Tag: Nabanna

Nabanna

  • Nabanna Aabhiyan: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার, অবস্থান বিক্ষোভ শুভেন্দুর, সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    Nabanna Aabhiyan: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার, অবস্থান বিক্ষোভ শুভেন্দুর, সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Aabhiyan) ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কলকাতার পার্কস্ট্রিটে। পুলিশের মারে জখম শতাধিক আন্দোলনকারী। শাঁখা ভাঙল আরজিকরকাণ্ডে নিহত তরুণী চিকিৎসকের মায়ের। নবান্ন অভিযানে বাধা পেয়ে পার্কস্ট্রিটেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশের বিরুদ্ধে। বলেন, “অনুব্রত ঠিকই বলেছিল।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যখন জনগণের ন্যায়বিচারের দাবি দমন করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে (Nabanna Aabhiyan), তখন বোঝা যায় অনুব্রত মণ্ডলের কথার মধ্যে কিছু সত্যি ছিল।”

    আরজিকর কাণ্ডের বর্ষপূর্তি (Nabanna Aabhiyan)

    আরজিকর কাণ্ডের বর্ষপূর্তি ৯ অগাস্ট। এখনও বিচার পাননি নির্যাতিতার পরিবার। এরই প্রতিবাদে এদিন ডাক দেওয়া হয়েছিল নবান্ন অভিযানের। এই অভিযানে ছিলেন নির্যাতিতা প্রয়াত চিকিৎসকের মা-বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। ছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও। এদিনের অভিযানে দলীয় ঝান্ডা ছাড়াই যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়েন্ট কিলার (বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোয় রাজ্যে এই নামেই পরিচিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা) শুভেন্দু অধিকারীও।

    ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে যাত্রার চেষ্টা

    নবান্ন চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা (আগে এটাই ছিল ১৪৪ ধারা)। তাই সেখানে কোনও আন্দোলন করা যাবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। আন্দোলনকারীরা যাতে নবান্নের কাছ অবধি পৌঁছতে না পারে, তাই ত্রিস্ত্ররীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছিল পুলিশ। তবে পুলিশের কথায় কান না দিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে যাত্রার চেষ্টা করেছে একের পর এক মিছিল। হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি, পার্কস্ট্রিট, ডোরিনা ক্রসিং সর্বত্রই পুলিশ আটকে দিয়েছে মিছিলের গতি। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙেও কোথাও কোথাও এগিয়েছে মিছিল। সাঁতরাগাছিতে লোহার ব্যারিকেডগুলি বাঁধা ছিল শেকল দিয়ে। সেই ব্যারিকেডের ওপরই উঠে পড়েন আন্দোলনকারীদের অনেকে। পুলিশের তরফে বিভিন্ন জায়গায় ‘শান্তি বজায় রাখুন’, ‘ডোন্ট ক্রস লাইন’ লেখা ব্যানার থাকলেও, সে-সবের তোয়াক্কা না করেই চলতে থাকে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা।

    লাঠিচার্জ পুলিশের

    এদিন নবান্ন অভিযানের শুরুতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে বাধা দেয় পুলিশ। বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ বিধানসভা থেকে তিনি সরাসরি চলে যান ডোরিনা ক্রসিংয়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, সাংসদ অর্জুন সিং-সহ অন্য (Nabanna Aabhiyan) নেতারা। মিছিল রানি রাসমণি অ্যাভেনিউতে পৌঁছতেই শুভেন্দুর পথ আটকায় পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। খানিকক্ষণ বচসার পরে মিছিলের রুট বদল করে জওহরলাল নেহরু রোড ধরে নবান্ন অভিমুখে যাত্রা করে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল। মিছিল যখন পার্কস্ট্রিটে পৌঁছয়, তখনই এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হন শতাধিক বিক্ষোভকারী। এঁদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। পুলিশের লাঠির আঘাতেই ভেঙে যায় নিহত তরুণী চিকিৎসকের মায়ের হাতের শাঁখা। এরই প্রতিবাদে পার্কস্ট্রিটেই অবস্থানে বসে পড়েন শুভেন্দু, অগ্নিমিত্রা এবং বিক্ষোভকারীদের একটা বড় অংশ।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তাঁর সঙ্গীদের মারধর করা হয়েছে। জখম হয়েছেন বিধায়করা। নির্যাতিতার মা-বাবাকেও মারা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পার্কস্ট্রিট মোড়ে এক পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা। ভেঙে গিয়েছে তাঁর হাতের শাঁখাও। বস্তুত, এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন (Suvendu Adhikari) নির্যাতিতার মা ও বাবা। তাঁরা ছিলেন পার্কস্ট্রিটের মিছিলে। সেখানে বাধা পেয়ে জনা তিরিশেক সমর্থক নিয়ে তাঁরা রেসকোর্সের পাশ দিয়ে এগোতে থাকেন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে। সেখানে ফের আটকানো হয় তাঁদের। মাথায় চোট লাগায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।

    সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    এদিকে (Nabanna Aabhiyan), ডোরিনা ক্রসিংয়ে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। হাওড়ার সাঁতরাগাছিতেও ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। বিক্ষোভকারীদের গতিরোধ করতে ব্যারিকেডের ওপারে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরিই ছিল পুলিশ। ‘দফা এক, দাবি এক – মমতার পদত্যাগ’ এই স্লোগান দিতে দিতে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। যদিও হাজার চেষ্টা করেও সেই ব্যারিকেড ভাঙতে পারেননি তাঁরা। জানা গিয়েছে, এদিনের নবান্ন অভিযান রুখতে সাঁতরাগাছি-সহ যেসব জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল, সেগুলি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট, লোহার বিম এবং মোটা লোহার রড। তাই আটকানো গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, এর আগে একবার বিজেপির ডাকা নবান্ন অভিযানের সময় গলিপথ ধরে নবান্নের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই এবার আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। সেই ঘেরাটোপ ভাঙতে না পেরে সাঁতরাগাছিতে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা।

    কী বললেন শুভেন্দু

    পার্কস্ট্রিটে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল আটকাতেই পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, “অনুব্রত ঠিকই বলেছিল।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যখন জনগণের ন্যায়বিচারের দাবি দমন করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে (Nabanna Aabhiyan), তখন বোঝা যায় অনুব্রত মণ্ডলের কথার মধ্যে কিছু সত্যি ছিল।” তিনি বলেন, “নির্যাতিতার মা-বাবাকেও রেহাই দেয়নি পুলিশ।” তাঁর দাবি, আজ ৫০ হাজার লোক হয়েছে। পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে, ১০০ জনেরও বেশি জখম হয়েছেন। তিনি বলেন, “আজকের লড়াই বাংলা বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই। তাই নির্যাতিতার বাবা-মা যতক্ষণ চাইবেন, এই অবস্থান চলবে।” শুভেন্দু বলেন, “একটাও বিজেপির ঝান্ডা নেই। অথচ ১৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে রেলের হাসপাতালে (Suvendu Adhikari)।” বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচি বলেন, “কাকিমার (নির্যাতিতার মায়ের) শাঁখা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। আগে মেয়েকে মেরেছে। এবার শাঁখা ভেঙে দিয়েছে। এটাই পুলিশের চরিত্র (Nabanna Aabhiyan)।”

  • Suvendu Adhikari: প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাম! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাম! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে নাম তোলা হচ্ছে—এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, গত এক সপ্তাহে সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭০ হাজারেরও বেশি নতুন ভোটার ফর্ম জমা পড়েছে, যেখানে সাধারণত এই সংখ্যাটি ২০ থেকে ২৫ হাজারের মধ্যে থাকে। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্য প্রশাসনের সহযোগিতায় বেআইনিভাবে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ডোমিসাইল সার্টিফিকেট প্রদান করে তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন, ২৫ জুলাইয়ের পর জারি হওয়া কোনও ডোমিসাইল সার্টিফিকেট যেন SIR এর সময় বৈধ হিসেবে গৃহীত না হয়।

    অগাস্টেই শুরু SIR

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে SIR প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। অর্থাৎ অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে চালু হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, তারা প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহেই বাংলায় ৭০ হাজারেরও বেশি নাগরিক অনলাইনে ভোটার কার্ড সংশোধন করার আবেদন করেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে, এই আবেদনগুলির অধিকাংশই এসেছে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে—যা ইতিমধ্যে কমিশনের নজরে এসেছে।

    নবান্নের নির্দেশে দেওয়া হচ্ছে ডোমিসাইল, তোপ শুভেন্দুর

    সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (নবান্ন) থেকে জেলাশাসক ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে উদারভাবে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এই নির্দেশনামূলক জেলার তালিকায় রয়েছে—নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কোচবিহার।

    অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে আবেদন

    শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, গত সপ্তাহে রাজ্যে ভোটার তালিকায় নতুন নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে সাধারণত প্রতি মাসে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের অপব্যবহার করে অবৈধ বাসিন্দাদের বৈধ ভোটারে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশ করে তৃণমূল। যুব কংগ্রেসের ব্যানারে রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান করতে গিয়ে (Suvendu Adhikari) বাম আমলে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল কয়েকজন যুব কংগ্রেস কর্মীর। তাঁদেরই ‘শহিদ’ (যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দেন, তাঁদের শহিদ বলে। এটা তো ছিল পার্টির প্রোগ্রাম!) আখ্যা দিয়ে ফি বছর ঘটা করে ২১ জুলাই পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল গঠন করলেও, নিয়ম করে শহিদ দিবস পালন করে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক (Suvendu Adhikari)

