন কিছু ধর্মীয় শিক্ষার ব্যাখ্যা ও রাজনৈতিক মতাদর্শ, যেখানে হিন্দুদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গেঁথে রয়েছে। ইসলামিক দেশগুলিতে হিন্দু-বিদ্বেষের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু ভারতের মতো তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম এক ধরনের হিন্দু-বিরোধী মনোভাব রয়েছে (Roundup Week)। এটি হিন্দুফোবিয়া এবং ঘৃণাজনিত অপরাধ করার জন্য অনুকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে। এই সূক্ষ্ম, অথচ রোজকার বৈষম্য চোখ এড়িয়ে যেতে পারে, যদি না কেউ বর্তমানে থাকা আইন ও কার্যপদ্ধতির ধারাবাহিক বিশ্লেষণ করে (Hindus Under Attack)।

    উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে দীপাবলিতে আতশবাজির ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞার কথা। আপাত দৃষ্টিতে এটি দূষণ-সংক্রান্ত বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বৃহত্তর পরিসরে যখন হিন্দু উৎসবগুলির ক্ষেত্রেই এমনতর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয় এবং এসব নিষেধাজ্ঞার নেপথ্য শক্তিশালী যুক্তির অভাব থাকে, তখনই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির মুখোশ খুলে পড়ে, বেরিয়ে পড়ে আসল মুখ (Hindus Under Attack)।

  • Kerala HC: প্রথম স্ত্রীর কথা না শুনে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না মুসলিম পুরুষ, রায় কেরল হাইকোর্টের

    Kerala HC: প্রথম স্ত্রীর কথা না শুনে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না মুসলিম পুরুষ, রায় কেরল হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম স্ত্রীকে বক্তব্য রাখার সুযোগ না দিয়ে কোনও মুসলিম পুরুষের (Muslim Man) দ্বিতীয় বিয়ে কেরল রেজিস্ট্রেশন অফ ম্যারেজ (কমন) রুলস, ২০০৮ এর অধীনে রেজিস্ট্রি করা যাবে না। ২০২৫ সালের ৩০ অক্টোবরের রায়ে বিচারপতি (Kerala HC) পিভি কুনহিকৃষ্ণন বলেন, “মুসলিম পুরুষের প্রথম স্ত্রী যদি তাঁর দ্বিতীয় বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের বিরোধিতা করেন, তবে রেজিস্ট্রারকে সেই বিয়ে রেজিস্ট্রি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সব পক্ষকে আদালতে পাঠাতে হবে।” হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, “যদি কোনও মুসলিম পুরুষের প্রথম স্ত্রী তাঁর স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানান এবং দাবি করেন যে দ্বিতীয় বিয়েটি অবৈধ, তাহলে রেজিস্ট্রার সেই দ্বিতীয় বিয়ে রেজিস্ট্রি করবেন না। সব পক্ষকে তাঁদের ধর্মীয় প্রথাগত আইনের আলোকে দ্বিতীয় বিয়ের বৈধতা প্রমাণ করার জন্য উপযুক্ত আদালতে পাঠাতে হবে।”

    সাংবিধানিক অধিকার সর্বোচ্চ (Muslim Man)

    হাইকোর্ট বলেছে, “মুসলিম পার্সোনাল ল-এর অধীনে একজন মুসলিম পুরুষের অধিকার সংবিধানের সমতা ও ন্যায্য শুনানির নীতিগুলির ওপরে যেতে পারে না। তবে, যদি প্রথম আবেদনকারী (স্বামী) দ্বিতীয় আবেদনকারীর (দ্বিতীয় স্ত্রী) সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে চান, তাহলে দেশের আইনই প্রাধান্য পাবে, এবং সে ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীকে শুনানির সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে ধর্ম দ্বিতীয় অবস্থানে, আর সাংবিধানিক অধিকার সর্বোচ্চ। অন্যভাবে বলতে গেলে, এটি প্রকৃতপক্ষে প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের মৌলিক নীতি।” স্বামীর প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে যুক্ত ছিলেন, এ তথ্য উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছে, এ ধরনের পরকীয়ার সম্পর্ক পবিত্র কোরানে বৈধতা পায় না। আদালত বলেছে, “আমি মনে করি না যে পবিত্র কোরান বা মুসলিম আইন কোনও মুসলিম পুরুষকে তাঁর প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকা সত্ত্বেও এবং তাঁর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও অন্য কোনও নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের অনুমতি দেয়, তাও আবার প্রথম স্ত্রীর অগোচরে। পবিত্র কোরান ও হাদিস থেকে প্রাপ্ত নীতিগুলি সম্মিলিতভাবে বিবাহ-সম্পর্কিত সব আচরণে ন্যায়, ন্যায্যতা এবং স্বচ্ছতার নির্দেশ দেয়।”

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, কোরানে (Muslim Man) দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীর সম্মতি নেওয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই। তবে দ্বিতীয় বিয়ে রেজিস্ট্রির আগে তাঁর সম্মতি নেওয়া, অথবা অন্তত তাঁকে অবহিত করা, এগুলি ন্যায়, সুবিচার এবং স্বচ্ছতার মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা সংবিধান ও ধর্মীয় নীতির কেন্দ্রবিন্দু। আদালত আরও জানিয়েছে, “মুসলিম পার্সোনাল ল’ বিশেষ পরিস্থিতিতে পুরুষকে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি দিলেও, প্রথম স্ত্রী তাঁর স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের রেজিস্ট্রির সময় স্রেফ দর্শক হয়ে থাকতে পারেন না (Kerala HC)।”

