Tag: NIA

NIA

  • Malegaon Blast Case: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ ৭ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস

    Malegaon Blast Case: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ ৭ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ মামলায় (Malegaon Blast Case) অভিযুক্ত সাতজনকেই বেকসুর খালাস করে দিল মুম্বইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ বিজেপির প্রজ্ঞা ঠাকুর (Pragya Thakur) এবং সেনাবাহিনীর প্রাক্তন অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিতও। বৃহস্পতিবার আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, কেবল সন্দেহের বশে মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেসব তথ্যপ্রমাণ দাখিল করা হয়েছে, তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় বলেও জানিয়েছে আদালত। বিচারক একে লাহোটি বলেন, “সমাজে এটা একটা ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু কেবল নৈতিকতার যুক্তিতে আদালত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে না।”

    মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ (Malegaon Blast Case)

    ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রমজান মাসের রাতে মুম্বই থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার সাম্প্রদায়িক স্পর্শকাতর শহর মালেগাঁওয়ের ভিক্কু চৌকের কাছে ঘটেছিল শক্তিশালী বিস্ফোরণ। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সাতজনের। জখম হয়েছিলেন ১০০জনেরও বেশি। তদন্তে জানা যায়, মালেগাঁও শহরে মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানে একটি বাইকে রাখা ছিল দুটি বোমা। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার তদন্তে নামে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা। জানা যায়, ঘটনার নেপথ্যে ছিল একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। গ্রেফতার করা হয় ভোপালের প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্ঞা এবং প্রাক্তন সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিত-সহ সাতজনকে। পরে অবশ্য সবাই জামিন পান। এই মামলায় (Malegaon Blast Case) প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছিল প্রজ্ঞার নাম। কারণ যে বাইকটিতে বোমা রাখা ছিল, সেটি নথিভুক্ত ছিল প্রজ্ঞার নামেই। অভিযোগ উঠেছিল, বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিলেন প্রজ্ঞাই।

    আদালতের বক্তব্য

    এদিন আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, ফরেন্সিক পরীক্ষায় এটি প্রমাণ হয়নি যে বাইকটি প্রজ্ঞার। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “বিস্ফোরণের ঘটনার দু’বছর আগেই সন্ন্যাসী হয়ে গিয়েছিলেন প্রজ্ঞা।” ২০১১ সালে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখার হাত থেকে মামলার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ, অস্ত্র আইনে করা মামলা বলবৎ ছিল। বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালত জানায়, এই মামলায় ইউএপিএ প্রযুক্ত (Pragya Thakur) হয় না। রায় দিতে গিয়ে বিচারক বলেন, “পুলিশ ও তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করার কোনও জোরালো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। তাই তাঁদের বেনিফিট অফ ডাউটের সুবিধা দিয়ে নিরপরাধ ঘোষণা করা হচ্ছে। এই মামলায় যে সাতজন অভিযুক্ত ছিলেন, তাঁরা হলেন ভোপালের প্রাক্তন বিজেপি এমপি সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর, তৎকালীন সেনা গোয়েন্দা অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়, অজয় রাহিরকর, সুধাকর দ্বিবেদী, সুধাকর চতুর্বেদী এবং সমীর কুলকার্নি।”

    তদন্তভার যায় এনআইএয়ের হাতে

    তদন্তভার এনআইএয়ের হাতে যাওয়ার পর আদালতে জমা পড়ে একের পর এক চার্জশিট। জমা হয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও। ২০১৮ সালে শুরু হয় বিচার। সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই গঠন করা হয় চার্জ। বিচার চলাকালীন আদালত খতিয়ে দেখে ৩২৩ জন সাক্ষীর বয়ান। চলতি বছরের এপ্রিলে বিশেষ আদালতে কয়েকশো পাতার তথ্যপ্রমাণ পেশ করে এনআইএ। ১৯ এপ্রিল রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। বৃহস্পতিবার আদালত জানায়, এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে এপ্রিল মাসে। কিন্তু মামলার (Malegaon Blast Case) প্রকৃতির কারণে, যেখানে এক লাখেরও বেশি পৃষ্ঠার প্রমাণ ও নথি রয়েছে, রায় দেওয়ার আগে সমস্ত রেকর্ড পর্যালোচনা করার জন্য অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন ছিল। মামলার সমস্ত অভিযুক্তকে রায়ের দিন আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছেন প্রজ্ঞা

    এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাত অভিযুক্তই। আদালতের রায় শোনার পর প্রজ্ঞা (Pragya Thakur) বলেন, “এই মামলা আমার পুরো জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। যারা দোষী, ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন (Malegaon Blast Case)।” তিনি বলেন,  “আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, যাদের তদন্তের জন্য ডাকা হয়, তার পেছনে কোনও ভিত্তি থাকা উচিত। আমাকে ডাকা হয়েছিল, আমাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল এবং নির্যাতন চালানো হয়েছিল। এতে আমার পুরো জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমি এক সাধু জীবন যাপন করছিলাম। কিন্তু আমাকে অভিযুক্ত করা হয় এবং তখন কেউ স্বেচ্ছায় আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। আমি বেঁচে আছি, কারণ আমি একজন সন্ন্যাসিনী।”

    আইনজীবীর বক্তব্য

    অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন সুধাকর ধর দ্বিবেদীও। তাঁর আইনজীবী রঞ্জিত সাঙ্গালে বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর দেরি হওয়ার পরে ৩২৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ৪০ জন সাক্ষীর বিরোধিতা, ৪০ জন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর জবানবন্দি বাতিল এবং ৪০ জন সাক্ষীর মৃত্যুর পর আজ ন্যায় বিচার হল (Pragya Thakur)। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছিল না। সব অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে (Malegaon Blast Case)।”

  • Northeast Terror Plot: উত্তর-পূর্বকে অশান্ত করার চেষ্টায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান! বড় সন্ত্রাসী চক্রান্ত ফাঁস ত্রিপুরায়

