Tag: NASA

NASA

  • Sunita Williams: সিট বেল্ট বেঁধেও মহাকাশে যাওয়া হল না! শেষ মুহূর্তে বাতিল সুনীতার মহাকাশযাত্রা

    Sunita Williams: সিট বেল্ট বেঁধেও মহাকাশে যাওয়া হল না! শেষ মুহূর্তে বাতিল সুনীতার মহাকাশযাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার তৃতীয় বারের জন্য মহাকাশে পাড়ি (Sunita Williams third space mission) দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মত সিট বেল্ট বেঁধে ‘স্পেস ট্যাক্সি’র মধ্যে বসে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। কিন্তু কিন্তু মহাকাশে ওড়ার আগেই স্থগিত হয়ে গেল সুনীতার যাত্রা। সূত্রের খবর, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই আপাতত স্থগিত করা হয়েছে এই অভিযান। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Sunita Williams)

    ভারতীয় সময় অনুযায়ী ৭ মে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে পৃথিবী ছেড়ে ওড়ার কথা ছিল সুনীতা এবং আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশচারী ব্যারি উইলমোরের। অত্যাধুনিক সিএসটি-২০০ বোয়িং স্টারলাইনারের স্পেস ক্যাপসুলে চেপে মহাকাশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু উড়ানের লিফ্ট-অফের ঠিক ৯০ মিনিট আগে আগে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়, তার জেরেই অভিযান স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। 

    ২৪ ঘণ্টার জন্য অভিযান স্থগিদ 

    এরপর শুরু হয় মেরামতির কাজ। তবে শেষ পর্যন্ত ওই যানের মেরামতি সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত ২৪ ঘণ্টার জন্য অভিযান পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় নাসা। তার পরই স্পেস ট্যাক্সি থেকে বেরিয়ে আসেন সুনীতারা (Sunita Williams)। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, রকেটের দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি ভাল্‌‌ভ খারাপ হয়ে গেছে। সেই সমস্যা মেরামত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিযান বাতিল করতে হল। মঙ্গলবার রাতে ফের অভিযান শুরু হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে নয়া দিন ক্ষণের ঘোষণা হয়নি এখনও।   

    আরও পড়ুন:গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল প্রধানমন্ত্রী মোদি, ভোট দিলেন, সঙ্গে বার্তাও

    উল্লেখ্য, ব্যবসায়িক দিক থেকে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স-কে পাল্লা দিতে নয়া এই স্পেস ক্যাপসুলটিতে করে সুনীতা (Sunita Williams) এবং ব্যারিকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ISS) পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল নাসার। দুবছর আগে বোয়িং স্টারলাইনারের স্পেস ক্যাপসুলটির পরীক্ষামূলক উড়ান সম্পন্ন হয়। সেবার যদিও মানুষ পাঠানো হয়নি। তবে এবার তাতে মহাকাশচারীদের চাপিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা ভেস্তে গেল।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Astronaut Sunita Williams: সঙ্গে থাকছে গণেশের মূর্তি, ফের মহাকাশের পথে সুনীতা উইলিয়ামস

    Astronaut Sunita Williams: সঙ্গে থাকছে গণেশের মূর্তি, ফের মহাকাশের পথে সুনীতা উইলিয়ামস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫৮ বছর বয়সে ফের মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস। এ নিয়ে তৃতীয়বার মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন সুনীতা (Astronaut Sunita Williams)। জানা গিয়েছে, বোয়িংয়ের পরীক্ষামূলক অভিষেক অভিযানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে তাঁর যাত্রা শুরু হবে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) ৭ মে সকাল ৮টা ৪ মিনিটে। তাঁর এবারের যাত্রায় বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মহাকাশযানে সঙ্গী হচ্ছেন বুচ উইলমোর। 

