Tag: Natural Disaster

Natural Disaster

  • Landslide in Vaishno Devi: বৈষ্ণদেবী মন্দিরে পথে ধসে মৃত অন্তত ৩১, টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর

    Landslide in Vaishno Devi: বৈষ্ণদেবী মন্দিরে পথে ধসে মৃত অন্তত ৩১, টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরায় বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের (Landslide in Vaishno Devi) কাছে ভয়াবহ ভূমিধস। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তা ধসে গিয়ে বিপর্যয়। কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত ২৩। তবে এখনও ধসের কবলে অনেকে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু বৈষ্ণোদেবীর যাত্রাপথ নয়, ভারী বৃষ্টির জেরে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। রাস্তাঘাট বন্ধ। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। বুধবার সকালেও বৃষ্টি চলছে। হিমাচল প্রদেশেরও সব জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জারি রয়েছে হলুদ সর্তকতা। মেঘ-বাঙা বৃষ্টিতে কুলুতে ভেসে গিয়েছে বাড়ি-গাড়ি।

    বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছে অর্ধকুঁয়ারীতে ভূমিধস

    গত তিন দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরে বৃষ্টি হচ্ছে। তার জেরে কোথাও কোথাও হড়পা বান, কোথাও আবার ধস নেমেছে। জম্মুর পরিস্থিতি বেশি খারাপ। ভেঙে পড়েছে সেতু। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, ক্ষতিগ্রস্ত মোবাইল টাওয়ারগুলি। রিয়াসির এসএসপি পরমবীর সিং জানিয়েছেন, বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের (Landslide in Vaishno Devi) কাছে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। সেই ধসের নীচে চাপা পড়ে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বহু মানুষ আটকে পড়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের কাজ চলছে সমানতালে। বিভিন্ন সংস্থা সেই উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে। মঙ্গলবার দুপুরে অর্ধকুঁয়ারীতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে ধস নামে। আতঙ্ক দেখা দেয় পুণ্যার্থীদের মধ্যে। ধসের পর পরই বৈষ্ণোদেবী মন্দির কমিটির সদস্যেরা, নিরাপত্তাবাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে। যাত্রাপথে থাকা অন্য পুণ্যার্থীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এখনও ওই যাত্রাপথে কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তার খোঁজ চলছে।

    সাড়ে তিন হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরানো হল

    মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অস্থায়ী ত্রাণশিবিরে তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও করা হচ্ছে ক্যাম্পে। তবে যাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও চলছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপাতত বৈষ্ণোদেবী যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। উদ্ধারকারী দলের এক উচ্চপদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘অবিরাম বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ বার বার বাধা পাচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সকলকে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।

    সহযোগিতার আশ্বাস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ-র

    অগাস্টের মাঝামাঝি মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান হয়েছিল কিস্তওয়ারে। তারপর কাঠুয়ায়ও মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছিল। ২ জায়গাতেই প্রাণ গিয়েছিল অনেকের। এবার ভারী বৃষ্টির জেরে কাটরায় বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের যাত্রাপথে ধস নামে। ধসে মৃত্যুর ঘটনাকে ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। ধস নামার পরই উদ্ধারকাজে নামে এনডিআরএফ (NDRF) এবং সিআরপিএফ (CRPF)। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। আহতদের চিকিৎসায় সবরকম ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    উপত্যকায় আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস 

    পরিস্থিতি এখনই বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আপাতত আরও দু’তিন দিন জম্মু-কাশ্মীরের আবহাওয়া এমনই থাকবে। আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কোনও কোনও জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কাটরা, জম্মু, সাম্বা, রিয়াসি, উধমপুর, ডোডা এবং কিশতোয়ার জেলায় ভূমিধস এবং হড়পা বানের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। পাহাড় ও নিচু এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের (KU) সব পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ পরে জানানো হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে ব্যাহত জম্মুর ট্রেন চলাচলও। জম্মু শহরে একদিনেরও কম সময়ে ২৫০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । জম্মু ও কাটরা রেলওয়ে রুটে ২২টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ব্যাপক সমস্যায় পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা। একদিকে ধসে বন্ধ রাস্তা অন্যদিকে বাতিল ট্রেনও।

