Tag: NIA

NIA

  • NIA: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    NIA: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ছায়া দেখা গেল এবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে। ফের আক্রান্ত হল কেন্দ্রীয় সংস্থা(NIA)। তৃণমূল কর্মীকে আটক করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তথা এনআইএ-র অফিসারদের। ভূপতিনগরে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্ত করতে গিয়েই এভাবে আধিকারিকদের হামলার শিকার হতে হল বলে অভিযোগ। ভোটের মুখে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (NIA)

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। মৃত্যুও হয়েছিল কয়েক জনের। সেই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে সেই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই হামলার মুখে পড়ল এনআইএ (NIA)। জানা যাচ্ছে, ভূপতিনগর বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে নোটিস পাঠিয়েছিল এনআইএ। তাঁরা হাজিরা না দেওয়ায় আশপাশের গ্রামে তল্লাশিতে যান আধিকারিকরা। সেই তালিকাতেই ছিলেন তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতি। সূত্রের খবর, এনআইএ তলব করলেও তিনি নির্ধারিত দিনে হাজিরা দেননি। তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতির বাড়িতে যাওয়ার পথেই এই হামলার ঘটনা বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, প্রায় ৩-৪ জন অফিসারের সঙ্গে ছিল ২০-২৫ জনের কেন্দ্রীয় বাহিনী। বলাইকে গাড়িতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলাইকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি করতে থাকেন বলে সূত্রের দাবি। এর পরেই এনআইএ-র গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। দুই এনআইএ আধিকারিক সামান্য আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেও হয় ধস্তাধস্তি। রাতের অন্ধকারে ছোড়া হয় ইট, গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। যদিও ধস্তাধস্তির পরও বলাই মাইতিকে আটক করতে পেরেছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ! মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি

    প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি কার্যত একইভাবে হামলার মুখে পড়েছিল ইডি। সে বার ইডি হানা দিয়েছিল সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের ডেরায়। সাতসকালে গিয়ে শাহজাহানের অনুগামীদের হামলার মুখে পড়েন ইডির আধিকারিকেরা। একাধিক ইডি আধিকারিক আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। তার জের মিটে না মিটতেই ফের হামলার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ফের পুলিশে অনাস্থা! ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ফের পুলিশে অনাস্থা! ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় সরাসরি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব নিতে এনআইএ-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে এনআইএ-কে। ভোটের আগে রাজ্যের একটি মামলায় হাইকোর্ট ফের এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় অস্বস্তি বাড়ল রাজ্য সরকারের।

    বিচারপতির বক্তব্য

    একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “এটা দুর্ভাগ্যজনক। হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে কোনও পদক্ষেপ করতে আগ্রহ দেখায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সময় কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতে জানান, তিনি চিঠি দিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশের কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চিঠির কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। যা শুনে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে হাই কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে আগ্রহ দেখায়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।’’ তার পরই তিনি সরাসরি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেন। 

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ইস্তাহারে তাইল্যান্ড, নিউইয়র্কের ছবি! সমালোচনা বিজেপির

    কী ঘটেছিল

    গত বছর, ১ মে পঞ্চায়েত ভোটের আগে, বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে  অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দিন বিকেল ৫টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে, বিজেপি নেতার স্ত্রী-ছেলেকে মারধর করে, বাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ছিল। অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ওই দিন, রাতেই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হয় বিজয়কৃষ্ণের দেহ। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল। নেতা খুনের প্রতিবাদে গভীর রাতে ময়না থানার সামনে বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengaluru Cafe Blast Case: বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে ২ অভিযুক্তের সন্ধান দিলেই ২০ লাখ পুরস্কার!

