Tag: Nandigram

Nandigram

  • Suvendu Adhikari: “সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি”, নন্দীগ্রামের ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর বর্ষপূর্তিতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি”, নন্দীগ্রামের ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর বর্ষপূর্তিতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ নভেম্বর ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর ১৮তম বর্ষপূর্তিতে নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি ও শহিদ স্মরণ কর্মসূচিতে যোগদান করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ১৮ বছর আগে এদিন ঘটেছিল ‘অপারেশন সূর্যোদয়’। নন্দীগ্রাম (Nandigram), শুধুমাত্র একটি জায়গার নাম নয়, নন্দীগ্রাম হল ইতিহাস, যা কোনও সময়েই বাংলার মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের মাটি আন্দোলনের মাটি, জমি রক্ষা, মাটি রক্ষা এবং এক আশ্রয়ের মাটি। মানুষের বিশ্বাসের মাটিকে কেড়ে নিতে পারেনি তৎকালীন বাম শাসনও। সিপিএমের অশুভ শক্তি জোর করে জমি দখল করতে চাওয়ার আগ্রাসী মনোভাবকে বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল সাধারণ মানুষ। এদিন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী।

    লালকৃষ্ণ-রাজনাথ-সুষমা স্বরাজ এসেছিলেন (Suvendu Adhikari)

    ১৮ বছর আগেকার অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের ১৮তম বর্ষ। আমরা আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকে যুক্ত ছিলাম, ৪২ টা মামলা খেয়েছি। আমরা এইদিন এইভাবেই উদযাপন করি। এখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ নিরস্ত্র মিছিলে চপ্পল পরে কালো পোশাক পরা গড়বেতা কেশপুর থেকে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী আনা হয়েছিল। হামলা করেছিল সাধারণ জনতার উপর। মোট ১১ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। এই জন্য আত্মবলিদান যারা দিয়েছেন সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তবে শাসন ক্ষমতা এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা ভেবে এখানেই তৃণমূলের লোকজনও আসে। কিন্তু একক ভাবে শুধু তৃণমূল ছিল না, নন্দীগ্রামের (Nandigram) আন্দোলনে লালকৃষ্ণ আডবাণীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। খেজুরির দিকে সমস্ত অবরোধকে তিনিই তুলেছিলেন। গণহত্যার একদিন পর লালকৃষ্ণ আডবাণী, রাজনাথ সিং, সুষমা স্বরাজ সকলে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় লোকসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। টানা ৬২ দিন সংসদ বন্ধ ছিল। তাই নন্দীগ্রামের উপর নেমে আসা তৎকালীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সকলেই আসতে পারেন।”

    কালো পতাকায় বিক্ষোভ

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক হিসেবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন সকাল ৮টা থেকে ১০ টার মধ্যে নিজের কর্মসূচি পালন করেন। অপর দিকে শুভেন্দুর কর্মকাণ্ডের পর তৃণমূলের কর্মসূচি পালন করে। শুভেন্দু নিজের নির্ধারিত সময়েই শহিদ বেদিতে পৌঁছে যান। কালো পতাকা হাতে পদযাত্রা করে বেদিতে মাল্যদান করেন। তিনি মনে করেন কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকায় নয়, বাম শাসনের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে যে কোনও মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পারেন। তবে তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের (Nandigram) আন্দোলনে বিজেপি ছিল। লালকৃষ্ণ আডবাণীর অবদান ভোলার মতো নয়। তিনি অবরোধ তুলে ধরেছিলেন।”

    চারপাঁচটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেননি

    তৃণমূল যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল পরবর্তী সময়ে সেই কথা পালন করেনি। আর তাই নন্দীগ্রামে এই শহিদ দিবসের দিনেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) । তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু আজও পর্যন্ত দিয়ে উঠতে পারেননি। আপনাকে শহিদ মিনার সভার উদ্বোধনে ডাকেনি বলে রাগ করেছেন। আপনাকে কেন ডেকে উদ্বোধন করতে হবে? আমি ফিরোজা বিবি এবং রাধারানী আড়িকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়েছি। আমি আপনি তো ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছি। উনারা কিছুই পাননি। একজন নিজের সন্তানকে হারিয়েছিলেন অপর জন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।” শুধু এখানেই শুভেন্দু থেমে থাকেননি, শুভেন্দু আরও বলেন, “নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত ব্যক্তিদের ডেথ সার্টিফিকেট পর্যন্ত দেয়নি। আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি। চারপাঁচটি পরিবার এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। ওদের দোষ ছিল কারণ বিজেপিতে যোগদান করেছিল। আমি নিজে ওদের টাকা দিয়েছি। এই ঘটনার কথা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। আসল পরিবর্তন ২০১১ সালে হয়নি। আমরা ভুল করেছি। এইবার জনগণকে নিয়ে আসল পরিবর্তন আনবো।”

  • Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সেনাবাহিনীকে সম্মান জানাতে এই অভিযান নিয়েই আলোচনা হয়। আনা হয় প্রস্তাবও। তবে প্রস্তাবে ‘সিঁদুর’ শব্দটি ছিল না। তাই রাজ্য সরকারের আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও, রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানাতে দ্বিধা করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? (Suvendu Adhikari)

    তিনি বলেন, “এই প্রস্তাব আনায় আমরা খুশি। বিজেপির সদস্যপদ নিতে গেলে প্রথমেই উল্লেখিত হয় নেশনস ফার্স্ট। দেশ ক্ষতবিক্ষত হলে সবাই এক সঙ্গে প্রতিবাদ করে। তাই এই প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন করব।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি? সেনাকে কুর্নিশ জানাবেন। আমরা সমর্থন করব, আর আপনারা একটা লাইন রাখবেন না?” তিনি বলেন, “আমার আবেদন প্রস্তাবে অপারেশন সিঁদুর যুক্ত করুন। অতীতে আমার প্রস্তাব আপনারা নিয়েছেন। আর এটা তো দেশের প্রশ্ন।” এই সময় শাসক দলের বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, “সিঁদুর কি সবাই পরে?” সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “হ্যাঁ, সিঁদুর পরে না মাকুরা। ওরা চিনকে সমর্থন করে। যারা ধর্ম মানে না, তারা পরে না।”

    লড়াই পাকিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে

    শুভেন্দুর দাবি, তাঁদের লড়াই কোনও নির্দিষ্ট জাতি-ধর্ম কিংবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। লড়াইটা যারা জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “যারা এখানে থেকে পাকিস্তানের কথা বলে, আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে (Operation Sindoor)। যারা এখানে জঙ্গি সংগঠন আনাসুরুল্লা বাংলাকে সমর্থন করে, লড়াইটা তাদের বিরুদ্ধে।” কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের প্রসঙ্গও টানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন (Suvendu Adhikari), “এপিজে আবদুল কালামকে রাষ্ট্রপতি করেছিল এনডিএ সরকার। জাতের ওপরে উঠে নাজমা হেপতুল্লা, আরিফ খানকে রাজ্যপাল করেছেন নরেন্দ্র মোদিজি।”

    সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা

    ভারতীয় সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভারত মাতা যখন ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, তখন আমাদের বীর সেনারা ১০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে মাসুদ আজহার ছাড়া বাকি প্রায় সব জঙ্গিকে নির্বংশ করেছে। বিএসএফ-সহ প্যারা মিলিটারি, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “তিন-চারজন যারা হাউসের সদস্য তাঁরা অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাইরে নানা কথা বলেছেন। আমি চাই এঁরা ক্ষমা চান।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের এই মন্তব্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিধানসভায়। সেই সময় তৃণমূলের উদয়ন গুহকে উদ্দেশ্য করে তাঁকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলেন শুভেন্দু।

    ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি

    এদিকে, রাজ্যের (Operation Sindoor) ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে ফের নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “যাঁরা প্রকৃত ওবিসি নন, তাঁদের অবৈধভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৈরি হয়েছে, যাতে মুসলিম ভোট ধরে রাখা যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্য সরকার বিধানসভায় যে রিপোর্ট পেশ করেছে, সেখানে ১৮০টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা আছে। এই ১৮০টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ১১৯টি মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাঁর অভিযোগ, সংরক্ষণের বিষয়ে হিন্দু ওবিসিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এদিন ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। পদ্মপার্টির অভিযোগ, ওই রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট। প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। তাঁদের নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বিরোধী দলকে কিছু না জানিয়ে চোরের মতো এসে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বিরোধী দলকে কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তার আগেই বিধানসভা মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওবিসি সংরক্ষণ বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে।” তাঁর প্রশ্ন, “বিচারাধীন বিষয়ে (Operation Sindoor) কীভাবে সংরক্ষণ করা হল?” ওবিসি হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় বিজেপি আন্দোলনে নামবে বলেও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

  • Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধন হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Suvendu Adhikari)। সরকারি কোষাগার থেকে এক কাঁড়ি টাকা খরচ করে তৈরি মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নেন হিন্দুরা। ওই ঘটনায় হিন্দুরা যে ক্ষুব্ধ, তা বিলক্ষণ জানেন মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুদের ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দিতে এদিন উদ্বোধন করা হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। উদ্বোধনের দুদিন আগেই দিঘায় প্রায় হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন করলেন মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    মুখ্যমন্ত্রী যখন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করছেন, তখনই এই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সনাতনী হিন্দুদের নিয়ে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাম না করেই শুভেন্দু নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্য সরকারের সমালোচনায়ও সরব হন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। তবে মৃতের সংখ্যা ২৫ পর্যন্ত গড়াতে পারে। এই সময় পুরো সরকারকে দিঘায় তুলে আনা হয়েছে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সবাই আমাদের অতিথি ছিলেন। ঘটনাটি আমি এক্স হ্যান্ডেলে দিয়েছি ৯টা ১০ মিনিটে। আর সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। কিন্তু ওঁর অনীহা! চটি চাটাদের নিয়ে ফূর্তি করতে গিয়েছেন।”

    রাজ্য সরকারকে নিশানা

    দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন প্রসঙ্গেও এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “পুরো সরকার দিঘায় তুলে এনে ২৮ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়ে মন্দির নাম দিয়েছেন। শ্রী জগন্নাথদেবকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাধারমনের আসল নাম রাহুল যাদব।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “টিকি রাখলেই সবাই ইসকন হয় না। সনাতনী কাজ সকলকে দিয়ে হয় না। জগন্নাথ তো সিগন্যাল দিচ্ছিলেন। ধর্ম বিরোধী কাজ করলে ঈশ্বর মেনে নিতে পারেন না।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “অনুষ্ঠান তো শেষ হয়ে গেল। এ জ্বালা বিশাল জ্বালা। সাজতে এসেছিল (Jagannath Temple) হিন্দু, আমরা বানিয়েছি জালি হিন্দু। রেড রোডে হিজাব পরে হিন্দু ধর্মকে গান্ধা ধর্ম বলে (Suvendu Adhikari)! জালি কোথাকার!”

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের এখনও বাকি এক বছরেরও বেশি সময় (Assembly Elections 2026)। এখন থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মমতার ‘গড়ে’ ধস নামানোর ছক (Suvendu Adhikari)

    ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা ফের প্রার্থী হচ্ছেন ধরে নিয়েই যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন শুভেন্দু। বিজেপি সূত্রে খবর, ভবানীপুর বিধানসভার কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড। এখানেই কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পয়লা মে কার্যালয়ের উদ্বোধনও করতে চান তিনি। মঙ্গলবার এনিয়ে শুভেন্দু আলোচনা করেন ভবানীপুরের বিজেপি নেতা- কর্মীদের সঙ্গে। বিজেপি ধরেই নিয়েছে নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে ভবানীপুর ‘গড়ে’ই এবারও প্রার্থী হবেন মমতা। এই গড়েই ধস নামাতে কোমর কষে নামেছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    রেডি প্ল্যান ‘এ’

    জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রে মমতাকে গোহারা হারাতে ১০০ জনেরও বেশি সক্রিয় কর্মীকে নিয়ে একটি টিম গঠন করা হচ্ছে। এই টিমের কাজ হবে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নানা তথ্য সংগ্রহ করা। তবে এই টিমে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি এই কেন্দ্রের ভোটারদের মন বোঝারও চেষ্টা হবে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। গত বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দুকে টেক্কা দিতে নন্দীগ্রামে ঘাসফুলের প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। সেই নির্বাচনে পদ্ম চিহ্নে দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু।