    সুনীতার (Astronaut Sunita Williams) সঙ্গে থাকবে গণেশের মূর্তি

    ক্রিউ ফ্লাইট টেস্ট নামে এই অভিযানটি নাসার তত্ত্বাবধানে হবে। অ্যাটলাস ফাইভ রকেটের মাথায় বসবে স্টারলাইনার ক্যাপসুলটি। ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। এ প্রসঙ্গে নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন বলেন, বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশচারী নিয়ে স্পেস স্টেশনে পাড়ি দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এটা। আমরা এর সাফল্যের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছি। সম্প্রতি, একটি সাক্ষাৎকারে সুনীতা তাঁর ‘গুড লাক চার্ম’ বা সৌভাগ্যের প্রতীক সম্পর্কে খোলসা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, গণেশ তাঁর সবসময়ের সঙ্গী। তাই এই মিশনে তিনি গণেশের মূর্তি তিনি সঙ্গে নিয়ে যাবেন। এর আগে, সুনীতা ভাগবত গীতার কপি সঙ্গে নিয়ে মহাকাশে গিয়েছিলেন।

    তৃতীয়বার মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি

    আনুমানিক ১০ দিনের অভিযানে উইলিয়ামস (Astronaut Sunita Williams) এবং উইলমোর  স্টারলাইনারের প্রযুক্তি ব্যবস্থা এবং ক্ষমতা যাচাই করে দেখবেন। এই পরীক্ষার পরেই স্টারলাইনার মহাকাশ স্টেশনে মানুষ নিয়ে যেতে পারবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দুই নভশ্চর প্রায় এক সপ্তাহ কক্ষপথে থাকবেন। তারপর দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকার কাছাকাছি পৃথিবীতে অবতরণ করবেন। তখন ক্রিউ ক্যাপসুলটি প্যারাশ্যুটের মতো নেমে আসবে, যেখানে সেফ ল্যান্ডিংয়ের জন্য এয়ারব্যাগও থাকবে।

    স্টারলাইনার মহাকাশযানটিতে সাতজন নভশ্চর চড়তে পারেন। এটি একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান। যা সর্বোচ্চ ১০ বার যাতায়াতে সক্ষম। এর ব্যাস প্রায় ১৫ ফুট। এই অভিযান সফল হলে বোয়িং কোম্পানি স্পেস এক্সের ক্রিউ ড্রাগনের সমকক্ষ হবে। যারা নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভশ্চর পাঠায় ও ফেরত নিয়ে আসে। 

    আরও পড়ুন: দেশবাসীর মঙ্গলে পুজো, করলেন সন্ধ্যারতি, অযোধ্যায় রামলালা দর্শনে মোদি

    মহিলা হিসেবে স্পেসওয়াকের নজির

    নাসার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ৫৮ বছর বয়সি সুনীতা (Astronaut Sunita Williams) তাঁর জীবনে দু’বার মহাকাশ যাত্রায় ৩২২ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন। একই সঙ্গে একজন মহিলা মহাকাশচারী হয়ে সর্বাধিক মোট সাতবার একটানা স্পেস ওয়াক করেছেন বা মহাকাশে হেঁটে রেকর্ড করেছেন, যার সময়কাল ছিল ৫০ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। যদিও এবারের মহাকাশ পাড়ি প্রসঙ্গে খোদ সুনীতা বলেছেন, মহাকাশযান উড়লে তা নিরাপদ এবং আরামদায়ক হবে বলেই মনে হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NASA: চলতি বছরের জুলাই ছিল উষ্ণতম মাস, নাসার রিপোর্টে বিশ্ব জুড়ে দুশ্চিন্তা

    NASA: চলতি বছরের জুলাই ছিল উষ্ণতম মাস, নাসার রিপোর্টে বিশ্ব জুড়ে দুশ্চিন্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮৮০ সাল থেকে বিশ্ব উষ্ণায়নের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এই বছরের জুলাই ছিল সর্বকালের উষ্ণতম মাস। নাসা এ নিয়ে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। তাদেরই পরিসংখ্যানে জুলাই মাসে ছিল গত ১৭৪ বছরের মধ্যে সব থেকে বেশি তাপমাত্রা। নাসার এই সতর্কবার্তায় বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে পরিবেশবিদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। অনেকে মনে করছেন, অতিরিক্ত উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হবে না তো!