    হিমাচল প্রদেশেও দুর্যোগ অব্যাহত

    সবুজ পাহাড়ে ঘেরা উত্তর ভারতের রাজ্যে হিমাচল প্রদেশ। বছরভর যেখানে লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভিড় জমান। সেই হিমাচল প্রদেশ চলতি বছরে প্রবল বৃষ্টির জেরে ‘মৃত্যু উপত্যকা’য় পরিণত হয়েছে। তছনছ হয়ে গিয়েছে একাধিক অঞ্চল। কোথাও ধস, কোথাও হড়পা বান, কোথাও আবার মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। মানালিতে প্রবল বর্ষণ, বন্যা পরিস্থিতি বিয়াস নদীতে। কুলুতে মঙ্গলবার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বাড়ি-গাড়ি। চলতি সপ্তাহেও হিমাচল প্রদেশে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে। মৌসম ভবন সূত্রে জানা গেছে, আজ বিলাসপুর, সোলান, হামিরপুরে সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ রয়েছে। দুটি জাতীয় সড়ক সহ মোট ৪৮৪ টি সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র মান্ডি জেলায় ২৪৫টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। কুলুতে বন্ধ ১০২টি রাস্তা।

  • Wayanad Landslide: দুর্গতদের জন্য তৈরি মানবসেতু! বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা

    Wayanad Landslide: দুর্গতদের জন্য তৈরি মানবসেতু! বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন কেটে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি। ভয়াবহ ভূমি ধসে (Wayanad Landslide) প্রাণহানি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কাদা ও বালির স্তূপ থেকে একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে৷ তবে বৃষ্টি মাথায় নিয়েও প্রতিকূল পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনা জওয়ানরা (Indian Army)। এবার দুর্গতদের উদ্ধার করতে মানবসেতু তৈরি করলেন তাঁরা। কোলে করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিলেন শিশুদের।  

    সেনাবাহিনীর উদ্ধারকাজের ভিডিও প্রকাশ্যে

    কাদা আর বালির স্তূপ ঘেঁটে ঘেঁটে এখনও প্রাণের খোঁজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। সম্প্রতি ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) সেনাবাহিনীর উদ্ধারকাজের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, কীভাবে হাতে হাত ধরে মানবসেতু তৈরি করেছেন জওয়ানেরা (Indian Army)। ওয়েনাড়ের চূড়ামালা গ্রামে এই মানবসেতু তৈরি করেছিলেন জওয়ানরা।

    প্রবল স্রোতে বইছে নদী। তার উপরে দুদিকের স্থলভাগে দড়ি টাঙিয়ে কোনও রকমে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষকে। মাঝে সেনা জওয়ানেরা দুহাত বিছিয়ে দড়ি ধরে সংযোগ রক্ষার চেষ্টা করছেন। শিশুদের কোলে তুলে নিরাপদ স্থানে তাঁদের পৌঁছে দিচ্ছেন জাওয়ানরা। ১২ জন জওয়ান মিলে এই মানবসেতু তৈরি করেছিলেন ওই গ্রামে।

    মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫০-র গণ্ডি

    এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে (Wayanad Landslide) এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫০-র গণ্ডি। ২০০ জনেরও বেশি আহত গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ৷ তাঁদের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ এখনও পর্যন্ত ৩,০০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন উদ্ধারকারীরা৷ উদ্ধারকাজে নামানো হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও। যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরা এখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ইট, কাঠ বালি, কাদা সরিয়ে স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। 

    আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে কেরলের ওয়েনাড়ে ধস, মৃত্যু ৮০ পার! চাপা পড়ে শতাধিক

    তবে এখনই শেষ হচ্ছে না এলাকাবাসীর দুর্ভোগ (Wayanad Landslide)। আবহাওয়া দফতরের তরফে ওয়েনাড় এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১ অগাস্ট ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই সব স্থানে। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, ২ অগাস্টও ওয়েনাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে নতুন করে আবার চিন্তার ভাঁজ পড়ছে সকলের কপালে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: নির্বাচনী এলাকা বিপর্যয়ের মুখে! একবারও স্থান পরিদর্শনে এলেন না সাংসদ রাহুল গান্ধী

    Wayanad Landslide: নির্বাচনী এলাকা বিপর্যয়ের মুখে! একবারও স্থান পরিদর্শনে এলেন না সাংসদ রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী এলাকা বিপর্যয়ের মুখে, তবুও একবারও স্থান পরিদর্শনে এলেন না সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর নির্বাচনী এলাকা ওয়েনাড় (Wayanad Landslide)। গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে গিয়েছে নদীতে। নিশ্চিহ্ন হয়েছে রাস্তা। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বাড়ি। ঠিক যেন মৃত্যুপুরী। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও একবারের জন্যও এলাকা পরিদর্শন করেননি কংগ্রেস নেতা। 