    এবারও পালিত হবে ২১ জুলাই। তৃণমূল যেদিন ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে, সেদিনই উত্তরকন্যা অভিযানের (Uttarkanya Abhiyan) ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার যুব মোর্চার এক কর্মসূচিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানালেন, ২১ জুলাই উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সদর দফতর উত্তরকন্যার উদ্দেশে অভিযান করবে বিজেপি যুব মোর্চা। পাশাপাশি ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাকও দিলেন তিনি।

    হবে নবান্ন অভিযানও

    গত বছর ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল সেই ডাক্তারি পড়ুয়ার, যিনি ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই দিনটির স্মরণেই এবার হবে নবান্ন অভিযান।  শুভেন্দু বলেন, “অভয়ার চোখ দিয়ে সেদিন জল নয়, রক্ত বেরিয়েছে। হাঁসখালি থেকে বগটুই – এই সরকার ও তার বাহিনী ধর্ষকদের রক্ষাকারী। তাই এদের ক্ষমতা থেকে সরাতেই হবে।” এদিন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই ভাষণ দিচ্ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বৃষ্টি তো দূরের কথা, এই সরকারকে সরাতে গুলি খেতেও রাজি আছি। আমাদের লড়াই চলবে। ২১ জুলাই ওরা কলকাতায় ডিম-ভাত খাবে, আর আমরা উত্তরকন্যায় যাব। কর্মীদের বলছি, নিজের খরচে যাবেন, ভালো করে লড়তে হবে (Uttarkanya Abhiyan)।”

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) জানান, নবান্ন অভিযানের আগে তাঁরা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে যাবেন অনুমতি নিতে। নবান্ন অভিযানে তাঁরা যাতে যোগ দেন, সেই অনুরোধও করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা সেদিন পতাকা ছাড়াই আন্দোলনে যাব। অভয়ার স্মৃতিতেই হবে এই প্রতিবাদ। ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে মমতার সরকারের পতন ঘটানোর ডাকও দেওয়া হবে।” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “আগামিকালই (বৃহস্পতিবার) নতুন সভাপতিকে স্বাগত জানাব। নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে আসবে নতুন লড়াইয়ের কর্মসূচি।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, এটা শেষ নয়, এটা ওদের শেষের শুরু।”

    গণধর্ষণের প্রতিবাদে মিছিল

    কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে প্রথম বর্ষের (Suvendu Adhikari) ছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে বুধবার মিছিল ও জনসভা করেন শুভেন্দু। রাসবিহারী মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মিছিল এগিয়ে গিয়েছে কসবার দিকে। মিছিলে বিজেপির মহিলা কর্মী-সমর্থকদের দেখা যায় ঝাঁটা হাতে নিয়ে হাঁটতে। ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরাও। ‘কন্যা বাঁচাও’ স্লোগান তুলে সেই মিছিল গিয়ে শেষ হয় (Uttarkanya Abhiyan) সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের কাছে। সেখানেই হয় সমাবেশ। সেই সমাবেশেই রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে শানিত আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বাঙালি হিসেবে অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ হয়। এ রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অনেক অপরাধ হয়। তবে কোনও প্রতিকার হয় না।” সমাবেশ থেকে অনেক স্লোগান দেন শুভেন্দু। তার মধ্যে রয়েছে, ‘ঝাড়ু মেরে করো সাফ, মমতার সরকার’। ‘এক হাজার ঝাড়ু, এক হাজার মা মিছিল করেছেন।’ ‘কন্যা বাঁচাও, মমতা হটাও।’ ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই, মমতার পতন দেখতে চাই।’ ‘বিজেপি কর্মীরা গুলি খেতেও তৈরি।’

    জোড়া কর্মসূচির কথা ঘোষণা

    এই সমাবেশেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেন জোড়া কর্মসূচির কথা। ২১ জুলাই উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, “ওই দিন চোরেরা কলকাতায় ডিম-ভাত খেতে আসে। আর আমরা উত্তরকন্যা নড়িয়ে দেব (Uttarkanya Abhiyan)।” এর পরেই তিনি জানান, ৫ অগাস্ট তিনি যাবেন অভয়ার বাবা ও মায়ের কাছে, অনুমতি নিতে। শুভেন্দু বলেন, “৫ তারিখে পানিহাটিতে উল্টো রথে যাব। ওই দিন আমি অনুমতি নিতে অভয়ার বাবা-মায়ের কাছে যাব। তাঁদের বলব, পতাকা ছাড়া ৯ অগাস্ট অভয়ার ধর্ষণ-খুনের বর্ষপূর্তিতে নবান্ন অভিযান করতে হবে।”

