Tag: NIA

NIA

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাক যোগ! ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর নামে জঙ্গি তাণ্ডব, পিছনে কি লস্কর নেতা সইফুল্লা?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাক যোগ! ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর নামে জঙ্গি তাণ্ডব, পিছনে কি লস্কর নেতা সইফুল্লা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ ! জঙ্গিদের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে রয়েছেন একের পর এক পর্যটক ৷ একবার দেখে মনে হতে পারে বৈসরণের ঘন সবুজ প্রান্তরে কেউ যেন লাল রং ঢেলে দিয়েছে ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) মঙ্গলবার দুপুরের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ হিন্দু পর্যটক। মঙ্গলবার রাতেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার মূল চক্রী সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরি। তাঁর নির্দেশেই, পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি এই হামলা চালায়। সইফুল্লা লস্করের অন্যতম প্রধান। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর অন্যতম মাথা তথা ভরতের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত সইফুল্লা।

    পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী সইফুল্লার সঙ্গে পাক যোগ

    গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ে হামলার পিছনে রয়েছে লস্কর নেতা সইফুল্লা। তাঁর পরিকল্পনা মাফিক লস্কর-ই-তৈবার ‘ছায়া সংগঠন’ টিআরএফ এর পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি এই হামলা চালায়। পাক সেনায় যথেষ্ট ‘প্রভাব’ রয়েছে সইফুল্লার। পহেলগাঁও হামলার মাস দুই আগে পাকিস্তানের পঞ্জাবের কাঙ্গলপুরে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সেখানেই পাক সেনার একটি বড় ব্যাটেলিয়ন ছিল। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাটেলিয়নে একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা করার জন্য সইফুল্লাকে আহ্বান করেছিলেন পাক সেনার কর্নেল জাহিদ জারিন। সেনাকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করতে সইফুল্লাকে ডাকা হয়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সইফুল্লার বক্তৃতার বেশির ভাগ অংশ জুড়েই ছিল ভারতবিরোধী বার্তা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালানোর ‘পরামর্শ’ও দেওয়া হয়।

    পাকিস্তানে বসেই হামলার পরিকল্পনা

    পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়াতেও ভারত-বিরোধী সভার আয়োজন করেছিল পাক সেনা। সেই সভাতেও সইফুল্লা ভারত বিদ্বেষী বক্তৃতা করেন। এ ছাড়াও, কাশ্মীর দখলের হুঙ্কারও দিতে শোনা যায় তাঁকে। গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, গত বছর শতাধিক পাকিস্তানি কিশোর-যুবক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। সেই যোগদান অনুষ্ঠানেও ছিলেন সইফুল্লা। মনে করা হচ্ছে, সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরই কয়েক জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল পহেলগাঁও হামলার জন্য। সেখানেই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে পাক সেনার সহায়তাতেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল তারা।

    পাকিস্তানের হাত ধরেই টিআরএফ-এর উত্থান

    টিআরএফের উত্থান ২০১৯ সালে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ হওয়ার পর। টিআরএফের জন্ম হয়েছিল কাশ্মীরি জঙ্গি শেখ সাজ্জাদ গুলের হাতে। সে সময় জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’-র সদ্য অবলুপ্তি হয়েছে। তখনই লস্কর-ই-তৈবার ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। সে সময় একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে এই সংগঠনে সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়। এদের মূল লক্ষ্য ছিল, কাশ্মীরের স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা। সেই লক্ষ্য সাধনের জন্য নাশকতামূলক কাজকর্মে পুনর্বিন্যাস আনার চেষ্টা শুরু করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। বিশেষ ভাবে নিশানা করা হয় পরিযায়ী শ্রমিক এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, টিআরএফ জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্রুত আড়ে-বহরে বিস্তারের নেপথ্যে সরাসরি ভূমিকা ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। ২০২৩ সালে টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র।

    টিআরএফ কী ভাবে কাজ করে?

    টিআরএফ (TRF) হল প্রথম সন্ত্রাসী সংগঠন যার নাম ইংরেজিতে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত সন্ত্রাসী সংগঠনের নামে উর্দু বা ফারসি শব্দ ব্যবহার করা হয়। বলা হয়ে থাকে যে, বিশ্বের চোখ এড়াতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ইংরেজি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এই সংগঠনে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই সন্ত্রাসীদের প্রথমে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয় প্রশিক্ষণের জন্য। এরপর তাঁরা ফিরে আসে দেশে। সংগঠনে একটি কমান্ডার সিস্টেম আছে, যারা জোন অনুযায়ী কাজ করে। সূত্রের খবর, টিআরএফের সকল কমান্ডার কেবল পাকিস্তান থেকে নির্দেশ পান। টিআরএফ সন্ত্রাসীরা প্রায়ই হিন্দু, পর্যটক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর আক্রমণ করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন টিআরএফ সন্ত্রাসবাদীরা দ্রুত খ্যাতি অর্জনের জন্য এই কৌশল অবলম্বন করে।