    Bengaluru Cafe Blast Case: বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে ২ অভিযুক্তের সন্ধান দিলেই ২০ লাখ পুরস্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bengaluru Cafe Blast Case) দুই সন্দেহভাজনের হদিশ দিলেই মিলবে ২০ লাখ টাকার পুরস্কার। শুক্রবারই এমন ঘোষণা করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এনআইএ তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিদের মধ্যে এক জনেরও তথ্যও জানা থাকলে যে কেউ সেটি info.blr.nia@gov.in-এই ইমেল আইডির মাধ্যমে এনআইএ-কে জানাতে পারেন। অথবা সরাসরি ফোন করেও এনআইএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন যে কোনও ব্যক্তি।

    গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত 

    প্রসঙ্গত, রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের (Bengaluru Cafe Blast Case) ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তের নাম মুজাম্মিল শরিফ। বিস্ফোরণের ঘটনার ২৭ দিনের মাথায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে ধরতে উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, তামিলনাড়ুর ২৭ জায়গায় চলে তল্লাশি। শাবির নামের এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেই উঠে আসে মুজাম্মিলের নাম। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। তবে দু’জনের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। এনআইএ সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্তের নাম মুসাভির শাজিব হুসেন এবং আব্দুল মাঠিন আহমেদ। এই দু’জনেই ২০২০ সালের অন্য একটি সন্ত্রাসবাদের মামলায় জড়িত ছিল বলে জানা যায়। এনআইএ-র দাবি, মুজাম্মিলের সঙ্গে শাজিব এবং আব্দুল এই ঘটনা সঙ্গে যুক্ত ছিল। আপাতত ২ জঙ্গিকে ধরতেই জনগণের সাহায্য চায় তারা।

    শাজিব এবং আব্দুল দুজনেই বর্তমানে তাদের পরিচয় গোপন করে রেখেছে

    এনআইএ-র তরফে আরও জানা গিয়েছে, শাজিব এবং আব্দুল দুজনেই বর্তমানে তাদের পরিচয় গোপন (Bengaluru Cafe Blast Case) করে রেখেছে। গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে তাদের ছদ্মনামও, যা ব্যবহার করে দুজনে ক্যাফেতে ঢোকে। মহম্মদ জুনেদ সাঈদ ছদ্মনাম ব্যবহার করছে শাজিব এবং আব্দুল নিজেকে হিন্দু পরিচয়ের ছদ্মবেশে ক্যাফেতে ঢোকে। আব্দুলের হিন্দু নাম ভিগনেশ। এই নামে সে নামে জাল আধার কার্ডও বানিয়েছে।

    বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি ছিলনা 

    প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে (Bengaluru Cafe Blast Case) ঢুকে বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ রেখে আসে অপরিচিত এক ব্যক্তি। তাতে টাইমার সেট করা ছিল বলে জানা যায়। ঠিক এক ঘণ্টা পরে হয় বিস্ফোরণ। ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও তাতে ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি ছিলনা। এরফলে অভিঘাত তেমন জোরালো হয়নি। আর হতাহত কেউ হয়নি। ৩ মার্চই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের তলব করল এনআইএ

    NIA: ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের তলব করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার এনআইএ তলব করল। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুরের বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা এবং স্থানীয় থানার ওসিকে তলব করল এনআইএ (NIA)। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে  লোকসভা নির্বাচনের মুখে ফের শিরোনাম ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ড। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল ভূপতিনগরে? (NIA)

    ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর থানা এলাকায় নাড়ুয়াবিড়লা গ্রাম। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেখানেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় ৩ জনের। বাজি তৈরি করার সময় এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে নিহতদের একজনের স্ত্রী থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, তা এক তৃণমূল নেতার বাড়ি বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লেখা হয়। তার পরেই এনআইএ (NIA) তদন্ত শুরু হয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে তলব করেছিল এনআইএ। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের তৃণমূল নেতাদের তলব করল এননআইএ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিজেপি-র অঙ্গুলিহেলনে কেন্দ্রীয় সংস্থা বেছে বেছে তৃণমূল নেতাকে নোটিস পাঠাচ্ছে বলেই দাবি শাসক দলের নেতৃত্বের।

    আরও পড়ুন: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী সাফাই?

