Tag: NASA

NASA

  • Shubhanshu Shukla: ছেলে যাচ্ছে মহাকাশে, ভীত নয়, গর্বিত শুভাংশুর পরিবার

    Shubhanshu Shukla: ছেলে যাচ্ছে মহাকাশে, ভীত নয়, গর্বিত শুভাংশুর পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে মহাকাশ অভিযানের (Space Mission) দলের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন। ভয়ে বুক দুরুদুরু করার কথা পরিবারের। আর তাঁদের কিনা ভয় করছে না! বরং বলছেন, ছেলে মহাকাশে যাচ্ছেন বলে তাঁরা গর্বিত, ভীত নন।

    গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)

    আজ্ঞে, হ্যাঁ। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লর (Shubhanshu Shukla) পরিবারের কথাই বলছি। কিছুদিন পরেই হবে ভারত-মার্কিন যৌথ উদ্যোগে মহাকাশ অভিযান। নভশ্চররা রওনা দেবেন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (ISS) উদ্দেশে। এই অভিযাত্রী দলের ক্যাপ্টেন মনোনীত হয়েছেন শুভাংশু। ছেলের এই সাফল্যে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে শুভাংশুর বাড়িতে খুশির হাওয়া।

    কী বলছে শুভাংশুর পরিবার?

    শুভাংশুর বাবা শম্ভু দয়াল শুক্ল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। তিনি বলেন, “এই অভিযান নিয়ে আমরা মোটেই নার্ভাস হচ্ছি না। বরং ছেলের সাফল্যে গর্ব অনুভব করছি।” শুভাংশুর মা আশা শুক্লা। বলেন, “ছোট ছেলে শুভাংশু ঠান্ডা মাথার ছেলে। ও প্রতিটি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে মেজাজ না হারিয়েই।” শুক্রবারই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে ঘোষণা করা হয় শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) নাম। জানানো হয়েছে, অভিযাত্রী দলে থাকবেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণাণ নায়ারও।

    আরও পড়ুন: বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে নাকি ‘স্মরণীয় দিন’ কাটিয়েছেন শশী! তুলোধনা করল বিজেপি

    ইসরো জানিয়েছে, শুক্ল প্রাইমারি অ্যাস্ট্রোনট। নায়ার তাঁর ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করবেন। শুক্লকে অভিযাত্রী দলের নেতা বেছে নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা চিহ্নিত সার্ভিস প্রোভাইডার এক্সিওম স্পেস আইএনসি। ইসরোর ঘোষণার পরেই অকাল উৎসবে মেতে ওঠেন লখনউয়ের ত্রিবেণী নগর এলাকার লোকজন। শুভাংশুর বাবা বলেন, “আমরা খুব খুশি। ওর সাফল্যে গর্বিত। আমরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি যেন ওদের অভিযান সফল হয়। এ ব্যাপারে আমাদের আত্মবিশ্বাসও রয়েছে। দেশবাসীও তাদের আশীর্বাদ করছেন।”

    তিনি বলেন, “আমি সেক্রেটারিয়েটে চাকরি করতাম। চাইতাম, ছেলে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিক কিংবা ডাক্তার হোক। কিন্তু ভগবান যে ওর জন্য অন্যরকম গন্তব্য লিখে রেখেছেন।” শুভাংশুর গর্বিত বাবা বলছেন, “আমার চার ছেলেমেয়ের মধ্যে ও ছোট। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ও সাফল্য পেয়েছে। ও এয়ারফোর্সে নির্বাচিত হয়েছিল। ইসরোয়ও হয়েছিল। এখন নির্বাচিত হল মহাকাশ অভিযানের (Space Mission) জন্য (Shubhanshu Shukla)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indo US Space Mission: ফের মহাবিশ্বে ভারত! নাসার সঙ্গে মহাকাশে যাচ্ছেন উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্ল

    Indo US Space Mission: ফের মহাবিশ্বে ভারত! নাসার সঙ্গে মহাকাশে যাচ্ছেন উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্ল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহাবিশ্বে, মহাকাশে মহাকালো মাঝে” ফের পা পড়তে চলেছে কোনও ভারতীয় মহাকাশচারীর। আসন্ন ভারত-মার্কিন মহাকাশ অভিযানের (Indo US Space Mission) জন্য প্রধান মহাকাশ-চারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লকে ৷ শুক্রবার, ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা হিউম্যান স্পেস সেন্টার অক্সিওম ৪ মিশনের জন্য একটা মহাকাশ ফ্লাইট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷ এই মিশনের জন্য ন্যাশানাল মিশন অ্যসাইমেন্ট বোর্ড শুভাংশু শুক্লকে (Subhanshu Shukla) দেশের প্রথম প্রধান মহাকাশ যাত্রী রূপে নির্বাচিত করেছে৷ ক্যাপ্টেন বালকৃষ্ণান নায়ারকে মিশনের ব্যাকআপ রূপে সুপারিশ করা হয়েছে৷

