Tag: NIA

NIA

  • NIA: নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তলব করল আর এক তৃণমূল নেতাকে

    NIA: নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তলব করল আর এক তৃণমূল নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার এনআইএ (NIA) তলব করল অপরেশ সাঁতরাকে। মানব পড়ুয়ার পর অপরেশ সাঁতরা। পটাশপুরের তৃণমূল নেতা তথা আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপ প্রধান অপরেশ সাঁতরাকে তলব করার ঘটনায় ভোটের মুখে ফের অস্বস্তিতে পড়ল শাসক দল। কারণ, এর আগে এই ঘটনায় ডেকে পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী মানব পড়ুয়া সহ ভগবানপুর বিধানসভা এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতাকে। নির্বাচনের ঠিক আগে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে এনআইএ ডাকার ফলে ভগবানপুর ও পটাশপুর এলাকার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    তবে, সূত্রের খবর, ডাকলেও এখনই গ্রেফতার করা যাবে না অভিযুক্ত ব্যক্তিদের।  আগামী ১৫ ই জুলাই পর্যন্ত রয়েছে আদালতের রক্ষা কবচ। তবুও ভোটের আর মাত্র দুদিন আগে এই ঘটনা ঘটায় অস্বস্তি এড়াতে পারছে না শাসক দল। ব্যালট বাক্সে এর কোনও প্রভাব পড়বে কি না, সেটাই নেতৃত্বকে ভাবাচ্ছে।

    কী ঘটেছিল (NIA)?

    উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসের দু তারিখ রাতে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ ব্লকের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্নার বাড়িতে। যে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তিন তৃণমূল কর্মীর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বিদায়ী সদস্য তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের বর্তমান প্রার্থীকে নির্বাচনের তিন দিন আগে ডেকে পাঠানোর খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল ভগবানপুরের রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, শুধু মানব পড়ুয়া নয়, আরও কয়েক জনকে ডেকেছে এনআইএ, যারা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বা কর্মী। এই বিস্ফোরণের সঙ্গে তৃণমূলের এই নেতাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।

    তৃণমূলের বক্তব্য (NIA)

    ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের এইভাবে ডাকার জন্য নিন্দা করেছিলেন ভগবানপুর দুই ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অম্বিকেশ মান্না। তিনি বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকাতে ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। অপর দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ ইতিমধ্যেই অস্বীকার করেছে বিজেপি। ভগবানপুর (Purba Medinipur) বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির বক্তব্য, আইন আইনের পথে চলছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্তরা আজ না হয় কাল ধরা (NIA) পড়বেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে তৃণমূলের প্রার্থীকে ডাকল এনআইএ, তীব্র উত্তেজনা

    Purba Medinipur: নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে তৃণমূলের প্রার্থীকে ডাকল এনআইএ, তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাড়ুয়াবিলা (Purba Medinipur) বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার এনআইএ তলব করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী মানব পড়ুয়াকে। আগামী ৫ ই জুলাই ডাকা হয়েছে তাঁকে। ভোটের আগে এই  নিয়ে জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য।

    বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Purba Medinipur) কেন ডাকল এনআইএ?

    নাড়ুয়াবিলা  (Purba Medinipur) বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে গত জুন মাসের ২০ তারিখ ভূপতিনগর থানায় এসেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র চার সদস্যের এক প্রতিনিধিদল। তাঁরা নাড়ুয়াবিলা গ্রামের বিস্ফোরণস্থলেও গিয়েছিলেন। এই স্থানেই গত বছর ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখের রাতে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

    নাড়ুয়াবিলা গ্রামে কী ঘটেছিল?