    বিশ্ব উষ্ণায়ন

    ১৯৫১ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত প্রতিটি বছরের জুলাই মাসের গড় তাপমাত্রা হিসাব করে দেখা গিয়েছে, ওই বছরগুলির জুলাইয়ের তুলনায় ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ১.১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল। আবার ২০২৩ সালের জুলাই মাসে শেষ কবে এমন গরম পড়েছিল, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ পর্যবেক্ষক সংস্থা, এর আগে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে এমনই তথ্য দিয়েছিল। এবার সেই পথে গিয়ে নাসাও একই কথা জানাল। কার্যত বিশ্ব উষ্ণায়নকে ঘিরে চিন্তার কথাই প্রকাশ করল নাসা।

    নাসার বক্তব্য

    নাসার আধিকারিক বিল নেলসন বলেন, মানব সমাজ এবং ভূমণ্ডলকে বাঁচাতে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। নাসার জিআইএসএস (GISS)-এর এক রিপোর্টে বলা হয়, ১৮৮০ সাল থেকে যে উষ্ণতার পরিসংখ্যান রাখা হয়েছে, সেখানে ২০২৩ সালের মতো উষ্ণতা কোথাও নেই। গত ১৭৪ বছরের মধ্যে এই জুলাই মাস ছিল সবথেকে বেশি উষ্ণতার মাস। বিগত কয়েক বছরের থেকে এই বছরের জুলাইয়ের উষ্ণতা ০.২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। রিপোর্টে আরও জানানো হয়, পরিসংখ্যানের বিচারে বিশ্বের গড় তাপমাত্রার পরিমাণ, সবথেকে বেশি হারে বেড়েছে শেষ পাঁচ বছরেই। এই প্রসঙ্গে নাসা আরও জানিয়েছে, দক্ষিণ অ্যামেরিকা, উত্তর আফ্রিকা, উত্তর অ্যামেরিকা, আন্টার্কটিকা দেশেও স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দেশগুলিতে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Water Survey: এবার পৃথিবীর সমস্ত জলাশয় সম্পর্কে তথ্য দেবে নাসার এই বিশেষ স্যাটেলাইট

    Water Survey: এবার পৃথিবীর সমস্ত জলাশয় সম্পর্কে তথ্য দেবে নাসার এই বিশেষ স্যাটেলাইট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের লেক, সমুদ্র, নদীর  উচ্চতা,গভীরতা মাপবে (Water Survey) নাসার স্যাটেলাইট। এর সঙ্গে এই স্যাটেলাইটটি  জলবায়ু এবং আবহাওয়ার বিষয়েও কাজ করবে। এটাই হবে নাসার প্রথম কোনও স্যাটেলাইট যেটি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর জলস্তরের (Water Survey)  বিষয়ে তথ্য দেবে। স্যাটেলাইটটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে SWOT. অর্থাৎ Surface Water and Ocean Topograph. অত্যন্ত আধুনিক মানের radar ব্যবহার করা হয়েছে এই স্যাটেলাইটে। পৃথিবীর তিনভাগ জল। এই সম্পূর্ন জলভাগ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেবে (Water Survey) এই স্যাটেলাইট।

    আরও পড়ুন: ২৫ দিন চাঁদের চারিদিকে পরিভ্রমণ করে পৃথিবীতে ফিরল ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল

    স্যাটেলাইটটি কোথায় তৈরি হয়েছে ?

