Tag: NIA investigation

NIA investigation

  • Maheshtala Incident: মহেশতলার ঘটনায় উত্তাল বিধানসভা, ওয়াক আউট বিজেপির! এনআইএ চেয়ে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Maheshtala Incident: মহেশতলার ঘটনায় উত্তাল বিধানসভা, ওয়াক আউট বিজেপির! এনআইএ চেয়ে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহেশতলার ঘটনায় (Maheshtala Incident) এনআইএ তদন্ত (NIA Investigation) চাইছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। রবীন্দ্রনগরে অশান্তির জেরে বৃহস্পতিবার (১২ জুন, ২০২৫) উত্তপ্ত হয় বিধানসভার অধিবেশনও। বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ, প্রতিরোধের জেরে পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজক হয়ে ওঠে যে একটা সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

    উত্তপ্ত বিধানসভা

    মহেশতলার ঘটনা (Maheshtala Incident) নিয়ে এদিন উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের অধিবেশনে মূলত দু’টি দাবি তুলেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। প্রথমত, তাঁরা মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক অশান্তি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। এরপর রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় বুধবার (১১ জুন, ২০২৫) যে অশান্তি ছড়িয়েছিল, তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চান বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু, তাতেও সায় দেননি বিমান। এর ফলে অধিবেশন চলাকালীনই বিধানসভার ভিতর হট্টগোল শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়করা। নিজের আসন ছেড়ে উঠে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার কার্যবিবরণী ছিঁড়ে, সেই কাগজের টুকরোগুলি শূন্যে উড়িয়ে দেন তিনি! ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা ৷ অধ্যক্ষ এরই মধ্যে অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলে স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি৷ পরবর্তীতে বিধানসভার মূল ফটকের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের তুলসী মঞ্চ মাথায় নিয়েও হাঁটতে দেখা যায়। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী দাবি জানিয়েছেন, রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিঞাকে অপসারিত ও গ্রেফতার করতে হবে। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল যাতে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন, সেই দাবি সামনে রেখে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন বিজেপি বিধায়করা। এদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়েই তাঁরা সরাসরি মিছিল করে রাজভবনে চলে যান।

    থমথমে মহেশতলা

    বুধবার সকালে মহেশতলায় (Maheshtala Incident) রবীন্দ্রনগর থানা লাগোয়া এলাকায় একটি শিব মন্দিরের সামনে দোকান নির্মাণ নিয়ে চাপা অশান্তি শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে একটি ছোট তুলসী মঞ্চ তৈরি করে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে অশান্তি শুরু হয়। মুসলিমরা তুলসী মঞ্চ তৈরির প্রতিবাদে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলেন। পরে সেখান থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। শিব মন্দির ও তুলসী মঞ্চে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে এলাকায় ১০টি পিকেট বসানো হয়েছে। এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে। দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হলেও পরে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। মুহূর্তে তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে পুলিশের শীর্ষকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। রবীন্দ্রনগর থানা লাগোয়া এলাকায় একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ব়্যাফ নামানো হয়। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাসও। বৃহস্পতিবার সকালেও থমথমে পরিবেশ মহেশতলার রবীন্দ্রনগর এলাকায়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অলিগলিতে চলেছে পুলিশের রুট মার্চও।

    মহেশতলায় যেতে অনুমতি দিল না পুলিশ

    হিংসা কবলিত মহেশতলা (Maheshtala Incident) যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) অনুমতি দিল না পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে, তাই সেখানে কাউকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এখনই। তবে, ১৬ জুনের পরে শুভেন্দু অধিকারী হিংসা কবলিত এলাকায় যেতে পারেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    এনআইএ তদন্ত দাবি

    মহেশতলায় (Maheshtala Incident) অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। গোটা মামলা এনআইএ-এর হাতে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি সেন।

  • NIA: রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ার পর হাওড়ার শিবপুরে তদন্তে এল এনআইএ

    NIA: রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ার পর হাওড়ার শিবপুরে তদন্তে এল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীতে হাওড়ার শিবপুরে অশান্তি ও সংঘর্ষের ঘটনার তদন্তে নামল এনআইএ (NIA)। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল আজ বৃহস্পতিবার হাওড়ার শিবপুরে আসে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এনআইএকে। তারপর আজ এনআইএ-র একটি তিন সদস্যর প্রতিনিধি দল শিবপুর থানায় আসে। এখান থেকেই অফিসাররা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। জানা গেছে, থানা থেকে সেদিনের ঘটনা পরম্পরার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি নির্যাতিত ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। 

    কী ঘটেছিল সেদিন?

    রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে গত ৩০ মার্চ হাওড়ার শিবপুরের কাজিপাড়া এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। অঞ্জনী সেনাপুত্র এবং আরও কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের মিছিল প্রতি বছরের মতো এবারেও একই রোড দিয়ে বার করা হয়। অভিযোগ, কাজিপাড়া মোড় থেকে মিছিল যখন হাওড়া ময়দানের দিকে আসছিল, সেই সময় পিএম বস্তির কাছে মিছিলের ওপর হামলা হয়। তা নিয়েই মিছিলকারীদের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে এবং গভীর রাত পর্যন্ত সেই খণ্ডযুদ্ধে একাধিক গাড়ি পোড়ানো হয়, একাধিক বাড়ি ভাঙচুর করা হয়, দুপক্ষের বহু মানুষ এমনকী পুলিশ কর্মীরা পর্যন্ত জখম হন।

    অশান্তি চলেছিল আরও কয়েকদিন

    এই ঘটনার পরদিন এবং তারপর তিনদিন ধরে এই অশান্তি বজায় থাকে। দফায় দফায় হামলা এবং পাল্টা হামলা চলতে থাকে ফ্ল্যাটে, বাড়িতে। অভিযোগ ওঠে, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই গন্ডগোল ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নির্ধারিত রুট দিয়ে মিছিল না যাওয়ার কারণে এবং পুলিশি অনুমোদন না থাকার কারণে এই অশান্তি বাধে। অন্যদিকে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা পুলিশের কাছ থেকে যে অনুমোদন নিয়েছি্লেন, তার প্রমাণ দেখান, এমনকী মিছিলের ওপর সংগঠিত হামলা বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, মিছিলের রুট বদল করা হয়নি, প্রতি বছরের মতো একই সময়ে একই রুটে মিছিল শুরু হয়। কিন্তু মিছিল একটু এগোতেই মিছিলের উপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলতে থাকে। প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে শিবপুর থানার পুলিশ। পরে সেই তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। সিআইডি তদন্ত শুরু করলেও পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় এনআইএকে। এই ঘটনার তদন্ত করতেই এবার এলাকায় এল এনআইএর (NIA) প্রতিনিধি দল। বাসিন্দাদের আশা, তদন্তে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: বিজেপির রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ায় তদন্তে এল এনআইএ-র টিম

    NIA: বিজেপির রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ায় তদন্তে এল এনআইএ-র টিম

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: এনআইএ-র টিম রিষড়ায়। গত ২ এপ্রিল রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে প্রবল গন্ডগোল হয় রিষড়ার সন্ধ্যাবাজার এলাকায়। অবশেষে সোমবার রাতে এনআইএ-র চার সদস্যের একটি টিম রিষড়া থানায় এসে ওই মামলার সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। ওই ব্যাপারে চন্দননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, চারজন কেন্দ্রীয় এজেন্সির (NIA) অফিসার রিষড়া থানায় আসেন গতকাল রাতে। তাঁরা নিজেদের এনআইএ-র অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। মূলত রিষড়ার গন্ডগোলের তদন্তে এসেছিলেন। তাঁদেরকে যথাযথ সাহায্য করা হয়েছে।

    কী ঘটেছিল সেদিন?

