Tag: NASA

NASA

  • ISRO: সৌরযান আদিত্য-এল১ নিজের গন্তব্যে কবে পৌঁছাবে, জানিয়ে দিলেন ইসরো প্রধান

    ISRO: সৌরযান আদিত্য-এল১ নিজের গন্তব্যে কবে পৌঁছাবে, জানিয়ে দিলেন ইসরো প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরযান ‘আদিত্য-এল১’ কবে পৌঁছাবে তা জানিয়ে দিল ইসরো (ISRO)। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই সূর্যের বিভিন্ন সময়ের ছবি তুলে পাঠিয়েছিল আদিত্য-এল১। সেই ছবি নিজেদের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেছেন, “আদিত্য-এল১ একবার সফল ভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলে আগামী ৫ বছরের জন্য সূর্যের বিভিন্ন অবস্থার সম্পর্কে তুলে ধরতে সাহায্য করবে।” উল্লেখ্য পৃথিবীর উপর সূর্যের প্রভাব কেমন হবে সেই সম্পর্কেও নানা তথ্য উঠে আসবে বলে জানা গিয়েছে। ভারতের জন্য মহাকাশ গবেষণার এই সময় পর্ব বেশ উল্লেখযোগ্য মনে করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একাংশের মানুষ।

    কী বলেন ইসরো প্রধান (ISRO)?

    গত ২ সেপ্টেম্বর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পাঠানো হয়েছিল সূর্যযান আদিত্য-এল১ সৌরযানকে। ইসরো (ISRO) মহানির্দেশক এস সোমনাথ বলেছেন, “আদিত্য-এল১ নিজের নির্ধারিত গন্তব্য স্থলে পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ১১০ দিন। ২০২৪ সালের গোড়ার দিকেই আদিত্য-এল১ নিজের নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাবে। আগামী ৬ জানুয়ারি শুক্রবার এই সূর্যযান নিজের গন্তব্য স্থল ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্ট-১ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে এই সূর্যযান। ভারতের জন্য এই সময় অমৃত কাল, অত্যন্ত গর্বের সময়। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ পর্যবেক্ষণেই সম্ভব হয়েছে সৌরযানের উৎক্ষেপণে।”

    চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় ভারতের

    উল্লেখ্য, গত বছর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মাটিতে সফল ভাবে অবতরণ করেছিল বিক্রম ল্যান্ডার ও প্রজ্ঞান রোভার। সেই ঘটনায় সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল ইসরো। দেশের মধ্যে চন্দ্রযান ৩ নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা ও উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছিল। চন্দ্রযান-৩ অভিযানের মাধ্যমেই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারত পা রেখেছিল। ইসরোর সেই সাফল্যের সুখ্যাতি নাসাও করেছিল। উল্লেখ্য ভারতের বায়ুসেনার সহযোগিতায় ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর কথাও কয়েকদিন আগে জানিয়েছে ইসরো। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, নাসার সঙ্গে ইসরো যৌথ উদ্যোগে পৃথিবীর ভূ-প্রকৃতি, জলভাগ এবং বনাঞ্চলগুলিকে পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ‘নিসার’ উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট পাঠাবে। সম্প্রতি এবিষয়ে নাসার এক বিজ্ঞানী ভারতে এসেছিলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jupiter Moon: ইউরোপায় প্রাণের সন্ধান! বৃহস্পতির উপগ্রহে কার্বণ ডাই অক্সাইডের সমুদ্র, কী বলছেন গবেষকরা?

    Jupiter Moon: ইউরোপায় প্রাণের সন্ধান! বৃহস্পতির উপগ্রহে কার্বণ ডাই অক্সাইডের সমুদ্র, কী বলছেন গবেষকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপাতে প্রাণের সন্ধান! সম্ভব হলেও হতে পারে, দাবি বিজ্ঞানীদের। পৃথিবী ছাড়াও সৌর জগতের আর কোথাও বসতি গড়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা কল্পনা চলে বিজ্ঞানীরদের মধ্যে। এই তালিকাতেই নতুন করে যোগ দিয়েছে বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা। 

    কী বলছেন বিজ্ঞানীরা

    হিমশীতল হলেও ইউরোপাতে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা কম নয় বলে মনে করেন গবেষকরা। কর্নেল ইউনিভার্সিটির গ্রহ বিষয়ক বিজ্ঞানী সামান্থা ট্রাম্বো বলেন, “এর আগে, হাবল টেলিস্কোপ টারা রেগিওতে সামুদ্রিক লবণের হদিশ পেয়েছিল। এবার ভাল মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইডের খোঁজ মিলল। সমুদ্রগর্ভ থেকেই তার উৎপত্তি ঘটেছে বলে অনুমান আমাদের।” ইউরোপা নিয়ে সম্প্রতি দু’টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, যার মধ্যে একটি লিখেছেন সামান্থা। ২১ সেপ্টেম্বর জার্নাল সায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছে সেটি। জানা গিয়েছে, ইউরোপার বুকে স্ফটিকাকার এবং নিরাকার কার্বন, দুইয়েরই খোঁজ মিলেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, ইউরোপার মাটির বয়স অন্তত ৬ কোটি বছর। 

