Tag: NIA

NIA

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে পৌঁছল এনআইএ

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে পৌঁছল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে পৌঁছাল এনআইএ। সোমবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তিন সদস্যের দল এদিন রামেশ্বরপুরে গিয়ে দুই জনের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েও বোমা বিস্ফোরণে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। রাজ্যে শাসক-বিরোধী দলের সংঘর্ষে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছিল এই জেলায়। এবার ২০২২ সালের বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত করতে এলে তীব্র শোরগোল পড়ে জেলায়।

    তল্লাশি চালনো হয় দুই ব্যক্তির বাড়িতে (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের এদিন রামেশ্বরপুরে দুই ব্যক্তির বাড়িতে তাল্লাশি করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এলাকার মনসুর শেখ, তাহাবুল শেখের বাড়িতে অনেক সময় ধরে তল্লাশি করে এনআইএ। তবে তদন্তের বিষয়ে বাড়ির লোকেরা কিছু মন্তব্য করতে চাননি।

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    ২০২২ সালে ১৭ জানুয়ারিতে বেলডাঙার রামেশ্বরপুরে (Murshidabad) একটি বাগানবাড়িতে চলছিল বোমা তৈরির কাজ। কিন্তু সেই দিন রাতে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। এরপর পুলিশ তাল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থলে ৭৪ টি সকেট বোমা উদ্ধার করে। জেলা পুলিশের তদন্তে উঠে আসে আরও তথ্য। প্রায় পাঁচ মাস পরে ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চাল্যকর তথ্য। এই ঘটনার তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আট মাস পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে এনএইএ তদন্তভার নিয়ে ফের তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও ঘটেছিল বিস্ফোরণ

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ১০ অক্টোবর ২০২২ সালে বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন ছাদি শেখ। এদিন তাঁর বাড়িতেও যায় তদন্তকারী দল। এছাড়াও এই বছরেই ১৬ সেপ্টেম্বর ঘটা বেলডাঙা বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ এবার ইউপিএ ধারা যুক্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী তদন্তে জানা গিয়েছে পাইপ বোমা জাতীয় বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল এই বিস্ফোরণে। এই ঘটনায় মোট ১৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে ছিল। ধৃতরা আদালতে জামিনের আবেদন জানালেও বর্তমানে প্রত্যেকের আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kerala Blast: টিফিন বক্সে রাখা ছিল বিস্ফোরক! নমুনা সংগ্রহে নামল এনআইএ, মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন অমিত শাহের  

    Kerala Blast: টিফিন বক্সে রাখা ছিল বিস্ফোরক! নমুনা সংগ্রহে নামল এনআইএ, মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন অমিত শাহের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের এর্নাকুলাম জেলার কালামাসেরির এলাকায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Kerala Blast) তদন্তভার নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছল এনআইএ বা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই ভাবে বিস্ফোরণের কারণ সন্ধানের জন্য পৌঁছল এনএসজি। শুরু হয়েছে নমুনা সংগ্রহের কাজ। বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যে উদ্বিগ্ন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নকে ফোন করে খবর নিলেন তিনি। অপর দিকে, কেরলে ধারবাহিক বিস্ফোরণের পর দিল্লি এবং মুম্বইকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হল। দিল্লি পুলিশ এবং মুম্বই পুলিশ জারি করেছে বিশেষ সতর্কতা। জনবহুল এবং বাণিজ্য কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তাকে আরও কড়া করা হল।

    তদন্তে পৌঁছল এনআইএ (Kerala Blast)

    পুলিশ সূত্রের প্রথমিক ভাবে জানা গেছে, টিফিন বক্সে রাখা ছিল বিস্ফোরক। তবে বিস্ফোরণে (Kerala Blast) তুলনামূলক কম শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে আগুন লেগে যায়। এই বিস্ফোরণের তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে দেওয়া হয়েছে। কোচি শাখার তদন্তকারী দল ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে। সেই সঙ্গে দিল্লি থেকে পাঁচ সদস্যের আরও একটি দল কেরলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। অপর দিকে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের জরুরি পরিষেবা দিতে সবরকম ভাবে প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন।

    কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য

    বিস্ফোরণের (Kerala Blast) পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে বলেন, “এই বিস্ফোরণ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রশাসনের সমস্ত অধিকর্তারা এর্নাকুলামে পৌঁছেছেন। ঘটনাস্থলে ডিজিপিও রয়েছেন। ডিজিপির সঙ্গে কথা হয়েছে। বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    নমুনা সংগ্রহের ফলে, বিস্ফোরণে আইআইডি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, এই কোচি সংলগ্ন এলাকায় একটা সময় পিএফআই (পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া)-এর শক্ত ঘাঁটি ছিল। ফলে এই ঘটনার পিছনে এই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের কোনও হাত আছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: কানাডায় মৃত্যু আরেক খালিস্তানি জঙ্গির, ভারত-বিরোধী শক্তির নয়া ঘাঁটি ট্রুডোর দেশ?

    Canada: কানাডায় মৃত্যু আরেক খালিস্তানি জঙ্গির, ভারত-বিরোধী শক্তির নয়া ঘাঁটি ট্রুডোর দেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবিরোধী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের আতুঁড়ঘর হয়ে উঠেছে কানাডা (Canada)। আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই শুধুমাত্র এমন অভিযোগ আনা হতো। সম্প্রতি নানা ঘটনায় ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রে কানাডার মাটি ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এনিয়ে জাস্টিন ট্রুডোদের দেশকে চরম হুঁশিয়ারিও দিয়েছে নয়া দিল্লি। কানাডা সরকারের কাছে বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, এমনই অভিযোগ দিল্লির। সন্ত্রাসবাদীরা ভারত ছেড়ে পালানোর পর তাদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিচ্ছে কানাডাকে। ভারত বিরোধী জঙ্গি এবং গ্যাংস্টারদের আস্তানা এখন তাই কানাডা (Canada)। ইতিমধ্যে এনআইএ তরফে বুধবারই ৩৩ জন মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীর তালিকা কানাডা সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই সন্ত্রাসবাদীরা প্রত্যেকেই কানাডায় আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর। তারই মধ্যে বুধবার কানাডায় মৃত্যু হয়েছে এক খালিস্তানি জঙ্গির। 

    কানাডাতে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসবাদীদের ছবি সহ নাম প্রকাশ এনআইএ-এর 

    কানাডাতে (Canada) আশ্রয় নেওয়ার জঙ্গিদের লিস্ট নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেছে এনআইএ, ছবি সহ ওই লিস্টে নাম দেখা যাচ্ছে  লরেন্স বিষ্ণোই, জসদীপ সিংহ, কালা জাথেরি ওরফে সন্দীপ, বীরেন্দ্র প্রতাপ ওরফে কালা রানা এবং জোগিন্দর সিংহের মতো কুখ্যাত গ্যাংস্টার ও অপরাধীদের। অন্যদিকে গতকালই খালিস্তানি জঙ্গি সুখদল সিং-এর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। গ্যাংস্টারদের এই আভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    ২০১৭ সালে পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পালায় সুখা

    জানা গিয়েছে, কানাডা (Canada) নিবাসী অন্যতম মাফিয়া অর্শদীপ সিংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল সুখা। জাল নথিপত্র বানিয়ে ভারত থেকে পালিয়ে যায় সে। ২০১৭ সালেই পাঞ্জাব থেকে কানাডায় আশ্রয় নেয় সুখা। অন্যদিকে এর আগেই কানাডার মাটিতেই গোষ্ঠী সংঘর্ষে খুন হয় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং। এই ঘটনায় কানাডা সরকার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’য়ের ভূমিকা রয়েছে বলে সোমবারই অভিযোগ করে। যার পরে ভারত এবং কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কে চাপানউতোর শুরু হয়। শুধু তাই নয় এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। তারপরেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে কানাডার (Canada) এক শীর্ষ কূটনীতিককে পাঁচদিনের মধ্যে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দেয় দিল্লি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: বেলডাঙায় ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ এবার যুক্ত করল ইউএপিএ ধারা

