Tag: Nagrakata

Nagrakata

  • CV Ananda Bose: “রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে, পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না”, নাগরাকাটাকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে, পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না”, নাগরাকাটাকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয়েছে, পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এভাবে চলতে পারে না।” রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকে। রাজ্যপাল হিসেবে সব কিছু বিবেচনা করে দেখা উচিত, মাঠে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে তবেই কিছু সুপারিশ করা উচিত আমার। রাজ্যপাল হিসেবে কী সুপারিশ করব, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি (Nagrakata Issue)।”

    গ্রাউন্ড জিরোর পরিস্থিতি আমি জানি (CV Ananda Bose)

    পরে তিনি বলেন, “গ্রাউন্ড জিরোর পরিস্থিতি আমি জানি। সব রিপোর্ট পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, গুরুতর কিছু ঘটেনি। আমি জানি গুরুতর ঘটনা ঘটেছে। আমি নিজে এলাকায় গিয়ে কথা বলি মানুষের সঙ্গে, তাঁদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করি। বাংলায় যা ঘটছে, তা হওয়া উচিত নয়। না বলার সময় এসেছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ করার সময় এসেছে।” প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় বানভাসিদের ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শঙ্করের আঘাত ততটা গুরুতর না হলেও বিজেপির উপজাতি সম্প্রদায়ের নেতা খগেনের আঘাত অত্যন্ত গুরুতর। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

    এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না

    উত্তরবঙ্গের বন্যা দুর্গতদের দেখতে বুধবারই রাজ্যপাল গিয়েছিলেন শিলিগুড়িতে। সেখান থেকে তিনি (CV Ananda Bose) হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির জখম দুই বিধায়ককে দেখতে। পরে সটান চলে যান রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথাও হয়েছে বলে জানান রাজ্যপাল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কথা হলেও, ৩৫৬ ধারা বা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তাঁর সাফ কথা, “রাজ্যে যে একাধিক জায়গায় গুন্ডারাজ চলছে, তা পরিষ্কার। এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না (Nagrakata Issue)।”

    মমতা-রাজ্যপাল সম্পর্ক

    রাজ্যপাল জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পেশাদার সম্পর্ক অটুট রয়েছে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাও রয়েছে, যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। কিন্তু গোটা রাজ্যের আনাচে-কানাচে যা ঘটছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন। এর পরেই রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “গ্রাউন্ড জিরোর পরিস্থিতি আমি জানি। বন্যা দুর্গত এলাকায় গিয়ে আমজনতার সঙ্গে কথাও বলেছি আমি। পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে, সে সম্পর্কে আমি যথেষ্ট অবগত।” তিনি জানান, আগামিদিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক-সহ আর যেখানে যেখানে যাওয়ার প্রয়োজন, সেখানেও যাবেন। উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় পরিস্থিতি নিয়েও নিজের মতামত ব্যক্ত করেন তিনি। রাজনৈতিক দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপে না গিয়ে, পরিস্থিতি মোকাবিলার রাস্তা খুঁজতে হবে বলেও জানান সিভি আনন্দ বোস।

    হেল্পলাইন নম্বর

    প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুর্গত এলাকায় নজরদারি ও প্রশাসনিক তৎপরতা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এজন্য গঠন করা হয়েছে একটি র‌্যাপিড অ্যাকশন সেল। সাহায্যের জন্য যোগাযোগের ঠিকানাও দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে। ফোন করতে পারেন ০৩৩–২২০০১৬৪১ এই নম্বরে। ই-মেল করা যাবে পিসরুমরাজভবন@জিমেল.কম-এ। উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাই হোক কিংবা অন্য কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ, তিনি বারংবার মানুষের পাশে থাকতে ছুটে গিয়েছেন। কথা বলেছেন বিপন্ন মানুষদের সঙ্গে (Nagrakata Issue)। এদিন সেকথাও মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল। তাঁর মতে, এবারও তিনি সেই একই কাজ করেছেন। এর পরেই তিনি (CV Ananda Bose) বলেন, “বাংলার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।”

  • Sukanta Majumder: “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে”, নাগরাকাটাকাণ্ডে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে”, নাগরাকাটাকাণ্ডে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় (Nagrakata Case) বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপির এক সাংসদ ও বিধায়ক। তার পর কেটে গিয়েছে আস্ত দুটো দিন। তার পরেও গ্রেফতার করা হয়নি কাউকেই। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের ‘স্নেহচ্ছায়া’য় বেড়ে চলায় পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই বাড়ছে ক্ষোভের আগুন। সেই কারণেই এবার পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। বুধবার বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন সুকান্ত। শিলিগুড়িতে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে পাল্টা মার হবে। এখনও সময় আছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন।”