    বাহিনীতে যোগদান

    লখনউয়ের বাসিন্দা গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্ল। প্রায় ১৮ বছর আগে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indo US Space Mission)  যোগ দিয়েছিলেন। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্লর দিদি জানিয়েছেন, কার্গিল যুদ্ধই ছিল তাঁর বাহিনীতে যোগদানের অনুপ্রেরণা। ১৯৯৯ সালে, কার্গিল যুদ্ধের সময় গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্লর (Subhanshu Shukla) বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। কিন্ত, ভারতীয় সেনাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের বীরগাথা পড়তে পড়তেই তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেবেন। শুভাংশুর কথায় তাঁর কর্মজীবন ছিল ‘রোলারকোস্টার রাইড’৷ দীর্ঘ কর্মজীবনে তাঁর সু-৩০ এমকেআই, মিগ-২১, মিগ-২৯, জাগুয়ার-সহ একাধিক যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতা লাভের মধ্যে দিয়ে তিনি একজন ফাইটার কমব্যাট লিডার এবং টেস্ট পাইলট হয়ে উঠেছেন৷

    ইসরোর স্পেস ফ্লাইট চুক্তি

    ভারতের মহাকাশে (Indo US Space Mission) প্রথম মানুষ পাঠানোর অভিযান, গগনযান মিশন হবে ২০২৬ সালে। তিন দিন ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন তিন ভারতীয় নভোশ্চর। তারপর, তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। ভারতীয় জলসীমায় এসে ল্যান্ড করবে তাদের মহাকাশযান। তার আগেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আসন্ন অক্সিওম-৪ (Axiom-4) অভিযানে যাচ্ছে নাসা এবং মার্কিন বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা অক্সিওম স্পেস (Axiom Space)। এই অভিযানে একজন ভারতীয় নভোশ্চরকে অংশ করার বিষয়ে অক্সিওম স্পেস এবং নাসার সঙ্গে, স্পেস ফ্লাইট চুক্তি করেছে ইসরো। সম্প্রতি সংসদে এই তথ্য জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রধানমন্ত্রীর এনার্জি তুলনাহীন, তাঁর কাছে অনেক শেখার আছে’’, মোদিতে মুগ্ধ কামাথ

    কবে থেকে প্রশিক্ষণ

    এই অভিযানের (Indo US Space Mission) জন্য অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেই গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্ল (Subhanshu Shukla) এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ারের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। এই অভিযানে, তাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নির্দিষ্ট কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। প্রসঙ্গত, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিরুবন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে গগনযান মিশনের জন্য অন্য তিন মহাকাশ-চারীর সঙ্গে শুভাংশুর নামও ঘোষণা করেছিলেন৷

    ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে

    ১৯৮৪ সালের ৩ এপ্রিল, ‘সোভিয়েত ইন্টারকসমস’ প্রোগ্রামের অধীনে, সয়ুজ টি-১১ মহাকাশযানে (Indo US Space Mission) চড়ে মহাকাশে গিয়েছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন পাইলট, উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মা। এখনও পর্যন্ত তিনিই একমাত্র ভারতীয়, যিনি মহাকাশে পা রেখেছেন। আর তার ৪০ বছর পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে পা রাখতে চলেছেন শুভাংশু (Subhanshu Shukla)। শেষ মুহূর্তে কোনও কারণে গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্ল মহাকাশে যেতে না পারলে, গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ার যাবেন নাসার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sunita Williams: ৫০ দিন ধরে মহাকাশেই আটকে, বিপত্তির মধ্যেই ‘বাগান’ নিয়ে গবেষণা সুনীতার

    Sunita Williams: ৫০ দিন ধরে মহাকাশেই আটকে, বিপত্তির মধ্যেই ‘বাগান’ নিয়ে গবেষণা সুনীতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) মহাকাশে আটকে পড়ে ৫০ দিন অতিক্রম করেছেন। কিন্তু এই বিপত্তির মধ্যেই মহাকাশে বাগান নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি নাসার একটি সুপরিকল্পিত ১০ দিনের মিশনের জন্য বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে (Space) যাত্রা করেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশে আটকে রয়েছেন। তবে অ্যামেরিকা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, হিলিয়াম গ্যাস ফাঁস হওয়ার কারণে বোয়িং স্টারলাইনারটি প্রপালশন সিস্টেম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তবে সুনীতা এবং তাঁর সহযোগী নভশ্চর ব্যারি বুচ উইলমোর এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এ নিরাপদে রয়েছেন।

    গাছের বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা (Sunita Williams)

    গত ৬ জুন থেকে এক্সপিডিশন ৭১ ক্রুদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কাজ চলছে। নাসা জানিয়েছে, সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এই তৃতীয় মহাকাশ মিশনের একজন অভিজ্ঞ মানুষ। মহাকাশের মাধ্যাকর্ষণজনিত আকর্ষণ বা মাইক্রোগ্রাভিটিতে গাছকে জল দেওয়া, বৃদ্ধি এবং পুষ্টি সাধন করে সুপরিপক্ক করার মতো সমস্যাকে দূর করতে তরল পদার্থ অন্বেষণ করার কাজ করছেন তাঁরা। ভবিষ্যতে মহাকাশে বাগান করার জন্য এটি একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ হবে। তাঁদের সফলতা একটি বিরাট নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