    বাতিল রাহুলের ওয়েনাড় সফর (Rahul Gandhi)

    ৩১ জুলাই বিপর্যস্ত ওয়েনাড় সফরের (Wayanad Landslide) কথা ছিল রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। কিন্তু এখনও এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে ওয়েনাড়ে। আবহাওয়ার পরিস্থিতিও বেশ খারাপ। এই পরিস্থিতিতে বিমান বা কপ্টার নামতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারপরেই সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর রাহুলের এই সফর বাতিলের পরেই শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। 

    আরও পড়ুন: গোলান হামলার বদলা নিল ইজরায়েল! খতম হিজবুল্লা কমান্ডার ফুয়াদ

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট রাহুল গান্ধীর

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা ওয়েনাড়ে যাবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতির (Wayanad Landslide) উপর নজর রাখছেন তাঁরা। যাবতীয় সাহায্যের কাজও করা হবে। এই কঠিন সময়ে ওয়েনাড়ের জনগণের সঙ্গে রয়েছেন তাঁরা।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোররাত থেকে শুরু হয়েছে ধসের ধ্বংসলীলা (Wayanad Landslide)। কেরলের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৃত্যু সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ প্রায় শতাধিক। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ। সেনাবাহিনীর সঙ্গেই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও। তবে বারবার প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। এরইমধ্যে ত্রাণ তৎপরতা বাড়াচ্ছে বিজেপি ও আরএসএস। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad landslides: ওয়েনাড়ে ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৩! চলছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান

    Wayanad landslides: ওয়েনাড়ে ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৩! চলছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের ওয়েনাড়ে ভূমিধসের (Wayanad landslides) ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫৩। এখনও আটকে বহু এবং নিখোঁজ প্রায় ৯৮ জন। তবে ধসের পর থেকেই দুর্যোগ মাথায় নিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। কেরলের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যেখানে যেখানে ধস নেমেছে, সেখানে দমকল এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) মোতায়েন করা হয়েছে। আরও একটি এনডিআরএফ টিমকে ওয়েনাড়ে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালিয়ে ১০০০ জন বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। 

    ওয়েনাড়ে জারি কমলা সতর্কতা 

    মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ কেরলের (Kerala) ওয়েনাড় জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রথম ধস (Wayanad landslides) নামার খবর পাওয়া যায়। এরপর ভোর ৪টে ১০ মিনিটে আরও একটি জায়গায় ধস নামার খবর আসে। তবে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ের উপর থেকে এখনই বিপদ কাটছে না। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওয়েনাড় এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। ফলে উদ্ধারকাজে এই বৃষ্টি বাধা হতে পারে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ওয়েনাড়ের মেপ্পাড়ি এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৫৩ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলা ও শিশুও রয়েছে। অন্যদিকে প্রায় শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।  

    ওয়েনাড়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (Wayanad landslides)

    অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে ওয়েনাড়ে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জর্জ কুরিয়ান। জানা গিয়েছে, এই উদ্ধারকার্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর ৩০ জন বিশেষজ্ঞ সাঁতারুর একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এয়ার ফোর্স স্টেশন সুলুর থেকে দুটি হেলিকপ্টারও পাঠানো হয়েছে এই উদ্ধারকার্যে। জানা গিয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মধ্যে রয়েছে চুরালপাড়া, ভেলারিমালা, মুন্ডকাইল এবং পোথুকালু। ধসের পর এইসমস্ত এলাকাগুলি থেকে সবরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।  

    আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে কেরলের ওয়েনাড়ে ধস, মৃত্যু ৮০ পার! চাপা পড়ে শতাধিক

    কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা শাহের  

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার কেরলের (Kerala) মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন। শাহ বিজয়নকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। 

    জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে এখনও আত্মীয়-স্বজনরা মুন্ডকাইলে ধ্বংসপ্রাপ্ত কিছু বাড়ির সামনে অপেক্ষা করছেন এই আশায়, যে উদ্ধারকারী দল হয়তো কাউকে জীবিত খুঁজে পাবে। অন্যদিকে, পুলিশ ইতিমধ্যেই পর্যটকদের ওয়েনাড় (Wayanad landslides) ভ্রমণ থেকে বিরত রেখেছে কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির বেশিরভাগ রাস্তাই এখন উদ্ধারকার্যের জন্য যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Turkey: তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু মিছিল! ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পার

