Tag: Nagpur

Nagpur

  • PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও আরএসএসের সরসংঘচালক মোহন ভাগবতের মধ্যে সম্পর্ক সব সময়ই অভিন্ন আদর্শ ও গভীর পারস্পরিক শ্রদ্ধার। আরএসএসের প্রবীণরা প্রায়ই বলেন, তাঁরা সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন। বৃহত্তর লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ ভাইদের মতোই তাঁরা এক সঙ্গে কাজ করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন। রবিবার নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে (Mohan Bhagwat) গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তাঁদের যুগলবন্দি— স্মৃতি মন্দিরে পাশাপাশি হাঁটা, মঞ্চে হালকা মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া এবং সহজ-সরল সৌহার্দপূর্ণ আচরণ—এই সম্পর্কের একটি বিরল প্রকাশ যা জনসমক্ষে দেখা যায় না।

    বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত (PM Modi)

    যাঁরা ভিজ্যুয়ালি দেখতে পেয়েছিলেন, তাঁরা খুব কমই জানতেন যে তাঁরা কী নিয়ে কথা বলেছেন। তবে এটি স্পষ্ট যে দুজনের মধ্যে বন্ধন— বৃহত্তম হিন্দুত্ব শক্তির প্রধান ও দেশের সবচেয়ে প্রতিভাধর মুখ— রাজনীতি, নিয়মিত বিষয় এবং সমস্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে। ২০০০ সালে ভাগবতকে আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। আর ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন মোদি। একজন পদস্থ আরএসএস কর্মী বলেন, “যদিও তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবুও তাঁরা সবসময় একটি বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।”

    কী বলছে আরএসএস?

    আরএসএসের আর এক পদস্থ কর্তা বলেন, “তাঁদের প্রায়ই জনসমক্ষে এক সঙ্গে দেখা যায় না। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, তাঁরা (PM Modi) কথাবার্তা বলেন না। প্রয়োজন অনুযায়ী এবং বিভিন্ন স্তরে তাঁরা যোগাযোগ রাখেন। আমরা প্রায়ই তাঁদের জয়-বীরু বলে ডাকি, যদিও আমাদের কাঠামোয় আমাদের সর্বদা শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে হয়, এমনকি কথাবার্তাতেও। কিন্তু আমরা তাঁদের বন্ধুত্ব, তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আশ্চর্যজনক সংগঠনিক কাজের সমীকরণের কথা শুনে শুনেই বড় হয়েছি। গত তিন দশক ধরে, আমরা সেখানে কোনও ফাটল দেখিনি (Mohan Bhagwat)।” আরএসএস সূত্রে খবর, শনিবার মোদি-ভাগবতের এই মঞ্চ শেয়ার কোনও আকস্মিক সাক্ষাতের উদাহরণ নয় এটি ছিল একটি বন্ধনের পুনর্নিশ্চয়তা, যা দশকজুড়ে সাধারণ মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা এবং সেবার প্রতি সমর্পণের মধ্যে প্রোথিত। রবিবার নাগপুরে দেশ যখন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিল, তখন এই বন্ধনটি ফের একবার প্রমাণিত হয়েছিল।

    আরএসএসের সদর দফতরে মোদি

    রবিবারই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে পা রাখেন। কেবল পা রাখাই নয়, এদিন মোদি ভাগবতের সঙ্গে, আরএসএসের ভরকেন্দ্র স্মৃতি মন্দির পরিদর্শনও করেন। স্মৃতি মন্দির— যেটি রেশিমবাগে হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দির নামে বেশি পরিচিত— সংঘের কাছে একটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ড. হেডগেওয়ার এবং এমএস গোলওয়ালকরের (যিনি সংঘের মধ্যে ‘গুরুজি’ নামে খ্যাত) উত্তরাধিকার ও স্মৃতি বহন করে চলেছে। এটি সর্বদাই সংঘের সব স্তরের স্বয়ংসেবকদের জন্য তাত্ত্বিক চিন্তা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের কেন্দ্রস্থল। ভাগবতের সঙ্গে মোদির রেশিমবাগে উপস্থিতি ভারতের পুনরুত্থানের লক্ষ্যে আরএসএস ও সরকারের মধ্যে চিন্তার ধারাবাহিকতাকে প্রতীকীভাবে প্রকাশ করেছে। এটি সমগ্র সংঘ পরিবার, যার মধ্যে বিজেপিও অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় (Mohan Bhagwat)।

    “হম স্বয়ংসেবক”

