Tag: news

news

  • Cancer Vaccine: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে রাশিয়ার তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা!

    Cancer Vaccine: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে রাশিয়ার তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র একটি টিকা। তাতেই কমবে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়া (Russian Scientists)। মানুষের শরীরেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের পরে রাশিয়ার দাবি, তাদের তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা ক্যান্সারের (Cancer Vaccine) ঝুঁকি কমাতে পারবে। টিকাটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল ১০০ শতাংশ সফল বলে দাবি রাশিয়ার।

    এন্টেরোমিক্স টিকা (Cancer Vaccine)

    চার ধরনের ভাইরাসের নমুনা নিয়ে এন্টেরোমিক্স টিকা তৈরি করেছে রাশিয়া। এই ভাইরাসগুলি কম ক্ষতিকারক, তবে শরীরে ঢুকলে ক্যান্সার কোষের বারোটা বাজাতে পারবে। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, টিকাটি ত্বকের সব চেয়ে বিপজ্জনক ক্যান্সার মেলানোমার ঝুঁকি কমাতে পারবে। অগ্যাশয়, কিডনি ও ফুসফুসের ক্যান্সার থেকেও সুরক্ষা দিতে পারবে এই টিকা। টিকার কাজই হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া। শরীরে যদি কোনও বিজাতীয় প্রোটিন ঢোকে, তা হলে শরীর তার নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করা। ক্যান্সারের সময় শরীরের নিজস্ব কোষগুলি শত্রুর মতো আচরণ করে। সেগুলির অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন শুরু হয়ে যায়। ফলে টক্সিন তৈরি হতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে রোধ করতে হলে প্রয়োজন অ্যান্টিবডি ও ইমিউনোসাইট।

    অ্যান্টিবডি তৈরি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি

    এই ইমিউনোসাইট হল সেই সব কোষ, যারা অ্যান্টিবডি তৈরি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে (Cancer Vaccine)। এই ইমিউনোসাইট কোষগুলিকে সক্রিয় করে তুলতেই টিকা তৈরি হয়। রাশিয়ার দাবি, তাদের তৈরি টিকা ইমিউনোসাইটকে বেশি মাত্রায় এবং দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করবে। ফলে ক্যান্সার কোষ আর তৈরিই হবে না। যদিও রাশিয়ার তৈরি ক্যান্সারের টিকা নিয়ে নিশ্চিত তথ্য এখনও মেলেনি। টিকাটির আরও কয়েক পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলের জন্যই অপেক্ষা চলছে। উল্লেখ্য, টিকা তৈরি ও তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনেকগুলি ধাপ থাকে। প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পশুর শরীরে পরীক্ষা চলে। তার পর তিন ধাপে মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালিয়ে টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা হয়। রাশিয়ার তৈরি টিকাটি এখনও প্রাথমিক ধাপেই রয়েছে বলে খবর। রাশিয়ার (Russian Scientists) দাবি, এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুব সামান্যই হয়েছে (Cancer Vaccine)।

  • Asia Cup: এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের শেষ সুপার ৪ ম্যাচে চিনকে গো-হারান হারিয়ে ফাইনালে ভারত

    Asia Cup: এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের শেষ সুপার ৪ ম্যাচে চিনকে গো-হারান হারিয়ে ফাইনালে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ (Asia Cup) (পুরুষ) হকি টুর্নামেন্টের শেষ সুপার ৪ ম্যাচে চিনকে ৭-০ গোলে গো-হারান হারিয়ে ফাইনালে (Hockey Final) উঠল ভারত। ভারতের খেলোয়াড়রা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। গোল করেছেন শিলানন্দ লাকড়া, দিলপ্রীত সিং, মানদীপ সিং, রাজ কুমার পাল, সুখজিৎ সিং, এবং অভিষেক। এই জয়ে ভারত সুপার ৪ পর্যায়ের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে সাত পয়েন্ট নিয়ে। এবার তাকে খেলতে হবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কোরিয়ার সঙ্গে। চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কোরিয়াও।

    কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত (Asia Cup)

    ভারত আগামী বছর বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডস যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্বকাপে খেলার স্থান নিশ্চিত করতে রবিবার ফাইনালে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে। চিন ও মালয়েশিয়া তৃতীয়-চতুর্থ স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও রবিবার মুখোমুখি হবে। কোরিয়া আগেই গুরুত্বপূর্ণ সুপার ৪ ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। শনিবার চিনের বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচ জুড়ে ভারতীয়দের আধিপত্য ছিল দেখার মতো। ভারতীয়রা তাদের আধিপত্য প্রমাণ করতে শুরু থেকেই জোরালোভাবে খেলে গিয়েছিল। তাদের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয় চতুর্থ মিনিটের মাথায়, যখন শিলানন্দ গোলটি করেন। এটি ছিল অধিনায়ক হারমনপ্রীত সিংয়ের সুনিপুণ বল, যা হাফলাইন থেকে জারমনপ্রীত সিংয়ের পায়ে পৌঁছয় ডান ফ্ল্যাঙ্কে, যাঁর পাসটি নিখুঁতভাবে শিলানন্দ থামিয়ে গোল করেন (Asia Cup)।

    চিনকে পর্যুদস্ত করল ভারত

    গোল করার পরেও ভারতীয়রা থেমে (Hockey Final) থাকেনি। বরং কয়েক মিনিটের মধ্যে শিলানন্দ তাঁর দলের পক্ষে একটি পেনাল্টি কর্নার করেন। হরমনপ্রীতের প্রাথমিক শট চিনা গোলরক্ষক ওয়েইহাও ওয়াং রক্ষা করেছিলেন। কিন্তু দিলপ্রীত সঠিক স্থান থেকে পুনরুদ্ধার করে গোল করে ভারতের লিড দ্বিগুণ করেন। ভারত ১৮তম মিনিটে তাদের দ্বিতীয় পেনাল্টি কর্নার পেয়েছিল। ভারতীয় আক্রমণকারীরা চিনা সার্কেলে একেবারে আধিপত্য বিস্তার করছিলেন। ম্যাচের সাইড পরিবর্তনের পর ভারত একই ধরনের আক্রমণ চালিয়ে গেল (Hockey Final) এবং গোলের খুব কাছে গিয়ে দিলপ্রীতের শক্তিশালী উচ্চ শট চিনা গোলরক্ষকের প্রসারিত হাত দ্বারা আক্রোব্যাটিকভাবে রক্ষা করা হয়। তার পরের গোলগুলি করে চিনকে কার্যত পর্যুদস্ত করে ভারত (Asia Cup)।

  • DRDO: রুখবে আকাশ পথে হামলা! ওড়িশা উপকূলে সফল ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স ওয়েপনস সিস্টেমের পরীক্ষা

    DRDO: রুখবে আকাশ পথে হামলা! ওড়িশা উপকূলে সফল ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স ওয়েপনস সিস্টেমের পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার উপকূলে সফলভাবে পরীক্ষা করা হল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার নাম ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স ওয়েপন সিস্টেম (IADWS)। এই পরীক্ষাকে (Air Defence Weapon System) দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এক বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) রবিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এই সফল পরীক্ষার কথা জানায়। তারা জানায়, শনিবার গভীর রাত ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ ওড়িশার উপকূলে এই উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়।

