Tag: NASA

NASA

  • Independence Day Wish: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে মহাকাশ থেকে এল স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা! দেখুন সেই ভিডিও

    Independence Day Wish: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে মহাকাশ থেকে এল স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা! দেখুন সেই ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে মহাকাশ (Space) থেকেও এল স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) আগাম শুভেচ্ছা! এই শুভেচ্ছা এসেছে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (International Space Station) বা আইএসএসের (ISS) থেকে। শুভেচ্ছা বার্তার সেই ভিডিয়ো নিজেদের ট্যুইটার (Twitter) থেকে পোস্ট করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Indian Space Research Organization) বা ‘ইসরো’ (ISRO)। এর পাশাপাশি ‘ইসরো’-র (ISRO) তরফেও ট্যুইট (Tweet) করে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে আইএসএস-কে।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: ২০২৩ সালেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর ‘গগনযান’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    ইতালির মহাকাশচারী সামান্থা ক্রিস্টোফোরেত্তি (Italian astronaut Samantha Cristoforetti) ভারতের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মহাকাশ থেকেই ভারতের জন্য এই শুভেচ্ছাবার্তাটি পাঠিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ইসরো কে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার আরও উন্নতি এবং সফলতা কামনা করেছেন তিনি। আবার ২০২৩ সালে ভারতের ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের  ‘গগনযান’ (Gaganyaan) মিশন যেন সফল হয় সেই কথাও জানিয়েছেন সামান্থা। ভিডিওতে তিনি আইএসএ, নাসা এবং অন্যান্য সমস্ত আন্তর্জাতিক পার্টনারদের পক্ষ থেকেও ইসরোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, তাঁদের লক্ষ্য হল ইসরোর সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করে একসঙ্গে মহাকাশের বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া। এই ভিডিওটি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তরঞ্জিত সিং সাধুও শেয়ার করেছেন। তিনি এই ভিডিওটি ভারতের মহাকাশ গবেষণার জনক, বিক্রম সারাভাইয়ের জন্মবার্ষিকীতে ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন।

    [tw]


    [/tw]

    এই এক মিনিট তেরো সেকেন্ডের ভিডিওতে সামান্থা পৃথিবীর উপর পর্যবেক্ষণ করার মিশনে ইসরো এবং নাসার একসঙ্গে কাজ করার কথাও বলছেন। আবার মহাকাশ গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থা যে ইসরোর সঙ্গে পার্টনারশিপ বাড়াচ্ছে, সে কথাও জানা গিয়েছে এই ভিডিও-এর মাধ্যমে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং গত মাসেই জানিয়েছেন, ‘গগনযান’-এর প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং পরের বছরেই মহাকাশে মানুষ পাঠানো হবে। এই মিশনের আগে দুটো ট্রায়াল করা হবে, যার মধ্যে প্রথম ট্রায়ালে কোনও মানুষ থাকবে না, দ্বিতীয়টায় মহিলা রোবট পাঠানো হবে যার নাম ‘ব্যোমমিত্রা’ (Vyommitra)। এই ট্রায়াল সফল হলেই ফাইনাল মিশনে ভারতীয় মহাকাশচারীরা মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবেন। ২০২৩ সালে ইসরোর এই গগনযান মিশন যদি সফল হয়, তবে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর ভারতের নাম যুক্ত হবে।

     

     

  • Asteroids: পৃথিবী কি ধ্বংসের মুখে? গ্রহাণু সম্পর্কে ফের সতর্ক বার্তা নাসার

    Asteroids: পৃথিবী কি ধ্বংসের মুখে? গ্রহাণু সম্পর্কে ফের সতর্ক বার্তা নাসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক গ্রহাণু (Asteroid) ধেয়ে আসতে পারে পৃথিবীর দিকে যা পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে আসতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করেছে নাসা (NASA)। বর্তমানে প্রায়ই একাধিক গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে ঘোরাফেরা করছে। কিছুদিন আগেই দুটি ভিন্ন আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও এগুলো পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েনি, পাশ কেটে বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ফের নাসা কিছু মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে সতর্ক করেছে। নাসা থেকে কিছু গ্রহাণুর তালিকা বানানো হয়েছে, যা ভবিষ্যতে পৃথিবীর পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। এমনকি এই গ্রহাণুর ফলে পৃথিবী ধ্বংস পর্যন্ত হতে পারে।