    নিহতদের পরিবারের পাশে শাহ, মোদির বৈঠক, ট্রাম্পের বার্তা

    পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পর সৌদি আরব সফর কাটছাঁট করে ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। দিল্লি বিমানবন্দরে তিন জনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের কাছ থেকে জঙ্গি হামলার বিষয়ে সম্পূর্ণ খোঁজখবর নেন। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেন। এক্স হ্যান্ডলে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একথা জানিয়েছেন। পহেলগাঁওয়ে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। বুধবার সকালে তিনি জঙ্গি হামলায় নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানান। কথা বলেন তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে। জরুরি পরিস্থিতিতে উপত্যকায় পৌঁছেছে জাতীয় তদন্তকারী দল এনআইএ।

    চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ

    পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত চার জঙ্গিকে শনাক্ত করেছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যে চার জনের ছবিও প্রকাশ করে পরিচয় জানানো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চার জঙ্গি হল— আদিল, আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে আইইডি বিস্ফোরণের ছক করেছিল জঙ্গিরা। পরে পরিকল্পনা বদলে দু’টি দলে ভাগ হয়ে যায় তারা। অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালায়। জঙ্গিরা সকলেই সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিল বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। দিন কয়েক আগেই ভারতে আসে তারা। এমনকি এলাকা পরিদর্শনও করে যায়।

  • Tahawwur Rana: ২৬/১১ হামলার আগে তাহাউর রানাকে ২৩১ বার ফোন করেন ডেভিড হেডলি! বলছে এনআইএ

    Tahawwur Rana: ২৬/১১ হামলার আগে তাহাউর রানাকে ২৩১ বার ফোন করেন ডেভিড হেডলি! বলছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি-আমেরিকান জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলি ২০০৮ সালের মুম্বই জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রকারী তাহাউর হুসেন রানার (Tahawwur Rana) সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ২৬/১১ হামলার আগে তিনি ভারতে এসেছিলেন সব মিলিয়ে আটবার। এই সময় তিনি রানাকে ফোন করেছিলেন মোট ২৩১ বার।

    দ্বিশতাধিকবার ফোন (Tahawwur Rana)

    ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতে প্রথমবারের মতো রেইকি করার সময় ডেভিড হেডলি রানাকে ৩২ বারেরও বেশি বার ফোন করেছিলেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয় নাগরিক রানা, কাজ করতেন পাক সেনায়। তিনি ছিলেন ডাক্তার। ২৬/১১ হামলার অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হেডলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৬৬ জন (Mumbai Terror Attack)। হেডলি তাঁর দ্বিতীয়বার ভারত সফরে রানাকে ২৩ বার ফোন করেছিলেন। তৃতীয়বার সফরের সময় ফোন করা হয়েছিল ৪০ বার। পঞ্চমবার সফরের সময় ফোন হয়েছিল ৩৭ বার। ষষ্ঠ ও অষ্টমবারের সফরে ফোন করা হয়েছিল যথাক্রমে ৩৩ ও ৬৬ বার।

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    ট্রাম্পের আমন্ত্রণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় মোদির পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার সরকার ভেরি এভিল (খুব দুষ্টু) রানার প্রত্যর্পণ অনুমোদন করেছে। তিনি এও বলেছিলেন, “বিশ্বের অন্যতম শত্রু, যিনি ২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় জড়িত, তাঁকে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ট্রাম্পের এই বক্তব্যের দু’মাসের মধ্যেই ২৬/১১ হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে পৌঁছাবেন। জানা গিয়েছে, হেডলির জন্য ভিসা জোগাড় করা থেকে শুরু করে তাঁর ঘন ঘন ভারত সফরের সময় তাঁকে শনাক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা পর্যন্ত সব চেষ্টাই করেছেন রানা। এনআইএ-এর মামলায় এর বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। নথিগুলি থেকে জানা গিয়েছে, রানা কীভাবে হেডলিকে ভারতে থাকার ব্যবস্থা করতে এবং জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য জায়গা বাছাই করতে সাহায্য করেছিলেন। রানা ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলা চালানোর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য ডেভিড হেডলি ও অন্যান্য সহ-ষড়যন্ত্রকারীদেরকে লজিস্টিক্যাল, আর্থিক এবং অন্যান্য সাহায্য দিয়েছিলেন।

    ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা

    তাহাউর রানা ডেভিড হেডলি, আবদুর রহমান হাশিম সৈয়দ এবং ইলিয়াস কাশ্মীরির সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ হামলার পরিকল্পনাও ছকে ফেলেছিলেন। তার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। মুম্বই হামলার আগে ডেভিড হেডলির প্ররোচনায় তাহাউর দুবাইতে আবদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিলেন (Tahawwur Rana)। ২০০৫ সালের শুরুতে, ডেভিড হেডলি লস্কর-ই-তৈবা (LeT) এবং হুজির (HUJI) নির্দেশে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে নরমেধ যজ্ঞ ও সম্পত্তি ধ্বংসের উদ্দেশ্যেও একটি ষড়যন্ত্র করেছিলেন। লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সৈয়দ ডেভিড হেডলিকে ভারত ঘুরে জঙ্গি হামলার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন (Mumbai Terror Attack)। সৈয়দ আরও নির্দেশ দিয়েছিলেন, ডেভিড হেডলি তাহাউরের সাহায্য নেবেন এবং তাঁর সফরের প্রকৃত উদ্দেশ্য গোপন রাখতে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যমগুলি ব্যবহার করবেন।

    ষড়যন্ত্রের নীল নকশা

    ২০০৬ সালের জুন মাসে ডেভিড হেডলি শিকাগো গিয়ে তাহাউরের সঙ্গে পুরো ষড়যন্ত্রের নীল নকশা ছকে ফেলেছিলেন। ডেভিড হেডলি তাহাউরের সাহায্য নিয়েছিলেন এবং লস্কর-ই-তৈবার দেওয়া দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁর ইমিগ্রেশন ফার্ম ‘ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’-কে কভার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। ২০০৬ সালের ৩০ জুন তাহাউর রানার সক্রিয় সমর্থনে ডেভিড হেডলি মুম্বইয়ে ‘ইমিগ্র্যান্ট ল সেন্টার, শিকাগো’র একটি শাখা অফিস স্থাপনের উদ্দেশ্যে ভারতের কাছে মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসার আবেদন করেছিলেন। ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ডেভিড হেডলি মুম্বইয়ে পৌঁছেছিলেন। তাঁকে রিসিভ করেছিলেন তাহাউরের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি।

    হেডলির জন্য অভ্যর্থনা

    তাহাউর ওই ব্যক্তিকে ডেভিড হেডলির জন্য অভ্যর্থনা, যাতায়াত, থাকার ব্যবস্থা এবং অফিস-সহ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাহাউরের পরিচিত ওই ব্যক্তি প্রথমে হেডলিকে মুম্বইয়ের হোটেল আউট্রামে রাখেন। পরে তিনি আর একজন পরিচিতির বাড়িতে পেইং গেস্ট হিসেবে থাকতে শুরু করেন। ২০০৭ সালের জুন মাসে তাহাউরের সাহায্যে ডেভিড হেডলি তাঁর ভারতীয় ভিসা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে তাঁকে দশ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা এক্সটেনশন দেওয়া হয়। তাহাউরের হস্তক্ষেপে ভিসা এক্সটেনশনের প্রক্রিয়াটি অনায়াস হয়েছিল (Tahawwur Rana)।

    নিয়মিত যোগাযোগ

    ডেভিড হেডলি এবং তাহাউর ভারত সফরের সময় নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। যখন ডেভিড হেডলি মার্কিন (Mumbai Terror Attack) যুক্তরাষ্ট্রে তাহাউরের সঙ্গে দেখা করেন, তখন তাঁরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। যেহেতু রানা একজন সেনা ডিজার্টার ছিলেন, তাই ডেভিড হেডলি তাঁকে মেজর ইকবালের মাধ্যমে সাহায্যের আশ্বাস দেন। ২৬/১১ হামলার ঠিক আগে ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে তাহাউর ফের ভারত সফরে আসেন। তাঁর এই সফর বেশ কয়েকজন লস্কর-ই-তৈবার সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ করে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল। তাঁর ভারতে থাকাকালীন সময়ে, তাহাউর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছিলেন, যার মধ্যে ছিল হাপুড়, দিল্লি, আগ্রা, কোচিন, আহমেদাবাদ, মুম্বই প্রভৃতি জনবহুল শহর।

    প্ররোচনায় লস্কর-ই-তৈবা

    ডেভিড হেডলি এবং তাহাউরের সক্রিয় সাহায্য ও প্ররোচনায় লস্কর-ই-তৈবা ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে নাশকতা চালাতে পেরেছিল (Tahawwur Rana)। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রানা। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (Mumbai Terror Attack) সুপ্রিম কোর্ট। বছর চৌষট্টির রানা অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে মার্কিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের বেঞ্চে গত ৪ এপ্রিল রানার আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবারই জানানো হয়েছে, সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। তাঁকে ভারতে ফেরাতে আমেরিকা পৌঁছে গিয়েছে এনআইএর একটি দল।

    তিহাড় জেলে ঠাঁই!