    ভগবানপুর (Purba Medinipur) ২ ব্লকের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্নার বাড়িতে ঘটা সেদিনের বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তিন তৃণমূল কর্মীর। সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার ডাকা হল মানব পড়ুয়াকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বিদায়ী সদস্য তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের বর্তমান প্রার্থীকে নির্বাচনের তিন দিন আগে ডেকে পাঠানোর খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভগবানপুরের রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, শুধু মানব পড়ুয়া নয়, আরও কয়েক জনকে ডেকেছে এনআইএ, যারা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বা কর্মী। এই বিস্ফোরণের সঙ্গে তৃণমূলের এই নেতাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের এইভাবে ডাকার জন্য নিন্দা করেছেন ভগবানপুর দুই ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অম্বিকেশ মান্না। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকাতে ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। অপর দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ভগবানপুর (Purba Medinipur) বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, আইন আইনের পথে চলছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্তরা আজ না হয় কাল ধরা পড়বেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: এনআইএ হানায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে মিলল প্রচুর বিস্ফোরক!

    Panchayat Poll: এনআইএ হানায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে মিলল প্রচুর বিস্ফোরক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। তার জের কাটতে না কাটতেই এবার পাশের জেলা বীরভূমের নলহাটিতে তৃণমূল প্রার্থীর খাদানের একটি বাড়ি থেকে মিলল প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) আগে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে নলহাটির বাহাদুরপুরে হানা দেয় এনআইএ। তাঁর বাড়ি থেকে বিস্ফোরক জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তৃণমূল প্রার্থী। স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নলহাটি এলাকায় যতগুলি পাথর খাদান রয়েছে, তার বেশিরভাগের কোনও সরকারি অনুমতি নেই। অথচ বেআইনি পথেই জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর দিয়ে খাদানের পাথরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যবসা চলে। কিছুদিন আগেই ওই এলাকায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টিম একটি বড়সড় বিস্ফোরক পাচারকারী দলকে গ্রেফতার করে। পরে যার তদন্তভার নেয় এনআইএ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই নলহাটি এলাকার কোন কোন এলাকায় বিস্ফোরক মজুত রয়েছে তার তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ। সেভাবেই বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল নলহাটির বাহাদুরপুর এলাকার একটি পাথর খাদানে হানা দেয়। সেখানকার অফিসটি এলাকার পাথর ব্যবসায়ী তথা এবারের প্রার্থী মনোজ ঘোষের। বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত তল্লাশি চলে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসে সে সময় মনোজ ঘোষের ম্যানেজার পার্থকুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে সঙ্গে নিয়েই পিছনের একটি প্রায় পরিত্যক্ত বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। সাড়ে আট ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পরে দুটি ব্যাগে জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যায় এনআইএ। তবে তাতে কত পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল, তা জানা যায়নি। যাওয়ার আগে ঘর দুটি সিলও করে দিয়ে যায় এনআইএ। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার জেরে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা পরিকল্পিত চক্রান্ত। একটি পরিত্যক্ত ঘরে কী উদ্ধার করল এনআইএ, তা তাঁরা জানেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) আগে চক্রান্ত করে তৃণমূলকে জড়িয়ে জেলায় আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) ঘোষণার পরে জেলা জুড়ে অস্ত্র, হাত বোমা উদ্ধার হচ্ছে। যা মজুত করছে তৃণমূল। পুলিশ সব জেনেও চুপ। কেন্দ্রীয় দল এসে উদ্ধার করছে। পুলিশ সেখানে নীরব কেন? তিনি দাবি করেন, সারা জেলায় কোনায় কোনায় প্রচুর বোমা, অস্ত্র মজুত আছে। ভোটের আগে এভাবে অস্ত্র উদ্ধার তারই প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: দাড়িভিট কাণ্ডে এনআইএ! নির্দেশ হাইকোর্টের, ‘‘মান্থা ভগবান’’, প্রতিক্রিয়া নিহতের মায়ের