    নন্দীগ্রামে গোল দিয়ে ঘোল খাইয়েছিলেন

    নির্বাচনের ঢের আগেই তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে তাঁর ঘরের মাঠে দাঁড়িয়ে গোল দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতাকে। নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা যায়, ‘কথা’ রেখেছেন শুভেন্দু। গোহারা হারিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে। শেষে ভবানীপুরে উপনির্বাচন করিয়ে ভোটে জিতিয়ে আনতে হয় মমতাকে। এভাবেই (Suvendu Adhikari) সেবার কোনওক্রমে মুখ রক্ষা হয় তৃণমূল সুপ্রিমোর (Assembly Elections 2026)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু যে অস্ত্রে বধ করেছিলেন মমতাকে, এবারও সেই অস্ত্র প্রয়োগ করেই ভবানীপুরে তৃণমূল নেত্রীর গায়ে ছিটিয়ে দিতে চান পরাজয়ের কালি।

    ভবানীপুরে জেতা সহজ

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু বলেছিলেন, নন্দীগ্রামের চেয়ে ভবানীপুরে জেতা সহজ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শুভেন্দু বৈঠকে দেখিয়ে দিয়েছেন, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে এগিয়ে বিজেপি। এই ওয়ার্ডগুলি হল ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ এবং ৭৪। আর তৃণমূল এগিয়েছিল মাত্র তিনটিতে – ৭৩, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। মুখ্যমন্ত্রী এই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেরই ভোটার। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে বিজেপি তৃণমূল প্রার্থীর চেয়ে পিছিয়ে ছিল মাত্র ২৭৯ ভোটে। মুখ্যমন্ত্রী যে ওয়ার্ডের ভোটার, সেখানেই কার্যালয় খুলে তৃণমূল সুপ্রিমোর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে চান শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই জায়ান্ট কিলারের (নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোর পর এমন খেতাব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে) এহেন উদ্যোগ।

    শুভেন্দুর নির্দেশ

    বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গল-সন্ধ্যার বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে বিশেষ নজর না দিলেও চলবে। তবে বাকি ওয়ার্ডগুলিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আর যদি তা করা যায়, তাহলে এই কেন্দ্রে বিজেপির জয় এক প্রকার নিশ্চিত। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, আগামী এক বছরের মধ্যে যাতে প্রতিটি বুথে বিজেপি লড়াই করার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে পারে, সেই বিষয়ে এখন থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের পদক্ষেপ করতে বলেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলার বিজেপির এক নেতা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই হবে বলে মানসিকভাবে আমরা অনেকেই পিছিয়ে থাকি। কিন্তু শুভেন্দুদা আমাদের শক্তি জুগিয়েছেন।” তিনি বলেছেন, “বুথে শক্তি জোগাতে পারলেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে লড়াইয়ের মুখে ফেলতে পারব। প্রতিটি বুথ আগলে রাখতে পারলেই যে জোরদার লড়াই সম্ভব, বৈঠকে আমাদের মনোবল বাড়িয়ে সে কথাই বলেছেন শুভেন্দুদা।”

    শুভেন্দুর গেম প্ল্যান

    বিজেপি সূত্রে খবর, শুভেন্দুর নির্দেশ, যে ওয়ার্ডগুলিতে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে ছিল, সেগুলিতে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়াতে হবে। আর যেগুলিতে পদ্ম-প্রার্থী পিছিয়েছিলেন, সেগুলিতে কমাতে হবে ব্যবধান। দলীয় কর্মীদের ভোটার লিস্টের দিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৈঠকে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন, ভুয়ো ভোটার বাদ দেওয়ার অছিলায় যেন বিরোধী ভোটারদের নাম বাদ না দেওয়া হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লে কেবল ভবানীপুরই নয় (Assembly Elections 2026), দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রেও বিজেপি প্রার্থীর জয় সম্ভব (Suvendu Adhikari)।