    স্যাটেলাইটটিকে মহাকাশ অবধি নিয়ে যাবে Falcon 9 নামের রকেট। রকেটটি তৈরি হয়েছে এলন মাস্কের কোম্পানি SpaceX থেকে।

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    SWOT স্যাটেলাইটটি তৈরি করতে ২০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে বলে জানা গেছে। বিজ্ঞানীদের বিবৃতি অনুযায়ী, স্যাটেলাইটে ব্যবহার করা হয়েছে advanced microwave radar technology.সমগ্র পৃথিবীর ৯০ শতাংশ জলভাগের তথ্য দিতে পারবে এই স্যাটেলাইট।

    আরও পড়ুন: এক দশকের মধ্যে চাঁদে বাস করবে মানুষ! কী বললেন নাসার বিজ্ঞানীরা?
    নাসার এই মিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য হল সমুদ্রের জল (Water Survey) কিভাবে তাপ শোষণ করে, কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে ধরে রাখে সেগুলি খুঁজে বের করা। নাসা সূত্রে জানা গেছে, এই স্য়াটেলাইট (Water Survey) অন্য যেকোনও স্যাটেলাইটের থেকে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী।

    আরও পড়ুন: মাদ্রাজ আইআইটির নতুন আবিষ্কার সিন্ধুজা-১, সমুদ্রের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে

    নাসার বিজ্ঞানী কি বললেন?

    নাসার এই প্রজেক্টের অন্যতম বিজ্ঞানী বেন হ্যামিলটন বলেন, “পৃথিবীর প্রায় সমস্ত জলাশয়ের তথ্য দিতে (Water Survey) সক্ষম এই স্যাটেলাইট”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Nasa Orion: ২৫ দিন চাঁদের চারিদিকে পরিভ্রমণ করে পৃথিবীতে ফিরল ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল

    Nasa Orion: ২৫ দিন চাঁদের চারিদিকে পরিভ্রমণ করে পৃথিবীতে ফিরল ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ২৫ দিন চাঁদের চারিদিকে পরিভ্রমণ করার পর পৃথিবীতে ফিরে এল ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল (NASA orion)। ক্ষিপ্র গতিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরে এটি প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে নাসা চাঁদে পুনরায় মানুষ পাঠাতে চাইছে। তারই প্রস্তুতি পর্ব চলছে। মানে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই দশক শেষের আগেই নাসা চাঁদে আবারও মানুষ পাঠাতে পারবে, অন্তত নাসার বিজ্ঞানীদের এমনটাই ধারণা। তিনটি বড় বড় প্যারাশ্যুটের সাহায্যে ক্যাপসুলটি (NASA orion) এদিন অবতরণ করে। প্রায় ৫০ বছর পরে নাসা আবার এই ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে। ১৯৬৯ সালে নাসার প্রজেক্টের নাম ছিল অ্যাপোলো-১৭। এবার তাদের প্রজেক্টের নাম আর্টেমিস। 

    আরও পড়ুন: এক দশকের মধ্যে চাঁদে বাস করবে মানুষ! কী বললেন নাসার বিজ্ঞানীরা?

    নাসার বিবৃতি

    হিউস্টনে অবস্থিত নাসার এই মিশন অফিস। সেখানকার প্রধান নুজৌদ মেরেন্সি বলেন, “পরবর্তী মহাকাশ অভিযানে মানুষ থাকবে, এটা ভাবতে খুব ভালো লাগছে। আমরা উদগ্রীব। আমরা হয়তো আবার দেখব মানুষকে চাঁদে অবতরণ করতে, এটি এমন একটি মিশন যার স্বপ্ন আমরা সবাই দেখছি।” ২৫ দিনের অভিযানের পর ওরিয়নকে (NASA orion) অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনাই ছিল নাসার প্রধান উদ্দেশ্য। ৪০ হাজার কিলোমিটার বেগে ওরিয়ন (NASA orion) পৃথিবীতে প্রবেশ করে। অত্যন্ত আধুনিক তাপ নিরোধক ব্যবস্থা ছিল ওরিয়নে (NASA orion), যা এর আগে কোনও মহাকাশযানে ব্যবহার করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    এটি দুবার চাঁদের ১৩০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ করতে পেরেছে। পৃথিবী থেকে এটি ৪,৩০,০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পেরেছে। চাঁদের অত্যন্ত কাছ থেকে ওরিয়নের (NASA orion) তোলা ছবি দেখে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আশ্চর্য হয়েছেন। যার মধ্যে একটি ছবি ছিল ‘পৃথিবীর উদয়’। পৃথিবী থেকে আমরা যেমন সূর্যোদয় ও চন্দ্রোদয় দেখতে অভ্যস্ত, ঠিক তেমনভাবেই, চাঁদ থেকে পৃথিবীর উদয় কেমন লাগে, তার ছবি পাঠায় ওরিয়ন। সেই ছবি দেখে বিজ্ঞানীরা অভিভূত হয়ে গেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • NASA: এক দশকের মধ্যে চাঁদে বাস করবে মানুষ! কী বললেন নাসার বিজ্ঞানীরা?