    IADWS হল একটি বহুস্তরীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

    IADWS হল একটি বহুস্তরীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা বিভিন্ন ধরনের শত্রু বিমান ও আকাশপথে (Air Defence Weapon System) আক্রমণের হুমকি প্রতিহত করতে সক্ষম। এতে রয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার-নির্ভর নির্দেশিত অস্ত্র ব্যবস্থা, উন্নত রাডার, লঞ্চার, লক্ষ্য নির্ধারণ ও নির্দেশিকা ইউনিট, ক্ষেপণাস্ত্র, এবং কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল ব্যবস্থা—যা সম্মিলিতভাবে একটি শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা চক্র গড়ে তোলে (DRDO)। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রায় সাড়ে তিন মাস পর এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সফল পরীক্ষা দেশীয় প্রযুক্তির (Air Defence Weapon System) ওপর ভারতের আত্মনির্ভরতার প্রতিফলন।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং কী বলছেন?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই সাফল্যের জন্য ডিআরডিও (DRDO), ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং এর সঙ্গে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আইএডিডব্লুএস-এর সফল পরীক্ষার জন্য আমি ডিআরডিও (DRDO), ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং এর সঙ্গে যুক্ত বাকি সকলকে অভিনন্দন জানাই। এই অনন্য পরীক্ষা আমাদের দেশের বহুস্তরীয় বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতার স্পষ্ট প্রমাণ। এই সিস্টেম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করবে এবং আকাশপথে শত্রু হামলার মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” এই উন্নত প্রযুক্তি ভারতের আকাশপথকে (Air Defence Weapon System) আরও নিরাপদ করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Pakistani: ১৯৫৬ সাল থেকে দুই পাকিস্তানি মহিলা থাকছিলেন বিহারে, ধরা পড়ল বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায়

    Pakistani: ১৯৫৬ সাল থেকে দুই পাকিস্তানি মহিলা থাকছিলেন বিহারে, ধরা পড়ল বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের ভাগলপুর থেকে ইমরানা খানম এবং ফিরদৌসিয়া খানম নামে দুই পাকিস্তানি (Pakistani) নারীর নাম রাজ্যের ভোটার তালিকায় দেখা যাওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা যাচ্ছে, ইমরানা ১৯৫৬ সালে ৩ বছরের এবং ফিরদৌসিয়া ওই একই বছরে তিন মাসের ভিসায় ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। পরবর্তীকালে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া চলাকালীন এই বিষয়টি প্রকাশ পায়। এই সময়ে তাদের নাগরিকত্ব যাচাই করা হয় এবং পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

    অবৈধভাবে বসবাস

    বিহারের প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১৯৫৬ সালে ওই দুই পাকিস্তানি (Pakistani) মহিলা পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে এসেছিলেন। রেকর্ড থেকে জানা যাচ্ছে, তারা ভিসা নতুনভাবে পুনর্নবীকরণ করেননি এবং অবৈধভাবে বিহারে (Bihar) বসবাস করে গিয়েছেন। পরবর্তীকালে প্রশাসন তাদের বিভিন্ন বিবরণ মিলিয়ে দেখেন এবং বিদেশি নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করেন। এ বিষয়ে বিহারের SIR-এর কাজে নিযুক্ত বুথ লেভেল অফিসার ফারজানা খাতুন জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই বিষয়টি দেখাশোনা করছে এবং ওই দুই পাকিস্তানি (Pakistani) নাগরিকের নাম অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে বলা হয়েছে।

    সরকারি চাকরিও করতেন ইমরানা

    প্রশাসনের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, ইমরানা খানম একসময় বিহারে সরকারি চাকরিও করেছেন। বিদেশি নাগরিকত্ব থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন জাল সার্টিফিকেট জোগাড় করে তিনি এই কাজ পেয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে তদন্ত চলছে। এর মাধ্যমেই জানা যাবে, কবে তাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং অতীতে তিনি ভোট প্রদান করেছিলেন কিনা।

    জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কী বলছেন

    অন্যদিকে, ভাগলপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ডঃ নওয়াল কিশোর চৌধুরী জানিয়েছেন, বৈধ ভোটার আইডি কার্ড সহ দুই পাকিস্তানি (Pakistani) নাগরিককে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তিনি আরও জানান, ভাগলপুরে ২৪ লক্ষ ভোটার রয়েছেন, যাদের যাচাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বুথ লেভেল অফিসারদের। তারা বিভিন্ন বুথে গিয়ে ভোটার যাচাইয়ের কাজ করছেন। এই প্রথমবার এমন একটি ঘটনা ঘটল বলে তিনি উল্লেখ করেন।