    ইউরোপা কেমন

    আকারে বৃহস্পতির এই উপগ্রহটি চাঁদের থেকে সামান্য একটু ছোট। কিন্তু প্রাণ সঞ্চারের প্রাথমিক শর্ত যেটি, সেই জল নাকি রয়েছে ওই উপগ্রহে। রয়েছে একটা আস্ত সমুদ্র। বিজ্ঞানীরা অন্তত তেমনই দাবি করছেন। তবে ইউরোপার জলে নাকি কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেশি। জীবনের অন্যতম ভিত্তি কার্বন ডাই অক্সাইড। তাই যে সমস্ত জীবের পক্ষে কার্বন ডাই অক্সাইডের সাহায্যে জীবন ধারণ করা সম্ভব, তারা এখানে থাকলেও থাকতে পারে। দেখা গিয়েছে, ইউরোপায় রয়েছে বরফের একটি কঠিন স্তর।আমেরিকার মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা নাসার দাবি, ওই বরফের কঠিন স্তরের নিচে রয়েছে একটি মহাসমুদ্র। ওই মহাসমুদ্রে প্রচুর কার্বন সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    ইউরোপায় অভিযান

    প্রসঙ্গত, গোটা সৌরজগতে ইউরোপার মতো বেশি গ্রহ বা উপগ্রহ নেই। প্রাণের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে, এমন সংখ্যা নগণ্য। ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের অস্তিত্ব পাওয়ায় আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা। ইউরোপার টারা রেগিও নামের একটি অংশে বেশি পরিমাণে এই গ্যাসের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। সেখান থেকেই কোনও একটি সুখবর পাওয়ার আশায় রয়েছে বিজ্ঞানীরা। আপাতত জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে সেদিকটাই খুঁটিয়ে দেখছে নাসা। ইউরোপার উদ্দেশে দু’টি অভিযানের লক্ষ্য রয়েছে গবেষকদের। ২০২৪ সালে নাসার ক্লিপার অভিযানের সূচনা হবে। কক্ষপথ থেকে ইউরোপাকে পর্যবেক্ষণ করবে মহাকাশযানটি। সেখানে প্রাণধারণের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখবে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি-র জুপিটার আইসি মুন এক্সপ্লোরার (Juice) আগামী বছর এপ্রিলে রওনা দেবে ইউরোপার উদ্দেশে। ২০৩১ সালে ইউরোপার কাছাকাছি পৌঁছবে সেটি। বৃহস্পতির তিনটি গ্রহ, ইউরোপা, গানিমিড এবং ক্যালিস্টোর চারপাশে ৩৫ বার চক্কর কাটবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চাঁদের দেশে ভারত! শুভেচ্ছা বার্তা নাসার, সফল সফট ল্যান্ডিং-এর পর আবেগাপ্লুত ইসরো প্রধান

    Chandrayaan 3: চাঁদের দেশে ভারত! শুভেচ্ছা বার্তা নাসার, সফল সফট ল্যান্ডিং-এর পর আবেগাপ্লুত ইসরো প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের মাটিতে সফলভাবে সফট ল্যান্ডিং হয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের। চন্দ্রযান ৩ এর প্রাথমিক পর্যায়ের অভিযান সফল। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে ভারত। আর সফট ল্যান্ডিংয়ের নিরিখে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে জায়গা পাকা করে নিয়েছে। চাঁদের মাটি স্পর্শ করার পরই উল্লাসে ফেটে পড়লেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। গর্বের সঙ্গে ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ ঘোষণা করেন ভারত এখন চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে।

    কী বললেন ইসরো প্রধান

    ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটি স্পর্শ করার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে  কৃতজ্ঞতা জানান ইসরোর প্রধান  এস সোমনাথ। তিনি বলেন, ‘স্যার উই হ্যাভ অ্যাচিভড’। প্রথমেই এই প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকে ধন্যবাদ জানা‌ন তিনি। এস সোমনাথ বলেন, ‘একটু আগে আমাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে এবং আমাদের পরিবারের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন তুমি এবং তোমার ইসরো পরিবার দারুণ কাজ করেছো। আমি প্রথমেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই চন্দ্রযান ৩ মিশনে আমাদের সহায়তা করার জন্য।’ এরপরই এস সোমনাথ আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি প্রত্যেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যাঁরা বিগত কয়েকদিন ধরে চন্দ্রযানের সা্ফল্যের জন্য প্রার্থনা করেছেন। ইসরোর পক্ষ থেকে আমি দেশের সমস্ত নাগরিক এবং দেশের বাইরে থাকা আমাদের শুভাকাঙ্খীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ 

