Tag: NIA

NIA

  • NIA: তৃণমূল নেতার বাড়িতে এনআইএ অভিযান, বাজেয়াপ্ত মোটা ডায়েরি, ল্যাপটপ ব্যাগ

    NIA: তৃণমূল নেতার বাড়িতে এনআইএ অভিযান, বাজেয়াপ্ত মোটা ডায়েরি, ল্যাপটপ ব্যাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতে এনআইএ (NIA) অভিযান। শুক্রবার সকালে কাঁথির তৃণমূল নেতা মানব পড়ুয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার ৭-৮জন আধিকারিকের একটি দল। মানব পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। বেশ কিছুক্ষণ পরে যখন তদন্তকারীরা মানবের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন তাঁদের হাতে সাদা কাপড়ে মোড়া বেশ কয়েকটি মোটা ডায়েরি ও একটি ল্যাপটপ ব্যাগ। রবিবার কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে নির্বাচন। এই নির্বাচনে তৃণমূলের বাজি মানবই। বিজেপির দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চালাচ্ছে এনআইএ।   

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    আদত বাড়ি ভূপতিনগরে হলেও, বর্তমানে কাঁথিতেই থাকেন মানব। তদন্তের পরে তিনি বলেন, “২০২২ সালে নাড়ুয়াবিলা গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় যে মামলা হয়েছিল, তার তদন্তেই এনআইএর প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। আমি তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করেছি। ওঁরা বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি করেছেন। এর পর ওঁরা চলে গেলেন।” তিনি বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগ ছিল না। তবে আগামিদিনে তদন্তকারীরা আবার আসবেন কিনা, সেটা ওঁরাই বলতে পারবেন।”

    ভয়াবহ বিস্ফোরণ

    ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর রাত ১১টা নাগাদ ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই বিস্ফোরণে রাজকুমার-সহ মৃত্যু হয়, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। অভিযোগ, তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। সেই ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় এনআইএর (NIA) হাতে। সেই তদন্তেই শুক্রবার কাঁথি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মানবের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘সিংহের সঙ্গে কুকুরের লড়াই হয় না”, বাংলাদেশের মৌলবাদীদের কড়া বার্তা দিলেন দিলীপ

    বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় এনআইএ অত্যন্ত ধীর গতিতে তদন্ত চালাচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ এনআইএ সেই ঘটনার তদন্তের জন্য একজনের বাড়িতে অভিযানে এসেছিল। এই তদন্ত দ্রুত শেষ করে অভিযুক্তদের (TMC) গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি (NIA)।”

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: লস্কর জঙ্গি সলমন রহমনকে আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরাল এনআইএ, রয়েছে পাকিস্তান যোগ

    NIA: লস্কর জঙ্গি সলমন রহমনকে আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরাল এনআইএ, রয়েছে পাকিস্তান যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সলমন রহমন খানকে ভারতে ফেরাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে তাকে আফ্রিকার রোয়ান্ডা থেকে ভারতে আনা হয়েছে। যৌথভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এ কাজে সাহায্য করে ইন্টারপোলও।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে? (NIA)

    পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার মদতে বেঙ্গালুরুতে নাশকতার কাজে যুক্ত ছিল সলমন। বেঙ্গালুরুতে (NIA) বিশাল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের পর তার নাম উঠে আসে। তদন্তে নেমে জানা যায়, টি নাসির নামে এক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি, যে যাবজ্জীবনের সাজা কাটার জন্য ওই সংশোধনাগারে বন্দি, সে-ই আবাসিকদের মধ্যে জঙ্গি প্রচার চালানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। এনআইএ-র দাবি, একটি পকসো মামলায় বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিল সলমন রহমান খানও। সেখানে সে নাসিরের সংস্পর্শ আসে। পরে নাসিরের নির্দেশে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র হামলাকারীদের মধ্যে বিতরণের দায়িত্ব নেয়। বেঙ্গালুরুতে অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর সংশোধনাগারে মৌলবাদী ভাবধারা প্রচার এবং মৌলবাদীদের নিয়োগের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ রয়েছে। পারাপ্পানা অগ্রহর সেন্ট্রাল প্রিজন অর্থাৎ জেল থেকে সাতটি পিস্তল, চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ম্যাগাজিন ও ৪৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছিল। চারটি ওয়াকিটকিও উদ্ধার হয় সেসময়। তারপরই অস্ত্র সরবরাহ-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে এনআইএ-র অপরাধী তালিকায় যুক্ত হয় তার নাম। অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়। তার খোঁজে তল্লাশি চলছিলই।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    এনআইএ কী জানাল?