    সুকান্তর হুঁশিয়ারি (Sukanta Majumder)

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, “খগেন মুর্মু কেবল সাংসদ নন, তিনি বিভিন্ন সাংবিধানিক পদেও থেকেছেন। শঙ্কর ঘোষ আমাদের বিধায়ক। এঁরা ছাড়াও সেদিন যাঁরা যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন।” অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলেও অভিযোগ সুকান্তর। বিজেপির প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতি বলেন, “খগেন মুর্মুর মুখের হাড় ভেঙে গিয়েছে। ছয় সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে। কথা বলতে পারবেন না চার সপ্তাহ। যারা ওঁকে আক্রমণ করেছিল, তারা প্রকাশ্যে বলেছে, আমরা দিদির সৈনিক। শঙ্কর ঘোষ নিজে আমায় এ কথা বলেছেন। এখানে বিজেপি কেন আসবে, তা-ই নিয়ে ঝামেলা। আমরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, যাদের নাম ও ছবি দেখা গিয়েছে, পুলিশ যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপি বিজেপির মতো করেই ট্রিটমেন্ট করবে।”

    দুষ্কৃতীদের পোস্টার টাঙানো হবে

    সুকান্ত বলেন, “এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি কেন? আমাদের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশের বেতন হবে, আর কেউ গ্রেফতার হবে না! এটা মেনে নেওয়া যায় না। হয় পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, নয়তো পাল্টা মারব আমরা।” তিনি বলেন, “যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের পোস্টার বড় বড় করে টাঙানো হবে জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ির রাস্তায় রাস্তায়। আমাদের ক্ষমতা আছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে। আমরা চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকাতে পারি। পাঁচ হাজার লোক দিয়ে ঘেরাও-ও করতে পারি। কিন্তু আমরা এসব করি না (Nagrakata Case)।” ত্রিপুরায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের দায় চাপানো হয় বিজেপির ঘাড়ে। এদিন সে প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন সুকান্ত। বলেন, “ত্রিপুরায় তৃণমূল আছে নাকি? কংগ্রেস থেকে কয়েকজন টিকিট না পেয়ে তৃণমূল সেজে রয়েছে। আমরা কোথাও দলীয় অফিস ভাঙচুর করি না। এটা আমাদের স্বভাব নয়।” তাঁর প্রশ্ন, “ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গিয়ে কী হবে? ওখানে ওদের তো কেউ নেই।”

    নিশানা মমতাকেও

    জখম সাংসদকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন (Sukanta Majumder) তাঁকেও নিশানা করেন সুকান্ত। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে এসে নাটক করছেন, উনি এখানে থাকা সত্ত্বেও এমন হবে কেন? আদিবাসী সমাজের মানুষকে এমন আক্রমণ করা হবে কেন?” সুকান্ত বলেন, “৮জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ক্যামেরায় হামলাকারীদের মুখও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কী করছে তারা?” মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, “এমন পুলিশমন্ত্রী থাকার চেয়ে তাঁকে বন্যার জলে ফেলে দিলে ভালো হয়!” এর পরেই তিনি বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে।”

    ডিজিপিকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    এদিকে, মঙ্গলবারই শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন (Nagrakata Case) খগেন মুর্মুকে দেখতে গিয়েছিলেন (Sukanta Majumder) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ডিজিপিকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ছাব্বিশে এই রক্তের বদলা হবে সুদ সমেত। উশুল করবে বাংলা। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা হবে। জলপাইগুড়ির এসপি, ডিজিপি রাজীব কুমার দিল্লি যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। স্পিকারের কল আসবে।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, খগেন মুর্মুকে দেখতে এলেও, আর এক আহত বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দেখা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, খগেন মুর্মুর চোট প্রসঙ্গে মিথ্যেও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর বক্তব্য, “বিজেপি সাংসদকে দেখতে এসে মমতা জিজ্ঞেস করেছেন, লাগল কীভাবে? তাঁর প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল, মারল কীভাবে, মারলই বা কারা?” তিনি বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক (Nagrakata Case)।”

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই (Sukanta Majumder) এই ঘটনায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য সরকারের। রাজ্যকে অবিলম্বে রিপোর্ট দিতে হবে, তা না হলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

  • BJP: ‘‘মমতাকে আতঙ্ক গ্রাস করেছে’’, তোপ শুভেন্দুর, ‘‘রাজ্যে দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে’’, প্রতিক্রিয়া শমীকের