    আন্তর্জাতিক স্তর থেকে শুভেচ্ছা বার্তা

    ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি অর্থাৎ ইএসএ- এর তরফে সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম ‘এক্স’- এ জানানো হয়েছে শুভেচ্ছাবার্তা। ইএসএ- এর ডিরেক্টর জেনারেল জোসেফ লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্য! ইসরোকে শুভেচ্ছা। সমস্ত ভারতবাসীকেও শুভেচ্ছা।’ 

    চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার বিক্রমের সফল সফট ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে ইতিহাস গড়েছে ভারত। আর এই কর্মকাণ্ডেই দেশকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছে ইউকে স্পেস এজেন্সি। সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম ‘এক্স’- এ তাদের তরফে লেখা হয়েছে, ‘ইতিহাস তৈরি হল। ইসরোকে শুভেচ্ছা’।

    ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসাও। ১৪তম নাসা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন। বিল এলসন লিখেছেন, চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পাঠানোর জন্য ইসরোকে শুভেচ্ছা। আর সফট ল্যন্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সফল হওয়ায় ভারতকেও (চতুর্থ স্থান) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বিল নেলসন বলেছেন, ‘এই অভিযানের অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত’। 

    চন্দ্রযান ৩ – এর সাফল্যে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সিও। সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম ‘এক্স’- এ শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছে তারা।

    শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে রাশিয়া থেকেও। বার্তা দিয়েছেন রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস অ্যালিপভ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের পৃথিবী ভেসে আছে এক মহাশূন্যে, আর সেই মহাশূন্যে লুকিয়ে আছে অজস্র রহস্য। সেইসব রহস্য ভেদ করতে পৃথিবীতে আছে অনেক স্পেস স্টেশন, যেখান থেকে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বহির্জগৎ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে, পৃথিবীর বাইরে অর্থাৎ মহাকাশেও আছে ভাসমান স্পেস স্টেশন, যেগুলি পৃথিবীকে প্রতিনিয়ত প্রদক্ষিণ করে চলেছে এবং মহাশূন্য থেকে বিভিন্ন গবেষণা করে চলেছে? ঠিক এরকমই একটি বৃহৎ আকারের স্পেস স্টেশন হল ISS বা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। এই স্পেস স্টেশনটি বিজ্ঞানীদের বসবাসযোগ্য এবং সেখানে অর্থাৎ মহাশূন্যে থেকেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে পারেন। 

    কী এই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন?

    এই ISS বা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন হল এখনও পর্যন্ত মহাকাশে ভাসমান সবথেকে বড় একটি স্পেস স্টেশন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মূল উদ্দেশ্য হল, মহাকাশ বিষয়ক যে কোনও বিষয়বস্তুকে আরও কাছে থেকে গবেষণা করা। মাইক্রোগ্র্যাভিটি, মহাকাশে মানুষের অভিযান, পৃথিবীর আবহওয়া ও বিভিন্ন ভৌগোলিক বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করা। ১৬টি দেশের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার ফসল এই ISS। এর মহাকাশ যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর কজাকাস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রাম লঞ্চ সাইটের একটি লঞ্চ প্যাড থেকে। 

    ওজন ৪৫০ টন, আকারে প্রায় একটি ফুটবল মাঠের সমান

    এর (ISS) ওজন প্রায় ৪৫০ টনের কাছাকাছি। কিন্তু একদিনে এত বড় স্পেস স্টেশন পূর্ণতা পায়নি, পর পর ১২ বছর ধরে ৩০টিরও বেশি মিশনের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় আইএসএস। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২৮০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে পৃথিবীকে ৯০ মিনিটে একবার প্রদক্ষিণ করছে এটি, যা শুনলেই অবাক হতে হয়। এটি একদিনে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে। পৃথিবীর লোয়ার আর্থ অরবিটে মাত্র ৪৮০ কিলোমিটার দূরত্বে এটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। ১৫০ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার খরচে তৈরি এই স্পেস স্টেশন ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ইতিহাসের তৈরি সবথেকে ব্যয়বহুল বস্তু। এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন কানাডা, ইউরোপিয়ন স্পেস এজেন্সি, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের বিজ্ঞানীরা, যাঁরা ISS এর মধ্যে থেকে তাঁদের গবেষণার কাজ করেন। 

    রাতের আকাশে চোখ মেললে দেখা যায় ISS?