    এই ইস্যুতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনআইএ-এর (NIA) তরফে জানানো হয়েছে – ‘‘বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সন্ত্রাসী মৌলবাদী ভাবধারার প্রচার এবং সন্ত্রাস চালানোর জন্য পরবর্তীতে মৌলবাদীদের নিয়োগ সংক্রান্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত সলমনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনআইএ। এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছে রোয়ান্ডা ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (আরআইবি), ইন্টারপোল এবং ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। ওই ব্যক্তিকে ২৭ নভেম্বর হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পরে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়।’’ এনআইএ-র তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ‘‘২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও না কোনও গুরুতর মামলায় যুক্ত মোট ১৭ জন অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদীকে অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে।’’

    জঙ্গি গ্রেফতার প্রসঙ্গে কী বলল সিবিআই?

    সিবিআই-এর পক্ষ থেকেও আলাদা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘‘এনআইএ-র অনুরোধ অনুসারে গত ২ অগাস্ট সিবিআই-এর পক্ষ থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে সলমন খানের (Militant) নামে একটি রেড নোটিশ জারি করা হয়। ওই ওয়ান্টেড অপরাধীকে শনাক্ত করতে সারা বিশ্বের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলিকে সেই অ্যালার্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শেষমেশ রোয়ান্ডায় সলমন রহমান খানের হদিশ পাওয়া যায়। এরপরই সিবিআই-এর তরফ থেকে রোয়ান্ডার রাজধানী এবং সবথেকে বড় শহর কিগালিতে অবস্থিত ইন্টারপোল-এর ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর কাছে সলমন খানকে ধরার জন্য সাহায্য চাওয়া হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর গুলি, ১২ জনের নামে চার্জশিট এনআইএ-র

    NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর গুলি, ১২ জনের নামে চার্জশিট এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। ১২ জন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট পেশ করে এনআইএ (NIA)।

    ঠিক কী অভিযোগ? (NIA)

    জানা গিয়েছে, ২৮ অগাস্ট ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়িতে হামলা হয়। গুলি চালানো হয় গাড়ি লক্ষ্য করে। তিনি ওই দিন কাঁকিনাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গী ছিলেন অপর এক বিজেপি নেতা রবি সিং। চালকের পাশেই বসেছিলেন প্রিয়াঙ্গু। পিছনে ছিলেন রবি। মাঝপথে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় জখম হন প্রিয়াঙ্গু ও রবি দু’জনেই। সঙ্গে গাড়ির চালক রবি ভর্মাও জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য বিজেপি প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে। ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেছিলেন, চালককে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়। তাঁর কপাল ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যাওয়ায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। মূলত, তৃণমূল নেতা তরুণ সাউ এবং বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকেও অভিযুক্ত করেছিলেন তিনি। থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে, ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ (NIA)।

    আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    ১২ জন অভিযুক্ত কারা?

    এনআইএ (NIA) একটি বিবৃতিতে বলেছে, বিশেষ আদালতের সামনে বিএনএস, অস্ত্র আইন এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইনের বিভিন্ন ধারার অধীনে চার্জশিট জমা করা হয়েছে। হামলার পিছনে একটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র রয়েছে। এনআইএ-এর তদন্তে ১২ জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁরা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের কর্মীদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অভিযুক্তরা হলেন মহম্মদ আবেদ খান, মহম্মদ আরিফ, ওয়াসিমুদ্দিন আনসারি, মহম্মদ নাসিম, ফিরদুশ ইকবাল, মহম্মদ তানভীর, সঞ্জয় সাউ, মহম্মদ চাঁদ, আকাশ সিং, মহম্মদ সোহেব আকতার, মহম্মদ আকবর এবং সাগর সিং। মামলার তদন্ত এখনও অব্যাহত রয়েছে। জানা গিয়েছে, ৬ নভেম্বর এনআইএ এই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে।

    ঠিক কী বলেছিলেন শুভেন্দু?

    একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে যা ঘটনার দিন গুলি চালানোর মুহূর্তটি দেখানো হয়েছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও নিজের এক্স হ্যান্ডলে অভিযোগ করেছিলেন, ভাটপাড়ায় বিশিষ্ট বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডা গুলি চালাচ্ছে। গাড়ির চালককে গুলি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: হিংসার আগুনে ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর, ৩টি মূল মামলার তদন্তে এনআইএ

    Manipur: হিংসার আগুনে ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর, ৩টি মূল মামলার তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ মণিপুরে (Manipur) নতুন করে হিংসা ছড়াল রবিবার রাতে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক যুবকের। জিরিবাম জেলায় ঘটে এই সংঘর্ষ। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে এটা সত্য, তবে কে বা কারা ওই গুলি চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই আবহে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ (NIA) মণিপুরের সাম্প্রতিক হিংসার তিনটি মূল মামলার তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ। রবিবার মহারাষ্ট্রে প্রচার কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্র মারফত জানা যায়, দিল্লি ফিরেই মণিপুর নিয়ে জরুরি বৈঠক সারেন তিনি। পরেই মণিপুরের তিনটি মামলার তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে তুলে দিয়েছে শাহের মন্ত্রক। মণিপুর পুলিশের কাছ থেকে এই মামলাগুলিকে নেয় এনআইএ (NIA)। 

    কুকিদের বিরুদ্ধে মহিলা-শিশুদের অপহরণ ও খুনের অভিযোগ

    সে রাজ্যের মেইতেই সম্প্রদায়ের ছয় জনকে অপহরণ করে তাঁদেরকে হত্যার অভিযোগ ওঠে মণিপুরের কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত মণিপুরের (Manipur) উদ্বাস্তু ক্যাম্পে থাকা তিন জন মহিলা সহ তিনজন শিশু হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। এই ঘটনা ঘটে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি জঙ্গিদের সংঘর্ষের পরেই। তখন এই মেইতেই সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, তাঁদেরকে অপহরণ করেছে কুকি জঙ্গিরা। গত ১১ নভেম্বর একদল বিক্ষুদ্ধ জনতা বোরোবেকরা অঞ্চলে  পুলিশ স্টেশনের হামলা চালায়। জানা যায়, হামলা চালানোর পরে সেখান থেকে ফেরার সময় তারা ওই তিন মহিলা সহ তিন শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই ৬ জন একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। রবিবার জিরিবাম জেলার জিরি নদী থেকে বৃদ্ধা এবং এক শিশুর দু’টি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। তার আগে, শনিবারও পাওয়া গিয়েছিল তিনটি মৃতদেহ। 

    কংগ্রেস ও বিজেপির পার্টি অফিসেও ভাঙচুর (Manipur)

    এই ঘটনায় হিংসা আরও ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, জিরিবাম এলাকাতে বিক্ষোভকারীরা কংগ্রেস ও বিজেপির পার্টি অফিসও ভাঙচুর করে। জিরিবামের বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। শনিবারই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাসভবনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। রবিবার জিরিবাম থানা এলাকার বাবুপাড়া এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বাহিনীর সংঘর্ষ বাঁধে। একাধিক জায়গায় ভাঙচুর করা হয়। এরই মধ্যে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। এর পরই, পশ্চিম ইম্ফল এবং পূর্ব ইম্ফলে কার্ফু জারি করা হয়। সাত জেলায় বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট। 

    ২০২৩ থেকে অশান্ত মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: কলকাতায় আল-কায়দার ডেরা! অ্যাপ বাইক চালককে তলব এনআইএ-র, কী যোগসূত্র?