    ভূ-মণ্ডলের রিয়েল-টাইম নিয়ে গবেষণা

    সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং উইলমোর একটি আল্ট্রাসাউন্ড ডিভাইস ব্যবহার করে শিরা বা নাড়ী স্ক্যান করার পরিচালনা করছেন। একই ভাবে ভূ-মণ্ডলের ডাক্তারদের দ্বারা রিয়েল-টাইম বিষয়েও পর্যবেক্ষণের কাজ করছেন। তাঁরা নিজেরা একে অপরের ঘাড়, কাঁধ এবং পায়ে শিরাগুলিকে ছবি তুলেছেন। সুনীতা, মহাকাশচারী ম্যাথিউ ডমিনিকের শিরাগুলি স্ক্যান করেছে। এই গবেষণা মানবদেহে মাধ্যাকর্ষণজনিত আকর্ষণ বা মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব বুঝতে সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুনঃ মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস! কী সমস্যা, কীভাবে ফিরবেন পৃথিবীতে?

    জীববিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞান নিয়ে চলছে গবেষণা

    আইএসএস এখন উন্নত জীববিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণার কাজ করে চলেছে। মহাকাশ (Space) কীভাবে মানব জীববিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানকে প্রভাবিত করে তা অনুসন্ধান চলছে। সুনীতারা আইএসএস জল ব্যবস্থা থেকে জীবাণু শনাক্ত করতে ডিএনএ বের করেছেন, যা ভবিষ্যতের মিশনে ক্রু স্বাস্থ্য এবং মহাকাশযানের পরিচ্ছন্নতা উন্নত করতে পারে। ইতিমধ্যে, ইঞ্জিনিয়ররা বোয়িং স্টারলাইনারের সমস্যাগুলি ঠিক করছেন। নাসা আরও জানিয়েছে, বিজ্ঞানীদের দলগুলি সম্প্রতি নিউ মেক্সিকোতে হোয়াইট স্যান্ডস টেস্ট ফ্যাসিলিটিতে একটি স্টারলাইনার থ্রাস্টারের গ্রাউন্ড হট ফায়ার পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। তবে কবে সুনীতাদের (Sunita Williams)  ফিরিয়ে আনা হবে এই নিয়ে খুব দ্রুত ঘোষণা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kakdwip: নাসায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পেলেন কাকদ্বীপের ঋত্বিকা

    Kakdwip: নাসায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পেলেন কাকদ্বীপের ঋত্বিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় নাসার (NASA) গবেষণাগারে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামে যোগ দিতে চলেছেন কাকদ্বীপের (Kakdwip) সুভাষনগরের বাসিন্দা ঋত্বিকা মাইতি। বর্তমান তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। রসায়নবিদ্যা নিয়ে স্নাতকস্তরে পড়ছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর আলোচনা সভাতেও ঋত্বিকা ডাক পেয়েছিলেন। সেখানে তাঁর মৌলিক ভাবনা তুলে ধরেছিলেন।

    প্রবন্ধ লিখে পাঠিয়ে ছিলেন মার্কিন সংস্থায় (Kakdwip)

    এবার নাসার (NASA) বিজ্ঞানীদের সামনে মহাকাশ গবেষণার সম্পর্কে ঋত্বিকা (Kakdwip) তাঁর মৌলিক ভাবনা তুলে ধরবেন। জানা গিয়েছে, মার্কিন সংস্থা এক্সা এ্যারোস্পেস আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নাসার বিজ্ঞানীরা মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কে তরুণ ছাত্রছাত্রীদের হাতে-কলমে শিক্ষাদান করবেন। পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণার সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা তরুণ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মৌলিক ভাবনার কথাও শুনবেন। ইতিমধ্যেই ঋত্বিকা মহাকাশ গবেষণার বিষয় নিয়ে তাঁর মৌলিক ভাবনাকে তুলে ধরে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সেই প্রবন্ধ মার্কিন সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছিল। প্রবন্ধটি পড়ে মার্কিন সংস্থার বিজ্ঞানীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে মনোনীত করেছেন। এরপরই মার্কিন সংস্থা এক্সা এ্যারোস্পেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা অনলাইনে ঋত্বিকার ইন্টারভিউ নেন। সেই ইন্টারভিউতেও তিনি সাফল্য লাভ করেন। এরপরই তাঁকে মার্কিন মুলুকে নাসার গবেষণা কেন্দ্রের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।                  

    উচ্ছ্বসিত ঋত্বিকা

    এবিষয়ে ছাত্রী ঋত্বিকা মাইতি (Kakdwip) বলেছেন, “আমি খুব উচ্ছ্বসিত, এই বিষয়ে আমি পড়াশুনা করছি। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করব। ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে নিজে নিজে যতটা পেরেছি কাজ করার চেষ্টা করেছি। তবে একটা সমস্যা হল আর্থিক সমস্যা। একসঙ্গে এত টাকা ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না। তবে সরকার বা কোনও সংস্থা সহযোগিতা করলে অ্যামেরিকা যেতে পারব। এটা যেমন বিরল সুযোগ, তেমনি যাতায়াতের খরচও অধিক। তাই আনন্দের মধ্যেও একটা বিষণ্ণতা রয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ছেঁড়া হল মমতার ছবি দেওয়া পোস্টার!

