Tag: NIA

NIA

  • NIA: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিকের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপে না হাইকোর্টের

    NIA: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিকের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপে না হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মাঝে ভূপতিনগরকাণ্ডে দুই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির ঘটনায় এনআইয়ের (NIA) আধিকারিক ধনরাম সিংহের বদলির আবেদনে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, তাদের দলের নেতা গ্রেফতার হতেই আদালতে আবেদন জানায় শাসক দল এবং এদিনই সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বদলির বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়।

    আরও পড়ুন: “আইসি মিটিং করেছেন খুনিদের সঙ্গে! মজা দেখাব”, নন্দীগ্রাম থানার পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমে গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে

    প্রসঙ্গত, উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আগে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমে গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেখানেও কোনও রকমে সুরাহা মেলেনি। এরপরেই তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে এদিনই এনআইএ (NIA) আদালতে দাবি করে, তদন্ত থেকে বাঁচতেই এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো যেতে পারে কিন্তু কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের বদলি সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট নিতে পারেনা।

    তৃণমূলের দাবি খারিজ জিতেন্দ্রর

    অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস এতদিন ধরে যে দাবি করে আসছে যে জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে ধনরাম সিংহের বৈঠকের পরেই অতি সক্রিয় হয়েছে এনআইএ। তারা দাবি করেছিল, গত ২৬ মার্চ ধনরাম সিং-এর বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, তৃণমূল যদি প্রমাণ করতে পারে যে এনআইয়ের আধিকারিকের সঙ্গে তার কোনও বৈঠক হয়েছে তবে তিনি রাজনীতির ময়দান থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যাবেন। এই মর্মে সামনে এসেছে বিজেপির বক্তব্য। রাজ্য বিজেপির দাবি, চাপে পড়ে এনআই-এর তদন্তকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলছে তৃণমূল। তাই এনআইএ-এর (NIA) বিরুদ্ধে ভূপতি নগরের শ্লীলতাহানির অভিযোগও করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকারীর ছবিতে মিলল পুলিশকর্তা-তৃণমূল নেতার যোগ!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NIA: নৌবাহিনীতে হানিট্র্যাপের মাধ্যমে তথ্যপাচার, পাক এজেন্টের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ এনআইএ-র

    NIA: নৌবাহিনীতে হানিট্র্যাপের মাধ্যমে তথ্যপাচার, পাক এজেন্টের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর আধিকারিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলার কাজ করত আমন সালিম শেখ। পাকিস্তানের আইএসআই নিযুক্ত এই গুপ্তচরকে গত বছরের ২০ নভেম্বর গ্রেফতার করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। জানা গিয়েছে, তার কাজ ছিল হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন গোপন তথ্য আদায় করে তা পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া। গ্রেফতার হওয়া এই পাকিস্তানি গুপ্তচরের বিরুদ্ধে আদালতে শুক্রবার চার্জশিট পেশ করল এনআইএ (NIA)।

    শেখ আমন সালিমের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ

    জানা গিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করা হয় গত বৃহস্পতিবারই বিশাখাপত্তনমে এনআইয়ের বিশেষ আদালতে। এই চার্জশিটে গ্রেফতার হওয়া শেখ আমন সালিমের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাকে ‘আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট’-এর বিভিন্ন ধারাও দেওয়া হয়েছে। এনআইএ-র (NIA) সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, পাকিস্তানের গুপ্তচররা যে সিম কার্ড ব্যবহার করত। তা অ্যাকটিভ করার কাজ ছিল সালিমে ওপরেই। অর্থাৎ হানি ট্র্যাপের পাশাপাশি পাকিস্তানের গুপ্তচরদের ফোনের সিমও সাপ্লাই করত সে। তার এই কার্যকলাপ প্রথম সামনে আসে ২০২১ সালেই।, সে সময়ে অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি ২০২১ সালে, পাকিস্তানি গুপ্তচরদের এই সিম অ্য়াক্টিভেট কার্যকলাপ ধরা পড়ে যায়। এরপরেই নাম সামনে আসে আমন সালিম শেখের।

