Tag: muslim

muslim

  • Pakistan: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলামে দীক্ষিতকরণ পাকিস্তানে

    Pakistan: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলামে দীক্ষিতকরণ পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিতকরণ করা হল পাকিস্তানে (Pakistan)। সিন্ধ অঞ্চলের একটি পরিবারের তিন বোন ও তাদের এক ভাইকে (Hindu Siblings) অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়। যাদের ধর্মারিত করা হয়েছে, তারা হল বছর বাইশের জিয়া বাই, বছর কুড়ির দিয়া বাই, বছর ষোলোর দিশা বাই এবং তাদের বছর তেরোর ভাই হরজিত কুমার। এদের মায়ের অভিযোগ, স্থানীয় কম্পিউটার শিক্ষক ফারহান খাসখেলি তাঁর সন্তানদের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। তিনি বলেন,  “আমার তিনটি মেয়ে ছিল। ফারহান সবাইকে নিয়ে গিয়েছে।” তিনি তাঁর ছেলেমেয়েদের ফেরত পেতে চান। এজন্য তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির হস্তক্ষেপও দাবি করেন। পঞ্চায়েতের হিন্দু প্রধান রাজেশ কুমার একে পরিবারের জন্য ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেন।

    ধর্মান্তকরণ (Pakistan)

    এদিকে, পরিবারের প্রতিবাদের পর পুলিশ ভাইবোনদের শাহদাদপুর আদালতে হাজির করে। আদালতের নির্দেশে দুই প্রাপ্তবয়স্ক বোন জিয়া ও দিয়া (যারা মেডিকেল শিক্ষার্থী), তাদের করাচির একটি শেল্টার হোমে পাঠানো হয়। আর অপ্রাপ্তবয়স্ক দিশা ও হরজিৎকে তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাকে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তকরণ বলে দাবি করেছে। যদিও অপহৃতদের পরিবার ও তাদের আইনজীবী এই দাবি খারিজ করে দেন। তাঁরা জানান, ওই শিশুদের শাহদাদপুর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। জোরপূর্বক তাদের ধর্মান্তরিত করা হয়। পরে করাচি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দাবি, আদালতে অপহৃতরা পুলিশের চাপে কথা বলছিল। তাই দুই অভিযুক্ত জুলফিকার খাসখেলি এবং ফরহান অপহরণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পায় (Pakistan)।

    মানবাধিকার সংস্থাগুলির রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, মানবাধিকার সংস্থাগুলি যেসব তথ্য নথিভুক্ত করেছে, তা থেকে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই হাজারেরও বেশি হিন্দু কন্যাকে অপহরণ করে জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ ও বিয়েতে বাধ্য করা হয়। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে ধর্ম অবমাননার আইন ব্যবহৃত হয়। প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলি পরিকল্পিতভাবে (Hindu Siblings) হিন্দু পরিবারগুলিকে জমি দখল করে উচ্ছেদ করে। যদিও পাক সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও সংরক্ষিত আসন রয়েছে, বাস্তবে এসব সুরক্ষা প্রয়োগ হয় না বলেই অভিযোগ (Pakistan)।

  • TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি ৫জন হিন্দুর মধ্যে একজন ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)! তার পরেও কীভাবে ১৪ বছর গদি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আসুন, জেনে নেওয়া যাক বছরের পর বছর তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকার গুঢ় মন্ত্র।

    দমনমূলক আচরণের শিকার হিন্দুরা (TMC)

    পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা যে বৈষম্য ও দমনমূলক আচরণের শিকার হন, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। এ রাজ্যে ইসলামপন্থীদের হাতে হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হয়েছে। হিন্দু (Hindus) উৎসব পালনে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মুসলিম তোষণের কারণে হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই অনেক এলাকায় হিন্দুরা কার্যত ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে’ পরিণত হয়েছেন। তার পরেও এ রাজ্যের এক উল্লেখযোগ্য অংশের হিন্দু ভোটার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএমে ঘাসফুল আঁকা বোতামে চাপ দেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের যেসব এলাকায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং যেখানে হিন্দুরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন, সেখানেও হিন্দুদের একটা বড় অংশই ভোট দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। পশ্চিমবঙ্গে ৭.৬৩ কোটি ভোটারের মধ্যে হিন্দু প্রায় ৫.১৯ কোটি। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৬৮।

    ভোটের অঙ্ক

    রাজ্যে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হন প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার। হিন্দু ভোটারদের উপস্থিতি ৬৫ শতাংশের কাছাকাছি। অথচ মুসলিম ভোটারদের উপস্থিতি ৯০ থেকে ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩.৩৭ কোটি হিন্দু ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এঁদের এক-পঞ্চমাংশেরও কম ভোটার তৃণমূলকে ভোট দেন। অন্তত পরিসংখ্যান সেকথাই বলছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথাই ধরা যাক। ওই ভোটের ফল থেকে জানা যায়, বিজেপি প্রায় ২.৩৩ কোটি ভোট পেয়েছে। শতাংশের হিসেবে ৩৮.৭৩। একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা প্রায় সবাই হিন্দু। মুসলিমরা যে বিজেপিকে ভোট দেননি, তা নয়। তবে তাঁদের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। এর অর্থ হল, হিন্দুদের প্রায় ৬৯ শতাংশ ((TMC)) – ৩.৩৭ কোটির মধ্যে ২.৩৩ কোটি – ছাপ দিয়েছেন পদ্মফুলে।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেস ও বাম জোটের ঝুলিতে যে ৬৬.৪৫ লাখ ভোট পড়েছে, তার প্রায় ৭০ শতাংশই হিন্দুদের দেওয়া। অর্থাৎ, প্রায় ৪৬.৫১ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৩.৭৭ শতাংশ) কংগ্রেস ও বামপন্থী জোটকে ভোট দিয়েছেন। এভাবে, প্রায় ২.৭৯ কোটি হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন) (Hindus)  তাঁদের ৮২.৭৭ শতাংশ হয় বিজেপি নয়তো কংগ্রেস-বাম জোটকে সমর্থন করেছেন। এর অর্থ হল, মাত্র ৫৭.৮৭ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের ১৭.২৩ শতাংশ) তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন।

    কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়?

    প্রশ্ন হল, তার পরেও কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়? কীভাবেই বা পর পর তিনটি টার্মে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে তোষণের রাজনীতি নামক চাবিকাঠিতে। কংগ্রেসের ডিএনএ থেকে জন্মানো তৃণমূল জন্মলগ্ন থেকেই হাতিয়ার করেছিল তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মেঠো খয়রাতির রাজনীতি। এই দুই কৌশলে জয় অনায়াস হয়েছে তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল মুসলিম ভোটার। এ রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই ছাপ দেয় ঘাসফুলে (TMC)। অনুমান, ভোট কেন্দ্রে আসা মুসলমান ভোটারদের প্রায় ৯৩ শতাংশই ভোট দেন মমতার দলকে।

    তৃণমূলের ভোটার কারা? 

    গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৫৮ লাখ ভোট পেয়েছিল। প্রশ্ন হল, এই ৫৮ লাখ হিন্দু ভোটার কেন এমন একটি দলকে সমর্থন করল, যার সরকার তাদের প্রতি নিরাসক্ত এবং হিন্দুদের উদ্বেগের প্রতি বৈরী মনোভাব পোষণ করে? এই ভোটাররা কারা? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হিন্দু (Hindus)  সম্প্রদায়ের যে অংশ তৃণমূলে ভোট দেয়, তাদের দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এক, প্রান্তিক এলাকার গরিব মানুষ এবং দুই, শহরের ভদ্রলোক শ্রেণি। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে উন্নয়নের ঢাক বাজায়, তবে আদতে রাজ্যটি দারিদ্র্য ও বেকারত্বে পরিপূর্ণ। জীবিকার উপায় খুবই সীমিত। কৃষি আয়ের হ্রাস এবং শিল্প ও পরিষেবা খাতে চাকরির অভাবে তা আরও সংকুচিত হয়ে পড়ছে (TMC)।

    বেঁচে থাকার সংগ্রাম

    গ্রামাঞ্চল এবং আধা-শহরাঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্র জনগণকে জীবিকার সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে। অথবা রাজ্যেই কোনওরকমে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লড়াই করে চলেছেন। সমাজবিজ্ঞানী অমিয় বসু বলেন, “চা বা পকোড়া বিক্রির দোকান বসানো, রিকশা বা অটোরিকশা চালানো, বাজারে ছোট জায়গা নিয়ে মাছের দোকান চালানো, ছোটখাটো কন্ট্রাক্ট পাওয়া — এ রকম কাজই হয়ে দাঁড়ায় একমাত্র জীবিকার উপায়, যা কেবলমাত্র ‘দিন আনা দিন খাওয়া’র মতো অবস্থা তৈরি করে। আর এসবের জন্য দরিদ্র জনগণ সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল স্থানীয় তৃণমূল নেতার দয়ার ওপর।” অর্থনীতিবিদ কৌশিক ব্যানার্জীর বক্তব্যও মোটামুটি এক।

    ‘চিল্লার অর্থনীতি’

    তিনি বলেন, “আমি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিকে বলি ‘চিল্লার অর্থনীতি’। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ এবং শহরের একটা বড় অংশ নগণ্য আয় করে ছোটোখাটো ব্যবসার মাধ্যমে অথবা রিকশা চালিয়ে। রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে দোকান বসানো, রিকশা চালানো কিংবা ক্ষুদ্র সরবরাহকারী হওয়ার অনুমতি দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তাই এই নেতাকে খুশি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Hindus)। সেই কারণেই দরিদ্র্যদের একটা বড় অংশ তৃণমূলকে (TMC) ভোট দেয়।” কৌশিক বলেন, “এর সঙ্গে যুক্ত করুন ছোট অথচ প্রভাবশালী অনুদানগুলোর প্রভাব—যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিধবা ভাতা ইত্যাদি। মহিলাদের ও বিধবাদের অ্যাকাউন্টে যে ১,০০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়, বা ছাত্রীদের বছরে দেওয়া ১,০০০ টাকা—এই অঙ্কগুলো হয়তো ছোট মনে হতে পারে। কিন্তু বাংলার মতো দরিদ্র রাজ্যে এই টাকাগুলো দরিদ্র মানুষের জীবনে বিশাল পরিবর্তন এনে দেয়। ফলে তাঁরা বাধ্য হন তৃণমূলকে ভোট দিতে।”

    কুণাল সেনগুপ্তের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক কুণাল সেনগুপ্ত বলেন, “রাজ্যের গ্রামীণ ও আধা-শহর এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতার কথাই শেষ কথা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মানুষকে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেন। অনেকেই নীরবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে গোপনে সেই নির্দেশ মানেন না, কিন্তু অনেক দুর্বল মানুষ সেই সাহস দেখাতে পারেন না। বিশেষ করে সেই সব বুথে, যেখানে তৃণমূলের এজেন্টরা রাজ্য সরকারের কর্মচারী (যেমন ভোটকর্মী)-দের সঙ্গে মিলে ইভিএমের ওপর কঠোর নজর রাখেন। তার ওপরে তো রয়েছে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ, যা বাংলায় প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্তা দেবাংশু ঘোষ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন (TMC), “বাংলায় বুথের ভেতরে যেভাবে গোপনে কারচুপি হয়, তা কল্পনাতীত।”

    ভদ্রলোকের ভোট

    শহুরে মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত বাঙালি হিন্দু, যাদের সাধারণত ‘ভদ্রলোক’ বলা হয়, তাঁরা এক দশক আগেও বামফ্রন্টকে ভোট (Hindus) দিতেন। বাম জমানার অবসানের পর তাঁরাই এখন ঝুঁকেছেন তৃণমূলের দিকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক দেবপ্রতিম রায় বলেন, “ভদ্রলোকরা নিজেদের বিজেপির বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধশক্তি হিসেবে ভাবেন। তিনি আদর্শগতভাবে বামফ্রন্টকে ভোট দিতে চাইতেন। কিন্তু জানেন বাম এখন খুব দুর্বল এবং অপ্রাসঙ্গিক। তাই বামেদের ভোট দিয়ে তিনি তাঁর ভোট নষ্ট করতে চান না। সেই কারণেই তিনি ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)।”

  • Reservations: ভোটের আগে তোষণের রাজনীতি! মমতার নয়া ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় প্রকট মুসলমান-প্রীতি

    Reservations: ভোটের আগে তোষণের রাজনীতি! মমতার নয়া ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় প্রকট মুসলমান-প্রীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ধর্মে হিন্দু। বর্ণে ব্রাহ্মণ। দেব-দ্বিজে তাঁর ভক্তির কথাও সুবিদিত (স্ব-উদ্যোগে বাড়িতে কালীপুজো, জগন্নাথের পুজো করেন ঘটা করে)। সেই তিনিই মুসলমানদের ইদের জমায়েতে গিয়ে নমাজ আদায় করেন। নিন্দকরা বলেন, তাঁর এহেন ‘ছলাকলা’র এক এবং একমাত্র কারণ পশ্চিমবঙ্গের ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট ঘাসফুল আঁকা (Reservations) ঝুলিতে পুরে যতদিন পারা যায়, ততদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ আঁকড়ে বসে থাকা যায়। তিনি এ (Anti Hindu Conspiracy) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন ‘হিন্দু’রই মুখোশ খুলে গেল ওবিসি সংরক্ষণকে ঘিরে। তিনি যে আদতে হিন্দু-বিরোধী, তাঁর ধমনীতে যে বইছে ‘মুসলিম প্রীতি’র লাল রক্ত, তা প্রমাণ করে দিল রাজ্য সরকারেরই একটি তথ্য।

    তোষণের রাজনীতি (Reservations)

    আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। অতএব, ফের ক্ষমতায় ফিরতে হবে যেন-তেন প্রকারে। অস্ত্র? সেই মুসলিম ভোটে শান দেওয়া। লক্ষ্য? তোষণের রাজনীতি করে ভোট বৈতরণী পার হয়ে নবান্নের তথা রাজ্যের সব চেয়ে কর্তৃত্বপূর্ণ চেয়ারটি দখল করা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ওবিসি তালিকায় নয়া সংযোজনের ৮৬ শতাংশই মুসলমান সম্প্রদায়ের। মুখ্যমন্ত্রী এই পদক্ষেপকে বৈজ্ঞানিক ও আইনসম্মত বলে সাফাই গাইলেও, বিজেপির অভিযোগ, এটি আদতে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করার ছক। পদ্ম শিবির একে ‘পেছনের দরজা দিয়ে’ সংরক্ষণ বলে অভিহিত করেছে। তাদের সাফ কথা, ছাব্বিশের নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতিভিত্তিক কোটাকে তৃণমূল ব্যবহার করছে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে। গেরুয়া শিবিরের মতে, মুসলমানদের ওবিসি শ্রেণিতে অগ্রাধিকার দিয়ে ভোটে ফায়দা লুটতে চাইছেন তৃণমূলের ‘দিদি’। তারা একে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলেও দাবি করেছে।