    এদিন, স্মৃতি মন্দির থেকে মোদি ও ভাগবত মাধব নেত্রালয়ে পৌঁছান। এটি একটি প্রতিষ্ঠান যা আরএসএসের সেবা ধর্মের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) দশকের পর দশক ধরে দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারে তাদের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন, সংগঠনের কাজ এবং আরএসএসের বৃহত্তর মিশনের প্রশংসাও করেন। সমাজে শারীরিক ও আদর্শগত দৃষ্টিভঙ্গি দুইই আনার কথাও বলেন তিনি। তাঁর বক্তৃতায়, মোদি একজন বহিরাগতের মতো নয়, বরং তাঁদেরই একজন হিসেবে কথা বলেন। তিনি বারবার “হম স্বয়ংসেবক” শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে তাঁর আরএসএসের ঐতিহ্যকে পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রসঙ্গত, এক সময় আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন প্রধানমন্ত্রী। এই আনুষ্ঠানিকতার বাইরে যা চোখে পড়ল তা হল অকৃত্রিম কিছু মুহূর্ত— মোদি ও ভাগবতের সাবলীল কথোপকথন (Mohan Bhagwat), তাঁদের হাসি-ঠাট্টা এবং প্রাঞ্জল আলাপচারিতা।

    সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা বন্ধন

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদি-ভাগবতের এসব (PM Modi) আচরণ লোক দেখানোর জন্য নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি বন্ধন, একটি সম্পর্কের প্রতিফলন। তাঁদের মধ্যে যে আন্তরিকতা বিভিন্ন টুকরো টুকরো দৃশ্যের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে, তা প্রায় সমস্ত অভিযোগমূলক বিভেদের ধারণা বা কোনও বিবাদের জল্পনাকে খারিজ করে দিয়েছে। আরএসএসের কর্তাদের একাংশের মতে, এদিনের এই অনুষ্ঠানটি একটি সুসময়ের সংযোগ, সযত্নে তৈরি একত্রীকরণের একটি মুহূর্ত। এটি আরএসএস ও সরকারের মধ্যে আদর্শিক সেতুকে আরও শক্তিশালী করেছে। নাগপুরে (PM Modi) এই অনুষ্ঠানের মূল বার্তা স্পষ্ট— একটি ঐক্যবদ্ধ সংঘ পরিবারের প্রতিচ্ছবি (Mohan Bhagwat)।

    এক দেশ, এক ভারত!

  • PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবার হিন্দু নববর্ষ। এদিনই নাগপুরে আরএসএসের (RSS) দফতরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাগপুরে কেশবকুঞ্জে একটি চক্ষু হাসপাতালের সম্প্রসারণের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সকালে তিনি প্রথমে যান রেশমিবাগে আরএসএসের সদর দফতরের কাছে স্মৃতি মন্দির দর্শনে। শ্রদ্ধা জানান সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে।

    আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন আরএসএসের সদর দফতরে। ২০১২ সালে শেষবারের মতো সংঘের সদর দফতরে গিয়েছিলেন মোদি। তবে তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। তারপর কেটে গিয়েছে আস্ত একটা যুগ। রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই পর্বে দেশজুড়ে বিজেপিকে বিপুল রাজনৈতিক মাইলেজ দিয়েছে সংঘ। তবে সেই কারণে তিনি নাগপুর যাননি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন আরএসএস প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এই বৈঠকের পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করা হতে পারে।

    মোদির পাশে ভাগবত   

    এদিন মোদির শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পর্বে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সরসংঘচালক মোহন ভাগবতকে। আরএসএসের শ্রুতি মন্দিরে সংঘ প্রতিষ্ঠাতাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর দীক্ষাভূমি মন্দিরে যান প্রধানমন্ত্রী। পরে সংবিধান প্রণেতা বাবা সাহেব আম্বেডকরকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী যান দীক্ষাভূমিতে। এখানেই হিন্দু ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন আম্বেডকর (PM Modi)।

    এর আগে গত বছর অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে সংঘ প্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৪ সালে একবার প্রকাশ্য অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল মোদি ও ভাগবতকে। তার পরে আবার এদিন এক মঞ্চে দেখা গেল দুই মহীরুহকে। আরএসএসের দফতর ঘোরার শেষে ভিজিটর্স বুকে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নাগপুরে স্মৃতি মন্দির দর্শন একটি অত্যন্ত বিশেষ অভিজ্ঞতা। এটি জাতির সেবা করতে প্রাণিত করে।” ভিজিটর্স বুকে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি, জাতীয়তাবাদ ও সংগঠনের মূল্যবোধের প্রতি নিবেদিত এই পবিত্র স্থান আমাদের দেশের সেবায় প্রেরণা জোগায়। এই স্থানের সঙ্গে যুক্ত সকল মহান ব্যক্তিদের নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম (RSS) জাতির সেবায় লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবকদের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারত মাতার গৌরব উজ্জ্বল হবে (PM Modi)।”

  • PM Modi: আরএসএসের সদর দফতরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    PM Modi: আরএসএসের সদর দফতরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন নাগপুরে, আরএসএসের (RSS) সদর দফতরে। অথচ, স্বাধীনতার পর তিন-তিনবার নিষিদ্ধ সংগঠনের তকমা সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে আরএসএসের গায়ে। তথাকথিত উদারপন্থীদের কাছে এখনও অচ্ছুত এই সংগঠন। পাছে ভোটব্যাংকে ধস নামে, তাই আরএসএসের সংস্রব এড়িয়ে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীরা।