    টাকার বিনিময়ে এমন কাজ করত সালিম

    এনআইএ (NIA) সূত্রে আরও তথ্য মিলেছে, টাকার বিনিময়ে এমন কাজ করত সে। পাকিস্তানের আইএসআই তাকে (সালিম) পরিচালনা করত। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করা আরও কয়েকজন এজেন্টের নাম সামনে এসেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মীর বালাজ খান ও অলভিন। প্রসঙ্গত, মীর বালাজ খান একজন পাকিস্তানি নাগরিক। ক্রিপ্টো চ্যানেলের মাধ্যমে পাকিস্তানের আইএসআই তাকে যে কাজ দিত তা সে সম্পন্ন করতো। গত বছরের ৬ নভেম্বর ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করে দুজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। এরা হল মনমোহন সুরেন্দ্র পান্ডা এবং আলভেন। প্রসঙ্গত, মনমোহন সুরেন্দ্র পান্ডাকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর হওয়ার অপরাধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভারতে অশান্তি পাকাতে চাইছে পাঁচ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি, কঠোর ব্যবস্থার পথে এনআইএ

    NIA: ভারতে অশান্তি পাকাতে চাইছে পাঁচ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি, কঠোর ব্যবস্থার পথে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী পাঁচ জঙ্গির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA)। এদের প্রত্যেকেরই যোগ রয়েছে খালিস্তান টাইগার ফোর্সের সঙ্গে। খালিস্তান টাইগার ফোর্স নিষিদ্ধ সংগঠন। জানা গিয়েছে, এই পাঁচ জঙ্গি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তান থেকে চালাচ্ছে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ। এই পাঁচ জঙ্গিকে চিহ্নিতও করেছে এনআইএ। এরা হল বলজিৎ সিং ওরফে বলজিৎ মউর, গুজরান্ত সিং, প্রিন্স চৌহান, আমন পুরেওয়াল এবং বিলাল মানসের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশেই শুরু হয়েছে নতুন করে তদন্ত।

    পাঁচ জঙ্গির ষড়যন্ত্র (NIA)

    সম্প্রতি এনআইএ (NIA) জানতে পেরেছে ভারতে অশান্তির সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে এই পাঁচ জঙ্গি। এনআইএ তদন্তের লক্ষ্যই হল, বিদেশের মাটিতে বসে এই জঙ্গিরা যে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের ছক কষছে, তা দুরমুশ করে দেওয়া। এই পাঁচ জঙ্গি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত। এর পাশাপাশি অস্ত্র সংগ্রহ, মাদক পাচার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাতে যে অর্থের প্রয়োজন, সেই অর্থ সংগ্রহ, ভারত বিরোধী কার্যকলাপে যুবকদের উদ্বুদ্ধ করা, তাদের জঙ্গি দলে নিয়োগ করা, হাওয়ালার মাধ্যমে লেনদেন-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। আমেরিকা ও কানাডার মাটিতে বসে খালিস্তানি টাইগার ফোর্সের যে জঙ্গিরা ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে, তা বন্ধ করাই এনআইএর এই অপারেশনের উদ্দেশ্য।

    সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিদেশে আশ্রয় নেওয়া এই জঙ্গিদের সঙ্গে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে। ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে এই জঙ্গিরা ক্রমেই হয়ে উঠছে বিপজ্জনক। তদন্ত চালাতে গিয়ে এনআইএ দেখেছে, পাঞ্জাবের জেলে বন্দি খালিস্তানপন্থীদের কাছ থেকে মদত পাচ্ছে বিদেশে আশ্রয় নেওয়া ওই পাঁচ জঙ্গি। কমলজিৎ শর্মা নামে এক জঙ্গিকে এনিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে এনআইএ। তাকেই মূল চক্রী বলে ঠাউরেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, খালিস্তান টাইগার ফোর্সের সঙ্গে কোঅর্ডিনেট করছে ভারতের জেলে বন্দি এই জঙ্গিরা।

    আরও পড়ুুন: দল লড়ছে মাত্র ১৭টি আসনে, কেজরিওয়াল দেশবাসীকে দিচ্ছেন ফ্রি বিদ্যুতের ‘গ্যারান্টি’!