    NASA: এক দশকের মধ্যে চাঁদে বাস করবে মানুষ! কী বললেন নাসার বিজ্ঞানীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর আবারও চাঁদে মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করল নাসা (NASA)। চলতি বছরে একের পর এক ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর অবশেষে আর্টেমিস-১ (Artemis Rocket), ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশের পথে পাড়ি দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: মাদ্রাজ আইআইটির নতুন আবিষ্কার সিন্ধুজা-১, সমুদ্রের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে
     

    কী এই আর্টেমিস-১ (Artemis Rocket)

    এদিন সফল উৎক্ষেপনের (Artemis Rocket) পরে নাসার (NASA) এক শীর্ষস্থানীয় অফিসার বলেন, “এই দশক শেষ হওয়ার আগেই মানুষ চাঁদে বাস করতে পারে”। 
    ১৯৬৯ সালে প্রথম মহাকাশচারী হিসেবে চাঁদে গিয়েছিলেন নীল আমস্ট্রং, এডুইন অলড্রিন এবং মাইকেল কলিন্স। তারপর আবারও মহাকাশ গবেষণায় একধাপ এগোল নাসা (NASA)। আর্টেমিস-১ (Artemis Rocket) বহন করছে ওরিয়ন নামের একটি স্পেসক্রাফট। এটি একটি মানব মডেল। মানবদেহে মহাকাশ যাত্রায় কী কী প্রভাব পড়ে, সেটি পরিমাপ করবে এই ওরিয়ন।

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত 

    নাসার বিজ্ঞানীরা কী বলছেন

    ওরিয়ন প্রোগ্রাম ম্যানেজার হাওয়ার্ড হু বলেছেন,  এই উৎক্ষেপণ ছিল “মানুষের মহাকাশ গবেষণার জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন, এটি প্রথম পদক্ষেপ যা সফল হয়েছে, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য, আমরা মনে করি এটি নাসার (NASA) জন্যও একটি ঐতিহাসিক দিন, তবে এটি সেই সমস্ত লোকদের জন্যও একটি ঐতিহাসিক দিন যারা মহাকাশ গবেষণা পছন্দ করেন”৷ তাঁর আরও সংযোজন,
    “আমি বলতে চাইছি, আমরা চাঁদে ফিরে যাচ্ছি, এটি সেই যান যা মানুষকে বহন করবে যা আমাদের আবার চাঁদে নিয়ে যাবে, আমরা মানুষকে চন্দ্রপৃষ্ঠে পাঠাতে যাচ্ছি, তারা সেখানে বসবাস করবে এবং বিজ্ঞান চর্চা করবে ।”
    তিনি বলেন, চন্দ্র অভিযান মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর প্রথম ধাপ।”

    আরও পড়ুন: ব্রহ্মাণ্ডের আদি ছায়াপথগুলির তথ্য দেবে ভারতের ‘সারস’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • China Moon Base: ২০২৮ সালের মধ্যেই চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করে ফেলবে চিন?

