Tag: NCERT

NCERT

  • NCERT: সপ্তম শ্রেণির গণিত পাঠ্যে ভারতীয় গণিতজ্ঞদের সংযুক্ত করল এনসিইআরটি  

    NCERT: সপ্তম শ্রেণির গণিত পাঠ্যে ভারতীয় গণিতজ্ঞদের সংযুক্ত করল এনসিইআরটি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিইআরটি (NCERT) এবার সপ্তম শ্রেণির গণিতের পাঠ্যপুস্তকে বীজগণিত এবং জ্যামিতিতে ভারতের প্রাচীন গণিতের পরম্পরা এবং উল্লেখযোগ্য সাফল্যকেই তুলে ধরতে চলেছে। এই সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ‘গণিত প্রকাশ পর্ব ২’-এ প্রাচীন ভারতীয় গণিত শাস্ত্রের চর্চাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরায় বীজগণিত-জ্যামিতি (Mathematical traditions) কীভাবে বিকশিত হয়েছিল তাকে যেমন তুলে ধরা হয়েছে, ঠিক একই ভাবে শিক্ষা কীভাবে সৃজনশীল এবং ব্যবহারিক অর্থবহ পণ্ডিত গণিতজ্ঞদের সম্পর্কেও তুলেও ধরা হয়েছে।

    বীজগণিত অনেক মূল ধারণা ভারতীয়দের তৈরি (NCERT)

    জাতীয় শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পরিষদ এনসিইআরটি (NCERT) কর্তৃক প্রকাশিত নতুন সপ্তম শ্রেণির গণিত পাঠ্যপুস্তকে গুরুত্বপূর্ণ গণিত শিক্ষা এবং বিকাশের প্রাথমিক পাঠ্যকেই বিশেষ জায়গা দেওয়া হয়েছে। দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে এনসিইআরটি বলেছে, বীজগণিত সহ অনেক মূল ধারণা প্রথম ভারতীয় গণিতজ্ঞরাই আবিষ্কার করেছিলেন। তাই প্রাচীন ভারতীয় পণ্ডিতদের জ্ঞান চর্চাকেই প্রাথমিক ভাবে পাঠদানের কাজের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে

    এনসিআরটি (NCERT) জানিয়েছে, একটি অধ্যায়ে পূর্ণসংখ্যা-ধনাত্মক-ঋণাত্মক-সংখ্যার ব্যাখ্যাকে ধরে ধরে করা আলোচনা করা হয়েছে। সপ্তম শতাব্দীর ভারতীয় গণিতবিদ ব্রহ্মগুপ্ত এবং তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্তের উল্লেখ করা হয়েছে। এই বইতে বলা হয়েছে, কীভাবে ধনাত্মক-ঋণাত্মক সংখ্যার গুণ-ভাগ করতে হয়। এটি গণিতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। পাটিগণিত এবং বীজগণিত গঠনে সহায়তা হিসবে এই ভাবনা অনন্য। ব্রহ্মগুপ্তের নিয়ম এবং তাঁর পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে অনুশীলনগুলিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বীজগণিতের উপর ভারতের কাজ বিশ্বের প্রাচীনতম কাজগুলির মধ্যে একটি অন্যতম ছিল। বীজগণিতীয় সমীকরণের একটি অংশে ‘বিজগনিতা’ শব্দটি উল্লেখ এখন বীজগণিতের সাথে যুক্ত হয়েছে। প্রাচীন ভারতে গাণিতিক অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল প্রতীক ব্যবহার করে রাশি গঠন করা। আর এই ধরনের রাশি দিয়ে যে কোনও সমীকরণকে সমাধান করা হয়। বইতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, ব্রহ্মগুপ্ত অজানা সংখ্যা বোঝাতে অক্ষর ব্যবহার করতেন আর তাই হল বীজগণিতীয় চিন্তাভাবনার প্রাচীনতম উদাহরণ।

    ভারতীয় গাণিতিক (Mathematical traditions) জ্ঞান কীভাবে বিশ্বের অন্যান্য অংশে পৌঁছেছিল। জানা গিয়েছে, ৮ম শতাব্দীতে ভারতীয় গাণিতিক ধারণাগুলি আরবি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল। বর্তমান ইরাকের গণিতবিদ আল-খোয়ারিজমিকে প্রভাবিত করেছিল। ৮২৫ খ্রিস্টাব্দ তিনি হিসাব আল-জাবর ওয়াল-মুকাবালা লিখেছিলেন, যার অর্থ “পুনরুদ্ধার এবং ভারসাম্য বজায় রেখে গণনা করা। ব্রহ্মগুপ্তের সময়ে ভারতীয় গণিতবিদদের ব্যবহৃত প্রতীকগুলির তালিকাও দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্বাদশ শতাব্দীতে ভাস্করাচার্যের লেখা বীজগণিতের একটি গণিত সমস্যাও পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরার জন্য বড় পদক্ষেপ

    স্কুলপাঠ্যে জ্যামিতির একটি অধ্যায় “Constructions and Tilings”-এ প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ “Sulba-Sutras” সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যেখানে দড়ি দিয়ে লম্ব রেখা এবং দ্বিখণ্ডক কীভাবে তৈরি করতে হয় তাও ব্যাখ্যা (Mathematical traditions) করা হয়েছে। পূর্বে সপ্তম শ্রেণির গণিতের পাঠ্যপুস্তকে প্রাচীন ভারতীয় পণ্ডিতদের উল্লেখ ছিল না। এনসিইআরটি এখন জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) 2020 এবং জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামোর অধীনে পাঠ্যপুস্তক গুলিকে সংস্করণ করছে। এই কাজ স্কুল শিক্ষায় ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরা অন্তর্ভুক্ত করার বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

  • NCERT: স্কুলের বিজ্ঞান পাঠ্যে আয়ুর্বেদ পড়ানো হবে, জানাল এনসিইআরটি

    NCERT: স্কুলের বিজ্ঞান পাঠ্যে আয়ুর্বেদ পড়ানো হবে, জানাল এনসিইআরটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির এনসিইআরটি-র (Ayurveda Chapters) বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকে আয়ুর্বেদ সম্পর্কিত একটি অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে। ছাত্র–ছাত্রীদের প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞান, চিকিৎসা ব্যবস্থা, পরম্পরা, ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান দেওয়ার জন্য এই পাঠ্যক্রমকে বিশেষ জায়গা দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর শুরু করেছে মোদি সরকার। প্রাচীন ভারতের জ্ঞান-পরম্পরা সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা, ভারতীত্ববোধে পড়াশোনা করার সিলেবাস গঠন এবং তাকে  কার্যকরতে বিশেষ ভাবে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।

    কীভাবে পড়ানো হবে (Ayurveda Chapters)?