    হ্যাঁ, ঠিকই তাই। খোলা চোখে পৃথিবীতে বসেও আমরা দেখতে পাই এই ISS কে। অনেক সময় রাতের আকাশে চোখ রাখলে দেখা যায়, আলোকিত উজ্জ্বল তারার মতো একটি বস্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভেসে চলেছে। সেটিই ISS যা অনেক সাধারণ মানুষই নজর করেছেন। 

    ISS এর ভবিষ্যৎ

    গত এক দশকে মহাকাশ গবেষণায় ও মহাকাশের বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে এই ISS অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, এর ভবিষ্যৎ রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। ২০২৪ সালের পর নাসা এই ISS খাতে আর কোনও অর্থ বিনিয়োগ করবে না বলে জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে নাসা ১০০ বিলিয়ন ডলার নিজে ব্যয় করেছে। ফান্ডিং-এর সংকটের কারণে ২০২৮ সালের পর শেষ হতে চলেছে এই কালজয়ী মহাকাশ স্টেশনের যাত্রা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Solar Storm: ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়, ইন্টারনেট শূন্য হতে পারে বিশ্ব! আশঙ্কা নাসার

    Solar Storm: ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়, ইন্টারনেট শূন্য হতে পারে বিশ্ব! আশঙ্কা নাসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনকার প্রজন্ম ইন্টানেটের উপর নির্ভরশীল। আজকের দিনে ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই দিন কাটছে বহু মানুষের। পড়াশোনা চলছে অনলাইনে। দূর-দূরান্ত থেকে ডাক্তাররা রোগী দেখছেন ইন্টারনেট পরিষেবার দ্বারা। এই আবহে সৌর ঝড়ের ফলে যদি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইন্টারনেট পরিষেবা। তাহলে তো সমূহ বিপদ। সৌর ঝড়ের (Solar Storm) ফলে ফাটল ধরতে পারে পৃথিবীর আবরণের চৌম্বক ক্ষেত্রে, বেতারযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে, জিপিএস বিকল হতে পারে, বিঘ্নিত হতে পারে মোবাইল নেটওয়ার্ক, এমনকী ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে, অনুমান গবেষকদের। এই ঝড়ের কারণে সমুদ্রের তলা দিয়ে যেই অপটিক ফাইবার বিছানো রয়েছে তা অফলাইন হয়ে গিয়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

    সৌর ঝড় কী ?

    সূর্যপৃষ্ঠ থেকে নানা ধরণের অগ্ন্যুৎপাত ও শক্তি নির্গত হয়। এই অগ্ন্যুৎপাত ও শক্তির সমন্বয়ে তৈরি হয় সৌর ঝড় (Solar Storm)। এর মধ্যে থাকে ফ্লেয়ার (Flares), প্রমিনেন্স (Prominence), সানস্পট (Sunspots) এবং করোনাল মাস ইজেকশন (Coronal Mass Ejections) বা সিএমই (CME)। এগুলির মধ্যে সঞ্চিত চৌম্বকশক্তি সূর্যের গরম গ্যাসকে সক্রিয় করে। কখনও কখনও সৌর ঝড় পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রর দিকে চলে আসে এবং ধাক্কা খায়। সেই সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঘর্ষণের ফলে আকাশে অদ্ভুত আলোর সৃষ্টি করে।

    সৌর ঝড় কী কী করতে পারে ?

    সৌর ঝড়ের (Solar Storm) মধ্যে অবস্থিত শক্তি নিজের একটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। যা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। একটি সৌর ঝড় স্যাটেলাইট, টেলি-যোগাযোগ এবং নেভিগেশন সিস্টেমকে ব্যাহত করতে পারে। পাওয়ার গ্রিড ধংস করতে পারে, নির্দিষ্ট কোনও অঞ্চলে অন্ধকার বা ব্ল্যাকআউটের কারণ হতে পারে।

    নাসার সতর্কীকরণ

    কয়েক দিন ধরেই সূর্যে উথালপাথাল পরিস্থিতি। সৌর ঝড় নিয়ে আগেও সতর্ক করেছে নাসা। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সেই সতর্কবার্তা সত্যি করে পৃথিবীর গায়ে এসে লাগল সৌর ঝড়ের (Solar Storm) ধাক্কা। সৌর ঝড়ের ফলে সূর্যের মধ্যেকার আগুনে পদার্থ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় চারদিকে। মহাকাশে সৌরজগতের অন্যত্রও সেই পদার্থের বিচ্ছুরণ ঘটে। প্রভাব পড়ে সূর্যের বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহের পারিপার্শ্বিকে। পৃথিবীর উপরেও সম্প্রতি সৌরঝড়ের প্রভাব পড়েছে। আমেরিকার ন্যাশনাল ওসানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নোয়ার তরফে জানানো হয়েছে, সৌর ঝড়ের ধাক্কায় পৃথিবীর চৌম্বকীয় তরঙ্গে ঝড় উঠেছে। রবিবার রাত থেকে এই ভূ-চৌম্বকীয় তুফান শুরু হয়েছে। যা চলবে সোমবার সারা দিন। এই ঝড়ের ফলে পৃথিবীর বুকে একাধিক দেশের আকাশে দেখা গিয়েছে অভিনব মেরুজ্যোতি।

    আরও পড়ুন: মাল্টিভিটামিনের অভাবে ভুগছেন প্রতি ১০ জন মহিলার ৭ জনই! কীভাবে রুখবেন?