    আরএসএসের সদর দফতরে যাচ্ছেন মোদি (PM Modi)

    আগামী ৩০ মার্চ সেখানে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেবি হেডগেওয়ারের স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন। স্থাপন করবেন মাধব নেত্রালয় প্রিমিয়াম সেন্টারের সম্প্রসারণ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর। হেডগেওয়ার এবং আরএসএসের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক এমএস গোলওয়ালকারের স্মৃতিসৌধগুলি নাগপুরের রেশিমবাগ এলাকায় ডঃ হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরে অবস্থিত। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিজেপির প্রধান চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে জানান, প্রধানমন্ত্রী ৩০ মার্চ এই স্মৃতিসৌধগুলি পরিদর্শন করবেন। প্রধানমন্ত্রী মাধব নেত্রালয় প্রিমিয়াম সেন্টারের সম্প্রসারণ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলেও জানান তিনি।

    গিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়

    আরএসএসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নাড়ির টান। তিনি দীর্ঘদিন আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাজ করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একবারও যাননি সঙ্ঘের সদর দফতরে। তবে আরএসএসের সদর দফতরে গিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। তা নিয়ে আগে-পরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল কংগ্রেসের অন্দরে। সেসব উপেক্ষা করেই প্রণব গিয়েছিলেন নাগপুরে। এবার যাবেন মোদি।

    এ বছর সঙ্ঘের শতবর্ষ। সেই উপলক্ষে বছরভর নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আরএসএস। প্রধানমন্ত্রী যে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, সেখানে থাকবেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতও। ২০১৪ সালের পর এ নিয়ে তৃতীয়বার প্রকাশ্যে মঞ্চ শেয়ার করবেন গেরুয়া শিবিরের দুই ‘মহীরুহ’। আরএসএস ইতিহাসের এক স্কলার বলেন, “এটি প্রথমবার যে একজন সক্রিয় প্রধানমন্ত্রী ডঃ হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করবেন।” তিনি বলেন, “প্রয়াত বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী ২০০৭ সালে এই স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। মোদি এর আগে একজন প্রচারক হিসাবে এই স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এটি তার প্রথম দর্শন।” জানা গিয়েছে, ওই দিন প্রধানমন্ত্রী ‘দীক্ষাভূমি’ও পরিদর্শন করবেন, যেখানে সংবিধান প্রণেতা বিআর আম্বেডকর ১৯৫৬ সালে হাজারো অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, এই নাগপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বিজেপির নীতীন গডকরী। আরএসএসের সদর দফতরটি যে এলাকায় রয়েছে (RSS), সেখানকার বিধায়ক বিজেপিরই দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (PM Modi)।

  • Nagpur Violence: নাগপুর হিংসায় বাংলাদেশ যোগ! পদ্মাপাড় থেকেই উস্কানি, জানাল সাইবার সেল

    Nagpur Violence: নাগপুর হিংসায় বাংলাদেশ যোগ! পদ্মাপাড় থেকেই উস্কানি, জানাল সাইবার সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঔরঙ্গজেবের সমাধি হঠানোকে কেন্দ্র করে হিংসা! ভাঙচুর, পাথর ছোড়া থেকে আগুন লাগানো। উত্তাল নাগপুর (Nagpur Violence)। ঘটনার তদন্তে নেমে নাগপুর পুলিশের সাইবার সেল জানতে পেরেছে, একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো হয়েছিল হিংসা। বাংলাদেশের (Bangladesh Connection in Nagpur) একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টও খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পদ্মাপাড় থেকেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছেন চক্রান্তকারীরা, দাবি সাইবার সেলের।

    নাগপুর হিংসায় বাংলাদেশি পোস্ট

    সম্প্রতি ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছিল নাগপুরে (Nagpur Violence)। তবে সেই হিংসাই একেবারে অন্যদিকে মোড় নেয় যখন স্থানীয় পুলিশ বুঝতে পারে যে সোশ্য়াল মিডিয়ায় কিছু লিঙ্ক ঘুরছে যেটা আসল উৎপত্তিস্থল হল বাংলাদেশ। নাগপুর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট একটা ফেসবুক পোস্টকে চিহ্নিত করে। সেটা আসলে এক বাংলাদেশি পোস্ট করেছিল। যার জেরে শহরে আবার অস্থিরতা তৈরি হয়। সাইবার সেল সূত্রে খবর, সেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বাংলাদেশের এক ব্যক্তির। সেই পোস্টের মাধ্য়মে হিংসা যাতে ছড়িয়ে পড়ে তার উস্কানি দেওয়া ছিল। নাগপুর হিংসাকে ছোট ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছিল ওই অ্যাকাউন্টের আর একটি পোস্টে। ভবিষ্যতে আরও বড় হিংসার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।