    প্রথম স্ত্রীর শুনানি বাধ্যতামূলক

    তবে আদালত এও স্পষ্ট করে দিয়েছে, প্রথম স্ত্রীর এই শুনানি বাধ্যতামূলক নয়, যদি প্রথম বৈবাহিক সম্পর্ক তালাকের মাধ্যমে শেষ হয়ে যায়। আদালত জানিয়েছে, “যখন প্রথম বিয়ে কার্যকর রয়েছে, তখন ২০০৮ সালের আইন অনুযায়ী দ্বিতীয় বিয়ে রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীকে অবহিত না করে একজন মুসলিম পুরুষ তাঁর প্রথম স্ত্রীর ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন না। কিন্তু যদি দ্বিতীয় বিয়েটি প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর ঘটে, তখন প্রথম স্ত্রীকে নোটিশ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।”

    লিঙ্গ সমতা

    হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, লিঙ্গ সমতা প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। এটি শুধু নারীদের বিষয় নয়, সমগ্র মানবজাতির বিষয়। আদালতের ভাষায়, “লিঙ্গসমতা প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। পুরুষ নারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। লিঙ্গ সমতা কোনও নারীর সমস্যা নয়, এটি মানুষের সমস্যা (Muslim Man)। তাই আমি মনে করি, একজন মুসলিম পুরুষ যদি ২০০৮ সালের আইন অনুযায়ী দ্বিতীয় বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে চান, যখন তাঁর প্রথম স্ত্রী রয়েছেন, তাহলে প্রথম স্ত্রীকে অবশ্যই শুনানির সুযোগ দিতে হবে (Kerala HC)।”

    দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মতি!

    হাইকোর্ট রিট পিটিশনটি খারিজ করে দিয়ে জানিয়ে দেয়, প্রথম স্ত্রীকে আদৌ এই মামলায় পক্ষ করা হয়নি। আদালত আবেদনকারীদের ফের রেজিস্ট্রির জন্য আবেদন করার অনুমতি দেয় এবং নির্দেশ দেয় যে প্রথম স্ত্রীকে নোটিশ দিতে হবে। কেরল হাইকোর্টের বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, মুসলিম পার্সোনাল ল হয়তো মুসলিম পুরুষদের একাধিক বিয়ের অনুমতি দেয়। কিন্তু সেটা অবশ্যই প্রথম স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে। তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত ৯৯.৯৯ শতাংশ স্ত্রী তাঁর স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মতি দেবেন না (Kerala HC)।”

  • Anti Hindu: নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র হলেন ‘হিন্দু বিদ্বেষী’ ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি

    Anti Hindu: নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র হলেন ‘হিন্দু বিদ্বেষী’ ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ ইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র নির্বাচিত হলেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি (Zohran Mamdani)। তিনি রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী কার্টিস স্লিওয়া এবং নিউ ইয়র্কের প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে পরাস্ত করেন। মামদানি হলেন নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র (Anti Hindu)। উগান্ডায় জন্ম নেওয়া বছর চৌত্রিশের এই ব্যক্তি কুইন্স স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য এবং ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া মোট ভোটের মাত্র ৭ শতাংশের সামান্য কিছু বেশি পেয়েছেন। আর ৪০ শতাংশের একটু বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন কুয়োমো। চলতি বছরের জুন মাসে অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে কুয়োমোকে পরাজিত করেছিলেন মামদানি।

    মামদানির ঐতিহাসিক জয় (Anti Hindu)

    মামদানির এই ঐতিহাসিক জয়ের খবর এল এমন একটা সময়, যখন দেশজুড়ে ডেমোক্র্যাটরা বেশ কয়েকটি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভার্জিনিয়ার প্রথম নারী গভর্নরের নির্বাচনও। ডেমোক্র্যাটরা আরও পাঁচটি কংগ্রেশনাল আসনও দখল করে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই নির্বাচনে প্রায় ২০ লাখ নিউ ইয়র্কবাসী ভোট দেন। ১৯৬৯ সালের পর থেকে এটি শহরের মেয়র নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটারের অংশগ্রহণ। মামদানি গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ মেয়র (Zohran Mamdani)। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর ও আর্থিক কেন্দ্রের প্রথম আফ্রিকায় জন্ম, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়র। তিনি প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী মেয়রও।

    হাউজিং কাউন্সিলর

    সংবাদ মাধ্যমে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা। ১ জানুয়ারি শপথ নেবেন তিনি (Anti Hindu)। উগান্ডার কাম্পালায় অভিবাসী বাবা-মায়ের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন মামদানি। বেড়ে ওঠা ম্যানহাটনে। সেখানকার একটি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। স্নাতক হন নিউ ইংল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর তিনি হাউজিং কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। ভাড়াটিয়া অধিকার এবং আবাসন ব্যয়সাধ্যতার সমস্যাগুলির ওপর কাজ করেন তিনি। মামদানি মীরা নায়ারের ছেলে। এই মীরা নায়ারই নির্মাণ করেছিলেন ‘মনসুন ওয়েডিং’ এবং ‘সালাম বম্বে’র মতো বিখ্যাত চলচ্চিত্র। মামদানির বাবা মাহমুদ মামদানি উগান্ডার শিক্ষাবিদ। তিনি উপনিবেশবাদ এবং আফ্রিকান গবেষণা সম্পর্কিত পাণ্ডিত্যের জন্য পরিচিত। তিনিও ভারতীয় বংশোদ্ভূত।

