Tag: NIA

NIA

  • NIA: ছত্তিশগড়ে ফেরার মাওবাদী নেত্রীকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    NIA: ছত্তিশগড়ে ফেরার মাওবাদী নেত্রীকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমনে আবারও সাফল্য পেল কেন্দ্রীয় সরকার। ফেরার এক মাওবাদী নেত্রীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হল এনআইএ (NIA)।

    কোথা থেকে গ্রেফতার করা হল ওই নেত্রীকে

    ২০২১ সালে মাওবাদীদের অতর্কিত আক্রমণের মুখে ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মৃত্যু হয়েছিল ২২ জন পুলিশ কর্মীর এবং তার সঙ্গে জখম হয়েছিলেন আরও ৩০ জন। এই হামলার ঘটনাতেই সরাসরি যুক্ত ছিলেন ওই মহিলা বলে জানা যাচ্ছে।

    মাদকাম উঙ্গি আলিয়াস কমলা নামের ওই মহিলা নেত্রীকে গতকাল ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার ভোপালপাটানাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাওবাদী হামলায় ২২ জন পুলিশকর্মীর মৃত্যুর এই ঘটনায় এফআইআর করা হয়েছিল ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার তাররেম পুলিশ স্টেশনে। ২০২১ সালে ৫ জুন এই এফআইআর-কে পুনরায় নথিভুক্ত করে এনআইএ (NIA) ।

    এনআইএ (NIA) কী বলছে

     তদন্তের বিষয়ে এনআইএ (NIA) বলে যে, আমাদের কাছে সূত্র মারফত খবর আসে যে এক ফেরার মহিলা মাওবাদী নেত্রী লুকিয়ে রয়েছে বিজাপুর জেলার ভোপালপাটানাম এলাকাতে।

    তৎক্ষণাৎ এনআইএ-র (NIA) একটি বিশেষ প্রশিক্ষিত দল রায়পুর থেকে পৌঁছে যায় ওই নির্দিষ্ট এলাকায়, যেখানে ওই মাওবাদী মহিলা লুকিয়ে ছিলেন। এবং এই মহিলাকে সাফল্যের সঙ্গে ধরতে সক্ষম হয় এনআইএ (NIA)। এরপরেই ওই মহিলাকে এনাআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালতে তোলা হয়।

    মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য মোদি সরকারের  

    প্রসঙ্গত মাওবাদী দমনে মোদি সরকারের এই সাফল্য গত ১০ বছর ধরেই চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৩ সালে ১০ টি রাজ্যের ৭৬ টি জেলার ৩৩০ টি থানাতে মাওবাদীদের প্রভাব ছিল এবং ২০২১ সালে দেখা যাচ্ছে যে মাওবাদীদের প্রভাব রয়েছে ৮ টি রাজ্যের ৪৬ টি জেলায় ১৫১ টি থানাতে। গত ১০ বছরে মাওবাদী হিংসা ৫৫ শতাংশ কমেছে এবং মাওবাদীদের হাতে সাধারণ মানুষের হত্যার ঘটনা ৬৩ শতাংশ কমেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • PFI: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পিএফআই! কী বলছে এনআইএ-এর চার্জশিট?

    PFI: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পিএফআই! কী বলছে এনআইএ-এর চার্জশিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে চায় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। এই ধরনের ভাবধারায় বিশ্বাসী সংগঠনের কাজকর্ম মেনে নেওয়া যায় না। তারা নানা ধরনের অশান্তির ঘটনায় যুক্ত ছিল। সংগঠনটি শরিয়তি শাসন ব্যবস্থা কায়েমের পক্ষে। এই ভাবধারা প্রচারের জন্য তারা অর্থ সংগ্রহ করে। এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-র (NIA) পেশ করা চার্জশিটে।

    পিএফআই-এর কিলার স্কোয়াড

    ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র (Islamic Country) বানানোর লক্ষ্যেই ‘কিলার স্কোয়াড’ বা ‘সার্ভিস টিম’ তৈরি করছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। ২০৪৭ সালের মধ্যেই ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে চায় পিএফআই। বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ২০২২ সালের ২৬ জুলাই দক্ষিণ কর্ণাটকের সুলিয়া জেলায় প্রভীন নেত্রু নামে এক বিজেপি কর্মী খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পিএফআই-এর প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলে দাবি এনআইএ-র। এনআইএ-র চার্জশিটে বলা হয়েছে, ‘পিএফআই-এর কর্মীরা সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ এবং টার্গেট কিলিং-এর জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদেরকে পরিচালনা করত এই মুসলিম কট্টরপন্থী সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব।’ এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে।এনআইএ-র চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, পিএফআই-র একটি মিটিং হয় বেঙ্গালুরুর সুলিয়া শহর এবং বেলারি গ্রামে। সেই মিটিং-এ জেলা সেবা দলের প্রধান মুস্তফা পাচার নির্দেশ হিন্দু ধর্মের কোনও নেতাকে টার্গেট করা হয়। সেই লক্ষ্যেই খুন হন প্রভীন নেত্রু।

    আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, দাবি ভারতের, সংবাদ সংস্থার সমালোচনা সুনাকেরও

    এনআইএ জানায়, মোট চারজনকে টার্গেট করে পিএফআই। এই তালিকায় নাম ছিল বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য প্রভীন নেত্রু। গতবছরের ২৬ জুলাই অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁকে হত্যা করা হয় শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য। জানা যাচ্ছে, মোট ২০ জন পিএফআই সদস্যের নাম রয়েছে ওই চার্জশিটে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, মুস্তফা পাচার, মাসুদ কেএ, কোদাজি মহম্মদ শরিফ, আবু বক্কর সিদ্দিকী, উমর ফারুখ। এর পিছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মদত রয়েছে বলে ইতিপূর্বে একাধিক মামলায় জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • STF: আইএস জঙ্গি কুরেশি ও সাদ্দামের কীভাবে যোগাযোগ হয়? মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত এসটিএফ-র

    STF: আইএস জঙ্গি কুরেশি ও সাদ্দামের কীভাবে যোগাযোগ হয়? মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত এসটিএফ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমনে মরিয়া কলকাতার এসটিএফ। নতুন বছরের শুরুতেই আইএস জঙ্গি সন্দেহে হাওড়া থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। এদের নাম মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ। এখানেই শেষ না, কলকাতা এসটিএফের জালে আসে আরও এক আইএস (ISIS) জঙ্গি। মধ্যপ্রদেশ থেকে এই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ৩৩ বছর বয়সি ওই ধৃত জঙ্গির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। আর এদেরকে জেরা করতেই তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে উঠে এসেছে, সাদ্দাম ও কুরেশির সঙ্গে এক যোগ-সূত্র রয়েছে এবং তাদের এক বড়সড় হামলার ছক ছিল। ফলে তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও তথ্য বের করার জন্য একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।

    কে এই আব্দুল রাকিব কুরেশি ও কীভাবে তার সাদ্দামের সঙ্গে আলাপ হয়?

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি প্রাক্তন সিমি সদস্য। ২০০৯ সালে তাকে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। খুনের চেষ্টার অভিযোগেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে তিনিই আবার তালিবানের পক্ষে স্লোগান দিয়েছিলেন আদালতে। এসটিএফ-এর আধিকারিকরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, সাদ্দাম ও কুরেশির যোগাযোগ রয়েছে। এসটিএফ আধিকারিকদের দাবি, ২০১৯ সালে জেল থেকে বের হওয়ার পরেও কুরেশি হাওড়া আইএস মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত। এর পর সে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে তার মত লোকজনকে খুঁজে বেড়াত। মূলত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য সে এইভাবে সংগঠনে নতুন করে নিয়োগ করত। এদিকে সেই সূত্র ধরেই টেলিগ্রামের মাধ্যমে তার সঙ্গে হাওড়ার আইএস অপারেটিভ মহম্মদ সাদ্দামের সঙ্গে তার আলাপ হয়। এর পর তারা দুজনেই যুব সমাজের ব্রেন ওয়াশ করে আইএস মডিউলে নাম লেখানোর চেষ্টা করত। এর কিছু নজিরও পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তারা ঠিক কোথায় যাতায়াত করত, আর কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সবটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

    আবার সাদ্দাম পুলিশকে জানিয়েছে, সে অস্ত্রের জন্য কুরেশির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তাদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই পুরানো কিছু চ্যাট সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। অস্ত্র সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কুরেশির পুরানো কোনও মামলা রয়েছে কি না, আর কার সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখত এসব জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জঙ্গি মডিউলের সম্পর্কেও আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করে চলেছে এসটিএফ। এর জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সাদ্দাম ও কুরেশির বিষয়ে আরও বেশি তথ্য জানার জন্য এসটিএফ আধিকারিকরা তাদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা করেছেন।

    জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ মামলায় চার্জশিট জমা এনআইএ-এর

    একদিকে এসটিএফ যেমন সন্ত্রাস দমনে তৎপর হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে এনআইএ এদিন ২০২২ সালে দাখিল হওয়া জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ মামলায় এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের একটি বিশেষ আদালতে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা করল। এই মামলায় ২০২২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী ৬ জন সহ মোট ১০ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ঢাকার একটি জনপ্রিয় ক্যাফেতে জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠী হামলা চালানোর পর সেখানে ১৭ জন বিদেশী সহ ২২ জন নিহত হয়েছিলেন। পরে এনআইএ জানিয়েছিল যে, এই জঙ্গি গোষ্ঠী ভারতেও এমনই করার চেষ্টা করছিল।

  • NIA: ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগ! কর্নাটকে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার আরও দুই

    NIA: ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগ! কর্নাটকে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার আরও দুই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী সংস্থা ইসলামিক স্টেটের (IS) সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে গ্রেফতার আরও দুই। মঙ্গলবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) তাদের গ্রেফতার করেছে। শিবমগ্গা ইসলামিক স্টেট ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দুজনকে।  

    এনআইএ… 

    এর আগে ওই মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে যোগ ছিল মহম্মদ শারিকের। সম্প্রতি তাকে গ্রেফতার করা হয়। মেঙ্গালুরুতে একটি অটোরিক্সায় করে কুকার বম্ব নিয়ে যাচ্ছিল সে।  তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। জখম হন সে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে করা হয় গ্রেফতার।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসতে পারবেন না’’! বেফাঁস হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ (NIA) তারা হল মাজিন আবদুল রহমান এবং নাদিম আহমেদ কেএ। মাজিনকে গ্রেফতার করা হয় মেঙ্গালুরুর পারমান্নুরের হীরা কলেজের কাছ থেকে। এই মেঙ্গালুরু দক্ষিণাখণ্ড জেলার হেডকোয়াটার্স টাউন। নাদিমকে গ্রেফতার করা হয় দাভানাজেরে জেলার হোন্নালি তালুক থেকে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ধৃত মাজিন আবদুল রহমান ও নাদিম আহমেদ সরাসরি নাশকতামূলক কার্যকলাপে যুক্ত ছিল। এর আগে কর্নাটক থেকে সন্দেহভাজন ৪ আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাদের জেরা করেই খোঁজ মেলে মাজিন ও নাদিমের।

    তদন্তে প্রকাশ, অভিযুক্ত মাজ মুনির এবং সঈদ ইয়াসিন মাজিন ও নাদিমকে ভারতে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়োগ করেছিল। এনআইএ (NIA) জানিয়েছে, অভিযুক্তরা অন্তর্ঘাত এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছিল। এগুলি ইসলামিক স্টেটের ষড়যন্ত্র। প্রসঙ্গত, গত বছর শিবামগ্গা টেরর মডিউল তুঙ্গা নদীর তীরে ট্রায়াল ব্লাস্ট করেছিল বলে অভিযোগ। গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর কর্নাটকের শিবামগ্গা জেলার শিবামগ্গা রুরাল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ওই বছরেরই ৪ নভেম্বর তদন্ত শুরু করে এনআইএ (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • NIA Arrest: হাওড়া থেকে ধৃত দুই আইএস জঙ্গি, তদন্তে এনআইএ

    NIA Arrest: হাওড়া থেকে ধৃত দুই আইএস জঙ্গি, তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে শুক্রবার মহম্মদ সাদ্দাম এবং মহম্মদ সৈয়দ নামের দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদ্দাম হাওড়া থানার আফতাবউদ্দিন মুন্সি লেনের বাসিন্দা। সইদ হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার গোলাম হোসেন লেনের বাসিন্দা। এবার এই ঘটনার তদন্তে নামল এনআইএ (NIA Arrest)! 

    কী জানা গেল? 