    মাস আটেক পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Suvendu Adhikari)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগে ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশের নামে তৃণমূল ফের একবার নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করিয়ে নিতে চাইছে। বিজেপিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে দেখিয়ে দিতে চাইছে (Uttarkanya Abhiyan), তাদের শক্তি কতটা।

  • Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কাজ হল না! তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় আর ভিজল না চিঁড়ে। তাই এবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। ২১ এপ্রিল হবে অভিযান (Suvendu Ahdikari)। তাঁদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ও। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করেছিল এই সংগঠন। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের এই অভিযানে তারা পাশে চেয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারিকেও। এই অভিযানে যোগ দিচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথমঞ্চ’। এই মঞ্চ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ডিএর দাবিতে।

    শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ (Nabanna Abhijan)

    জানা গিয়েছে, সোমবার বিধানসভায় শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করতে যান চাকরিহারাদের একাংশ। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাঁদের এই নবান্ন অভিযানে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। যদিও চাকরিহারাদের তরফে এখনও এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুভেন্দু বলেন, “১৫ এপ্রিলের মধ্যে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ না হলে লাখো মানুষ পতাকা ছাড়াই নবান্নের দিকে পা বাড়াবে।” নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন ২০০৯ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের ১২টি সংগঠন। সংগঠনগুলির একাংশের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এসএসসির চাকরিহারারাও নবান্ন অভিযানে তাদের পাশে থাকবে। মঙ্গলবার ওই অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজও (Nabanna Abhijan)।

    ‘আমরা চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব’

    পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের সদস্য সায়ন লাহিড়ি বলেন, “ভারতে গুরুশিষ্য পরম্পরা অতি প্রাচীন। আমরা হাজার হাজার চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব। এটা আমাদের কর্মসূচি নয়। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ছাত্র সমাজকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।” আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে গত অগাস্টে নবান্ন অভিযান করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল অভিযানকারীদের। গ্রেফতার করা হয়েছিল ছাত্র সমাজের সদস্য সায়নকে। পরে হাইকোর্ট জামিন দেয় সায়নকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানেও রায় হয় জামিনের পক্ষেই। এদিকে, নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের অভিযোগ (Suvendu Ahdikari) তুলে পরের দিন বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি (Nabanna Abhijan)।

  • Junior Doctors Protest: প্রশাসনের পদক্ষেপ সদর্থক নয়, নির্যাতিতার মা-বাবার অনুরোধে অনশন প্রত্যাহার জুনিয়র ডাক্তারদের

    Junior Doctors Protest: প্রশাসনের পদক্ষেপ সদর্থক নয়, নির্যাতিতার মা-বাবার অনুরোধে অনশন প্রত্যাহার জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার বেহাল দশা। সরকারি হাসপাতালগুলোতে কোথাও ডাক্তার নেই, কোথাও টেকনিশিয়ান নেই। নানা ধরনের জটিল পরিস্থিতি তৈরি হলে সেখানে ডাক্তারেরা বাধ্য হন রোগীকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করতে। সবকিছু জেনেও পরিস্থিতি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে প্রশাসন। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Protest)। তাঁরা স্পষ্ট জানান, প্রশাসনের পদক্ষেপ সদর্থক নয়।  তবু, তিলোত্তমার মা-বাবার অনুরোধে আমরণ অনশন তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নবান্নের বৈঠকের পর আলোচনায় বসেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেখানেই অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি আগামী মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল তাও তুলে নেওয়া হয়।

    কেন অনশন প্রত্যাহার

    নিজেদের দাবি পূরণে এবং আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Incident) আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বললেও আমরণ অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Protest)। তাঁরা বলেন, ‘‘আমরণ অনশন প্রত্যাহার করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন কাকু-কাকিমা (নির্যাতিতার মা-বাবা)। তাঁরা অনুরোধ করছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা এক সন্তান হারিয়েছেন। সরকারের কথা সদর্থক যে লেগেছে তা নয়। কিন্তু অনশনরতদের কারও কিছু যেন না-হয়। তাই অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আলোচনার পর। কিন্তু অভয়ার বিচারের জন্য রাস্তায় থাকব। সরকার বা সর্বোচ্চ প্রশাসনের কথায় নয়, অনশন প্রত্যাহার করছি শুধুমাত্র কাকু-কাকিমা এবং সাধারণ মানুষের কথা ভেবে। যেন ভাবা-না হয় আপস করা হল। বিচারের দাবি আরও জোরালো হবে। এই অকর্মণ্য প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিরে রাখলাম— সাবধান।’’ 