    NIA: দাড়িভিট কাণ্ডে এনআইএ! নির্দেশ হাইকোর্টের, ‘‘মান্থা ভগবান’’, প্রতিক্রিয়া নিহতের মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচবছর আগে উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটে, পুলিশের গুলিতে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট হাইস্কুলে, বাংলার বদলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল ছাত্র-ছাত্রীরা, অভিযোগ সেসময় আচমকাই পুলিশের ছোড়া গুলিতে প্রাণ যায় দুই বিক্ষোভকারী ছাত্রনেতা রাজেশ সরকার (২০) এবং তাপস বর্মনের (২০)। সেসময় এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় নিহত ছাত্রদের পরিবার। জল গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। কেন্দ্রীয় তদন্ত যদি কখনও হয় পাওয়া যাবে বিচার! এই আশায় ছাত্রদের দেহ দাহ করেনি পরিবার। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা মালঞ্চ নদীর তীরে আজও শোয়ানো রয়েছে তাঁদের দেহ। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের এজলাসে এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ আসতেই বিচারের আশায় আরও একবার বুক বাঁধলেন নিহতদের পরিবার। সেদিন পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়া রাজেশ সরকারের মা, ঝর্ণা সরকার এই প্রতিবেদককে ফোনে বলেন, ‘‘পাঁচ বছর ধরে কাঁদছি, বিচারের আশায়। আসল সত্য উদঘাটিত হোক এটাই চাই। পুলিশি তদন্তে আমাদের ভরসা কখনও ছিলনা। রাজাশেখর মান্থার আমাদের কাছে ভগবানতুল্য।’’ প্রসঙ্গত পুলিশের গুলিতে কয়েকদিন আগেই উত্তরদিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নিহত হন মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামের এক যুবক। সেই আবহে আজকে দাড়িভিট কান্ডে এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ এতে আরও জোরালো হবে কালিয়াগঞ্জ গুলি কান্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেন।

    সেদিনের ঘটনাক্রম

    উত্তর দিনাজপুরে জেলার চিকেন নেকে বাস প্রায় ৭২ শতাংশ সংখ্যালঘু মানুষদের। সেখানের দাড়িভিট হাইস্কুলে বাংলার বদলে শিক্ষক নিয়োগ করা হয় উর্দুর। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, উর্দুভাষী পড়ুয়া না থাকা সত্ত্বেও ওই ভাষায় শিক্ষক নিয়োগ করা হয় জোরপূর্বক। অথচ বাংলা ভাষার শিক্ষকের প্রয়োজন থাকলেও সেই চাহিদা মেটানো হয়নি। এই দাবিতেই বিক্ষোভে নামে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। সেইমতো ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর উত্তরদিনাজপুর জেলার ডিএম স্কুলে এসে প্রতিশ্রুতি দেন, উর্দু শিক্ষক নিয়োগ করা হবেনা স্কুলে। পরের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর ছাত্র-শিক্ষক প্রীতি ফুটবল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়। এক আন্দেলনকারীর দাবি, হঠাৎই ২০ সেপ্টেম্বর দুগাড়ি পুলিশ, স্কুলে এসে উর্দু শিক্ষককে নামিয়ে দিয়ে যায়। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীদের দাবি, পুরুষ পুলিশরা এইসময় নানা অশ্লীল মন্তব্য করতে থাকে ছাত্রীদের উদ্দেশে। সেইসময় স্থানীয়রা প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন। তখনই পুলিশ গুলি ছোড়ে। মৃত্যু হয় রাজেশ তাপসের। পায়ে গুলি লেগে আহত হন বিপ্লব নামে অপর এক আন্দোলনকারী। ঘটনায় অভিযোগ ওঠে, গুলিবিদ্ধ রাজেশ তাপসকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে মাঝপথে হামলাও শুরু হয় ভ্যানে। কোনওক্রমে হাসপাতালে পৌঁছালে, রাজেশকে মৃত বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরের দিন ২১ সেপ্টেম্বর মারা যান তাপস বর্মন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: হিজবুল নেতা পাকিস্তানে! জম্মু-কাশ্মীরে এনআইএ বাজেয়াপ্ত করল ছেলেদের সম্পত্তি