    তদন্তে জানা গিয়েছে, জেলবন্দি এই সন্ত্রাসবাদীরা খালিস্তানি আন্দোলনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে। এজন্য অপরাধমূলক নানা কাজকর্ম করে তারা। সংগৃহীত অর্থ লেনদেন হয় হাওয়ালার মাধ্যমে। বিদেশে বসে সেই টাকায় অস্ত্রশস্ত্র কিনে ভায়া পাকিস্তান পাঠানো হয় ভারতে (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: শুভেন্দুর গড়ে বিজেপির রোড শোয়ে বোমাবাজি তৃণমূলের! এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন সৌমেন্দু

    NIA: শুভেন্দুর গড়ে বিজেপির রোড শোয়ে বোমাবাজি তৃণমূলের! এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন সৌমেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পটাশপুর থানার ভগবানপুরে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর রোড শোয়ের সামনে বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলই এই বোমাবাজি করেছিল বলে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। এবার সেই ঘটনায় অবশেষে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সৌমেন্দু অধিকারী। পটাশপুরে বোমাবাজিতে পুলিশি অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন সৌমেন্দু। তাঁর আর্জি তদন্ত এনআইএকে (NIA) হস্তান্তর করা হোক। এই আবেদন জানিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (NIA)

    গত ১১ মে পটাশপুরের ভগবানপুরে বিজেপির মিছিলের আগে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভগবানপুর দুই ব্লকের আড়গোয়াল থেকে ইটাবেড়িয়া যাওয়ার সময় সৌমেন্দু অধিকারীর রোড শোর অদূরে রাস্তায় বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। আচমকা বোমের আওয়াজে মিছিলে থাকা কর্মী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলেই অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। এলাকা যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। পরে ক্ষোভে তৃণমূল ও পুলিশকে এরজন্য দায়ী করে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করে। জানা যাচ্ছে, ভগবানপুর বিধানসভা এলাকা ও পটাশপুর থানা এলাকায় বোমাবাজির ঘটনাটি ঘটেছে। বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর রোড শো যাওয়ার আগেই বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ প্রার্থীর। সৌমেন্দুর গাড়ি বেশ কিছুটা দূরে একটু ফাঁকা দেখেই বোমা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবেই তৃণমূল এই কাজ করেছে। মিছিলের ওপর  বোমা ছোড়া হলে বড় বিপদ হতে পারত। অবিলম্বের অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। এই ঘটনার পর এবার এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবি জানানো হল।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, আসানসোলে শাসক দলের দাপাদাপি

    এনআইএ এই ঘটনার তদন্ত করুক

    সৌমেন্দু অধিকারী বলেন,আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাইছি। আর তৃণমূল পায়ে পা লাগিয়ে এভাবে ঝামেলা করতে চাইছে। আমাদের মিছিলের আগে বোমা ছোড়া হল কেন? আসলে তৃণমূল ভয় পেয়েই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে আমার মনে হয়। ভোটের মুখে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করছে। সৌমেন্দুর আইনজীবীর বক্তব্য, শাসকদলের তরফে বোমা ছোড়া হয় মিছিলের দিকে। মামলাকারীর বক্তব্য, এই ঘটনায় অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে পুলিশ। এনআইএ (NIA) এই ঘটনার তদন্ত করুক বলে আর্জি মামলাকারীর। ১৭ মে শুনানির সম্ভাবনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta Highcourt: “তথ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে”, NIA-কে তদন্তভার দিয়েও চিন্তিত হাইকোর্ট