    গ্রহাণু যে কোনও আকারের হোক না কেন তা পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তবে নাসা যেসব গ্রহাণুকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে, সেগুলো হল-

    আমোর গ্রহাণু (Amore Asteroids)

    মঙ্গল গ্রহের পাশ দিয়ে যাওয়া গ্রহাণুকে বলা হয় আমোর। আর্কিটাইপ অবজেক্ট ১২২১ আমোরের নামানুসারে এই গ্রহাণুর নামকরণ করা হয়েছে। এগুলি পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে। বেশিরভাগ অ্যামোর মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথ অতিক্রম করে ও এগুলোর আকারও বড় হয়ে থাকে। আমাদের সৌরজগতে ৭৪২৭ টি পরিচিত আমোর গ্রহাণু রয়েছে। এর মধ্যে ১১৫৩ টি গোনা সম্ভব হয়েছে ও বিজ্ঞানীরা এগুলোর মধ্যে ৭৫ টির নাম দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু! আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    অ্যাপোলো গ্রহাণু (Apollo Asteroids)

    এই গ্রহাণুগুলোর ১৮৬২ অ্যাপোলোর নামানুসারে নাম দেওয়া হয়েছে। অ্যাপোলো গ্রহাণুগুলিও পৃথিবীর কাছাকাছি গ্রহাণুগুলির একটি গ্রুপ। ১৯৩০-এর দশকে, জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল রেইনমুথ (Karl Reinmuth) এগুলো আবিষ্কার করেছিলেন। পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়া গ্রহাণুকে বলা হয় অ্যাপোলো। এই গ্রহাণুগুলোর আকৃতি পৃথিবীর চেয়েও বড় হয়। বৃহত্তম অ্যাপোলো গ্রহাণু হল ১৮৬৬ সিসিফাস (1866 Sisyphus ) যার ব্যাস ৮.৫ কিলোমিটার ব্যাস।

    অ্যাটেন গ্রহাণু (Aten Asteroids)

    এগুলি একটি শক্তিশালী গ্রহাণুর গ্রুপ। এগুলোর কক্ষপথ পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে। এগুলো আর্থ-ক্রসিং গ্রহাণু (Earth-crossing asteroids) নামেও পরিচিত। ২০৬২ অ্যাটেনের নামে এই জাতীয় গ্রহাণুর গ্রুপটির নামকরণ করা হয়েছে। এটি ১৯৭৬ সালের ৭ জানুয়ারী প্রথম আবিষ্কার করা হয়েছিল। আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এলেনর হেলিন (Eleanor Helin) এটি পালোমার অবজারভেটরিতে আবিষ্কার করেন। এখনও পর্যন্ত ১৮৪১ টি অ্যাটেন আবিষ্কার করা হয়েছে যার তেরোটির নাম রয়েছে।

    অ্যাটিরা গ্রহাণু (Atira Asteroids)

    এই গ্রহাণুগুলির কক্ষপথগুলি সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর কক্ষপথের মধ্যে সীমাবদ্ধ। অ্যাটেন, অ্যাপোলো এবং আমোর গ্রহাণুর তুলনায়, অ্যাটিরা গ্রহাণুগুলি এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম গ্রুপ।

     

     

  • NASA: গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

    NASA: গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনারা অনেকেই হয়তো উল্কা (meteor), ধূমকেতু (comet) দেখেছেন আর গ্রহাণুর (asteroid) কথা শুনেছেন। অনেকে আবার এগুলোকে একই মনে করেন। এগুলো এক বস্তু নয়। তবে এদের মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে সম্প্রতি এই নিয়ে নাসা (NASA) থেকে জানানো হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    গ্রহাণু