    জানা গিয়েছে, ভারতে পৌছনোর পর তিহাড় জেলের চূড়ান্ত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে একটি ওয়ার্ডে রাখা হতে পারে রানাকে। তাঁকে ভারতে নিয়ে আসার আগেই জেলে সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে বলেও খবর। তাঁকে সম্ভবত কয়েক সপ্তাহের জন্য এনআইএর হেফাজতে রাখা হবে। এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারা যাবতীয় ব্যবস্থা করে ফেলেছেন বলে খবর (Tahawwur Rana)।

    প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ১০ জন পাক জঙ্গির একটি দল আরব সাগর দিয়ে মুম্বইয়ে ঢোকে। এরপর একটি রেলস্টেশন, দুটি বিলাসবহুল হোটেল এবং একটি ইহুদি কেন্দ্রে একযোগে হামলা চালায় তারা। হামলা চলে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে। মৃত্যু হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৬৬ জন নাগরিকের। এই হামলারই মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ডেভিড হেডলি। তাঁকে বিভিন্ন তথ্য ও নথি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন তাহাউর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বন্দি ছিলেন মার্কিন জেলে (Mumbai Terror Attack)। বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর শেষমেশ তাঁকে ফেরানো হচ্ছে ভারতে (Tahawwur Rana)।

  • Tahawwur Rana: বিশেষ বিমানে ভারতের পথে ২৬/১১-এর চক্রী তাহাউর রানা, এনআইএ হেফাজতে হবে জেরা

    Tahawwur Rana: বিশেষ বিমানে ভারতের পথে ২৬/১১-এর চক্রী তাহাউর রানা, এনআইএ হেফাজতে হবে জেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবারই দেশে ফেরানো হচ্ছে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় (26/11 Attack) অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের ফর্মালিটি পূরণ করেছে ভারতের এক প্রতিনিধি দল। তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ভারতে আসার বিমানে চেপেছেন রানা। বুধবার গভীর রাত অথবা বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে পৌঁছবে বিমান।

    বিমানবন্দর, জেলে কড়া নিরাপত্তা

    মার্কিন আদালতের পরামর্শ অনুযায়ী, দিল্লি ও মুম্বইয়ের জেলে গোপনে তাহাউর রানার (Tahawwur Rana) জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর ও রাজপথেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, ভারতে আনার পর, রানাকে প্রথম কয়েক সপ্তাহ এনআইএ হেফাজতে রাখা হবে। সেখানে তাঁকে জেরা করা হবে। এই পুরো অভিযানটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, এনআইএ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। মুম্বই হামলার অন্যতম এই চক্রীকে দীর্ঘ দিন ধরে এ দেশে ফেরানোর দাবি তুলেছে নয়াদিল্লি। শেষমেশ চলতি বছরের শুরুতে রানার প্রত্যর্পণে সায় দেয় আমেরিকার একটি আদালত। এর পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৎপরতায় রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    তাহাউর রানার মামলা মুম্বই থেকে দিল্লিতে!

    ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রানা (Tahawwur Rana)। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। ৬৪ বছরের রানা অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। সে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের বেঞ্চে গত ৪ এপ্রিল রানার আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবারই জানানো হয়েছে, সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণ এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, তাহাউর রানাকে হাই সিকিউরিটি কোনও জেলে রাখা হবে। ইতিমধ্যেই দিল্লির তিহাড় এবং মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে তার প্রস্তুতি চলছে। দুই জেল কর্তৃপক্ষকেই অ্যালার্ট করা হয়েছে। এ দিকে, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) তাহাউর রানার মামলা মুম্বই থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছে। ভারতে পা রাখার পরই মুম্বই হামলার এই মূলচক্রীকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও জানাবে এনআইএ।

  • Empuraan: ‘সন্ত্রাসবাদের প্রচার’! মালয়ালম ছবির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের প্রাক্তন নৌসেনা কর্তার

    Empuraan: ‘সন্ত্রাসবাদের প্রচার’! মালয়ালম ছবির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের প্রাক্তন নৌসেনা কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত মালয়ালম ছবি ‘লুসিফার ২: এমপুরন’-এর (Empuraan) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন এক অবসরপ্রাপ্ত নৌ কর্মকর্তা সরথ এধাথিল। তাঁর অভিযোগ, এই সিনেমায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) ও ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মানহানি করা হয়েছে। অভিযোগ, এ ছবিতে এমন কিছু মন্তব্য রয়েছে যাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এর ফলে নতুন করে গোষ্ঠীসংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। তিনি বলেছেন, “ছবি মুক্তি পাওয়ার পর নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে, গুজব ছড়াচ্ছে এবং ক্রমাগত এ ছবির প্রদর্শন চলতে থাকলে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    সন্ত্রাসের বার্তা প্রচার

