Tag: NIA

NIA

  • Bhupatinagar Blast: বিস্ফোরণে উড়ে যায় তৃণমূল নেতার বাড়ি, উদ্ধার হয়  তিনজনের দেহ, সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল?

    Bhupatinagar Blast: বিস্ফোরণে উড়ে যায় তৃণমূল নেতার বাড়ি, উদ্ধার হয় তিনজনের দেহ, সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। ঠিক তার আগের রাতে ২ ডিসেম্বর সভাস্থল থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়ি বিস্ফোরণে উড়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঁথির ভগবানপুর-২ ব্লকের ভূপতিনগর (Bhupatinagar Blast) থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে মৃত্যু হয় রাজকুমার-সহ তিন জনের। যদিও বাড়ি থেকে ওই তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়নি।

    তিন জায়গা থেকে তিনজনের ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার হয় (Bhupatinagar Blast)

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে (Bhupatinagar Blast) মৃত্যু হয় তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না ও তাঁর দুই ভাই বিশ্বজিৎ গায়েন ও বুদ্ধদেব মান্না ওরফে লালু। চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী লতা মান্না। তিনি বলেছিলেন, ঘটনার পরই কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁরাই দেহ বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু, কোথায় নিয়ে গিয়েছেন, তা জানেন না। পরদিন বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে পৃথক তিন জায়গা থেকে তিনজনের ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ ঘটে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে গোড়া থেকে অভিযোগ করছে বিজেপি নেতৃত্ব। তা নিয়েই সন্দেহ দানা বাঁধে। প্রশ্ন ওঠে, তবে কি মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা করা হচ্ছিল? আর কেউ আহত কিংবা মারা গেছেন কি না, তা নিয়েও তৈরি হয় ধোঁয়াশা।

    আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এনআইএ-র উপর হামলা হয়েছে”, ভূপতিনগরের ঘটনায় সরব সুকান্ত-শুভেন্দু

    এনআইএ তদন্তের দাবি তোলে বিজেপি

    এনআইএ তদন্তের দাবি তোলে বিজেপি। চিঠি লেখা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। ভূপতিনগর বিস্ফোরণ (Bhupatinagar Blast) কাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসুর সঙ্গে দেখা করেন ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি। কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। মামলাকারীদের অভিযোগ, ঘটনার পর থেকে কয়েকদিন কেটে গেলেও সেখানে ফরেনসিক দল পৌঁছয়নি। তার ফলে প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হোক এনআইএ–কে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরণের ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছিলেন।

     এনআইএ-এর ওপর হামলা

    ২০২৩ সালের জুন মাসে ওই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-কে দেয় হাইকোর্ট। বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে চলতি বছরের মার্চ মাসে ৮ তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠায় এনআইএ। কলকাতার এনআইএ দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানবকুমার পয়রা, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুবীর মাইতি-সহ মোট ৮ জনকে তলব করা হয়। যদিও তাঁরা কেউ হাজিরা দেননি। এর আগে ৩ জনকে তলব করা হয়েছিল। যদিও তাঁরাও হাজিরা দেননি। সেই ঘটনার তদন্তে এবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে (Bhupatinagar Blast) গিয়ে আক্রান্ত হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি এনআইএ। ভূপতিনগর বিস্ফোরণ মামলায় তদন্তে গিয়েছিলেন এনআইএর-র তদন্তকারীদের একটি দল। সেই দলের ওপরেই হামলা হয়েছে। তদন্তকারীদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময়েই হামলা হয়। ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। হামলার ঘটনায় দুই এনআইএ আধিকারিক আহত হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ভূপতিনগরে আক্রান্ত এনআইএ, হামালাকারীদের সমর্থন মুখ্যমন্ত্রীর, কীসের স্বার্থে?