    গ্রহাণুকে ইংরেজিতে বলা হয় অ্যাস্টেরয়েড (asteroid)। এটি প্রধানত পাথর দ্বারা গঠিত বস্তু। এগুলো সাধারণত সৌরজগতের প্রাথমিক গঠনের প্রাচীন টুকরো, বেশিরভাগই শিলা দ্বারা গঠিত। এরা সৌরজগতে অবস্থান করে এবং সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। আকৃতিতে অনেক ছোট হওয়ার কারণে এদেরকে খালি চোখে দেখা যায় না তবে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এদেরকে অস্পষ্ট তারকার মত দেখা যায়। এদের আকৃতি কয়েক মিটার থেকে শুরু করে অনেক বড় হতে পারে। আবার এই গ্রহাণুগুলোতে এমন ধাতু থাকতে পারে যা তাদের উজ্জ্বল করে। এছাড়াও এতে  কার্বন রয়েছে যার ফলে এগুলোর রঙ কয়লার মত কালো। বিজ্ঞানীদের ধারনা অনুযায়ী আমাদের সৌরমণ্ডলে প্রচুর সংখ্যক গ্রহাণু রয়েছে, যারা প্রায় ২ মিটার – ৫৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

    ধূমকেতু

    ধূমকেতুর ইংরেজি শব্দ হল কমেট (comet)। এটি সাধারণত ধুলো, বরফ ও গ্যাসের তৈরি এক ধরনের মহাজাগতিক বস্তু। প্রতিটি ধূমকেতুর কেন্দ্রে একটি বরফের নিউক্লিয়াস থাকে। যখন ধূমকেতুর কক্ষপথ সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন এর বরফের শরীর গরম হয়ে যায়, প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তৈরি করে যা এর নিউক্লিয়াসের চারপাশে কোমা বা লেজ তৈরি করে। এছাড়াও সূর্য থেকে আসা সৌর ঝড়ের ফলে বিস্ফোরণ ঘটায় ধূমকেতুতে লেজের সৃষ্টি হয়। ধূমকেতুর  লেজ থাকে, তাই এরা উল্কার থেকে আলাদা হয়। এই লেজ হল আসলে পাতলা ও ক্ষণস্থায়ী বায়ুমণ্ডল। মানুষ বহুকাল থেকেই ধূমকেতু দেখে আসছে। একটি ধূমকেতুর পর্যায়কাল কয়েক বছর থেকে শুরু করে কয়েক হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে। নাসা থেকে বলা হয়েছে মহাকাশে ৩৫৩৫ টির মত ধূমকেতুর সন্ধান পাওয়া গেছে, তবে সৌরজগতের মধ্যে সম্ভবত কোটি কোটি ধূমকেতু রয়েছে।

    উল্কা

    উল্কা বা Meteoroids আসলে ধূমকেতু আর গ্রহাণুর খণ্ডাবশেষ। উল্কাগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় বায়ুর সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে। তখন একে উল্কাপাতবলে, যাকে আমরা তারাখসা নামেও জানি। আসলে এগুলো মোটেও নক্ষত্র নয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরে, উল্কাগুলি সাধারণত বড় হয়, কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় স্তরগুলির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়, তারা উত্তপ্ত হয়, আর এর বেশিরভাগ অংশই প্রচণ্ড তাপে পুড়ে যায়। পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছানো বেশিরভাগ উল্কা ছোট পাথরের আকারের ন্যায় হয়ে থাকে।

     

     

  • Super-Earth: মহাকাশে আরও এক পৃথিবী! অবিকল পৃথিবীর মতই ‘সুপার-আর্থ’ খুঁজে পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