    দুই জঙ্গিকে জেরা করতে প্রথমে লালবাজার যায় এনআইএ (NIA Arrest) টিম। সেখান থেকে তাঁরা যান রিপন স্ট্রিটে। এই দুই জঙ্গির আইএস যোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে এসটিএফ। এসটিএফের থেকে দুই জঙ্গির বিষয়ে তথ্য নেয় এনআইএ। সূত্রের খবর, আইএসের হয়ে শপথ নিয়েছিল ধৃত ২ জঙ্গি। এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃত ২ জন, সৈয়দ ও সাদ্দামের ডায়েরিতে শপথবাক্য মিলেছে।  

    এসটিএফের দাবী, ধৃত সাদ্দাম ও সৈয়দের পরিকল্পনা ছিল ২৬ জানুয়ারির আগে নাশকতা করার। এসটিএফ জানিয়েছে, ভিন রাজ্যের দুই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ধর্মীয় ব্যক্তিকে টার্গেট করেছিল এই দুই জঙ্গি। তাঁদের উপর হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরী করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে এসটিএফ। আর সেকারণে অস্ত্র জোগাড় করা হচ্ছিল এই রাজ্য থেকে। আর সে বিষয়েই এসটিএফের থেকে তথ্য নিয়েছে এনআইএ (NIA Arrest)।

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের খাবারে সাপ! স্কুলেই অসুস্থ একাধিক পড়ুয়া

    এরাজ্য থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করার জন্য কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ওই দুই জঙ্গি তা জানতেই সাদ্দাম এবং সৈয়দকে জেরা করতে চায় এনআইএ (NIA Arrest)? ওই দুই যুবকের কল লিস্ট খতিয়ে দেখছে এসটিএফ। সাদ্দাম ও সৈয়দের মোবাইল ল্যাপটপ ফরেন্সিকে পাঠানো হবে। আইএস সংগঠনের  হয়ে প্রচার করত সাদ্দাম, ফলে এদের মোবাইল ল্যাপটপ ঘেঁটে এদেরকে কে নিয়োগ করেছিল সেই আইএস মাথারও হদিশ পেতে চাইছে এসটিএফ। এ রাজ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে সংগঠনের সদস্য হিসাবে শিক্ষিত যুবকদের সাদ্দাম নিয়োগ করত তার তালিকা খোঁজার চেষ্টা চলছে।

    কী উদ্দেশ্যে ঘাঁটি গেড়েছিল সন্দেহভাজন জঙ্গিরা, জানতে লাগাতার জেরা চালাচ্ছেন এনআইএ গোয়েন্দারা। লালবাজারের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে এনআইএ, ধৃত ২ জনকেও জেরা করেছেন তাঁরা। ২ জঙ্গিকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে এনআইএ (NIA Arrest)।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mominpur Incident: মোমিনপুর কাণ্ডের তদন্তে নেমে জেএমবি যোগ পেল এনআইএ, উদ্ধার ৩৫ লক্ষ টাকা

    Mominpur Incident: মোমিনপুর কাণ্ডের তদন্তে নেমে জেএমবি যোগ পেল এনআইএ, উদ্ধার ৩৫ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর হিংসার (Mominpur Incident) তদন্তে নেমেছে এনআইএ। আর তদন্তে নেমেই হাতে এল বড় প্রমাণ। বুধবার সকালে মোমিনপুরের ভূকৈলাশ রোডের একাধিক বাড়ি-সহ মোট ১৭ জায়গায় তল্লাশিতে যায় এনআইএ-এর প্রতিনিধিদল। অভিযানে সঙ্গী ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর টাকা উদ্ধার করেছেন এনআইএ গোয়েন্দারা। শুধু ভুকৈলাস রোডের চারটি বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। গোয়েন্দাদের অনুমান এই ৩৫ লক্ষ টাকা হিংসার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। তাই কোথা থেকে এই টাকা এসেছে, কোন পথ থেকে টাকা আনা হয়েছে তার তদন্ত করা হচ্ছে।

    কী জানা গেল? 

    শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, একবালপুর থানায় উপস্থিত হয়েছেন এনআইএ আধিকারিকরা। সালাউদ্দিন নামের এক অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যকে আটক করা হয়েছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মোমিনপুর হিংসার (Mominpur Incident) তিনটি মামলায় সালাউদ্দিনের নাম উঠে এসেছিল। সেই সূত্রেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ব্যক্তিই অন্যতম অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, ভূকৈলাস রোড এলাকায় সালাউদ্দিনের ব্যবসা রয়েছে। সালাউদ্দিনের কোনও খোঁজ পাননি গোয়েন্দারা।