    Calcutta Highcourt: “তথ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে”, NIA-কে তদন্তভার দিয়েও চিন্তিত হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মরশুমে ফের চাপ বাড়ল শাসকদলের উপর। মুর্শিদাবাদের রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় এবার তদন্ত করবে এনআইএ। এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt) । মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন। এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের মন্তব্য, “যত সময় গড়াবে ততই তথ্য প্রমাণ বিকৃতি করার সম্ভাবনা বাড়বে। পুলিশি রিপোর্ট অনুযায়ী বোমা ছোড়ার অভিযোগ রয়েছে।”

    রামনবমীর মিছিলে হামলার তদন্তে এনআইএ (Calcutta Highcourt)

    প্রসঙ্গত গত বছরের মত এবছরও রামনবমীর দিন রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে কোথাও বাড়ি ছাদ থেকে আবার কোথাও মসজিদ থেকে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে আহত হন বহু রাম ভক্ত। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এনআইএকে তদন্তভার দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt) ।  শুক্রবার মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় শুক্রবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় এনআইএ। এর পরই আদালত জানায় মুর্শিদাবাদের রামনবমীর মিছিলে বোমাবাজি ও হামলার ঘটনায় তদন্ত করবে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কী হয়েছিল রামনবমীর মিছিলে

    চলতি বছর রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদের রেজিনগর বিধানসভা এলাকার শক্তিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। প্রথমে একদল দুষ্কৃতী রামনবমীর মিছিলের উপর একতরফা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল আশপাশের বাড়ি থেকে মুখ ঢেকে বোমা ও পাথর ছুঁড়ছে একদল দুষ্কৃতি। শক্তিপুরের পাশাপাশি মানিক্যহার এলাকাতেও মিছিলের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতিরা। বাড়ির ছাদ থেকে মিছিলকে লক্ষ্য করে সেখানেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের তদন্তের দাবি জানিয়ে Calcutta Highcourt) দুটি জনস্বার্থ মামলা হয়।

    আরও পড়ুন: ভক্তদের জন্য সুখবর! অক্ষয় তৃতীয়ায় খুলে গেল কেদারনাথ ধামের দ্বার

    তথ্য প্রমাণ লোপাটের চিন্তা আদালতের (Calcutta Highcourt)

    প্রসঙ্গত এতদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হিংসার ঘটনার তদন্ত করছিল সিআইডি। তবে এনআইয়ের তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার। এখন সেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায়ী তদন্তভার পেল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্ট Calcutta Highcourt) রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। যত দিন যাবে ততদিন মামলার তথ্য প্রমাণ লোপাট করার বিষয়ে চিন্তা প্রকাশ করে আদালত। এমনকি বহরমপুরে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্যে, “যেখানে মানুষ আট ঘণ্টা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারে না, সেখানে ভোটের কোন প্রয়োজন নেই।” একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি জেলাশাসককে নির্দেশ দেন, “ওই জেলায় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে কোন মন্তব্য বা প্রচার করতে পারবেন না রাজনীতিকরা। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নজরদারি রাখতে হবে তাঁকে। এ নিয়ে প্রচার করার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।” মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন। সেদিন প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে এনআইএ-কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Locket Chatterjee: পান্ডুয়ায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে পথে নামলেন লকেট