    Northeast Terror Plot: উত্তর-পূর্বকে অশান্ত করার চেষ্টায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান! বড় সন্ত্রাসী চক্রান্ত ফাঁস ত্রিপুরায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে ফের ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ফের ভারতের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বাংলাদেশ। তার সঙ্গে রয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI)। সম্প্রতি মণিপুরে এরকম এক চক্রান্তের খোঁজ পেয়েছে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। এনআইএ-এর তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রামভিত্তিক বিদ্রোহী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (UPDF) ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা হাম বারঘা তা আর্মি (THBTA) ও মোগ ন্যাশনাল পার্টি (MNP) গঠনের মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছিল।

    ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় সুরক্ষাব্যবস্থা, পাঁচ অভিযুক্ত ধৃত

    এনআইএ সূত্রে খবর, চক্রান্তের আঁচ পেয়েই ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় সুরক্ষাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়। জঙ্গিদের আনাগোনা বাড়ছে এই খবর পাওয়ার পরেই আরও তৎপর হয় বাহিনী। এদিকে ত্রিপুরায় এর আগে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনা হয়েছে। এনএলএফটি, এটিটিএফ, সহ একাধিক গোষ্ঠী মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দিয়েছে। সেই ১৯৮০ সাল থেকে ২০০০ সালের প্রথম পর্যন্ত একের পর এক রক্তক্ষয়ী ঘটনা হয়েছে। এর জেরে বার বার অশান্ত হয়েছে ত্রিপুরা। তাই এবার আগে থেকেই সতর্ক ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি এনআইএ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে, যারা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (UPDF)-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহে জড়িত ছিল এই ব্যক্তিরা। ধৃতরা হলেন লালবিয়াকচুঙ্গা ওরফে ডিভিড ওরফে ডেভিড, লালথমচেউভা ওরফে থাওমা, মালসাওমা ওরফে মালসাওমা লনচেউ, রুয়াললিয়ানসাঙ্গা ওরফে সাঙ্গা এবং অলোক বিকাশ চাকমা। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি (BNS, 2023), বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (UAPA Act, 1967), অস্ত্র আইন (Arms Act, 1959) এবং বিদেশি আইন (Foreigners Act, 1946) এর অধীনে মামলা রুজু হয়েছে।

    মিজোরাম থেকে অস্ত্র সরবরাহ

    একই সঙ্গে মিজোরামের মামিত জেলার সাইথাহ গ্রাম থেকে বড় পরিমাণে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ছিল, ৬টি একে-৪৭ রাইফেল, ১৩টি ম্যাগাজিন, ১০,০৫০ রাউন্ড গুলি। এই অস্ত্রগুলি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউপিডিএফ-এর জন্য পাঠানো হচ্ছিল, বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।

    মণিপুরে গ্রেফতার, উদ্ধার মোবাইল ফোন-সিম

    মণিপুরে জঙ্গি সংগঠন ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী। ১১ ও ১২ জুলাই তারিখে ইম্ফল পূর্ব, থৌবাল ও বিষ্ণুপুর জেলায় সমন্বিত অভিযানে পাঁচ সক্রিয় জঙ্গি ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। থৌবাল ড্যাম থানা এলাকার অন্তর্গত লাইখং অঞ্চল থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন কাংলেই ইয়াওল কান্না লুপ-এর দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে নিরাপত্তা বাহিনী। ধৃতদের নাম সাগোলসেম ললিত মেইতেই (৩৬), ইথাম মামাং লেইকাই এবং অহংশাংবম তোম্বা সিং। এক পৃথক অভিযানে ইম্ফল পূর্ব জেলার পরমপট থানার অন্তর্গত কংপাল চিংগাংবম লেইকাই এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য খুমুকচাম আবোসানা সিংকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে, থৌবাল থানার অন্তর্গত ওয়াংজিং বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় নিষিদ্ধ রেভলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট/পিপলস লিবারেশন আর্মির সক্রিয় সদস্য মেইসনাম মাংলেমনগবা মেইতেই ওরফে চুমথাংখানবা বা নাওতোম্বাকে (২৭)। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি থৌবাল ও বিষ্ণুপুর জেলায় চাঁদাবাজি, অর্থ দাবি এবং নতুন সদস্য নিয়োগের কাজে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি ও টাকা ভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। ১১ জুলাই বিষ্ণুপুর জেলার মোইরাং থানার অন্তর্গত ত্রোংলাওবি বাজার থেকে কেএসপি (তৈবাংগানবা) গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য থিনগুজম রমেশ সিং ওরফে অ্যালেক্স বা পিঙ্কিকে (৩১) গ্রেফতার করা হয়। পিঙ্কি স্থানীয় ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মচারী ও সাধারণ জনগণকে হুমকি এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ও দুটি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

    বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তা

    এনআইএ-এর তদন্তে আরও উঠে এসেছে, টিএইচবিটিএ প্রধান হামবাই রিয়াং-এর নেতৃত্বে প্রায় ৭০ জন ক্যাডার বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতে সক্রিয় রয়েছে। এরা একটি পৃথক রিয়াং রাজ্য গঠনের লক্ষ্যে উত্তর ত্রিপুরার রিয়াং-অধ্যুষিত অঞ্চলকে আলাদা করতে চায়। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি অঞ্চলের সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড এই গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে। ত্রিপুরা হাম বারঘা তা আর্মি (THBTA)-র এক শীর্ষ কমান্ডার, ইয়াংপু রিয়াং, নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। অন্যদিকে, মোগ ন্যাশনাল পার্টি (MNP)-এর নতুন সদস্যরা ডিসেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী সাবডিভিশনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের জন্য বাংলালহালিয়া ক্যাম্প-এ তাদের টার্গেট শুটিংয়ের ময়দানও সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

    ভারতকে অশান্ত করার চেষ্টা

    অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার বি কে খন্না এই ঘটনাকে “গভীর উদ্বেগজনক” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ সরকার ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই ভারতবিরোধী শক্তিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে সন্ত্রাস ছড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছে।” প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে। ওই অঞ্চলের বিদ্রোহী সংগঠনগুলিকে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Tahawwur Rana: ‘‘পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিলাম’’, কবুল করেছে তাহাউর রানা, দাবি মুম্বই পুলিশের