    হাওড়ার শিবপুরেও এধরনের গন্ডগোল হয়েছিল। তারপর রিষড়া। রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হুগলির রিষড়া এলাকা। সেদিন ওই মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছিলেন বিধায়ক বিমান ঘোষ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন বিজেপির নেতা। মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই গোলমাল বেধে যায়। ওয়েলিংটন জুটমিলের সামনে চারবাতির মোড়ে জিটি রোডের মিছিল যেতেই মিছিলের ওপর ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে বিজেপির অভিযোগ। এলাকা ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জিটি রোডের ওপর জায়গায় জায়গায় আগুন ধরানো হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে চন্দননগর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে চলে আসেন চন্দননগরের কমিশনার অমিত পি জাভালগি। কোন্নগর থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত জিটি রোড ব্যারিকেড করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। রাত সাড়ে ন’টার পর অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসে।

    কীভাবে এল এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ? 

    সেদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরের দিন রাতে রিষড়া রেল গেটের কাছে পুলিশের সঙ্গে আবার সংঘর্ষ বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। লেভেল ক্রসিং আটকে পুলিশের গাড়ি জ্বালানো হয়। রিষড়া স্টেশনে আটকে যায় একাধিক ট্রেন। স্তব্ধ হয়ে যায় হাওড়া-ব্যান্ডেল মেন লাইন। আক্রান্ত হন ট্রেনের প্যাসেঞ্জাররাও। সেই পরিস্থিতি গভীর রাতে স্বাভাবিক হয় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নেতৃত্বে। পরের দিন রাজ্যপাল নিজে ঘটনাস্থলে এসে অবস্থা সরজমিনে ঘুরে দেখেন। এরপরই এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়। বিষয়টি আদালত অবধি গড়ায়। আদালত রিষড়া, শিবপুর, ডালখোলার ঘটনা নিয়ে এনআইএ-কে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। এরপর হাইকোর্টের ওই অর্ডারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু, মামলা, প্রতি মামলার ভিতরে অনেক মাস কেটে গেলেও এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ খারিজ হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sainthia: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Sainthia: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাঁইথিয়া (Sainthia) বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারের সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে। জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী ঘটেছিল?

    গত ১৪ নভেম্বর, সাঁইথিয়ায় (Sainthia) শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর (tmc inner clash) মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। বোমাবাজির ঘটনায় রক্তাক্ত হয় বীরভূমের সাঁইথিয়ার বহড়াপুর গ্রাম। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জন্য দুই জন গুরুতর আহতও হয়। অভিযোগ উঠেছিল এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বোমার ফলে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবকের ডান পা এবং হাত উড়ে গিয়েছে ও আহত হয়েছে ১৪ বছরের বালক মুজফ্ফর। আর তারপরের দিন ফের ওই এলাকা থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু এবার এই বোমা বিস্ফোরণের তদন্তের ভার কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-এর হাতে তোলার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।

    জনস্বার্থ মামলা আইনজীবীর

    এরপরই এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আবেদন করে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। আর এই মামলারই আজ শুনানি ছিল। এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হবে কি না, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রই নেবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও আদালতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ইতিমধ্যে ঘটনার (Sainthia) রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। সেই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো হবে।

    সাঁইথিয়া ঘটনায় (Sainthia) গ্রামবাসীর অভিযোগ, এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই ঘটনার পরের দিনেও একাধিক বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বিরোধীদের অভিযোগ যে, গোটা বীরভূম জেলাই এখন বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। জেলার বিভিন্ন অংশে প্রায় রোজই বোমা উদ্ধার হচ্ছে, পাওয়া যাচ্ছে অস্ত্রশস্ত্রও। পাশাপাশি শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষও প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। যদিও তৃণমূলের তরফে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য।

    তবে শেষপর্যন্ত সাঁইথিয়ার (Sainthia) বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার এর তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয় কিনা, সেটাই দেখার।

  • Mominpur Violence: মোমিনপুর-কাণ্ডের তদন্তে এনআইএ, দায়ের এফআইআর, আজই ঘটনাস্থলে আধিকারিকরা?