    Locket Chatterjee: পান্ডুয়ায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে পথে নামলেন লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির পান্ডুয়ায় বোমা বিস্ফোরণে (Pandua Bomb Blast) বালকের মৃত্যুর ঘটনায় এবার এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবি জানিয়ে পথে নামলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ শুধু বলে যাচ্ছে, তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু তিন-চার ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পুলিশের বম্ব স্কোয়াড এসে পৌঁছল না ঘটনাস্থলে। লকেটের (Locket Chatterjee) পাশাপাশি এদিন ঘটনার প্রতিবাদে জিটি রোড অবরোধ করলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। উল্লেখ্য চলতি মাসের ২০ তারিখ পঞ্চম দফায় হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। আর তার আগে এই ঘটনায় তোলপাড় হচ্ছে এলাকা। ভোটের আবহে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে পান্ডুয়ায়। সেই সভাস্থল থেকে কিছুটা দুরেই ঘটল ভয়াবহ ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পান্ডুয়ার তিন্না এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে হঠাৎই প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি পুকুর পাড়ে ছুটে এলে তারা দেখতে পান তিনটি বাচ্চা গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মৃত কিশোরের নাম রাজ বিশ্বাস। আহত দুই জন রুপম বল্লভ ও সৌরভ চৌধুরী। প্রত্যেকেরই বয়স ১১ থেকে ১৩ এর মধ্যে। এই ঘটনার পরেই এলাকায় যান লকেট (Locket Chatterjee)। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। এর পরেই বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে তিন্না মোড়ের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী। 

    লকেটের বক্তব্য (Locket Chatterjee) 

    লকেটে বক্তব্য, ‘‘আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে পান্ডুয়ায়। তাই আমাকে উঠে যেতে বলছে। কিন্তু আমি কী করে উঠব? ওই শিশুর মা আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন, এর পর কী হবে? আমাকে বলছিলেন, ধীরে ধীরে আপনারাও চলে যাবেন তো। পুলিশকে কোনও বিশ্বাস নেই। আমি ঢুকতে গেলাম, বলল ওদিকে যাবেন না। আরও বোম থাকতে পারে, তাহলে বোম স্কোয়াড কোথায়? দু ঘণ্টা আগে থেকে বলছে যে বোম স্কোয়াড এসে গিয়েছে, কিন্তু বোম স্কোয়াড আসেনি। আদৌ বোম স্কোয়াড আসবে? এনআইএ তদন্ত করতে হবে। আশপাশে এ ভাবে বোমা ছড়িয়ে রয়েছে? ভাবতেই পারছি না।’’

    আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রীর পিএ-র পরিচারকের বাড়ি থেকে ২৫ কোটি টাকা উদ্ধার ইডির!

    শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য 

    লকেটের পাশাপাশি এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘গত ১৪ মাসে বোমা বিস্ফোরণে (Pandua Bomb Blast) এই নিয়ে ৯ জন কিশোর বা শিশু মারা গিয়েছে। কেউ বল ভেবে খেলতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মারা গিয়েছে। শৌচাগারে গিয়ে মারা গিয়েছে। জঙ্গলে পা পড়ে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখানে মারা গিয়েছে। আমরা কোন রাজ্য বসবাস করছি? বারুদের স্তূপের উপর পশ্চিমবঙ্গ। কারণ যে রাজনৈতিক দলটিকে দুভার্গ্যবশত তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় নিয়ে আসা হয়েছে, তাঁদের রাজনীতির ভিতটাই বোমা, হিংসা,সন্ত্রাস, দখলদারি। আজকে তাঁদের কারণে গোটা পশ্চিমবঙ্গে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। বগটুইয়ের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন সমস্ত অফিসারদের ছুটি বাতিল করে দিয়ে, ১৫ দিন সময় দিলাম, সমস্ত অস্ত্র উদ্ধার করো। আর তারপরে কতগুলি বিস্ফোরণ পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে?!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA Investigation: দাড়িভিট-ময়না হত্যাকাণ্ডে অবশেষে এফআইআর দায়ের করল এনআইএ, বিপাকে রাজ্য