    Mamata Banerjee: ভূপতিনগরে আক্রান্ত এনআইএ, হামালাকারীদের সমর্থন মুখ্যমন্ত্রীর, কীসের স্বার্থে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তভার রয়েছে এনআইএ-র ওপর। নিয়ম মেনে এই ঘটনায় ৮ জনকে তলব করা হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে গিয়ে শনিবার সাত সকালে আক্রান্ত হন এনআইএ আধিকারিকরা। মূলত তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তৃণমূলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিন্দার পরিবর্তে হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়ালেন। এনআইএ-এর তদন্ত নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুললেন। যা নিয়ে বিরোধীরা তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেছে। রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

    ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? (Mamata Banerjee)

    শনিবার রায়গঞ্জে রাত্রিযাপন করে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অডিটোরিয়াম মাঠে হেলিকপ্টারে ওঠার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “ওরা কি পুলিশকে জানিয়ে গেছিলো? ওরা কেন মধ্যরাত্রে পুলিশকে না জানিয়ে যাচ্ছে? নিয়ম হচ্ছে লোকাল পুলিশকে জানিয়ে যাওয়া। মধ্যরাতে যদি গ্রামের লোক দেখে হঠাৎ করে কিছু লোক আসছে পুলিশের ড্রেস পরে, তারা কি করে বুঝবে কিসের জন্য? আর নির্বাচনের আগে কেন গ্রেফতার করবে? যদি সবাইকে গ্রেফতার করে, বিজেপি কী মনে করে, সব বুথ এজেন্টদের গ্রেফতার করবে, সব ভোট ম্যানেজারদের গ্রেফতার করবে? এসব করে ওরা ভোটে জিতবে? শূন্য, শূন্যে গুলি ছুড়ছে। কি অধিকার আছে এনআইএ-র? শুধু বিজেপিকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। বিজেপি নোংরামি খেলা খেলছে। আমরা সারা পৃথিবীতে এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলব!”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    মমতার নির্দেশে এনআইএ হামলা, সুকান্ত

    বিরোধীদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যদি হামলাকারীদের এভাবে পাশে দাঁড়ায়, তাহলে থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখাতে পারবে না। হামলাকারীদের এভাবে মদত দেওয়ার অর্থ, তিনিও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভূপতিনগর হামলা কাণ্ডে থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করল এনআইএ

    NIA: ভূপতিনগর হামলা কাণ্ডে থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে এনআইএ  (NIA)। ঘটনার তদন্তে নেমে এনআইএ-র পক্ষ থেকে নিয়ম মেনে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের তলব করার পরও হাজিরা দেননি কেউ। এবার সেই ঘটনার তদন্তে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে হানা দিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। যা নিয়ে আপত্তি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, যখন তদন্তকারীরা ওই দু’জনকে নিয়ে যাচ্ছিলেন গাড়িতে করে, তখনই হামলা চালানো হয়। এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসী। গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। দুই এনআইএ আধিকারিক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা ঘটনায় ভূপতিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    থানায় অভিযোগ করলেন এনআইএ আধিকারিকরা (NIA)

    বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূপতিনগর থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করলেন এনআইএ (NIA) অফিসাররা। জানা গিয়েছে, হামলার জেরে আহত হয়েছেন দুজন অফিসার। গাড়ি আটকে, গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, তাদের ওপর হামলা চালানো সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কয়েকজন ব্যক্তির নাম রয়েছে, যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এর মধ্যে তৃণমূল নেতাদের নাম রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    কলকাতা রওনা হয়েছেন এনআইএ আধিকারিকরা

    ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এনআইএ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। শনিবার সকালে ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে গ্রামে যায় এনআইএ-র (NIA) একটি দল। সেখানে আক্রান্ত হওয়ার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে, কলকাতা রওনা হয়েছেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    NIA: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ছায়া দেখা গেল এবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে। ফের আক্রান্ত হল কেন্দ্রীয় সংস্থা(NIA)। তৃণমূল কর্মীকে আটক করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তথা এনআইএ-র অফিসারদের। ভূপতিনগরে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্ত করতে গিয়েই এভাবে আধিকারিকদের হামলার শিকার হতে হল বলে অভিযোগ। ভোটের মুখে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (NIA)