    অভিনব মেরুজ্যোতি

    ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রবিবার রাতে আকাশে মেরুজ্যোতির ছটা লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহাজাগতিক আলোয় ছেয়ে গিয়েছিল আকাশের একাংশ। দক্ষিণ ইউরোপ, এমনকী ফ্রান্স পর্যন্ত এই মেরুজ্যোতির ঝলক দেখা গিয়েছে। চিনের আকাশে উজ্জ্বল লাল রঙের মেরুপ্রভা দেখতে পেয়েছেন অনেকে। বার্লিনে রাতের আকাশে দেখা গিয়েছে গাঢ় সবুজ রঙের আলো। এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখা যায়নি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। একই দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে পোল্যান্ডও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NASA: নাসার মুখ্য প্রযুক্তিবিদ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত, জানুন কে

    NASA: নাসার মুখ্য প্রযুক্তিবিদ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত, জানুন কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India)-মার্কিন এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞ এসি চারানিয়াকে মুখ্য প্রযুক্তিবিদ পদে নিয়োগ করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। তার আগে ওই পদে ছিলেন ভারত-মার্কিন বিজ্ঞানী ভব্য লাল। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এসি চারানিয়ার এই নিয়োগে তাঁদের এ দেশের বাড়িতে চলছে আনন্দ উৎসব। খুশি ভারতীয়রাও। চারানিয়া নাসার প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইসার হিসেবে কাজ করবেন। নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে তাঁর।

    নাসা…

    সোমবার একটি বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছিল, নাসার বিভিন্ন সহযোগী এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবেন নাসার নয়া চিফ টেকনোলজিস্ট। কেবল ওই সংস্থা নয়, প্রাইভেট সেক্টর এবং এক্সটারনাল স্টেকহোল্ডারর্সদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখবেন। নাসার অ্যাসোসিয়েট ভব্য লাল বলেন, নাসার প্রতিটি মিশনে টেকনোলজি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নাসা (NASA) গ্লোবাল লিডার হিসেবে কাজ করে। তাই সব সময় আমাদের সেরা নীতিটিই অনুসরণ করতে হয়। ভব্য বলেন, চারানিয়া একজন দক্ষ নেতা। তিনি তাঁর জ্ঞান এবং উৎসাহ নাসায় কবে কাজে লাগাবেন, তা দেখতে আমি মুখিয়ে রয়েছি। চারানিয়া বলেন, নাসার ভিতরে এবং বাইরে পার্টনারশিপের অবিশ্বাস্য সুযোগ রয়েছে। মহাকাশ অভিযানে অগ্রগতির জন্য যে সুযোগ রয়েছে, তাকে আমি কাজে লাগাব।

    আরও পড়ুুন: ফের বন্দুক হামলা! চিনা নববর্ষের উৎসবে রক্তাক্ত আমেরিকা, নিহত অন্তত ১০

    জর্জিয়া ইনসটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন চারানিয়া। এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেছেন অর্থনীতিতে ব্যাচেলার্স ডিগ্রি। নাসায় (NASA) মুখ্য প্রযুক্তিবিদ হিসেবে যোগ দিয়েছেন চারানিয়া। তার আগে তিনি চাকরি করতেন ব্লু অরিজিনে। লুনার পারফরমেন্স স্ট্র্যাটেজি, ব্লু মুন লুনার ল্যান্ডার প্রোগ্রাম এবং আরও বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নাসার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। রিলায়েবল রোবোটিক্সে প্রোডাক্ট স্ট্র্যাটেজির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন চারানিয়া। নাসার তরফে প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে, এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রযুক্তিবিদ স্পেস ওয়ার্কস এন্টারপ্রাইজেসে চাকরি করেছেন। আরও কয়েকটি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছেন তিনি। চারানিয়া জেনারেশন অরবিট এবং টার্মিনাল ভেলোসিটি এরোস্পেসেও চাকরি করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     

  • Aparup Roy: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই টেসলা-নাসায় কাজ করার অভিজ্ঞতা, কে এই বাংলার ‘বিস্ময় বালক’?