    Super-Earth: মহাকাশে আরও এক পৃথিবী! অবিকল পৃথিবীর মতই ‘সুপার-আর্থ’ খুঁজে পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? নাকি পৃথিবীর মত আরও গ্রহ আছে, যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। পৃথিবী ছাড়া আর কোনও গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এভাবেই নাসা আরও এক পৃথিবীর (Exoplanet) সন্ধান দিল এই মহাবিশ্বে। এই পৃথিবীকে নাসার বিজ্ঞানীরা ‘সুপার-আর্থ’ (Super Earth) তকমা দিয়েছে। একইসঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন আবিষ্কৃত এই পৃথিবী আমাদের পৃথিবীর ভরের চার গুণ। আর আমাদের পৃথিবী থেকে মাত্র ৩৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান এই সুপার আর্থের।

    নাসা জানিয়েছে, নতুন যে পৃথিবী আবিষ্কার করেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, তার নাম ‘রস ৫০৮বি’ (Ross 508b)। এই পৃথিবী এম টাইপ তারকার (M type Star) চারদিকে ঘুরছে। আর এই তারকাকে একবার পুরো ঘুরে আসতে সময় নেয় মাত্র ১০.৮ দিন। অর্থাৎ ১১ দিনের থেকেও কম। পৃথিবীর মতই এই গ্রহ এম টাইপ তারকাকে ঘিরে ঘুরে চলেছে। ফলে এই নতুন বিশ্বে ১১ দিনের কম সময়েই এক বছর হয়। সুপার আর্থ যে তারকাকে বা বামন গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে তা সূর্যের থেকে অনেক বেশি লাল, ঠান্ডা, ম্লান এবং আকারেও ছোট।

    ৫০৮বি নামের সুপার আর্থটি ৮.২ মিটারের সুবারু টেলিস্কোপে দ্বারা আবিষ্কার করা হয়েছে। এই টেলিস্কোপটি হাওয়াইয়ের মাউনা কেয়া অবজারভেটরিতে অবস্থিত। এই সুপার আর্থের সন্ধান পাওয়ার পরে নাসা থেকেও ট্যুইট করে জানানো হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    নাসা থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, এই সুপার আর্থটি বসবাসের যোগ্য হতে পারে। কারণ এটি তারকাটির habitable zone  বা বসবাসযোগ্য এলাকায় আছে। কিন্তু এটি প্রদক্ষিণ করার সময়ে কিছু সময়ের জন্য তার  বাসযোগ্য অঞ্চলের ভেতরে থাকে। আবার কিছু সময়ের জন্য তার বাইরে চলে যায়। গবেষণা অনুসারে এক্সোপ্ল্যানেট তার নক্ষত্রকে এমন দূরত্বে প্রদক্ষিণ করে যা গ্রহের পৃষ্ঠে জল গঠনের অনুকূল। অর্থাৎ এই গ্রহের পরিবেশ জল তৈরি ও ধরে রাখার পক্ষে অনুকূল, ঠিক যেমন আমাদের পৃথিবীর অবস্থান। আবার ৫০৮বি এক্সোপ্ল্যানেটে পৃথিবীর মতই পাথুরে ভূখন্ড রয়েছে, যা প্রাণের অস্তিস্ব থাকার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে, এখনও কিছুই প্রমাণ হয়নি, এই সুপার আর্থ আদেও বসবাসের যোগ্য কিনা। তাই এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।

     

     

  • NASA: পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে ছায়াপথের ছবি পাঠাল নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

    NASA: পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে ছায়াপথের ছবি পাঠাল নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশের অনেক সুন্দর ছবি ইতিমধ্যেই আমাদের সামনে এনেছে নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ (James Webb Space Telescope)। সম্প্রতি একটি কার্ট হুইল ছায়াপথের (Cartwheel Galaxy) ছবি পাঠিয়েছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। দীর্ঘ সময় এবং বিপুল পরিমাণ ধূলিকণার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করে এই অসাধারণ ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে স্কালপচার (Sculptor) নক্ষত্রপুঞ্জে অবস্থিত এই কার্ট হুইল ছায়াপথ। 