    China Moon Base: ২০২৮ সালের মধ্যেই চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করে ফেলবে চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৮ সালের মধ্যে চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করার পরিকল্পনা করছে চিন (China Moon Base)। উদ্দেশ্য, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসার’ একাধিপত্য কমানো। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই মহাকাশের দখল নিয়ে রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। প্রথম মহাকাশচারী রাশিয়া পাঠিয়েছিল তো চাঁদে প্রথম মানুষ পাঠিয়েছিল আমেরিকা। নাসার গবেষণার অন্ত নেই। ভিনগ্রহ প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কিনা, পৃথিবীর মতো আর কোনও গ্রহ রয়েছে কিনা, মঙ্গলের লাল মাটিতে কী রয়েছে, বছরভর এই নিয়ে গবেষণা চালান নাসার বিজ্ঞানীরা।

    বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হিসেবে পিছিয়ে নেই ড্রাগনের দেশও। চিন ছিল প্রথম দেশ, যারা ২০১৯ সালে চাঁদের দুই পৃষ্ঠেই রোভার চালাতে সক্ষম হয়েছিল। লুনার নমুনা সংগ্রহও করে এনেছিল চিন। চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তেই বেস বা থাকার জায়গা (China Moon Base) তৈরি করতে চায় চিন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এখানে জলের সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে নাসার বিজ্ঞানীরাও চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠের রহস্য উন্মোচনে গবেষণারত।

    চিনের লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের চিফ ডিজাইনার কী বলছেন ?

    চাঁদের দক্ষিণপৃষ্ঠকে কেন্দ্র করে একটি আন্তর্জাতিক রিসার্চ সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করছে চিন। সেদেশের সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, চাঁদে থাকার (China Moon Base) এই জায়গা পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে গড়ে উঠবে। চিনের সরকারি টিভি চ্যানেল সিসিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের চিফ ডিজাইনার উ উইরান বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা চাঁদে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হব। চাঁদের বেস ক্যাম্প পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে গড়ে উঠলে তার স্থায়িত্ব বাড়বে।

    মহাকাশ গবেষণা খাতে চিন এবং আমেরিকা এই দুই দেশই হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে। মহাবিশ্বের বিভিন্ন সম্পদ আবিষ্কার এবং রহস্যভেদ করাই এই মিশনগুলির উদ্দেশ্য থাকে। মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। নাসার পাঠানো রোভার লাল গ্রহ থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য পাঠিয়ে চলেছে।

    আরও পড়ুন: “জিনপিং পদত্যাগ করুন”, বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে চিন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Color of Moon: চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রঙ কেন লাল দেখায়? জানাচ্ছেন নাসা বিজ্ঞানীরা

    Color of Moon: চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রঙ কেন লাল দেখায়? জানাচ্ছেন নাসা বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালেই শেষ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ববাসীরা। ২০২৫ সালের আগে আর পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবার সম্ভাবনা নেই।তবে সেই আংশিক চন্দ্রগ্রহণের সময় বরফে ঢাকা দৈত্যাকার ইউরেনাস গ্রহকে দেখার সুযোগ পাবে সকলে।এবার ফিরে আসা যাক পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণে (Total Lunar Eclipse)।এই চন্দ্রগ্রহণে চাঁদকে পুরোপুরি লাল রঙের দেখায় একে ব্লাড মুনও বলে।আমরা ছোটোবেলা কম বেশী সকলেই মনগড়া রাহু কেতুর গল্প পড়েছি। কিন্তু বড়ো হয়ে পাঠ্যবই পড়ে জানতে পেরেছি চন্দ্রগ্রহণ হল পৃথিবী ও চন্দ্র ঘুরতে ঘুরতে যখন এক সরলরেখা বরাবর সূর্য ও চন্দ্রের মাঝে পৃথিবী অবস্থান করে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদে গিয়ে পড়ে তখনই চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। এক্ষেত্রে পৃথিবী সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নিলে তাকে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) বলা হয়।