    কী বললেন মমতা

    বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “একটি অংশ মানুষকে ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব নিয়ে (Reservations) মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। নতুন ওবিসি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে, যা পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন (WBCBC) পরিচালিত মাঠ পর্যায়ের সমীক্ষার ভিত্তিতে এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে তৈরি করা হয়েছে।” সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের পুনর্গঠিত ওবিসি তালিকায় ১৪০টি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ওবিসি-এ বিভাগে ৪৯টি এবং ওবিসি-বি বিভাগে ৯১টি সম্প্রদায় রয়েছে। আরও ৫০টি সম্প্রদায়ের ওপর সমীক্ষা চলছে (Anti Hindu Conspiracy)।

    বিজেপির অভিযোগ

    এতেই সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, সংবিধান অনুযায়ী কাজ না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সংরক্ষণ ব্যবস্থায় হিন্দু প্রতিনিধিত্ব কমিয়ে মুসলিমদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। বিজেপি নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের সংরক্ষণ ব্যবস্থায় হিন্দু সম্প্রদায়কে পরিকল্পিতভাবে কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “নতুন ওবিসি অন্তর্ভুক্তিগুলি মূলত মুসলিমদের পক্ষে গিয়েছে।” তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০১০ সালের আগে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ক্ষমতায় আসে তখন পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬৬টি ওবিসি শ্রেণি ছিল, যার মধ্যে মাত্র ১১টি মুসলিম (২০ শতাংশ)। আর ২০২৫ সালে নতুন যে ৭৬টি শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তার মধ্যে ৬৭টি মুসলিম, যা মোট নতুন অন্তর্ভুক্তির প্রায় ৮৮ শতাংশ (Reservations)। নয়া যে ৭৬টি শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাতে রয়েছে দুটি ভাগ। একটি পার্ট এ। এতে রয়েছে ৫১টি সম্প্রদায়। এর মধ্যে ৪৬টি মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে। শতাংশের বিচারে প্রায় ৯০ শতাংশ। আর পার্ট বি-তে রয়েছে ২৫টি সম্প্রদায়। এর মধ্যে ২১টিই মুসলমান। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৮৪ (Anti Hindu Conspiracy)।

    ধর্মান্তরকে প্রকাশ্যে উৎসাহ!

    মালব্যর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নির্বাচনী স্বার্থে ধর্মান্তরকে প্রকাশ্যে উৎসাহ দিচ্ছে। তাঁর দাবি, ওবিসি তালিকায় এমন একটি বিধান রয়েছে যার ফলে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত ব্যক্তিরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওবিসি মর্যাদার যোগ্য হয়ে পড়েন। তিনি এই বিধানকে বিপজ্জনক নজির বলে বর্ণনা করেন এবং একে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিজার্ভেশন ব্যবস্থাকে ধর্মান্তরের পুরস্কার ও দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচনী লাভের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের কৌশল বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্তগুলি স্পষ্টভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।” মালব্য তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগও তোলেন। তাঁর অভিযোগ, মুসলিম সম্প্রদায়কে বাড়তি সংরক্ষণের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে, অথচ প্রকৃতপক্ষে পিছিয়ে পড়া হিন্দু সম্প্রদায়, যাদের মধ্যে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতিরাও রয়েছেন, তাঁদের উপেক্ষা করা হচ্ছে (Reservations)।

    সুবিধা পাচ্ছে মুসলিমরা

    বিতর্ক আরও বাড়িয়ে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে ওবিসি সংরক্ষণ ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৭ শতাংশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৃদ্ধির সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে নয়া সংযোজিত মুসলিম সম্প্রদায়গুলি। যার ফলে তারা রাজ্য সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রেও অনুপাতিক হারে বেশি সুযোগ পাচ্ছে। বিজেপির দাবি, এটি পরোক্ষভাবে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি সংবিধানের সেই মূলনীতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, যেখানে বলা হয়েছে সংরক্ষণ শুধুমাত্র সবচেয়ে বঞ্চিতদের জন্যই প্রযোজ্য, রাজনৈতিক ভোটব্যাঙ্কের জন্য নয় (Anti Hindu Conspiracy)। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এই সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য বিকৃত করছে এবং সাধারণ মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করছে। সংশোধিত ওবিসি সুপারিশগুলিতে কোনও বেআইনি কার্যকলাপ বা ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব নেই। বিজেপির মুখপাত্রদের দাবি, এটি পরোক্ষভাবে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয় (Reservations)।

    একপাক্ষিক প্রতিনিধিত্ব

    যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দাবি করে এসেছেন যে ওবিসি তালিকাটি ধর্মনিরপেক্ষ, তখন সমালোচকরা পশ্চিমবঙ্গের ধর্মীয় জনসংখ্যার ভিত্তিতে তাদের সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ মুসলিম হলেও, সম্প্রতি তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত সম্প্রদায়গুলির মধ্যে ৮৬ শতাংশেরও বেশি মুসলিম। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, এমন একপাক্ষিক প্রতিনিধিত্বকে কেবলমাত্র কাকতালীয় ঘটনা বা পরিসংখ্যানগত বিচ্যুতি হিসেবে দেখানো যায় না। তাঁদের দাবি, এই পদক্ষেপটি ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুসলিম ভোটব্যাংককে শক্তিশালী করার একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁদের অভিযোগ, জাতিভিত্তিক সংরক্ষণের ছদ্মবেশে মুসলিম গোষ্ঠীগুলিকে পরিকল্পিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য হল হিন্দু অনগ্রসর শ্রেণির (Anti Hindu Conspiracy) প্রতিনিধিত্ব কমিয়ে তাদের জন্য বরাদ্দ সুযোগ-সুবিধা হ্রাস করা।

    রাজ্যের মৌরসিপাট্টা

    বিজেপির মতে, এই সব ঘটনা কেবল রাজনৈতিক তোষণ নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের সংরক্ষণ কাঠামোর মধ্যে হিন্দু অনগ্রসর শ্রেণির অবস্থান দুর্বল করার একটি সংগঠিত প্রচেষ্টা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে ভর করেই পর পর তিনবার বাংলার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। বস্তুত, রাজ্যের মৌরসিপাট্টা এখন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের হাতে। এই পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই ফের তৃণমূল নেত্রী হাতে তুলে নিলেন তোষণের রাজনীতি নামক অস্ত্র। বরাবর যে অস্ত্রে শান দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেছে তাঁর ‘মাদার’ দল কংগ্রেস। যে দল থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রসের জন্ম দিয়েছেন তিনি (Reservations)।

  • Sharmishta Panoli: তোষণের রাজনীতি করতেই গ্রেফতার শর্মিষ্ঠা, পার পেয়ে যাচ্ছে ওয়াজাহাত খান?