    Tahawwur Rana: ‘‘পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিলাম’’, কবুল করেছে তাহাউর রানা, দাবি মুম্বই পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিল তাহাউর রানা (Tahawwur Rana)। জেরায় এমনটাই কবুল করেছে সে। মুম্বই হামলার (Mumbai Terror Attacks) সঙ্গে যে তার যোগ ছিল, তাও স্বীকার করে নিয়েছে পাক বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী রানা। তার দাবি, লস্কর-ই-তৈবা কেবলমাত্র একটি জঙ্গি সংগঠন নয়, গোয়েন্দা এজেন্সি হিসেবেও কাজ করে। রানা জানায়, তার বন্ধু সহযোগী ডেভিড হেডলি বহুবার লস্কর-ই-তৈবার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।

    আইএসআইয়ের সহযোগিতায় মুম্বই হামলা (Tahawwur Rana)

    দিল্লির তিহাড় জেলে এনআইএ হেফাজতে রয়েছে রানা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চকে জানিয়েছে, ২৬/১১ হামলা পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছিল। ওই হামলার সময় সে মুম্বইতে ছিল। গোটা হামলাটা ছিল জঙ্গিদের ষড়যন্ত্রের অংশ। খালিজ যুদ্ধের সময় পাক সেনা তাকে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দিয়েছিল বলেও দাবি করে রানা। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখাকে তাহাউর এও জানিয়েছে, মুম্বইয়ে একটি অভিবাসন কেন্দ্র বা ইমিগ্রেশন সেন্টার খোলারও পরিকল্পনা করেছিল সে। মূলত সন্ত্রাসবাদের খরচ জোগাতেই এই ছক কষেছিল রানা। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। শুধু মুম্বইয়ের তাজ হোটেলই নয়, ওই দিন আরও কয়েকটি জায়গায় হামলা চালানোরও পরিকল্পনা ছিল তাদের। জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তির পর মুম্বই পুলিশ দ্রুত রানাকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী রানা

    প্রসঙ্গত, মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী এই রানা। দীর্ঘদিন ধরে সে বন্দি ছিল আমেরিকার জেলে। কয়েক মাস আগে আমেরিকা থেকে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত তাকে রাখা হয়েছে তিহাড় জেলে। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার অন্যতম মূল চক্রী ছিল ডেভিড কোলম্যান হেডলি ওরফে দাউদ গিলানির ঘনিষ্ঠ ছিল এই রানা। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ডেভিড কোলম্যানের সঙ্গে ব্যবসা সূত্রে আলাপ হয় রানার। জঙ্গিরা কোন পথে ভারতে ঢুকে হামলা চালাবে, তার রোডম্যাপও তৈরি করেছিল তাহাউর। পরে আমেরিকায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। এ বছরের শুরুতে রানাকে হাতে পায় ভারত (Tahawwur Rana)।

    প্রসঙ্গত, ২৬/১১ মুম্বই হামলায় জড়িত ছিল ১০ জন পাক জঙ্গি। সেদিন তারা তাজ ও ওবেরয় হোটেল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস এবং ইহুদি সেন্টার (Mumbai Terror Attacks) নরিমান হাউস-সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে হামলা চালায়। নিহত হন ১৬৬ জন (Tahawwur Rana)।

  • PFI: উদ্দেশ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে হিন্দু মুক্ত ভারত! পিএফআই-এর অ্যাজেন্ডা সামনে আনল এনআইএ

    PFI: উদ্দেশ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে হিন্দু মুক্ত ভারত! পিএফআই-এর অ্যাজেন্ডা সামনে আনল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ (NIA)। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া তৈরি করেছে তাদের গোয়েন্দা বিভাগ, যার নাম দেওয়া হচ্ছে ‘রিপোর্টার উইং’। এদের কাজই হবে বিভিন্ন অমুসলিম ব্যক্তিত্বদের চিহ্নিত করা ও তাঁদের হত্যা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। এই নিয়ে একটি রিপোর্ট জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জমা দিয়েছে কেরল হাইকোর্টে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) অন্যতম বড় ষড়যন্ত্র হল ‘ইন্ডিয়া ২০৪৭’-এর মাধ্যমে ভারতবর্ষকে হিন্দুশূন্য করে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া।

    কেরলের পালাক্কাড় জেলার আরএসএস কার্যকর্তা শ্রীনিবাসনের হত্যাকাণ্ড

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সামনে এসেছে কেরলের পালাক্কাড় জেলার আরএসএস কার্যকর্তা শ্রীনিবাসনের হত্যাকাণ্ড, যেখানে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) সরাসরি যোগ এবং অ্যাজেন্ডা স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে। এনআইএ তাদের রিপোর্টে আরও উল্লেখ করেছে যে, তাদের কাছে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ এবং নথি তথা কল রেকর্ডিং রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে কেরলের ওই আরএসএস কার্যকর্তা শ্রীনিবাসনকে হত্যার কাজে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া যুক্ত ছিল। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার একটি অভিযোগ দায়ের করে, যেখানে তাদের দেশবিরোধী কার্যকলাপের উল্লেখ করা হয়। এরপর থেকেই এই মৌলবাদী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীকালে, কেরলের আরএসএস কার্যকর্তা শ্রীনিবাসনের হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত উদ্দেশ্য সামনে আসে।

    তৈরি করা হচ্ছে ‘হিট লিস্ট’, ক্যাডারদের দিচ্ছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ (PFI)