    NIA: বেলডাঙায় ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ এবার যুক্ত করল ইউএপিএ ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দেড়় বছর আগে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে ‘আন ল ফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেশন অ্যাক্ট’ অর্থাৎ ইউএপিএ যুক্ত করল এনআইএ (NIA)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে এমন কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে, যা সাধারণত মিলিটারি গ্রেনেডের মতো। সাধারণ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় যা মূলত উদ্ধার হয় না।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (NIA)

    এনআইএ ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি  বেলডাঙা থানার রামেশ্বরপুর গ্রামে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় একটি বাগানে ছোট পাম্পের ঘরে এই বিস্ফোরণ হয়েছিল। বিস্ফোরণে উড়ে যায় গোটা ঘরটি। ইয়াসউদ্দিন শেখ ওরফে ছাদি শেখ নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় ঘটনাস্থল থেকেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে অভিযোগ করা হয়, ওই পাম্পের ঘরে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক আধিকারিকরা। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে এই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে এনআইএ (NIA)। আবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এনআইএ আধিকারিকরা। তবে ততদিনে ৯ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭৪ টি গ্রেনেড উদ্ধার করেছিল। সেই রিপোর্ট পুলিশ এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয়। মামলার গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির রিপোর্টের ভিত্তিতে ইউএপিএ-র আবেদন করা হয়। কারণ, সাধারণ বোমা তৈরির ক্ষেত্রে এই ধরনের জিনিস ব্যবহার করা হয় না। কী কারণে সেখানে এই ধরনের শক্তিশালী বোমা তৈরি করা হচ্ছিল তার সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে এনআইএ।

    আদালতে কী জানিয়েছে এনআইএ?

    আদালতে এনআইএ (NIA) জানায়, পাইপ বোমা বা বোমাতে লোহার টুকরো যা ব্যাবহার করা হয়েছে, তা সাধারণত মিলিটারি গ্রেনেডের মতো। ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছে এবং যারা জামিনে রয়েছে, তাদের জামিন বাতিল করার আবেদন জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স,’’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স,’’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে সোমবার দুপুরে মোচপোল গ্রামে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিস্ফোরণে  ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। বিরোধী দলনেতাকে সামনে পেয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ  উগরে দেন এলাকাবাসী।

    বিরোধী দলনেতাকে (Suvendu Adhikari) কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    এদিন বেলা তিনটে নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দত্তপুকুর গ্রামে যান।  বিস্ফোরণস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে তিনি গাড়ি থেকে নামেন।  সেখান থেকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে যান। রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন তাঁর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। তিনি সকলকে বলেন, ভরসা রাখুন, বোমা বিস্ফোরণের এনআইএ তদন্ত হবে। এরপর তিনি বিস্ফোরণস্থলে যান। বোমা বিস্ফোরণের উল্টো দিকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির  ছাদে ওঠেন তিনি। সেখান থেকে দুর্ঘটনাস্থল তিনি খতিয়ে দেখেন। সেখানে থেকে নীচে নেমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বিরোধী দলনেতাকে  সামনে পেয়ে বলেন, তৃণমূলের মদতেই বেআইনি বাজি কারখানা চলতো।  পুলিশ নিয়মিত মাসোয়ারা নিত। তাদের কাছে অভিযোগ জানালে উল্টে তারা আমাদের ধমক দিত। ঘটনার দিনও পুলিশ মাসোহারা নিয়ে যায়। বোমা বিস্ফোরণে  ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক সদস্য বলেন, বিস্ফোরণ আমাদের বাড়ির সমস্ত কিছু ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। বিষয়টি দেখবেন। তিনি এ বিষয়ে আশ্বাস দেন এবং একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি তিনি ঘুরে দেখেন।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    দত্তপুকুরে বিস্ফোরণস্থলে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, বিস্ফোরণে আরডিএক্স ব্যবহার করা ছিল। আমরা এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিস্ফোরণে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। গ্রামবাসীরা প্রত্যেকেই চাইছেন এনআইএ তদন্ত হোক তার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। পাশাপাশি তিনি এদিন আরও জানান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ও দত্তপুকুর থানার আইসি দুজন মিলিত হয়ে এই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দত্তপুকুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: দত্তপুকুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এ নিয়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও চিঠি লিখেছেন। বালুরঘাটের সাংসদের (Sukanta Majumdar) মতে, এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। প্রসঙ্গত, রবিবারই উত্তর চব্বিশ পরগনার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাণ হারান ৭ জন। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ১০। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ৫ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায় সেই আওয়াজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের মদতেই বেআইনিভাবে বাজি তৈরির কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল।