    বহু পোস্টের আইপি অ্যাড্রেস বাংলাদেশের

    নাগপুর (Nagpur Violence) পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত ৯৭টি আপত্তিকর এবং ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট পাওয়া গিয়েছে। এই ধরনের বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করা হয়েছিল এমন কম্পিউটার থেকে, যেগুলির আইপি অ্যাড্রেস ছিল বাংলাদেশের (Bangladesh Connection in Nagpur)। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে নাগপুর পুলিশ চারটি এফআইআর দায়ের করেছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে দাঙ্গাকারীদের অনেকেই আত্মগোপন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হিংসা এবং গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত প্রায় ২০০ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, আরও এক হাজার জনকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশ ১৮টি দল গঠন করেছে। এই দলগুলি তদন্তের বিভিন্ন দিকে নিযুক্ত। প্রসঙ্গত, ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে ১৭ মার্চ নাগপুরের মহাল এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। সেখানে একটি ধর্মগ্রন্থের অবমাননা করা হয়েছে বলে গুজব ছড়ায়। সেই গুজবকে কেন্দ্র করে নাগপুরের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

  • Nagpur: ‘ছাভা’ সিনেমার কারণেই নাকি নাগপুর অশান্তি! অপরাধীদের আড়াল করতে আজব তত্ত্ব বামপন্থীদের

    Nagpur: ‘ছাভা’ সিনেমার কারণেই নাকি নাগপুর অশান্তি! অপরাধীদের আড়াল করতে আজব তত্ত্ব বামপন্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাচারী ইসলামিক শাসকদের গৌরবান্বিত করা হোক অথবা মৌলবাদী আক্রমণের সময় আসল অপরাধীদের আড়াল করা, এই দুটো কাজই এদেশের বামপন্থী বুদ্ধিজীবী (Leftists) মহল খুব উৎসাহের সঙ্গে করে থাকেন। এমনটাই অন্তত বলছে ওয়াকিবহাল মহল। বামপন্থীরা এমন মিথ্যাচার করতে পেশ করে বেশ কিছু বিকৃত তত্ত্ব ও তথ্য। ভারতবর্ষে যেকোন স্থানেই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে এমনটা করে থাকেন বামপন্থীরা। উগ্র মৌলবাদীদের অপরাধীদের আড়াল করার প্রচেষ্টা করেন তাঁরা। তাদের লক্ষ্য একটাই, যে কোনও মূল্যে মৌলবাদীদের নির্দোষ প্রমাণ করা। ২০২০ সালের দিল্লি হিংসা হোক অথবা সাম্প্রতিক নাগপুর (Nagpur) হিংসা-দুই ক্ষেত্রেই বামপন্থীরা নিজেদের কাজ করে যাচ্ছে। মৌলবাদী ও অপরাধীদের আড়াল করা। প্রসঙ্গত, ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ আন্দোলন নিয়ে উত্তাল মহারাষ্ট্র। অত্যাচারী ও হিন্দু বিরোধী শাসক ছিলেন ঔরঙ্গজেব-একথা ঐতিহাসিক সত্য। এই আবহে চলতি সপ্তাহে নাগপুরে হিংসা ছড়ায়। এই হিংসার দায় বামপন্থীরা চাপিয়েছে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ভিকি কৌশল অভিনীত ছবি ‘ছাভা’র ওপরে।

    ঐতিহাসিক সত্যকে অস্বীকার করে বামপন্থীরা

    বামপন্থীদের দাবি, এই ছবি নাকি বিশেষ ধর্মের মানুষজনদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। প্রসঙ্গত, ছত্রপতি সম্ভাজী মহারাজের জীবনীর ওপর নির্মিত এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে ঔরঙ্গজেবের নৃশংসতা। তিনি কীভাবে হিন্দু মন্দিরগুলোকে ধ্বংস করতেন এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ চালাতেন। সেই সমস্ত ঐতিহাসিত দৃশ্যপটগুলিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই সিনেমায়। এতেই আপত্তি বামপন্থীদের। ভিকি কৌশল অভিনীত ওই ছবি সারা দেশেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। বেশ কিছু রাজ্য এই ছবিকে করমুক্ত করেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই ছবির প্রশংসা করেছেন। কিন্তু বামপন্থীদের দাবি, এই ছবির কারণেই নাকি সংঘটিত হয়েছে নাগপুর হিংসা। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, ইতিহাসকে অস্বীকার করেই এমন বিবৃতি দিচ্ছেন বামপন্থীরা। অত্যাচারী মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সমর্থনে কথা বলতে শুরু করেছে বামপন্থীরা। ওয়াকিবহল মহল মনে করছে, ঐতিহাসিক সত্যকে অস্বীকার করে মৌলবাদীদের হিংসাকে আড়াল করার যে ষড়যন্ত্র বামপন্থীরা করে আসছে, নাগপুরেও (Nagpur) তার ব্যতিক্রম হয়নি।