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। মৃত্যুও হয়েছিল কয়েক জনের। সেই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে সেই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই হামলার মুখে পড়ল এনআইএ (NIA)। জানা যাচ্ছে, ভূপতিনগর বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে নোটিস পাঠিয়েছিল এনআইএ। তাঁরা হাজিরা না দেওয়ায় আশপাশের গ্রামে তল্লাশিতে যান আধিকারিকরা। সেই তালিকাতেই ছিলেন তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতি। সূত্রের খবর, এনআইএ তলব করলেও তিনি নির্ধারিত দিনে হাজিরা দেননি। তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতির বাড়িতে যাওয়ার পথেই এই হামলার ঘটনা বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, প্রায় ৩-৪ জন অফিসারের সঙ্গে ছিল ২০-২৫ জনের কেন্দ্রীয় বাহিনী। বলাইকে গাড়িতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলাইকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি করতে থাকেন বলে সূত্রের দাবি। এর পরেই এনআইএ-র গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। দুই এনআইএ আধিকারিক সামান্য আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেও হয় ধস্তাধস্তি। রাতের অন্ধকারে ছোড়া হয় ইট, গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। যদিও ধস্তাধস্তির পরও বলাই মাইতিকে আটক করতে পেরেছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ! মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি

    প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি কার্যত একইভাবে হামলার মুখে পড়েছিল ইডি। সে বার ইডি হানা দিয়েছিল সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের ডেরায়। সাতসকালে গিয়ে শাহজাহানের অনুগামীদের হামলার মুখে পড়েন ইডির আধিকারিকেরা। একাধিক ইডি আধিকারিক আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। তার জের মিটে না মিটতেই ফের হামলার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ফের পুলিশে অনাস্থা! ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ফের পুলিশে অনাস্থা! ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় সরাসরি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব নিতে এনআইএ-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে এনআইএ-কে। ভোটের আগে রাজ্যের একটি মামলায় হাইকোর্ট ফের এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় অস্বস্তি বাড়ল রাজ্য সরকারের।

    বিচারপতির বক্তব্য

    একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “এটা দুর্ভাগ্যজনক। হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে কোনও পদক্ষেপ করতে আগ্রহ দেখায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সময় কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতে জানান, তিনি চিঠি দিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশের কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চিঠির কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। যা শুনে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে হাই কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে আগ্রহ দেখায়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।’’ তার পরই তিনি সরাসরি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেন। 

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ইস্তাহারে তাইল্যান্ড, নিউইয়র্কের ছবি! সমালোচনা বিজেপির

    কী ঘটেছিল

    গত বছর, ১ মে পঞ্চায়েত ভোটের আগে, বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে  অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দিন বিকেল ৫টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে, বিজেপি নেতার স্ত্রী-ছেলেকে মারধর করে, বাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ছিল। অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ওই দিন, রাতেই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হয় বিজয়কৃষ্ণের দেহ। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল। নেতা খুনের প্রতিবাদে গভীর রাতে ময়না থানার সামনে বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengaluru Cafe Blast Case: বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে ২ অভিযুক্তের সন্ধান দিলেই ২০ লাখ পুরস্কার!