    চিঠিতে কী লিখলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানো ওই চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ‘‘দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬-৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। এই বিস্ফোরণের উৎস, কারণ খুঁজে পেতে যথাযথ তদন্তের প্রয়োজন।’’  

    সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) আরও সংযোজন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দারা এই বেআইনি বাজি কারখানা সম্পর্কে পুলিশের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু, তাঁদের উদ্বেগের নিরসন করা হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়টি উদ্বেগজনক। ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এই বিস্ফোরণের যথাযথ তদন্ত হওয়া জরুরি।’’

    বালুরঘাটের সাংসদের (Sukanta Majumdar) আরও মত, ‘‘এই বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি-যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে এনআইএ তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি। এনআইএ তদন্ত হলে এই বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ যেমন প্রকাশ পাবে, তেমনই রাজ্যবাসীও আশ্বস্ত হবেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’

    সুর চড়ালেন শুভেন্দুও

    অন্যদিকে, এই ঘটনায় এনআইএ দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। দত্তপুকুরের এই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘আজ থেকে তিন মাস আগে অবৈধ বাজি কারখানা নিয়ে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতে কাজের কাজ যে কিছু হয়নি, রবিবারের ঘটনা তার প্রমাণ।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুরের (Duttapukur) জগন্নাথপুর মোচপোলে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর থেকেই গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ এলে তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর এদিন দুপুরে বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র সহ দলীয় নেতারা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Duttapukur)

    স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার সকালে ভয়াবহ দত্তপুকুরে (Duttapukur) এই এলাকার বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান নীলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার খুদে নামের এক বাজি ব্যবসায়ীর কারখানায় এই বিস্ফোরণ হয় বলে জানা গিয়েছে৷ উড়ে যায় তার কারখানার বাড়ির ছাদ। চারিদিকে ছড়িয়ে যায় বারুদ-সহ বাজি বানানোর অন্যান্য সরঞ্জাম। এদিক ওদিকে ছড়িয়ে পড়ে রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরেও শোনা গিয়েছিল এই বিস্ফোরণের শব্দ বলে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পর পরই একাধিক বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জেসিবি এনে উদ্ধার কাজ করা হয়। এদিন ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ঢুকতে গেলে পুলিশ প্রথমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে, তাঁরা এলাকায় গেলে স্থানীয় বাসিন্দারাও তাঁদের বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নিয়মিত পুলিশ টাকা তুলত বলেই রমরমিয়ে এই বেআইনি কারবার চলত। পুলিশ কিছু বলত না।

    বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্ত নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, জেসিবি দিয়ে তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে। আর তাই আমাদের ঘটনাস্থলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আসলে পুলিশ মাসোহারা পেত বলেই চুপ ছিল। দু কিলোমিটার দুরে পুলিশ সুপারের অফিস। সেখানে এই ধরনের বেআইনি কারবার পুলিশ জানে না, এটা হতে পারে না। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। বারুদের স্তূপে রয়েছে গোটা রাজ্য। তৃণমূল নেতাদের মদত রয়েছে। এই এলাকার বিধায়ক খাদ্যমন্ত্রী। তিনি এই বেআইনি বাজি কারখানার বিষয়ে সব জানেন। পঞ্চায়েত নির্বাতচনের সময় এখান থেকে বোমা সরবরাহ হয়েছে। দত্তপুকুরের (Duttapukur) এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করছি। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে না।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    প্রদেশ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী এদিন ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এই ঘটনার জন্য স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি এই ঘটনার আমরা এনআইএ তদন্তের দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: পুনর্নির্বাচনের দিনই এনআইএ গ্রেফতার করল তৃণমূল প্রার্থীকে, চাঞ্চল্য বীরভূমে