    কেবল নাগপুর (Nagpur) নয়, দিল্লির ক্ষেত্রেও বামেরা আড়াল করেছিল মৌলবাদীদের

    ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই উত্তপ্ত হয়েছিল হরিয়ানার নুহ এলাকা। সেখানেও বামপন্থীরা একইভাবে মৌলবাদীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছিল। অন্যদিকে, ২০২০ সালে দিল্লিতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নামে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ। সেখানে বামপন্থী মদতে চলা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং বুদ্ধিজীবী মহল তথ্য বিকৃত করতে শুরু করে। সামনে আনে মিথ্যা তত্ত্ব। শারজিল ইমাম, ওমর খালিদ-এই সমস্ত বামপন্থী নেতারা গোটা দিল্লির হিংসার জন্য দায়ী করে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রকে। কিন্তু সে সময়ে মৌলবাদীদের বিভিন্ন হামলা সামনে আসে। পেট্রোল বোমা ছোড়া থেকে সম্পত্তি ভাঙচুর-এই সবকিছুকেই আড়াল করতে থাকে বামপন্থীরা। এগুলোর কোনও জবাব বামপন্থীরা সে সময় দিতে পারেনি।

    নাগপুরের (Nagpur) ঘটনায় গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড

    অন্যদিকে নাগপুরের (Nagpur) সংঘর্ষের ঘটনায় এক মাস্টারমাইন্ডকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভিড়কে উস্কানি দেওয়া, জমায়েত করা, হামলা চালানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই হামলাগুলিতে একাধিক পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ফাহিম খান। তাঁকে ২১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নাগপুরের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় ৫১ জনের নামে এফআইআর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ফাহিম খান পড়াশোনা করেছে দশম শ্রেণী পর্যন্ত। তাঁর বর্তমান বয়স ৩৮ বছর। হিংসার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তাঁর নাম উঠে আসে।

    আগে থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করে ফাহিম

    এরপরেই ফাহিম খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডেকে পাঠায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত সোমবার অর্থাৎ ঘটনার দিন ৩০ থেকে ৪০ জনকে তিনি জড়ো করেছিলেন সকাল ১১টা নাগাদ। অর্থাৎ ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ আন্দোলনের ঘোষিত বিক্ষোভ শুরু হওয়ার আগেই ফাহিম খান এই জমায়েত করেছিলেন বলে জেনেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ফাহিম একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্তও রয়েছেন। তার নাম হল মাইনোরিটিস ডেমোক্রেটিক পার্টি। এই দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন ফাহিম। কিন্তু হেরে যান।

  • Nagpur Clash: ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ আন্দোলন, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত নাগপুর

    Nagpur Clash: ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ আন্দোলন, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত নাগপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত মহারাষ্ট্রের নাগপুর (Nagpur Clash)। প্রসঙ্গত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে আন্দোলন। সেই মতো দুই সংগঠনের কর্মীরা ঔরঙ্গজেবের প্রতীকী কবর দাহ করে। এতেই গুজব ছড়ায় এক বিশেষ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো হয়েছে। সম্মুখ সমরে নেমে পড়ে দুই গোষ্ঠী। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হয়।

    মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Debendra Fadnavis) বলেন, ‘‘নাগপুর (Nagpur Clash) শান্তির শহর, যেখানে প্রত্যেক নাগরিক নিজেদের মধ্যে সুখ দুঃখ ভাগ করে বেঁচে থাকে। এটাই নাগপুরের ঐতিহ্য। কোনও গুজবে কেউ কান দেবেন না।’’ উত্তেজনার এই আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি নাগরিকদের শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নাগপুর শহর বরাবরই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতীক। কেউ যেন গুজবে কান না দেয় এবং আইন নিজের হাতে না তুলে নেয়।’’

    সোমবার সকালে হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিক্ষোভ

    গতকাল সোমবার সকালে নাগপুরের (Nagpur Clash) মহল নামের এলাকায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের কর্মীরা ঔরঙ্গজেবের প্রতীকী কবর দাহ করে। সংগঠনের দাবি, ঔরঙ্গজেব ভারতীয় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির বিরোধী ছিলেন, তাই তাঁর কবরের প্রতীক পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিক্ষোভ বাড়তে থাকলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তারপরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা নামতেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় এবং সংঘর্ষ বেধে যায়।

    কড়া ব্যবস্থা নেয় মহারাষ্ট্র পুলিশ (Nagpur Clash)

    সংঘর্ষ চলাকালীন প্রচুর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয় এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। জানা গিয়েছে, নাগপুর পুলিশের পক্ষ থেকে সংঘর্ষে যুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই সংঘর্ষের পরেই প্রশাসন নাগপুরের স্পর্শকাতর এলাকায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) মোতায়েন করেছে। দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পুলিশের কঠোর নজরদারিতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।

  • Mohan Bhagwat: ‘ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল, ’ নাগপুরে বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল, ’ নাগপুরে বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান (RSS Chief) মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বৃহস্পতিবার বলেছেন যে ব্রিটিশরা সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করেছিল। মানুষের মন মিথ্যা দিয়ে পূর্ণ করেছিল। তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশরা তাদের ক্ষমতা এবং আমাদের অজ্ঞতার কারণে মিথ্যা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল।

    ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে দিয়েছিল! (Mohan Bhagwat)