    NIA: কলকাতায় আল-কায়দার ডেরা! অ্যাপ বাইক চালককে তলব এনআইএ-র, কী যোগসূত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল-কায়দা (Al Qaeda) জঙ্গিরা ডেরা করেছে খোদ কলকাতায়। তাদের সবরকমভাবে সাহায্য করার একজন লিঙ্কম্যানের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জঙ্গিদের গতিবিধি খতিয়ে দেখতে গিয়ে এনআইএ-এর হাতে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে আসে। তদন্তে নেমে এনআইএ (NIA) আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, কলকাতায় বসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের টিকিট কাটত বাংলাদেশের আল-কায়দার জঙ্গিরা।

    নজরে অ্যাপ বাইক চালক (NIA)

    এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকার একটি দোকান থেকে কাটা হয় একাধিক ট্রেনের টিকিট। এমনকী, নিউ মার্কেট এলাকা থেকে কলকাতার সিমকার্ডও সংগ্রহ করে জঙ্গিরা। পূর্ব কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকায় তল্লাশি চালানোর পর এই চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে এনআইএ-র হাতে। এবার  এনআইএ-র নজরে কলকাতারই এক অ্যাপ বাইক চালক। ওই চালককে তলব করেছেন এনআইএ আধিকারিকরা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের মে মাসে গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হয় চার বাংলাদেশি। মহম্মদ সজীব মিয়া, মুন্না খালিদ আনসারি ওরফে মুন্না খান, আজহারুল ইসলাম ওরফে খালিফুদ্দিন আনসারি ওরফে আকাশ খান ও আব্দুল লতিফ ওরফে মোমিনুন আনসারি নামে এই চার বাংলাদেশি ভারতীয় আল কায়দা তথা আকিসের সদস্য বলে গুজরাট পুলিশ অভিযোগ তোলে। এই চারজনকে ক্রমে নিজেদের হেফাজতে নেয় এনআইএ। গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, এই চার আল কায়দা জঙ্গি কয়েক বছর আগে চোরাপথে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত পার হয়ে কলকাতায় আসে। এখানে একটি ডেরায় থাকে তারা।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    মগজধোলাই করত জঙ্গিরা!

    যদিও গোয়েন্দাদের (NIA) দাবি, ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে তারা কলকাতার হোটেলে ওঠে। তাদের ওপর ভার পড়েছিল দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে আল কায়দার ওপর যারা সহানুভূতিশীল, তাদের সঙ্গে কথা বলে তহবিল সংগ্রহ করতে শুরু করে তারা। একই সঙ্গে চলে সোশাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করার পর যুবকদের সঙ্গে দেখা করার পালা। তাদের সঙ্গে কথা বলে মগজধোলাই করতে থাকে জঙ্গি সদস্যরা। এই কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভ্রমণ করতে থাকে এই চার জঙ্গি।

    কীভাবে হদিশ মিলল অ্যাপ বাইক চালকের?

    এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের কাছে এনআইএ আধিকারিকরা কয়েকটি মোবাইল নম্বর পান। এর মধ্যে একটি মোবাইল নম্বরে বেশ কয়েকবার কথা বলা হয় বলে গোয়েন্দারা জানতে পারেন। ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরেই সোমবার এনআইএ বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার ক্যান্টোফার লেনের একটি চারতলা বাড়ির দোতলায় হানা দেয়। ওই বাড়ির দোতালার একটি ফ্ল্যাটে চলে তল্লাশি। যদিও ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা এনআইএ আধিকারিকদের জানান, যে যুবকের মোবাইল নম্বর, তিনি ওই ব্যক্তির আত্মীয় মাত্র। ওই আত্মীয়টি আগে তাঁদের সঙ্গে থাকতেন বলেই তাঁর আধার কার্ড বেনিয়াপুকুরের ঠিকানায়। ওই আধার কার্ডেই যুবক সিমকার্ড নেন। এখন যুবক পরিবার নিয়ে পিকনিক গার্ডেন এলাকায় থাকেন। নিউ মার্কেট এলাকায় ওই যুবকের একটি দোকান ছিল। ওই দোকানের আশপাশের হোটেলে থাকেন বাংলাদেশিরা। তারা এসে ওই ট্রাভেল এজেন্টের দোকান থেকে ট্রেন ও বিমানের টিকিট কাটত। যদিও লক ডাউনের পর তাঁদের ব্যবসা খারাপ হতে থাকে। তাঁরা দোকানটি বন্ধ করে দেন। ওই যুবক এখন অ্যাপ বাইক চালান। এনআইএ-র গোয়েন্দাদের কাছে খবর, কলকাতা থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার জন্য এই যুবকের কাছ থেকেই ট্রেনের টিকিট কাটত আল-কায়দার ওই জঙ্গিরা। এ ছাড়াও ওই যুবকের পরামর্শে তারা সিমকার্ড সংগ্রহ করে। এনআইএ-র প্রশ্ন, সেই ক্ষেত্রে আল কায়েদার জঙ্গিদের কি জেনেশুনে সাহায্য করেছিলেন ওই যুবক? এই ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে তাঁকে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    জঙ্গিদের খোঁজে কোথায় কোথায় তল্লাশি?