  • Donald Trump: ভারত বিরোধী ট্রাম্প! মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুশপুতুল নিয়ে বিক্ষোভ নাগপুরের মারবাট উৎসবে

    Donald Trump: ভারত বিরোধী ট্রাম্প! মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুশপুতুল নিয়ে বিক্ষোভ নাগপুরের মারবাট উৎসবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে নাগপুরে (Nagpur) চলছে মারবাট উৎসব। শনিবার এই উৎসবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) একটি বিরাট কুশপুত্তলিকা নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয় এবং সেখানে অনেক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা বলতে থাকে যে ভারতীয় পণ্যের উপর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যেভাবে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে যেভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন, তারই প্রতিবাদ হিসেবে তারা এই প্রদর্শনী করছেন।

    কী কী লেখা ছিল কুশপুতুলে?

    বিশাল কুশপুত্তলিকার সঙ্গে অনেক প্ল্যাকার্ড দেখা যায় (Donald Trump)। ওই প্ল্যাকার্ডগুলিতে লেখা ছিল— “আমাদের ভয় দেখানোর জন্য শুল্ক আরোপ করেছে তারা, কিন্তু তারা অচিরেই বুঝবে ভারতের শক্তি।” একইসঙ্গে আরও লেখা ছিল। “আমাদের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ যারা করবে, তাদের নিজেদেরই ব্যবসা ধ্বংস হবে।”

    ট্রাম্পকে চাচা বলে সম্বোধন

    ট্রাম্পকে (Donald Trump) উদ্দেশ্য করে কিছু কিছু আন্দোলনকারী হাতে প্ল্যাকার্ড এনেছিলেন, যেখানে লেখা ছিল— “ট্রাম্প, আপনি ভারতকে বলেছিলেন ‘তুমি আমার বন্ধু’, কিন্তু আপনি পর্দার আড়ালে পাকিস্তানকেই ভালোবাসেন।” কেউ কেউ আবার ট্রাম্পকে চাচা বলে সম্বোধন করে লিখে রাখেন— “আমেরিকান চাচা ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন, তবু রাশিয়ার পণ্য নিজেই গ্রহণ করেন।”

    রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে শুল্ক যুদ্ধ (Donald Trump)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাশিয়া থেকে তেল কেনার ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং এই নিয়ে ভারত সরকার ও বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যা বলছেন তা অনর্থক এবং অযৌক্তিক, এবং ভারত কোথায় ব্যবসা করবে, তা এই দেশ নিজেই ঠিক করবে। রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় চুলচে পণ্যের উপর আমেরিকাতে শুল্কের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৫০ শতাংশ। নতুন যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তা ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, নাগপুরের মারবাট উৎসব হলো এক ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। এই উৎসবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা নিয়ে প্রদর্শন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলেই মনে করছেন অনেকে।

  • Guru Granth Sahib: বিশ্ববাসীকে শেখায় মানবতার পাঠ, ২৪ অগাস্ট ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’ প্রকাশ উৎসব

    Guru Granth Sahib: বিশ্ববাসীকে শেখায় মানবতার পাঠ, ২৪ অগাস্ট ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’ প্রকাশ উৎসব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের দেশ ভারত হল মুনি-ঋষিদের ভূমি। এই ভারতেই রচিত হয়েছে অনেক ধর্মশাস্ত্র, যেগুলি সারা পৃথিবীর মানুষকে পথ দেখিয়েছে এবং নৈতিক জীবন গড়ে তোলার উপদেশ দিয়েছে। এই ধর্মশাস্ত্রগুলির মধ্যে অজস্র গ্রন্থ রয়েছে—বেদ, গীতা, রামচরিতমানস প্রভৃতি (Guru Granth Sahib)। এরই মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় গ্রন্থ হল গুরুগ্রন্থ সাহিব, যা ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এক অনন্য স্থান অধিকার করে আছে। সারা পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি মানুষ এই গুরুগ্রন্থ সাহিব-কে অনুসরণ করেন। এটি শুধু শিখ সমাজের ধর্মীয় গ্রন্থ নয়—এখানে আলোচিত হয়েছে মানবতার কথা, নৈতিকতার কথা এবং একটি সৎ, শুদ্ধ জীবনযাপনের পথ।