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    পরবর্তী পদক্ষেপ

    সোমবার রাতে নবান্ন থেকে ফিরে এসে প্রায় এক ঘণ্টা নিজেদের মধ্যে জিবি মিটিং করেন জুনিয়র ডাক্তারা (Junior Doctors Protest)। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ চলা বৈঠকে খুব একটা যে তাঁরা খুশি হননি সে কথা পরে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র চিকিৎসক ফ্রন্টের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার। বলেন, “এই বৈঠকে প্রশাসনের শরীরী ভাষা পজিটিভ লাগেনি। কারণ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ব্যাজ পরে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওখানে আমাদের প্রিন্সিপালদের চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সবই জানেন। প্রশাসনের শরীরী ভাষা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আন্দোলন থামছে না।”  আগামী শনিবার আরজি করে মহা গণ কনভেনশনের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সেখানেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্য়তির করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flood Situation In Bengal: জল ছাড়া নিয়ে ‘অসত্য’ বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, ফাঁস করে দিল কেন্দ্র

    Flood Situation In Bengal: জল ছাড়া নিয়ে ‘অসত্য’ বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, ফাঁস করে দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর অভিযোগ, রাজ্যকে না জানিয়েই বিপুল পরিমাণ জল ছেড়েছে ডিভিসি। তাই বানভাসি হয়েছে বাংলার (Flood Situation In Bengal) একাংশ। এই অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি (Nabanna) দুটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার হুমকিও দিয়েছিলেন ‘সস্তা রাজনীতি’ করতে অভ্যস্ত (নিন্দকরা বলে) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে ‘মিথ্যে’ বলেছেন, তা ফাঁস করে দিল কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক। তারা সাফ জানিয়েছে, রাজ্য ও ডিভিসির প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটিই ঠিক করে কখন এবং কতটা জল ছাড়া হবে। তাই রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়া হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী যে দাবি করছেন, তা  অসত্য।

    জল ছাড়ার কথা সকলেই জানত (Flood Situation In Bengal)

    ডিভিসিরও দাবি, জল যে ছাড়া হবে, তা সকলেই জানতেন। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের একটি মেমো থেকেও স্পষ্ট, জল ছাড়ার কথা আগে থেকেই জানত রাজ্য। ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম চিঠি লেখেন মমতা। এর ঠিক তিনদিন আগে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর-সহ আটটি জেলাকে সতর্ক করেছিল নবান্ন। মেমোতে এও উল্লেখ করা হয়েছিল (Flood Situation In Bengal), ডিভিআরআরসি এবং সিডব্লিউসি জানিয়েছে, আবহাওয়ার কারণে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারে জলস্তর বাড়ছে দ্রুত।

    আরও পড়ুন: “ট্রেনে অন্তর্ঘাত দূর করতে রেলওয়ে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে”, বললেন বৈষ্ণব

    মেমোতেও উল্লেখ করা হয়েছে 

    এই পরিস্থিতিতে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ডিভিআরআরসি আড়াই লাখ কিউসেক জল ছাড়বে। তার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে যা মোকাবিলার যাবতীয় ব্যবস্থাও নিয়ে রাখতে বলা হয় ওই মেমোতে। প্লাবিত হতে পারে এমন এলাকার মানুষকে প্রয়োজনে যেন নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তাও বলা হয়েছিল মেমোতে। মেমোতে আরও বলা হয়েছিল, কংসাবতী বাঁধ থেকেও জল ছাড়া হতে পারে। তেমন হলে পূর্ব মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে। কংসাবতী বাঁধের সঙ্গে ডিভিসিও জল ছাড়ায় হলদি ও রূপনারায়ণের জলস্তর বাড়বে। ডিভিসির এক কর্তা বলেন, “প্রয়োজন হলে জল ছাড়তেই হয়। সেটা কমিটিই ঠিক করে।” বিজেপির রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আরজি করকাণ্ডের বিরুদ্ধে (Nabanna) আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই (মুখ্যমন্ত্রীর) এই অপচেষ্টা (Flood Situation In Bengal)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে আলোচনা হলে লাইভে আপত্তি কেন?’’ প্রশ্ন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির

    RG Kar Incident: ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে আলোচনা হলে লাইভে আপত্তি কেন?’’ প্রশ্ন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বলে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest) সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের আলোচনার লাইভ স্ট্রিমিং করা যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই যুক্তির কোনও আইনি সারবত্তা নেই বলে দাবি করলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে, গত ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে বারবার তাঁদের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। রাজ্যের সদিচ্ছা নেই বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার একই সুর শোনা গেল সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির গলায়।