    এনআইএ গোয়েন্দারা মোমিনপুরের ঘটনায় (Mominpur Incident) জেএমবি যোগের অনুমান করছেন। জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি হল একটি জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশ, ভারত সহ একাধিক দেশে এই সংগঠন নিষিদ্ধ। ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে ঢাকা বিভাগের পলমপুরে শায়খ আব্দুর রহমান এটি প্রথম প্রতিষ্ঠা করে। মূলত বাংলাদেশে হলেও আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তানে রয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠির সংগঠন। এরা আলকায়দার শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করে থাকে।

    আরও পড়ুন: “অযোগ্যদের চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবেসে দেওয়া হয়নি”, কল্যাণময়ের জামিন প্রসঙ্গে বিচারপতি 

    এদিকে এদিন তল্লাশিতে নেমেই বাধার মুখে পড়েন গোয়েন্দারা। বেশ কয়েকটি জায়গায় স্থানীয়রা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের বাধা দেন। তদন্তকারীদের গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। ময়ূরভঞ্জ রোড এবং ভুকৈলাস রোডে বাধাপ্রাপ্ত হতে হয় তাঁদের। বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকতে হয় এনআইএ কর্তাদের। তবে, সেসব উপেক্ষা করেই শেষপর্যন্ত মোমিনপুর (Mominpur Incident) এবং বন্দর এলাকার মোট ১৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ।

    ঘটনার প্রেক্ষাপট

    গত বছর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রাত ও তার পরদিন কলকাতার মোমিনপুর-একবালপুরে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ায়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমে গুরুতর আহত হন কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক। এর পর ঘটনার তদন্তে নেমে মোট ৫টি এফআইআর দায়ের করে কলকাতা পুলিশ। মোট ৪৫ জনকে গ্রেফতার করে তারা। ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। আদালত জানায়, ঘটনার বিস্তারিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দেবে রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এনআইএ তদন্তের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গত ১৪ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জাননো হয় এই হিংসার তদন্ত করবে এনআইএ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • NIA: কেরলে পিএফআইয়ের ৫৬টি গোপন ডেরায় হানা এনআইএ-র, কেন জানেন?

    NIA: কেরলে পিএফআইয়ের ৫৬টি গোপন ডেরায় হানা এনআইএ-র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে পিএফআই (PFI)। এই পিএফআইয়ের ষড়যন্ত্র মামলায় তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার কেরলের (Kerala) ৫৬টি স্থানে অভিযান চালাচ্ছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA)। এদিন ভোর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে চলছে অভিযান। এনআইএর এক পদস্থ কর্তা বলেন, পিএফআই নেতারা অন্য কোনও নামে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    পিএফআই…

    এদিন অভিযান চালানোর সময় এনআইয়ের সঙ্গে ছিল রাজ্য পুলিশও। তারা বেছে বেছে পিএফআইয়ের সেই সব নেতাদের ডেরায় হানা দেয়, যাঁরা সন্ত্রাসবাদী নানা কাজকর্মে জড়িত এবং যাঁদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেরলের সঞ্জিথ, তামিলনাড়ুর ভি রামলিঙ্গম, কেরলের নান্ডু, কেরলের অভিমন্যু, কেরলেরই বিপিন, কামাটকের সারাথ, কামাটকের আর রুদ্রেশ, কর্নাটকের পারভিন পুয়ারি এবং তামিলনাড়ুর শশী কুমার। বিদেশ মন্ত্রক আগেই জানিয়েছিল, ক্রিমিনাল কাজ এবং নৃশংস খুনের ঘটনায় পিএফআই ক্যাডাররা জড়িত। শান্তি নষ্ট করে আমজনতার মনে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতেই পিএফআই নেতারা একের পর এক খুন করেছে।

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে শুরু হওয়া এনআইএর (NIA) অভিযান চলেছে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্তও। কেরলের এর্নাকুলামের ৪টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে অভিযান চলছে তরুবনন্তপুরমের ৬টি জায়গায়ও। এছাড়াও এনআই তল্লাশি চালাচ্ছে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া পিএফআইয়ের নেতাদের বাড়ি ও অফিসে।

    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে কেরলে জন্ম হয় পিএফআইয়ের। ২০০৯ সালে এরাই গঠন করেছিল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি। কেরলে প্রতিষ্ঠিত এই মৌলবাদী সংগঠন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় পিএফআই এবং তার শাখা সংগঠনগুলিকে। তার আগেই হাজার হাজার মানুষ এই সংগঠনে যোগ দিয়ে দেশবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। নভেম্বর মাসে কেরলেই পিএফআইয়ের তিনটি গোপন ডেরায় অভিযান চালায় এনআইএ (NIA)। পিএফআইয়ের সঙ্গে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল বিদেশমন্ত্রক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • NIA: কেরলে আরএসএস নেতা খুনের তদন্তভার নিল এনআইএ