    স্থাপন করা হয় ১৬০৪ খ্রিস্টাব্দে (Guru Granth Sahib)

    গুরুগ্রন্থ সাহিব (Guru Granth Sahib) প্রথমবার রচনা করা হয় এবং তা হরিমন্দির সাহিব-এ (যাকে আমরা স্বর্ণমন্দির, অমৃতসরে বলি) স্থাপন করা হয় ১৬০৪ খ্রিস্টাব্দে। গুরুগ্রন্থ সাহিব রচনা করেন গুরু অর্জন দেব। একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রন্থের প্রতিষ্ঠা হয়, যেখানে বাবা বুদ্ধজি গ্রন্থটিকে তাঁর মাথার উপর ধারণ করে স্বর্ণমন্দিরের পবিত্র গর্ভগৃহে স্থাপন করেন। এরপর থেকে একে ঘিরে শুরু হয় নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। গুরুগ্রন্থ সাহিবের প্রথম গ্রন্থি হিসেবে নিযুক্ত হন বাবা বুদ্ধজি, যিনি এই গ্রন্থের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেন কেয়ারটেকার হিসেবে (Guru Granth Sahib Prakash Utsav)।

    শিখ ধর্মে গুরুগ্রন্থ সাহিব একটি মহান পবিত্র ধর্মগ্রন্থ

    শিখ ধর্মে গুরুগ্রন্থ সাহিব (Guru Granth Sahib Prakash Utsav) একটি মহান পবিত্র ধর্মগ্রন্থ, যেখানে আলোচিত হয়েছে ভ্রাতৃত্ববোধ, আধ্যাত্মিকতা, এবং এক ঈশ্বর বিশ্বাসের কথা। এতে বহু শিখ গুরুর রচিত শ্লোক স্থান পেয়েছে, যেমন—নামদেব থেকে রামানন্দ—প্রত্যেকেই এতে অন্তর্ভুক্ত। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের জয়দেব, গুজরাটের ত্রিলোচন, রাজস্থানের ধন্না, সিন্ধ প্রদেশের সাধন—এই সব মহাপুরুষদের রচনাও গুরুগ্রন্থ সাহিবে স্থান পেয়েছে। পরবর্তীকালে ভারতের বাইরে থেকে আগত আক্রমণকারীরা—বাবর থেকে শুরু করে ইব্রাহিম লোদী পর্যন্ত—এদেশে এসে হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং বহুক্ষেত্রে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ ঘটায়। এই প্রসঙ্গেই শিখদের প্রথম গুরু গুরু নানক, তাঁর শ্লোকগুলিতে সেইসব শাসকদের নৃশংসতা ও ধর্মদ্রোহী কার্যকলাপের তীব্র সমালোচনা করেন—যারা ধর্মে আঘাত করত এবং সাধারণ মানুষকে নিপীড়ন করত।

  • PM Modi: বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা সারাতে পারে ভারতই, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা সারাতে পারে ভারতই, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। ২২ অগাস্ট তাঁর বক্তব্যে উঠে এল ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তির কথা এবং তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এই দেশ শুধুমাত্র পৃথিবীর দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির (Indian Economy) দিকে এগিয়ে চলেছে তা নয়, একই সঙ্গে সারা বিশ্বজুড়ে যেভাবে অর্থনীতির মন্দা দেখা দিয়েছে, সেখান থেকেও সেই পরিস্থিতিকে টেনে তুলে আনতে পারে ভারতের অর্থনীতি।