    নাগপুরে সোমালওয়ার এডুকেশন সোসাইটির ৭০ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) একুশ শতকে শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন আরএসএস প্রধান। তিনি বলেন, “ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল। আমাদের দেশের মানুষের মনকে অনেক মিথ্যা দিয়ে পূর্ণ করেছিল। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় মিথ্যা ছিল যে ভারতের বেশিরভাগ লোক বাইরে থেকে এসেছিল। ভারতকে আর্যরা আক্রমণ করেছিল, তারা দ্রাবিড়দের সঙ্গে লড়াই করেছিল ইত্যাদি। তারা প্রচার করেছিল যে নিজের দ্বারা শাসন করা ভারতীয়দের রক্তের মধ্যে নেই এবং এখানকার লোকেরা ধর্মশালায় থাকা লোকদের মতো জীবনযাপন করে।” তিনি আরও বলেন, “ব্রিটিশ শাসকদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয়দের তাদের ইতিহাস, পূর্বপুরুষ এবং গর্বিত ঐতিহ্য ভুলিয়ে দেওয়া। এই উদ্দেশ্য কার্যকরী করতে ব্রিটিশরা তথ্যের আড়ালে আমাদের মাথায় বেশ কিছু অসত্য বসিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ডিএমকে পরাস্ত না হওয়া পর্যন্ত জুতো পরব না’’, সংকল্প তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান আন্নামালাইয়ের

    ধর্মের নামে পৃথিবীতে নিপীড়ন-নৃশংসতা চলছে

    এর আগে সোমবার মহানুভব আশ্রমের শতকপূর্তি সমারোহে ভাষণ দিয়ে, আরএসএস প্রধান ভাগবত (Mohan Bhagwat) বিভিন্ন সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করার এবং তাদের ধর্ম তাদের অনুসারীদের কাছে ব্যাখ্যা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কারণ ধর্ম সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি বিশ্বকে নৃশংসতার দিকে পরিচালিত করে। তিনি বলেছিলেন যে ধর্মের ভুল বোঝাবুঝির কারণে পৃথিবীতে নৃশংসতার ঘটনা ঘটে। ধর্মকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে এমন সমাজের প্রয়োজন। ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সঠিকভাবে শেখানো উচিত। ধর্মকে বুঝতে হবে, সঠিকভাবে না বুঝলে ধর্মের অর্ধেক জ্ঞান ‘অধর্ম’ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেছিলেন যে ধর্মের অনুপযুক্ত এবং অসম্পূর্ণ জ্ঞানই ‘অধর্ম’-এর দিকে নিয়ে যায়। ধর্মের নামে পৃথিবীতে যত নিপীড়ন ও নৃশংসতা চলছে তা ধর্ম সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: ঘুম ছুটবে শত্রুদের! ভারতীয় সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ৪৮০টি আত্মঘাতী ‘নাগাস্ত্র’ ড্রোন

    Indian Army: ঘুম ছুটবে শত্রুদের! ভারতীয় সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ৪৮০টি আত্মঘাতী ‘নাগাস্ত্র’ ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংসারে চলে এল নয়া সদস্য ‘নাগাস্ত্র-১’। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই আত্মঘাতী ড্রোন ভারতের শত্রুদের ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে। নাগপুরের সোলার ইন্ডাস্ট্রিজের ‘ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভ লিমিটেড’ নামে এক সংস্থা এই ড্রোন তৈরি করেছে। নাগাস্ত্র হল এক ধরনের ‘লয়টারিং মিউনিশন’ বা ‘আত্মঘাতী ড্রোন’। এই সংস্থাকে ৪৮০টি নাগাস্ত্র তৈরির বরাত দিয়েছিল সেনা। তার মধ্যে প্রথম ধাপে ১২০টি ড্রোন আগেই পেয়েছিল সেনাবাহিনী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, বাকি ড্রোনগুলোও সরবরাহ করেছে ওই সংস্থা। এখন তারা আরও উন্নত ‘নাগাস্ত্র-২’ ও ‘নাগাস্ত্র-৩’  আত্মঘাতী ড্রোন তৈরির কাজ করছে।

    ‘নাগাস্ত্র-১’ ড্রোনের ক্ষমতা

    ‘নাগাস্ত্র-১’ ড্রোনটি নির্দিষ্ট এলাকায় সকলের নজরের আড়ালে অনেক ক্ষণ ধরে আকাশে ঘোরাঘুরি করতে পারে। তবে যত ক্ষণ পর্যন্ত না লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে ‘লক’ করছে তত ক্ষণ পর্যন্ত হামলা চালাবে না। লক্ষ্যবস্তুর চারপাশে ঘোরাফেরা করবে। সেনা সূত্রে খবর, এক একটি নাগাস্ত্রের ওজন আনুমানিক ৯ কেজি। দু’মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে লক্ষ্যবস্তু স্থির করে হামলা চালাতে পারে ড্রোনগুলি। ৩০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে হামলা চালাতে পারে এগুলি। এক ঘণ্টা আকাশে উড়তে পারে ‘নাগাস্ত্র-১’। দু’কেজির মতো বিস্ফোরক বহন করার ক্ষমতা ধরে এক একটি ড্রোন। প্রতিটি ড্রোনে উচ্চমানের জিপিএস ব্যবহার করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারেও এই ড্রোন নজরদারি চালাতে পারে। 