    এনআইএ সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতাদের বৃহস্পতিবার কলকাতার এনআইএ (NIA) দফতরে তলব করেছে। শাসক শিবিরের নেতারা নোটিস পাওয়ার পরই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, “পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে। বিজেপি হারছে। তাই ভয়ংকর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তৃণমূল নেতাদের নতুন করে এনআইএ নোটিস পাঠানো শুরু করেছে। যাতে ভোটের আগে প্রচারের সময় মাঠ ফাঁকা করা যায়। গোটাটাই ভোটের লক্ষ্যে চক্রান্ত। এর বিরুদ্ধে মানুষ গর্জে উঠবে। আমাদের কোনও কর্মী বা নেতা এই নোটিসে সাড়া দেবে না। আইনি পথে পদক্ষপ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: দাড়িভিটকাণ্ডে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: দাড়িভিটকাণ্ডে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালের দাড়িভিটকাণ্ডে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court) এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর কেটে গিয়েছে ১০ মাস। কিন্তু সিআইডি এই মামলা সংক্রান্ত কোনও নথি এখনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেয়নি। এর পাশাপাশি পুলিশের গুলিতে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও পালন করেনি রাজ্য। তাই শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও এডিজি সিআইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে রুল ইস্যু করল কলকাতা হাইকোর্ট। 

    কী বললেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার

    এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ দেন, আগামী শুনানিতে ওই অফিসারদের এজলাসে হাজির হয়ে জানাতে হবে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট পদক্ষেপ করবে না। জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ এপ্রিল। প্রসঙ্গত, গত বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের মে মাসে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। ওই নির্দেশ দিতে গিয়ে ২০২৩ সালের ১০ মে বিচারপতি মান্থার বলেন, ‘‘পুলিশের রিপোর্টেই সেখানে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ফলে এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত প্রয়োজন।’’ সেদিনই তদন্ত সংক্রান্ত নথি এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। এর পরে দাড়িভিটে গিয়ে নিহত ২ ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলে আসেন এনআইএ-র আধিকারিকরা। কিন্তু ১০ মাস পার হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য।

    ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের ঘটনা

    ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটের একটি স্কুলে বাংলা শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে পড়ুয়া এবং এলাকাবাসী। অভিযোগ ছিল, ওই স্কুলে বাংলা শিক্ষকের প্রয়োজন থাকলেও নিয়োগ করা হয়েছে উর্দু শিক্ষক। আন্দোলনে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। মৃত্যু হয় দুই প্রাক্তন ছাত্রের। মৃতদের পরিবার অভিযোগ করে, পুলিশের গুলিতেই এই মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)।

    আরও পড়ুুন: ‘সরকারি চাকরির মূল্য শুনলে চমকে যাবেন’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কী বললেন বিচারপতি সিনহা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: মহম্মদবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা নিল এনআইএ

    Birbhum: মহম্মদবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা নিল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রভাবশালী শাসক দলের নেতার যোগের ইঙ্গিত মিলল। ধৃত তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, বেআইনি অস্ত্র এবং বিস্ফোরক জোগানে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। পাওয়া গিয়েছে অডিও মেসেজ। ঘটনায় জেলার রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    এনআইএ সূত্রে খবর (Birbhum)?

    এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদবাজার (Birbhum) বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা ইসলাম চৌধুরির ভয়েস স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয়েছে। বিস্ফোরক এবং অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য শাসক দলের অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তথ্যের সত্যতা পরীক্ষা করতে এই তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত এই তৃণমূল নেতার মোবাইল থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অডিও পাওয়া গিয়েছে। এই সব বার্তালাপের মধ্যে বিস্ফোরণ সংক্রান্ত অনেক তথ্যের সূত্র লুকিয়া থাকার ইঙ্গিত রয়েছে। একই ভাবে তদন্তকারী অফিসারদের কাছে এই তৃণমূল নেতার সঙ্গে কেষ্টর দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের নামও উঠে এসেছে। এই দেহরক্ষী বর্তমানে গরুপাচার মামলায় তাঁর গুরু অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন। সংগৃহীত নমুনা প্রথমে আদলাতে, এরপর সিএফএসএলে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

    উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর বিস্ফোরক

    ২০২২ সালে বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজারে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে একটি গাড়ি থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল এসটিএফ। গাড়ির চালককে জেরা করে আরও ২৭ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ১ হাজার ৯২৫ কেজি জিটেলিন স্টিক এবং ২ হাজার ৩২৫ টি ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়। এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তদন্তের ভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর উপর। এই তদন্তকে ঘিরে শাসক দল ফের একবার চাপের মুখে পড়েছে বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গ্রেফতার পুরুলিয়ায়, মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা

    Purulia: মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গ্রেফতার পুরুলিয়ায়, মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গলমহলের পুরুলিয়ায় (Purulia) ফের নতুন করে সশস্ত্র মাওবাদী কার্যকলাপ সক্রিয় করে তোলার ছক কষা হচ্ছিল। এবার পুলিশের জালে গ্রেফতার হল কুখ্যাত মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গোস্বামী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর ফলে বড় রকমের নাশকতামূলক চক্রান্তকে নস্যাৎ করা গিয়েছে। এই মাওবাদী নেতা সিপিআই (মাওবাদী) শাখার কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সদস্য। তার একাধিক ছদ্মনাম ওরফে বাবু, ওরফে কিশোর, ওরফে পঙ্কজ। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এই মাওবাদী নেতার মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ১০ লক্ষ টাকা।

    উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার করিডরের পরিকল্পনা (Purulia)

    সব্যসাচী গোস্বামীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানা এলাকার এইচবি সোদপুর রোড ৬ নম্বর এলাকায়। তার পরিকল্পনায় ছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার করিডর রচনা করা। ২০২২ সালে অসমের গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে মাও কার্যকলাপের জন্য মামলা রুজু করা হয়েছিল তার নামে। বর্তমানে সে ছিল পূর্ব ক্ষেত্রের বুরোর সক্রিয় সদস্য। পুরুলিয়া (Purulia) থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বড় সাফল্য এসেছে। শুক্রবার স্থানীয় বেলগুমা পুলিশ লাইনে তাকে আনার কথা। এরপর আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    মোট ৫ বার গ্রেফতার

    এই নিয়ে মাও নেতা সব্যসাচী গোস্বামী মোট ৫ বার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল। ২০২১ সালে অসমের গোলাঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। ২০১৮ সালে মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থেকে এসটিএফ গ্রেফতার করেছিল তাকে। ঠিক তারও আগে ২০০৫ সালে একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। কিন্তু প্রত্যেক বার জামিন পেয়ে আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যেত সব্যসাচী। এছাড়াও ২০২১ সালে একাধিকবার যেমন-২০২২ সালে বাঁকুড়ার বাড়িকূল থানা এলাকায় এবং ২০২৩ সালে ঝাড়গ্রামের ধরমপুর থেকে বারবার পুলিশের হাতে এসেও অল্পের জন্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় সে। কিন্তু পুরুলিয়াতে (Purulia) বেশ কিছুদিন সক্রিয় ছিল এই মাও নেতা।

    অস্ত্র চালাতে পারদর্শী সব্যসাচী

    সিপিআই (মাওবাদী) কলকাতা সিটি কমিটির সম্পাদক হয়েছিল সব্যসাচী। ২০০৪ সালেই রাজ্য কমিটির সদস্য পদ পেয়েছিল এই মাওবাদী নেতা। ২০১৮ সালের পর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়। নোনাডাঙা উচ্ছেদ কমিটির সদস্য হিসেবে বিশেষ ভূমিকা ছিল তার। ছাত্রজীবনে নকশাল নেতা সন্তোষ রানার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল। মূলত তাত্ত্বিক মাওবাদী নেতা হলেও অস্ত্র চালাতে পারদর্শী সব্যসাচী। বাংলায় মাওবাদী সংগঠনকে শক্তিশালী করাই একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল তার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বেলডাঙা বিস্ফোরণে এনআইএ-র চার্জশিটে এক তৃণমূল নেতা সহ ৭ জনের নাম

    Murshidabad: বেলডাঙা বিস্ফোরণে এনআইএ-র চার্জশিটে এক তৃণমূল নেতা সহ ৭ জনের নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা বিস্ফোরণের ঘটনায় মঙ্গলবার চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। চার্জশিটে নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা সহ মোট ৭ জনের। ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ফের একবার অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে।

    অভিযুক্ত কাদের নাম রয়েছে (Murshidabad)?