    শুধু কলকাতা এবং এরাজ্যই নয়, দুদিন আগে দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, কর্নাটক, অসম, বিহার, ত্রিপুরার একাধিক জায়গা। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (NIA) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এবার আল-কায়দা প্রচার এবং স্লিপার সেল বৃদ্ধিতে হাত মিলিয়েছে। এছাড়াও অন্য জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যে সকল নথিপত্র এবং ডিজিটাল সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে এনআইএ’র হাতে এসেছে আল-কায়দা সংগঠনের নতুন রিক্রুটমেন্ট সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কলকাতার পাশাপাশি কোচবিহারের হলদিবাড়িতে বিশ্বজিৎ বর্মন নামে এক যুবকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। তবে এনআইএ আধিকারিকরা যখন বিশ্বজিতের বাড়িতে আসেন, সে সময় বিশ্বজিৎ কাজের জন্য বাইরে ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার মা’কে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অধিকারিকরা। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, এ রাজ্য থেকে আল-কায়দার সংগঠনগুলিকে মজবুত করার জন্য বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এদিন বিভিন্ন কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। বিশ্বজিতের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গিদের কার্যকলাপে নজরদারি করতেই একযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ১০ বছরে সন্ত্রাস কমেছে ৭০ শতাংশ, শীঘ্রই আসছে জাতীয় সন্ত্রাস-দমন নীতি, জানালেন অমিত শাহ

    Amit Shah: ১০ বছরে সন্ত্রাস কমেছে ৭০ শতাংশ, শীঘ্রই আসছে জাতীয় সন্ত্রাস-দমন নীতি, জানালেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দশ বছরে সন্ত্রাসবাদ ৭০ শতাংশ কমেছে। মোদি জমানায় সন্ত্রাস দমনে এমনই সাফল্যের কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, খুব তাড়াতাড়ি জাতীয় সন্ত্রাস-দমন নীতি (National counter terrorism policy) আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি আয়োজিত সন্ত্রাস-বিরোধী সম্মেলন-২০২৪-এ যোগদান করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই তাঁকে একথা বলতে শোনা যায়।

    কী বললেন অমিত শাহ (Amit Shah)? 

    অমিত শাহ বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ রাজ্য সরকারের ওপর ন্যস্ত। রাজ্য সরকারগুলির নিজস্ব ভৌগোলিক সীমানা রয়েছে এবং তাদের সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের কোনও ভৌগোলিক সীমা নেই। তাই কেন্দ্র ও রাজ্যের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলিকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়িয়ে কাজ করতে হবে, সন্ত্রাসের মোকাবিলা করার জন্য। এদিনের সন্ত্রাস-বিরোধী সম্মেলনে হাজির ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের ডিজিপি পদমর্যাদার আধিকারিকরা। তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে অমিত শাহ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনআইএ সন্ত্রাস দমন মামলায় ইউএপিএ আইনকে ব্যবহার করে এবং তার ফলাফল যথেষ্ট ভালো। এখনও পর্যন্ত ৬৩২টি মামলার মধ্যে ৪৯৮টিতেই শাস্তি হয়েছে এই আইনে অভিযুক্ত ৯৫ শতাংশেরই।

    নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশ অবিশ্বাস্যভাবে এগিয়ে চলেছে

    অমিত শাহ (Amit Shah) আরও বলেন, ‘‘আমরা এরপর আর একটি পদক্ষেপ করব, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। এই কারণে আমরা খুব শীঘ্রই নিয়ে আসব জাতীয় সন্ত্রাস-দমন নীতি (National counter terrorism policy), যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কিন্তু আমি যেটা বারবার বলছি, পুলিশ হল রাজ্যের অধীনে। তাই সন্ত্রাস-বিরোধী বেশি লড়াই রাজ্যকেই করতে হবে। সমস্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদেরকে সাহায্য করবে, তথ্য দিয়ে।’’ তিনি আরও বলেন, নতুন এই সন্ত্রাস-দমন নীতি কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়াবে। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশ অবিশ্বাস্যভাবে এগিয়ে চলেছে এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছে। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সন্ত্রাসকে শেষ করার বিষয়ে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ময়নায় বিজেপি নেতা খুন, কোমরে দড়ি পরিয়ে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    NIA: ময়নায় বিজেপি নেতা খুন, কোমরে দড়ি পরিয়ে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতাকে খুনের (BJP Leader Murder) অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় (Moyna) এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হলেন এক তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। বিজেপি নেতাকে খুনের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ (NIA)। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তারপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় পুলিশ আগেও একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও এই প্রথম কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (NIA)

    ২০২৩ সালের ১ মে বাকচার গোড়ামহল গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞাকে বাড়ির কাছ থেকে অপহরণ করে খুনের (BJP Leader Murder) অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মীরানি বাকচা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরা-সহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ময়না থানার পুলিশ অভিযুক্ত ন’জনকে গ্রেফতার করেছিল। তবে চার্জশিটে অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনের নাম তারা বাদ দেয়। এতে কয়েকজন আদালতে জামিন পান। এমন অবস্থায় বিজয় ভুঁইয়ার পরিবার ওই মামলার তদন্তে পুলিশের ওপর আস্থা না রেখে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে (NIA) দ্বায়িত্ব দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন।

    এপ্রিলে তদন্তভার নেয় এনআইএ

    চলতি বছর এপ্রিলে হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলাটির তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে দেন। আর সেই তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে নবকুমারের বিরুদ্ধে। এরপরই খুনের (BJP Leader Murder) ঘটনায় পলাতক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ এনআইএ (NIA) প্রতিনিধিরা নবকুমার মণ্ডল নামে ওই নেতাকে গোড়ামহল গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। কোমরে দড়ি পরিয়ে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। বুধবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এনআইএ বিশেষ আদালতে তোলা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ভোটে কারচুপি মার্কিন মুলুকে! ট্রাম্পের অভিযোগে শোরগোল আমেরিকায়

     গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কী বললেন?

    স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামে নবকুমারের মুদির দোকান রয়েছে। তিনি এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত। খুনের মামলার অধিকাংশ অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন নবকুমারও। তবে তিনি কয়েকদিন আগে বাড়িতে ফেরেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে এনআইএ ওই অভিযান চালায়। বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জিৎ ভৌমিক বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি (NIA) গ্রেফতার করেছে। বিজয়বাবুর খুনের ঘটনায় (BJP Leader Murder) যাঁদের নোটিশ পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা, তাঁদের অনেকেই গিয়েছেন হাজিরা দিতে। অনেকেই যাননি। তাঁদের খুঁজে বের করছে এজেন্সি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: বারবার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি, অবশেষে শালতোড়া বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ

    NIA: বারবার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি, অবশেষে শালতোড়া বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার শালতোড়ায় বাইকে বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিস্ফোরণের রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ খুঁজতে এনআইএ দিয়ে তদন্ত করার জন্য বার বার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। বিজেপির সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে এবার এই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করল এনআইএ (NIA)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (NIA)