    NIA: কেরলে আরএসএস নেতা খুনের তদন্তভার নিল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের পালাক্কাদে খুন হয়েছিলেন আরএসএস (RSS) নেতা। তাঁর নাম এ শ্রীনিবাসন। ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA)। আজ, বুধবার তারা ওই খুনের মামলার তদন্ত শুরু করেছে। কেরল পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নেওয়ার পর এফআইআর দায়ের করবে এনআইএ। এ ব্যাপারে মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পর এদিন হাতে নেয় দায়িত্ব। আরএসএসের ওই সক্রিয় কর্মী খুনের পর অভিযোগ ওঠে, যারা তাঁকে খুন করেছে, তাদের সঙ্গে জঙ্গি যোগ রয়েছে। তার পরেই রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার চলে যায় এনআইয়ের হাতে। এনআইয়ের কোচি টিমের হাতে তদন্তভার তুলে দেয় কেরল পুলিশ।

    ইসলামিক গ্রুপ…

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কেরল পুলিশ জানতে পারে ইসলামিক গ্রুপ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার একটি গোপন উইং রয়েছে। এই উইং তৈরি করেছিল হিটলিস্ট। রাজ্য পুলিশ এটাও জেনেছিল শ্রীনিবাসনকে খুন করা পিএফআইয়ের প্রথম পরিকল্পিত খুন। এসব তথ্য হাতে আসার পরেই রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) হাতে।

    প্রসঙ্গত, শ্রীনিবাসন ছিলেন প্রাক্তন মুখ্য ফিজিক্যাল এডুকেশন ট্রেনার। সংঘের ভাষায় শারীরিক শিক্ষণ প্রমুখ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দুটি মোটর বাইকে চড়ে আসা ছ’ জনের একটি দল তাঁকে হত্যা করে। তখন তিনি কেরলের মেলামুড়ি এলাকার একটি দোকানে দাঁড়িয়েছিলেন। খুনের তদন্তে নেমে কেরল পুলিশ গ্রেফতার করে ২৪ জনেরও বেশিকে। ষড়যন্ত্র এবং খুনে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাদের। পুলিশের অনুমান ছিল, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ রয়েছে এর নেপথ্যে।

    আরও পড়ুন: হয় কোভিড-বিধি মানুন, নয়তো ভারত জোড় যাত্রা বন্ধ করুন, রাহুলকে চিঠি মাণ্ডব্যর

    রাজ্য পুলিশ জানিয়েছিল শ্রীনিবাসনকে খুন করা হয়েছে কারণ ১৫ এপ্রিল খুন হয়েছিলেন পিএফআই নেতা সাবির। প্রতিশোধ নিতেই খুন করা হয় আরএসএসের ওই নেতাকে। জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনাটি এমনভাবে ঘটানো হয়েছিল যাতে অভিযুক্তরা পরস্পরের কাছে অপরিচিত থাকে। প্রসঙ্গত, পিএফআইয়ের স্টেট সেক্রেটারি সিএ রউফকে আগেই গ্রেফতার করেছে এনআইএ (NIA)। পিএফআই নিষিদ্ধ হওয়ার পরে পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • NIA: উদয়পুর দরজি খুন নিয়ে চার্জশিট পেশ এনআইএ- র, পাক যোগ?

    NIA: উদয়পুর দরজি খুন নিয়ে চার্জশিট পেশ এনআইএ- র, পাক যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুন মাসে এক মর্মান্তিক ঘটনায় কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়ালাল নামে এক দরজিকে নির্মমভাবে খুন হতে হয় মৌলবাদীদের হাতে। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) এই মামলার দুই প্রধান আসামী, মহম্মদ রিয়াজ আত্রি এবং মহম্মদ গৌস সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে দুই পাকিস্তানি নাগরিকেরও।  

    আরও পড়ুন: “যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো”, ইউক্রেন যুদ্ধ ইতি টানতে চায় পুতিন

    চলতি বছর জুন মাসে রাজস্থানের উদয়পুরের দরজি কানহাইয়ালালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এমনকী আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে কানহাইয়ালালের মাথা কেটে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহম্মদ গাউস ও রিয়াজ মহম্মদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    কী জানিয়েছে এনআইএ?   