    এনসিইআরটি শিক্ষা ব্যবস্থায় আয়ুর্বেদকে (Ayurveda Chapters) অন্তর্ভুক্তি করে জানিয়েছে, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলে মেয়েরা এবার থেকে বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে আয়ুর্বেদ পড়বে। আয়ুর্বেদ প্রাচীন ভারতের একটি উল্লেখযোগ্য জ্ঞানকাণ্ড। সভ্যতার জন্মলগ্ন থেকেই আয়ুর্বেদ (NCERT) চর্চা হয়ে আসছে। এবার এই জ্ঞান চর্চার ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে রাখা হয়েছে। বেসরকারি একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এনসিইআরটি একই ভাবে উচ্চ শ্রেণির শিক্ষা পাঠক্রমে যথা কলেজগুলিতেও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সহযোগিতার কাজে পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগ রীতিমতো ভাবনা চিন্তা শুরু করে পাঠ্যক্রম তৈরির কাজে একাধিক পদক্ষেক গ্রহণ করেছে।

    কিউরিওসিটি-র তৃতীয় অধ্যায়

    এনসিইআরটির (NCERT) নির্দেশক দীনেশ প্রসাদ সাকলানি বলেছেন, বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে আয়ুর্বেদ যুক্ত করে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। শরীর, বিদ্যা এবং মনকে একদিকে পরিচালিত করতে অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকে কিউরিওসিটি-র তৃতীয় অধ্যায়ে পরিচয় হিসেবে রাখা হয়েছে। দৈনিক জীবন, ঋতকালীন পরিচর্চা, শরীরের জন্য পুষ্টিকর খাবার ও নিয়মিত ব্যায়াম ইত্যাদি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।

    আয়ুষ মন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব বলেছিলেন, “এনসিইআরটি, ইউজিসি উচ্চশিক্ষার জন্য নিজেদের কোর্স মডিউল তৈরি করতে এক যোগে কাজ করছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্বাস্থ্য এবং নীতিগত শিক্ষা সম্পর্কে যেন ভালো করে জানতে পারে তাই এই প্রচেষ্টা চলছে। একই ভাবে নীতি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষণ পদ্ধতি এবং স্কীল ডেভলোপমেন্ট বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। আর তাই পাঠ্যে আয়ুর্বেদ (Ayurveda Chapters) যুক্ত করা হয়েছে।”

  • NCERT: অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে শারীর শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করল এনসিইআরটি, কী উপকারিতা?

    NCERT: অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে শারীর শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করল এনসিইআরটি, কী উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়াদের ফিটনেস ও সুস্থতার দিকে নজর দিয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই অষ্টম শ্রেণিতে “শারীর শিক্ষা এবং সুস্থতা” নামের একটি নতুন বিষয় চালু করল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT)। জানা গেছে, ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির (NEP 2020) অনুযায়ী এই পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এনসিইআরটির এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে পড়ুয়াদের দৈহিক সক্ষমতা ও ক্রীড়া দক্ষতা বাড়বে। তারা অ্যাথলেটিক্স, টেবিল টেনিস, ভলিবল ইত্যাদি খেলায় পারদর্শী হয়ে উঠবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই পাঠ্যক্রমে যোগব্যায়ামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    প্রথম অধ্যায় শুরু হয়েছে বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে (NCERT)

    নতুন পাঠ্যবইয়ের (NCERT) প্রথম অধ্যায় শুরু হয়েছে বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে, যেখানে রয়েছে ভল্ট, দৌড়, এবং বরফ-জল নামের একটি দলগত খেলা। রয়েছে চারতালি নামের আরেকটি খেলার বর্ণনাও, যার মাধ্যমে নির্যাতন ও হেনস্থার বিরুদ্ধে সমাজের ভূমিকা কী হতে পারে, তা নাটকীয় উপস্থাপনায় তুলে ধরা হবে। পাঠ্যক্রমে রিলে দৌড় রয়েছে ‘অ্যাথলেটিক্স’ অধ্যায়ে (Physical Education)। সেখানে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, একজন দৌড়বিদকে কী কী শারীরিক ও মানসিক দক্ষতা অর্জন করতে হয়।

    চতুর্থ অধ্যায় জুড়ে রয়েছে টেবিল টেনিসের সম্পূর্ণ ধারণা

    চতুর্থ অধ্যায় জুড়ে রয়েছে টেবিল টেনিসের সম্পূর্ণ ধারণা, যেখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে ফুটওয়ার্ক, সাইড মুভমেন্ট, ফোরহ্যান্ড পুশ, ব্যাকহ্যান্ড পুশ ইত্যাদি কৌশল। এছাড়াও রয়েছে একটি অধ্যায়, যেখানে শেখানো হচ্ছে (NCERT) কীভাবে একজন দক্ষ ভলিবল খেলোয়াড় হয়ে ওঠা যায়। সেখানে পাস, সার্ভ, স্পাইক, ব্লক, ডিগ, রিকভারি মুভমেন্ট ইত্যাদি কৌশল (Physical Education) বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

    যোগব্যায়ামের উপর আলাদা অধ্যায় রয়েছে

    ষষ্ঠ অধ্যায়টি তৈরি করা হয়েছে যোগব্যায়ামের (NCERT) উপর। এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কীভাবে যোগব্যায়াম শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে। আলোচিত হয়েছে সূক্ষ্ম ব্যায়াম, স্থূল ব্যায়াম, সূর্য নমস্কার, বিভিন্ন আসন, প্রাণায়াম (শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম), ইন্দ্রিয় সংযম, ধ্যান ইত্যাদি। এই পাঠ্যক্রমের লক্ষ্য, পড়ুয়াদের মধ্যে শারীরিক সক্ষমতা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, মনঃসংযোগ ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করা।