    ছবিতে সন্ত্রাসবাদকে ন্যায়সঙ্গত প্রতিশোধ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, বলেও অভিযোগ। ছবির গল্পের একটি চরিত্রকে পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগদান করতে দেখা যায়। চরিত্রটি সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হয়। অভিযোগে আরও বলা হয় যে, সিনেমার কিছু পটভূমি গান আরবি ও উর্দু ভাষায় ছিল, যা সন্ত্রাসবাদী বার্তা প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। অভিযোগকারীর মতে, সিনেমায় এনআইএ এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে অসৎ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলির প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারে। এছাড়াও, সিনেমাটির একটি দৃশ্যে ২০০২ সালের গোধরা দাঙ্গা পরবর্তী পরিস্থিতি একপেশে ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

    সিনেমাটির আর্থিক উৎস নিয়ে তদন্তের দাবি

    এছাড়াও, সিনেমায় কিছু বিতর্কিত সংলাপ রয়েছে, যেমন ‘কেরালার দীর্ঘ উপকূলরেখা ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলি মাদক পাচারের জন্য সহায়ক হতে পারে’ এবং ‘মুল্লাপেরিয়ার বাঁধে বোমা হামলার হুমকি’, যা অভিযোগকারীর মতে উগ্রপন্থীদের জন্য উস্কানি হতে পারে। অভিযোগকারী আরও দাবি করেছেন যে সিনেমাটিতে এক গোয়েন্দা কর্তার নৃশংস হত্যা দেখানো হয়েছে, যা সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে। অভিযোগের পাশাপাশি, সিনেমাটির আর্থিক উৎস নিয়ে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। গত ২৭ মার্চ মুক্তি পেয়েছে পৃথ্বীরাজ সুকুমারন পরিচালিত মোহনলাল অভিনীত বড় বাজেটের ছবি। কিন্তু মুক্তির পর থেকেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

  • NIA: পাঞ্জাবে হিন্দুত্ববাদী নেতা খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা এনআইয়ের, নাম ২ খালিস্তানি জঙ্গির

    NIA: পাঞ্জাবে হিন্দুত্ববাদী নেতা খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা এনআইয়ের, নাম ২ খালিস্তানি জঙ্গির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শুক্রবার পাঞ্জাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) এক নেতার খুনের ঘটনায় চার্জশিট পেশ করল এনআইএ (NIA)। পাঞ্জাবের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা বিকাশ প্রভাকর ওরফে বিকাশ বাগ্গার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল বা বিকেআইয়ের দুই সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে এই চার্জশিট জমা করা হয়েছে। এই দুই সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে একজনের নাম ধর্মিন্দার কুমার ওরফে কুনাল এবং অপরজন হলেন পলাতক আসামী হরবিন্দর কুমার। এই জঙ্গি বর্তমানে দুবাইয়ে রয়েছেন বলে এনআইএ (NIA) সূত্রে খবর। এই দুজনের বিরুদ্ধেই বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন, ভারতীয় দণ্ডবিধি আইপিসির বিভিন্ন ধারা এবং অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে এনআইএ একথা জানিয়েছে।

    ২০২৪ সালের ১৩ এপ্রিলের ঘটনা (NIA)

    জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালে ১৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের রূপনগর জেলায় অন্য দিনের মতোই নিজের মিষ্টির দোকানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা বিকাশ প্রভাকর। সেই সময়ে ওই দুই খালিস্থানপন্থী জঙ্গি তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। জানা গিয়েছে, বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল নামের এই খালিস্থানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের প্রধানের নাম হল ওয়াধাওয়া সিং। তিনি বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছেন। তাঁরই নির্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হয় বলে জানিয়েছে এনআইএ (NIA)। অন্যদিকে এই ঘটনায় আরও একজন সন্ত্রাসবাদীর নাম উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ওই খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের নেতার নাম হারজিত সিং ওরফে লাড্ডি। তিনি বর্তমানে জার্মানিতে অবস্থান করছেন।

    ২০২৪ সালের ৯ মে তদন্তভার নেয় এনআইএ (NIA)

    গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৯ মে পাঞ্জাব পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার তদন্তভার নেয় এনআইএ। এরপরে এই চার্জশিট পেশ করা হল গতকাল অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি। এনআইএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে লাড্ডি বা হারজিত সিংয়ের কাজ হল এই সংগঠনে জঙ্গি নিয়োগ করা এবং তহবিল সংগ্রহ করা। এর পাশাপাশি অস্ত্র সরবরাহের কাজও তিনি করতেন। জার্মানিতে বসেই লাড্ডি এই কাজগুলো করে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা গিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা খুনে অভিযুক্ত ধর্মিন্দার কুমার ওরফে কুনাল আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এই অভিযুক্ত মধ্যপ্রদেশের একজনের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করেছিল। এনআইএ এই তদন্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিদেশি যোগ এবং এই মামলায় এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর ভূমিকাও সামনে এনেছে।