  • BJP: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে গেরুয়া ঝড়, শূন্য তৃণমূল, ‘‘চোরদের বিরুদ্ধে জয়লাভ’’, বললেন শুভেন্দু

    BJP: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে গেরুয়া ঝড়, শূন্য তৃণমূল, ‘‘চোরদের বিরুদ্ধে জয়লাভ’’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম (Nandigram)। সেখানেই গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গেল তৃণমূল। একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপির (BJP) দাপটে খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল। ১২টি আসনের সবগুলিতেই জিতল গেরুয়া শিবির। অত্যন্ত হাস্যকর ভাবে পরাস্ত হতেই বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে তৃণমূল।

    কী লিখলেন শুভেন্দু?

    নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘‘নন্দীগ্রাম ১ এ ৫ নম্বর জিপি’র অন্তর্গত দেশপ্রাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের পরিচালন সমিতি নির্বাচনে ১২টি আসনের সবকটিতেই রাষ্ট্রবাদী প্রার্থীরা চোরদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছেন। চোরেদের হারিয়ে রাষ্ট্রবাদী প্রার্থীদের নির্বাচিত করার জন্য ভোট দাতা সকল সমবায়ী বন্ধুদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। নির্বাচিত সকল সদস্যদের জাতীয়তাবাদী গৈরিক অভিনন্দন জানাই।’’

    দেশপ্রাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন (BJP)

    রবিবারই ছিল নন্দীগ্রাম -১ ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেশপ্রাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন। এই সমিতির মোট আসন সংখ্যা ১২টি। বিজেপি (BJP) ও তৃণমূল উভয় দলই ১২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। অন্যদিকে বামেরা মাত্র ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। শেষপর্যন্ত ১২টি আসনই দখল করল বিজেপি। এরপরেই গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা উৎসবে মেতে ওঠেন।

    ভোটার সংখ্যা ৭৯৯ জন

    জানা গিয়েছে, এই সমবায় আগে তৃণমূলেরই দখলে ছিল। সমবায়ের মোট ভোটার সংখ্যা ৭৯৯ জন। এদিন ভোট পড়ে ৬৩৯টি। সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিকেলেই সামনে আসে ফলাফল। বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকরা গেরুয়া আবির উড়িয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। যাতে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি না হয় তার জন্য মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    জয়ের পর তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মেঘনাথ পাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এই জয় শুভেন্দু অধিকারীর উন্নয়নের জয়। এই জয় মানুষের জয়। এলাকায় অশান্তি নয়, শান্তি চায় নন্দীগ্রামের মানুষ। তাই শাসকদের প্রত্যাখ্যান করে আমাদের প্রার্থীদের সমর্থন করেছে।”

    ২৭ ডিসেম্বর দিনক্ষণ ঠিক থাকলেও হয়নি ভোট

    প্রসঙ্গত, এই সমবায়ের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর। তবে সেইসময় নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় প্রশাসন নির্বাচন স্থগিত রাখে। এদিন সেই নির্বাচন হয়। আর সেই নির্বাচনে সব আসনেই জয়লাভ করেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গেল তৃণমূল।

  • BJP TMC Clash: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে তপ্ত নন্দীগ্রাম, বোমাবাজি, গুলি

    BJP TMC Clash: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে তপ্ত নন্দীগ্রাম, বোমাবাজি, গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় নির্বাচনে চলল গুলি। হল বোমাবাজিও। বাদ যায়নি অগ্নিসংযোগও। রবিবার নির্বাচন ছিল তমলুকের এগ্রিকালচার সোসাইটির। ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে এদিন বেলার দিকে সংঘর্ষ (BJP TMC Clash) বাঁধে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কাঞ্চননগর গ্রামে। খবর পেয়ে এলাকায় যায় পুলিশ।

    পুলিশের সামনেই হয় বোমাবাজি (BJP TMC Clash)