    Sharmishta Panoli: তোষণের রাজনীতি করতেই গ্রেফতার শর্মিষ্ঠা, পার পেয়ে যাচ্ছে ওয়াজাহাত খান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষণের রাজনীতির জন্য তামাম ভারতে পরিচিত কংগ্রেসের ‘ডিএনএ-জাত’ তৃণমূল কংগ্রেস। ‘মাদার পার্টি’র মতো সংখ্যালঘু তোষণ (Muslim Appeasement Politics) তারও মজ্জাগত। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নানা সময় তাঁর ‘দুধেল গাই’দের সম্পর্কে প্রশস্তি গাইতে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গদি আঁকড়ে ধরে রাখতে তাঁর যা যা করা দরকার, তিনি তা-ই করে চলেছেন। এই যেমন, মুসলমান ভোটব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতে পুণের একটি আইনের কলেজ ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmishta Panoli) জীবনকে কার্যত ‘জীবন্ত নরকে’ পরিণত করার যাবতীয় চেষ্টা করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে তাঁর একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওকে কেন্দ্র করে আপত্তি তোলে মুসলমান সম্প্রদায়ের একাংশ। তার পরেই প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে পুলিশ পাঠিয়ে গুরগাঁও থেকে ওই হিন্দু ছাত্রীকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসে মমতার সরকার।

    শর্মিষ্ঠার শারীরিক অবস্থা (Sharmishta Panoli)

    স্থানীয় আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। শর্মিষ্ঠাকে দু’সপ্তাহের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। শর্মিষ্ঠার আইনজীবীর মতে, আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে ভালো নেই শর্মিষ্ঠার শারীরিক অবস্থা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘দুধেল গাই’দের গায়ে লাগায় শর্মিষ্ঠাকে (Sharmishta Panoli) তড়িঘড়ি গ্রেফতার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত প্রশাসন শর্মিষ্ঠাকে যেসব মুসলমান অনলাইনে ধর্ষণ, খুনের হুমকি এবং ‘সর তন সে জুদা’ (ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা করে দেব) বলে হুমকি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি! একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে নিশ্চিন্তে বসে থাকতে পারেন, তা মাথায় ঢুকছে না শর্মিষ্ঠার শুভাকাঙ্খীদেরও।

    ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করা হয়নি?

    মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি মমতা পুলিশমন্ত্রীও। তাঁর নির্দেশে পুলিশ গিয়ে গুরগাঁও থেকে ধরে আনতে পারে বছর বাইশের ওই ছাত্রীকে (Sharmishta Panoli)। শুধু তাই নয়, তাঁর গ্রেফতারিকে ন্যায্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টাও নিরন্তর করে চলেছে। অথচ, শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছিল, সেই ওয়াজাহাত খান নিজেও হিন্দু দেবদেবী (বিশেষত অসমের কামাখ্যা মন্দির) সম্পর্কে প্রায়ই অবমাননাকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে, এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়, তার পরেও দিব্যি হাত গুটিয়ে বসে থাকে মমতার পুলিশ। অথচ ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করতে হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে না, সে থাকে খাস কলকাতায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওয়াজাহাতের মতো এক উগ্র মুসলমানকে গ্রেফতার না করে তৃণমূল নেত্রী রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ গোছের বার্তা দিলেন। যেহেতু মুসলমানদের চটালে গদি খোয়াতে হতে পারে, তাই শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করা হলেও, বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায় (বর্তমানে বেপাত্তা) ওয়াজাহাতের মতো উগ্র মুসলমানরা! শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে তৃণমূলের তরফে (Sharmishta Panoli) মুসলমানদের এই বার্তাও দেওয়া হয় যে, ‘তোমরা আমাদের ভোটব্যাংক (Muslim Appeasement Politics)। তাই সনাতন ধর্ম নিয়ে কোনও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করলেও, তোমাদের কোনও ভয় নেই। কারণ, ম্যায় হুঁ না’!

    তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রের বক্তব্য 

    তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ঋজু দত্ত, যিনি আগেও স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে নারীবিদ্বেষমূলক মন্তব্য ও ভুয়ো ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে সমালোচিত হয়েছেন, তিনিও এবার শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অমানবিক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “সে (শর্মিষ্ঠা) যদি আমার মেয়ে হত, তবে আমি এতক্ষণে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতাম এবং তাকে ত্যাগ করতাম।” তিনি বলেন, “সে শিশু নয়, ২২ বছর বয়সি একজন আইন শিক্ষার্থী। সে যা বলেছে এবং করেছে, তা সম্পূর্ণ সচেতনভাবে ডানপন্থী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়ার উদ্দেশ্যে করেছে।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে ঋজু সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বিদ্বেষ ছড়ানো ও হয়রানির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন (Sharmishta Panoli)।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেন, “এই ধরনের পদক্ষেপ (শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার) কেবল সনাতনিদের বিরুদ্ধেই নেওয়া হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে অপমান করার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে। এটা তোষণের রাজনীতি।” তিনি বলেন, “তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। তিনি দেবী কালী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? তাদের (টিএমসি) সাংসদ সায়নী ঘোষ মহাদেব নিয়ে কী পোস্ট করেছিলেন? কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে এতগুলো এফআইআর দায়ের হয়েছে। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি (Sharmishta Panoli)।”

    তৃণমূলের মুসলিম তোষণ নতুন নয়

    রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের মুসলিম তোষণের ঘটনা নতুন নয়। এর শুরু হয়েছিল সে-ই ২০১১ সালে, যখন প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসে মমতার সরকার। এই পার্টিই মুসলিমদের ওবিসি শ্রেণিভুক্ত করতে শুরু করে (Muslim Appeasement Politics)। কলকাতা হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্তকে ‘সংবিধানিক প্রতারণা’ বলে আখ্যা দেয়। পশ্চিমবঙ্গের উর্দুভাষীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ বা তার কিছু বেশি। সেখানে উর্দুকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে মমতার সরকার। মুসলমানদের তুষ্ট করতেই ইমাম ভাতাও চালু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার (Sharmishta Panoli)।

  • Murshidabad violence: হিংসার নেপথ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব, দর্শক ছিল পুলিশ! হাইকোর্টের রিপোর্ট নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    Murshidabad violence: হিংসার নেপথ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব, দর্শক ছিল পুলিশ! হাইকোর্টের রিপোর্ট নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফের নামে মুর্শিদাবাদ হিংসা (Murshidabad violence) নিয়ে হাইকোর্ট গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, শুধুমাত্র বেতবোনাতেই ১১৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অসহায় মানুষ অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নিলে, আক্রান্তদেরই জোর করে আবার ফেরানো হয় হিংসা কবলিত এলাকায়। রিপোর্টে আরও বলা হয়, পুলিশ নিপীড়িত মানুষকে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে। এমনকী হিংসা হচ্ছে দেখেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মেহবুব আলম। হিন্দু নির্যাতনে দায়ী শাসক শিবিরের স্থানীয় নেতৃত্বই। হিংসার নেতৃত্বে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “নিজের দলের স্থানীয় তৃণমূল নেতারদের বাঁচাতে বহিরাগত তত্ত্বের কথা বলেছেন। নত মস্তকে ক্ষমা চাওয়া উচিত তাঁর।”

    তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল কোর্ট (Murshidabad violence)

    ওয়াকফের নামে রাজ্যে গত ৮ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad violence) ধুলিয়ান, সাজুরমোড়, জাফরাবাদ, জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জে হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, দোকান ভাঙচুর, লুটপাট, খুন-হত্যা, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে না পারায় বিএসএফ নামানো হয়েছিল। অসহায় হিন্দুরা গঙ্গা পার হয়ে মালদার বৈষ্ণবনগরে পারলালপুর হাইস্কুলের শিবিরে আশ্রয় নেয়। পরে মামলার তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্ট তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। মুর্শিদাবাদ হিংসার তদন্তে ৩ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কমিটিতে রয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার যোগিন্দর সিং। রাজ্য জুডিশিয়ার সার্ভিসেসের সচিব অর্ণব ঘোষাল ও রাজ্য জুডিশিয়াল সার্ভিসেসের রেজিস্ট্রার সৌগত চক্রবর্তী। এরপর কমিটির সদস্যরা মুর্শিদাবাদে গিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেন। রিপোর্টে মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক হিংসাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কাউন্সিলের নাম, স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং আশেপাশের মুসলমান দুষ্কৃতীদের কথা বলা হয়। এরপর থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি।

    গামছা-কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে এসেছিল!

    মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মুর্শিদাবাদের স্পর্শকাতর এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প করার পক্ষে সওয়াল তুলেছিলেন। সে সময়েই তিনি দাবি করেছিলেন, কারা আদতে হিংসা চালিয়েছে, সে তথ্য দ্রুত সামনে আসবে। এবার হাইকোর্টের রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন তিনি। এদিন সুকান্ত বলেন, “এই রিপোর্ট পরিষ্কার বলছে, মাসেরগড় (Murshidabad violence), হিজলতলা, শিউলিতলা, ডিগড়ি- সেখান থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা এসেছিল, তারাই বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। দুষ্কৃতীরা গামছা-কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে এসেছিল। যারা হামলায় অভিযুক্ত ছিল তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন মমতা।” আবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “যা নির্দেশ ছিল তা করে দেখিয়েছে মেহেবুবের মতো দুষ্কৃতীরা। এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। ঘটনার আগে পরের অবস্থা বিচার করে রিপোর্ট দেওয়া উচিত।”

  • Illegal Bangladeshi Muslims: নিঃশব্দে বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপারেশন পুশব্যাক’ চালাচ্ছে ভারত, কী ঘটছে সেখানে?

    Illegal Bangladeshi Muslims: নিঃশব্দে বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপারেশন পুশব্যাক’ চালাচ্ছে ভারত, কী ঘটছে সেখানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডেরে জেরে পড়শি দেশকে সবক শেখাতে দেশের পশ্চিমপ্রান্তে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছিল ভারত (Deportation)। সরকারি কর্তাদের অবশ্য দাবি, জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতেই চালিয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত (Illegal Bangladeshi Muslims)। তার পরেই বাংলাদেশি মৌলবাদীদের একাংশ ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরাতে থাকে।

    ‘অপারেশন পুশব্যাক’ (Illegal Bangladeshi Muslims)

    বাংলাদেশের এক মৌলবীকে আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী পাঠিয়ে কলকাতা দখল করার হুমকি দিতেও শোনা যায়। তার পরেই গোপনে ‘অপারেশন পুশব্যাক’ চালু করেছে ভারত। এর আগে নানা সময় ভারতে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের ফেরত নিয়ে ঢাকাকে অনুরোধ করেছিল ভারত। কিন্তু ঢাকা সেই বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে অস্বীকার করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা যে বাংলাদেশি তাও অস্বীকার করতে শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। এর পরেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব বাংলাদেশি মুসলমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, তাদের ধরে ধরে পুশব্যাক করানো হচ্ছে বাংলাদেশে।

    মুখে কুলুপ কেন্দ্রের

    জানা গিয়েছে, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছিল, এমন বহু বাংলাদেশি মুসলমানকে ৬ মে থেকে গোপনে সড়ক ও বিমানপথে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরার আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার ভারত একতরফাভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো শুরু করেছে। যদিও এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, সরকারের তরফে অস্বীকারও করা হয়েছে ‘অপারেশন পুশব্যাক’কেও।

    পুশব্যাক করতে সময় লাগত বছরের পর বছর

    এতদিন ভারত ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশে যৌথ সীমান্ত নির্দেশিকা, ২০১১ সালের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এবং বিএসএফ এবং বিজিবির কর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হত। এই প্রক্রিয়ায় পুশব্যাক করতে সময় লাগত বছরের পর বছর। এই দীর্ঘসূত্রিতার বোঝার দায় বইতে হত ভারতকে। অনেক ক্ষেত্রে আবার বাংলাদেশিরা তাদের দেশের নাগরিকদের ফেরত নিতেও অস্বীকার করত। তার ফলে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভিড় বাড়তে থাকে অবৈধ মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের। তারা এদেশে যে কেবল রোজগারের ধান্ধায় আসত, তা নয়, নানা অসামাজিক কাজকর্মেও জড়িয়ে পড়ত। কেউ কেউ তো আবার জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেল হিসেবেও কাজ করত! যেহেতু বাংলাদেশ তাদের নাগরিকদের ফেরাতে অস্বীকার করত, তাই ভারত এবার ঢাকঢোল না পিটিয়েই শুরু করে ‘অপারেশন পুশব্যাক’। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তা সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ বারবার এই অনুপ্রবেশকারীদের তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং ফেরত নিতে চায়নি।” তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত হতাশাজনক (Deportation)।”

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্যকে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী পাকিস্তানি ও বাংলাদেশিদের শনাক্ত করতে ও তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় (Illegal Bangladeshi Muslims)। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশ পেয়ে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে বিভিন্ন রাজ্য সরকার। অসম, গুজরাট, দিল্লি, হরিয়ানা, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে গ্রেফতার করা হয় বহু বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীকে। তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে অভ্যস্ত কয়েকটি রাজ্যে আবার অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের ধরতে গা ছাড়া ভাবও দেখা গিয়েছে।

    দুর্গম ও অনাবাদী এলাকা দিয়ে পুশব্যাক

    ধৃত এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারত ‘অপারেশন পুশব্যাক’ চালু করে। এর পরেই বিএসএফের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় সীমান্তের এমন কিছু অংশ চিহ্নিত করতে, যেখান দিয়ে এই পুশব্যাক নির্বিঘ্নে চালানো যাবে। নির্দেশ পেয়েই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়ে বিএসএফ। তারা বেছে নেয় ভারতের সীমান্তবর্তী কিছু দুর্গম ও অনাবাদী এলাকা যেখানে বিজিবি নিয়মিত টহল দেয় না। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই তালিকা ছোট করে কিছু নির্বাচিত অংশে এই পুশব্যাক অভিযান অনুমোদন করে। এর মধ্যে রয়েছে অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু সীমান্ত অঞ্চল, যার মধ্যে সুন্দরবনও রয়েছে।

    বাংলাদেশি মুসলমানকে ফেরত

    জানা গিয়েছে, গত ৬ মে ত্রিপুরা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৬৬ জন বাংলাদেশি মুসলমানকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলায় ফেরত পাঠানো হয়েছে (Illegal Bangladeshi Muslims)। বাংলাদেশি সূত্র অনুযায়ী, ১৫ জনকে মাতিরাঙ্গার তাইডং সীমান্ত দিয়ে, ২৭ জনকে গোমতীর শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে এবং ২৪ জনকে পানছড়ির রূপসেনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই সব এলাকাই খাগড়াছড়ি জেলার। সেদিন যাদের ফেরত পাঠানো হয়, তাদের অনেকেই গুজরাটে গ্রেফতার হয়েছিল। তাদের বিমানপথে ত্রিপুরায় এনে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে ফেরত পাঠানো হয় বাংলাদেশে। ওই ৬৬ জনকে বিজিবি হেফাজতে নেয় এবং তাদের পরিচয় যাচাই করে নিশ্চিত হয় যে তারা বাংলাদেশি নাগরিক (Deportation)।

    বিজিবি তাদের পরিচয় যাচাই করে

    এর ঠিক পরের দিনই বিজিবি ফের শনাক্ত করে ১৫ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে। তাদের পাঠানো হয় সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে। বিজিবি তাদের পরিচয় যাচাই করে জানতে পারে যে তারা বাংলাদেশের নড়াইল ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। ১৫ জনের এই দলটি গত কয়েক বছর ধরে অসমে অবৈধভাবে বসবাস করছিল। ভারতীয় নাগরিকত্বের নথিও সংগ্রহ করে ফেলেছিল। দু’সপ্তাহ আগে অসম পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে এবং তাদের বাড়িঘর ভেঙে দেয়। বিজিবি যে এই ১৫ জনকে হেফাজতে নিয়েছিল, তারা প্রায় ৩০০ জনের দলের একটা অংশ। এরপর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন অংশ দিয়ে বিপুল সংখ্যক অনুপ্রবেশকারী মুসলমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