    এনআইএ কোর্টে আরও জানিয়েছে, কীভাবে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া নামক এই মৌলবাদী সংগঠনটি তাদের ‘হিট লিস্ট’ তৈরি করছে এবং সেখানে বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে, যাতে পরবর্তীকালে তাদের টার্গেট করা যায়। এই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে জেলা স্তর থেকে এবং পরে তা পাঠানো হচ্ছে পিএফআই নেতৃত্বের কাছে। এই ব্যক্তিগত তথ্যগুলি বিভিন্ন সময়ে আপডেটও করা হচ্ছে এবং এই কাজে বিভিন্ন শাখা সংগঠনও তৈরি করেছে পিএফআই। পিএফআই এর পাশাপাশি, তাদের ক্যাডারদের অস্ত্র প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। যাতে তাদের সন্ত্রাসের কার্যকলাপে কাজে লাগানো যায়। ইতিমধ্যে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, পেরিয়ার ভ্যালি ক্যাম্পাস, যা কেরলের এর্নাকুলাম জেলায় অবস্থিত, সেই ক্যাম্পাসকেই অস্ত্র প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। এভাবেই তারা সমাজে ভয়, সন্ত্রাস এবং আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে এনআইএ।

    যে কোনও মুসলিম ইস্যুতে যুক্ত থাকবে পিএফআই (PFI)

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের রিপোর্টে আরও জানিয়েছে, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া পরিকল্পনা করেছে যে মুসলিম সম্পর্কিত যে কোনও ইস্যুতে তারা সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকবে। ব্যবহার করবে অস্ত্র। এর মাধ্যমে একটি সমান্তরাল বিচারব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় এই সংগঠন, যার নাম তারা দিয়েছে ‘দারুল কাজা কোর্ট’। জানা গিয়েছে, পিএফআই-এর ‘রিপোর্টার উইং’ কাজ করছে তাদের ইন্টেলিজেন্স শাখা হিসেবে। এভাবেই তারা হিন্দু নেতা, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, এবং অন্যান্য ব্যক্তিত্বদের প্রতিদিনকার গতিবিধি ও ব্যক্তিগত তথ্যের রিপোর্ট তৈরি করছে, যা পাঠানো হচ্ছে জেলা কমিটিতে। রিপোর্টার উইং যে তথ্য দেবে, সেই তথ্যের ভিত্তিতেই কাজ করবে ‘হিট টিম’এবং তাদের মূল দায়িত্ব হবে হত্যা করা।

    পিএফআই-এর অন্যতম উদ্দেশ্য হল রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করা

    এনআইএ আরও জানিয়েছে, পিএফআই-এর অন্যতম উদ্দেশ্য হল রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করা এবং সেটা তারা করতে চায় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া’ নামক রাজনৈতিক সংগঠনের মাধ্যমে। এইভাবে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে তারা ভারতবর্ষকে ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। জমা দেওয়া রিপোর্টে আরও উল্লেখ রয়েছে যে, পিএফআই-এর হিট লিস্টে এখনও পর্যন্ত ৯৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের নাম রয়েছে—যার মধ্যে রয়েছেন আরএসএস এবং বিজেপি নেতারা, প্রাক্তন বিচারপতিরাও।

    গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসীদের কাছে থেকে উদ্ধার তালিকা

    প্রসঙ্গত, এনআইএ ওই হিট লিস্ট বাজেয়াপ্ত করে সিরাজুদ্দিনের কাছ থেকে। সিরাজুদ্দিন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার নেতা এবং শ্রীনিবাসন হত্যাকাণ্ড মামলার ৫১ তম অভিযুক্ত। এর পাশাপাশি, অপর এক পিএফআই সন্ত্রাসবাদী আব্দুল ওহাবের কাছ থেকে একটি তালিকা উদ্ধার হয়েছে, যেখানে পাঁচজন ব্যক্তির নাম রয়েছে—যাঁদের মধ্যে একজন প্রাক্তন বিচারপতির নামও পাওয়া গেছে। এছাড়াও, মহম্মদ সাদিক নামের আরেক পিএফআই সন্ত্রাসবাদী, যে এই মামলার ১৭ তম অভিযুক্ত, তার কাছ থেকে ১৫৭ জনের ব্যক্তিগত তথ্য উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, অপর এক সন্ত্রাসবাদী আইয়ুব, যে ৬৯ তম অভিযুক্ত, তার কাছ থেকে প্রায় ৫০০ জন ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে।

    পিএফআইয়ের অ্যাজেন্ডা

    আদালতে এনআইএ (NIA) বারবার জানিয়েছে যে, শ্রীনিবাসনের হত্যাকাণ্ডের পর পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার অনেক গোপন তথ্য ও এজেন্ডা সামনে এসেছে। এনআইএ আরও জানিয়েছে, শ্রীনিবাসনকে যারা হত্যা করে, তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা ছিল না, এমনকি হত্যাকাণ্ডে যুক্ত অনেকেই তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চিনত না। তবুও, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়, যা ছিল সংগঠনের পূর্বনির্ধারিত সন্ত্রাসমূলক ষড়যন্ত্রের অংশ।

  • Pahalgam: পহেলগাঁও হামলায় জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা ২ জনকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    Pahalgam: পহেলগাঁও হামলায় জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা ২ জনকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam) তদন্তে বড় সাফল্য পেল এনআইএ। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৫ জন হিন্দু পর্যটককে নিশানা করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ধর্ম দেখে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এর ফলে গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে যায়। ঘটনার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। এই ঘটনার তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত দুই সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে এনআইএ দুজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের নাম পারভেজ আহমেদ জোথার, যিনি পহেলগাঁওয়ের বাটকোট এলাকার বাসিন্দা। অপরজন বসির আহমেদ জোথার যিনি হিল পার্ক এলাকার বাসিন্দা। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে, এই দুই ব্যক্তি পহেলগাঁও হামলায় জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিয়েছিল। তদন্তে এনআইএকে তারা এও জানিয়েছে, ওই জঙ্গিরা নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত।