    BJP: ‘‘মমতাকে আতঙ্ক গ্রাস করেছে’’, তোপ শুভেন্দুর, ‘‘রাজ্যে দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে’’, প্রতিক্রিয়া শমীকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ যখন বানের জলে ভাসছে, তখন কলকাতায় পুজোর কার্নিভালে গানের তালে কোমর দোলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী! এই উত্তরবঙ্গেরই নাগরাকাটার (Nagrakata) বামনডাঙা এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপির (BJP) দুই নেতা। এঁদের মধ্যে একজন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অন্যজন সাংসদ খগেন মুর্মু। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ার পরপরই বিজেপির এই দুই নেতাকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি হয়। ইটের ঘায়ে জখম হন শিলিগুড়ির বিধায়ক। তাঁর গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ইটের ঘায়ে গুরুতর জখম হন মালদা উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মুও। তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, রক্তে ভেসে যাচ্ছে সাংসদের শরীর। তছনছ করা হয়েছে শংকরের গাড়িও। তাঁকে জুতোও মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। বিজেপির দাবি, বিধায়ক এবং সাংসদের ওপর এই হামলার ঘটনায় রয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত।

    ‘দিদি দিদি’ করে চিৎকার (BJP)

    শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতকও। দুপুরের দিকে ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, “শিলিগুড়ির দিকে রওনা দিয়েছি আমরা। খগেনদা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। আমাদের আগের গাড়ির একটাও কাচ নেই। আমার সারা শরীর কাচে ভর্তি। খগেনদার অবস্থা দেখুন। ত্রাণ দেওয়ার জন্য খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলাম আমরা। আমি, খগেনদা লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সেই সময় কিছু লোক ‘দিদি দিদি’ করে আমার কাছে আসেন। কেন আমরা এসেছি, কী করব এখানে – এ সব জিজ্ঞেস করে তারা হঠাৎই গালাগালি দিতে শুরু করে। তার পরেই পিছন থেকে শুরু করে মারধর। রিলিফ দিতে এসে দেখুন আমাদের সাংসদের কী অবস্থা করেছে।”

    ‘‘রাজ্যে দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে’’: শমীক

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বঙ্গ পদ্ম শিবির। বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আজ নাগরাকাটায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত সাংসদ খগেন মুর্মু। এ রাজ্যে আইনের শাসন নয়, দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে। গতকাল উত্তরবঙ্গের এতবড় ক্ষয়ক্ষতির পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্নিভাল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আর আজ তাঁদের দলের দুষ্কৃতীরা এভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে।”

    “মমতাকে আতঙ্ক গ্রাস করেছে’’, প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুন্ডারা পরিকল্পিতভাবে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা চালিয়েছে।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখন আতঙ্ক গ্রাস করেছে। উত্তরবঙ্গ যখন ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধ্বসের কবলে, যখন বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন ও হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়হীন, সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন, সেই সময়ে তিনি সেলিব্রিটিদের সঙ্গে কার্নিভালে নাচানাচি করছিলেন। তাঁর এই অমানবিক আচরণে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে ক্ষুব্ধ ও বীতশ্রদ্ধ এই বাস্তবটা দেরিতে হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশেষে উপলব্ধি করেছেন। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে ও ক্রমবর্ধমান জনরোষে হতচকিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার অস্ত্রটিকে বেছে নিয়েছেন – তাঁর তথাকথিত বিশেষ সম্প্রদায়ের গুন্ডাদের বিজেপি (Nagrakata) নেতাদের ওপর হামলা করতে উসকানি দিয়েছেন, যাতে তাঁরা ত্রাণ কাজে বা অন্যান্য সাহায্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে না পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপিকে এভাবে ভয় দেখিয়ে থামানো যাবে না। আপনার ভয় ও তোষণের রাজনীতি বাংলার জনগণের ঐক্য ও সাহসের কাছে পরাস্ত হবে।”

    “বাংলায় তৃণমূলের জঙ্গলরাজ’’, অমিত মালব্যর প্রতিক্রিয়া

    এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্য লিখেছেন, “বাংলায় তৃণমূলের জঙ্গলরাজ! উত্তর মালদার দুবারের সাংসদ ও সম্মানিত আদিবাসী নেতা বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে সাহায্য করতে যাওয়ার পথে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা করেছে।” প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির (Nagrakata) নেতা নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের পাশে দাঁড়ানোর সময় এটা। দলমত নির্বিশেষে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। এই সময়ও রাজনীতি করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। সাংসদকে প্রাণে মেরে ফেলার মতো করে আক্রমণ করা হল, এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