    পুলিশের সামনেই হয় বোমাবাজি। চলে গুলিও। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তপ্ত পরিস্থিতির জেরে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। ঘটনার জেরে ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভয়ে ভোট দিতে যাননি বহু ভোটার। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, “শনিবার থেকেই বুথ এলাকায় জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। ১০০ মিটারের বাইরে ক্যাম্প করার কথা বলা হয়েছিল। অথচ সেখানে রীতিমতো প্রহসন চালিয়েছে তৃণমূল। পুলিশের সামনেই ব্যাপক বোমাবাজি করেছে ওরা। আমাদের এক নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন (BJP TMC Clash), “এই ঘটনার জেরে আমি নিজেও আমার ভোটটা দিতে পারিনি। নন্দীগ্রামের ভোটারদের ওপর তৃণমূলের আস্থা নেই বলেই এমন বোমাবাজি করছে।”

    আরও পড়ুন: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার

    ভীত স্থানীয় বাসিন্দারা

    এদিন সকাল আটটা থেকে কাঞ্চননগর হাইস্কুলে শুরু হয় কৃষি সমবায়ের ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন ২২ জন। নির্বাচন শুরুর দিকে নির্বিঘ্নে ভোট হলেও, বেলা বাড়তেই শুরু হয় উত্তেজনা। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তার পরেই শুরু হয় বোমাবাজি, চলে গুলিও। দেবপ্রসাদ মাইতি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমার বাড়ি এখানেই। বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎই দেখি, কয়েকজন এসে বোমাবাজি করে পালিয়ে যায়। আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি (BJP TMC Clash)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের তৃণমূলকে গোল দিলেন শুভেন্দু, সমবায়ে জয়ী বিজেপি

    Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের তৃণমূলকে গোল দিলেন শুভেন্দু, সমবায়ে জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) তৃণমূলকে ফের দাঁড়িয়ে গোল দিলেন রাজ্যের বিরোধিতা দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলকে কার্যত ‘একঘরে’ করে দিলেন তিনি। সমবায় সমিতির ১২টি আসনের মধ্যে বিজেপি (BJP) পেয়েছে ১১টি। ঘাসফুলের ঝুলিতে গিয়েছে একটি আসন। রবিবারের এই নির্বাচন নিয়ে সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল নন্দীগ্রামে। ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল, শেষ হাসি হাসলেন সেই শুভেন্দুই। উচ্ছ্বাসে মাতলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।

    শুভেন্দু হারিয়েছিলেন মমতাকে (Nandigram)

    এই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রেই খোদ তৃণমূল নেত্রীকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছেন শুভেন্দু। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯০০ এরও বেশি ভোটে তাঁকে পর্যুদস্ত করেছিলেন শুভেন্দু। সেই হার নিয়ে কত কাণ্ডই না হল! শেষমেশ কলকাতার একটি কেন্দ্রে জিতে মুখরক্ষা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। হন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই নন্দীগ্রামেই আরও একবার তৃণমূলকে পর্যুদস্ত করে ছাড়লেন শুভেন্দু।

    দফায় দফায় উত্তেজনা

    এদিন নন্দীগ্রামের ওই সমবায় সমিতি নির্বাচন নিয়ে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ভোটের শুরু থেকে একে অন্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে থাকে। তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গের অভিযোগ, সমবায় নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিজেপি গন্ডগোলের চেষ্টা করছে। বিজেপির সহ সভাপতি সাহেব দাস বলেন, “আমাদের শিবির থেকে ১০০ মিটার দূরত্বের মধ্যেই তৃণমূল ক্যাম্প করেছিল। এ নিয়ে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। তাই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অশান্তিতে ইন্ধন দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদলই।”

    আরও পড়ুন: “মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও বেশি দেশীয়করণ প্রয়োজন”, বললেন ইসরো কর্তা