    মামদানির পোস্ট

    জয়ের খবর পাওয়ার পর মামদানি এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, মেট্রো রেলের দরজা খুলছে, আর দেওয়ালে লেখা, ‘জোহরান ফর নিউ ইয়র্ক সিটি’। মুহূর্তে ভাইরাল হয় ভিডিওটি। মামদানি বলেন, “এই শহর সবার। আমরা এক সঙ্গে ন্যায় ও সহানুভূতির পথে এগিয়ে যাব। নিউ ইয়র্ক এখন নতুন দিগন্তের দিকে হাঁটছে।”

    হিন্দু বিদ্বেষ

    রাজনীতির জগতে পা রাখার আগে মামদানি ছিলেন নিতান্তই এক অচেনা মুখ। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এবং হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জেরে দ্রুতই তিনি চলে আসেন খবরের শিরোনামে। ২০২২ সালের (Zohran Mamdani) অগাস্টের একটি ভিডিওয় দেখা যায়, তিনি একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই মিছিলে থাকা লোকজন লাগাতার হিন্দুদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর স্লোগান দিচ্ছিল। ঘটনাটি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনকে তিনি একটি ‘মসজিদ ধ্বংসের উদযাপন’ এবং ‘নির্যাতনের অস্ত্র’ আখ্যা দেন (Anti Hindu)।

    মামদানির বিতর্কিত মন্তব্য

    মামদানি গত বছর নিউ ইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে ‘হিন্দুত্বের চরমপন্থা’ বলে দাবি করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, “গুজরাট দাঙ্গার সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলমানদের হত্যায় সাহায্য করেছিলেন।” মোদির সমর্থক হিন্দুদের তিনি ‘ফ্যাসিবাদী’ও আখ্যা দেন। মে মাসে নিউ ইয়র্ক ফোকাস আয়োজিত এক জনসভায় মামদানি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে অভিহিত করেন। তাঁকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তুলনাও করেন (Anti Hindu)। তিনি ‘গ্লোবালাইজ দ্য ইনতিফাদার’ মতো ইহুদি-বিরোধী গণহত্যামূলক স্লোগানকেও সমর্থন করেন।

    ইহুদি-বিরোধী গোষ্ঠীর কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ

    হিন্দু-বিরোধী সংগঠন ‘কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (CAIR)’ এবং অন্যান্য ইহুদি-বিরোধী গোষ্ঠীর কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগের কালিও লেগেছে তাঁর গায়ে। ফোবর্সের তথ্য অনুযায়ী, মামদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ২ থেকে ৩ লাখ ডলারের মধ্যে বলে অনুমান। এর বেশিরভাগই সম্পত্তি উগান্ডায় পারিবারিক মালিকানাধীন জমি থেকে। এর মূল্য দেড় থেকে আড়াই লাখ ডলারের মধ্যে। নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য হিসেবে তাঁর বার্ষিক বেতন ১.৪২ লাখ ডলার (Zohran Mamdani)।

    ট্রাম্পের হুমকি

    মামদানির জয়ের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। রিপালিকান শিবির থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে ‘চরমপন্থী ডেমোক্র্যাটিক রাজনীতির প্রতীক’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন। নির্বাচনের দিন সকালেই ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, “যদি মামদানি জেতেন, তবে আমি নিউইয়র্ক শহরকে ফেডারেল সরকারের অতিরিক্ত অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেব (Anti Hindu)।”

    এখন ট্রাম্প কী ব্যবস্থা নেন, সেটাই দেখার।

  • Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি

    Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে অব্যাহত হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack)। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, গত ২৫ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ-বিদেশে।

    পশ্চিমবঙ্গের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার উত্তর চন্দ্রনগর গ্রামে স্থানীয় কালী মন্দিরে হামলার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মূর্তির মাথা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নারায়ণ হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।   দক্ষিণ ২৪ পরগনারই মল্লিকপুর গ্রামের বটতলা এলাকায় একাধিক জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় এক কারিগরের স্টুডিওয় জগদ্ধাত্রী মূর্তি ভাঙা হয়। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা মূর্তিগুলির মাথা ভেঙে নিয়ে যায়।

    সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা

    পুনের কন্ধওয়ার মহালক্ষ্মী জুয়েলার্সে গয়নার ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত বিবাদ গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘটনায় ছড়ায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও। ক্রেতা পারভেজ নবী শেখের দাবি, ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যেই তাঁর কানের দুল ভেঙে গিয়েছে। তাই তার বদলে তিনি অন্য একটি দুল চান। দোকানের মালিক জানান, দুলটি ব্যবহার করা হয়েছিল, তাই পরিবর্তন সম্ভব নয়। এরপরেই দু’পক্ষে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। বিজনেস ভিসার অপব্যবহার, ধর্মীয় প্রচারমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ভারতের মধ্যে ফান্ডরেইজিং নেটওয়ার্ক পরিচালনার অভিযোগে নাইজেরিয়ান নেতৃত্বাধীন ‘ক্রাইস্ট এমব্যাসি’র বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে এলআরপিএফ (Hindus Under Attack)। আইনি অধিকার সুরক্ষা ফোরামের এই অভিযোগপত্রে বিদেশি নাগরিক ও তাদের সংগঠনের কার্যকলাপ নিয়ে অবিলম্বে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

    ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা

    সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের একটি দল (Roundup Week), যার মধ্যে দুই মহিলাও ছিলেন, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। তারা অর্থ ও বাসস্থানের লোভ দেখিয়ে হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্টের ধারা ৩ ও ৫, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১১৫ (২ ) এবং এসসি / এসটি অ্যাক্টের ধারা ৩(১)(সি) অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর দেবারা বেসনহাল্লির ঐতিহাসিক ভেঙ্কটেশ্বরস্বামী মন্দিরে ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অভিযোগ, বাংলাদেশি বলে পরিচিত কবীর নামে এক ইসলামপন্থী যুবক জুতো পরা অবস্থায়ই জোর করে গর্ভগৃহে ঢুকে পড়ে এবং চপ্পল ব্যবহার করে দেবতার মূর্তি অপবিত্র করে।  টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের স্কুল অফ সোশ্যাল জাস্টিসের অধ্যাপক ব্রিনেল ডি’সুজার ধর্মভিত্তিক কর্মশালা ও রাজনৈতিক সক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ, তিনি সরকারি ফান্ড ব্যবহার করে ‘শুধু ক্যাথলিকদের জন্য’ ওয়ার্কশপ পরিচালনা করছেন।

    নজরে বাংলাদেশ

    এদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অবিরাম আক্রমণ চলছে। লক্ষ্য হল, দেশটি থেকে ধর্মীয় এই সংখ্যালঘুদের ধীরে ধীরে নির্মূল করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আবুল বরকতের এক গবেষণা অনুযায়ী, পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নির্যাতনের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে নারী ও কন্যাশিশুর ধর্ষণ বা জোরপূর্বক ধর্মান্তর, ঘৃণাবাচক (Roundup Week) বক্তব্য – এসবই হিন্দুদের আতঙ্কিত ও দেশছাড়া করার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাজশাহির গোদাগাড়ি উপজেলার বাবুদয়িং গ্রামে এক মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে, যেখানে আদালতের নির্দেশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পাঁচটি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় আগে নির্মিত তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তার জেরে রাতারাতি বহু পুরুষ, নারী ও শিশুকে গৃহহীন অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে (Hindus Under Attack)।

    ‘বিদেশি দানব’!

    এদিকে, প্রকাশ্য হিন্দুফোবিয়ার এক ঘটনায়, মুখোশধারী কিছু ব্যক্তি ভগবান বিষ্ণু ও গণেশের ছবি কেটে দেওয়া বা ক্রস চিহ্ন দেওয়া ব্যানার প্রদর্শন করে তাঁদের ‘বিদেশি দানব’ বলে অপমান করেছে। ওই মুখোশধারীরা যে ব্যানার দেখিয়েছিল (Roundup Week) তাতে লেখা ছিল, ডোন্ট ইন্ডিয়া মাই টেক্সাস, ডিপোর্ট এইচ-১বি স্ক্যামার্স, রিজেক্ট ফরেন ডেমনস এবং জেসাস ক্রাইস্ট ইজ মাই লর্ড (Hindus Under Attack)।

  • Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে হিন্দু ‘নির্যাতন’ অব্যাহত, কেমন কাটল এই সপ্তাহটা?

    Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে হিন্দু ‘নির্যাতন’ অব্যাহত, কেমন কাটল এই সপ্তাহটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ তো বটেই, বিদেশেও হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) অব্যাহত। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই সব আক্রমণের গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের শোভাযাত্রায় আক্রমণ, মন্দির-মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ১৯ অক্টোবর থেকে এই মাসেরই ২৬ তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে ভারত এবং ভারতের বাইরে (Roundup Week)।

    কেরলের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। কেরলের কমিউনিস্টরা মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে ঘটে যাওয়া হিজাব বিতর্কের জন্য হিন্দুত্বকেই দায়ী করেছেন। কোচির সেন্ট রিটা পাবলিক স্কুলের এক মুসলিম ছাত্রী খ্রিষ্টান-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটিতে হিজাব পরার অধিকার দাবি করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশ এবং পুলিশি সুরক্ষার সহায়তায় জানায়, স্কুলের ইউনিফর্ম সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী তথা সিপিআই(এম)-এর নেতা ভি শিবনকুট্টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় অকারণে হিন্দুদের টেনে আনা হয়। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব দীপাবলি উৎসব প্রসঙ্গে বলেন, “দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য অর্থের অপব্যয় করা উচিত নয়।” কেরলের বিখ্যাত গুরুভায়ুর মন্দিরের অডিটে এর সম্পদ ব্যবস্থাপনায় চরম অনিয়ম ধরা পড়েছে। এটি রাজ্যের কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে মন্দির-অব্যবস্থাপনার দীর্ঘ ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। অডিটে প্রকাশ, মন্দিরে ভক্তদের দান করা সোনা, হাতির দাঁত, জাফরান ও রান্নার সামগ্রী-সহ বিভিন্ন মূল্যবান দ্রব্যের খোঁজ মিলছে না। ডিউড” চলচ্চিত্রের পরিচালক কীর্তিশ্বরণ প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন যে তিনি ইভি রামস্বামী নাইক্কারের আদর্শে প্রাণিত। তিনি এমন এক চলচ্চিত্র বানিয়েছেন যা বিয়ের পবিত্রতাকে উপহাস করে, পরকীয়াকে রোমান্টিকভাবে উপস্থাপন করে, এবং নৈতিক অবক্ষয়কে মূল্যবোধ হিসেবে দেখায় (Roundup Week)।