  • NIA: সন্ত্রাসবাদী রানাকে দেশে ফেরাতে শীঘ্রই আমেরিকা পাড়ি দেবে এনআইএ-র বিশেষ দল

    NIA: সন্ত্রাসবাদী রানাকে দেশে ফেরাতে শীঘ্রই আমেরিকা পাড়ি দেবে এনআইএ-র বিশেষ দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদী রানাকে প্রত্যর্পণের করা হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরের পরে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। জানা গিয়েছে মার্কিন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের পরেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ (NIA) খুব শীঘ্রই রানাকে ফিরিয়ে আনতে আমেরিকা সফর করবে। এরপরেই ভারতবর্ষে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    ৫ সদস্যের টিম তৈরি করেছে এনআইএ

    এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তদন্ত প্রক্রিয়া চালাতে ইতিমধ্যেই একটি ৫ সদস্যের টিম তৈরি করেছে তারা। এনআইয়ের (NIA) এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তদন্তকারী সংস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রকের কাছ থেকে এ বিষয়ে অনুমোদন পেয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের এক গোয়েন্দা আধিকারিক যশোবর্ধন ঝা আজাদ জানিয়েছেন, যে তাহাবুর রানাকে ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই গোয়েন্দা কর্তা সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন যে সন্ত্রাসবাদী হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন রানা, তাঁকে ফিরিয়ে আনা ভারতের জন্য অত্যন্ত বড় সাফল্য এবং কারণ এখানেই তাঁর বিচারপর্ব (NIA) সম্পন্ন হবে।

    ট্রাম্প-মোদি বৈঠকের পর ঘোষণা

    বর্তমানে আমেরিকার উচ্চ সুরক্ষা সম্পন্ন জেলে রয়েছেন রানা (Tahawwur Rana)। গত কয়েক বছর ধরে বারবার তাঁর প্রত্যর্পণের আর্জি জানিয়েছে ভারত। দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়েছেন রানাও। তাই মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প যে ঘোষণা করেছেন, তা ভারতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বৈঠক শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত, এক দুষ্কৃতীকে আমরা ভারতে প্রত্যর্পণ করছি। আমরা এক ভয়ঙ্কর অপরাধীকে ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছি।” এদিন ট্রাম্প যে ঘোষণা করেছেন তার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মুম্বই হামলার অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের প্রশংসা করে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের নাগরিক তাহাউর রানা পেশায় ব্যবসায়ী বলেই জানা যায়। ২০০৮ সালে তাজ হোটেলে যে জঙ্গি হামলায় ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়, সেই ঘটনায় জড়িত হিসেবে রানার নাম উঠে আসে। এবার সেই রানাকে ভারতে এনে জেরা করতে পারবেন গোয়েন্দারা।

  • NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়িতে গুলি, এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়িতে গুলি, এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়ায় অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল এনআইএ (NIA)। মহম্মদ আমিন ওরফে সোনু নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে বহুদিন ধরেই খুঁজছিলেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে জেরা করে এই ঘটনায় কার হাত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। জানা যাচ্ছে, এর আগেও আমিনকে ২-৩ বার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সেই নোটিশে সাড়া দেননি আমিন। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হল। গ্রেফতারির পর প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডে বলেন, ঘটনায় যে তৃণমূলের হাত রয়েছে এটা অন্তত স্পষ্ট হল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (NIA)

    গত ২৮ অগাস্ট বিজেপির ডাকা বাংলা বনধের সকালে ভাটপাড়ায় বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাড়ি লক্ষ্য করে ৭-৮ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিতে আহত হন গাড়ির চালক। সেই ঘটনার এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কু। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর পর তদন্তে নেমে ভিডিও ফুটেজ দেখে আততায়ীদের শনাক্ত করে এনআইএ। এর পরই মহম্মদ আমিন ওরফে সোনু নামে এক তৃণমূল কর্মীকে খুঁজছিল তারা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এর আগেও তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। আমিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

    আরও পড়ুন: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    কীভাবে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল কর্মীকে?