    নতুনভাবে লেখা হয়েছে ট্যাক্স আইন (PM Modi)

    তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও জানান যে, তাঁর সরকার ভারতের ইনকাম ট্যাক্স আইনকে নতুনভাবে লিখেছে এবং বিগত ৬০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার হয়েছে। এই ইনকাম ট্যাক্স আইনকে (PM Modi) দেশের জনগণের জন্য অতি সরল করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই আইন বুঝতে আর কারও অসুবিধা হচ্ছে না।
    তিনি আরও বলেন যে, যেভাবে সংস্কার চলছে তা আগামী দিনেও চলতে থাকবে। সম্প্রতি তিনি বড় ঘোষণা করেছেন জিএসটি সংস্কারের কথা এবং তা দীপাবলিতেই নয়া উপহার হিসেবে দেশবাসীকে (Indian Economy) দেবেন বলে জানিয়েছেন।

    জিসটি নিয়ে কী বললেন?

    তিনি বলেন যে, নতুন জিএসটিতে অনেক জটিল বিষয় সরল করা হয়েছে। এই নতুন জিএসটির ফলে অনেক জিনিসের দাম কমবে। এর ফলে উৎপাদন শিল্প আরও বাড়বে এবং জনগণের মধ্যে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে। তাঁরা অনেক ভালোভাবেই ব্যবসা করতে পারবেন। নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, ২০১৭-র পর থেকে মুদ্রাস্ফীতি এখন সবচেয়ে কম চলছে এবং ইন্টারেস্ট রেটও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইপিএফও রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ২৪ লাখ নয়া ফর্মাল চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করা গিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

    প্রত্যেক মাসে বিনিয়োগকারীরা এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন

    তিনি বলেন যে, প্রত্যেক মাসে বিনিয়োগকারীরা এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন। প্রথমত স্বাধীনতা দিবসে তিনি যে কথা বলেছিলেন, নয়া দিল্লিতে ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামেও তিনি একই কথা বলেন এবং জানান যে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে এবং ভারতেই তৈরি হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর চিপ। একইসঙ্গে ৬জি প্রযুক্তির অগ্রগতির নিয়েও তিনি বলেন। নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের কথা বলেন এবং এর ভিত্তি হবে ‘আত্মনির্ভর ভারত’—তাও তিনি জানান।

    ভারতের ‘স্পোর্টস ইকোনমি’ আরও বাড়ছে

    ভারতের ‘স্পোর্টস ইকোনমি’ আরও বাড়ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই মঞ্চ থেকে তিনি প্রাইভেট কোম্পানিগুলিকে আহ্বান জানান কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বায়োটেকনোলজি, ক্লিন এনার্জি, ব্যাটারি স্টোরেজ—এই সমস্ত বিষয়গুলিতে এগিয়ে আসার জন্য। বক্তব্যের একেবারে শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান যে, ভারত সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিশ্বের উন্নয়নের সামনের সারিতে থাকার জন্য।

  • Gujarat: গাজা হিংসার নামে মসজিদ থেকে অর্থসংগ্রহ! গুজরাট পুলিশের জালে সিরিয়ার ব্যক্তি

    Gujarat: গাজা হিংসার নামে মসজিদ থেকে অর্থসংগ্রহ! গুজরাট পুলিশের জালে সিরিয়ার ব্যক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় ইজরায়েলের আগ্রাসনের নামে গুজরাটের (Gujarat) বিভিন্ন মসজিদ থেকে চলছিল ধারাবাহিক অর্থসংগ্রহ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এই অর্থ তোলা হচ্ছিল একটি সিরিয়ার একটি গ্যাংয়ের মাধ্যমে, যারা ওই অর্থ গাজার (Gaza) জন্য নয়, নিজেদের লাভের উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির নাম আলি মেগাত আল-আজহার, যিনি সিরিয়ার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে বসবাস করছিলেন বলে জানা গেছে।