  • NCERT Textbooks: মোদি জমানায় ভারতের বীর জওয়ানরা স্থান পাচ্ছেন স্কুলপাঠ্য বইয়ে

    NCERT Textbooks: মোদি জমানায় ভারতের বীর জওয়ানরা স্থান পাচ্ছেন স্কুলপাঠ্য বইয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়াদের যেন ভারতের সামরিক বাহিনীর গৌরব সম্পর্কে ধারণা হয়, এ নিয়েই উদ্যোগ নিল মোদি সরকার (NCERT Textbooks)। বৃহস্পতিবারই তারা ঘোষণা করেছে যে, এবার সামরিক বাহিনীর বীরদেরও পড়ানো হবে স্কুলে এবং তাদের জন্য আলাদা অধ্যায়ও থাকবে বইয়ে। এর মধ্যে রয়েছেন — ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ, ব্রিগেডিয়ার মহম্মদ ওসমান, এবং মেজর সোমনাথ শর্মা।

    কোন কোন ক্লাসে পড়ানো হবে এই তিন বীরের জীবনী

    ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষেই এনসিআরটি-র বইগুলোতে (NCERT Textbooks) এই ভারতীয় বীরদের কথা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এখনও পর্যন্ত সরকারের সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন অধ্যায় থাকবে অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে, অষ্টম শ্রেণির উর্দু বইয়ে এবং সপ্তম শ্রেণির উর্দু বইতেও। এর উদ্দেশ্য হল, যাতে স্কুলপড়ুয়ারা ভারতীয় বীরদের দায়িত্ববোধ, কর্তব্য, সাহস ও উদ্যম সম্পর্কে প্রেরণা পায়। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (India war Heroes)।

    তিন সামরিক বীরের কথা পাঠ্যবইয়ে পড়ানো হবে, তাঁদের সংক্ষিপ্ত জীবনী

    ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ

    যিনি পরিচিত ছিলেন “শ্যাম বাহাদুর” নামে। তিনি ছিলেন ভারতীয় সামরিক বাহিনীর প্রথম অফিসার, যিনি ফিল্ড মার্শাল হিসেবে ফাইভ-স্টার র‍্যাঙ্ক পেয়েছিলেন। ১৯১৪ সালে অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন মানেকশ। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৪৭–৪৮ সালের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধ, ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ— সবেতেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশাল ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    ব্রিগেডিয়ার মহাম্মদ ওসমান (India war Heroes)

    তাঁকে বলা হয় “লায়ন অফ নওশেরা”। ১৯১২ সালে তিনি উত্তরপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ওসমান ছিলেন ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে অন্যতম সামরিক অফিসার, যিনি দেশভাগের সময় পাকিস্তানে যেতে অস্বীকার করেন এবং দেশেই থেকে যান। ১৯৪৭–৪৮ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তাঁর অসামান্য সাহস ও নেতৃত্ব সামনে আসে (NCERT Textbooks)। ১৯৪৮ সালের ৩ জুলাই তিনি শহিদ হন।

    মেজর সোমনাথ শর্মা (NCERT Textbooks)

    তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম সামরিক অফিসার, যিনি প্রথম পরম বীর চক্র সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি হিমাচল প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানা যায়।

  • NCERT: ‘ভারত বিশ্বের ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশে পরিণত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে’, জানাল এনসিইআরটির বই

    NCERT: ‘ভারত বিশ্বের ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশে পরিণত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে’, জানাল এনসিইআরটির বই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিইআরটি (NCERT)-র অষ্টম শ্রেণির সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের ঔপনিবেশিক যুগ সংক্রান্ত অংশে টিপু সুলতান, হায়দর আলি এবং সপ্তদশ শতকের অ্যাংলো-মহীশূর যুদ্ধগুলির কোনও উল্লেখ করা হয়নি। এই বইয়ে (Social Science) এই সময়কালকে বর্ণনা করা হয়েছে এমন একটি যুগ হিসেবে, যখন ভারত বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশগুলির একটিতে পরিণত হয়েছিল। ‘এক্সপ্লোরিং সোশ্যাইটি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শিরোনামে বইটির প্রথম ভাগ এই শিক্ষাবর্ষে প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগটি প্রকাশিত হওয়ার কথা বছর শেষে।

    ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ (NCERT)

    এই অধ্যায়ে ঔপনিবেশিক সময়কাল ধরা হয়েছে ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামার আগমন থেকে শুরু করে অষ্টাদশের শেষ দশক পর্যন্ত। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ বা ভারতের মহা বিদ্রোহ। এতে বর্ণনা করা হয়েছে কীভাবে ব্রিটিশরা ব্যবসায়ী থেকে শাসকে পরিণত হয়েছিল। ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধকে তুলে ধরা হয়েছে ‘আ ব্যাটেল দ্যাট মার্কড এ টার্নিং পয়েন্ট অ্যাজ দি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ বাংলার নবাবকে পরাজিত করেছিল। এই সময়কালে ভারতের ড্রেন অফ ওয়েল্থ-এর কথাও বিশদভাবে বলা হয়েছে। এই বইয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরোধ আন্দোলনগুলিকেও স্থান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১৭০০-এর দশকের সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ, কোল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ, এবং ১৮০০-এর দশকে বিভিন্ন কৃষক বিদ্রোহ (NCERT)