    Bengaluru Cafe Blast Case: বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে ২ অভিযুক্তের সন্ধান দিলেই ২০ লাখ পুরস্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bengaluru Cafe Blast Case) দুই সন্দেহভাজনের হদিশ দিলেই মিলবে ২০ লাখ টাকার পুরস্কার। শুক্রবারই এমন ঘোষণা করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এনআইএ তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিদের মধ্যে এক জনেরও তথ্যও জানা থাকলে যে কেউ সেটি info.blr.nia@gov.in-এই ইমেল আইডির মাধ্যমে এনআইএ-কে জানাতে পারেন। অথবা সরাসরি ফোন করেও এনআইএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন যে কোনও ব্যক্তি।

    গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত 

    প্রসঙ্গত, রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের (Bengaluru Cafe Blast Case) ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তের নাম মুজাম্মিল শরিফ। বিস্ফোরণের ঘটনার ২৭ দিনের মাথায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে ধরতে উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, তামিলনাড়ুর ২৭ জায়গায় চলে তল্লাশি। শাবির নামের এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেই উঠে আসে মুজাম্মিলের নাম। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। তবে দু’জনের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। এনআইএ সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্তের নাম মুসাভির শাজিব হুসেন এবং আব্দুল মাঠিন আহমেদ। এই দু’জনেই ২০২০ সালের অন্য একটি সন্ত্রাসবাদের মামলায় জড়িত ছিল বলে জানা যায়। এনআইএ-র দাবি, মুজাম্মিলের সঙ্গে শাজিব এবং আব্দুল এই ঘটনা সঙ্গে যুক্ত ছিল। আপাতত ২ জঙ্গিকে ধরতেই জনগণের সাহায্য চায় তারা।

    শাজিব এবং আব্দুল দুজনেই বর্তমানে তাদের পরিচয় গোপন করে রেখেছে

    এনআইএ-র তরফে আরও জানা গিয়েছে, শাজিব এবং আব্দুল দুজনেই বর্তমানে তাদের পরিচয় গোপন (Bengaluru Cafe Blast Case) করে রেখেছে। গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে তাদের ছদ্মনামও, যা ব্যবহার করে দুজনে ক্যাফেতে ঢোকে। মহম্মদ জুনেদ সাঈদ ছদ্মনাম ব্যবহার করছে শাজিব এবং আব্দুল নিজেকে হিন্দু পরিচয়ের ছদ্মবেশে ক্যাফেতে ঢোকে। আব্দুলের হিন্দু নাম ভিগনেশ। এই নামে সে নামে জাল আধার কার্ডও বানিয়েছে।

    বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি ছিলনা 

    প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে (Bengaluru Cafe Blast Case) ঢুকে বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ রেখে আসে অপরিচিত এক ব্যক্তি। তাতে টাইমার সেট করা ছিল বলে জানা যায়। ঠিক এক ঘণ্টা পরে হয় বিস্ফোরণ। ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও তাতে ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি ছিলনা। এরফলে অভিঘাত তেমন জোরালো হয়নি। আর হতাহত কেউ হয়নি। ৩ মার্চই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের তলব করল এনআইএ

    NIA: ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের তলব করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার এনআইএ তলব করল। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুরের বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা এবং স্থানীয় থানার ওসিকে তলব করল এনআইএ (NIA)। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে  লোকসভা নির্বাচনের মুখে ফের শিরোনাম ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ড। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল ভূপতিনগরে? (NIA)

    ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর থানা এলাকায় নাড়ুয়াবিড়লা গ্রাম। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেখানেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় ৩ জনের। বাজি তৈরি করার সময় এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে নিহতদের একজনের স্ত্রী থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, তা এক তৃণমূল নেতার বাড়ি বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লেখা হয়। তার পরেই এনআইএ (NIA) তদন্ত শুরু হয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে তলব করেছিল এনআইএ। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের তৃণমূল নেতাদের তলব করল এননআইএ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিজেপি-র অঙ্গুলিহেলনে কেন্দ্রীয় সংস্থা বেছে বেছে তৃণমূল নেতাকে নোটিস পাঠাচ্ছে বলেই দাবি শাসক দলের নেতৃত্বের।

    আরও পড়ুন: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী সাফাই?