    নিজেদের স্বার্থেই ব্যবহার করা হত অর্থ (Gujarat)

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজহার ও তাঁর আরও তিন সহযোগী গত কয়েক মাস ধরে গুজরাটের (Gujarat) বিভিন্ন মসজিদ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। তাঁরা দাবি করতেন, এই অর্থ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার সহায়তার জন্য তৈরি একটি তহবিলে প্রদান করা হবে। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ জানতে পারে, এই অর্থ গাজার উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছিল না বরং চক্রটি তা আত্মসাৎ করছিল। এরপরই অভিযান চালিয়ে আজহারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার মুখে তিনি স্বীকার করেন যে, সংগৃহীত অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হত। তবে এখনও পর্যন্ত তার তিন সহযোগীর কোনো হদিস মেলেনি। পুলিশ তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক

    পুলিশের এক আধিকারিক (Gujarat) বলেন, “আজহার-সহ চার যুবকই টুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গাজা হিংসার নামে মসজিদগুলি থেকে অর্থসংগ্রহ করে তাঁরা নিজেরা আত্মসাৎ করতেন। তবে এর নেপথ্যে আরও কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে।” গুজরাট ক্রাইম ব্রাঞ্চের জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ শরৎ সিংহল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার কাছ থেকে ৩,৬০০ মার্কিন ডলার এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এরা সকলেই সিরিয়ার নাগরিক এবং ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে আসে। ২২ জুলাই তারা কলকাতায় অবতরণ করে এবং এরপর ২ অগাস্ট আমেদাবাদে পৌঁছায়।

  • Mahakumbh 2025: ১৪০০ বছর আগেও কুম্ভমেলায় এসেছিলেন চিনা পর্যটক!

    Mahakumbh 2025: ১৪০০ বছর আগেও কুম্ভমেলায় এসেছিলেন চিনা পর্যটক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজকে তীর্থরাজ (Mahakumbh 2025) বলা হয়। ১৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি চিনাদেরও কাঙ্খিত গন্তব্য হয়ে উঠেছে (Prayagraj)। এই স্থায়ী সম্পর্কের শুরু ৭ম শতকে, যখন খ্যাতনামা চিনা পর্যটক হিউয়েন সাং এই অঞ্চলে আসেন এবং এর সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধির প্রশংসা করেন। প্রায় ১৬ বছর ধরে ভারতবর্ষ ঘুরে দেখেন তিনি।

    “সি-ইউ-কি” (Mahakumbh 2025) 

    তাঁর বই “সি-ইউ-কি”-তে হিউয়েন সাং বিশেষভাবে ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দে রাজা হর্ষবর্ধনের শাসনকালের প্রশংসা করেছেন। এই বইতে প্রয়াগরাজের প্রচুর শস্য, অনুকূল আবহাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর সুবিধাগুলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ফলদায়ক গাছগুলির উপস্থিতি এবং এই অঞ্চলের সামগ্রিক আকর্ষণও উল্লেখ করেন। চিনা পর্যটকের শহরের নম্রতা, বুদ্ধিবৃত্তিক সাধনা এবং প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কে প্রশংসা আজও প্রাসঙ্গিক।

    প্রয়াগরাজের ঐতিহাসিক গুরুত্ব

    প্রয়াগরাজের (Mahakumbh 2025) ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়েছে হিউয়েন সাংয়ের বর্ণনায়, যেখানে তিনি শহরের বিশাল ধর্মীয় উৎসবের কথা বলেছেন। তাঁর বর্ণনা থেকেই জানা যায়, সেখানে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন উপমহাদেশের বিভিন্ন কোণ থেকে আসা রাজা ও শাসকরাও। গঙ্গা ও যমুনা নদীর মধ্যে শহরের কৌশলগত অবস্থান, এর আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে এর গুরুত্ব তৈরিতে করতে সহায়ক ছিল।