    মারাঠাদের নিয়ে পৃথক অধ্যায়

    বইটিতে মারাঠাদের নিয়ে একটি পৃথক অধ্যায়ে অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধগুলি (১৭৭৫–১৮১৮) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ব্রিটিশরা মুঘল বা অন্য যে কোনও শক্তির তুলনায় মারাঠাদের কাছ থেকেই ভারতে আধিপত্য নিয়েছে (Social Science)। অষ্টম শ্রেণির আগের পাঠ্যবইয়ে ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ পর্যন্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সম্প্রসারণ তুলে ধরা হয়েছিল। সেখানে মহীশূরের শাসক হায়দর আলি ও মহীশূরের বাঘ টিপু সুলতানের প্রতিরোধ এবং ১৭০০-এর দশকে সংঘটিত চারটি অ্যাংলো-মহীশূর যুদ্ধের বিবরণ ছিল। মারাঠাদের সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সংঘাতের কথাও সেখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছিল। পাঠ্যবইটি “উপনিবেশবাদের যুগ” এবং ইউরোপীয় সম্প্রসারণকে ১৫শ শতক থেকে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বর্ণনা করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উপনিবেশবাদীরা যদিও নিজেদের সভ্যতার বার্তাবাহক বলে দাবি করত, আদতে তারা ভারতীয়দের ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা ধ্বংস এবং বিদেশি সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ চাপিয়ে দেওয়ার কাজই করেছে।

    উন্নত ভারত

    নতুন বইটিতে এই বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে যে, ষোড়শ শতকের আগে যখন ইউরোপীয় শক্তিগুলি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করেনি, তখন ভারত বিশ্বের মোট জিডিপির অন্তত এক চতুর্থাংশ অবদান রাখত। সেটি ছিল চিন-সহ বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির একটি (NCERT)। পরবর্তী এক অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, “ঔপনিবেশিক শাসন কালে ভারতের বৈশ্বিক জিডিপিতে অংশ ক্রমশ কমতে থাকে, স্বাধীনতার সময় তা গিয়ে দাঁড়ায় মাত্র ৫ শতাংশে। দুই শতকেরও কম সময়ে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হয়ে পড়ে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ।” “ভারত থেকে সম্পদের নিঃশেষণ” শীর্ষক একটি অংশে বলা হয়েছে, ঔপনিবেশিক শাসকরা বহু বিলিয়ন পাউন্ড ভারত থেকে কেড়ে নিয়েছিল। অর্থনীতিবিদ উৎসা পট্টনায়েকের সাম্প্রতিক এক হিসেব অনুযায়ী, ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে আজকের হিসেবে প্রায় ৪৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ সম্পদ ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল (Social Science)।

    ব্রিটিশদের চুরি

    বইটিতে বলা হয়েছে, “যদি এই বিপুল সম্পদ ভারতে থেকে যেত এবং এখানেই বিনিয়োগ করা হত, তাহলে স্বাধীনতা পাওয়ার সময় ভারত একেবারেই ভিন্ন চেহারার দেশ হত। ভারতে রেলপথ নির্মাণ ঔপনিবেশিক শাসকদের কোনও উপহার ছিল না।” আরও লেখা হয়েছে, “রেলপথের অধিকাংশ খরচই বহন করা হয়েছিল ভারতীয় জনগণের দেওয়া রাজস্ব থেকে (NCERT)।” অর্থাৎ এই পরিকাঠামো প্রধানত ব্রিটিশদের কৌশলগত ও বাণিজ্যিক স্বার্থের জন্য নির্মিত হয়েছিল। পাঠ্যপুস্তকটি অনুসারে, ওই একই কথা প্রযোজ্য টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও। বইটিতে আরও বলা হয়েছে, “ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি ভারত থেকে হাজার হাজার মূর্তি, চিত্রকর্ম, রত্ন, পাণ্ডুলিপি ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক নিদর্শন চুরি করে নিয়ে গিয়েছে এবং সেগুলি ইউরোপীয় জাদুঘর ও ব্যক্তিগত সংগ্রহে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই বিরাট চুরির ঘটনা কেবল ভারতেই নয়, বরং সমগ্র ঔপনিবেশিক বিশ্বের ক্ষেত্রেই ঘটেছে (Social Science)। প্রসঙ্গত, আগের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে রেলপথ, সাংস্কৃতিক নিদর্শনের চুরি কিংবা বৈশ্বিক জিডিপি সম্পর্কে কোনও আলোচনাই ছিল না (NCERT)।

  • Mughal Brutality: ‘বাবর নির্দয়, আকবর নিষ্ঠুর’, এনসিইআরটির বইয়ে নয়া মূল্যায়ন মুঘল যুগের

    Mughal Brutality: ‘বাবর নির্দয়, আকবর নিষ্ঠুর’, এনসিইআরটির বইয়ে নয়া মূল্যায়ন মুঘল যুগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম মুঘল সম্রাট বাবর ছিলেন এমন এক শাসক যিনি বহু জনপদের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা (Mughal Brutality) করেছিলেন। আর আকবরের শাসনকে নিষ্ঠুরতা ও সহিষ্ণুতার মিশ্রণ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আওরঙ্গজেব সম্পর্কে (NCERT) লেখা হয়েছে, তিনি বহু মন্দির ও গুরুদ্বার ধ্বংস করেছিলেন। জাতীয় শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পরিষদ সম্প্রতি অষ্টম শ্রেণির সমাজবিজ্ঞান বইয়ে এভাবেই তুলে ধরা হয়েছে মুঘল সাম্রাজ্যকে। ‘এক্সপ্লোরিং সোসাইটি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক এই পাঠ্যবইটি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হয়েছে। এখানেই মুঘল শাসকদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। এই বইটিতে ভারতের মধ্যযুগীয় অতীতকে আরও স্তরবিন্যাসযুক্ত ও অকপটভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

    “ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রের পুনর্গঠন” (Mughal Brutality)

    দিল্লি সুলতানাত, মুঘল সাম্রাজ্য ও ঔপনিবেশিক পর্বগুলির পাঠ সপ্তম শ্রেণি থেকে সরিয়ে অষ্টম শ্রেণিতে স্থানান্তর করা হয়েছে, যা এনসিইআরটির নতুন থিমভিত্তিক ও কালানুক্রমিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। “ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রের পুনর্গঠন” শিরোনামে একটি অধ্যায়ে ১৩শ থেকে ১৭শ শতাব্দীর মধ্যে ভারতের বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলি উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দিল্লি সুলতানাতের উত্থান ও পতন, বিজয়নগর সাম্রাজ্য, মুঘল রাজবংশ এবং শিখ প্রতিরোধের কথাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই নয়া পাঠ্যবইয়ের বিশেষত্ব শুধু বিষয়বস্তুতেই সীমাবদ্ধ নয়, বিশেষত্ব তার ভাষায়ও। এটি শিক্ষার্থীদের বর্তমান দিনের দোষ চাপানো থেকে বিরত থেকে অতীতকে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করতে উৎসাহিত করে।