    এর আগেও আমিনকে ধরতে বাড়ি ঘিরে ফেলেন এনআইএ (NIA) আধিকারিকরা। কিন্তু, আমিন বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। মঙ্গলবার ভোর রাতে আবারও তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় এনআইএ। আমিনের বাড়ি ঘিরে ফেলেন আধিকারিকরা। তাঁর পালানোর আর কোনও অবকাশই ছিল না। বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আমিনকে গ্রেফতার করলেই বড় মাথার হদিশ পেতে পারেন তদন্তকারীরা। এর পিছনে কারা রয়েছেন, কারা ছক করেছিলেন প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডেকে খুন করার, তা জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে পুণে থেকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    NIA: ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে পুণে থেকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুনের ঘটনায় এবার মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেফতার করা হল এক অভিযুক্তকে। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মোহন মণ্ডল। তাকে পুণে থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ (NIA)। পলাতক মোহনের বিরুদ্ধে আগেই জামিন অযোগ্য গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এর আগে এই মামলায় নবকুমার মণ্ডল ও শুভেন্দু ভৌমিক নামে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন মহারাষ্ট্রের আদালত থেকে ট্রানজিস্ট রিমান্ডে ধৃতকে এরাজ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?(NIA)

    ২০২৩ সালের পয়লা মে ময়নার বাকচায় খুন হন বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। জানা গিয়েছে, ভর সন্ধেয় বাড়ি ফেরার পথে স্ত্রীর সামনেই প্রথমে মারধর করা হয়েছিল বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। এরপর তাঁকে মোটরবাইকে চাপিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, দাবি পরিবারের। ওই দিনই গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধার হয়। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছিল তাঁকে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। রাতে থানার সামনে ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মীরানি ভুঁইয়া তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরা, তৎকালীন পঞ্চায়েত প্রধান সুখলাল মণ্ডল-সহ মোট ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ময়না থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযুক্তদের মধ্যে সাত জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও পালিয়ে যায় কয়েকজন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে গোড়ামহলে অভিযান চালিয়ে ১০ জন তৃণমূল নেতার বাড়ি সিল করে দেয় এনআইএ। কয়েকদিন আগেও এনআইএ এর হাতে ধরা পড়েছিল দুই অভিযুক্ত। তাঁদের জেরা করেই অভিযুক্ত মোহন মণ্ডলের সম্পর্কে তথ্য জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এরপরই পুণের উদ্দেশে রওনা দেয় এনআইএর (NIA) দল।

    আরও পড়ুন: ৪ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার কোটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি লক্ষ্য ভারতের, জানালেন রাজনাথ

    ভোট পরবর্তী হিংসা

    গতবছর লোকসভা ভোটের পাঁচদিন আগে কাঁথির ভূপতিনগরে বিজেপি নেতাদের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধরের ঘটনার অভিযোগ উঠেছিল। সেবার বিজেপি নেতাদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত হয়েছিলেন অর্জুননগরের বিজেপি বুথ সভাপতি অবনী দে-সহ ৩ নেতা। তারও আগে ২০২১-এর ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন, খুন হয়েছিলেন, কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। পরিবারের অভিযোগ ছিল, শ্বাসরোধ করে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছিল বিজেপি কর্মী অভিজিৎকে। হাইকোর্টের নির্দেশে এরপর তদন্তভার গিয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে। একুশ থেকে পঁচিশের মাঝে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে বলেই চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: চন্দন গুপ্তা হত্যা মামলা, ২৮জন মৌলবাদীকে যাবজ্জীবন দিল এনআইয়ের বিশেষ আদালত

    NIA: চন্দন গুপ্তা হত্যা মামলা, ২৮জন মৌলবাদীকে যাবজ্জীবন দিল এনআইয়ের বিশেষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্ণৌ-এর বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত ২৮ জন মৌলবাদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল, চন্দন গুপ্তা হত্যা কেসে। প্রসঙ্গত, চন্দন গুপ্তা (Chandan Gupta), যাঁর অপর নাম ছিল অভিষেক গুপ্তা, তাঁকে ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে তেরঙ্গা যাত্রা সময় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এনআইএ-র বিশেষ আদালতের এই রায়দান সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারি। সেখানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে আজিজউদ্দিন, মুনাজির, আসিফ, সাবিব ছাড়া আরও ২৪ জনকে। কুখ্যাত এই মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে চন্দন গুপ্তার হত্যা সমেত জাতীয় পতাকা অবমাননা, সাম্প্রদায়িক হিংসারও অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এই কারণে অতিরিক্ত জরিমানাও করা হয়েছে ওই মৌলবাদীদের।

    তিরঙ্গাযাত্রায় অতর্কিতে চালানো হয় হামলা

    প্রসঙ্গত, চন্দন গুপ্তার হত্যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেয় ২০১৮ সালে। উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে তেরঙ্গা যাত্রার মিছিলে (NIA) অতর্কিতে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয় চন্দনকে। তাঁর ভাই বিবেক গুপ্তাকেও ব্যাপক মারধর করে জেহাদিরা। ওই শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়ার অভিযোগও ওঠে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। জোর করে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে দিতে হুমকি দিতে থাকে মৌলবাদীরা। এরপরেই চন্দন গুপ্তাকে গুলি করা হয়। প্রথমে আহত চন্দনকে কাশগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়, পরে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। চন্দনের বাবা সুশীল গুপ্তা এবং তাঁর ভাই বিবেক পরবর্তীকালে কোর্টের দ্বারস্থ হন বিচারের আশায়। প্রায় সাত বছর পরে সামনে এল রায়।