    নাসার মতে, চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের লাল দেখানোর কারণ আর আকাশ নীল হওয়ার কারণ একই। আবার সেই একই কারণেই সূর্যাস্ত লাল দেখায়। একে বলা হয় রেইলি স্ক্যাটারিং। আলো তরঙ্গের মাধ্যমে এগোয়। বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নীল আলোর ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য হয়। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে লাল আলোর তুলনায় কোনও কণা দ্বারা আরও বেশি সহজে বিক্ষিপ্ত হয়। অন্যদিকে, লাল আলো সরাসরি বায়ুমণ্ডলের মধ্য বেরিয়ে যায়।

    চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের ওপর। ফলে চাঁদের ওপর থেকে ঢাকা পড়ে যায় সরাসরি সূর্যের আলো। সেই সময় প্রতিসরণের ফলে আলো ঠিকরে চাঁদের অন্ধকার অংশে পড়তেই চাঁদকে লাল দেখায়। সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছুঁয়ে খানিকটা চাঁদে যায়, সেই আলো আবার পৃথিবীতে আসার পথে অন্যসব রঙ হারিয়ে লাল রঙটি এসে আমাদের চোখে পৌঁছায়।এ কারণে আজকের চাঁদ অনেকটা রক্তিম বর্ণের দেখায়।আর সেই থেকেই নাম ব্লাড মুন (Blood Moon)।

    কমলা ও লাল এই দু’টি দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কম বিচ্ছুরিত হয়। ওই দু’টি আলোকরশ্মি তাই বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে না। বায়ুমণ্ডলে ওই দু’টি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মির প্রতিসরণ ঘটে। আর তার ফলে সেই আলো কিছুটা বেঁকে গিয়ে পড়ে চাঁদের গায়ে। তাই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের লাল আভা দেখা যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Artemis Mission: আর্টেমিস মিশনের জন্য পুনরায় প্রস্তুত হচ্ছে নাসা

    Artemis Mission: আর্টেমিস মিশনের জন্য পুনরায় প্রস্তুত হচ্ছে নাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দু’বার ব্যর্থতার পর এবার মিশন সফল করতে মরিয়া নাসা (Nasa)। এর আগে হ্যারিকেন ঝড়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল এই মিশনটি (Artemis Mission) । আর্টেমিস ১ মিশনটিতে(Artemis 1 mission)  ইতিমধ্যেই বিরাট অঙ্কের টাকাও খরচ করে ফেলেছে নাসা। ১৪ নভেম্বর ফের এই মহাকাশযানটিকে চাঁদে পাঠানোর তোড়জোড় করছে নাসা।

    নাসা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছিল,মেক্সিকো (Mexico) উপসাগরের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে এগিয়ে আসা হ্যারিকেন ঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে বিশাল রকেটটি কেনেডি স্পেস সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল ফের তা উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ৩২০ ফুটের লম্বা কমলা এবং সাদা রঙের রকেটটি তৈরি করতে কয়েক দশক সময় লেগেছে। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী চাঁদের (Moon) দেবী আর্টেমিসের নাম অনুসারে এই চন্দ্রযানটির নামকরণ করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw] 

    নাসা মারফত জানা গিয়েছে মনুষ্যবিহীন এই আর্টেমিস ১ (Artemis-1 ) এই মহাকাশযানটি (Artemis Mission) আমেরিকান সময় ১২ টা ৭ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে। যদি এই উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা্টি যদি কোনও ভাবে ভেস্তে যায় তাঁর জন্য বিকল্প দিন হিসেবে ১৬ নভেম্বর  ও ১৯ নভেম্বর দিনটিকে রাখা  হয়েছে। এর আগেও জ্বালানির ট্যাঙ্কে ফুটো থাকায় শেষ মুহুর্তে বাতিল করা হয়েছিল উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা। তাই এবার সবদিক থেকে আগাম সতর্কতা নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটি। 