    NIA: হিজবুল নেতা পাকিস্তানে! জম্মু-কাশ্মীরে এনআইএ বাজেয়াপ্ত করল ছেলেদের সম্পত্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার হিজবুল জঙ্গি নেতা সৈয়দ সালহাউদ্দিনের দুই ছেলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনআইএ (NIA)। জঙ্গি নেতার দুই ছেলেকে বছর পাঁচেক আগেই গ্রেফতার করেছে এনআইএ। বুদগাম ও রামবাগ এলাকায় তার দুই ছেলে শাহিদ ইউসুফ ও সৈয়দ আহমেদ শাকিলের অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ (NIA)। এদিকে ওই দুই ছেলে বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছে। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ও ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ওই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিদেশ থেকে সালহাউদ্দিনের গ্রুপের কাছ থেকে তারা অর্থ সংগ্রহ করত বলে অভিযোগ। সেগুলি তারা হিজবুল মুজাহিদিনের কর্মীদের মধ্য়ে বিলিবন্টন করত বলে অভিযোগ। 

    কে এই সৈয়দ সালহাউদ্দিন

    হিজবুল মুজাহাদিনির প্রধান সালহাউদ্দিন। জানা গিয়েছে ১৯৯৩ সালে সালহাউদ্দিন পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। ২০২০ সালে মোদি সরকার ওই ব্যক্তিকে জঙ্গি তালিকাভুক্ত করেন। আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রকও তাকে আগেই সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করেছে। বর্তমানে সে পাকিস্তান থেকে তার সংগঠন পরিচালিত করে। বর্তমানে ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিলের প্রধান এই জঙ্গি নেতা। এই সংগঠন মুত্তাহিদা জিহাদ কাউন্সিল বলেও পরিচিত। ১৩টি পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী একতাবদ্ধ হয়ে এই সংগঠন তৈরি করেছিল। এবার তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনআইএ (NIA)।

    কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়ানোই ছিল সালহাউদ্দিনের প্রধান লক্ষ্য

    এদিকে সালহাউদ্দিন প্রাথমিকভাবে কাশ্মীরে তার কাজকর্ম চালাত। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে সে বিদেশ থেকে অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা করে। হাওয়ালার মাধ্যমেও সে টাকা আদানপ্রদান শুরু করে। ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল। মূলত কাশ্মীরে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সহায়তা করত, উসকানি দিত সালহাউ্দ্দিন। তা নিয়েই তদন্ত শুরু করে এজেন্সি। ২০১১ সালে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এনিয়ে মামলা রুজু করে। এরপর সেই মামলা এনআইএ-র (NIA) হাতে যায়। এরপর ২০১১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে চার্জশিট ও সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হয় ৮ জনের বিরুদ্ধে। এরপর এনআইএ (NIA)  এই গোটা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে ভেঙে দিতে একেবারে উঠেপড়ে লাগে। পাকিস্তান থেকে কলকাঠি নাড়ছে এমন নেতাদের সঙ্গে কাদের যোগ রয়েছে তা নিয়ে তল্লাশি শুরু করে এনআইএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kedarnath: এবারেও সেনাদের সঙ্গে দীপাবলী কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,দর্শন করবেন কেদার ও বদ্রীধাম

    Kedarnath: এবারেও সেনাদের সঙ্গে দীপাবলী কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,দর্শন করবেন কেদার ও বদ্রীধাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছরের মতো এবারেও দীপাবলীতে ভারতীয় সেনার সঙ্গে উৎসবে মাতবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকেই দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে গত আট বছর ধরে দীপাবলী কাটিয়ে আসছেন।তার আগে পৌঁছে যাবেন কেদারনাথ (Kedarnath) ও বদ্রীনাথ  (Badrinath) তীর্থ দর্শনে।কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর কেদারনাথ (Kedarnath)  ও বদ্রীনাথ যাওয়ার খবর শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এর আগে প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে সরকারি সূত্রে কিছুই না জানানোয় প্রধানমন্ত্রী উওরাখন্ড সফর ঘিরে ধোঁয়াশা ছিল। 