    ২০২২ সালে বেলডাঙা (Murshidabad) এলাকার রামেশ্বরপুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মোট ৭ জনের নামে চার্জশিট আদলতে জমা করেছে। উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের পর থেকেই বিরোধীরা ঘটনায় শাসক দলের নেতাদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে এসেছিল। ঘটনায় শাসক বনাম বিরোধীদের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। অবশেষে চার্জশিট জমা পড়লে অভিযুক্তদের নাম উঠে আসে। অভিযুক্তরা হলেন, ইমদাদুল হক, সুখচাঁদ আলি, মনসুর আলি, মাসাদুল হক, হাবিবুর রহমান, তাহাবুল শেখ, ইসাউদ্দিন শেখ। তাঁদের মধ্যে একজন তৃণমূল নেতা রয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১২০ বি, ২০১, ৩০৪ আইপিসি ৪, ৫,৬ ইস অ্যাক্ট ১৯০৮, ২০১৮ ইউপিএ ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল?

    বেলডাঙায় (Murshidabad) ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে একটি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল রামেশ্বরপুর এলাকা। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। তবে মৃতের সংখ্যা কম হলেও বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল ব্যাপক। এলাকার মানুষ রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। এরপর রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা একজোট হয়ে আক্রমণ করে এবং একই ভাবে এনএইএ তদন্তের দাবি তোলা হয়। অবশেষে গত অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। এরপর তদন্তে উঠে আসে গ্রেনেডের তথ্য। বিস্ফোরণের নমুনা হিসাবে গ্রেনেডের সমান বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয় বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, পুলিশ আগেই ৭৪ টি গ্রেনেড উদ্ধার করেছিল বলে জানা গিয়েছিল। এই বিস্ফোরণের পিছনে কোনও সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকতে পারে বলে ইউপিএ ধারা যোগ করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে এনআইএ। ঘটনায় মুর্শিদাবাদে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pannun: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে নাশকতার হুমকি, খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এনআইএ-র

    Pannun: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে নাশকতার হুমকি, খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় আশ্রয় নেওয়া খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুন (Pannun) গত সেপ্টেম্বরেই সে দেশে বসবাসকারী প্রবাসী হিন্দুদের ওপর হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। এরপরেই চণ্ডীগড় এবং অমৃতসরে পান্নুনের বাড়ি, জমি সমস্ত কিছুই বাজেয়াপ্ত করেছিল এনআইএ। বিশ্বকাপের ফাইনালের দিনও এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ফের নাশকতা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। পান্নুনকে (Pannun) ভিডিওবার্তায় হুমকি দিতে শোনা যায়, (যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা স্বীকার করেনি মাধ্যম) ‘‘১৯ নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়লে প্রাণের বিপদ আছে।’’এর পাশাপাশি ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন পান্নুন। ঠিক এই কারণে নিষিদ্ধ খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠন ‘শিখ ফর জাস্টিস’-এর নেতা পান্নুনের বিরুদ্ধে এবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করল এনআইএ।

    ভারত-বিদ্বেষী পান্নুন

    বিশ্বকাপের ফাইনাল চলাকালীন মাঠে ঢুকে যায় এক প্যালেস্তিনীয় সমর্থক। তাঁর টি-শার্টে লেখা ছিল প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন করার কথা। ওই সমর্থককে নগদ ৮ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন পান্নুন। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্জাবে পান্নুনের (Pannun) বিরুদ্ধে বাইশটি অপরাধের মামলা বর্তমানে রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে তিনটি দেশদ্রোহিতার মামলা। আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেনসহ একাধিক দেশে বর্তমানে ‘শিখ ফর জাস্টিস’ সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করেন পান্নুন (Pannun)। এই সংগঠন আলাদা শিখ রাষ্ট্র গড়ে তোলার দাবিও তুলেছে। পান্নুন মনে করেন, ভারত অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে শিখদের ভূমি। এর আগে তিনি জানিয়েছেন, প্যালেস্তাইন-ইজরায়েল যুদ্ধের মতো এবার যুদ্ধ শুরু হবে ভারতেও।