    কার্টহুইল আকৃতির এই ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে দুটো বলয় প্রসারিত হতে দেখা গিয়েছে। পুকুরে ঢিল ছুড়লে যেমন রঙ বা বলয় আকৃতিতে জল প্রসারিত হয়, এখানেও অনেকটা তেমনই হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসা এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। এই দুই স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে যে, এই ছায়াপথের কেন্দ্রে একটি সাদা রঙের বলয় রয়েছে। আর বাইরের বলয়ের অংশে অনেক রঙের স্পোক দেখা গিয়েছে। মহাবিশ্বে প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন বছর ধরে এই বলয় প্রসারিত হচ্ছে। বাইরের অংশের বলয় প্রসারিত হলে তা গ্যাসে পরিণত হয় এবং নতুন নক্ষত্রের স্ফুলিঙ্গ গঠনের সহায়ক হয়।

    আরও পড়ুন: পৃথিবী থেকে নয়, মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

    ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এই টেলিস্কোপ লঞ্চ করা হয়েছিল। গত মাসে সাধারণ মানুষের সামনে প্রথম ছবি (টেলিস্কোপে তোলা) প্রকাশ করেছিল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। আগামী দিনে মহাবিশ্বের আরও অনেক অজানা রহস্যের উন্মোচন করবে এই টেলিস্কোপ, সেই ব্যাপারে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।

  • Asteroid Nearing Earth: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু!  আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    Asteroid Nearing Earth: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু! আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রহাণুদের আসার বিরাম নেই। গত বছর ধরে দফায় দফায় গ্রহাণুরা পৃথিবীর আশপাশে ঘুরে গেছে। কেউ একেবারে কোল ঘেঁষে আবার কেউ একটু তফাৎ রেখে দূর দিয়ে। গত সপ্তাহে দুটি ভিন্ন আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটি ছিল ৪০০ ফুট চওড়া, অন্যটি ৬০০ ফুট চওড়া। তবে এবার তার থেকে অনেক বড় অনুমান, কুতুব মিনারের চেয়ে ৬ গুণ বড় একটি গ্রহাণু আজই পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসবে। এবার কি তবে সত্যিই পৃথিবীর ধ্বংস আসন্ন? একথা উঠছে, কারণ, এই মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে সতর্ক করেছে নাসা (NASA)।

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে নিজের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ পৃথিবীর, ভাঙল সবচেয়ে ছোট দিনের রেকর্ড

    যে কোনও আকারের গ্রহাণুই পৃথিবীর পক্ষে ভয়ের। কেননা, যে ভরবেগ নিয়ে তারা ছুটে আসে, তাতে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগলে কোনও না কোনও বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু সাধারণ আকারের চেয়ে যদি ছুটে আসতে থাকা গ্রহাণুর আকার ও আকৃতি অনেকটাই বড় হয়, তাহলে বিপদ বেড়েই যায়। নাসা আগেই এই গ্রহাণু নিয়ে সতর্ক করেছিল। এই বিশাল গ্রহাণু (Asteroids) তেড়েফুঁড়ে এগিয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। আজ ৩ অগাস্ট পৃথিবীর একেবারে কাছাকাছি চলে আসবে। এখন টক্কর লাগবে নাকি পৃথিবীর কোল ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে তাঁরা সর্বদা এর গতিপথের দিকে নজর রাখছে।

    আরও পড়ুন: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন

    প্রায় ১২০০ ফুট বিস্তৃত ৩৬৫ মিটার চওড়া দীর্ঘ আকারের এই অ্যাস্টেরয়েড ভয়ংকর গতিতে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এখন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে এটা। প্রদক্ষিণ করতে করতেই ক্রমশ সামনে চলে আসছে। বিজ্ঞানীরা বিষয়টিকে এই ভাবে বোঝাচ্ছেন, যে গ্রহাণু ধেয়ে আসছে, সেটি আকারে স্ট্যাচু অব লিবার্টির ৩ গুণ। এত বৃহৎ একটি পাথর যে কোনও ভাবেই আসুক না কেন তা যে কোনও সময়েই বিপদের বার্তা বহন করে আনে।  