    এবার সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ অক্টোবর কেদারনাথে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দির পরিদর্শনের পর তিনি ওই একই দিনে বদ্রীনাথে যাবেন।কেদারনাথে  পুজো দেবেন তিনি। এছাড়াও কেদারনাথ প্রকল্পের (Kedarnath Project) কাজ পরিদর্শন করবেন। সেদিনই যাবেন বদ্রীনাথ মন্দির (Badrinath Temple) দর্শনে। বদ্রীনাথ মাস্টার প্ল্যানের (Badrinath Master Plan) কাজ ঘুরে দেখবেন। তবে ২৪ অক্টোবর প্রতিবারের মতো দিওয়ালি উৎসব উপভোগ করবেন ভারতীয় সেনার সঙ্গে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

    সেনাদের সঙ্গে দীপাবলী কাটাতে উত্তরাখণ্ডের (Uttrakhand) সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম মান্নাতে (Manna) যাবেন মোদি। সেখানকার  গ্রামবাসীদের সঙ্গেও সময় কাটাবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর  মোদী ২০১৪ সালে সিয়াচেন সফর দিয়ে দীপাবলিতে  সেনাদের সঙ্গে সময় কাটানো শুরু করেন। এর পর প্রধানমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় দুবার সেনাদের সঙ্গে দীপাবলী উদযাপন করেছিলেন ২০১৯ এবং ২০২১ সালে। সংবাদ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে,কেদারনাথ, বদ্রীনাথ মন্দির আরতি-দর্শনের পাশাপাশি সড়ক পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্যও সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিকে গুজরা্টের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে আগে থেকেই প্রচার শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নিজ রাজ্য গুজরাটে আজ ও কাল অর্থাৎ ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর থাকবেন ।সেখানে ১৫ হাজার ৬৭০ কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে। আজ, ১৯ তারিখে তিনি গুজরাটের গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে ডেফএক্সপো ২০২২-র উদ্বোধন করবেন। এরপর মিশন স্কুলস অব এক্সিলেন্সের উদ্বোধনও করবেন তিনি। জুনাগড়ে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাজকোটেও একাধিক প্রকল্পের সূচনা ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। ২০ তারিখে তিনি গুজরাট থেকেই সূচনা করবেন মিশন লাইফের। এরপর কেভাদিয়ায় একটি সম্মেলনে যোগদান ও ভ্যারায় একাধিক প্রকল্পের সূচনা করবেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, উৎসবের মরসুমে বড়োসড়ো নাশকতার হাত থেকে রক্ষা পেল রাজধানী দিল্লী। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) মঙ্গলবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং দিল্লী এই পাঁচটি রাজ্যের ৫০ টির বেশী স্থানে অভিযান চালিয়ে একজন আইনজীবী সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এনআইএ জানিয়েছে, অভিযানের সময় দিল্লির বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আসিফ খান এবং হরিয়ানার রাজেশ ওরফে ‘রাজু মোতা’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট আসিফ খানের বাড়ি থেকে  গোলাবারুদ সহ চারটি অস্ত্র এবং কয়েকটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • NIA: এনআইএ-জালে বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণের মাস্টার মাইন্ড সাব্বির

    NIA: এনআইএ-জালে বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণের মাস্টার মাইন্ড সাব্বির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআইএর (NIA) জালে ‘দ্য রামেশ্বরম ক্যাফে’ বিস্ফোরণের মাস্টার মাইন্ড। ধৃতের নাম সাব্বির। ঘটনার ১২ দিন পরে কর্নাটকের বেল্লারির কলবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর ‘দ্য রামেশ্বরম ক্যাফে’তে বিস্ফোরণ ঘটে ১ মার্চ।