    ভোটের ফল বেরলে দেখা যায়, ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে হইচই করতে থাকে ঘাসফুল শিবির। পাল্টা (Nandigram) সন্ত্রাসনের অভিযোগ তোলে পদ্ম শিবির। তমলুক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মেঘনাথ পাল বলেন, “নন্দীগ্রামজুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চায় তৃণমূল। ওদের লাগামছাড়া দুর্নীতিতে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। মহেশপুর সমবায় নির্বাচনে অকারণে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির ক্যাম্প অফিসের কাছে গিয়ে ক্যাম্প করেছে তৃণমূল। সেখান থেকে লাগাতার প্ররোচনার চেষ্টা (BJP) করা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানতাম, জয় আমাদের হবেই (Nandigram)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়। সমবায় ভোটে বিপুল জয়ে উড়ল গেরুয়া আবির। সমবায় সমিতি নির্বাচনে দিশেহারা কার্যত শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দুর নির্বাচনী ক্ষেত্র নন্দীগ্রামে (Nandigram) খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস। সমবায় সমিতি নির্বাচনে প্রতীক না থাকলেও বিজেপি (BJP) সমর্থিত প্রার্থীদের কাছে হারলেন তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানসহ প্রার্থীরা।

    ৯টি আসনেই জয়ী বিজেপি (Nandigram)

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ (Nandigram) ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহম্মদপুর সমবায় সমিতি। নন্দীগ্রাম সমবায় সমিতি নির্বাচনে ৯টি আসনের মধ্যে ৯টিতেই জয়লাভ করেন বিজেপি (BJP) সমর্থিত প্রার্থীরা। বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভের পর উল্লাসে ফেটে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা। ভোটের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই গেরুয়া আবিরে জয় উদযাপন করতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহম্মদপুর সমবায় সমিতি নির্বাচন ছিল রবিবার। সমবায় সমিতি নির্বাচনে উত্তেজনা ঘিরে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সমবায় সমিতিতে ন’টি আসনে বিজেপি প্রার্থী দেয়। পালটা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ন’টি আসনে প্রার্থী দেয়। নির্বাচনে কোনও প্রতীক না থাকলেও বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলের মধ্যে সমবায় সমিতি নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনার মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়। বিকেলে ফলাফল বেরোনোর পর বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা ৯টি আসনের মধ্যে ৯টি আসনে জয়লাভ করেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান সুপর্ণা পণ্ডা পরাজিত হন। তার পরে উল্লাসে মেতে ওঠেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির (BJP) জেলা কমিটির সদস্য সুপর্ণা পড়্যা বলেন, “৯টি আসনের (Nandigram) ৯টিই বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন। আমরা মনোনয়নের দিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে এখানে বিরোধী শূন্য করব। কারণ, এই মাটি আমাদের বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। এখানে দুর্নীতিবাজদের কোনও জায়গা নেই।” তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “এটা তো অরাজনৈতিক নির্বাচন। এখানে তো রাজনৈতিক কোনও প্রতীক থাকে না। আর এই সমবায়ের মধ্যে যে বুথগুলি পড়ে ২০২১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যও বিজেপি (BJP)। সুতরাং এখানে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে তৃণমূলের থেকে। তবে এই নির্বাচনের রায় আমরা মাথা পেতে নিচ্ছি। মহম্মদপুর সমবায় সমিতি একটা ঐতিহ্যপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, তা রক্ষার দায়িত্ব মানুষ ওদের দিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘৭০ শতাংশ এক হয়েছে, এবার লক্ষ্য ৯০’’, নন্দীগ্রাম নিয়ে বড় ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘৭০ শতাংশ এক হয়েছে, এবার লক্ষ্য ৯০’’, নন্দীগ্রাম নিয়ে বড় ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হিন্দুত্ব অস্ত্রে শান দিয়ে ফের পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সম্প্রতি বিজেপির (BJP) এক বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ‘জো হামারে সাথ হাম উনকে সাথ’। বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে তাতে আগামী বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে শুভেন্দুর বক্তব্যই যে দলের লাইন হওয়া উচিত তা পদ্ম শিবিরের অনেকেই ‘গোপন’ কথাবার্তায় মেনে নিয়েছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার আইসিসিআর হলে এক আলোচনা সভা এবং পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ‘জো হামারে সাথ হাম উনকে সাথ’ – এই বক্তব্যেই এখনও অনড় রয়েছেন তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমার বিধানসভা নন্দীগ্রামে এখন ৭০ শতাংশ হিন্দু এক হয়ে গিয়েছে। পরের বিধানসভার আগে ৯০ শতাংশ হিন্দুকে এক করব। সব ধর্মের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু, সংখ্যালঘু এক বিশেষ সম্প্রদায়ের শতকরা ৯৫ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট বিজেপিকে দেবে না। আমার শ্রম, সময় এবং আবেদনের মূল্য আছে। যে আবেদন করলে আমি নির্বাচন রাজনীতিতে জিততে পারব। আমার লক্ষ্যকে কার্যকর করতে পারব, সেই ভোটারদেরই আমি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বলেছি। আমি মনে করি আমার যে সনাতনী ভোটব্যাঙ্ক তাঁদেরকে যদি সঙ্ঘবদ্ধ করতে পারি তাহলেই পশ্চিমবঙ্গে একটা সরকার তৈরি হবে যে বিজেপি সরকার মানব ধর্ম পালন করবে। যে সরকারের দুটো চোখ খোলা থাকবে, একটা চোখ বন্ধ থাকবে না।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের একাধিক লোকসভা কেন্দ্রে রাজনৈতিক সমীকরণের নিরিখে ভোট হয়েছিল বলে বিরোধী দলের নেতারা অভিযোগ করেছিলেন। দীর্ঘদিনের কংগ্রেস সাংসদ ছিলেন অধীর চৌধুরী। এবার লোকসভা ভোটে হেরে তাঁর মুখে ধর্মীয় মেরুকরণের কথা শোনা গিয়েছিল। ভোটের ফল বের হওয়ার পর বহু বুথে বুথভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়, একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভোট তৃণমূলের দিকে পড়েছে। ধর্মীয় মেরুকরণের কারণে কিছু আসন বিজেপির (BJP) হাতছাড়া হয়েছে বলে গেরুয়া শিবিরের নেতারা স্বীকার করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Nandigram: নন্দীগ্রামে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এই ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রাম দুই নম্বর ব্লকে। নির্যাতিতার অভিযোগের উপর নির্ভর করে পরিবার এবং এলাকার মানুষ থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মেয়েটি এখানে নিজের মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। দিল্লিতে বাবা-মায়ের কাছে থাকত এবং ওখানেই পড়াশুনা চলছিল তার। এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। ছাত্রীর পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তকে রাজনৈতিক সংরক্ষণ যেন না দেওয়া হয়। কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক অভিযুক্তকে। পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, “আইন আইনের পথে চলবে। দোষী কেউ থাকলে শাস্তি চাই।”