    ভারত বিরোধীদের নিরাপদ আশ্রয় কানাডা

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ‘শিখ ফর জাস্টিস’কে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২০ সালে ‘শিখ ফর জাস্টিস’-এর নেতা পান্নুনকে জঙ্গি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তবু তার পরে কানাডায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন পান্নুন (Pannun) এবং সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের প্রশ্রয়েই ভারত-বিদ্বেষী, ভারত-বিরোধী এবং জাতিবিদ্বেষমূলক কাজ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ভারত বিরোধী জঙ্গিদের কানাডা আশ্রয় দিচ্ছে, ঠিক এই অভিযোগেই গত সেপ্টেম্বরে চরম কূটনৈতিক বিবাদ শুরু হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। ফের একবার কানাডায় আশ্রয় নেওয়া জঙ্গি পান্নুনের হুমকি-ভিডিও সামনে আসাতে প্রমাণ হল, ভারতের অভিযোগ মিথ্যা নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম’, মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম’, মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এথিক্স কমিটি ইস্যুতে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। হাওড়ায় দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরই তিনি মহুয়াকে তীব্র আক্রমণ করেন।

    মহুয়াকে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন অভিষেক?

    টাকার বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রথমবার মুখ খুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছিলেন, ‘এথিক্স কমিটিতে অনেকগুলি অভিযোগ পড়ে রয়েছে। আপনারা দেখেছেন, নতুন সংসদ ভবনে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরি কুকথা বলে কী করে সংসদের গরিমা নষ্ট করেছেন। বিজেপির এমন বহু সাংসদ রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশের শুনানি বকেয়া রয়েছে। কিন্তু, যদি কেউ সরকারের বিরোধিতা করে, সরকারকে প্রশ্ন করতে চায়, আদানির অপকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করতে চায়, তাহলে কী করে তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়’। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার মনে হয় মহুয়া নিজেই নিজের লড়াই লড়ার জন্য যথেষ্ট। আমাকেও এরা ৪ বছর ধরে ডাকছে। আলাদা আলাদা কেসে নাম জড়াচ্ছে। একটা কেসে কিছু পাওয়া না গেলে আরেকটায় জড়াচ্ছে। এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।’

    অভিষেককে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    হাওড়ায় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘বিষয়টার মধ্যে যখন দুবাই রয়েছে, তখন উনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) তো পাশে দাঁড়াবেনই। দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ প্রেম। চোখ দেখাতেও দুবাই যান, পেট দেখাতেও দুবাই যান। খেতেও দুবাই যান। আর কী কী করতে যান আমি জানি না’। মূলত এই প্রসঙ্গে টেনে অভিষেক মহুয়াকে নিয়ে যে কথা বলেছেন, তার যে কোনও গুরুত্ব নেই, তা বোঝাতে চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    মহুয়া ইস্যুতে এনআইএ তদন্তের কেন দাবি জানালেন সুকান্ত?

    মহুয়াকে নিয়ে এথিক্স কমিটির সুপারিশ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, তাতে শুধু খারিজ করার সুপারিশ করেনি কমিটি। তার সঙ্গে বলেছে যে প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করানোর জন্য অর্থাৎ ইডি বা সিবিআইকে দিয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তদন্ত করানোর জন্য বলেছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মহুয়া মৈত্র সাংসদ হিসেবে লোকসভার ওয়েবসাইটের যে লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড পেয়েছেন, তা তিনি দর্শন হিরানন্দানি নামে এক ব্যবসায়ীকে দেন বলে অভিযোগ। তারপর দুবাই থেকে সেই লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লোকসভার ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। সুকান্ত বলেন, একজন সাংসদের লগ ইন আইডি চলে যাচ্ছে অন্য একজনের কাছে। তাও তাঁর পিএ-র কাছে গেলে বুঝতাম। কিন্তু, জানতে পেরেছি, সেই লগ ইন আইডি চলে যাচ্ছে দুবাইয়ে। তৃণমূল কংগ্রেস গ্যারান্টি দিতে পারবে যে এই লগ ইন আইডি দুবাইয়ের কোনও নাগরিক ব্যবহার করেননি বা দুবাইয়ের কোনও নাগরিকের উপস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়নি। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে সমঝোতা করেছেন মহুয়া মৈত্র। এর এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share