    ক্যাফেতে বিস্ফোরণ

    জানা গিয়েছে, সেদিনের ওই বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন ১০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটনার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল আইইডি। বিস্ফোরক কম শক্তি সম্পন্ন হওয়ায় অভিঘাত জোরালো হয়নি। তার জেরেই ঘটেনি প্রাণহানির ঘটনা। ৫ মার্চ কর্নাটক সরকার ওই ঘটনার তদন্তভার হস্তান্তর করে এনআইএকে (NIA)। এনআইএ তদন্তের পাশাপাশি বেঙ্গালুরু পুলিশ বিস্ফোরণের ঘটনায় বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন ও বিস্ফোরক পদার্থ আইনের অধীনে মামলা দায়ের করে।

    অভিযুক্তের ছল-চাতুরি

    তার পরেই তদন্তে নামে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। ক্যাফেতে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের আগে এক ব্যক্তি ক্যাফেতে ঢুকে কাঁধের ব্যাগটি নামিয়ে রাখে। ব্যাগটিতে বিস্ফোরক ছিল। টাইমার দিয়ে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ব্যাগটি রেখে ওই ব্যক্তি খাবারের কুপন নেয়। যদিও খাবার না খেয়েই বেরিয়ে যায় ক্যাফে থেকে। তার পরেই কান ফাটানো আওয়াজে কেঁপে ওঠে এলাকা। জখম জন ১০ জন। তদন্তভার হাতে নিয়েই অভিযুক্তের হদিশ দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে এনআইএ। অভিযুক্তকে ‘ওয়ান্টেড’ও ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুুন: দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    গত সপ্তাহে অভিযুক্তের খোঁজে যৌথভাবে অভিযান চালায় এনআইএ এবং সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। কলবাজার থেকে আটক করা হয় এক কাপড় ব্যবসায়ীকে। এখান থেকেই আটক করা হয় পিএফআইয়ের এক সদস্যকেও। বুধবার গ্রেফতার করা হয় মূল চক্রী সাব্বিরকে।

    তার আগে সিসিটিভির ফুটেজ স্ক্যান করে অভিযুক্তদের ছবি প্রকাশ করেন তদন্তকারীরা (NIA)। তদন্তে জানা যায়, বেঙ্গালুরুর ওই ক্যাফেতে বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ রেখে অভিযুক্ত স্থানীয় একটি মসজিদে গিয়ে পোশাক বদলে নেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bengaluru: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে ব্যাগের মালিকের সন্ধানে ১০ লাখি পুরস্কার ঘোষণা এনআইএর

    Bengaluru: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে ব্যাগের মালিকের সন্ধানে ১০ লাখি পুরস্কার ঘোষণা এনআইএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) হোয়াইটফিল্ড এলাকায় যে ব্যাগে বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার মালিকের সন্ধান দিতে পারলে মিলবে ওই পরিমাণ টাকা। ব্যাগটির মালিকের ছবি সম্বলিত একটি পোস্টারও সাঁটিয়েছে এনআইএ। তাতে ওই দুর্বৃত্তের সন্ধান পেলে কোন নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে, তাও বলা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ওই ব্যক্তির সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারলে পুরস্কৃত করা হবে। যিনি সন্ধান দেবেন, তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হবে।

    তদন্তে এনআইএ (Bengaluru)

    ১ মার্চের ওই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল বেঙ্গালুরু পুলিশ। কিন্তু তিনদিন পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় তদন্তভার দেওয়া হয় এনআইএর হাতে। সাংসদ তেজস্বী সূর্যের দাবি (Bengaluru), বিজেপির চেষ্টার ফলেই বিস্ফোরণের তদন্তভার গিয়েছে এনআইএর হাতে। প্রসঙ্গত, ওই দিন বিস্ফোরণে অন্তত ১০জন জখম হয়েছিলেন। এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয় তাঁদের। চিকিৎসার খরচ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কর্নাটক সরকার।