    Aparup Roy: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই টেসলা-নাসায় কাজ করার অভিজ্ঞতা, কে এই বাংলার ‘বিস্ময় বালক’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই আসাধ্য সাধন করেছেন দুর্গাপুরের অপরূপ রায় (Aparup Roy)। ইতিমধ্যেই এই বিস্ময় বালক ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানীর শিরোপা অর্জন করে ফেলেছেন। একাদশ শ্রেণির ছাত্র অপরূপ রায়ের ভাষায়, সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা। আপনার পায়ের দিকে না তাকিয়ে তারার দিকে তাকানো সবসময়ই ভাল।” পরামর্শ দিয়ে বলেন, “টেনশনকে একেবারেই কাছে আসতে দেওয়া চলবে না। শুধু স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন।” 

    ইতিমধ্যেই অপরূপের (Aparup Roy) দুটি বই, রসায়নের তিনটি পেপার প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন জার্নাল ও পত্রিকায়। গবেষণাপত্রগুলি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যে যে জার্নালে তাঁর  গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলি হল-বিজ্ঞান ও গবেষণার আন্তর্জাতিক জার্নাল, ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইন কেমিক্যাল সায়েন্সেস, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন পদার্থের জার্নাল। এই জার্নালগুলি যখন প্রকাশিত হয় তখন অপরূপ দশম শ্রেণীতে পড়তেন। 

    ২০২১ সালের মে মাসে অপরূপের (Aparup Roy) প্রথম বই, ‘সাধারণ রসায়নে সমস্যা’ প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর দ্বিতীয় বই ‘মাস্টার ICSE কেমিস্ট্রি সেমিস্টার’ গত বছরেরই অগাস্টে প্রকাশিত হয়েছে।

    অপরূপের (Aparup Roy) বরাবরের লক্ষ্য বিজ্ঞানী হওয়া। রসায়নের প্রতি তাঁর নিবিড় ভালোবাসাই তাঁকে লকডাউনের ভয়ঙ্কর সময় পার করতে সাহায্য করে। অপরূপ বলেন, “লকডাউন চলাকালীন  আমি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য জলে লবণ দ্রবীভূত করার পরীক্ষাটি বেশ কয়েকবার করেছি এবং আমি কিছু নতুন পর্যবেক্ষণ করেছি, যা আমি আগে কখনও লক্ষ্য করিনি। এর জন্য আমি কয়েকজন এমআইটি বিজ্ঞানীর সাহায্য নিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “যখন লকডাউন ছিল, তখন কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি, তাই আমি বাড়িতে আমার সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু আরও অনেক অ্যাসাইনমেন্ট আছে, যা আমি বাড়িতে করতে পারি না। তাই, আমি এনআইটি দুর্গাপুরের রসায়ন বিভাগের প্রধানকে চিঠি লিখেছিলাম এবং তিনি রাজি হয়েছিলেন। তার জন্য আমার স্কুল থেকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে লকডাউন তুলে নেওয়ার পরে আমি এটা পেয়েছিলাম এবং আমি এখন NIT-এর একটি ল্যাবে আমার গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?

    এছাড়াও বর্তমানে টেসলাতে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। যেখানে তাঁর দুই বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি (Aparup Roy) নাসাতে গবেষণা সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন।

    অপরূপ (Aparup Roy) আরও জানান যে ক্লাস সেভেন থেকেই তাঁর অনু-পরমাণুর প্রতি আগ্রহ ছিল। অপরূপ এখন JEE-র তে ভাল ফল করার জন্যে ইতিমধ্যেই কঠোর পরিশ্রম শুরু করেছেন। ভবিষ্যতে আইআইটি বম্বেতে পড়তে চান। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপরূপ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস- এর দ্বারা সম্মানিত হন। অপরূপ দশম শ্রণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন।

    এছাড়া গোবর থেকে মশা নিরোধক তৈরির বিষয়েও গবেষণা করেছেন অপরূপ (Aparup Roy)। তিনি বিশ্বাস করেন, বাজারে যেই মশা নিরোধকগুলি পাওয়া যায় সেগুলি নিরাপদ নয় এবং ত্বকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই তিনি মশা তাড়ানোর জন্য নিজের ভেষজ বিকল্প তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন এবং একটি স্বীকৃত জার্নালে তা প্রকাশিতও হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • NASA DART Mission: ডিরেক্ট হিট! মুহূর্তেই ছিটকে গেল গ্রহাণু! নাসার ঐতিহাসিক পরীক্ষা সফল

    NASA DART Mission: ডিরেক্ট হিট! মুহূর্তেই ছিটকে গেল গ্রহাণু! নাসার ঐতিহাসিক পরীক্ষা সফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাজাগতিক বিস্ময়! পৃথিবীকে মহাজাগতিক বস্তু থেকে বাঁচাতে নাসা-র (NASA) ডার্ট মিশনের (DART Mission) প্রথম চেষ্টাই দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করল। গতকাল স্থানীয় সময় অনুসারে, সন্ধ্যে ৭টা ১৪ মিনিট নাগাদ গ্রহাণু ডিমরফস-এর (Dimorphos) সঙ্গে সংর্ঘর্ষ ঘটানো হয় নাসার ডার্ট মিশনের যানের। এর মাধ্যমে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে গ্রহাণুটিকে সরিয়ে নিতে সফল হয়েছে নাসা। ফলে নাসার মিশন মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এনে দিয়েছে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন।