    Turkey: তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু মিছিল! ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুই কান্নার আওয়াজ। হা-হুতাশ! তুরস্ক, সিরিয়া জুড়ে শুধুই আর্তনাদ। পাথর সরালেই মিলছে একের পর এক দেহ। ঘুমের মধ্যে দিনের শুরুতেই চির-ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৭,৮০০।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, এই সংখ্যা কিছুই নয়। মৃত্যুসংখ্যা ৩২ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা।

    কোথায় শেষ কেউ জানে না!

    প্রাথমিক ভাবে যা মনে করা হয়েছিল, তার আট গুণ বাড়তে পারে প্রাণহানি। আহতের সংখ্যার কোনও হিসেব নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা-সহ প্রায় ৭০টি দেশ তুরস্ক-সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে তুরস্কের আদানা শহরে পৌঁছেছে ভারতের পাঠানো প্রথম দফার ত্রাণসাহায্য। সেই সঙ্গে পৌঁছেছে ভারতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকারী দল, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, চিকিৎসা সামগ্রী, ড্রিলিং মেশিন ইত্যাদি। সিরিয়াতেও গিয়েছে ভারতের ত্রাণসাহায্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভারতে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ফিরাত সুনেল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘তুর্কি ও হিন্দি… দুই ভাষাতেই ‘দোস্ত’ শব্দটি রয়েছে। তুর্কিতে একটা কথা আছে: বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু।’’

    আরও পড়ুন: প্রবল ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল! কঠিন সময়ে তুরস্ক ও সিরািয়ার পাশে ভারত

    আশ্রয়শিবিরে ঠাসাঠাসি ভিড়

    ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, পাঁচ বার ভূমিকম্প ও আরও ১০০ বার ভূকম্পন-পরবর্তী কম্পনের (আফটার শক) জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। হু-র ইউরোপ শাখার জরুরি বিভাগের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক ক্যাথরিন স্মলউডের কথায়, ‘‘আরও ধ্বংসের আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছেই। প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছিল, তার আট গুণ বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। ভূমিকম্পের পরে সব সময়েই এটা ঘটে থাকে। আর ঠিক তা-ই বিপর্যয়ের কয়েক সপ্তাহ পরে মৃত বা জখমের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে যায়।’’ স্মলউড বলেন, ‘‘ভূমিকম্পের পরে যাঁদের আর ঘরবাড়ি নেই কিংবা ঘরে ফেরার অবস্থা নেই, তাঁরা এক জায়গায় জড়ো হচ্ছেন। এতেও বিপদ বাড়ছে। একটা ছোট আশ্রয়শিবিরে ঠাসাঠাসি ভিড়, শ্বাসজনিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল।’’ অচেনা মুখের ভিড়েই আশ্রয় খুঁজছেন পরিবার-হারিয়ে রাতারাতি একা হয়ে যাওয়া বহু মানুষ। কেউ কেউ আবার প্রিয়জনের দেহ খুঁজে বেড়াচ্ছেন ধ্বংসস্তূপের তলায়। তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলের খবর এখনও জানাই যায়নি।

    আরও পড়ুন: তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫,০০০ ছাড়াল! তিন মাসের জন্য ১০ প্রভিন্সে ‘জরুরি অবস্থা’

    আরও সঙ্কটে সিরিয়া 

    সিরিয়ার অবস্থাও ভয়াবহ। হু-এর আধিকারিক অ্যাডেলেড মার্শাংয়ের বক্তব্য, এই বিপর্যয় সামলানোর জন্য তুরস্কের তা-ও কিছু সামর্থ্য আছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে গৃহযুদ্ধে এমনিতেই বিপর্যস্ত সিরিয়া। অর্থনৈতিক অবস্থা তলানিতে। কলেরার সংক্রমণ ছড়িয়েছে এ দেশে। খাদ্যাভাব, অপুষ্টি তো রয়েইছে। এই অঞ্চলে অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। তার উপরে যোগ হল আরও একটি। অ্যাডেলেড জানান, দু’দেশ মিলিয়ে কমপক্ষে ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে। যার মধ্যে রয়েছে অন্তত ১৪ লক্ষ শিশু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share