    Birbhum: পুনর্নির্বাচনের দিনই এনআইএ গ্রেফতার করল তৃণমূল প্রার্থীকে, চাঞ্চল্য বীরভূমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের পুনর্নির্বাচনের দিনই গ্রেফতার তৃণমূল প্রার্থী। সোমবার বীরভূমের নলহাটি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল এনআইএ। দিন কয়েক আগে মহম্মদবাজার (Birbhum) থানা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ জিলেটিন স্টিক-সহ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। সেই তদন্তে নেমে এনআইএ-র জালে এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী। গ্রেফতারের কারণে জেলায় তীব্র শোরগোল।

    কে গ্রেফতার হলেন (Birbhum)?

    ধৃতের নাম মনোজ ঘোষ। ইতিপূর্বে তাঁকে দু’বার নোটিস পাঠিয়েছিল এনআইএ। এদিন নলহাটি (Birbhum) থানায় ডেকে পঞ্চায়েত প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও নলহাটিতে এনআইএ হানা দিয়েছিল। একটি পাথর খাদান থেকে বিস্ফোরক জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়। খাদানের যে ঘর থেকে উদ্ধার হয়, সেই ঘরটি এলাকার তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী মনোজ ঘোষের। আর এই সূত্র ধরেই গ্রেফতার হলেন তৃণমূল প্রার্থী।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতার দাবি, পরিত্যক্ত ঘর (Birbhum) থেকে সামান্য কিছু জিলেটিন উদ্ধার হয়েছে। আর তাকে ঘিরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে বিজেপি। এলাকায় ওরা জিততে পারবে না বলে এইভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে। মানুষের রায় নিয়ে বিজেপি জয়ী হতে পারবে না।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির স্থানীয় এক নেতার অভিযোগ, এই তৃণমূলের প্রার্থী পুলিশি মদতে বিস্ফোরক মজুত করে অবৈধ কারবার চালাচ্ছিল। আইনের উপরে কেউ নয়। অপরাধীরা শাস্তি পাবেই। ফলে ভোটের মুখে নলহাটির (Birbhum) বাহাদুরপুর গ্রামকে ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে।

    নলহাটি কতটা সুরক্ষিত?

    নলহাটি (Birbhum) এলাকায় যতগুলি পাথর খাদান আছে, তার বেশিরভাগেরই কোনও সরকারি অনুমতি নেই। অথচ বেআইনি পথেই জিলেটিন, ডিটোনেটর দিয়ে খাদানের পাথরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যবসা চলছে। কিছুদিন আগেই ওই এলাকায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টিম একটি বড়সড় বিস্ফোরক পাচারকারী দলকে গ্রেফতার করে। পরে যার তদন্তভার নেয় এনআইএ। সেই সূত্র ধরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এক দিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন, নির্বাচনের ফলাফল এবং অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী গ্রেফতারের ঘটনা ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তলব করল আর এক তৃণমূল নেতাকে