    পরিবারের বক্তব্য

    তবে কীভাবে নাসার (NASA) এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ঋত্বিকা, তা নিয়ে চিন্তিত মাইতি পরিবারও (Kakdwip)। ঋত্বিকার বাবা বিশ্বজ্যোতি মাইতি বলেছেন, “এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে কমপক্ষে সাত লক্ষ টাকার প্রয়োজন রয়েছে। আমি পেশায় একজন শিক্ষক। মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এই খরচ বহন করা খুবই কষ্টসাধ্য। জানিনা কীভাবে ঋত্বিকার স্বপ্ন পূরণ হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sunita Williams: মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস, কবে ফিরতে পারেন জানালেন নিজেই

    Sunita Williams: মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস, কবে ফিরতে পারেন জানালেন নিজেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মাসেরও বেশি সময় হতে যায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস, বুচ উইলমোর সহ ৯জন মহাকাশচারী। বুধবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে সরাসরি বার্তা পাঠালেন সুনীতা। সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) বলেন, ‘‘আমরা হার মানছি না। সব রকম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মহাকাশযানটিকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে আমাদের। সে রকম হলে মহাকাশ স্টেশন থেকে নিজেদের ‘আনডক’ করে নিজেরাই ঘরে ফেরার রাস্তা বের করতে পারব।’’

    স্টারলাইনার রকেটে নানান সমস্যা

    প্রসঙ্গত মহাকাশযান বোয়িং সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার ক্যাপসুলে চড়ে ৫ জুন মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার ওই দুই নভশ্চর পাড়ি দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে। অভিযান ঘিরে উত্তেজনাও ছিল তুঙ্গে। দীর্ঘ অপেক্ষা এবং প্রস্তুতির পর এটিই বোয়িং-এর প্রথম মহাকাশচারী নিয়ে যাত্রা। দ্বিতীয়ত, এই ‘ক্রু ফ্লাইট টেস্ট’ অভিযানের উদ্দেশ্য বেসরকারি উদ্যোগে সাধারণের জন্য বাণিজ্যিক ভাবে মহাকাশ সফরের রাস্তা সুগম করা। শুরুতে কথা ছিল, একুশ দিন পরেই ফিরছেন সুনীতারা। কিন্তু হঠাৎই বেঁকে বসে বোয়িং। স্টারলাইনার ওড়ার আগেও রকেটে হিলিয়াম লিকেজের সমস্যা ধরা পড়ে। যাত্রাপথে আরও নানা যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। রকেটের পাঁচটি ‘ম্যানুভারিং থ্রাস্টার’ খারাপ হয়ে যায়। সমস্যা দেখা দেয় একটি ধীর গতির ‘প্রপেল্যান্ট ভালভ্’-এও। সব মিলিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সুনীতাদের (Sunita Williams) ফেরা। একদা এহেন সমস্যার ফলে ফেরার সময় প্রাণ হারান কল্পনা চাওলা সহ আরও অনেকে। তাই এবার আর কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছে না। নাসার ইঞ্জিনিয়ারেরা বোয়িং ক্যাপসুলের যান্ত্রিক ত্রুটি সমাধানের জন্য কাজ করছেন। নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ আগেই জানিয়েছিলেন, মহাকাশচারীদের ফেরানো নিয়ে কোনও তাড়া নেই, নেই দুশ্চিন্তাও।

    আরও পড়ুন: ১০ দিনের বদলে এক মাস মহাকাশে সুনীতা, কেমন আছেন, কী খাচ্ছেন তিনি? জেনে নিন…

    এর মধ্যেই সুনীতারা বুধবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৮ টায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) থেকে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে জানালেন, সব কিছু সুষ্ঠু ভাবে চললে জুলাই মাস শেষের আগেই ফিরছেন তাঁরা। স্টারলাইনারের ফেরা নিয়ে দুই মহাকাশচারীর গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর।

    আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে চলছে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা  

    আপাতত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) নানান বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই সময় কাটছে (Sunita Williams) তাঁদের। যেমন মাইক্রো-গ্র্যাভিটি পরিস্থিতিতে জিন সিকোয়েন্সিং। এ ছাড়া অবসর সময়ে বদলাচ্ছেন মূত্র থেকে পানীয় জল তৈরি করার মেশিনের পাম্প। অন্য দিকে, উইলমোর মহাকাশ থেকে হ্যারিকেন বেরিল-এর আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল পেরিয়ে টেক্সাসে আছড়ে পড়ার দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করেছেন। ফেরা নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা নেই তাঁদের। যে কাজের জন্য এসেছেন, সেটি নিয়েই ব্যস্ত তাঁরা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sunita Williams: ১০ দিনের বদলে এক মাস মহাকাশে সুনীতা, কেমন আছেন, কী খাচ্ছেন তিনি? জেনে নিন…