    জম্মু-কাশ্মীরের চিত্র

    জম্মু-কাশ্মীরের আখনূর এলাকায় জোরিয়ানের ১৬ বছর বয়সী এক হিন্দু কিশোরী পালিয়ে যায় এক ছেলের সঙ্গে। তার পরিবারের দাবি, এটি প্রলোভন ও মগজধোলাইয়ের ফল। ঘটনাটি ভারতজুড়ে তথাকথিত গ্রুমিং ও ধর্মান্তর র‌্যাকেট নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সূচনা (Hindus Under Attack) করেছে। বেঙ্গালুরুর হেন্নুরের দোদ্দারামান্না লেআউট এলাকায় দীপাবলির রাতে (Hindus Under Attack) ইসলামি উগ্রবাদীদের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আতশবাজি পোড়ানো নিয়ে শুরু হওয়া ঝগড়ার পর পাঁচ মুসলিম যুবক দা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলাকায় ফিরে এসে স্থানীয়দের হুমকি দেয় এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তার পরেই শুরু হয় সংঘাত।

    নমাজ আদায়ে বিতর্ক

    পুনের শনি‌ওয়ার ওয়াদায় একটি বিতর্কের সূত্রপাত হয়, যখন একটি ভিডিওতে দেখা যায় কিছু মুসলিম নারী ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত ওই কাঠামোর ভেতরে নমাজ আদায় করছেন। এই ঘটনার জেরে শুরু হয় প্রতিবাদ। পুলিশের কাছে দায়ের করা হয় অভিযোগ। রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপির মেধা কুলকার্নি এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন। তিনি গোমূত্র ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান এবং শিব বন্দনা করেন। তাঁর দাবি, এই নমাজ আদায় অপমানজনক। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত (Roundup Week)।

    বিপাকে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র

    এদিকে, ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন (Hindus Under Attack) সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। তিনি এক শ্বেতাঙ্গের ভারতীয় এবং তাঁদের সংস্কৃতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন বলে অভিযোগ। বিতর্কের সূত্রপাত এক্স হ্যান্ডেলে বিশৃঙ্খল একটি রাস্তার ভিডিও পোস্ট করে তিনি যা লিখেছেন, তার নির্যাস হল ভারতীয়রা তাঁদের নির্বোধ দীপাবলির আবর্জনা দিয়ে পশ্চিমী দেশগুলিকে পুরো নোংরা জায়গায় পরিণত করেছে। বেঙ্গালুরুর এক নারী তাঁর সঙ্গী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, তারা তাঁকে বিয়ের জন্য ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করেছিলেন। মামলাটি এইচএসআর লেআউট থানায় নথিভুক্ত হয়েছে। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ ইসহাক।

    আমেরিকার ছবি

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও অপমান করা হয় হিন্দুদের। দীপাবলির উৎসব চলাকালীন কিছু খ্রিস্টান চরমপন্থী এই উৎসবকে অশুভ বলে অপমান করতে থাকে। তারা অংশগ্রহণকারীদের নিন্দাও করে। তাদের অভিযোগ, ভারতীয়রা আমেরিকা ও কানাডায় বন্যপ্রাণ ধ্বংস করছে।

    প্রসঙ্গত, অধিকাংশ হেট ক্রাইম মূলত (Hindus Under Attack) কিছু ধর্মীয় শিক্ষা ও রাজনৈতিক মতাদর্শে নিহিত হিন্দু-বিরোধী ঘৃণা দ্বারা পরিচালিত হয়। ইসলামি দেশগুলিতে এই হিন্দু-বিরোধী ঘৃণার প্রকাশ সুস্পষ্ট। কিন্তু ভারতের মতো তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম এক রূপের হিন্দু-বিরোধী মনোভাব দেখা যায়। এটি হিন্দুফোবিয়া ও ঘৃণাজনিত অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Roundup Week)।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু সাংবাদিকের ওপর নৃশংস হামলা মুসলিম জনতার

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু সাংবাদিকের ওপর নৃশংস হামলা মুসলিম জনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) মহম্মদ ইউনূস জমানায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা (Hindu Journalist Attacked)। এই তালিকায় নবতম সংযোজন লিটন কুমার চৌধুরী নামের এক সাংবাদিকের ওপর হামলা। ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পুরসভার রেলগেট এলাকায় কালীপুজোর মণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন লিটন। আচমকাই এক দল উগ্র মুসলিম জনতা তাঁর ওপর নৃশংস হামলা চালায়। বছর পঁয়তাল্লিশের লিটন গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তিনি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সীতাকুণ্ডের প্রতিনিধি। সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হামলাকারীরা ‘আসাদ বাহিনী’ নামের একটি গোষ্ঠীর সদস্য। তাদের অভিযোগ, লিটন আওয়ামি লিগের এজেন্ট। তিনি ভুয়ো খবর প্রচার করছিলেন।

    রক্তাক্ত সাংবাদিক (Bangladesh)

    নৃশংস অত্যাচারের পর লিটনকে রক্তাক্ত অবস্থায় তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। তাঁকে প্রথমে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। লিটনের ছেলে রাকেশ চৌধুরী বলেন, “ওই রাতে আমার বাবা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় আচমকাই একদল যুবক সেখানে আসে এবং বাবাকে গালাগালি দিতে শুরু করে। এর পর তারা নৃশংসভাবে তাঁর ওপর আক্রমণ চালায়। দুষ্কৃতীরা বাবার মোবাইল ফোন এবং মানিব্যাগও ছিনিয়ে নেয়।” তিনি জানান, তাঁর বাবার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন (Bangladesh)।”