    NIA Investigation: দাড়িভিট-ময়না হত্যাকাণ্ডে অবশেষে এফআইআর দায়ের করল এনআইএ, বিপাকে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাড়িভিট ও ময়নাহত্যাকাণ্ড ঘটনার তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (NIA Investigation)। রাজ্য পুলিশ এবং সিআইডি তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় নথি দিক, ঠিক এমনটাই দাবি করে আদালতে আবেদন করেছে এনআইএ। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে এই দুই জায়গার ঘটনার তদন্ত একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার উপর অনেকটাই চাপ বাড়ল বলে মনে করেছে ওয়াকিবহল মহল। বিজেপি অবশ্য প্রথম থেকেই রাজ্যের তদন্তে খুশি নয় বলে জানিয়েছিল।

    ২০১৮ সালে দাড়িভিট হত্যাকাণ্ড হয় (NIA Investigation)

    উত্তর দিনাজপুরে দাড়িভিটে এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার ঘটনায় রাজ্য পুলিশ এবং সিআইডি প্রথমে তদন্ত শুরু করেছিল। ঘটনায় মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ২০ সেপ্টেম্বর উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে ঘিরে দুই জন ছাত্র পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। আবার ২০২৩ সালে ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে (NIA Investigation)। ঘটনার আগের তদন্তের সকল নথি পেতে তদন্তকারী সংস্থা এই এফআইআর করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যে তৃতীয় দফা নির্বাচনে ফের প্রচারে ঝড় তুলতে আসছেন অমিত শাহ

    বিজেপির দাবি

    এই দুই জায়গার ঘটনার বিষয়ে তৃণমূলের দিকে নিশানা করে বার বার সরব হয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যে লোকসভার ভোটের মধ্যেই এনআইএ-র ভূমিকা নতুন করে শোরগোল ফেলেছে রাজ্য রাজনীতিতে। দুটি ঘটনায় দেশের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ একান্ত ভাবে জড়িত বলে মনে করে তদন্তকারী সংস্থা। আর তাই এই বিষয়কে নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করতে চায় তাঁরা। গতবছর ১০ মে কলকাতা হাইকোর্ট দাড়িভিট হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছিল এনআইএ-কে। কিন্তু এক বছর হতে চলল পুলিশ কোনও রকম তদন্তে সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ তুলেছে এনআইএ (NIA Investigation)। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছিল এনআইএ তদন্তের। ফলে আগামী দিনে তদন্ত কোন পথে এগিয়ে যায় তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাম নবমীর মিছিলে বোমাবাজি হয়েছে, স্বীকার রাজ্যের, রিপোর্ট জমা হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: রাম নবমীর মিছিলে বোমাবাজি হয়েছে, স্বীকার রাজ্যের, রিপোর্ট জমা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালের মতো চলতি বছরের রাম নবমীতেও (Calcutta High Court) রাজ্যের একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। সব থেকে বড় ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর, বেলডাঙা প্রভৃতি জায়গায়। হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। রাম নবমী সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল শুক্রবারই। রাম নবমীর অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য। রাজ্য সরকার ও পুলিশ সুপার আলাদাভাবে দুটি রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিয়েছে। এদিন হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য পুলিশ সেখানে বোমাবাজি ঘটনা কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।

    বোমাবাজির অভিযোগ 

    প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের শান্তিপুর এলাকায় যখন মিছিল যাচ্ছিল, তখনই বাড়ির ছাদ থেকে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি মিছিলে বোমাবাজিও করা (Calcutta High Court) হয়। এই ঘটনার বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। গোটা এলাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে র‌্যাফ নামাতে হয়।

    পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১০ মে

    প্রসঙ্গত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে বহরমপুরের অশান্তি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল। শুক্রবারই সেই রিপোর্ট আদালতে জমা পড়েছে। জানা গেছে রাজ্যের রিপোর্ট দেখার পরে এনআইএকে এই বিষয়ে আলাদাভাবে একটি রিপোর্ট (Calcutta High Court) জমা দিতে বলা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১০ মে।