    ১২ জন সাক্ষ্য দেন এই মামলায় 

    এই মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে এনআইএ (NIA)। তার মধ্যে অন্যতম ছিল চন্দনের পরিবারও। প্রথমে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে মামলা হস্তান্তর করা হয় এনআইএ-কে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম চার্জশিট জমা করে এনআইএ। পরবর্তীকালে পেশ করা হয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট, যেখানে ছিল ৩০ জনের নাম। তবে দুজনকে প্রমাণের অভাবে খালাস করে দেয় এনআইএ-এর (NIA) বিশেষ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: আরামবাগে পাক-জঙ্গির হদিশ! অভিযুক্তের বাড়িতে এনআইএ, তল্লাশিতে কী কী মিলল?

    NIA: আরামবাগে পাক-জঙ্গির হদিশ! অভিযুক্তের বাড়িতে এনআইএ, তল্লাশিতে কী কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ পরিস্থিতির আবহে হুগলির আরামবাগে এক জঙ্গির হদিশ পেল এনআইএ। শুক্রবার ওই জঙ্গির খোঁজে আরামবাগের সানাপাড়া এলাকায় হানা দেয় এনআইএ (NIA)। সাবিরউদ্দিন নামে ওই সন্দেহভাজন যুবক পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।

    তল্লাশিতে কী কী পেল এনআইএ? (NIA)

    শুক্রবার দেশের ৮টি রাজ্যের ১৯ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল এনআইএ। তাঁদের (NIA) কাছে খবর ছিল রাজ্যে রাজ্যে জাল ছড়িয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ। বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে তাদের লোক। ধৃত শেখ সুলতান সালাউদ্দিন আয়ুবির থেকে এই তথ্য পেয়ে রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েন এনআইএ গোয়েন্দারা। তল্লাশি চালানো হয়, অসম, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, বাংলা, জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান, গুজরাটে। বাংলায় এনআইএ-র দলটি চলে যায় হুগলিতে। সেখানে এক যুবককের খোঁজ করা হয় বলে খবর। সূত্রের খবর, এনআইএ বৃহস্পতিবার আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুরের সানাপাড়া এলাকায় হানা দেয়। সেখানে শেখ সাবিরউদ্দিন আলি নামক এক যুবকের খোঁজ চালান গোয়েন্দারা। যদিও এখনও তার খোঁজ মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আরামবাগে এনআইএ টিম বেশ কিছু ক্ষণ সন্দেহভাজনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তাতে নাকি পাওয়া গিয়েছে ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, নগদ টাকা, সিডি, হার্ড ডিস্ক। এ থেকেই মিলেছে সন্দেহজনক চ্যাট। এরপর থানার হাজিরা দিতে একটি নোটিশও ঝুলিয়ে দেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    নোটিশ পেয়েই সাবিরউদ্দিন ও তাঁর বাবা সাইফুদ্দিন কলকাতার অফিসে (NIA) হাজিরা দিতে চলে যান। এদিকে খবর চাউর হতেই এলাকায় রীতিমতো হইচই কাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এলাকার অনেক বাসিন্দাই বলছেন, সাবিরউদ্দিন মেধাবি। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিএড পাশও করেছেন। আচরণও ভালো। এলাকায় কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা করতে না। সেই তিনি কী করে এই ধরনের কাজে যুক্ত থাকতে পারেন তা ভেবে কূল-কিনারা পাচ্ছেন না কেউ। সন্দেহভাজনের এক আত্মীয় জানালেন, কারও সঙ্গে মেলামেশা করে না সাবিরউদ্দিন। চুপচাপই থাকে। বাড়ির ছেলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ, তাও বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা। তাঁদের দাবি, দিল্লির কোনও কেসে সাবিরউদ্দিনের খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

    হতবাক প্রতিবেশীরা!

    এদিকে সাবিরের বাড়ির আর্থিক অবস্থাও বিশেষ ভালো নয়। ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে মাটির বাড়ি। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সম্বল বলতে শুধুই কিছু জমি। এলাকার লোকজন জানাচ্ছেন, ধান চাষের ওপর নির্ভর করেই মূলত চলে সংসার। সেই পরিবারের ছেলে কী করে এমন কাজ করতে পারে তা ভেবেই অবাক প্রতিবেশীরা। এদিকে এনআইএ আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা নাসিমা বেগম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share