  • NASA: পৃথিবী থেকে নয়, মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

    NASA: পৃথিবী থেকে নয়, মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবী থেকে সূর্যগ্রহণের বিরল দৃশ্য চাক্ষুষ করতে চাই আমরা সবাই। তবে এক একবার এক একটি জায়গা থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। আমরা ভিড় জমাই সেখানে। চোখ রাখি ক্যামেরায়। কিন্তু মহাকাশ থেকে যদি সূর্যগ্রহণ প্রতক্ষ্য করা যায়, তা কেমন দেখতে হবে? এবার মহাকাশ থেকে তোলা সূর্যগ্রহণের ছবি প্রকাশ করল নাসা (NASA)। গত ২৯ জুন   নাসা তার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি (NASA’s Solar Dynamics Observatory) থেকে সূর্যগ্রহণের এই ছবি তোলে। মহাশূন্যে নাসার এই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র অবস্থিত। ২০১০ সালে এর সূচনা।

    আরও পড়ুন: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩

    চাঁদ যখন সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে চলে যায়, তখন পৃথিবীতে একটি ছায়া পড়ে, কিছু এলাকায় সূর্যের আলো সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে অবরুদ্ধ হয়ে যায়, এ ভাবে সূর্যগ্রহণ ঘটে। পূর্ণ সূর্যগ্রহণের জন্য, সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবীকে অবশ্যই নির্দিষ্ট রেখায় সারিবদ্ধ হতে হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সূর্যের ছায়া পৃথিবীর উপর পড়ে না, তাই সেই ক্ষেত্রে গ্রহণ মহাকাশ থেকে পর্যবেক্ষণ করা যায়। মহাশূন্যে দেখতে পাওয়া এই আংশিক সূর্যগ্রহণ লেন্সবন্দি করেছে নাসা। ৩৫ মিনিট ধরে এই আংশিক গ্রহণের ছবি ধরেছে নাসার ক্যামেরা।

    আরও পড়ুন: হয়ে গেল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ , ভারত তখন ঘুমিয়ে

    গত ১২ বছর ধরে সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি (এসডিও / SDO) সূর্যের ভিতরের অনেক কিছু জানতে সাহায্য করেছে। বিভিন্ন গ্রহে সূর্যাস্তের ছবি কেমন লাগে, সেই চিত্রও তুলে ধরেছিল এসডিও। সূর্যের পৃষ্ঠে ক্রমাগত নড়াচড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যার কারণে অতীতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর সূর্য থেকে অনেক সৌর তরঙ্গ বেরিয়ে এসেছিল। বড়সড় সৌর বিস্ফোরণে পৃথিবীর জন্যেও বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি, AR3032 থেকে একটি শক্তিশালী সৌর শিখা বিস্ফোরিত হয়েছিল। এই AR3032 একটি সক্রিয় সানস্পট, এই চিত্রও তুলে ধরেছিল এসডিও। সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি টানা ১২ বছর ধরে সূর্যের উপর নজরদারি করছে। এই ১২ বছরে সূর্য সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিষ্কৃত হয়েছে, বলে জানিয়েছে নাসা।

  • Artemis Mission 1: আশায় বুক বাঁধছে নাসা! ‘আর্টেমিস ১’ মিশন উৎক্ষেপণের নতুন দিন ৩ সেপ্টেম্বর

    Artemis Mission 1: আশায় বুক বাঁধছে নাসা! ‘আর্টেমিস ১’ মিশন উৎক্ষেপণের নতুন দিন ৩ সেপ্টেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ‘নাসা’ (NASA) শনিবার অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর ফের চাঁদের মাটিতে ‘আর্টেমিস-১ মিশনের’ (Artemis 1 Mission) রকেট উৎক্ষেপণের আরেকটি প্রচেষ্টা চালাবে। গত সোমবারই পৃথিবীর মাটি ছেড়ে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’ রকেটের। কিন্তু লঞ্চ করার একেবারে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়। নাসা থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে যে ‘আর্টেমিস-১ এর ইঞ্জিনে কিছু সমস্যার কারণে আজ লঞ্চ হচ্ছে না।‘