    Sunita Williams: ১০ দিনের বদলে এক মাস মহাকাশে সুনীতা, কেমন আছেন, কী খাচ্ছেন তিনি? জেনে নিন…

    মাধ্যম নিউজ দেস্ক: দশ দিনের মহাকাশ সফরে গিয়েছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং তাঁর সহযাত্রী বুচ ইউলমোর। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁরা মহাকাশেই আটকে রয়েছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভুত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এখন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই (ISS) আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানেই আছেন তাঁর সহযাত্রী বুচ উইলমোর। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁদের ফেরার খবর না থাকায় তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।

    কবে ফিরবেন সুনীতা ইউলিয়ামস (Sunita Williams)

    এমতাবস্থায় নাসা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক স্টেশনে স্পেস স্টেশনে তাঁরা নিরাপদেই আছেন। ১০ জুলাই পৃথিবীবাসীর উদ্দেশে বার্তা পাঠাবেন সুনীতা। শোনা যাবে তাঁর কথা। সুনীতার বার্তা নাসার ওয়েবসাইটেও তুলে ধরা হবে। ১০ দিনের মিশনে গিয়ে ইতিমধ্যেই ১ মাসের বেশি সময় মহাকাশে (ISS) কাটিয়ে ফেলেছেন সুনীতা (Sunita Williams) ও বুচ। এই মুহূর্তে সুনীতা ও বুচ সহ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মোট ৯ জন মহাকাশচারী রয়েছেন।

    সুনীতার কাজকর্ম

    নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, দৈনন্দিন গবেষণার কাজকর্ম ছাড়াও সাফাইয়ের কাজেও হাত লাগাতে হচ্ছে সুনীতাদের(Sunita Williams)। তাঁরা সিগনস মহাকাশযানের কাছে আবর্জনা ভর্তি ব্যাগও ফেলে এসেছেন। ইতিমধ্যেই চলতি মাসের শেষেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (ISS) সিগনসকে বিচ্ছিন্ন করে প্রশান্ত মহাসাগরে নিয়ে আসা হবে।

    মহাকাশের মেনু (ISS)

    মহাকাশচারীরা মহাকাশে কী ধরনের খাবার খান, তা নিয়েও নেটিজেনদের মধ্যে জিজ্ঞাসা রয়েছে। নাসা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (ISS) মেনুতে থাকে শাকসবজি, ফল, মিষ্টি জাতীয় খাবার। এছাড়াও একশোর বেশি ধরনের খাবার থাকে প্রতিটি মহাকাশ মিশনের জন্য। সেই মিশন শুরু হওয়ার আগে থেকেই মহাকাশচারীদের খাবারের তালিকা তৈরি হয়ে যায়। অনেকদিন মহাকাশে থাকার কারণে খাবার নষ্ট হয় না। যাতে কোনওভাবে খাবার নষ্ট না হয়, সেই লক্ষ্যে বিজ্ঞানীদের হালকা সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। মহাকাশচারীদের খাবার প্রায়ই ডিহাইড্রেটেড এবং ভ্যাকিউম সিল পাউচে প্যাকেট করা থাকে। খাবারে অনেক সময় স্যান্ডউইচ বা স্যুপ জাতীয় খাবারও দেওয়া হয়।

    আরও পড়ূন: অস্ট্রিয়ায় পৌছলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, চ্যান্সেলরের সঙ্গে নৈশভোজ, আজ কূটনৈতিক বৈঠক

    কেচাপ বা মশলা মহাকাশের গুরুত্ব আকর্ষণ না থাকার ফলে ভেসে বেড়াতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে এগুলিকে বিশেষ ধরনের প্যাকেটে রাখা হয়। মাংসের স্টু, চিকেন কারি এবং পাস্তা এবং পুডিং জাতীয় সুস্বাদু খাবারও দেওয়া হয় মহাকাশচারীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sunita Williams: এখনও আটকে, কমছে জ্বালানি! মহাকাশে কী অপেক্ষা করছে সুনীতাদের জন্য?