    আরও পড়ুন: মাদক পাচারকারীরা যোগাযোগ রাখত মাস্কের স্টারলিঙ্ক দিয়ে! আন্দামান অভিযানে বড় দাবি পুলিশের

    দেশীয় ড্রোন শিল্পে জোর

    প্রস্তুতকারক সংস্থার মতে, লক্ষ্যবস্তু স্থির করার পর প্রায় নির্ভুল হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে নাগাস্ত্র। এই ড্রোন দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে নাগাস্ত্র ছাড়াও, সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে মিডিয়াম অ্যালটিচুড লং এন্ডুরেন্স (MALE) শ্রেণির ড্রোন ডিজাইন ও উন্নয়নের জন্য প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। অন্যান্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে দেশীয় পদ্ধতিতে ড্রোন তৈরির জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। এই উদ্যোগ দেশীয় ড্রোন শিল্প গড়ে তুলতে সাহায্য় করবে। কম খরচে  উন্নত ক্ষমতার ড্রোন চলে আসবে সেনাবাহিনীর হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: নাগপুরের রেশমবাগের ডাক্তার হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরে শুরু আরএসএসের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির

    RSS: নাগপুরের রেশমবাগের ডাক্তার হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরে শুরু আরএসএসের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস (RSS) ২৫ দিনের বিশেষ কার্যকর্তা বিকাশ বর্গ শুরু করেছে নাগপুরের রেশমবাগের ডাক্তার হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরে (Dr. Hedgewar)। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণবর্গের সাধারণ যে কাঠামো তার থেকে এই বর্গ কিছুটা আলাদা। এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্যে হল, ব্যক্তি মনে রাষ্ট্রীয় ঐক্য এবং সহানুভূতির পুনঃজাগরণ ঘটানো। সামাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঙ্ঘের স্বয়ং সেবকদের পূর্ণ সমর্পণের ভাবনা নিয়ে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।

    মোট ৮৬৮ জন অংশ গ্রহণ করেন (RSS)

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আরএসএস-এর (RSS) সহ সরকার্যবাহ কৃষ্ণগোপালজি, মুকুনন্দজি এবং রামদত্তাজি। একই ভাবে উপস্থিত ছিলেন, অখিল ভারতীয় সহ সেবা প্রমুখ এবং বর্গ পালক রাজকুমারজি মাতালে। এছাড়াও ছিলেন, যোধপুর প্রান্ত সঙ্ঘচালক হরদয়াল ভার্মাজিও উপস্থিত ছিলেন। সকলেই ভারত মায়ের মূর্তিতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরের (Dr. Hedgewar) এই প্রশিক্ষণ বর্গে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে মোট ৮৬৮ জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২৫ দিন ধরে এই প্রশিক্ষণ শিবির চলবে। শিবির সমাপ্ত হবে ১২ ডিসেম্বর। এই বর্গে সামজিক সচেতনতা এবং দায়িত্ব-কর্তব্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

    মানুষের সেবা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রই প্রকৃত ধর্ম

    রেশমবাগের ডাক্তার হেডগেওয়ার (Dr. Hedgewar) স্মৃতি মন্দিরের (RSS) এই প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, বর্গের পালক রাজকুমারজি মাতালে বলেন, “সমাজ জীবনে ব্যক্তি নির্মাণ একান্ত প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, দেশপ্রেম এবং পরস্পর সহাবস্থান একান্ত অপরিহার্য। সঙ্ঘে এই প্রশিক্ষণ একান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে একাধিক প্রদেশে প্রশিক্ষণ বর্গেরও আয়োজন করা হয়। তবে নাগপুরের এই বর্গ বিশেষ বর্গ। একে কার্যকর্তা প্রশিক্ষণ বর্গ বলা হয়। অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা শিক্ষা গ্রহণ করবেন এবং এরপর বাস্তব জীবনে গিয়ে তার প্রয়োগ করবেন। মানুষের সেবা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রই প্রকৃত ধর্ম। মহতি শাখা থেকে ডাক্তারজি কাজ শুরু করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন যে কোনও ভালো কাজ করতে গেলে নানা বাধা আসে। উপহাস, সমালোচনা হয়। কিন্তু পরে পরেই গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ে। আজ সঙ্ঘ সামাজিক কাজে মানুষের মনে বিরাট জায়গা করে নিয়েছে। যারা প্রথমে সমালোচনা করেছে, তারা আজ সঙ্ঘের কাজে যোগদান করছে।”