    জানা গিয়েছে, গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি ছিল এবং গতকাল এই অভিযানের সময় পৃথিবী থেকে ৭০ লক্ষ মাইল দূরে অবস্থান ছিল গ্রহাণুটির। নাসার ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডায়রেকশন টেস্ট (ডার্ট) মহাকাশযান সেটির উপর আছড়ে পড়ে। ফলে গ্রহাণুটির দিক কক্ষপথ থেকে বের করে দিতে সক্ষম হয়েছে মহাকাশযানটি। নাসার প্ল্যানেটারি সায়েন্স ডিভিশনের ডিরেক্টর লরি গ্লেজ বলেছেন, “আমরা একটি নতুন যুগের সূচনা করলাম। যে যুগে বিপজ্জনক গ্রহাণুর প্রভাবের থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার ক্ষমতা আছে।”

    আরও পড়ুন: আজই গ্রহাণুতে ধাক্কা নাসার ডার্ট মিশনের! সরাসরি সেই ভিডিও কখন, কোথায় দেখবেন?

    প্রসঙ্গত, এই মহাকাশযানটিকে প্রায় ১০ মাস আগে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এই বিশেষ অভিযানের জন্য মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। গতকাল এই মহাকাশযনটি প্রায় ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার গতিতে ডিমরফস-এর উপর আছড়ে পড়ে। ডিমরফস (Dimorphos) আয়তনে প্রায় ৫৩০ ফুট ও এর আকার মিশরের বৃহদাকার পিরামিডের মত। এতদিন এই গ্রহাণুটি ডিডিমস (Didymos) নামের গ্রহাণুকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছিল। ডার্ট এই ডিমরফস-এ আছড়ে পড়ার আগে এই গ্রহাণুর রুক্ষ্ম, পাথুরে পৃষ্ঠদেশ স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল।

    বিজ্ঞানীদের দাবি, ডিফরমস গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক না, বরং এই অভিযানের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা  নিশ্চিত হল যে, ডার্ট গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করতে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন, সংঘর্ষ হওয়ার পরে গ্রহাণুটি তুলনামূলক ছোট একটি কক্ষপথে গিয়ে পড়েছে তবে তার নির্দিষ্ট অবস্থান জানতে গ্রাউন্ড টেলিস্কোপ ব্যবহার করবেন বিজ্ঞানীরা। এ ছাড়াও, ডার্টের সঙ্গে লিসিয়াকিউব নামের একটি কৃত্রিম উপগ্রহও মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। ডার্ট গ্রহাণুর উপর আছড়ে পড়ার আগে লিসিয়াকিউব তার থেকে আলাদা হয়ে যায়। আগামী কয়েক মাস মহাকাশে ওই দুই গ্রহাণুকে (ডিমরফস ও ডিডিমস) পর্যবেক্ষণ করবে লিসিয়াকিউব ও সেই ছবি পাঠাবে নাসা-র বিজ্ঞানীদের। এর ফলে দুই গ্রহাণু থেকে সংগৃহীত পদার্থও সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বিজ্ঞানীরা জানতে  পারবেন ও তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবেন।

  • Artemis 1 Mission: তৃতীয় বারে হবে কি সফল? ২৭ সেপ্টেম্বর ফের চাঁদে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবে ‘আর্টেমিস ১’

    Artemis 1 Mission: তৃতীয় বারে হবে কি সফল? ২৭ সেপ্টেম্বর ফের চাঁদে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবে ‘আর্টেমিস ১’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’বার বাধা পাওয়ার পর চাঁদের উদ্দেশে ফের স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট পাঠাতে চলেছে নাসা (NASA)। যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে অগাস্টের শেষের দিকে দুবার স্থগিত করা হয় আর্টেমিস মিশন (Artemis Mission)। নাসার চেষ্টা দুবার ব্যর্থ হওয়ার ফলে তৃতীয়বারে আর্টেমিস মিশন সফল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নাসা। ফলে চাঁদের বুকে রকেট উৎক্ষেপণের জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ মাসেই চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে আর্টেমিস ১ মিশনের স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট (SLS Rocket)।

    আরও পড়ুন: দ্বিতীয় চেষ্টাও ব্যর্থ! নাসার আর্টেমিস মিশনের রকেট উৎক্ষেপণ পিছিয়ে অক্টোবরে?