    এমন ঘটনা ঘটেছে আগেও

    গত ডিসেম্বরেও উগ্র ইসলামপন্থীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক হিন্দু মহিলা সাংবাদিক। মুন্নি সাহা নামের ওই সাংবাদিককে কারওয়ান বাজারের কাছে ঘেরাও করে কিছু দুষ্কৃতী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাঁকে। প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা নিহতের ঘটনায় মুন্নির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল (Hindu Journalist Attacked)। তার আগে মুন্নির ব্যাংক ডিটেলস চেয়ে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। ওই ঘটনায় অভিযুক্তরা ধরা পড়ার আগেই ফের একবার আক্রান্ত সাংবাদিক, মুন্নির মতোই যিনি ধর্মে হিন্দু (Bangladesh)।

  • Hindus Under Attack: ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি…

    Hindus Under Attack: ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) অব্যাহত। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ১২ অক্টোবর থেকে এই মাসেরই ১৮ তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ এবং বিদেশে।

    ভারতের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলার ঘুনুয়া গ্রামে খ্রিস্টান ধর্মান্তর চক্র ভেঙে দিয়েছে চিত্রকূট পুলিশ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের কর্মীরা জোরপূর্বক ধর্মান্তরের কার্যকলাপের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করার পর পুলিশ এই পদক্ষেপ নেয়। দু’জনকে পুলিশ আটক করেছে। একজন অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে খ্রিস্টান ধর্ম-সাহিত্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের উদ্যম সিং নগরে উত্তেজনা ছড়ায় যখন সমাজের নেতৃবৃন্দ ও এক তরুণীর পরিবার পুলিশের এক সাব-ইনসপেক্টরের বিরুদ্ধে ‘লাভ জিহাদ’ মামলাটি সঠিকভাবে না সামলানোর অভিযোগ তোলেন। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের এক হিন্দু নারী ও এক মুসলিম পুরুষকে কেন্দ্র করে। বিষয়টি ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতি উসকে দেয়। প্রয়াগরাজে এক নাবালিকা হিন্দু অনাথকে জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও গণধর্ষণের এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে।

    অব্যাহত নির্যাতন

    জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে উভাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আলম কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই মেয়েটি ও তার ১০ বছর বয়সী ভাইকে নিয়ে যায়। প্রথমে তাদের এক স্থানীয় খাবারের দোকানে কাজ করানো হয়। কিছুদিন পরে মেয়েটিকে অপহরণ করে অভিযুক্তের বাড়িতে আটকে রাখা হয়, যেখানে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। কোয়েম্বাটুরের জেলা কালেক্টরের কাছে এক হিন্দু মুন্নানির অভিযোগ, কীরনাথম গ্রামে একটি সিএসআই ক্রাইস্ট চার্চ সরকারি ‘আদিদ্রাবিড়’দের জন্য বরাদ্দ জমিতে জাল পাট্টা নথির মাধ্যমে অবৈধ নির্মাণ করেছে। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরে আহাদ খান নামের এক মুসলিম যুবক নিজের ধর্ম গোপন করে এক হিন্দু নারীকে প্রলুব্ধ করে হোটেলে নিয়ে যায় (Roundup Week)। সতর্ক হিন্দু সংগঠনগুলির দ্রুত হস্তক্ষেপে ঘটনাটি প্রকাশ পায় এবং ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় (Hindus Under Attack)।

    বাংলাদেশের ছবি

    এদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা অব্যাহত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের গবেষণা অনুযায়ী, পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হামলা, ধর্ষণ বা জোরপূর্বক ধর্মান্তর, এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য – এসবই হিন্দুদের আতঙ্কিত করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে (Hindus Under Attack)। দুর্গাপুজো নিয়ে ডেপুটি স্টেট মিনিস্টারের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে সাম্প্রদায়িক, বিভাজনমূলক ও বিপজ্জনক আখ্যা দিয়েছে ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।’ ফরিদগঞ্জের মানিকরাজ গ্রামে উদ্ধার হয়েছে বছর তিরিশের সুজন দেবনাথের দেহ (Roundup Week)। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেল প্রায় সাড়ে ৪টে নাগাদ স্থানীয় একটি জলা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ভাসমান দেহ। গাইবান্ধা জেলার থেংগামারা এলাকায় ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনায় আবারও বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের দুর্দশা প্রকাশ্যে এসেছে। পালপাড়া গ্রামের এক মহিলার পঞ্চম শ্রেণি পাঠরতা কন্যাকে অপহরণের পর শোকে মুহ্যমান ওই মহিলা। নোয়াখালির সুবর্ণচরে জনৈক সুব্রত দাসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সবাই এই নিষ্ঠুর দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখলেও, ভয়ে কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি (Hindus Under Attack)।

    খবরে কানাডাও

    কানাডার একটি চিলডেন্স পার্কের কাছে বর্ণবাদী গ্রাফিতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ওই গ্রাফিতিতে লেখা ছিল “ভারতীয় ইঁদুর”। অ্যাডভোকেসি গ্রুপ যাতে এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে, সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধের পেছনে থাকে হিন্দুবিরোধী বিদ্বেষ, যা নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় শিক্ষা ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যে নিহিত। ইসলামি দেশগুলিতে হিন্দুবিদ্বেষ স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে, তবে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন ভারত) প্রতিষ্ঠান এবং জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম (Roundup Week) ধরনের হিন্দুবিরোধী মনোভাব কাজ করে। এই মনোভাব হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃণাচারণ ও অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Hindus Under Attack)।

  • Hindus Under Attack: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু বিদ্বেষ, লাভ জিহাদ, ‘ল্যান্ড জিহাদ’, আর কী?