    হামলার (Pahalgam) বিষয়ে আগেই জানত তারা

    গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তি হামলার পুরো পরিকল্পনার বিষয়ে আগেই অবগত ছিল বলে দাবি এনআইএ-এর। তারা হিল পার্ক এলাকার একটি বাড়িতে তিনজন সশস্ত্র জঙ্গিকে আশ্রয় দিয়েছিল এবং তাদের খাবার, আশ্রয় ও অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করেছিল। প্রসঙ্গত, পারভেজ ও বসিরকে ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (UAPA)-এর ১৯ নম্বর ধারার অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পহেলগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের উপর নির্মম জঙ্গি হামলার (Pahalgam) পর দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ। এরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করে ভারত সরকার।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের তরফে স্থগিত করে দেওয়া হয় সিন্ধু জল চুক্তি। এর পরেই মে মাসের শুরুতে ভারতের সেনাবাহিনী প্রয়োগ করে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ও সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালানো এই অপারেশন ছিল সম্পূর্ণ সফল। শুধু তাই নয়, ভারতের জবাবি পদক্ষেপ এখানেই থেমে থাকেনি। পরবর্তী পর্যায়ে পাকিস্তানের (Pahalgam) একাধিক সামরিক ঘাঁটির ওপরও লক্ষ্য করে পাল্টা আঘাত হানে ভারত।

  • ISI Assets: ইঞ্জিনিয়ার থেকে ট্রাভেল ব্লগার! সাধারণ ভারতীয়রা কীভাবে হয়ে উঠছে পাক গুপ্তচর?

    ISI Assets: ইঞ্জিনিয়ার থেকে ট্রাভেল ব্লগার! সাধারণ ভারতীয়রা কীভাবে হয়ে উঠছে পাক গুপ্তচর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এপ্রিল মাসে পেহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পরেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির (ISI Assets) হাতে কমপক্ষে ১৫ জন ব্যক্তিকে আটক হয়েছে। এদের প্রত্য়েকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ গুজরাট এবং পাঞ্জাবে থেকেই বেশিরভাগকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ ট্রাভেল ব্লগার তো কেউ সরকারি কর্মচারী, কেউ আবার ইঞ্জিনিয়ার।

    সিআরএফ কর্মী মতি রাম জাট (ISI Assets)

    সম্প্রতি, গ্রেফতার করা হয় সিআরপিএফের একজন জওয়ান মতি রাম জাটকে। জানা গিয়েছে, সে কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছিল না কিন্তু কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অনেক জায়গাতেই তার যাতায়ত ছিল। একেই কাজে লাগাতে শুরু করে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এন আই এর সূত্রে জানা গিয়েছে মতিরাম যার ২০২৩ সাল থেকেই পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। অর্থের বিনিময়ে গোপন তথ্য সে পাচার করতে থাকে। ২০২৫ সালের মে মাসের শুরুতেই দিল্লি থেকে মতি রামকে গ্রেফতার করা হয়।

    ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্র ভার্মা (ISI Assets)

    সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে এটিএস গ্রেফতার করে ২৭ বছর বয়সি ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্র ভার্মাকে। মুম্বাইয়ের একটি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করত এই ইঞ্জিনিয়ার। দক্ষিণ মুম্বাইয়ে অবস্থিত ভারতের নৌ ঘাঁটিতে রবীন্দ্রের যাতায়াত ছিল বলে জানা যায়। সে সাবমেরিন ও যুদ্ধ জাহাজ সম্পর্কিত নানা কাজে যুক্ত ছিল। নৌ বাহিনী সংক্রান্ত বিভিন্ন স্কেচ, ডায়াগ্রাম এবং অডিও শেয়ার করতে শুরু করে সে পাক এজেন্টদের সঙ্গে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে রবীন্দ্র পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে বলে জানা গিয়েছে।

    ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রা (ISI Assets)

    দেশের মধ্যে সবচেয়ে চর্চা শুরু হয় পাকিস্তানের গুপ্তচর জ্যোতি মালহোত্রাকে নিয়ে। হরিয়ানার এই ট্রাভেল ব্লগার সরাসরি পাকিস্তানের গুপ্তচরদের তথ্য সরবরাহ করত বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। শুধু তাই নয় জ্যোতি দিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনের ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণ করে (ISI)। পাকিস্তান সফরের সময় আইএসআইয়ের আধিকারিকদের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়। এছাড়াও চিনসহ একাধিক বিদেশ ভ্রমণের জন্য তার টাকার যোগান দেয় পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।

    স্বাস্থ্যকর্মী সহদেব সিং গোহিল

    পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি (ISI) করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সহদেব সিং গোহিলকে। জানা গিয়েছে, সহদেব সিং গোহিল ২৮ বছর বয়সি এবং সে গুজরাটে একটি নবনির্মিত বিমান ঘাঁটি এবং বিএসএফের গোপন ছবি ও ভিডিও পাকিস্তানি এজেন্ট এর সঙ্গে শেয়ার করেছিল। ২০২৩ সালেই সে হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আছে। আসলে এই অদিতি ছিল পাকগুপ্তচর। ছদ্মনাম ব্যবহার করত।

    দরিদ্র যুবকদের টার্গেট

    এর পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, হরিয়ানা সমেত দেশের অন্যত্র অর্থনৈতিকভাবে যারা দুর্বল, সেই সমস্ত যুবকদের টার্গেট করছে আইএসআই এবং এজেন্ট বানানোর চেষ্টা চলছে। পাতিয়ালাতে ২৫ বছর বয়সি এক ছাত্র দেবেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে সে পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিল এবং গোয়েন্দাদের সঙ্গে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছিল।

    ২৪ বছর বয়সি নওমান ইলাহিকে হরিয়ানার পানিপথ থেকে গ্রেফতার করা হয়। দেখা যায় সে তার শ্যালকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আইএসআই হ্যান্ডেলারদের কাছে বিভিন্ন তথ্য পাঠিয়েছে।হরিয়ানাতেই ২৩ বছর বয়সি আরমান এবং তারিফ নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।

    আমলা যখন পাক গুপ্তচর

    রাজস্থানের সরকারি আধিকারিক সাকুর খানকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ৪৯ বছর বয়সি সাকুর খান, অশোক গেহলটের জমানায় এক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করত বলে জানা যায়। সে ৭ বার পাকিস্তান সফর করে, এরপরেই তার সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তদন্ত শুরু করে। তারপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    সিমকার্ড সরবরাহকারী