    পরিবারের অভিযোগ (Nandigram)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে ছুটিতে মামার বাড়ি নন্দীগ্রামে (Nandigram) এসেছিল ছাত্রী। গত ২৫মে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। এই ব্যক্তি আবার বিবাহিত এবং এক সন্তানও রয়েছে তার। প্রথমে অভিযুক্ত ব্যক্তি, ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় করে এবং এরপর ভাব করে, তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। সেই সঙ্গে হুমকি দেয়, যদি মুখ খুলিস, তাহলে প্রাণে মেরে ফেলব। কিন্তু বাড়িতে এসে ছাত্রী ভয়ে প্রথমে কিছু না বললেও পরে সবটা খুলে বলে। এরপর নির্যাতন সম্পর্কে জেনে পরিবার এবং এলাকার মানুষ ১০ জুন নন্দীগ্রাম থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করে। পরিবারের আরও দাবি, ঘটনার পর কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। এলাকার প্রতিবেশীদের অভিযোগ, “অভিযুক্ত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। পুলিশ হয়তো শাসকদলের কর্মী বলেই গ্রেফতার করছে না।“

    আরও পড়ুনঃ রোবট অনন্যার প্রেমে ভোজনরসিকরা এই রেস্তোরাঁয় কেন ভিড় জমাচ্ছেন জানেন?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। দোষীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। এই মর্মে একাধিক সামজিক সংগঠনের তরফ থেকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। আবার স্থানীয় (Nandigram) তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেছেন, “অভিযুক্ত কে? তাঁর রাজনীতির রং না দেখেই আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই।” অপর দিকে সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী এখন এলাকা থেকে পলাতক। রাজ্যে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ আগেও শাসক দলের একাধিক নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে উঠে এসেছিল। ঘটনায় তৃণমূল অনেকটাই চাপের মুখে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share