    Mominpur Violence: মোমিনপুর-কাণ্ডের তদন্তে এনআইএ, দায়ের এফআইআর, আজই ঘটনাস্থলে আধিকারিকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মোমিনপুরকাণ্ডে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি NIA। গত ৮ অক্টোবর রাত থেকে, কলকাতার মোমিনপুর এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। যে এলাকায় সবচেয়ে বেশি অশান্তি হয়েছিল, সেই ভূ-কৈলাস রোডের ঘটনার তদন্ত করবেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মঙ্গলবার এই ঘটনায় ফের নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে দিল্লিতে। আজ, বুধবার সেই মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায় এনআইএ আদালতে। এদিন সকালে  নগর দায়রা আদালতে ইতিমধ্যেই FIR জমা দিয়েছে  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজোর রাতে মোমিনপুর এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বোমাবাজি,ইঁটবৃষ্টির পাশাপাশি বাড়িঘর,বাইক ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ কিছুই বাদ যায়নি। এমনকি এক সম্প্রদায়ের লোকজন ইকবালপুর থানা ঘেরাও করেছিল। দুই আইপিএস-সহ ৯ পুলিশকর্মী পর্যন্ত আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনায় পাঁচটি FIR করে তদন্ত চালাচ্ছিল কলকাতা পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে থানায় গিয়ে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন NIA অফিসাররা।    

    আরও পড়ুন: ওরা হিন্দুদের তাড়াতে চায়! মোমিনপুর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মোমিনপুরের ঘটনার পরেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। মোমিনপুরে তাণ্ডবের বিরুদ্ধে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে উচ্চ আদালতে (Calcutta High Court)।  এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্যের রিপোর্ট এবং মামলার গুরুত্ব বুঝে, NIA তদন্তের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। শেষমেশ সেই তদন্তভার গেল কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে। অমিত শাহের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রকের নির্দেশে একটি FIR করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করল এনআইএ।  বুধবার মোমিনপুরে ফের হানা দিতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেখানকার সিসিটিভির ফুটেজ ও এলাকার কিছু ভিডিও ফুটেজ এনআইএ খতিয়ে দেখবে। পুলিশের হাতে ধৃতদেরও নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে এনআইএ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: মোমিনপুর কাণ্ডে সিট গঠনের নির্দেশ, এনআইএ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মোমিনপুর কাণ্ডে সিট গঠনের নির্দেশ, এনআইএ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর-একবালপুর ঘটনায় (Mominpur Ekbalpur Violence Case) সিট (SIT) গঠন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন থেকে মোমিনপুর-একবালপুর জুড়ে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আদালতের দারস্থ হয়ে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিট (SIT) গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নেতৃত্বে এই সিট গঠন করা হবে। এছাড়াও আদালত থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়া হবে কি না তার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।

    মোমিনপুরের ঘটনার পরেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। মোমিনপুরে তাণ্ডবের বিরুদ্ধে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে উচ্চ আদালতে (Calcutta High Court)। সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এমন নির্দেশ দেওয়া হল। বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হবে। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চালাতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। কারা তাণ্ডব চালিয়েছে তা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিটের আধিকারিকদের। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। সংরক্ষণ করতে হবে ভিডিও ফুটেজ। এছাড়াও জানানো হয়েছে, এই ঘটনার জেরে যদি কেউ ঘরছাড়া হয়ে থাকে তবে তাঁদের ঘরে ফেরানোর দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই হিংসার ঘটনায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন পুলিশের কাছে ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানতে চায়, যে এফআইআরগুলি হয়েছে তার ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    আবার এদিন এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্যও আবেদন করা হলেও এদিন হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। আবার অন্যদিকে আদালত থেকে প্রশ্ন করা হয় যে, এই ঘটনায় যে বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে, তার ব্যাপারে কেন্দ্রকে সঠিক পদ্ধতিতে জানানো হয়েছে কিনা। এর উত্তরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, সেদিনই বেলা ১টায় কেন্দ্রকে ইমেল করে বিস্ফোরণের কথা জানানো হয়েছে। এরপরেই বিচারপতি জানান যে, তবে সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কেন্দ্রকেই ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে হবে যে, এই ঘটনার তদন্তভার তাঁরা এনআইএ-কে (NIA) দিতে চায় কি না। এবিষয়ে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।

    এছাড়াও হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছে, ছুটির পর আদালত খোলার ১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। সেখানে ওই এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা বিশদে জানাতে হবে আদালতকে (Calcutta High Court)।

LinkedIn
Share