    জানা গিয়েছে, গত ৩০ অগাস্ট রাতে প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বাঁকুড়ার (Bankura) শালতোড়া থানার লাপাহাড়ি এলাকা। ঘটনায় মৃত্যু হয় জয়দেব মণ্ডল নামে এক বাইক আরোহীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এলাকায়। শোরগোল পড়ে যায় প্রশাসনিক মহলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই বাইক আরোহীর বাড়ি শালতোড়া থানারই ঝনকা এলাকায়। বাইকে চড়ে শালতোড়া থানার লাপাহাড়ি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তার বাইকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা প্রথমে শালতোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু, কীভাবে ওই বিস্ফোরণ ঘটল, ওই ব্যক্তি বাইকে করে বিস্ফোরক বহন করছিলেন কিনা তা নিয়ে এতদিন তদন্ত করছিল পুলিশ। এবার সেই তদন্তভার নিজেদের হাতে নিল এনআইএ।

    আরও পড়ুন: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এদিকে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সময় রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতোরও হয়। এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে পথে নামে বিজেপি। বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এলাকায় অবৈধ খননকাজের জন্যই বাইকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ডিনামাইটের মতো ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক। স্পষ্ট অভিযোগ ছিল বিরোধী দলনেতার। শেষ পর্যন্ত এনআইএ মাঠে নামায় তদন্ত সঠিক পথে এগোবে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করেনি। কী কারণে বিস্ফোরণ হল এখনও পরিষ্কার নয়। এনআইএ তদন্তে সব কিছু এবার প্রকাশ্যে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভারতের বহু শহরে ‘রেল জিহাদ’-এর চক্রান্ত করছে পাক জঙ্গি, সতর্কবার্তা এনআইএ-র

    NIA: ভারতের বহু শহরে ‘রেল জিহাদ’-এর চক্রান্ত করছে পাক জঙ্গি, সতর্কবার্তা এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রেল জিহাদ’ (Rail Jihad) চক্রান্ত করছে পাকিস্তানের এক জঙ্গি। তার পর থেকেই পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA)। সূত্রের খবর, ট্র্যাক পর্যবেক্ষণকারী গ্যাংম্যানদের, নিরাপত্তা কর্মী ও লোকো পাইলটদের এ ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে।

    রেল জিহাদ (NIA)

    পাক গোয়েন্দা সংস্থার মদতপুষ্ট ফরহাতুল্লা ঘোরি নামে এক জঙ্গি সম্প্রতি টেলিগ্রাম সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে। সেই পোস্টে বলা হয়, দিল্লি, মুম্বই-সহ ভারতের নানা জায়গায় রেলে নাশকতা ঘটানোর জন্য এ দেশে (ভারতে) তার সমর্থকদের ডাক দেয়। ফিঁদায়ে যুদ্ধের ডাক দিয়ে রেলের মতো দুর্বল জায়গায় আঘাত করার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনারই নাম হয়েছে ‘রেল জিহাদ’।

    পাঠানো হয়েছে সতর্কবার্তা 

    গোয়েন্দাদের বক্তব্য, জুলাই মাসে ওই ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই রেলে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা হঠাৎই বেড়ে গিয়েছে। এর পরেই ট্র্যাক পর্যবেক্ষণকারী গ্যাংম্যান, নিরাপত্তা কর্মী ও লোকো পাইলটদের সচেতন করা হয়েছে। সরকারি এক সূত্রের খবর, যদিও হুমকির আশঙ্কা বড় শহরগুলির জন্য, মহারাষ্ট্র এবং অন্যান্য রাজ্যেও যেখানে নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে, সেখানেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, রেলে ছ’টিরও বেশি সন্দেহজনক দুর্ঘটনার পর রেল প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রত্যাঘাত ইজরায়েলের! নিশানায় ইরানের সামরিক ঘাঁটিগুলি, হামলা সিরিয়াতেও