    অধ্যায়টির ভূমিকায়

    অধ্যায়টির ভূমিকায় কাঠামোটি স্পষ্টভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। সেখানে বলা (Mughal Brutality) হয়েছে, “ইতিহাস অনেক সময় যুদ্ধ ও ধ্বংসের দ্বারা প্রভাবিত মনে হতে পারে, কিন্তু তাই বলে কি আমরা সেগুলি উপেক্ষা করব? এর চেয়ে ভালো পথ হল এই ঘটনাগুলির মুখোমুখি হওয়া ও সেগুলি বিশ্লেষণ করা, যাতে আমরা বুঝতে পারি কী শক্তি এসব ঘটনার পেছনে কাজ করেছে এবং আদর্শভাবে, কীভাবে ভবিষ্যতে এগুলি আবার ঘটতে না দেওয়া যায়। বর্তমান প্রজন্মকে দায়ী না করেই এই অন্ধকার অধ্যায়গুলিকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে অধ্যয়ন করা প্রয়োজন।”

    বাবরের মূল্যায়ন

    অধ্যায়টি শুরু হয়েছে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরকে (Mughal Brutality) দিয়ে, যিনি মধ্য এশিয়া থেকে এসে ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনেন। পাঠ্যপুস্তকে তাঁর প্রধান বিজয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে ১৫২৬ সালের প্রথম পানিপথের যুদ্ধ এবং তাঁর আধুনিক যুদ্ধকৌশল যেমন ফিল্ড আর্টিলারির ব্যবহার। যদিও পাঠ্যপুস্তকে বাবরের কৌশলী মেধা ও ‘বাবরনামা’তে তাঁর পর্যবেক্ষণ স্বীকৃত হয়েছে, তবু এটাও বলা হয়েছে যে তিনি কিছু মন্দির ধ্বংস করেন এবং তাঁর কিছু অভিযানের পেছনে ধর্মীয় প্রেরণা ছিল। এই বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য হল ছাত্রছাত্রীরা যাতে বিজয় ও এর সাংস্কৃতিক প্রভাব (NCERT) সম্পর্কে সহজ ও একমুখী মত গঠনের বদলে বাস্তব সত্য উপলব্ধি করতে পারে।

    আতশ কাচের নীচে আকবরও

    প্রধান যে ব্যক্তিত্বগুলির নতুন করে মূল্যায়ন (Mughal Brutality) করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন সম্রাট আকবর। পাঠ্যবইটি তাঁর সামরিক জয় ও ধর্মীয় সহনশীলতার প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তাঁর শাসনকালকে বর্ণনা করেছে “নির্মমতা ও সহনশীলতার এক মিশ্রণ, যা আকাঙ্ক্ষা ও কৌশল দ্বারা গঠিত।” উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ১৫৬৮ সালে চিতোরগড় অবরোধ, যেখানে হাজার হাজার মানুষ নিহত হন। নারী ও শিশুদের দাসে পরিণত করা হয়। আকবরের নিজের পাঠানো বার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে, বইটি ধর্মীয় জয়যাত্রার পেছনে তাঁর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছে। একইসঙ্গে বইটি তুলে ধরেছে কীভাবে আকবর অ-মুসলিমদের ওপর ধার্য জিজিয়া কর তুলে দেন, রাজপুত নেতাদের দরবারে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং সুলহ-ই-কুল বা “সকলের সঙ্গে শান্তি” নীতির প্রচার করেন। ফতেপুর সিক্রিতে তাঁর অনুবাদ প্রকল্প, যেখানে মহাভারত ও রামায়ণের মতো হিন্দু মহাকাব্যগুলি ফার্সিতে অনুবাদ করা হয়, তা এক বৃহত্তর সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আকবরের জীবনীকার আবুল ফজলের একটি উদ্ধৃতিতে আকবরের ব্যক্তিগত পরিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে।

    আকবরের ‘কবুলনামা’

    বলা হয়েছে, “আগে আমি মানুষকে আমার ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে জোর করতাম। জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে আমি লজ্জায় অভিভূত হই। নিজে মুসলমান না হয়েও অন্যকে মুসলমান বানাতে চাওয়া ঠিক ছিল না (NCERT)।” আওরঙ্গজেবকে এমন এক শাসক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যার আঞ্চলিক সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় রক্ষণশীলতাও বৃদ্ধি পায়। পাঠ্যবইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি জিযিয়া কর পুনর্বহাল করেন, রাজদরবারে সঙ্গীত ও নৃত্য নিষিদ্ধ করেন, এবং হিন্দুদের ওপর তীর্থযাত্রা কর চাপিয়ে দেন। বারাণসী ও মথুরার মতো শহরে মন্দির ধ্বংস এবং শিখ, সুফি, জৈন ও পার্শিদের ওপর নির্যাতনের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা শেখে কীভাবে আওরঙ্গজেব দারা শিকোকে পরাজিত করেন, প্রতিদ্বন্দ্বীদের হত্যা করেন, এবং নিজের বাবা শাহজাহানকে বন্দি করেন। এই শাহজাহানই  তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন (Mughal Brutality)।

  • NCERT: এনসিইআরটি-র সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে বাদ মুঘল এবং সুলতানি শাসন, স্থান পেল ভারতীয় সাম্রাজ্যের কথা

    NCERT: এনসিইআরটি-র সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে বাদ মুঘল এবং সুলতানি শাসন, স্থান পেল ভারতীয় সাম্রাজ্যের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিইআরটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং)-র পাঠ্যবইয়ে (NCERT) সপ্তম শ্রেণির নতুন সমাজবিজ্ঞান বইয়ে বাদ পড়ল দিল্লির মুঘল এবং সুলতানি সাম্রাজ্যের অধ্যায়। তার পরিবর্তে নতুন সংযোজন করা হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্যের কথা। রাখা হয়েছে মগধ, মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহন সাম্রাজ্যকে। একইসঙ্গে ২০২৫ সালে প্রয়াগরাজে হওয়া মহাকুম্ভও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন পাঠ্যবইয়ে।

    জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী পরিবর্তন

    এই পরিবর্তনগুলি জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) ২০২০ এবং স্কুল শিক্ষার জন্য জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামো (এনসিএফএসই) ২০২৩ অনুযায়ী করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই দুই নীতিই স্কুল শিক্ষায় ভারতীয় ঐতিহ্য, দর্শন, সভ্যতাকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছে। এনসিইআরটির এমন সিদ্ধান্তে তারই প্রতিফলন দেখা গেল (Indian Heritage)। প্রসঙ্গত, এর আগে তুঘলক, খিলজি, লোধি প্রভৃতি শাসন ব্যবস্থা বাদ দেওয়া হয়েছিল। তবে এই প্রথম মুঘল এবং দিল্লির সুলতান সম্পর্কিত অধ্যায়গুলি বাদ পড়ল।

    তীর্থভূমি ভারত নিয়ে আলাদা অধ্যায় (NCERT)

    সমাজ বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক (NCERT) ‘এক্সপ্লোরিং সোসাইটি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’ এই বইয়ে ভারতীয় সাম্রাজ্যগুলির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মগধ, মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহনের মতো প্রাচীন ভারতীয় রাজবংশগুলির শাসন। এই অধ্যায়েই দেশের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ, চারধাম যাত্রা এবং নদীসঙ্গম, পর্বত ও জঙ্গল সহ শক্তিপীঠের স্থানগুলিকে ‘ধর্মীয় ভূগোল’ (Sacred geography) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি আসলে ধর্মীয় বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের প্রেক্ষাপট সম্বলিত স্থানগুলির অধ্যয়ন। এর মাধ্যমে স্থানগুলির প্রতীকী ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বোঝাতে চাওয়া হয়েছে। এটি এমন স্থানগুলিকে চিহ্নিত করে যা ধর্মীয় বিশ্বাস ও প্রথার সঙ্গে সম্পর্কিত। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হয়েছে এই অধ্যায়ে, যেখানে ভারতবর্ষকে তীর্থভূমি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে ইসলাম, খ্রিস্টান, ইহুদি এবং হিন্দু, বৌদ্ধ এবং শিখ- এই ধর্মগুলি নিয়ে একটি নয়া অধ্যায় রাখা হয়েছে।

    স্থান পেয়েছে মহাকুম্ভ

    নতুন সংশোধিত পাঠ্যপুস্তকে (NCERT) দাবি করা হয়েছে, ‘বর্ণ-জাতি ব্যবস্থা’ প্রাচীন ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা প্রদান করলেও, পরে তা বৈষম্যের আকার নেয়। বিশেষত ব্রিটিশ শাসনের অধীনে কঠোর হয়ে ওঠে। ২০২৫ সালে উত্তরপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া মহাকুম্ভ সম্পর্কেও উল্লেখ রয়েছে বইতে। এখানেই বলা হয়েছে ৬৬ কোটি মানুষ এই বিরাট ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন।

    নাগরিকদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনও স্থান পেয়েছে (Indian Heritage)

    ভারতের সংবিধান সম্পর্কিত একটি অধ্যায় স্থান পেয়েছে বইটিতে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘একটা সময় ছিল যখন সাধারণ নাগরিকদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুমতি ছিল না। কিন্তু পরে ২০০৪ সালে এই নিয়মের পরিবর্তন করা হয়। নাগরিকদের নিজেদের দেশের প্রতি গর্ব প্রকাশ করতে বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলার আর্জি জানান। সুপ্রিম কোর্টও এবিষয়ে সম্মতি জানিয়ে বলেছিল যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করাও মৌলিক অধিকারের অঙ্গ। বর্তমানে আমরা গর্বের সঙ্গে নিজেদের বাড়িতে তেরঙ্গা উড়াতে পারি, এটা মাথায় রেখেই যে জাতীয় পতাকার যাতে কোনও অসম্মান না হয়।’’ এনসিইআরটি কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন, এই সংশোধনী কেবল বইয়ের প্রথম অংশের জন্য করা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশের সংশোধনী আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে এনসিআরটি।

    ভারতের উন্নয়নের একাধিক প্রকল্প স্থান পেয়েছে

    একই সঙ্গে নয়া পাঠ্যপুস্তকে একটি অধ্যায় (NCERT) আনা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক এবং সামাজিক পরিবর্তনগুলিকে। এই বইতে স্থান পেয়েছে মোদি সরকারের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বগুলিও। যথা মেক-ইন-ইন্ডিয়া, বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও, একই সঙ্গে অটল টানেলের মতো ভারতবর্ষের বড় পরিকাঠামোগত সাফল্যগুলিও এই বইতে স্থান পেয়েছে। এনসিআরটি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই অধ্যায়গুলির সংযোজনের আসল লক্ষ্য হল- ছাত্র-ছাত্রীদের অবগত করানো দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং মাইলস্টোনগুলিকে।

    ভারতীয় লেখকদের লেখা প্রাধান্য পেয়েছে

    প্রসঙ্গত, সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ইংলিশ কারিকুলাম বিষয়টিও সংশোধন করা হয়েছে। আগের পাঠ্যপুস্তকের নাম ছিল Honeycomb. বর্তমানে তা বদলে করা হয়েছে Poorvi. আগের Honeycomb-এ ১৭টি অংশ ছিল সাহিত্যের। যার মধ্যে মাত্র চারটি ছিল ভারতীয় লেখকদের অধ্যায়। নতুন Poorvi-তে পনেরোটি বিভিন্ন গল্প ও কবিতা রয়েছে। যেগুলির মধ্যে ৯টি লেখা রয়েছে ভারতীয় লেখকদের। এখানেই স্থান পেয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং এপিজে আবদুল কালামের লেখা। বিদেশীদের মধ্যে স্থান পেয়েছে রাসকিন বন্ডের লেখা।

  • NCERT: ‘সাথী পোর্টাল’ চালু এনসিইআরটি-র, বিনামূল্যে কোচিং পাবেন জেইই-নিট পরীক্ষার্থীরা