    ‘‘বাংলার মানুষ এই কাপুরুষতা ভুলবে না’’, তোপ সুকান্তর

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি গতকাল উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ এবং বহু মানুষের মর্মান্তিক প্রাণহানির খবর পাওয়ার পরেও রেড রোডের কার্নিভাল মঞ্চে উদযাপনে মেতেছিলেন, তিনি স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়েছেন — বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের কর্মী ও নেতাদের প্রতি তিনি কতটা ভীত হয়ে পড়েছেন, যাঁরা গতকাল থেকেই নিরলসভাবে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষ এই কাপুরুষতা ও নির্লজ্জতা কখনও ভুলবে না (Nagrakata)।”

    ‘‘ক্ষমার অযোগ্য’’: সম্বিত পাত্র

    বিজেপি (BJP) নেতা সম্বিত পাত্র বলেন, আজ বাংলায় যখন মানুষ মরছিল এবং গ্রামগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল, তখন বন্যাদুর্গতদের সাহায্য করতে নাগরাকাটার পথে যাচ্ছিলেন সম্মানিত আদিবাসী নেতা ও দুবারের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু সেই সময় তাঁর ওপর নির্মম হামলা চালানো হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় এবং শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়। বন্যাদুর্গতদের সাহায্য করতে যাওয়া একজন সাংসদের ওপর এই ধরনের হামলা ক্ষমার অযোগ্য।”

  • Jalpaiguri: নাগরাকাটা গ্রামীণ হাসপাতালে নেই ওষুধ, নেই ডাক্তার, প্রতিবাদে গেটে তালা দিলেন এলাকাবাসী

    Jalpaiguri: নাগরাকাটা গ্রামীণ হাসপাতালে নেই ওষুধ, নেই ডাক্তার, প্রতিবাদে গেটে তালা দিলেন এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নেতারা উন্নয়নের কথা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বললেও রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা কঙ্কালসার, সেই কথা আরও একবার প্রমাণিত হল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নাগরাকাটা এলাকার গ্রামীণ হাসপাতালের বেহাল অবস্থার ঘটনায়। এলাকার মানুষের অভিযোগ, ডাক্তার ঠিক সময়ে আসেন না। নেই ন্যূনতম চিকিৎসার উপকরণ। আর তাই বিক্ষোভ দেখিয়ে রোগীর পরিজন এবং এলাকাবাসী হাসপাতালের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

    চিকিৎসা পরিষেবা লাটে (Jalpaiguri)?

    জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) সরকারি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিষেবা একেবারে লাটে উঠেছে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, “নাগরাকাটা ব্লকের লুকসান গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসকদের একদম দেখা মেলে না। জরুরি পরিষেবা বলে এখানে কিছু নেই। প্রয়োজনীয় কোনও রকম চিকিৎসা নেই। এখানে কোনও রোগের ওষুধ পাওয়া যায় না।” আজ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে হাসপাতালে উপস্থিত চিকিৎসকদের সামনেই বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনা ঘটে।

    রোগীর বক্তব্য

    সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা না পেয়ে এক রোগী বলেন, “এখানে (Jalpaiguri) ইমার্জেন্সি কোনও শয্যা নেই। ডাক্তারেরা এখানে নিয়মিত আসেন না। বাইরে নিজেদের চেম্বার খুলে চিকিৎসা করেন। যদি চিকিৎসার পরিষেবা দিতে না পারেন, তাহলে হাসপাতাল বন্ধ করে দিন।” আবার নাগরাকাটার (Jalpaiguri) ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ইফরান মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, “দু’জন চিকিৎসক ছুটিতে রয়েছেন। এখানে মাত্র চারজন রয়েছেন। আমাদের টেলি মেডিসিনও দিতে হয়। লোকের অভাব একটা বড় সমস্যা। তবে পরের সপ্তাহ থেকে ডাক্তার চলে এলে সব সমস্যা মিটে যাবে।”

    বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা

    রাজ্য জুড়ে যে স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল, আগেও অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ঠিক মতো হাসপাতলে কর্তব্য পালন না করে বাইরে চেম্বার করার অভিযোগে একাধিক ডাক্তারকে শো-কজ করা হয়েছে। তাঁদের বেতন বন্ধের কথাও সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছিল। এই রাজ্যে মা-মাটির শাসনে সরকারি হাসপাতালে কুকুরের ডায়লেসিসের অভিযোগে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। নিজে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এসএসকেএম-এর চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা যে অত্যন্ত বেহাল তা আরও একবার প্রমাণিত হল এই নাগরাকাটা (Jalpaiguri) গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনায়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share