    Sunita Williams: এখনও আটকে, কমছে জ্বালানি! মহাকাশে কী অপেক্ষা করছে সুনীতাদের জন্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আট দিনের কর্মসূচি ছিল। কথা ছিল, ১৩ জুন ফিরে আসবেন। কিন্তু এখনও ফেরা সম্ভব হয়নি। মহাকাশে আটকে পড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও তাঁর সঙ্গী ব্যারি উইলমোর। কবে আবার পৃথিবীর মাটিতে পা রাখবেন সুনীতারা, তা অনিশ্চিত। নাসার (NASA) তরফে জানানো হয়েছে নিরাপদেই আছেন সুনীতারা। ৬ জুলাই তাঁরা ফিরবেন। আটদিনের অভিযান হয়তো শেষ হবে এক মাসে।  

    কেন আটকে সুনীতারা (Sunita Williams) 

    স্টারলাইন স্পেসক্র্যাফ্ট, যাতে করে সুনীতা-ব্যারি মহাকাশে গিয়েছিলেন, তাতে হিলিয়াম লিক করেছে। এজন্যই তাঁদের ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই যান্ত্রিক গোলযোগ মেরামতির চেষ্টা করছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, রওনা দেওয়ার পর থেকে বোয়িং ক্যাপসুলে পাঁচটি হিলিয়াম লিক হয়েছে, পাঁচটি ম্যানুভারিং থ্রাস্টার খারাপ হয়ে গিয়েছে এবং একটি ধীর গতির প্রপেলান্ট ভালভেও সমস্যা দেখা গিয়েছে।  

    ৫৪ বছর আগের স্মৃতি

    বোয়িং স্টারলাইনারের বর্তমান পরিস্থিতি নাসার ৫৪ বছর আগেকার ‘সফল ব্যর্থ’ মিশনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। ১৯৭০ সালে মহাকাশযানের একটি বিস্ফোরণের ফলে তিনজন মহাকাশচারী পৃথিবী থেকে দুই লাখ পাঁচ হাজার মাইল দূরে চাঁদের চারপাশে থেকে গিয়েছিলেন। এই মিশনটি ছিল অ্যাপোলো ১৩ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাঁদে অবতরণ করার তৃতীয় প্রচেষ্টা। সেই সময় ক্রুদের কাছে বেঁচে থাকাটাই একটা চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছিল। সুনীতাদের কাছেও বিষয়টা হয়তো তাই। আপাতত সুনীতাদের (Sunita Williams) পৃথিবীতে সুরক্ষিত ল্যান্ডিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে গোটা বিশ্ব।

    আরও পড়ুন: নেট পরীক্ষার নতুন দিন ঘোষণা! ওএমআর-এ নয়, পরীক্ষা হবে কম্পিউটারে

    কী বলছে নাসা

    জানা গিয়েছে, স্টারলাইনার মহাকাশযানটি খুব বেশিদিন মহাকাশে থাকতে পারবে না। মহাকশযানটির জ্বালানি ক্ষমতা সীমিত। নিরাপদে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে স্টারলাইনার মাত্র ৪৫ দিন অপেক্ষায় থাকতে পারবে। এর চেয়ে বেশি সময় লাগলেই সংকট তৈরি হতে পারে। তবে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি উইলমোর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিরাপদেই আছেন। তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য রয়েছে। ত্রুটিমুক্ত রয়েছে যোগাযোগের সরঞ্জামও। নাসা (NASA) জানিয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে মহাকাশযানটি যে কোনও সময়ে উড়তে পারে। সব সংকট কাটিয়ে ফিরে আসতে পারে পৃথিবী পৃষ্ঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sunita Williams: মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস! কী সমস্যা, কীভাবে ফিরবেন পৃথিবীতে?

    Sunita Williams: মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস! কী সমস্যা, কীভাবে ফিরবেন পৃথিবীতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে ‘আটকে’ রয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। তিনি ও তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর আপাতত ফিরতে পারবেন না পৃথিবীতে। এমনটাই জানিয়েছে নাসা (NASA)। প্রথমে জানা গিয়েছিল, ২৬ জুন তাঁরা ফিরবেন। কিন্তু এখন নাসা সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত তাঁদের ফেরা সম্ভব নয়। ত্রুটি ধরা পড়েছে তাঁদের মহাকাশযানে। যে মহাকাশযানে তাঁরা গিয়েছিলেন তাতে আর ২৬ দিনের জ্বালানি বাকি রয়েছে। তাই সুনীতাদের পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে।

    কেন আটকে সুনীতারা

    মহাকাশযান বোয়িং স্টারলাইনারকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। গত ৫ জুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা (Sunita Williams)। উৎক্ষেপণের পরেই একাধিক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে তাঁদের মহাকাশযানে। না ঘুমিয়ে নিজেরাই সেই ত্রুটি মেরামত করেন নভশ্চররা। এরপর যাবতীয় সমস্যা পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যায় তাঁদের মহাকাশযান। কিন্তু ফের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে তাঁদের যানে। তাই মহাকাশ স্টেশনেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাঁদের। জানা গিয়েছে সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সহযাত্রী বুচ উইলমোর, দুজনেই সেই আইএসএসে নিরাপদেই রয়েছেন। তাদের সঙ্গে আরও সাতজন ক্রু মেম্বার রয়েছেন। 

    ফিরবেন কবে?

