Tag: Nepal sc

  • Nepal Unrest: নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন ভারতে ‘বেড়ে ওঠা’ সুশীলা কার্কি!

    Nepal Unrest: নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন ভারতে ‘বেড়ে ওঠা’ সুশীলা কার্কি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেন জি-র আন্দোলনের জেরে দিন দুয়েক ধরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল ভারতের পড়শি দেশ নেপাল (Nepal Unrest)। ব্যাপক আন্দোলনের জেরে পতন হয় কেপি শর্মা অলি সরকারের। দেশে শান্তি ফেরাতে ক্ষমতার রাশ নেয় সে দেশের সেনাবাহিনী। এর পরেই পরিস্থিতি থিতু হয়। এহেন নেপালেরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চলেছেন সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। তিনি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তাঁকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন জেন জেড আন্দোলনের নেতৃত্ব। সুশীলা জানান, ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক আরও ভালো করা হবে।

    ভারত-নেপাল সম্পর্কে চিড় (Nepal Unrest)

    নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ছিল মধুর। এই সম্পর্কে চিড় ধরে কমিউনিস্ট শাসক অলির শাসন কালে। ভারতের পরিবর্তে তিনি মাখোমাখো সম্পর্ক তৈরি করেন আর এক কমিউনিস্ট শাসিত দেশ চিনের সঙ্গে। যে চিনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে বিপাকে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা-মলদ্বীপ এবং বাংলাদেশ, সেই বেজিংয়ের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন অলি। তার জেরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারত-নেপাল সম্পর্কের ফাটল চওড়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন শুনে, সেই সম্পর্কই মেরামত করতে চান সুশীলা। বছর বাহাত্তরের সুশীলা নেপালের প্রথম মহিলা যিনি প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন। ২০১৬ সালে তাঁকে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ করেন নেপালের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। তাঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অলি।

    সুশীলা কার্কি

    আইনি যাত্রা শুরুর আগে সুশীলা ছিলেন শিক্ষিকা। সেই সময় থেকেই তাঁর একটা সাহসী, দক্ষ ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল। এ যাবৎকাল পর্যন্ত দুর্নীতির কোনও কালি লাগেনি তাঁর গায়ে। প্রত্যাশিতভাবেই জনমানসে জায়গা করে নেন এই প্রতিভাময়ী। ২০০৬ সালের সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য ছিলেন সুশীলা। ২০০৯ সালে তাঁকে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। পরের বছরই স্থায়ী বিচারপতি পদে নিয়োগ করা হয় সুশীলাকে। ২০১৬ সালে দেশের শীর্ষ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পান সুশীলা। পরে হন স্থায়ী প্রধান বিচারপতি। এই পদে থাকাকালীন বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলায় কঠোর রায় দিয়েছিলেন সুশীলা। পুলিশে নিয়োগে অনিয়ম, দ্রুত বিচার আদালত প্রতিষ্ঠা (Nepal Unrest) এবং বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল দুর্নীতির মামলায় কড়া রায় দিয়েছিলেন তিনি। এহেন সুশীলার ঘাড়েই বর্তেছে নয়া নেপাল গঠনের কাজের ভার (Sushila Karki)।

    প্রতিনিধি নির্বাচন

    প্রসঙ্গত, বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং দেশে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করতে অনলাইনে ভার্চুয়াল সভা করেন জেন-জি আন্দোলনকারীরা। বৈঠকে স্পষ্ট বলা হয়, জেন জি আন্দোলনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক রাখতে হবে। তাই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করা হবে না। বর্তমানে সুশীলা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং একজন নাগরিক কর্মী হিসেবে তাঁকেই এই ভূমিকার জন্য সব চেয়ে উপযুক্ত বলে মনে করেছে জেন জেড। তার পরেই ঘোষণা করা হয় (Nepal Unrest) তাঁর নাম।

    সুশীলার ভারত-যোগ

    সুশীলার সঙ্গে ভারতের যোগ বেশ পুরানো। তাঁর (Sushila Karki) পড়াশোনা ভারতেই, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে। এখান থেকেই স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি এই সময় শিখেছিলেন ভারতীয় নৃত্যও। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়েছিলেন সুশীলা। সেই সময়ের কথা, ভারতীয় বন্ধুদের কথা এবং তাঁর শিক্ষকদের কথা আজও সংরক্ষিত রয়েছে তাঁর মনের মণিকোঠায়। সংবাদ মাধ্যমকে সুশীলা জানান, এ সবের পাশাপাশি বেনারসের গঙ্গা নদীর কথাও তাঁর বেশ মনে পড়ে।

    কী বললেন সুশীলা?

    দীর্ঘদিন ভারতে কাটানোর পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ ক্ষেত্রে বিচরণ করায় ভারতের প্রতি একটা আলাদা দুর্বলতা রয়েছে সুশীলার। জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কেও ভালো ধারণা রয়েছে তাঁর (Nepal Unrest)। সুশীলা বলেন, “অনেক দিন ধরেই আমরা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছি না। তবে আমরা এ নিয়ে কথা বলব। যখন কোনও একটা আন্তর্জাতিক বিষয় হয়, তখন দুই দেশের মধ্যে কিছু লোক এক সঙ্গে বসে একটা নীতি তৈরি করে। আমরাও তা-ই করব।” তিনি (Sushila Karki) জানান, ভারত সব সময়ই নেপালকে সাহায্য করেছে। কিছু ক্ষেত্রে বিরোধ থাকলেও, আগামী দিনে নেপাল আবারও ভারতের সাহায্য পাবে বলে আশাবাদী তিনি। তবে সরকারি ক্ষেত্রে সম্পর্কের বিষয়টি আলাদা বলেও মন্তব্য করেন সুশীলা। বলেন, “অবশ্য আমাদের দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে বরাবরই একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে।”

    এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার থেকেই নেপালে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে খবর। যদিও সেখানে বসবাসরত ভারতীয়দের পূর্ণ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সুশীলা। তিনি জানান, এখন দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে সেনা (Sushila Karki)। বিক্ষোভের সময় যে সব পরিবারের সদস্যরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবার যাতে সুবিচার পান, সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান (Nepal Unrest) সুশীলা।

LinkedIn
Share