    উদ্বেগ প্রকাশ প্রধান বিচারপতির

    এর আগেও এ নিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল এবং তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘যেখানে মানুষ আট ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারেন না, সেখানে এই মুহূর্তে ভোটের প্রয়োজন নেই। কে এই ঘটনায় প্ররোচনা দিল, তা জানা দরকার।’’

    কী জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী

    মামলাকারী আইনজীবী কৃষ্ণেন্দু সরকার জানান, সিআইডি-র তরফে ঘটনার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় আদালতে। সেই রিপোর্ট দেখার পরই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি। কেন্দ্রীয় সংস্থার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। ১০ তারিখ তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengaluru Blast: ২ নয়, ৩ জঙ্গি আসে বাংলায়! ধৃতদের মুখোমুখি জেরার প্রস্তুতি এনআইএ-র

    Bengaluru Blast: ২ নয়, ৩ জঙ্গি আসে বাংলায়! ধৃতদের মুখোমুখি জেরার প্রস্তুতি এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণের (Bengaluru Blast) ঘটনায় জড়িত দু’জন নয়, বরং তিনজন জঙ্গিই শহরে এসেছিল।  এই তিন জঙ্গি এখন এনআইএ-র হাতে বন্দি।  এনআইএ’র দাবি, তৃতীয়জনের নাম মুজাম্মিল শরিফ। বিস্ফোরণের ঘটনায় তাকেই চেন্নাই থেকে প্রথম গ্রেফতার করেছিল এনআইএ ৷ এবার তাই নিউ দিঘা থেকে গ্রেফতার আবদুল মাতিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন সাজিবের সঙ্গে মুজাম্মিল শরিফকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান এনআইএ’র আধিকারিকরা।

    কেন কলকাতায় ৩ জঙ্গি

    এনআইএ সূত্রে খবর,  ত্বহা এবং সাজিব দু’জনেই জঙ্গি সংগঠন আইএসের ‘আল হিন্দ’ মডিউলের সদস্য। সন্দেহ করা হচ্ছে, সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ পালানোর ছক ছিল ত্বহা এবং সাজিবের। তাই এ রাজ্যে এসেছিল তারা। এখানে কে তাদের পালাতে সাহায্য করত সে বিষয়েও খোঁজ শুরু হয়েছে । ‘আল হিন্দ’ মডিউলের এখানে কোনও গোপন গোষ্ঠীর কাজ করছে কি না, তাও খুঁজে দেখছেন গোয়েন্দারা। ।গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, গত ১০ মার্চ রাজ্যে এসেছিল ত্বহা এবং শাজিব। এরপর ১২ তারিখ ধর্মতলার দু’টি হোটেলে পরপর দু’দিন আশ্রয় নেয় তারা। তবে এর মাঝে তারা কোথায় ছিল সেটা এখনও জানা যায়নি। কলকাতা থেকে পুরুলিয়া এবং দার্জিলিং গিয়েছিল। এরপর ২১ মার্চ ফের কলকাতায় ফিরে এসে খিদিরপুর এবং একবালপুরের হোটেলে উঠেছিল। ২৪ মার্চ, এক দিনের জন্য তারা বেপাত্তা ছিল। এরপর ২৮ মার্চ হাওড়া থেকে বাস ধরে দিঘায় গিয়েছিল বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। বাংলায় নানা জায়গায় গা ঢাকা দেওয়ার জন্য তাদের অর্থের প্রয়োজন ছিল। সেই অর্থের যোগান দিতে তৃতীয় ব্যক্তি মুজাম্মিল শরিফ কলকাতায় এসেছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। টাকা দিয়েই সে বাংলা ছেড়ে চলে যায়। এরপর তাকে ধরে এনআইএ। মুজাম্মিলকে ধরতেই তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ সাজিবদের বিষয়ে জানতে পারে। 

    আরও পড়ুন: বৈশাখ পড়তেই বাড়ছে গরম, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    বেসরকারি পরিবহণে নজর

    দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটতে প্রয়োজন পড়ে পরিচয়ত্রের ৷ কিন্তু দূরপাল্লার বাসের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র না থাকলেও মেলে টিকিট ৷ সেই কারণেই ট্রেনের বদলে বাসযাত্রাকেই নিরাপদ মনে করেছিল দুই জঙ্গি ৷ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাসেই ঘোরাঘুরি করেছে বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে (Bengaluru Blast) বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই অভিযুক্ত ৷ এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে ধর্মতলার একটি নামী বেসরকারি পরিবহণ সংস্থা এখন এনআইএ-র তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে ৷ এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ হোক বা অন্য কোনও জায়গা, তারা দূরপাল্লার বাসেই যাতায়াত করেছে ৷ ট্রেন তারা একেবারেই ব্যবহার করেনি৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: মাও-সম্পৃক্ত ১৭টি মামলা এনআইএর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রের

    Chhattisgarh: মাও-সম্পৃক্ত ১৭টি মামলা এনআইএর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১৭টি মামলা এনআইএর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) পুলিশকে কেন্দ্রের তরফে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলাগুলিতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নিরাপত্তা রক্ষী খুনের মামলাও রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসেই মাওবাদীদের নিয়ে রায়পুরে সংশ্লিষ্ট সব মহলকে নিয়ে রিভিউ মিটিং করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠায় গত বছর এনআইএ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছিল। ওই ১৭টি মামলার দায়িত্ব পেলেও এনআইএ কড়া পদক্ষেপ করবে বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

    মাও-দমনে কড়া পদক্ষেপ (Chhattisgarh)

    গত কয়েক বছর ধরেই মাওবাদীদের দমন (Chhattisgarh) করতে কড়া পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে মাও অধ্যুষিত বিভিন্ন রাজ্যে অভিযানও চালিয়েছে সেন্ট্রাল আর্মড ফোর্স। সূত্রের খবর, ছত্তিশগড়, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র এবং ওড়িশায় গত কয়েক বছর ধরে অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী। অভিযান চালানো হয়েছে ঝাড়খণ্ড ও অন্ধ্রপ্রদেশের প্রত্যন্ত এলাকায়ও। কিন্তু কেন্দ্র চাইছে তদন্তের জাল আরও বিস্তার হোক। সেই কারণেই ছত্তিশগড়ে রাজ্য সরকার বদলে যেতেই ১৭টি মামলা এনআইএর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস দুর্নীতির আখড়া, ওদের অবস্থা বিগবসের মতো”, তোপ রাজনাথের

    মামলার প্রকৃতি

    যে ১৭টি মামলা এনআইএর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্র দিয়েছে, সেগুলি বস্তারের বীজাপুর, সুকমা ও নারায়ণপুর এবং সীমানা লাগোয়া দুই জেলা মোহালা মানপুর ও গড়িয়াবাঁধের ঘটনার প্রেক্ষিতে। প্রতিটি মামলাই রেজিস্ট্রার্ড হয়েছিল ২০২৩-২০২৪ সালের মধ্যে। এই ১৭টি মামলার মধ্যে আটটি মামলা রয়েছে খুনের। তার মধ্যে আবার দুই বিজেপি কর্মী খুনের মামলাও রয়েছে। এই দুই বিজেপি কর্মী হলেন বিরজু তারাম ও রতন দুবে। পাঁচজন নিরীহ মানুষ খুনে দায়ের হয়েছিল তিনটি মামলা। মাওবাদীরা এঁদের খুন করেছিল। পুলিশের চর সন্দেহে খুন করা হয় তাঁদের। এঁদের মধ্যে ছিলেন বছর সাতাশের প্রাক্তন মাওবাদী কিষান কুরসাম ওরফে ছোটু। আত্মসমর্পণ করার পর গত ডিসেম্বরেই খুন করা হয় তাঁকে। নিরাপত্তা রক্ষী খুনে দায়ের হয়েছে তিনটি মামলা (Chhattisgarh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share