    সিসিটিভির ফুটেজে সন্দেহভাজন

    সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। বয়স ২৮-৩০ বছর। দুপুরের খাওয়ার সময় ক্যাফেতে ঢুকেছিল সে। রাভা ইডলির কুপনও নিয়েছিল। কিন্তু না খেয়েই ক্যাফে ছেড়ে চলে যায়। নিয়ে যায়নি তার ব্যাগটিও। এই ব্যাগেই ছিল আইইডি।

    রামেশ্বরম ক্যাফের সিইও রাঘবেন্দ্র রাও বলেন, “ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তাই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।” ঘটনাটি যে ব্যবসায়িক শত্রুতার জের, তা মানতে রাজি নন তিনি। ব্যবসায়িক মহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটে না বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুুন: নয়া ঠিকানা নিজাম প্যালেস! অবশেষে সিবিআই হেফাজতে শেখ শাহজাহান

    এদিন কংগ্রেসকেও একহাত নেন তেজস্বী। কারণ গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির তরফে বলা হয়েছিল, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই ঘটনা। কংগ্রেসের বক্তব্য খারিজ করে তেজস্বী বলেন, “তাঁরা (কংগ্রেসের নেতারা) প্রায়ই নেটফ্লিক্স দেখেন। তাঁরা বেঙ্গালুরুর রেস্তরাঁর সঙ্গে কলম্বিয়া কার্টেলকে গুলিয়ে ফেলেছেন। ইডলি-বড়ার দোকানে বম্ব ব্লাস্ট হয়েছে ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে, এটা বলার চেয়ে হাসির খোরাক আর কী হতে পারে (Bengaluru)!”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • ISIS Love: আফগানিস্তানে গ্রেফতার আরও এক, কেন কেরলের যুবকদের মধ্যে বাড়ছে আইসিস-প্রীতি?

    ISIS Love: আফগানিস্তানে গ্রেফতার আরও এক, কেন কেরলের যুবকদের মধ্যে বাড়ছে আইসিস-প্রীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিস-প্রীতির (ISIS Love) জেরে ফের গ্রেফতার কেরলের এক বাসিন্দা। বর্তমানে সে আফগানিস্তানে ছিল। আফগান গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেফতার করে তাকে। আফগানিস্তানে বসেই সানাউল ইসলাম নামের ওই যুবক ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এবং সিরিয়া (আইসিস) নিয়ন্ত্রণ করত।

    কেরলের আইসিস যোগ…

    আফগানিস্তান প্রশাসনের তরফে সানাউলের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। আইসিসে (ISIS Love) যোগ দিতে তাজিকিস্তান হয়ে সে আফগানিস্তানে গিয়েছিল বলেও দাবি তালিব প্রশাসনের। এর ঠিক এক মাসে আগেই কেরল থেকে এনআইএ আদালত রিয়াজ আবু বক্করকে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে ষড়যন্ত্র করার দায়ে অভিযুক্ত করেছিল। এবার প্রকাশ্যে এল আরেক কেরল যুবকের আইসিস-প্রীতির উদাহরণ। গত বছর জুলাইয়েও এনআইএ কেরলে আইসিস মডিউলের একজনকে গ্রেফতার করেছিল। ভারতের ধর্মীয় স্থানে নাশকতার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে।  

    কেরলের যুবাদের আইএস-প্রীতি কেন?

    ২০১৭ সালে কেরল পুলিশ জানিয়েছিল, সে রাজ্যের প্রায় ১০০ জন যোগ দিয়েছে আইসিসে। প্রশ্ন হল, কী কারণে আইসিস-প্রীতি বাড়ছে কেরলের যুবকদের? জানা গিয়েছে, কেরলের যে তরুণরা আইসিসে যোগ দিয়েছে, তাদের সিংহভাগই মপলা মুসলমান, যারা বিশ্বাস করে তারা আরব ব্যবসায়ীদের বংশধর কিংবা উচ্চবর্ণের ধর্মান্তরিত হিন্দু। এই মুসলমানদের বাস মূলত মালাপূরম, কালিকট এবং কান্নুরে।

    আরও পড়ুুন: ‘সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে’, বারাসতে বললেন মোদি

    অর্থের টোপ দিয়ে মগজধোলাই!