    আর্টেমিস প্রোগ্রামটিকে তিন ভাগে ভাগ করছে নাসা। নাসার ২০২৫ সাল নাগাদ চন্দ্রপৃষ্ঠে মানব নভোচারীদের ফেরানোর পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হচ্ছে আর্টেমিস ওয়ান মিশন (Artemis Mission)। তাঁরা আশা করছেন, এই মিশন সফল হলে চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে। এ মিশনে কোনো নভোচারী না থাকলেও এসএলএস (Space Launch System) রকেটের মাধ্যমে ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফটকে চাঁদের দিকে ছুড়ে দিয়ে উভয়ের কার্যক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছে নাসা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Asteroid Struck By NASA: নাসার ধাক্কা মারা বিশাল গ্রহাণুটি ভেঙ্গে গিয়ে মহাকাশে ধুলোর সৃষ্টি করেছে

    Asteroid Struck By NASA: নাসার ধাক্কা মারা বিশাল গ্রহাণুটি ভেঙ্গে গিয়ে মহাকাশে ধুলোর সৃষ্টি করেছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা (Nasa) পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুকে (Asteroid) ধাক্কা মেরে নিজ কক্ষপথ থেকে সরিয়েছিল নাসার মহাকাশযান ডার্ট বা (Double Asteroid Redirection Test)। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা কোনও মহাজাগতিক বস্তুর হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে এই মহাকাশযানটি বানিয়েছিল নাসা। ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভারতীয় সময় ৪ টা ৪৬ নাগাদ গ্রহানূর সঙ্গে সংঘর্ষে কোটি কোটি অর্থমূল্যের তৈরী মহাকাশযানটি কয়েকটি টুকরোতে খন্ড হয়ে গেল তবে রক্ষা পেল পৃথিবীবাসী।

    [tw]


    [/tw]

    নাসার মহাকাশযানটি যে গ্রহাণুটিকে আঘাত করেছিল তার নাম ডাইমরফোস (Dimorphos) । বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, এই গ্রহাণুটি প্রায় ৫২৫ ফুট চওড়া আস্ত একটি ফুটবলের মতো ছিল। এই ঐতিহাসিক পরীক্ষা দুদিন পরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল চিলিতে ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের ল্যাবে 4.1-মিটার সাউদার্ন অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল রিসার্চ টেলিস্কোপ(Southern Astrophysical Research Telescope)ব্যবহার অত্যাশ্চর্য চিত্র ধরা পড়েছে।নতুন চিত্রটিতে দেখা যাচ্ছে যে মহাকাশযান দ্বারা আঘাত করা গ্রহাণুটি মহাকাশে 10 হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ধুলোর বিস্তার করেছে।

    [tw]


    [/tw] 

    এই টেলিস্কোপটির সাহায্যে অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণুটি সম্পূর্ণ ধংবস হতে ১০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশী দূরত্ব অতিক্রম করবে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন এই শক্তিশালী দূরবীনের মাধ্যমে সমস্ত বিষয়টির উপর লক্ষ্য রাখছেন।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর কেন্দ্রে মিলল বিশাল মহাসাগর 

    নাসা বলেছে যে ওই গ্রহাণু থেকে অন্তত আগামী ১০০ বছরে পৃথিবীর কোনও বিপদ নেই। তবে, পৃথিবীতে গ্রহাণুর আছড়ে পড়া বাস্তব। প্রায় ছয় কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছিল রাক্ষুসে এক গ্রহাণু। পৃথিবীকে সজোরে ধাক্কা মেরেছিল সেটি। প্রবল সংঘর্ষে কেঁপে উঠেছিল নীল গ্রহ। সেই মহাজাগতিক প্রলয়কাণ্ডেই পৃথিবীর বুক থেকে ডাইনোসর নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। ডাইমরফোসের উপর ‘ডার্ট’-এর সফল প্রয়োগে এত দিনে সেই ডাইনোসরদের ‘বদলা’ নেওয়া হল, বলছেন কেউ কেউ। নাসার ‘ডার্ট’ ভবিষ্যতেও এমন বিপদ থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে পারবে বলে আশাবাদী তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share