    থ্রাস্টার ট্রাবল শুটিং এবং নির্ধারিত স্পেসওয়াকের কারণে মহাকাশযানটি ফেরত আসতে বিলম্ব হবে বলে জানিয়েছে সিএনএন। স্টিচের মতে, ‘আমাদের দলের ডেটা দেখার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগবে, এরপর আমরা নিশ্চিত করব যে আমরা সত্যিই বাড়িতে আসতে প্রস্তুত।’ বোয়িংয়ের কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের প্রধান মার্ক নাপ্পি বলেন, ‘আমরা এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছি। এক্ষেত্রে স্টেশনে থেকে আরও কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।’ একবার নাসা মহাকাশচারীদের ফিরে আসার সবুজ সংকেত দিলে, স্টারলাইনারের থ্রাস্টারগুলি আইএসএস থেকে ক্যাপসুলটিকে আনডক করতে ব্যবহার করা হবে। এরপর ছয় ঘণ্টায় পৃথিবীতে পৌঁছে যাবেন সুনীতারা (Sunita Williams)। তাঁরা ৬ জুলাই পৃথিবীতে ফিরতে পারেন।

    মহাকাশযান যদি ব্যর্থ হয়

    নাসা (NASA) বলেছে যে প্রপালশন সিস্টেমে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও স্টারলাইনার মহাকাশচারীদের সঙ্গে করে পৃথিবীতে ফিরে আসতে সক্ষম। স্টারলাইনারকে সম্পূর্ণ অকেজো ঘোষণা করা হলে স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগনের মাধ্যমে মহাকাশচারীদের ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। মার্চ মাসে, ক্রু ড্রাগন চার নভোচারীকে মহাকাশ স্টেশনে নিয়ে যায়। জরুরী পরিস্থিতিতে, ক্রু ড্রাগনে আরও নভোচারী বসানো যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: “সংসদীয় ইতিহাসের স্বর্ণালী সময়”, স্পিকার পদে ওম বিড়লাকে স্বাগত মোদির

    কল্পনার স্মৃতি

    ২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারি মহাকাশ অভিযান শেষ করে স্পেস শাটল কলম্বিয়ায় পৃথিবীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কল্পনা চাওলা ও তাঁর সঙ্গীরা। ১লা ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর মাটি ছোঁয়ার ১৬ মিনিট আগে ভেঙে পড়ে কলম্বিয়া। মৃত্যু হয় কল্পনা-সহ বাকি নভোশ্চরদের। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, মহাকাশযান সবদিক থেকে ঠিকঠাক ছিল। খালি হাইড্রোলিক ট্যাঙ্কের তরল দ্রুত কমে আসছিল। এতেই মহাকাশযানের সেন্সর সিস্টেমে গড়বড় শুরু হয়। এবার মহাকাশে আটকে রয়েছেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এর আগে ২০০৬ ও ২০১২ সালে মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন সুনীতা (Sunita Williams)। সব মিলিয়ে ৩২২ দিন মহাকাশে কাটানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি শুধু ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন, ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গেও তাঁর যোগ রয়েছে। তাই তাঁকে উদ্বিগ্ন ভারতও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ethical Hacker: পেয়েছেন নাসার ‘হল অফ ফেম’ স্বীকৃতি, এথিক্যাল হ্যাকিংকেই পেশা করেছেন কাশ্মীরের মুনীব

    Ethical Hacker: পেয়েছেন নাসার ‘হল অফ ফেম’ স্বীকৃতি, এথিক্যাল হ্যাকিংকেই পেশা করেছেন কাশ্মীরের মুনীব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফটওয়্যার ডেভেলপার নয়, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে সব চেয়ে বেশি চাহিদা হ্যাকারদের। কিন্তু এই হ্যাকারদের অপরাধী নয়, বরং গোয়েন্দা বলা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হ্যাকিং শব্দটির সঙ্গে সাইবার অপরাধীরা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কিন্তু হ্যাকারদের শায়েস্তা করতেও হ্যাকিং জানতে হয়। সেই কৌশলকে বলে ‘এথিক্যাল হ্যাকিং’ (Ethical Hacker) অর্থাৎ যেখানে নৈতিকতা থাকে। আর এই এথিক্যাল হ্যাকিং-এর দুনিয়ায় নয়া পালক যোগ করল দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার জুঙ্গালপোরা গ্রামের বাসিন্দা মুনীব আমিন।

    কে এই মুনীব?  

    মুনীব হলেন একজন কাশ্মীরি প্রযুক্তিবিদ, যিনি সম্প্রতি এথিক্যাল হ্যাকিং-এর দুনিয়ায় তার কাজের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছে। একজন এথিক্যাল হ্যাকার হিসেবে ’ (Ethical Hacker) কাজের ক্ষেত্রে তার উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA)-এর ‘হল অফ ফেম’-এ বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। মুনীবের কৃতিত্ব সাইবার নিরাপত্তা জগতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং আজকের ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপে সংবেদনশীল তথ্য রক্ষায় তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে তিনি ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি (IGNOU) থেকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে স্নাতক (BCA) ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করছেন। 
    আসলে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে ভাবে তথ্য চুরি ও সাইবার হানা বাড়ছে তা ঠেকাতেও এই এথিক্যাল হ্যাকারদের ’ (Ethical Hacker)  প্রয়োজন। তাই সাইবার জগতে মুনীবের এই কৃতিত্ব একটি অনুপ্রেরণা হিসাবে রয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে মুনীব বলেছিল, “আজকের ডিজিটাল যুগে, কিছুই সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। একটি সংস্থা যত বড়ই হোক না কেন, যদি এটি কোনও নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকে তবে এটি হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা থেকেই যায়।”  