    নাসার পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক ছিল, ২৯ অগাস্ট ভারতীয় সময়ের সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এসএলএস (SLS) রকেটটিকে চাঁদের উদ্দেশে উৎক্ষেপণ করা হবে। কিন্তু রকেট উৎক্ষেপণের ঠিক ৪০ মিনিট আগে হঠাৎ রকেটের প্রধান আরএস-২৫ চারটি ইঞ্জিনের মধ্যে একটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে নাসার ইঞ্জিনিয়াররা তৎক্ষণাৎ মিশন থামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ইঞ্জিনে তাপমাত্রা জনিত সমস্যার কারণে সেদিন যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা যায়। শুধু তাই নয়, জ্বালানির ট্যাঙ্কে হাইড্রোজেন ভরাট করার সময়  ট্যাঙ্কে ফুটোও ধরা পডড়েছিল। ফলে তড়িঘড়ি বিজ্ঞানীরা সেদিন মিশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    এরপরেই নাসা থেকে জানানো হয়েছিল যে, তারা এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে পরবর্তী লঞ্চ করার তারিখ জানাবেন। এরপর মিশন ম্যানেজার মাইকেল স্যারাফিন একটি বিবৃতিতে জানান, ৩ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডার সময় অনুযায়ী, বেলা ২টা ১৭ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে। সোমবার, নাসা ফ্লোরিডার উপকূলের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশযান ছাড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রকেটের ইঞ্জিনে সমস্যা, হাইড্রোজেন লিক এবং খারাপ আবহাওয়া সহ বেশ কয়েকটি কারণে এটির উৎক্ষেপণ স্থগিত হয়ে যায়। তবে শনিবারই যে উৎক্ষেপণে সফল হবেন তেমন কোনও গ্যারান্টি দেননি। কিন্তু তাঁরা চেষ্টা করবেন বলে জানানো হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, সেদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে অনুমান করা হয়েছে, শনিবার রকেট উৎক্ষেপণ করার জন্য ৬০ শতাংশ সুযোগ রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Asteroid : পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার চেয়ে দ্বিগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি?

    Asteroid : পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার চেয়ে দ্বিগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার (Burj Khalifa) চেয়েও দ্বিগুণ বড় একটি গ্রহাণু! হ্যাঁ আপনি ঠিকই পড়ছেন। প্রায় ১.৮ কিমি চওড়া এই মহাজাগতিক বস্তুটি ‘গ্রহাণু ৭৩৩৫’ (Asteroid 7335) বা ‘১৯৮৯ জেএ’ (1989 JA) নামে পরিচিত। গ্রহাণুকে “সম্ভাব্য বিপজ্জনক বস্তু” হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা (NASA)। 

    ইতিমধ্যেই একটি ভার্চুয়াল টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই গ্রহাণুটির একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে গ্রহাণুটি মহাকাশে কি পরিস্থিতিতে রয়েছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই গ্রহাণুটি ঘণ্টায় প্রায় ৭৬ হাজার কিলোমিটার গতিবেগে চলছে। রাশিয়ার সায়েন্স অ্যাকাডেমির কেলডিশ ইনস্টিটিউট (The Keldysh Institute of Applied Mathematics of Russia’s Academy of Sciences) গ্রহাণুটির গতিবেগ সম্পর্কে জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ডাইনোসর যুগের অবসান ঘটানো গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে কোথায় আছড়ে পড়েছিল? জানালেন বিজ্ঞানীরা