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (NIA) মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেন, “হত্যার ভিডিও সারা দেশে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” হত্যার ঘটনাটি প্রথমে রাজস্থানের উদয়পুর জেলার ধানমন্ডি থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছিল এবং পরে এনআইএ এই মামলার তদন্তভার কাঁধে তুলে নেয়। ভারতীয় দণ্ডবিধি, বেআইনি কার্যকলাপ আইন এবং অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় জয়পুরের একটি বিশেষ এনআইএ আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ওই গোয়েন্দা সংস্থা। 

    এনআইএ- র (NIA) মুখপাত্র আরও বলেন, “তদন্তে জানা গিয়েছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা, সন্ত্রাসী গ্যাং-মডিউল হিসাবে কাজ করে। প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। নূপুর শর্মার পয়গম্বরকে নিয়ে করা মন্তব্যের জেরেই এই ষড়যন্ত্র।”  

    তিনি (NIA) আরও বলেন, “অভিযুক্তরা উগ্রপন্থী কার্যকলাপ থেকে এবং ভারতের ভিতরে এবং বাইরে প্রচারিত অডিও- ভিডিও বার্তা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিল। অভিযুক্তরা পুরো পরিকল্পনা মাফিক হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা কানহাইয়ালালকে এবং তাঁর দোকানে এক সহকর্মীকেও খুনের পরিকল্পনা ছিল আততায়ীদের।” 

    এনআইএ (NIA) চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে যাদের নাম রয়েছে তারা হল, মোহাম্মদ রিয়াজ আত্তারি, গাউস মহম্মদ, মহসিন খান, আসিফ হুসেন, মহাম্মদ মহসিন, ওয়াসিম আলী, ফরহাদ মহম্মদ শেখ, মহম্মদ জাভেদ, মুসলিম খান ওরফে মুসলিম রাজা এবং পাকিস্তানি নাগরিক সালমান ও আবু ইব্রাহিম। দুজনই করাচির বাসিন্দা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: মিনাখাঁ, কেশপুর বিস্ফোরণে এনআইএ? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মিনাখাঁ, কেশপুর বিস্ফোরণে এনআইএ? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিনাখাঁ (Minakhan) ও কেশপুরে (Keshpur) বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনায় এনআইএ তদন্তভার নেবে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    রাজ্য সরকার জানিয়েছে…

    এদিন আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই মিনাখাঁ নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। কেশপুর নিয়েও দ্রুত রিপোর্ট পাঠানো হবে। সব শুনে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।

    গত ১৬ নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় মামার বাড়িতে এসেছিল এক নাবালিকা। বল ভেবে মামার বাড়িতে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়েছিল সে। আচমকাই সশব্দে ফেটে যায় বোমাটি। বসিরহাট জেলার মিনাখাঁ থানার চাপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের গাইন পাড়ার ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। যার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছিল, তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। নাম আবুল হোসেন গায়েন। ঘটনার পরে পরেই ঝুমা খাতুন নামে ওই নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পরে পরে আবুল হোসেন গায়েনের বাড়িতে যায় বম্ব স্কোয়াডের চারজনের এক প্রতিনিধি দল। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ঘরে। পরে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ওই সক্রিয় কর্মীকে। অভিযোগ ওঠে, এই প্রথম নয়, এর আগেও অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হয়েছিলেন আবুল হোসেন গায়েন।

    আরও পড়ুন: ১.৩ লক্ষের র‌্যাঙ্ক নিয়ে পড়ছে আরজিকরে! ‘মেধাবী’ মেয়ের হয়ে সওয়াল শান্তনু সেনের

    ওই ঘটনার পরের দিনই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরে ব্যাপক বোমাবাজি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। ঘটনায় জখম হন শেখ রফিক। তিনি প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত। ওই ঘটনায় রফিকের ডান হাতের আঙুল উড়ে যায়। ঘটনায় নাম জড়ায় রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার। যদিও শিউলি ঘটনার দায় চাপান সিপিএমের ওপর।

    তবে এই প্রথম নয়, দিন কয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়েছিল, সাঁইথিয়া বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত করবে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। এদিকে, বীরভূমের মহম্মদবাজারের বিস্ফোরক পাচার ও বেলডাঙা বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনার তদন্তভারও ইতিমধ্যেই নিয়েছে এনআইএ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

LinkedIn
Share