    দিল্লি পুলিশ সম্প্রতি রাজস্থানের এক ৩৪ বছর বয়সি যুবক কাসিমকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে সে পাকিস্তানের এজেন্টদেরকে মোবাইলের সিম কার্ড সরবরাহ করত। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সে দুবার পাকিস্তানও ভ্রমণ করেছে।

    ব্যবসায়ী এবং প্রযুক্তিবিদ

    উত্তরপ্রদেশের রামপুরে সম্প্রতি একজন ব্যবসায়ীকে আটক করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। যার নাম শাহজাদ। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের এই এজেন্ট একাধিকবার সে দেশে সফর করে এবং গুপ্তচরদের হাতে বিভিন্ন তথ্য তুলে দেয়। জলন্ধরে আর এক ব্যবসায়ী মহম্মদ মুরতাজাকে সম্প্রতি গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের গুপ্তচরদের সাহায্য করার।

  • NIA: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে এবার গ্রেফতার সিআরপিএফ জওয়ান

    NIA: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে এবার গ্রেফতার সিআরপিএফ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের খেয়ে, তথ্য জোগাচ্ছিলেন পাকিস্তানকে (Espionage Racket)। এই অভিযোগে এবার গ্রেফতার করা হয় সিআরপিএফের এক জওয়ানকে। ধৃত জওয়ানের নাম মোতিরাম জাট। অভিযোগ, মোতিরাম পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারের কাছে ভারতের বেশ কিছু (NIA) গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেছে। সে পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে। যদিও দিল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। পাতিয়ালা হাউস কোর্টে তুলে ৬ জুন পর্যন্ত তাকে হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    মোতিরামের পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে (NIA)

    সিআরপিএফ সূত্রে খবর, সাব ইন্সপেক্টর পদে থাকা মোতিরামের পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অবাধ বিচরণ দেখে সন্দেহ হয় তার সিনিয়রদের। তার পরেই মোতিরামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআরপিএফের কর্তারা। পরে তাকে তুলে দেওয়া হয় এনআইএর হাতে। গ্রেফতার করা হয় ইউএপিএ আইনে। সিআরপিএফের এক কর্তা জানান, ধৃত জওয়ান সিআরপিএফের আইন এবং প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে। গত ২১ মে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাকে।

    পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করছিল মোতিরাম। এজন্য সে পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের কাছ থেকে টাকাও নিত বলে অভিযোগ। গত দু’বছরে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বহু ক্লাসিফায়েড ইনফর্মেশন সে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। বিশেষ এনআইএ বিচারক চন্দরজিৎ সিং বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ কেবল দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই নয়, বরং বিদেশি পর্যটক ও সাধারণ নাগরিকদের জীবন সম্পর্কেও গভীর আশঙ্কা তৈরি করে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য হিসেবে এই কাজ বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।”

    প্রসঙ্গত, গত (NIA) ২৪ মে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর নানা তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে গুজরাটের কচ্ছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী সহদেব সিং গোহিল নামে একজনকে। গুজরাট এটিএস সূত্রে খবর, এই কাজের জন্য পাক গোয়েন্দাদের কাছ থেকে মোটা টাকাও পেত সে। প্রসঙ্গত, মে মাসে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট এবং উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় (Espionage Racket) তল্লাশি চালিয়ে ১৯ জন পাক চরের হদিশ মিলেছে। এদের মধ্যে রয়েছে ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাও (NIA)।

    এদিকে, রাজস্থানের ডিগ শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কাশেম নামে একজনকে। কর্তৃপক্ষের দাবি, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন কাশেম পাকিস্তানে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখে চলেছিল। এই অপারেশনের কিছুদিন আগেই সে পাকিস্তান ঘুরে এসেছিল বলেও অভিযোগ।

  • Chicken Neck: চিকেন নেক-এর কাছে গ্রেফতার কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি ‘কাশ্মীর’, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    Chicken Neck: চিকেন নেক-এর কাছে গ্রেফতার কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি ‘কাশ্মীর’, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকেন নেকের (Chicken Neck) খুব কাছেই ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হল জেল পালানো খালিস্তানি জঙ্গি-নেতাকে। অপারেশন সিঁদুরের আবহেই নিরাপত্তা এজেন্সির জালে ধরা পড়ল কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি কাশ্মীর সিং গালওয়াদ্দি ওরফে বলবীর সিং। যার মাথার দাম ছিল ১০ লাখ টাকা। প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুর শুরু হতেই বাড়তি তৎপরতা শুরু হয় উত্তরবঙ্গ করিডরে। নেপাল-পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন অমিত শাহ। গত সপ্তাহেই নেপাল-বিহার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে চার চিনা নাগরিককে গ্রেফতারের করা হয়। এবার গ্রেফতার করা হল এই কুখ্যাত জঙ্গিকে। নেপালে বসেই ভারত-বিরোধী নানা কাজ করত কাশ্মীর, এমনটাই জানা গিয়েছে। এনআইএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের লজিস্টিক সাপোর্ট এবং হাওয়ালার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করত খালিস্তানি জঙ্গি কাশ্মীর। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে পাঞ্জাবের একটি জেল ভাঙার ঘটনায় অভিযুক্ত জঙ্গি নেতা কাশ্মীর বব্বর খালসা ইন্টার ন্যাশানাল ও রিন্দা নামের একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। সন্ত্রাসীরা নেপাল সীমান্ত ব্যবহার করেই বারবার কেন ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে! এটাই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