    NCERT: ‘সাথী পোর্টাল’ চালু এনসিইআরটি-র, বিনামূল্যে কোচিং পাবেন জেইই-নিট পরীক্ষার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইঞ্জিনিয়ারিং (JEE), মেডিক্যাল (NEET) এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT) ‘সাথী পোর্টাল ২০২৪’ (Sathee Portal) চালু করেছে। পোর্টালে হিন্দি, ইংরেজি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় অধ্যয়ন করা এবং নিখরচায় কোচিং-এর সুব্যবস্থা রয়েছে। এই কোচিং ক্লাসের সুবিধা নিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

    উপকৃত হবেন ৪.৩৭ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী (NCERT)

    ‘সাথী’ (Sathee Portal) প্ল্যাটফর্ম একটি সম্পূর্ণ অনলাইন ব্যবস্থা, যা শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই অনলাইন কোচিং-এ বিনামূল্যে পাঠ্যক্রমের উপকরণ, ভিডিও পাঠ, মক টেস্ট এবং বিশেষজ্ঞ দ্বারা নির্দেশিকা প্রদান করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মটি সমাজের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে। তবে এই কোচিং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি ২০২০)-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, সরকার এই বিনামূল্যে কোচিং প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগগুলিতে শিক্ষা গ্রহণে সমানাধিকার দেওয়ার ভাবনাকে সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ‘সাথী’ পোর্টালে মাধ্যমে পড়াশুনার উপকরণ সরবরাহ করে সরকার শিক্ষাগত বৈষম্য কমাতে এবং দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগের প্রচার করতে চায়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে উপকৃত হতে ৪.৩৭ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী এখনও পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    এনসিইআরটি সাথি পোর্টাল কীভাবে কাজ করে?

    এনসিইআরটি (NCERT) ‘সাথী পোর্টাল’ (Sathee Portal)-এ সাইন আপ করার পরে, শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন বা এসএসসি-র মতো পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। লাইভ পাঠদান, অনুশীলন, এনসিইআরটি-ভিত্তিক বই এবং সমাধানসূত্র সূচক ভিডিওগুলিকে দেখা এবং পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। একই ভাবে সীমিত ইন্টারনেট সংযোগ যুক্ত এলাকাগুলিতে পড়ুয়াদের এই পরিষেবা দিতে সম্পূর্ণ কোচিং ক্লাসের প্রোগ্রামকে ডিটিএইচ (DTH) চ্যানেলের মাধ্যমেও সম্প্রচার করা হবে। পোর্টালে একটি চ্যাটবক্স উপলব্ধ থাকবে, যাতে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন রাখতে সহায়ক হয় এবং দ্রুত সমাধান সূত্রও দেওয়া হবে। রবিবার এবং সরকারি ছুটির দিন ছাড়া পোর্টালটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করবে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার অপার সম্ভাবনার রাস্তা খুলে যাবে।

    সাথী পোর্টালের মূল বৈশিষ্ট্য

    জেইই (JEE) এবং অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে সাহায্য করার জন্য ৪৫ দিনের ক্র্যাশ কোর্স চালু করা হয়েছে। সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই ধরনের কোচিং (NCERT) উপলব্ধ হলে ছাত্রছাত্রীরা দারুণভাবে উপকৃত হবেন। একই ভাবে গেট (GATE), ক্যাট (CAT), এবং ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষার প্রার্থীদের জন্যও পোর্টালটি ভীষণ ভাবে কার্যকরী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার আইআইটি (IIT), এনআইটি (NIT) এবং এইমস (AIIMS)-এর মতো জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির ক্লাস করাবেন। এতে শিক্ষার্থীরা ভীষণ ভাবে উপকৃত হবেন। লাইভ ইন্টারেক্টিভ সেশনের মাধ্যমে গাইডেন্স দেওয়া হবে। যেখানে পরামর্শদাতা শিক্ষক এবং সিনিয়র ছাত্ররাও অংশগ্রহণকারীদের সহায়তা প্রদান করতে পারবেন।

    একাধিক আঞ্চলিক ভাষায় হবে কোচিং

    পোর্টালটিতে (NCERT) ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন এবং এসএসসি সম্পর্কিত বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় ভিডিও লেকচার উপলব্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার পটভূমিতে শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তু বুঝতে দারুণ ভাবে উপকৃত হবেন। একই ভাবে একটি এআই-চালিত স্ব-মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে, যা শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি মূল্যায়ন করতে সহায়ক হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্বলতাগুলি সনাক্ত করে তার সমাধানেরও ব্যবস্থা থাকবে। একই ভাবে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা মক টেস্ট এবং সমস্যা সমাধানের সেশনও রয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার অভিজ্ঞতা দেবে।

    আরও পড়ুনঃ মোদি সরকারের উন্নয়ন যজ্ঞ রোধ করাই লক্ষ্য! কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত ডাক্তার সহ ৭

    কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন?

    ‘সাথী’ পোর্টালে (Sathee Portal) নাম নথিভুক্ত করতে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করুন। যথা-

    ১> প্রথমে sathee.prutor.ai লিঙ্কটি অনুসরণ করে অফিসিয়াল ভাবে এনসিইআরটি (NCERT) ওয়েবসাইটে যান।

    ২> এরপর আপনার নাম, ইমেল ঠিকানা, এবং পূর্ববর্তী একাডেমিক বিবরণ প্রবেশ করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

    ৩> তারপর আপনি যে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে চান তা বেছে নিন, যেমন- জেইই (JEE), নিট (NEET) বা এসএসসি (SSC)।

    একবার রেজিস্ট্রেশন (Sathee Portal) হয়ে গেলে, আপনি লাইভ সেশনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। স্ব-মূল্যায়ন সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারবেন এবং ভিডিও লেকচারগুলি দেখার সুযোগ পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NCERT: “হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না”, সাফ জানালেন এনসিইআরটি কর্তা