    নাটকীয় ঘটনা

    ‘অপারেশন পুশব্যাকে’র নাটকীয় ঘটনাটি ঘটে ৯ মে ভোরে। সেদিন ৭৮ জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে নৌকায় করে নিয়ে গিয়ে রেখে আসা হয় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের একটি দুর্গম দ্বীপ মন্দরবারিয়ায়। পরে বাংলাদেশের কোস্ট গার্ড তাদের হেফাজতে নেয় এবং পুলিশকে হস্তান্তর করে। যাচাই করে দেখা যায়, তারা সত্যিই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল (Illegal Bangladeshi Muslims)। মন্দরবারিয়া দ্বীপে নিয়ে যাওয়া অনুপ্রবেশকারীদের কাউকে কাউকে গুজরাট ও দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারা জাল ভারতীয় নথিপত্র সংগ্রহ করেছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভারতীয় মহিলাদের বিয়ে করেছিল, তাদের সন্তানও রয়েছে (Deportation)।

    মোদির বার্তা

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্রের খবর, এই পুশব্যাক চালিয়ে যাওয়া হবে। কোনও দেশই বিপুল সংখ্যক বিদেশি, যারা অবৈধভাবে প্রবেশ করে বসবাস করছে, তাদের উপস্থিতি মেনে নিতে পারে না। যদি তাদের স্বদেশ তাদের নিজের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে অস্বীকার করে এবং তাদের ফেরত নিতে না চায়, তাহলে অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। এ প্রসঙ্গে ওই সূত্র এপ্রিলের শুরুতে ব্যাঙ্ককে বিমস্টেকে শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের কথোপকথনের টানেন। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউনূসকে স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লঙ্ঘনযোগ্য নয়। ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে সংঘটিত অপরাধ ও অনুপ্রবেশ সহ্য করবে না এবং এসব মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ করবে। অপারেশন পুশব্যাক অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও সীমান্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতির প্রকাশ।”

    ঢাকাকে স্পষ্ট বার্তা দিল্লির

    বাংলাদেশের সন্দেহ ভারত গত এক (Deportation) সপ্তাহে কয়েক হাজার মানুষকে চুপিসারে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে এবং তারা সকলেই নিজেদের পুরনো গ্রামে ফিরে গিয়েছে (Illegal Bangladeshi Muslims)। ভারতের অপারেশন পুশব্যাক নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও, রাগে গরগর করছে বিজিবি। বাহিনীর ডিজি মেজর জেনারেল মহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকির দাবি, ভারত যা করছে, তা অমানবিক। সীমান্তে নজরদারি বাড়ালেও, বিজিবি প্রধান স্বীকার করে নিয়েছেন, একে আটকানো সম্ভব নয়। একইসঙ্গে তিনি এও জানান যে, ভারত যেহেতু রাষ্ট্রসংঘের ১৯৫১ বা ১৯৬৭ সালের রেফিউজি কনভেনশনের স্বাক্ষর করেনি, তাই তা ভারতের ওপর কার্যকর হবে না। ফলে, বাংলাদেশ যদি রাষ্ট্রসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও, তাতে লাভের লাভ কিছু হবে না। ঢাকার দাবি, তারা ভারতের বিদেশমন্ত্রককে চিঠি দিয়ে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছে। যদিও, ভারত কোনও প্রকার চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। কেন্দ্রীয় সূত্রের মতে, ঢাকাকে স্পষ্ট করে দিল্লি জানিয়ে দিয়েছে যে, অপারেশন পুশব্যাক চলবে।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুন, মুখে কুলুপ ইউনূসের, তুলোধনা ভারতের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুন, মুখে কুলুপ ইউনূসের, তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Hindu Leader Killed)! ইসলামি মৌলবাদীদের অত্যাচার ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসা নিয়ে ভারতকে ‘জ্ঞান’ও দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব। সঙ্গে সঙ্গেই ভারত তার যোগ্য জবাব দিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে যে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নন, তা ফের প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের উত্তর দিনাজপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক বিশিষ্ট নেতাকে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুষ্কৃতীরা।

    অপহরণ করে খুন (Bangladesh Crisis)

    মৃতের নাম ভবেশচন্দ্র রায়। বছর আঠান্নর ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দিনাজপুরের বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। পুলিশ ও মৃতের পরিবারকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ডেইলি স্টার’ জানিয়েছে, ১৭ এপ্রিল বিকেলে ভবেশকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর স্ত্রী সান্ত্বনা জানান, ১৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ একটি ফোন আসে। দুষ্কৃতীরা নিশ্চিত হয় তিনি বাড়িতে আছেন কিনা। ফোন আসার আধঘণ্টা পরে দুটি বাইকে করে চারজন লোক এসে ভবেশকে তাঁর বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ভবেশকে নিয়ে যাওয়া হয় নরবাড়ি গ্রামে। সেখানে উন্মত্ত মৌলবাদী জনতা তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে। পরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ভ্যানে করে নিয়ে এসে বাড়ির উঠোনে ফেলে যায়। পরিবারের লোকজন ভবেশকে নিয়ে যান দিনাজপুর হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা

    ভবেশ বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পুজো উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতাও। বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আবদুস সবুর সংবাদ (Hindu Leader Killed) মাধ্যমে বলেন, “শীঘ্রই এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।” ওই থানারই এক পুলিশ আধিকারিক জানান, অভিযুক্তদের শনাক্ত করা ও গ্রেফতার করার প্রস্তুতি চলছে।

    চরমে হিন্দু নির্যাতন

    গত বছরের ৫ অগাস্ট পতন ঘটে আওয়ামি লিগের সরকারের। প্রবল আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। বস্তুত, তার পর থেকেই ভারতের পড়শি এই দেশটিতে সংখ্যালঘু নির্যাতন চরমে ওঠে। বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় মন্দির, বিগ্রহ। লুট করা হয় হিন্দুদের দোকানদানি (Bangladesh Crisis), নৃশংসভাবে করা হয় খুন। গত মাসেই ঢাকার একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বাংলাদেশজুড়ে হিন্দুদের বাড়ি, দোকানপাট ও মন্দির ভাঙচুরের ১৪৭টি ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩৬টি বাড়িতে।

    তীব্র নিন্দা ভারতের

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার নিয়ে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ২ হাজার ৪০০টিরও বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে (Hindu Leader Killed)। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৭২টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে (Bangladesh Crisis)। হিন্দু নেতাকে অপহরণ ও হত্যার প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর পদ্ধতিগত নির্যাতনের একটি নমুনা অনুসরণ করে। এই ধরনের আগের ঘটনাগুলির অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি এবং আবারও সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, তারা যেন অজুহাত না দেখিয়ে বা ভেদাভেদ না করে হিন্দু সহ সকল সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করে।’’

    মুর্শিদাবাদে তাণ্ডব   

    প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কার্যত তাণ্ডব চালায় মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। অন্তত এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। তাণ্ডবের জেরে মৃত্যু হয় তিনজনের। জখম হন শতাধিক মানুষ। রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে হিন্দুরা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন পড়শি জেলা মালদায়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, “মুর্শিদাবাদে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেটার সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার যে কোনও প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা মুসলমানদের ওপরে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। যে ঘটনার জেরে প্রাণহানি ও সম্পত্তিহানি হচ্ছে। আমরা ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলমানদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আর্জি জানাচ্ছি (Bangladesh Crisis)।”