    কী বললেন অশোক 

    বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয়ের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি হননি, তা একেবারেই ওঁর মস্তিষ্কপ্রসূত যুক্তি। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে যদি আলোচনা হতে পারে, তা যদি রেকর্ড করা হতে পারে, তা হলে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি থাকবে কেন? আইনে এ রকম কিছু নেই৷’’ অশোকের ব্যাখ্যা, সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে বলেছিল সরকার এবং চিকিৎসকদের মধ্যে আলোচনাসাপেক্ষে জট কাটুক। পরোক্ষে সুপ্রিম কোর্টই আলোচনার প্রসঙ্গের অবতারণা করেছিল। তাঁর কথায়, ‘‘সেই আলোচনা কী ভাবে হবে বা হবে না, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কিছু বলেছে বলে আমার অন্তত জানা নেই৷’’

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    কর্মবিরতিতে আদালত অবমাননা! আইনজীবীদের যুক্তি

    সুপ্রিম কোর্ট কাজে যোগ দানের অনুরোধ করলেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, (RG Kar Incident) এক্ষেত্রে শাসকদলের অনেকেই বলছেন তাঁরা নাকি আদালত অবমননা করেছেন। তবে একথা একেবারেই মানছেন না আইন বিশেষজ্ঞরা। আইনজীবী তথা সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “যাঁরা বলছেন আদালত আবমাননা হচ্ছে, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না জেনেই বলছেন। সুপ্রিম কোর্ট কোথাও বলেনি, ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতেই হবে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest)। আদালত বলেছিল, জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে চাইলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।” এক্ষেত্রে একমত শাসকদল তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কল্যাণের কথায়, “এটাকে আদালত অবমাননা বলা যায় না। তবে নিশ্চিত ভাবেই বিচার ব্যবস্থার যে কাঠামো রয়েছে, তাতে সুপ্রিম কোর্টকে অসম্মান বা অপমান করা হয়েছে।” জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সরকারের বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং প্রসঙ্গে বিকাশ বলেন, ‘‘চিত্রনাট্য অনুযায়ী বৈঠক হবে না বুঝেই মুখ্যমন্ত্রী লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি হননি। অন্য সময় তো প্রশাসনিক বৈঠক লাইভ হয়। এখন কেন করলেন না?’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ছাড় নয় পুলিশকেও! ধর্ষণ-বিরোধী বিল সমর্থন করেও ৭ সংশোধনী প্রস্তাব শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ছাড় নয় পুলিশকেও! ধর্ষণ-বিরোধী বিল সমর্থন করেও ৭ সংশোধনী প্রস্তাব শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই রাজ্য সরকার বিধানসভায় পাশ করে ধর্ষণবিরোধী ‘অপরাজিতা ওম্যান অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল’জ আমেন্ডমেন্ট বিল-২০২৪’ (Aparajita Women Child Bill 2024)। রাজ্য সরকারের আনা এই বিলকে সমর্থন করলেও এদিনই সদনের ভিতরে এনিয়ে সব মিলিয়ে ৭টি সংশোধনী ও সংযোজনী প্রস্তাব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তিনি জানান, কোনও পুলিশ অফিসার ধর্ষণের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলে বা দেরি করলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে যেন শাস্তির বিধান থাকে। এর পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় মেডিকেল টেস্ট, সাক্ষ্য গ্রহণ, বয়ান বদল সহ একাধিক বিষয় নিয়ে প্রস্তাব রাখেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) ৭ প্রস্তাব

    সদনের ভিতরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) মোট ৭টি প্রস্তাব রাখেন।

    প্রথম, ধর্ষণের ঘটনায় কোনও পুলিশ অফিসার এফআইআর নিতে অস্বীকার করলে বা অযথা দেরি করলে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখার কথা বলেন বিরোধী দলনেতা ৷

    দ্বিতীয়, বিধিসম্মত মেডিক্যাল পরীক্ষা অথবা ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে বিলম্ব বা অবহেলা করলে, সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷

    তৃতীয়, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান (Aparajita Women Child Bill 2024) রাখার কথা বলেছেন তিনি ৷

    চতুর্থ, মামলায় সাক্ষ্যদানের ক্ষেত্রে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা বা হাসপাতালে ভর্তি ব্যাতিরেকে, সাক্ষ্যগ্রহণের দিন কোনওভাবেই বদল করা যাবে না, এটাও প্রস্তাব দেন বিরোধী দলনেতা ৷

    পঞ্চম, তদন্তকারী কোনও পুলিশ আধিকারিক এবং কোনও স্বাস্থ্য পরীক্ষাকারী চিকিৎসক অথবা কোনও স্বাস্থ্য কর্মী সাক্ষ্যদানের সময় যদি বয়ান বদল করে, তাহলে তাঁদেরও শাস্তির বিধান রাখা হোক বিলে, এই প্রস্তাব দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক ৷