    সম্প্রতি মাইসুরু-দ্বারভাঙা বাগমতী এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। তার পরেই এনআইএ (NIA) এর আধিকারিকরা চেন্নাইয়ের কাছাকাছি দুর্ঘটনাস্থলে যান। গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলিও সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাস্থলগুলি তদন্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ফাররুখবাদ এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাও। এ ক্ষেত্রে রেললাইনের ওপর একটি গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখা হয়েছিল। অগাস্টে রাজস্থানের পালি জেলায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যাওয়ার পথে রেললাইনের ওপর রাখা হয়েছিল সিমেন্টের ব্লক। এক আধিকারিক বলেন, “ট্রেনে এসকর্ট দল বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির জন্য কোচের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বজায় রাখা হয়েছে।” নিরাপত্তা সংস্থা সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীরা ট্র্যাকে কংক্রিটের পাথর, লোহার রড এবং গ্যাস সিলিন্ডার রেখে বাধা সৃষ্টি করছে, যা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তিনি বলেন, “জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি বনভূমি বা পরিত্যক্ত জমির মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ট্র্যাকগুলিকে লক্ষ্যবস্তুতে (Rail Jihad) পরিণত করছে (NIA)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NIA: নজরে এবার  লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল, মাথার দাম ১০ লক্ষ  টাকা ঘোষণা করল এনআইএ

    NIA: নজরে এবার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল, মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ঘোষণা করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাইকে ধরতে মরিয়া এনআইএ (NIA)। লরেন্সের ভাই আনমোল বিষ্ণোই ওরফে ভানুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি ভুয়ো পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারত ছেড়েছেন। প্রথমে চলে গিয়েছিলেন কেনিয়ায়। চলতি বছর তাঁকে শেষ বার দেখা যায় কানাডায়। মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনের সঙ্গেও আনমোলের যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সিদ্দিকির শুটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন লরেন্সের ভাই।

    মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা (NIA)

    এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে পঞ্জাবের সঙ্গীতশিল্পী সিধু মুসেওয়ালা এবং বাবা সিদ্দিকি হত্যা মামলা-সহ বেশ কয়েকটি অপরাধের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর। বলিউড অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর জন্য যে বন্দুকধারীকে আটক করা হয়েছিল, সেও জানিয়েছিল আনমোল বিষ্ণোই (Anmol Bishnoi) তাকে এই কাজের ভার দিয়েছিল। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হল ১০ লক্ষ টাকা। ২০২২ সালে নথিভুক্ত দুটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে এনআইএ। কর্তৃপক্ষ অনমোল বিষ্ণোইয়ের অবস্থান সম্পর্কে যে কাউকে তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। সংগঠিত অপরাধ নির্মূল করা এবং তাদের কার্যক্রমের তদন্তে আনমোলকে ধরাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে এনআইএ। এর আগে গত জানুয়ারিতে, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি এবং চণ্ডীগড়ের ৩২টি স্থানে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল, গোলাবারুদ এবং ৪.৬০ লক্ষ নগদ উদ্ধার করা হয়েছিল। তার প্রায় ন’মাস পর এই ঘোষণা করল এনআইএ।

    আরও পড়ুন: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    বিদেশে সক্রিয় আনমোল!

    লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রার-সহ তার সহযোগীদের পরিচালিত এই অপরাধ সিন্ডিকেট (NIA) দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মাফিয়া-ধাঁচের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অপরাধমূলক নেটওয়ার্কগুলি পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং অস্ত্র চোরাচালান-সহ সেলিব্রিটিদের হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। তদন্তকারীদের ধারণা, আমেরিকা এবং কানাডা থেকে এখনও সক্রিয় আনমোল। সিদ্দিকিকে খুনের জন্য যে শুটারদের আনা হয়েছিল, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন আনমোল। ‘স্ন্যাপচ্যাটে’ তার প্রমাণ মিলেছে। সূত্রের খবর, শুটারদের তিনি সিদ্দিকির পুত্র জিশানের একটি ছবিও পাঠিয়েছিলেন ওই অ্যাপের মাধ্যমেই। অনুমান করা হচ্ছে, তাঁদের লক্ষ্য ছিলেন জিশানও। গত ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বান্দ্রায় জিশানেরদফতরের সামনে গুলি করে খুন করা হয় সিদ্দিকিকে। তিনজন আততায়ী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। তাদের মধ্যে দু’জন ধরা পড়েছে। তবে এখনও এক জন পলাতক। সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও তিনজনকে খুঁজছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share