    বাংলাদেশকে মুখের মতো জবাব ভারতের

    ভারত ইতিমধ্যেই শফিকুলের এহেন বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্যকে (Hindu Leader Killed) প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বাংলাদেশকে মুখের মতো জবাব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংসতা সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার একটি প্রচ্ছন্ন ও ভুল প্রচেষ্টা। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীরা বাংলাদেশে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশের উচিত অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য ও নৈতিকতা প্রদর্শনের (Hindu Leader Killed) পরিবর্তে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগী হওয়া (Bangladesh Crisis)। ভারতের আশঙ্কা যে ঠিক, তার প্রমাণ মিলল একদিন পরই। ওপার বাংলা থেকে এল হিন্দু-নিধনের খবর।

  • Waqf Amendment Act: ওয়াকফ আইনকে পূর্ণ সমর্থন, মুসলিম প্রতিনিধি দল ধন্যবাদ জানালেন মোদিকে

    Waqf Amendment Act: ওয়াকফ আইনকে পূর্ণ সমর্থন, মুসলিম প্রতিনিধি দল ধন্যবাদ জানালেন মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধনী ওয়াকফ আইনের (Waqf Amendment Act) প্রতিবাদে জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, ভাঙড়। বেছে বেছে টার্গেট করা হয়েছে হিন্দুদের বাড়িঘর-দোকানদানি। ভাঙচুর করার পাশাপাশি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন। এই আইন নিয়ে ১০০টিরও বেশি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এহেন আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুসলমানদের একটা বড় অংশ। সংশোধনী ওয়াকফ আইনের জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করলেন। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন লোককল্যাণ মার্গে যান। সেখানেই তাঁরা সংশোধিত ওয়াকফ আইনের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান।

    প্রধানমন্ত্রীর অকুণ্ঠ প্রশংসা (Waqf Amendment Act)

    এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই ওয়াকফ সংশোধনী। তাঁরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাসের দর্শনেও পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁদের। পরে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে দারুণ বৈঠক হল। কথোপকথনের সময় আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছি।” বৈঠকের সময় প্রতিনিধি দলের এক সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁরা ১৯২৩ সাল থেকে ওয়াকফ বিধি থেকে ছাড়ের দাবি জানিয়ে আসছেন। নয়া আইনের মাধ্যমে ‘সংখ্যালঘুদের মধ্যে সংখ্যালঘু’ যাঁরা, তাঁদের যত্ন নিতে উদ্যোগী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন প্রতিনিধি দলের ওই সদস্য।

    কেনা সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে দাবি!

    প্রতিনিধি দলের আর এক সদস্য জানান, ২০১৫ সালে তাঁদের সম্প্রদায় মুম্বইয়ের ভিন্ডি বাজারে একটি প্রকল্পের জন্য একটি দামি সম্পত্তি কিনেছিল। ২০১৯ সালে নাসিকের এক ব্যক্তি সেটিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করেছিল। এই আবহে সংশোধিত ওয়াকফ আইনে তাঁরা খুব খুশি বলেই জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা (Waqf Amendment Act)। দাউদি বোহরা মুসলমান সম্প্রদায়েরই অংশ। ভারতের পশ্চিম অংশেই মূলত এঁদের বাস। গোটা বিশ্বের ৪০টি দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন এই সম্প্রদায়ের মুসলমান। এঁরা মেনে চলেন আল-দাই-আল-মুতলাক নামে এক ধর্মগুরুর আদর্শ। ওয়াকফ সংক্রান্ত আইনে বদল আনার কথা বারবার বলেছিলেন তাঁরা। শেষমেশ মোদি সরকার তা কার্যকর করায় খুশি তাঁরা। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে এসেছিলেন (PM Modi) তাঁরা।

    ওয়াকফ পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনাই লক্ষ্য

    ওয়াকফের অধীনে ভারতে মোট সম্পত্তি রয়েছে ৮.৭ লাখ। এর নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে ওয়াকফ বোর্ড। এই পরিমাণ সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ১.২ লাখ কোটি টাকা। দেশে সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। মোট ওয়াকফ সম্পত্তির ২৭ শতাংশই রয়েছে এই রাজ্যে। এই তালিকায় উত্তরপ্রদেশের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এ রাজ্যে ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে ৮০ হাজার ৫৪৮টি। বাংলায় ওয়াকফ সম্পত্তির ওপরে রয়েছে ১৫৮টি স্কুল, ৪টি মডেল ইংলিশ মিডিয়াম মাদ্রাসা, ১৯টি মুসলিম হস্টেল, ৯টি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বীরভূমে ওয়াকফের জমির ওপরে রয়েছে একটি শপিং কমপ্লেক্সও। তবে এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতে ওয়াকফে বার্ষিক আয় মাত্রই ১৬৩ কোটি টাকা (Waqf Amendment Act)। অভিযোগ, ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনায় গাফিলতি রয়েছে। ওয়াকফ পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনতেই সংশোধিত ওয়াকফ আইন আনা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের (PM Modi)।

    সৈয়দনা সাহেবের ভূয়সী প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিনের বৈঠকে সংশোধিত ওয়াকফ আইন গঠনে দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। খসড়া প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য দাউদি বোহরা আধ্যাত্মিক নেতা সৈয়দনা মুফাদ্দাল সাইফুদ্দিনেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “হয়ত আপনাদের মধ্যে খুব কম লোকই জানেন যে, যখন আমার মাথায় সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে কাজ করার ধারণা আসে, তখন আমি সর্বপ্রথম যাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেছিলাম, তিনি হলেন সৈয়দনা সাহেব।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সৈয়দনা সাহেব তাঁর পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন এমনকি আইনের আইনি পর্যালোচনা ও খসড়া তৈরিতে সাহায্য করার জন্য বোহরা সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও পাঠিয়েছেন। তিনি পরে আপনাকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। এরপর আমি তিন বছর ধরে তাঁকে বিরক্ত করেছিলাম, তাঁকে তাঁর নিজস্ব উপায়ে এটি দেখতে, আমাকে আইনি পরামর্শ দিতে, আমাকে একটি খসড়া দিতে বলেছিলাম। পরামর্শের সময় তিনি আমাকে কতটা সাহায্য করেছিলেন, তা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। তিনি আপনার সম্প্রদায় থেকে জ্ঞানী ব্যক্তিদের নিয়ে এসেছিলেন, এমনকি কমা এবং দাঁড়ি (PM Modi) পর্যন্ত – প্রতিটি পদক্ষেপে আমি ওঁর সাহায্য পেয়েছি (Waqf Amendment Act)।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ১,৭০০ এরও বেশি অভিযোগ এসেছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল ন্যায়বিচার চাওয়া নারী ও কন্যার। তখনই আমি এই আইনের বাস্তবতাটা বুঝতে পেরেছিলাম (Waqf Amendment Act)।”

  • Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন ছুতো মাত্র। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Incident) হিন্দুদের বাড়িতে যে হামলা হবে, তা পূর্বপরিকল্পিত (Hindu) বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, হিংসার আবহে যাতে হিন্দু-মুসলমানের বাড়ি গুলিয়ে না যায়, তাই বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে কালো কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই তথ্য ফাঁস করেছে এনএমএফ নিউজ নামে এক সংবাদমাধ্যম।

    হিন্দুদের বাড়িতে কালির দাগ (Murshidabad Incident)

    গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে সংস্থার সাংবাদিককে বলতে শোনা যায়, ওরা (মুসলমানরা) এই চিহ্নগুলো দিয়ে রেখেছে, যাতে দাঙ্গাবাজরা জানতে পারে কোন বাড়িতে বোমা নিয়ে হামলা করতে হবে, কোন বাড়িতেই বা লাগিয়ে দিতে হবে আগুন। তিনি বলেন, ‘‘দাঙ্গা শুরুর আগে হিন্দুদের বাড়িগুলি এভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই এলাকার প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে কালো কালি দিয়ে চিহ্ন দেওয়া হয়েছিল। দাঙ্গার সময় শুধুমাত্র সেই সব বাড়িকেই আক্রমণ করা হয়েছিল। বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে কথা বলে ওই সাংবাদিক জানতে পারেন, উন্মত্ত মুসলমান জনতা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ঢুকে আগে থেকে চিহ্ন দিয়ে রাখা বাড়িগুলিতে হামলা চালায়।

    তাণ্ডব, ভাঙচুর, লুটপাট

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার জুম্মার নমাজ আদায় শেষে শুরু হয় মুসলমানদের তাণ্ডব। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অংশে বেছে বেছে নিশানা করা হয় হিন্দুদের বসত ভিটে, দোকানদানি। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি চালানো হয় অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটও। প্রথমে অত্যাচার শুরু হয় সূতি ও সামশেরগঞ্জে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে জেলার বিস্তীর্ণ অংশে। জানা গিয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ছদ্মবেশে উন্মত্ত মুসলমান জনতা এক হিন্দু দম্পতির মিষ্টির দোকান ধ্বংস করে তাদের সমস্ত জিনিসপত্র লুট করে নেয়। দোকানের মালিক কাঁদতে কাঁদতে শুধু বললেন, “এখানে আমার একটি মিষ্টির দোকান ছিল।” আর কথা বলতে পারলেন না ওই নির্যাতিত। কেবল ইঙ্গিত করলেন ধ্বংসপ্রাপ্ত তাঁর সাধের ‘শুভ স্মৃতি হোটেল’-এর দিকে। দোকান মালিকের স্ত্রী বলেন, “ওরা দোকানের ভিতরে রাখা নগদ টাকা-সহ আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে (Hindu)। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এখন আমরা কী খাব?” মুসলিমরা ‘শ্রী হরি হিন্দু হোটেল অ্যান্ড লজ’ নামের আরও একটি প্রতিষ্ঠানও ভাঙচুর করেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই ক্ষয়ক্ষতির ছবি শেয়ার করেছে (Murshidabad Incident)।

    ভাঙা হয়েছে মূর্তি

    মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু মন্দিরেও হামলা হয়েছে। হয়েছে মূর্তি ভাঙাও। সংবাদ মাধ্যমের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে স্থানীয় সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের খলিলুর রহমান প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, জঙ্গিপুরে একটি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত জেলায় হিন্দু পরিবারগুলির একাধিক বাড়িকে টার্গেট করা হয় এবং দোকানে হামলা চালানো হয়। বিক্ষোভকারীরা হিংসার মধ্যে পড়ে যাওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্সকেও রেহাই দেয়নি। তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। অ্যাম্বুলেন্সটিতে আগুন লাগানোর আগে চালককে নিষ্ঠুরভাবে মারধর করা হয়। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মুসলিমরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং চালককে আক্রমণ করে।”

    আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম!

    ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘আমরা ভয়ে ঘরের ভিতরে বসেছিলাম। আমি আমার বাবা-মা, স্ত্রী ও শিশুদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলাম।’’ তিনি বলেন, “আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম, বাইরের কেউ নয়।” সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশিত একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক আক্রমণকারী একটি হিন্দু (Hindu) পরিবারের গাড়ি ভাঙচুর করছে। মুসলমানদের এই হিংসার শিকার হয়েছিলেন আরও এক হিন্দু। তিনি বলেন, “ওরা আমার বাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র লুট করে নিয়েছে এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই রাতে আমি ঘুমোতে পারিনি। ভয়ে সবাই জেগে ছিলাম। হিংসা চলাকালীন এখানে কোনও পুলিশ আসেনি। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মীকেও দৌড়তে দেখেছি (Murshidabad Incident)।”

    ‘‘মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে কী করতাম?’’

    হিন্দু ব্যবসায়ী অমর ভগতের স্ত্রী মঞ্জু ভগত সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘ওরা (মুসলিম জনতা) সামনের গেট দিয়ে আমাদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। ব্যর্থ হয়ে পিছনের গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। ওরা আমাদের বাইক ভেভেছে, বাড়ি ভাঙচুর করেছে, চেয়ার, গদি, টিভি থেকে শুরু করে দামি দামি গৃহস্থালির জিনিসপত্র সব লুটে নিয়ে গিয়েছে (Hindu)।’’ তিনি আরও বলেন, “আমরা ছাদে লুকিয়ে ছিলাম। মনে মনে শুধুই ভগবানকে ডেকে গিয়েছি। লোকগুলো যাতে দ্রুত আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, তাই। ওই সময় আমার মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে আমি কী করতাম?” শুক্রবার শুরু হওয়া হিংসার এই ঘটনা ঘটতে থাকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত। ওই রাতেই ভিটে ছেড়ে মালদায় গিয়ে আশ্রয় নেন হাজার হাজার হিন্দু (Murshidabad Incident)।

  • Waqf Amendment Act 2025: ‘হিংসার ঘটনা উদ্বেগজনক’, ওয়াকফ আইন শুনানি প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    Waqf Amendment Act 2025: ‘হিংসার ঘটনা উদ্বেগজনক’, ওয়াকফ আইন শুনানি প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Act 2025) নিয়ে অশান্তির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। বুধবার তাঁর বেঞ্চেই হয়েছে এই আইন সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সেই সময়ই ওয়াকফ আইন সংশোধনকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদী বিক্ষোভে অশান্তির প্রসঙ্গ ওঠে। দেশের নানা প্রান্তেই এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে, একাধিক রাজ্যে অশান্তিও হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি হয়েছে মুর্শিদাবাদে। এদিন শুনানি চলাকালীন সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবীরা। তখনই উদ্বেগ প্রকাশ করেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। এই ধরনের ঘটনাগুলিকে তিনি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন।

    প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ (Waqf Amendment Act 2025)

    ওয়াকফ আইকে ঘিরে অশান্তির প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এই ধরনের হিংসা বা অশান্তির ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। এমন ঘটনা উদ্বেগজনক।” পরবর্তী শুনানিতে অশান্তির প্রসঙ্গ শুনবেন বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবারই। সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কয়েকটি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সব মামলাকে এক সঙ্গে জুড়ে শুরু হয় শুনানি। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন। এদিন এ সংক্রান্ত শুনানির পর নয়া আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি সুপ্রিম কোর্ট।

    আদালতের অন্তর্বর্তী প্রস্তাব

    তবে এদিন, (Waqf Amendment Act 2025) আদালত তিনটি অন্তর্বর্তী প্রস্তাব রাখে। এগুলি হল, আদালতে যদি কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ বলে চিহ্নিত হয়ে থাকে, সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে শুনানি চলাকালীন কোনও মতেই সেটিতে রদবদল ঘটানো যাবে না। কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ না কি সরকারি সম্পত্তি, জেলাশাসকের নির্দেশে তদন্ত চলাকালীন সেই সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে গণ্য করা হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আইনে। কিন্তু এখনই সেই নির্দেশ কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে আদালত। ওয়াকফ বোর্ড ও কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কমিটির সব সদস্যকে মুসলিম হতে হবে। একমাত্র ব্যতিক্রম সরকারি আধিকারিক কিংবা কোনও পক্ষের প্রতিনিধি হওয়ার দরুণ যাঁরা আপনাআপনিই (Supreme Court) বোর্ডের সদস্যপদ পান, তাঁদের ক্ষেত্রে ধর্ম পরিচয় বাধ্যতামূলক নয় (Waqf Amendment Act 2025)।

LinkedIn
Share