    Hindus Under Attack: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু বিদ্বেষ, লাভ জিহাদ, ‘ল্যান্ড জিহাদ’, আর কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) অব্যাহত। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ৫ অক্টোবর থেকে এই মাসেরই ১১ তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে।

    ভারতেও নিরাপদ নন হিন্দুরা (Hindus Under Attack)

    ধর্মনিরপেক্ষ ভারতেও নিরাপদ নন হিন্দুরা। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুজাতা ভাট, যিনি বিতর্কিত ধর্মস্থল মামলার কেন্দ্রীয় চরিত্র, দাবি করেছেন যে তিনি এক রাজনৈতিক গোষ্ঠীর ‘গুটি’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘বুরুদে’ গ্যাংয়ের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই এবং তাঁকে মিথ্যা অভিযোগ করতে প্রলুব্ধ করে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। মুরথল রোডে অবস্থিত শ্রী রাম পার্কে ইসলামপন্থী দুষ্কৃতীরা দোলনা ও বেঞ্চে ‘আই লাভ মহম্মদ’ ও ‘লাভ জিহাদ’–এর মতো আপত্তিকর স্লোগান লিখে দেয়। আলিগড়ের এক হিন্দু নার্সিং শিক্ষার্থী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ফের সামনে এসেছে ‘লাভ জিহাদ’ ইস্যু। ১৮ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী খায়ের রোডের একটি হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। অভিযোগ, তাঁর সহকর্মী মহম্মদ আবদুল প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে অপহরণ করেছে। পাঞ্জাবের জলন্ধরে “আই লাভ মহম্মদ” পোস্টার ইস্যুকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভা হিংসার আকার ধারণ করে। সেখানে মুসলিম বিক্ষোভকারী ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

    হিন্দু দেব-দেবীদের অবমাননা

    গুজরাটের ভাদোদরার পুলিশ খোদিয়ারনগরের বাসিন্দা নীলেশ নাঞ্জি জিতিয়াকে গ্রেফতার করেছে। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যেখানে হিন্দু দেব-দেবীদের অবমাননা করা হয়েছে (Hindus Under Attack)। ওড়িশার কটকে দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে এক প্রবীণ পুলিশ কর্তা-সহ বহু মানুষ জখম হন। অভিযোগ, স্থানীয় ইসলামপন্থীরা ঝাঞ্জিরমঙ্গলা ভাগবত সাহি পূজা কমিটির বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বাজানো গান ও ধর্মীয় স্লোগানের প্রতিবাদ করে। এনিয়ে প্রথমে কথাকাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষ শুরু হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ, বোতল ছোড়ার খবর মিলেছে। কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুলিশ সুপারের একটি রিপোর্টে মানবাধিকার কমিশনের ভুয়ো আধিকারিকদের একটি চক্রের হদিস পাওয়া গিয়েছে, যারা ধর্মস্থল মন্দির মামলায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছিল। তদন্তে (Roundup Week) বেঙ্গালুরুর জন সাইমন এবং হুব্বলির মাদন বুগুড়ি-সহ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তারা মানবাধিকার কমিশনের নাম ভাঙিয়ে আধিকারিকদের ভয় দেখাত এবং মন্দিরকে ঘিরে মিথ্যা গল্প ছড়াত। উত্তরপ্রদেশের দেরাদুনের বিকাশনগরে আকিব নামে এক ব্যক্তি এক নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পকসো আইনে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয়েছে আকিবকে (Hindus Under Attack)।

    ‘ল্যান্ড জিহাদ’

    মাইসুরু জেলার সালিগ্রামা শহর থেকে এক চাঞ্চল্যকর ‘ল্যান্ড জিহাদে’র ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, ইসলামপন্থীরা একটি সরকারি স্কুলের ভবনের একাংশ ভেঙে দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছে। অভিযোগ, সেখানে অনুমোদন ছাড়াই শেড ও পার্কিং লট তৈরি করা হচ্ছে। চিত্রপতি সংভাজিনগরের চিকলঠানা এলাকায় গরু পাচার ও অবৈধ জবাই বিরোধী হিন্দু কর্মী গণেশ শেলকের ওপর হামলা চালায় উগ্র ইসলামপন্থীরা।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে হিন্দু মেয়েদের নিরাপত্তা ও আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক সংক্রান্ত ক্রমবর্ধমান সমস্যাগুলি নিয়ে সারা অঞ্চলে তীব্র বিতর্ক ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সাহজনওয়া এলাকার নওশাদ চৌরাহায় স্থানীয় বাসিন্দারা একজনকে মারধর করে (Roundup Week)। সে বিহারের বাসিন্দা, নাম মনসুর আলি। অভিযোগ, সে এক হিন্দু মহিলাকে বোরখা পরতে বাধ্য করেছিল, তাকে নিয়েও পালানোর চেষ্টা করছিল (Hindus Under Attack)। কর্নাটকে হুব্বাল্লিতে রাজ্য সরকারের একটি অনুষ্ঠানে কোরানের আয়াত পাঠ করা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের তোষণ নীতির জন্যই এভাবে সরকারি প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

    বাংলাদেশের ছবি

    বাংলাদেশের ছবিটাও ভয়াবহ। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, ভুয়ো ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হামলা, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, এবং ঘৃণাবাচক বক্তব্য—এসবই হিন্দুদের ভয় দেখিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ পুরসভা এলাকায় স্থানীয় থানার অদূরে নৃশংসভাবে খুন করা হয় জনৈক নারায়ণ পালকে (Roundup Week)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের একটি গবেষণা অনুযায়ী, পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না (Hindus Under Attack)।