    ১৯২৫ সালে নাগপুরে বিজয় দশমীর দিনে স্থাপনা

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (RSS) ১৯২৫ সালে নাগপুরে বিজয় দশমীর দিনে স্থাপনা করেছিলেন ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার (Dr. Hedgewar)। কলকাতায় ডাক্তারি পড়তে এসেছিলেন তিনি। বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতি, যুগান্তর দল, গুপ্ত সমিতির সঙ্গে পরিচিত হন। স্বাধীনতার আন্দোলনে যোগদান করেন। দেশ রক্ষা ধর্ম রক্ষার প্রয়োজন অনুভব করেন। এরপর হিন্দু সমাজকে রক্ষার জন্য আরএসএস স্থাপনা করেন নাগপুরে। ১৯২৭ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রশিক্ষণ বর্গ শুরু করেন। প্রথম প্রশিক্ষণে মাত্র ১৭ জন যোগদান করেছিলেন। একমাত্র জরুরি অবস্থা এবং করোনার সময় প্রশিক্ষণ শিবির বন্ধ ছিল। বর্গের ধারার এখনও প্রবাহ বয়ে চলছে।

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    অধিক কাজের জন্য অধিক কার্যকর্তা

    সময়ের প্রয়োজন এবং সমাজের চাহিদাকে সামনে রেখে সঙ্ঘ নিজের প্রশিক্ষণেও পরিবর্তন এনেছে। কঠিন সঙ্কটে কী করণীয়, কীভাবে অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখে সংগ্রাম করতে হয় সেই বিষয়ে বিশেষ শিক্ষা দেওয়া হয়। একই ভাবে ভারতীয় ইতিহাসবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরম্পরা-ঐতিহ্যের বিশেষ পাঠ দেওয়া হয়। শুধু সমাজের সামালোচনাই নয়, সেই সঙ্গে গঠন মূলক ইতিবাচক সমাধানের রাস্তার কথাও বলতে হয়। এই বছর থেকে সঙ্ঘের শতবর্ষ কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। প্রত্যেক গ্রাম, নগর এবং শহরে সঙ্ঘকাজকে (RSS) নিয়ে যাওয়ার বিরাট পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাই অধিক কাজ এবং অধিক কাজের জন্য বেশি সংখ্যক মানুষকে যোগদান করানো প্রধান কাজ বলে মনে করে আরএসএস। তাই স্বয়ং সেবকদের সমাজের সকল স্তরে ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flight: নাগপুর থেকে গ্রেফতার বিমানে বোমাতঙ্কের ষড়যন্ত্রী, লিখেছেন সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বই!

    Flight: নাগপুর থেকে গ্রেফতার বিমানে বোমাতঙ্কের ষড়যন্ত্রী, লিখেছেন সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমানে (Flight) বোমা থাকার ভুয়ো তথ্যের অভিযোগের তদন্তে নতুন মোড়। বিভিন্ন উড়ান সংস্থাকে একের পর এক হুমকি ইমেল পাঠানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালেই নাগপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ধৃতের নাম জগদীশ উকি। তাঁর বাড়ি মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়া এলাকায়। তিনি বোমাতঙ্কের অন্যতম ষড়যন্ত্রী! বছর পঁয়ত্রিশের জগদীশ সন্ত্রাসবাদের ওপর একটি বইও লিখেছেন। কেন এই কাজ করেছেন তিনি? জানতে নাগপুর পুলিশের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ তাঁকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করেছে।

    ৫০০-র বেশি উড়ানে বোমাতঙ্ক! (Flight)

    ১৩ থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে দেশের ৫০০টিরও বেশি উড়ানে (Flight) বোমাতঙ্কের (Bomb Threat) ঘটনা ঘটে। এই হুমকিগুলির বেশিরভাগই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র ২২ অক্টোবরেই ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়ার ৫০টি ফ্লাইট বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটে। এই ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ধৃত উকিকে এর আগেও এক বার গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০২১ সালে। এবারের ঘটনাবলিতে ইমেলে হুমকি পাঠানোর পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন উকি। তাঁর খোঁজ শুরু করেছিল পুলিশ। নাগপুর পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিককে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, বোমা সংক্রান্ত হুমকি ইমেলগুলিতে লেখকের নাম উঠে আসার পর থেকেই তিনি পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। নাগপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্বেতা খেড়করের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, হুমকি ইমেলগুলির সঙ্গে লেখকের যোগ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য এসেছে তদন্তকারী দলের হাতে।

    আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, ২০২৫-এর একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু কখন?

    প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও হুমকি মেল

    শুধু উড়ান (Flight) সংস্থাকেই নয়, বিভিন্ন সরকারি দফতরেও হুমকি ইমেল পাঠিয়েছিলেন তিনি। তালিকায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, রেলমন্ত্রীর দফতর, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর দফতরও। এ ছাড়া আরপিএফের কাছেও হুমকি ইমেল পাঠিয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার পর মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের বাসভবনের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তকারী দলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উকিকে গ্রেফতারের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছিল। পিটিআই জানাচ্ছে, ওই লেখকের দাবি, তাঁর কাছে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত একটি গোপন তথ্য (টেরর কোড) রয়েছে। সেটি নিয়ে তাঁকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া না হলে, তিনি বিক্ষোভ দেখাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গে তাঁর ‘জ্ঞানের পরিধি’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠকের জন্য আর্জি জানিয়েছেন উকি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share