    ষষ্ঠ, সাক্ষ্যদান যখন চলবে, তখন রাজ্য সরকারের পুলিশ যেন সাক্ষীগণকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়, এমন প্রস্তাবও বিলে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা ৷

    সপ্তম, বিচার প্রক্রিয়া তিরিশ দিনের মধ্যে শেষ করে শাস্তি কার্যকর করার প্রস্তাবও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷

    বিধানসভার ভিতরেও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    বিধানসভার (Suvendu Adhikari) ভিতরেও এদিন রাজপথের আন্দোলনের ঢেউকে পৌঁছে দেয় বিজেপি। সদনের ভিতরেই স্লোগান তোলেন বিজেপি বিধায়করা। এ দিন ভাষণ শেষ করে শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মন্তব্য করেন, ‘‘রাজ্য সরকারের পুলিশ আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাট করেছে। সবশেষে, অধিবেশন কক্ষে বিজেপির তরফে স্লোগান তোলা হয়, ‘দফা এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’।’’

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: পরিস্থিতি বেগতিক, স্কুল পড়ুয়াদের আন্দোলন ভাঙতে ‘ঘুষ’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার মমতার

    RG Kar: পরিস্থিতি বেগতিক, স্কুল পড়ুয়াদের আন্দোলন ভাঙতে ‘ঘুষ’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর আন্দোলনে (RG Kar) উত্তাল রাজ্য। জেলায় জেলায় স্কুলপড়ুয়াদের মিছিলে ভীত রাজ্য সরকার আন্দোলন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে নির্দেশিকা জারি করতে বাধ্য হয়। কিন্তু তাতে কী? নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার! চলতে থাকে আন্দোলন। হাওড়ার তিন স্কুলকে শো-কজও করে রাজ্য। তাতেও আন্দোলন থামেনি। তাই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পড়ুয়াদের বাগে আনতে সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের শিক্ষক দিবসেই ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা করে মমতা সরকার (Nabanna)। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে জানানো হয়, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠান হবে। সেখানে তিনি কিছু ছাত্রছাত্রীর হাতে প্রতীকী অর্থ তুলে দেবেন। আর ওই দিনই রাজ্য সরকার উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ট্যাব বা মোবাইল কেনার অর্থ বাবদ ১০ হাজার টাকা পাঠাবে।

    অ্যালটমেন্ট অর্ডার বাতিল

    কিন্তু পিছু হটতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এভাবে যে পড়ুয়াদের আন্দোলন (RG Kar) কেনা যাবে না, তা বুঝে যেতেই অ্যালটমেন্ট অর্ডার বাতিল করল তৃণমূল সরকার। মমতা সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তোপ দেগেছে রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নেতা তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এটা আসলে ছাত্র-ছাত্রীদের ঘুষ দেওয়া হচ্ছিল। সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে। কারণ তিনি বুঝে গিয়েছেন, ঘুষ দিয়ে আন্দোলনের (RG Kar) আগুন নেভানো যাবে না।

    কী লিখলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    মঙ্গলবার সকালে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সমাজ মাধ্যমের পাতায় বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘‘আবার পিছু হঠলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে সারা রাজ্যে স্কুল পডুয়াদের মধ্যে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, প্রাক্তনীরা ভয় ভেঙে মাঠে রয়েছেন। আন্দোলন চালাচ্ছেন। তাঁদের বাঙালি সমাজের কাছে প্রশ্ন, আর কবে চিত্ত স্বাধীন হবে। ভয় পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাও। স্কুল পডুয়াদের আন্দোলন ভাঙার জন্য ঘুষ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন বেলা ১২টায় ১৩ লক্ষ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ দেওয়ার কথা ছিল। খরচ হত ১৩০০ কোটির বেশি। তার জন্য বাজার থেকে ৩০০০ কোটি টাকা ঋণও নিয়েছে নবান্ন। কিন্তু আন্দোলনের আগুন নেভানো যাবে না, মুখ্যমন্ত্রী তা বুঝে গিয়েছেন। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের ঘুষ (RG Kar) দেওয়ার ১৩০০ কোটি টাকার অ্যালটমেন্ট অর্ডার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।’’

    মুখ্যমন্ত্রীর পরাজয় সময়ের অপেক্ষা (RG Kar)