    হিউয়েন সাং যে সব মন্দিরে গিয়েছিলেন, তার মধ্যে একটি হল পাটালপুরী মন্দির। এই মন্দির গুরুত্বপূর্ণ তার অলৌকিক বিস্ময়গুলির জন্য। হিউয়েন সাং উল্লেখ করেছেন যে ভক্তরা বিশ্বাস করতেন, মন্দিরে একটি মুদ্রা দান করা মানে হাজার মুদ্রা দান করা। মন্দিরের উঠোনে রয়েছে একটি পবিত্র গাছ, অক্ষয়বট। বিশ্বাস করা হয়, যে এর নীচে স্নান করলে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    এছাড়াও গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতী নদীর মিলনস্থলে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত উপস্থিত হন। হিউয়েন সাং লিখেছেন, ধনী তীর্থযাত্রীরা সঙ্গমে স্নান করে তাদের ধন-সম্পদ দান করে চলে যেতেন। এই প্রাচীন প্রথা আজও বহমান, এবং মহাকুম্ভ মেলা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ (Prayagraj) হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal Violence: মসজিদকাণ্ডের জেরে সোমবারও থমথমে সাম্ভাল, বন্ধ ইন্টারনেট, ছুটি স্কুলেও

    Sambhal Violence: মসজিদকাণ্ডের জেরে সোমবারও থমথমে সাম্ভাল, বন্ধ ইন্টারনেট, ছুটি স্কুলেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মসজিদ (Shahi Jama Masjid) নিয়ে হিংসার জেরে নিহত হয়েছেন চারজন। রবিবার উত্তরপ্রদেশের সাম্ভালের (Sambhal Violence) ওই ঘটনার উত্তেজনার আঁচ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলে।

    সমীক্ষা করতে গিয়ে অশান্তি

    আদালতের নির্দেশে এদিন সকালে সমীক্ষা শুরু হয় মোগল যুগের শাহি জামা মসজিদে (Shahi Jama Masjid)। তার জেরে শুরু হয় অশান্তি। সংঘর্ষ বাঁধে (Sambhal Violence) পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, মসজিদটি গড়ে উঠেছে হিন্দুদের মন্দিরের জায়গায়। ঘটনার জেরে বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগিয়ে দেয় কয়েকটি যানবাহনে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে উত্তেজিত জনতা। টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে, লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। অশান্তির জেরে জখম হয়েছেন ২০ জন পুলিশ কর্মী। এঁদের মধ্যে এক কনস্টেবলের আঘাত গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    কী বলছেন পুলিশ কর্তা?

    এক পুলিশ কর্তা বলেন, “দুই মহিলা-সহ একুশজনকে আটক করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। তিনি বলেন, হিংসায় (Sambhal Violence) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইন (NSA)-এর অধীনে মামলা দায়ের করা হবে।” ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট রাজেন্দ্র পেন্সিয়া বলেন, “যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুজনের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট – দেশি পিস্তলের গুলির ক্ষত। ময়নাতদন্তের পর পরিষ্কার হয়ে যাবে তৃতীয় ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ।” সাম্ভাল (Sambhal Violence) তহসিলে ২৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কোনও বহিরাগত, সামাজিক সংগঠন বা জনপ্রতিনিধি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সাম্ভালে প্রবেশ করতে পারবে না।

    আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সাম্ভাল (Sambhal Violence)। স্থানীয় আদালতের নির্দেশে জামা মসজিদে সমীক্ষা করা হয়েছিল। আদালতে জমা দেওয়া একটি পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, যেখানে এখন মসজিদ রয়েছে, সেখানে একসময় হরিহর মন্দির ছিল। হিন্দু পক্ষের এক আইনজীবীর দাবি, ১৫২৯ সালে মুঘল সম্রাট বাবর সেখানে মন্দিরটি ধ্বংস করেছিলেন। তার পরেই গড়ে ওঠে মসজিদ (Shahi Jama Masjid)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share