    কেন অনুপ্রবেশের জন্য উত্তর-পূর্ব করিডর (Chicken Neck) বেছে নিচ্ছে জঙ্গিরা

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, বাংলা ও বিহারের বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে রয়েছে নেপাল সীমান্ত। সহজেই নেপালে আশ্রয় নিয়ে থাকা যায় এবং প্রয়োজনে বাংলা ও বিহারে আসা যায়। এই জায়গাটাই কাজে লাগাতে চায় সন্ত্রাসীরা। সেই উত্তর-পূর্বের এই এলাকাকে (Chicken Neck) বেছে নেওয়া হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে চিন-পাক যোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত রবিবার প্রেস ব্রিফিংয়েও ভারতের ডিজিএমও রাজীব ঘাই বলেছেন, “অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। এই অনুপ্রবেশকারীরাই সীমান্তে জঙ্গিকার্যকলাপে নিযুক্ত হয়। আমাদের কাছে এমনও তথ্য রয়েছে যে, সেটা পাকিস্তানি সেনাও হতে পারে, যারা আমাদের পোস্টকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।” ভারতের ডিজিএমও-র এমন মন্তব্যের ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কুখ্যাত জঙ্গি গ্রেফতার হল চিকেন নেকের (Chicken Neck) কাছ থেকে।

    ২০১৬ সালে জেল ভেঙে পালায় কাশ্মীর

    পাঞ্জাবের পাতিয়ালার নাভাতে ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর কার্যত তাণ্ডব চালায় খালিস্তানপন্থীরা। ওই দিন সকাল ৯ টা নাগাদ ২৪ জন সশস্ত্র জঙ্গি পাতিয়ালার উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন নাভা জেলে হামলা করে। এরপর গার্ডদের থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। সেদিন মোট ৬ কুখ্যাত অপারেটিভ, গ্যাংস্টারকে জেল থেকে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। জানা যায়, যে ৬ জন সেদিন জেল ভেঙে পালিয়েছিল তারমধ্যে ছিল কুখ্যাত খলিস্তানি কাশ্মীর সিংও। ঘটনার সাড়ে ৮ বছর পরে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হল।

    খালিস্তানি লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম সক্রিয় সদস্য কাশ্মীর সিং

    জানা গিয়েছে, খালিস্তানি লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম সক্রিয় সদস্য হল এই কাশ্মীর সিং। তাকে গত ৮ বছর ধরে খুঁজে চলেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি। পাঞ্জাব সহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক জঙ্গি সংক্রান্ত ঘটনায় রয়েছে এই খলিস্তানির যোগ মিলেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। বহুদিন ধরেই দেশের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির কাছে সে ছিল ওয়ান্টেড। উল্লেখ্য, গ্রেফতার করার পরে ফের তাকে নাভা জেলেই আনা হচ্ছে বলে খবর।

    নেপালে সক্রিয় বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল গ্যাং

    ২০১৬ সালে নাভা জেল ভাঙা কাণ্ডে মোট ২২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে কোর্ট। এদের মধ্যে ২ জন ছিল অফিসার পদ মর্যাদার। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল রমনজিৎ সিং রোমিকে। কুখ্যাত রোমিকে ২০২৪ সালে হংকং থেকে প্রত্যর্পণ করা হয় । তাকেও নাভা জেলে রাখা হয়েছে। তবে প্রথমে তাকে অমৃতসরের জেলে রাখা হয়। এর মাঝেই ২০২৫ সালে এল কাশ্মীর সিংয়ের গ্রেফতারির খবর। নাভার পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মনদীপ কৌর কাশ্মীরের গ্রেফতারির খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জানা যাচ্ছে, জেল ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার (Khalistani Militant) পরেই বহু খলিস্তানি নেতার সঙ্গে সংযোগ করতে থাকে কাশ্মীর। তাদের মধ্যে অন্যতম হল বিদেশে থাকা বব্বর খালসা নেতা হরবিন্দর সিং সান্ধু ওরফে রিন্দা। এক্ষেত্রে বলা দরকার, বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল শিবিরের রিন্দা গ্যাং খলিস্তানি জঙ্গি নাশকতা চালিয়ে থাকে।

    খালিস্তানি জঙ্গিদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিল এই কাশ্মীর সিং

    এই গ্যাং বর্তমানে নেপালে খুবই সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা যাচ্ছে। এরকম গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত কাশ্মীর সিংয়ের গ্রেফতার হল। অপারেশন সিঁদুরের আবহে এই ঘটনা এনআইএর কাছে বড় সাফল্য। খালিস্তানি জঙ্গিদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিল এই কাশ্মীর সিং। এমন খবর গোয়েন্দারা আগেই জানতে পেরেছিলেন বলে খবর। পাঞ্জাবের গোয়েন্দা হেডকোয়ার্টারে হামলার ঘটনাতেও উঠে আসে কাশ্মীরের নাম। এছাড়া ভারত বিরোধী নানা কাজে উঠে আসে কাশ্মীরের নাম। ২০২২ সালে খলিস্তানি জঙ্গি নাশকতার ষড়যন্ত্রেও উঠে আসে তার নাম (Khalistani Militant)। এবার ফের তাকে ফিরতে হচ্ছে নাভা জেলে।

  • Tahawwur Rana: রানার কণ্ঠস্বর ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে এনআইএ, অনুমতি আদালতের

    Tahawwur Rana: রানার কণ্ঠস্বর ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে এনআইএ, অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার অন্যতম মূল চক্রী তাহাউর রানার (Tahawwur Rana) কণ্ঠস্বরের নমুনা ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA)। ইতিমধ্যেই দিল্লির আদালতে এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে এনআইএ। শুধু তাই নয়, এই ষড়যন্ত্রীর এনআইএ হেফাজতের মেয়াদও বাড়িয়ে দিয়েছেন দিল্লির বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারক চান্দেরজিৎ সিং। ২৮ এপ্রিল রানাকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক আরও ১২ দিনের জন্য তাঁকে এনআইএ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে শুনানির সময় এনআইএ আদালতে জানিয়েছিল মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত রানার বিরুদ্ধে প্রচুর প্রামাণ্য নথি তাদের হাতে রয়েছে। যদিও কোন নথি রয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনেনি জাতীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।

    হেডলির সঙ্গে রানার নিরন্তর যোগাযোগ (Tahawwur Rana)

    জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার আগে পাক বংশোদ্ভূত জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে রানার নিরন্তর যোগাযোগ ছিল। এনআইএ সূত্রে খবর, মুম্বই হামলার আগে ভারতে আটবার রেকি করতে এসেছিলেন হেডলি। সেই সময় তিনি মোট ২৩১ বার ফোন করেছিলেন রানাকে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম ভারতে এসেছিলেন হেডলি। সেই সময় রানাকে মোট ৩২ বার ফোন করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার ভারতে এসে তিনি রানাকে (Tahawwur Rana) ফোন করেন ২৩ বার, তৃতীয় বারের বেলায় এসে ফোন করেন ৪০ বার, পঞ্চমবার ভারতে এসে তিনি ফোন করেন ৩৭ বার এবং ষষ্ঠবার তিনি ফোন করেছিলেন ৩৩ বার। অষ্টমবারের বেলায় হেডলি রানাকে সবচেয়ে বেশিবার ফোন করেন। এই যাত্রায় তিনি রানাকে ফোন করেন মোট ৬৬ বার।

    কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ

    এসব তথ্য নিশ্চিত করতেই রানার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে এনআইএ। তদন্তকারীদের অনুমান, নমুনা সংগ্রহের পর ২৬/১১ জঙ্গি হানায় রানার যোগসূত্র আরও স্পষ্ট হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। হামলা চলেছিল তিন দিন ধরে। ওই হামলায় নাম জড়ায় রানার। তাই হামলার (NIA) সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র প্রমাণ করা এনআইএর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের (Tahawwur Rana)।

  • NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Aerror Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। পাকিস্তানের মদতে সংঘটিত হওয়া এই হত্যাকাণ্ডে লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ এই হত্যা লীলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এবার পেহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তভার নিল এনআইএ (NIA)। রবিবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। নিজেদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র উন্মোচনের জন্য পুরো এলাকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, এই ঘটনায় পাকিস্তান যোগের প্রমাণও মিলেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ২০ এপ্রিলের আগেই জঙ্গিরা হামলার স্থান রেকি করে যায়।

    জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকে পর্যবেক্ষণ করছে এনআইএ (NIA)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে এনআইএ। এনআইএ-র (NIA) ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় সাখারের নেতৃত্বে একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং একজন পুলিশ সুপারিটেনডেন্টের সমন্বয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এরপরেই এনআইয়ের দল পেহেলগাঁওয়ে অবস্থিত বৈসরনে যেখানে হামলা চালানো হয় সেখানে তদন্তে নামে। এনআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। যাঁরা নিজেদের চোখের সামনে এই হত্যালীলা সংঘটিত হতে দেখেছিলেন। সন্ত্রাসবাদীদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার জন্য তদন্তকারী দলগুলি বৈসারনে জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকেও পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে ফরেনসিক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞ দল সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করছে, যাতে সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রকে উন্মোচন করা যায়।

    ২০ এপ্রিলের আগেই পহেলগাঁওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে জঙ্গিরা

    এনআইএ-র (NIA) তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্যে যে সমস্ত পর্যটক পহেলগাঁও হামলার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বর্তমানে জেলে থাকা লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদ এবং অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। আতস কাচের তলায় রয়েছে অসংখ্য সহযোগী, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় জড়িতদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। এই কাজে একসঙ্গে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এনআইএ-র তরফ থেকে তদন্তে উঠে এসেছে যে ২০ এপ্রিলের আগেই পেহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Aerror Attack) বৈসরনে এবং আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপরে নজরদারি চালিয়েছিল ওই জঙ্গিরা।

    পাকিস্তান যোগের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে

    ইতিমধ্যে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মুজাফফরবাদ এবং করাচির কিছু জায়গায় যোগ রয়েছে এই সন্ত্রাসী হামলায়। তাই স্বাভাবিকভাবে এখানে পাকিস্তানের হাত স্পষ্টভাবেই রয়েছে। ঠিক যেমনটা ২৬/১১ তে মুম্বাই হামলার সময় পাকিস্তান করেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে যে তথ্য অনুযায়ী, চার থেকে পাঁচ জন সন্ত্রাসবাদি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের কাছে অত্যাধুনিক মাধ্যমের যোগাযোগ যন্ত্র ছিল। এদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক পোশাকও পরেছিল এবং হাতে ছিল একে-৪৭। গোয়েন্দাদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেখানে জানতে পারা যাচ্ছে পাকিস্থানে বসে থাকা এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ডদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র ছিল হামলাকারী সন্ত্রাসবাদীদের। মুজাফফরবাদ এবং করাচিতে বেশ কিছু জায়গায় এমনই ডিজিটাল প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে

    শুধু তাই নয় গোয়েন্দাদের আরও দাবি, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের জন্য সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এবং মার্চ মাসে এনআইএ জম্মু-কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যাপক তল্লাশি চালায় তখনই উঠে আসে এমন তথ্য।
    এনআইএ-র সন্দেহ ভারতে প্রবেশের পরে স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে। জানা গিয়েছে, এনআইয়ে নিজেই মার্চ মাসে একটি বিবৃতি জারি করেছিল। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীরা কাঠুয়া, উধমপুর, ডোডা, কিস্তোয়ার এবং পুঞ্চে উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।

    চিহ্নিত আরও ১৪ সন্ত্রাসবাদী

    ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ গত শুক্রবারই তিনজন সন্ত্রাসীর স্কেচ প্রকাশ করেছে। যাদের মধ্যে দুজনকে পাকিস্তানি বলে জানা গিয়েছে। এরা হল আলি ভাই এবং হাসিম মুসা। স্থানীয় জঙ্গি আদিলের নাম রয়েছে। এদের প্রত্যেকের মাথার দাম কুড়ি লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে মুসা জম্মু কাশ্মীরের আগে তিনটি সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কনভয়ের ওপর অতর্কিত হামলাতেও সে জড়িত ছিল। এর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আরও ১৪ জন সন্ত্রাসবাদীকে চিহ্নিত করেছে। এদের মধ্যে ৮ জন লস্কর-ই-তৈবার তিনজন জৈশ-ই-মহম্মদের এবং ৩ জন হিজবুল মুজাহিদিনের।

LinkedIn
Share