    এনআইএ সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতাদের বৃহস্পতিবার কলকাতার এনআইএ (NIA) দফতরে তলব করেছে। শাসক শিবিরের নেতারা নোটিস পাওয়ার পরই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, “পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে। বিজেপি হারছে। তাই ভয়ংকর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তৃণমূল নেতাদের নতুন করে এনআইএ নোটিস পাঠানো শুরু করেছে। যাতে ভোটের আগে প্রচারের সময় মাঠ ফাঁকা করা যায়। গোটাটাই ভোটের লক্ষ্যে চক্রান্ত। এর বিরুদ্ধে মানুষ গর্জে উঠবে। আমাদের কোনও কর্মী বা নেতা এই নোটিসে সাড়া দেবে না। আইনি পথে পদক্ষপ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: দাড়িভিটকাণ্ডে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: দাড়িভিটকাণ্ডে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালের দাড়িভিটকাণ্ডে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court) এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর কেটে গিয়েছে ১০ মাস। কিন্তু সিআইডি এই মামলা সংক্রান্ত কোনও নথি এখনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেয়নি। এর পাশাপাশি পুলিশের গুলিতে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও পালন করেনি রাজ্য। তাই শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও এডিজি সিআইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে রুল ইস্যু করল কলকাতা হাইকোর্ট। 

    কী বললেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার

    এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ দেন, আগামী শুনানিতে ওই অফিসারদের এজলাসে হাজির হয়ে জানাতে হবে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট পদক্ষেপ করবে না। জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ এপ্রিল। প্রসঙ্গত, গত বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের মে মাসে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। ওই নির্দেশ দিতে গিয়ে ২০২৩ সালের ১০ মে বিচারপতি মান্থার বলেন, ‘‘পুলিশের রিপোর্টেই সেখানে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ফলে এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত প্রয়োজন।’’ সেদিনই তদন্ত সংক্রান্ত নথি এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। এর পরে দাড়িভিটে গিয়ে নিহত ২ ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলে আসেন এনআইএ-র আধিকারিকরা। কিন্তু ১০ মাস পার হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য।

    ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের ঘটনা

    ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটের একটি স্কুলে বাংলা শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে পড়ুয়া এবং এলাকাবাসী। অভিযোগ ছিল, ওই স্কুলে বাংলা শিক্ষকের প্রয়োজন থাকলেও নিয়োগ করা হয়েছে উর্দু শিক্ষক। আন্দোলনে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। মৃত্যু হয় দুই প্রাক্তন ছাত্রের। মৃতদের পরিবার অভিযোগ করে, পুলিশের গুলিতেই এই মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)।

    আরও পড়ুুন: ‘সরকারি চাকরির মূল্য শুনলে চমকে যাবেন’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কী বললেন বিচারপতি সিনহা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: মহম্মদবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা নিল এনআইএ

    Birbhum: মহম্মদবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা নিল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রভাবশালী শাসক দলের নেতার যোগের ইঙ্গিত মিলল। ধৃত তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, বেআইনি অস্ত্র এবং বিস্ফোরক জোগানে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। পাওয়া গিয়েছে অডিও মেসেজ। ঘটনায় জেলার রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    এনআইএ সূত্রে খবর (Birbhum)?

    এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদবাজার (Birbhum) বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা ইসলাম চৌধুরির ভয়েস স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয়েছে। বিস্ফোরক এবং অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য শাসক দলের অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তথ্যের সত্যতা পরীক্ষা করতে এই তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত এই তৃণমূল নেতার মোবাইল থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অডিও পাওয়া গিয়েছে। এই সব বার্তালাপের মধ্যে বিস্ফোরণ সংক্রান্ত অনেক তথ্যের সূত্র লুকিয়া থাকার ইঙ্গিত রয়েছে। একই ভাবে তদন্তকারী অফিসারদের কাছে এই তৃণমূল নেতার সঙ্গে কেষ্টর দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের নামও উঠে এসেছে। এই দেহরক্ষী বর্তমানে গরুপাচার মামলায় তাঁর গুরু অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন। সংগৃহীত নমুনা প্রথমে আদলাতে, এরপর সিএফএসএলে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

    উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর বিস্ফোরক

    ২০২২ সালে বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজারে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে একটি গাড়ি থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল এসটিএফ। গাড়ির চালককে জেরা করে আরও ২৭ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ১ হাজার ৯২৫ কেজি জিটেলিন স্টিক এবং ২ হাজার ৩২৫ টি ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়। এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তদন্তের ভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর উপর। এই তদন্তকে ঘিরে শাসক দল ফের একবার চাপের মুখে পড়েছে বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গ্রেফতার পুরুলিয়ায়, মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা

    Purulia: মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গ্রেফতার পুরুলিয়ায়, মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গলমহলের পুরুলিয়ায় (Purulia) ফের নতুন করে সশস্ত্র মাওবাদী কার্যকলাপ সক্রিয় করে তোলার ছক কষা হচ্ছিল। এবার পুলিশের জালে গ্রেফতার হল কুখ্যাত মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গোস্বামী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর ফলে বড় রকমের নাশকতামূলক চক্রান্তকে নস্যাৎ করা গিয়েছে। এই মাওবাদী নেতা সিপিআই (মাওবাদী) শাখার কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সদস্য। তার একাধিক ছদ্মনাম ওরফে বাবু, ওরফে কিশোর, ওরফে পঙ্কজ। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এই মাওবাদী নেতার মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ১০ লক্ষ টাকা।

    উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার করিডরের পরিকল্পনা (Purulia)

    সব্যসাচী গোস্বামীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানা এলাকার এইচবি সোদপুর রোড ৬ নম্বর এলাকায়। তার পরিকল্পনায় ছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার করিডর রচনা করা। ২০২২ সালে অসমের গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে মাও কার্যকলাপের জন্য মামলা রুজু করা হয়েছিল তার নামে। বর্তমানে সে ছিল পূর্ব ক্ষেত্রের বুরোর সক্রিয় সদস্য। পুরুলিয়া (Purulia) থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বড় সাফল্য এসেছে। শুক্রবার স্থানীয় বেলগুমা পুলিশ লাইনে তাকে আনার কথা। এরপর আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    মোট ৫ বার গ্রেফতার

    এই নিয়ে মাও নেতা সব্যসাচী গোস্বামী মোট ৫ বার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল। ২০২১ সালে অসমের গোলাঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। ২০১৮ সালে মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থেকে এসটিএফ গ্রেফতার করেছিল তাকে। ঠিক তারও আগে ২০০৫ সালে একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। কিন্তু প্রত্যেক বার জামিন পেয়ে আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যেত সব্যসাচী। এছাড়াও ২০২১ সালে একাধিকবার যেমন-২০২২ সালে বাঁকুড়ার বাড়িকূল থানা এলাকায় এবং ২০২৩ সালে ঝাড়গ্রামের ধরমপুর থেকে বারবার পুলিশের হাতে এসেও অল্পের জন্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় সে। কিন্তু পুরুলিয়াতে (Purulia) বেশ কিছুদিন সক্রিয় ছিল এই মাও নেতা।

    অস্ত্র চালাতে পারদর্শী সব্যসাচী

    সিপিআই (মাওবাদী) কলকাতা সিটি কমিটির সম্পাদক হয়েছিল সব্যসাচী। ২০০৪ সালেই রাজ্য কমিটির সদস্য পদ পেয়েছিল এই মাওবাদী নেতা। ২০১৮ সালের পর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়। নোনাডাঙা উচ্ছেদ কমিটির সদস্য হিসেবে বিশেষ ভূমিকা ছিল তার। ছাত্রজীবনে নকশাল নেতা সন্তোষ রানার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল। মূলত তাত্ত্বিক মাওবাদী নেতা হলেও অস্ত্র চালাতে পারদর্শী সব্যসাচী। বাংলায় মাওবাদী সংগঠনকে শক্তিশালী করাই একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল তার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share