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নিন এই সপ্তাহের ছবিটা

    Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নিন এই সপ্তাহের ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের (Hindus Under Attack) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিশ্বের বহু অঞ্চলে এই নির্যাতন ক্রমেই এক গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। গত কয়েক দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির প্রকৃত ব্যাপ্তি ও গভীরতাকে উপেক্ষা করে এসেছে, যার নেপথ্যে রয়েছে এক উদ্বেগজনক হিন্দুবিদ্বেষ। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবে হামলা, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, ঘৃণাসূচক ভাষণ, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত, হিন্দুরা আজ তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান (Roundup Week) আক্রমণ ও নজিরবিহীন হিন্দুবিদ্বেষের মুখোমুখি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের ঘটনা প্রবাহ।

    ভারতের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। কানপুরে শুরু হওয়া একটি ছোট্ট স্থানীয় বিবাদ দ্রুত আকার নেয় হিংসার। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গুজরাট এবং অন্যান্য রাজ্যেও। চরমপন্থী ইসলামপন্থী সংগঠনগুলি ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ স্লোগান ব্যবহার করে ইসলামপন্থী জনতাকে সংগঠিত করে। এর জেরে শুরু হয় পাথর ছোড়া, দাঙ্গা এবং পুলিশের প্রতি প্রকাশ্য হুমকি। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের বদলে বিভিন্ন শহরে আয়োজিত মিছিলগুলি থেকে চরমপন্থী স্লোগান দেওয়া হতে থাকে। এর মধ্যে ছিল “সার তান সে জুদা” (মাথা ধড় থেকে আলাদা করে দেওয়া) স্লোগানও।

    অবৈধ ধর্মান্তরণের অভিযোগ

    অবৈধ ধর্মান্তরণের অভিযোগে লখনউয়ের নিগোহান থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে মলখান নামের (বর্তমানে ম্যাথিউ নামে পরিচিত) এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ, সে গত দু’বছরে বকতৌরি খেদা গ্রামে ৫০ জনেরও বেশি হিন্দুকে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করতে অভিযান চালিয়েছিল। বিশেষত তফশিলি জাতিভুক্ত দরিদ্র পরিবারগুলিকে টার্গেট করে ‘অলৌকিক আরোগ্য’ ও আর্থিক প্রলোভনের মাধ্যমে তাদের হিন্দুধর্ম ছেড়ে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হতে প্রলুব্ধ করত। ভারতের বিচারব্যবস্থা বারবার কাশ্মীরি হিন্দুদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ওই সম্প্রদায়ের জন্য ন্যায্য সুবিধা চেয়ে করা একটি আবেদনও খারিজ করেছে। অথচ মুসলিম জঙ্গিদের জন্য মধ্যরাতেও খুলে দেওয়া হয়েছে আদালতের দরজা। ভারতের রাজধানীর কেন্দ্রে অবস্থিত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ফের খবরের শিরোনামে। এবিভিপির নেতৃত্বে আয়োজিত দুর্গা পুজোর প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ছোড়া হল পাথর, সবরমতী টি-পয়েন্টের কাছে। হামলাকারীদের (Hindus Under Attack) হাত থেকে রেহাই (Roundup Week) পাননি মহিলারাও।

    পোড়ানো হল রামের কুশপুতুল!

    কয়েক দিন আগে, ঐন্তম তামিলার সঙ্গম নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা ভগবান শ্রী রামের কুশপুতুল পুড়িয়ে ফেলার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিরুচিরাপল্লি জেলা পুলিশ ওই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে। মধ্যপ্রদেশের ধার জেলার আমঝেরা এলাকায় লাভ জিহাদের ঘটনা ঘটেছে। হিন্দু তরুণীকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্মান্তরের শিকার হতে হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দের বাসিন্দা আমির শেখ নিজেকে অনিল পরিচয় দিয়ে আমঝেরার ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তাঁকে নিয়ে পালায়। এর পরেই শুরু হয় যৌন নির্যাতন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণে চাপও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই তরুণী ধর্ম পরিবর্তন করতে অস্বীকার করলে ব্যাপক অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ।

    বাংলাদেশের ছবিটা

    এবার চোখ ফেরানো যাক বাংলাদেশের দিকে। সেখানেও অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের এক গবেষণা অনুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু থাকবে না। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গণআক্রমণ, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, এবং ঘৃণাসূচক বক্তৃতা – এসবই হিন্দুদের ভয় দেখানো ও দেশছাড়া করার (Hindus Under Attack) হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে ভয়াবহ আকার ধারণ করে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। পরে সেই বিক্ষোভ রূপ নেয় প্রাণঘাতী হিংসার। মারমা ছাত্র পরিষদের সভাপতি উয়াফ্রে মারমা জানান, রামসু বাজারের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তিনি এই হামলার জন্য দায়ী করেছেন স্থানীয় মুসলমানদের। পাতাশি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্রকে মেরে তাঁর পা ভেঙে দেয় একদল দুষ্কৃতী। স্থানীয় সূত্রে খবর, হামলার আগে বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান খান তাঁকে ফোন করে হুমকি দিয়েছিলেন।

    তাকানো যাক আমেরিকার দিকেও

    বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও চলছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার (Hindus Under Attack)। আমেরিকার টেক্সাসের সুগার ল্যান্ডে বিশাল হনুমান মূর্তি স্থাপনের পর থেকে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। প্রকাশ্যে এসেছে হিন্দু-বিদ্বেষের ছবি। নিউ ইয়র্কে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় (Roundup Week) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির ডেপুটি আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মহম্মদ তাহের বলেন, “আমাদের অন্তত পঞ্চাশ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে (Hindus Under Attack)।”

LinkedIn
Share