    NIA: নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তলব করল আর এক তৃণমূল নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার এনআইএ (NIA) তলব করল অপরেশ সাঁতরাকে। মানব পড়ুয়ার পর অপরেশ সাঁতরা। পটাশপুরের তৃণমূল নেতা তথা আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপ প্রধান অপরেশ সাঁতরাকে তলব করার ঘটনায় ভোটের মুখে ফের অস্বস্তিতে পড়ল শাসক দল। কারণ, এর আগে এই ঘটনায় ডেকে পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী মানব পড়ুয়া সহ ভগবানপুর বিধানসভা এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতাকে। নির্বাচনের ঠিক আগে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে এনআইএ ডাকার ফলে ভগবানপুর ও পটাশপুর এলাকার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    তবে, সূত্রের খবর, ডাকলেও এখনই গ্রেফতার করা যাবে না অভিযুক্ত ব্যক্তিদের।  আগামী ১৫ ই জুলাই পর্যন্ত রয়েছে আদালতের রক্ষা কবচ। তবুও ভোটের আর মাত্র দুদিন আগে এই ঘটনা ঘটায় অস্বস্তি এড়াতে পারছে না শাসক দল। ব্যালট বাক্সে এর কোনও প্রভাব পড়বে কি না, সেটাই নেতৃত্বকে ভাবাচ্ছে।

    কী ঘটেছিল (NIA)?

    উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসের দু তারিখ রাতে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ ব্লকের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্নার বাড়িতে। যে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তিন তৃণমূল কর্মীর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বিদায়ী সদস্য তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের বর্তমান প্রার্থীকে নির্বাচনের তিন দিন আগে ডেকে পাঠানোর খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল ভগবানপুরের রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, শুধু মানব পড়ুয়া নয়, আরও কয়েক জনকে ডেকেছে এনআইএ, যারা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বা কর্মী। এই বিস্ফোরণের সঙ্গে তৃণমূলের এই নেতাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।

    তৃণমূলের বক্তব্য (NIA)

    ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের এইভাবে ডাকার জন্য নিন্দা করেছিলেন ভগবানপুর দুই ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অম্বিকেশ মান্না। তিনি বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকাতে ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। অপর দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ ইতিমধ্যেই অস্বীকার করেছে বিজেপি। ভগবানপুর (Purba Medinipur) বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির বক্তব্য, আইন আইনের পথে চলছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্তরা আজ না হয় কাল ধরা (NIA) পড়বেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে তৃণমূলের প্রার্থীকে ডাকল এনআইএ, তীব্র উত্তেজনা

    Purba Medinipur: নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে তৃণমূলের প্রার্থীকে ডাকল এনআইএ, তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাড়ুয়াবিলা (Purba Medinipur) বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার এনআইএ তলব করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী মানব পড়ুয়াকে। আগামী ৫ ই জুলাই ডাকা হয়েছে তাঁকে। ভোটের আগে এই  নিয়ে জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য।

    বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Purba Medinipur) কেন ডাকল এনআইএ?

    নাড়ুয়াবিলা  (Purba Medinipur) বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে গত জুন মাসের ২০ তারিখ ভূপতিনগর থানায় এসেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র চার সদস্যের এক প্রতিনিধিদল। তাঁরা নাড়ুয়াবিলা গ্রামের বিস্ফোরণস্থলেও গিয়েছিলেন। এই স্থানেই গত বছর ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখের রাতে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

    নাড়ুয়াবিলা গ্রামে কী ঘটেছিল?

    ভগবানপুর (Purba Medinipur) ২ ব্লকের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্নার বাড়িতে ঘটা সেদিনের বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তিন তৃণমূল কর্মীর। সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার ডাকা হল মানব পড়ুয়াকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বিদায়ী সদস্য তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের বর্তমান প্রার্থীকে নির্বাচনের তিন দিন আগে ডেকে পাঠানোর খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভগবানপুরের রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, শুধু মানব পড়ুয়া নয়, আরও কয়েক জনকে ডেকেছে এনআইএ, যারা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বা কর্মী। এই বিস্ফোরণের সঙ্গে তৃণমূলের এই নেতাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের এইভাবে ডাকার জন্য নিন্দা করেছেন ভগবানপুর দুই ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অম্বিকেশ মান্না। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকাতে ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। অপর দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ভগবানপুর (Purba Medinipur) বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, আইন আইনের পথে চলছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্তরা আজ না হয় কাল ধরা পড়বেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share