    NCERT: “হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না”, সাফ জানালেন এনসিইআরটি কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঘৃণা এবং হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না। স্কুলের পাঠ্যবইয়ে এসব বিষয়ে আলোকপাত করাও উচিত নয়।” কথাগুলি বললেন এনসিইআরটির (NCERT) প্রধান। প্রসঙ্গত, এনসিআরটির নয়া পাঠ্যপুস্তকে দ্বাদশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বাবরি মসজিদ নামটির উল্লেখ নেই বলে অভিযোগ। বইটিতে বাবরি মসজিদকে তিন গম্বুজওয়ালা কাঠামো বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এনিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। এহেন আবহে মুখ খুললেন এনসিইআরটির (NCERT) প্রধান দীনেশ প্রসাদ সাকলানি।

    শিক্ষায় সংস্কার (NCERT)

    তিনি বলেন, “আমরা কি আমাদের শিক্ষার্থীদের এমনভাবে শিক্ষা দেব যাতে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে? সমাজে ঘৃণার সৃষ্টি করে বা ঘৃণার শিকার হয়? এটাই কি শিক্ষার উদ্দেশ্য?” তিনি বলেন, “আমাদের কি এই রকম ছোট বাচ্চাদের দাঙ্গা সম্পর্কে শেখানো উচিত…তারা যখন বড় হবে, তখন এটি সম্পর্কে এমনই জানতে পারবে। তাহলে স্কুলের পাঠ্যপুস্তক থেকে জানার দরকার কেন?” এনসিআরটির সিলেবাস অনুসরণ করা হয় ৩০ হাজার স্কুলে।

    এনসিইআরটি

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের অনুমোদিত এই সব স্কুলে ওই পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। শিক্ষায় গৈরিকীকরণের যে অভিযোগ বিরোধীরা করছেন, তাও নস্যাৎ করে দিয়েছেন সাকলানি। তিনি বলেন, “শিশুরা বড় হওয়ার পর জানতে পারবে কী ঘটেছে, কেনই বা ঘটেছে। এই রদবদল নিয়ে সরব হওয়া একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যদি রাম মন্দির, বাবরি মসজিদ বা রাম জন্মভূমির পক্ষে রায় দিয়ে থাকে, তা কি আমাদের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়? তাতে সমস্যা কী?”

    আরও পড়ুন: এবার কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও চালু হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি দর্শন

    সাকলানি বলেন, “স্কুলের পাঠ্যবইয়ে দাঙ্গা নিয়ে কী শিক্ষা দেওয়া উচিত? আমরা পজিটিভ নাগরিক সৃষ্টি করতে চাইছি। হিংসা ও হতাশ ব্যক্তিত্ব তৈরি নয়। এর পরেই তিনি বলেন, আমাদের কী এমনভাবে শিক্ষা দেওয়া উচিত যাতে করে সমাজে ঘৃণা ছড়ায় কিংবা আমাদের শিশুরা ঘৃণার শিকার হয় এটাই কি শিক্ষার লক্ষ্য (NCERT)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NCERT: ভারতের সুমেরু-কুমেরু-হিমালয় অভিযানের অগ্রগতি এবার স্থান পাবে এনসিইআরটির বইয়ে

    NCERT: ভারতের সুমেরু-কুমেরু-হিমালয় অভিযানের অগ্রগতি এবার স্থান পাবে এনসিইআরটির বইয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্কটিক, আন্টার্টিকা এবং হিমালয় নিয়ে  ভারতের গবেষণার অগ্রগতি স্থান পেতে চলেছে স্কুল পাঠ্য বইগুলিতে। এমনটাই জানা গিয়েছে এনসিইআরটি-র (NCERT) তরফ থেকে। সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্র এ বিষয়ে এনসিইআরটিকে সুপারিশ করেছে।

    কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রবিচন্দ্রন কী বললেন?

    কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রবিচন্দ্রন এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘এনসিআরটি (NCERT) স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে এই ক্ষেত্রগুলির গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য একটি কমিটিও ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে। ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিবের আরও সংযোজন, ‘‘আমরা এনসিইআরটিকে একটি চিঠি লিখেছি। সম্প্রতি আন্টার্টিকা অভিযান, হিমালয় ও জলবায়ু পরিবর্তন সহ আরও বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছে।’’

    ২০২৬ সালের মধ্যেই এই বিষয়গুলি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে

    জানা গিয়েছে এনসিইআরটির (NCERT) পাঠ্য পুস্তকে ইতিমধ্যে আন্টার্টিকা অভিযানের বেশ কিছু বিষয় রয়েছে। বিভিন্ন শ্রেনীতে তা পড়ানো হয়। তবে সেগুলির সর্বশেষ সংস্করণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। তাই আন্টার্টিকা এবং হিমালয় অঞ্চলে ভারতের গবেষণার সর্বশেষ আপডেট খুব শীঘ্রই এনসিইআরটির স্কুল পাঠ্য বইগুলিতে দেখা যাবে। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর পরবর্তীকালে এনসিইআরটির (NCERT) পাঠ্য পুস্তক থেকে জলবায়ু পরিবর্তন, বর্ষা, গ্রিনহাউস প্রভাবের মত অনেক বিষয়েই বাদ দেওয়া হয়েছে। এনসিইআরটির সূত্রে জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যেই এই বিষয়গুলি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, চলতি মে মাসের কুড়ি থেকে ত্রিশ তারিখ কোচিতে আন্টার্টিকা অভিযান নিয়ে একটি আলোচনা হবে।

    ১৯৮৩ সালে স্থাপিত হয় দক্ষিণ গঙ্গোত্রী

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ মেরুতে ভারতের প্রথম গবেষণা কেন্দ্রের নাম ছিল দক্ষিণ গঙ্গোত্রী, ১৯৮৩ সালে যা স্থাপিত হয়। পরে এটি বরফে ডুবে যায় এবং পরিত্যক্ত হয়ে ওঠে। এই মুহূর্তে ভারতের দুটি সক্রিয় গবেষণাগার রয়েছে। একটি মৈত্রী, অপরটি হল ভারতী। জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক বছর ধরে বহু ভারতীয় ছাত্র দক্ষিণ মেরু গবেষণায় নিজেদেরকে যুক্ত করেছেন। কিন্তু স্কুলস্তরের সব ছাত্রদের ছাত্ররা দক্ষিণ মেরুতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তার একটাই কারণ, তা হল প্রচুর খরচ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share