    নাসা জানিয়েছে, পরবর্তী উৎক্ষেপণের জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে যদি এদিনও যাত্রা সফল না হয়, তবে পঞ্চমবারের চেষ্টা ২ অক্টোবর করা হবে। মার্কিন সংস্থা নাসা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এবারে বিভিন্ন লজিস্টিক বিষয়গুলি যত্ন সহকারে বিবেচনা করা হয়েছে, ফলে উৎক্ষেপণের দিন চূড়ান্ত করতে এতদিন সময় লেগে গেল। এছাড়াও জানানো হয়েছে, ২৭ সেপ্টেম্বর এটি উৎক্ষেপণের আগে ২১ সেপ্টেম্বর একটি ক্রায়োজেনিক ডেমোনস্ট্রেশন পরীক্ষা করা হবে।

    আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    ২৯ অগাস্ট উৎক্ষেপণের আগে এসএলএস রকেটের ইঞ্জিনগুলির একটিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে প্রথমবারের মতো স্থগিত করা হয়েছিল আর্টেমিস মিশ। এরপর দ্বিতীয়বারের জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল ৩ সেপ্টেম্বর। কিন্তু SLS রকেট থেকে তরল হাইড্রোজেন পূরণ এবং নিষ্কাশন করতে ব্যবহৃত 8-ইঞ্চি লাইনকে ঘিরে গ্রাউন্ড সাইড এবং রকেট সাইড প্লেটের মধ্যে একটি গহ্বরে একটি ফুটো দেখতে পান ইঞ্জিনিয়াররা। ফলে আর্টেমিস ওয়ান রকেট লঞ্চ প্যাডে থাকাকালীন হাইড্রোজেন লিক হওয়ার কারণে সেদিন পাড়ি দিতে পারেনি মহাকাশে। এরপর নাসার ইঞ্জিনিয়াররা এইসব সমস্যার সব সমাধান করে ফের চাঁদে উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে এইবারের প্রচেষ্টায় কোনরকমের বাধা আসবে না বলেই আসা করেছে নাসা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • NASA Artemis Mission: নাসার আর্টেমিস মিশনের সামনে ফের বাধা, চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘হ্যারিকেন’

    NASA Artemis Mission: নাসার আর্টেমিস মিশনের সামনে ফের বাধা, চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘হ্যারিকেন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাসার (Nasa) আর্টেমিস চন্দ্রাভিযানের (Artemis Mission) জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে বিশ্ববাসীকে। কিউবার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থানকারী হ্যারিকেন ঝড় মেক্সিকো (Mexico) উপসাগরের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে ফ্লোরিডার (Florida) দিকে এগিয়ে আসছে। প্রবল বাতাস সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় চন্দ্রাভিযান আপাতত স্থগিত করছে নাসা। দু’বার পরপর চেষ্টার পরেও ব্যর্থ হয়েছে নাসার আর্টেমিস-১ মিশন। তাই তৃতীয়বারের চেষ্টায় মিশন সফল করতে মরিয়া নাসা। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার সামনে দাঁড়িয়ে এই স্পেস রিসার্চ (Space Research) সংস্থাটি। 

    আরও পড়ুন: ডিরেক্ট হিট! মুহূর্তেই ছিটকে গেল গ্রহাণু! নাসার ঐতিহাসিক পরীক্ষা সফল 

    মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের ওয়েবসাইটে (Website) জানিয়েছে, হ্যারিকেন ঝড়ের ফলে এই মিশনটি রাতারাতি স্থগিত করা হয়েছে। ৩২০ ফুটের লম্বা বিশাল রকেটটিকে ঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশাল কমলা এবং সাদা রঙের রকেটটি তৈরি করতে কয়েক দশক সময় লেগেছে। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী চাঁদের (Moon) দেবী আর্টেমিসের নাম অনুসারে এই চন্দ্রযানটির নামকরণ করা হয়েছে। নাসা জানিয়েছে বিধ্বংসী এই ঝড়টি চলে গেলেই তারা ফের রকেটটিকে উৎক্ষেপণের চেষ্টা করবে। তবে এখনও পর্যন্ত তার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অক্টোবরের ১৭ থেকে ৩১ তারিখ অথবা নভেম্বরের ১২ থেকে ২৭ এর মধ্যে ফের উৎক্ষেপণের চেষ্টা হতে পারে।

    আর্টেমিস প্রোগ্রামটিকে নাসা তিন ভাগে ভাগ করছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই মিশন সফল হলে চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে। আর্টেমিস ১ মিশনটিতে (Artemis 1 mission) ইতিমধ্যেই বিরাট অঙ্কের টাকাও খরচ করে ফেলেছে নাসা। তাই দু বার ব্যর্থ হলেও, এই মিশন সফল করতে মরিয়া বিশ্বের বৃহত্তম এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটি।

    প্রসঙ্গত, ৫০ বছর আগে নাসার অভিযানে শেষবার চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল মানুষ। তার পর এবার চাঁদে যাচ্ছে ‘আর্টেমিস-১’। এতে অবশ্য কোনও মহাকাশচারী যাচ্ছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share