    সাতের দশক থেকে কেরলের বহু মানুষ মধ্য প্রাচ্যে চলে যাচ্ছেন রোজগারের ধান্ধায়। সেখান থেকেই তাঁরা যোগাযোগ রাখছেন ভরতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। তাছাড়া, এই অঞ্চলে সৌদি আরব থেকেও প্রচুর মুদ্রা ঢোকে। সেই মুদ্রার টোপ গিলে এ রাজ্যের তরুণদের একাংশ সৌদি এবং সালাফি পণ্ডিতদের কাছ থেকে ধর্মীয় নীতিকথা শিখছে। কেরলে আইসিসের (ISIS Love) মাথারা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সফল। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই তারা নিয়োগ করছে তরুণদের। করছে মগজধোলাই।

    কেরলে একাধিক আইএস মডিউল সক্রিয়

    কেরলে আইসিসের অনেকগুলি মডিউল রয়েছে। এর মধ্যে আবদুল রশিদের কাসারগড় মডিউল এ রাজ্যের ২৪ জনকে আফগানিস্তানের মতো আইএসআইএস কলোনিগুলিতে পাঠিয়ে দিতে সফল হয়েছে। এই মডিউলে রয়েছে ধর্মান্তরিত যুবতী সোনিয়া সেবাস্টিয়ান এবং তার মুসলমান স্বামীও। তারাও পালিয়েছে আফগানিস্তানে। কান্নুরের আরও একটি মডিউল কেরলের ৪০-৫০ জন তরুণকে মৌলবাদে দীক্ষিত করেছে। এরাও পরে যোগ দিয়েছে আইসিসে (ISIS Love)। এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) মতো নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হাওড়ায় পরপর ৫টি মন্দিরে ভাঙচুর, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হাওড়ায় পরপর ৫টি মন্দিরে ভাঙচুর, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ায় পরপর ৫টি মন্দির ভাঙচুরের দাবি করে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ঘটনায় বিজেপি নেতা শুভেন্দুর অভিযোগ, হিন্দু সনাতনী মন্দিরে ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ গা ছাড়া ভাবের জন্যই সনাতনীদের উপর বারবার আক্রমণ করার সাহস দেখাচ্ছে দুস্কৃতীরা। খবর জানাজানি হতেই প্রতিবাদে এলাকার মানুষ তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

    উল্লেখ্য হাওড়া শহর অঞ্চলে গত বছর রামনবমীর শোভাযাত্রায় দুষ্কৃতীরা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এবং আইনের শাসন নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছিল বিজেপি। এই মামলা পরবর্তীকালে হাইকোর্টে গড়ায় এবং তারপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। একবার ফের হাওড়ায় হিন্দু সমাজ আক্রান্ত হল বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

    সোমবার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ায় মোট ৫টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে সকাল থেকে হাওড়ায় রেল অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে ঘটনার ছবি এবং সিসিটিবি ফুটেজ প্রকাশ করে এই ঘটনার সত্যতার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশের শীর্ষ আধিকারিককের কাছে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন তিনি।

    সামজিক মধ্যমে কী বললেন শুভেন্দু?

    হাওড়ায় হিন্দু মন্দিরের ভাঙচুরের বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন শুভেন্দু। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি মন্দির পুরোপুরি লন্ডভণ্ড হয়ে আছে। অপর দিকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে কম বয়সী কিশোর ও যুবক মাথায় সাদা টুপি পড়ে মন্দিরে ভাঙচুর চালাচ্ছে। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় প্রচুর পুলিশ এসে পৌঁছায়। ঘটনার কথা জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “গতকাল রাতে হাওড়ার বাঁকড়ায় ৫টি মন্দিরে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। প্রতিবাদে স্থানীয়রা রাস্তায় নামেন। হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে অনুরোধ করেছি। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share