    আরজি কর আন্দোলনে অনেকটাই কোণঠাসা শাসক। হাইকোর্ট থেকে শীর্ষ আদালত, সর্বত্র মুখ পুড়েছে মমতা সরকারের। পথে নেমেছে নাগরিক সমাজ। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পরাজয় যে সময়ের অপেক্ষা, তাও নিজের পোস্টে লিখেছেন জগন্নাথ। বিজেপির এই রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘পিছু হঠেছে সরকার। কবে ফের এই ঘুষ দেওয়া হবে, তাও কিছু জানানো হয়নি। তরুণের স্বপ্ন আপাতত দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। হারবেন মুখ্যমন্ত্রী, আপনি হারবেন। আপনাকে আমরা হারাবোই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: ‘‘প্রশাসন পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেছে’’, কন্টেনারকাণ্ডে তোপ শুভেন্দুর

    Nabanna Abhijan: ‘‘প্রশাসন পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেছে’’, কন্টেনারকাণ্ডে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটনা একটা। তাকে কেন্দ্র করেই যাবতীয় আন্দোলন। আরজি করকাণ্ডের ওই ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত সেই আন্দোলন রুখতে গিয়েই রেকর্ড গড়ে ফেলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ (Kolkata Police)। তার আগে অবশ্য নিজেই রেকর্ড গড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা স্বয়ং। চিকিৎসক খুনে দোষীর বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন তিনি! এটা যদি এক নম্বর রেকর্ড হয়, তাহলে দু’নম্বর রেকর্ডটা শুনলে হাসবেন না কাঁদবেন, তা বুঝতে পারবেন না।

    কন্টেনার যখন পুলিশের ঢাল (Nabanna Abhijan)

    মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেই অভিযান উপলক্ষে ব্যাপক জমায়েত হয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। আন্দোলনকারীরা যাতে নবান্নে পৌঁছতে না পারেন, তাই ব্যারিকেড হিসেবে পুলিশ ব্যবহার করল কন্টেনার (Nabanna Abhijan)। যে কন্টেনারে করে পণ্য পরিবহণ করা হয়, ক্রেনে করে সেই কন্টেনারটাই টেনে এনে ফেলা হল রাস্তায়। আন্দোলনকারীরা যাতে সুউচ্চ কন্টেনার টপকে নবান্নে ঢুকে পড়তে না পারেন, তাই এই ব্যবস্থা। লোহার গার্ড রেলের পাশাপাশি এই কন্টেনারকে ঢাল করে পুলিশের আন্দোলন রোখার এই চেষ্টা রাজ্যে প্রথম। যেহেতু দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার রাস্তাগুলি দিয়ে নবান্নে আসা সহজ, তাই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার রাস্তাগুলি বন্ধ করতেই যাবতীয় উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের এহেন উদ্যোগে হাসির ছররা রাজ্যে।

    আরও পড়ুন: ‘‘আদালতে দেখা হবে…’’, ধৃত ৪ ছাত্রকে আইনি সহায়তার আশ্বাস, পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড

    এদিন হেস্টিংসের মোড়ে গিয়ে দেখা গেল, লোহার গার্ডরেল ও ওয়াল দিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখানেই দেখা গেল, ক্রেন নিয়ে বড় বড় কন্টেনার রাস্তার ওপর রেখে দিয়েছে পুলিশ। আন্দোলনকারীরা যাতে নবান্নে পৌঁছতে না পারে, তাই প্রথমে গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছে। তার আগে বসানো হয়েছে কন্টেনার। কন্টেনার রাখা হয়েছে কলেজ স্ট্রিট এবং এজেসি বোস রোডেও। হেস্টিংসে আবার ব্যারিকেডে লাগানো হয়েছে গ্রিজ। হাওড়া ব্রিজের দু’দিকেই রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি এবং অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড। সাঁতরাগাছিতে ১০ ফুটেরও বেশি উঁচু গার্ডওয়াল রাখা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, গার্ডরেলের ব্যারিকেড বড্ড পলকা। তাই অতীতে নবান্ন অভিযানের সময় রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মজবুত ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল। তবে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাই এবার আর গার্ডরেলের ওপর ভরসা করেনি পুলিশ (Kolkata Police), সাহায্য নিয়েছে পণ্যবাহী কন্টেনারের (Nabanna Abhijan)।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘তিনজন ছাত্রের সাংবাদিক বৈঠক আর কয়েকজন ইউটিউবারের ডাকের কাছে প্রশাসন পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেছে। প্রতিবাদীদের আটকাতে গার্ডেনরিচ থেকে কন্টেনার রাস্তায় বসানো হয়েছে, যা নজিরবিহীন। অরাজনৈতিক একটা কর্মসূচি ঠেকাতে কয়েক কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার।’’ বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ তথা ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ মেম্বার স্বপন দাশগুপ্ত এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘কলকাতার রাস্তায় পুলিশ কেন কন্টেনার রাখছে? পুলিশ কি ভাবছে বিক্ষোভকারীরা ট্যাঙ্ক নিয়ে নবান্নে হামলা করবেন?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share