    এই গ্রহাণুটি ১৯৮৯ সালে এলিয়ানর হেলিন (Eleanor Helin) নামে এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্যালিফোর্নিয়ায় আবিষ্কার করেন। আগামী ২৭ মে তেই পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে ‘১৯৮৯ জেএ’। বিজ্ঞানীদের মতে, ২০২২ সালে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসা বৃহত্তম গ্রহাণু হতে চলেছে ‘গ্রহাণু ৭৩৩৫’। এরপর ২০৫৫ সালের ২৩ জুনের আগে পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে না এই গ্রহাণুটি।

    [tw]


    [/tw]

    নাসা জানিয়েছে, এই গ্রহাণুটি “অ্যাপোলো” শ্রেণিভুক্ত । অ্যাপোলো শ্রেণির গ্রহাণুগুলি সাধারণত পৃথিবীর পাশ দিয়ে কোনও ক্ষতি না করেই উড়ে যায়। এটি শ্রেণির গ্রহাণুগুলি মূলত মহাজাগতিক দেহ যা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এবং পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করে। 

    আরও পড়ুন: চাঁদের উল্টোপিঠ কেন আলাদা? এতদিনে রহস্যের উদঘাটন বিজ্ঞানীদের

    অ্যাপোলো গ্রহাণুগুলি (Apollo Asteroids) পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যায় এবং পৃথিবীর থেকেও এদের বড় কক্ষপথ থাকে। এই গ্রহাণুটির বিশাল আকারের জন্য পৃথিবীর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। একটি ট্যুইটে ভার্চুয়াল টেলিস্কোপ (Virtual Telescope) বলেছে, “অনেক রহস্য রয়েছে মহাবিশ্ব সেগুলিকে প্রকাশ করতে প্রস্তুত, যেমনটি আগে কখনও হয়নি। আগামী ২৭ মে একটি সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।”

     

  • Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হত চাঁদে (Moon)জল নেই, চাঁদ শুষ্ক উপগ্রহ। কিন্তু ২০০৮ সালে অ্যাপোলো ১৫ আর ১৭-র চন্দ্রাভিযানের পর সেই ধারণা বদলায়। জানা যায় চাঁদে জল আছে। তবে ভারতের চন্দ্রযান (Chandrayaan)অভিযানের পর ধারণাটা আরও খানিকটা বদলায়।  বিজ্ঞানীরা দেখেন, চাঁদের যে অংশে জলের উপস্থিতি অনুমান করা হয়েছিল সেখানে ছাড়াও জল আছে অন্য জায়গাতেও। এবার নয়া গবেষণার ফেল জানা গেল চাঁদে যে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তার বেশিরভাগেরই উৎস পৃথিবী। 

    এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস জিওফিজিক্যাল ইনস্টিটিউট  (Alaska Fairbanks Geophysical Institute)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে,পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্তর থেকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়ন বের হচ্ছে। সেখান থেকেই চাঁদে জল আসছে। এবিষয়ে একটি রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন ওই সংস্থার গবেষকেরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে এবং সেক্ষেত্রে পৃথিবীর সঙ্গে একটি চুম্বকীয় আকর্ষণ রয়েছে চাঁদের। সেখানেই রয়েছে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের স্তর। যার মাধ্যমে চাঁদে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। 

    সম্প্রতি রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী,চাঁদের এক মেরু অঞ্চলে ৩৫০০ কিউবিক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের যুক্তি,হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়নগুলি যখন চৌম্বকীয় তরঙ্গের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন তা জলকনা সৃষ্টি করছে। এবং সেখান থেকেই চাঁদে জলস্তর তৈরি হয়েছে।

    চাঁদে জলের সন্ধান করার জন্য চলতি দশকেই একাধিক মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নাসা (NASA)। চাঁদে সত্যিই জল রয়েছে কিনা এবং তার উৎস সন্ধানই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। এছড়াও আরও কিছু বিষয় নিয়ে খোঁজখবর করবে ওই মহাকাশচারীরা। 

LinkedIn
Share