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    এথিক্যাল হ্যাকিং এর ভবিষ্যৎ ’ (Ethical Hacker)  

    আর ঠিক এই কারণেই সাইবার সিকিউরিটি (Cybersecurity Expert) এবং এথিক্যাল হ্যাকিং বর্তমান সময়ে একটি ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র হিসেবে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে ভারত এবং বিদেশে এই কাজের জন্য একাধিক চাকরির পরিসর রয়েছে। আর এই এথিক্যাল হ্যাকিং দুনিয়ায় প্রবেশ করতে সাধারন ডিগ্রির চেয়েও বেশি প্রয়োজন হার্ডওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে স্ব-শিক্ষা এবং জ্ঞান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NISAR: “মহাকাশ স্টেশনে ভারতীয় মহাকাশচারী এবং নিসার প্রকল্প লঞ্চের জন্য প্রস্তুত” জানালেন মার্কিন দূত

    NISAR: “মহাকাশ স্টেশনে ভারতীয় মহাকাশচারী এবং নিসার প্রকল্প লঞ্চের জন্য প্রস্তুত” জানালেন মার্কিন দূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই দুটি মিশনে মার্কিন সহযগিতা পাবে ভারত। ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি বলেছেন, “আমেরিকা এই বছরের শেষ নাগাদ একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠাবে। এছাড়াও মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মধ্যে একটি যৌথ পৃথিবী-পর্যবেক্ষণ মিশন হবে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিসার’ (NISAR) প্রকল্প। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই মিশন চালু হবে।”

    কী বললেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

    মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা এ বছর একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছতে যাচ্ছি। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন তখন আমরা বলেছিলাম যে, ২০২৪-এর শেষ নাগাদ, আমরা এটি সম্পন্ন করব।” 

    ট্র্যাকে রয়েছে মিশন

    দুটি মিশনই ট্র্যাকে রয়েছে। ভারতবাসীর জন্য এ খবর খুবই গর্বের। ইসরো মহাকাশ গবেষণার নয়া দিগন্ত তুলে ধরেছে। গারসেটি জানিয়েছেন যে, নিসার (NISAR) প্রকল্প একটি যৌথ পৃথিবী-পর্যবেক্ষক মিশন। এর পুরো নাম— NASA ISRO Synthetic Aperture Radar। এটি একটি স্যাটেলাইট যা নাসা এবং ইসরো মিলে তৈরি করছে। এই পর্যবেক্ষক মিশন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। উৎক্ষেপণের তারিখ দ্রুত নির্ধারণ করা হবে। মহাকাশযানটি ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করবে।

    নিসার ভারতের অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট (NISAR)

    ইসরো সূত্রে খবর, উৎক্ষেপণের আগে কাজ শেষ করার মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইটের ৩৯-ফুট-ব্যাস (১২-মিটার) রেডার অ্যান্টেনা, প্রতিফলকের (Reflector) হার্ডওয়্যার উপাদানগুলিতে একটি বিশেষ আবরণ প্রয়োগ করা, যা মিশনে নাসার প্রাথমিক অবদানগুলির মধ্যে একটি। এই বিশেষ আবরণ তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে প্রশমিত করতে পারে।

    আরও পড়ুন: চাঁদের মাটিতে আরও জলের সন্ধান! গবেষণায় বড় দাবি ইসরোর

    এর বিশাল প্রতিফলক পৃথিবীর পৃষ্ঠে মাইক্রোওয়েভ সংকেত প্রেরণ করবে এবং গ্রহণ করবে। প্রতি ১২ দিনে দুবার প্রায় সমস্ত গ্রহের ভূমি এবং বরফের পৃষ্ঠ স্ক্যান করতে সক্ষম করবে এই স্যাটেলাইট।

    কী কাজে লাগবে এই স্যাটেলাইট

    এই মিশনের মাধ্যমে (NISAR)  নাসা এবং ইসরোর মধ্যে প্রথম সম্পূর্ণ সহযোগিতা হচ্ছে। বিজ্ঞানের ভাষায় এটি ট্রেলব্লেজিং স্যাটেলাইট। দুই ধরনের সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডারকে একত্রিত করে, এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠের পরিমাপ পর্যবেক্ষণ করবে। বিশেষত মেরু অঞ্চলের বরফের চাদর এবং হিমালয়ের হিমবাহ, জলাভূমি এবং বনভূমি এবং আগ্নেয়গিরির পরিবর্তন লক্ষ করা ছাড়াও ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবে এই স্যাটেলাইট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share