Tag: Nikki Haley

Nikki Haley

  • Trump Tariffs: ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপিয়ে এবার নিজের ঘরেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    Trump Tariffs: ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপিয়ে এবার নিজের ঘরেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত চড়া শুল্কের (Trump Tariffs) কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবজেক্ট বিশেষজ্ঞরা, যাঁদের ভারত-আমেরিকা কৌশলগত অংশীদারিত্ব বিষয়ে গভীর জ্ঞান রয়েছে। তাঁদের মতে, ভারতের সঙ্গে এই শুল্ক-সংঘর্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘কৌশলগত ভুল’ (Strategic Blunder)। তাঁরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক শিবিরকে অবিলম্বে এই নীতি সংশোধনের আহ্বানও জানিয়েছেন। কারণ ভারত হল এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

    ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ (Trump Tariffs)

    ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসনের এই “ভারত নীতিতে বদল” নিয়ে কড়া বার্তা আসছে স্বদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেই। একে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি গুরুতর কৌশলগত সংকেত হিসেবে দেখা যেতে পারে, যাতে তারা স্বল্পমেয়াদি ও ভ্রান্ত বক্তৃতার পেছনে না ছুটে, দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য নিজেদের ভ্রম সংশোধন করতে পারে।

    মার্কিন অর্থনীতিবিদের বক্তব্য

    বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনীতিবিদ জেফ্রি স্যাকস ভারতের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ককে “যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতির সবচেয়ে নির্বোধ কৌশলগত পদক্ষেপ” বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “এটি একটি আত্মঘাতী এবং ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত। কারণ ভারত হল এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সম্পর্কের দেশগুলির একটি। বৈশ্বিক জোট যখন ইতিমধ্যেই সংকটে রয়েছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হয়নি ভারতের মতো ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে এমন বিপ্রতীপ আচরণ করা।” কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফ্রি স্যাকস সারা বিশ্বের বহু সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন (Trump Tariffs)। ক্রিস্টাল বল ও সাগর এনজেটির ব্রেকিং পয়েন্টস অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারতের ওপর এই শুল্ক কোনও কৌশল নয়। এটি নাশকতা।” তাঁর মতে, ভারতের ওপর আরোপিত এই অযৌক্তিক ও বেপরোয়া শুল্ক আমেরিকার অর্থনীতির কোনও উপকারে আসেনি, বরং এটি আরও বেশি করে ব্রিকস (BRICS) দেশগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের প্রভাব হিসেবে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ব্রিকস দেশগুলির মধ্যে একাধিকবার টেলিফোনে আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। তাঁর মতে, মার্কিন প্রশাসনের এই শুল্কনীতির ফলস্বরূপ কোনও অর্থনৈতিক সুফল আসেনি, যেমনটি ট্রাম্প প্রশাসন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এর ফলে কেবল বিপরীত প্রতিক্রিয়াই তৈরি হয়েছে (Strategic Blunder)।

    ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনায় মুখর নিকি হ্যালিও

    ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিও। তিনি আমেরিকার শুল্ক নীতির ভারতের ওপর বিরূপ প্রভাব নিয়ে একটি প্রবন্ধও লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, “নয়াদিল্লির সঙ্গে গত ২৫ বছরের অগ্রগতিকে ভেস্তে দেওয়া একটি কৌশলগত বিপর্যয় হবে।” হ্যালি বলেন, “ভারত এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি মূল্যবান স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক অংশীদার, যা চিনের আধিপত্য মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি ওয়াশিংটন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে শক্তিশালী কৌশলগত বার্তাও পাঠিয়েছেন। বলেছেন, “ভারতকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নয়, বরং মিত্র হিসেবে দেখতে হবে। কারণ এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের জন্য নয়াদিল্লি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Trump Tariffs)।”

    হ্যালির সাফ কথা

    হ্যালি ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনাও করেছেন। তাঁর সাফ কথা, “রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশকে শাস্তি দেওয়া হলেও, চিনের মতো কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যারা রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে।” ট্রাম্প প্রশাসনের এহেন ভণ্ডামিকে ওয়াশিংটনের একটি ‘কৌশলগত বিপর্যয়’ (Strategic Blunder) বলে আখ্যা দিয়েছেন হ্যালি। তাঁর মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতিতে ভারতের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। হ্যালির ভাষায়, “এশিয়ায় চিনের আধিপত্যের পাল্টা ভারসাম্য রক্ষার একমাত্র দেশ হল ভারত।” তাঁর মতে, এটা বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্য পুনর্গঠন ও বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। হ্যালির সতর্কবার্তা (Trump Tariffs), ‘যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসচেতনভাবেও সর্বশেষ শুল্ক-সংক্রান্ত দ্বন্দ্বকে আরও গভীর হতে দেয়, তাহলে এটি আমেরিকা-ভারত সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি ফাটলের সূচনা করবে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা, শক্তির ভারসাম্য চলে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে।’ হ্যালির প্রস্তাব, ট্রাম্প প্রশাসনকে উচ্চপর্যায়ের আলাপ-আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্বের অবনতির (Strategic Blunder) সর্পিল ধারা বদলে দিতে হবে। তাঁর সাফ কথা, ‘শাস্তিমূলক কোনও পদক্ষেপ কখনওই কোনও সমাধান হতে পারে না (Trump Tariffs)।’

  • Trump 2.0: আমেরিকায় নতুন সকাল! ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তা সুন্দর পিচাই, ববি জিন্দালদের

    Trump 2.0: আমেরিকায় নতুন সকাল! ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তা সুন্দর পিচাই, ববি জিন্দালদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump 2.0)। চার বছর পর ফের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন ট্রাম্পের। বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত (Indian-Americans) আমেরিকানরা। তাঁর প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন গুগল সিইও সুন্দর পিচাই, লুইজিয়ানার প্রাক্তন গভর্নর ববি জিন্দাল, দক্ষিণ ক্যারোলাইনার প্রাক্তন গভর্নর নিকি হ্যালি। 

    সোনালী যুগের সূচনা

    ট্রাম্পকে (Trump 2.0) অভিনন্দন জানিয়ে গুগল সিইও সুন্দর পিচাই বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর দৃঢ় বিজয়ের জন্য অভিনন্দন। আমরা আমেরিকান উদ্ভাবনের সোনালী যুগে আছি এবং সবাইকে সুবিধা পৌঁছে দিতে তাঁর প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ দক্ষিণ ক্যারোলিনার প্রাক্তন গভর্নর নিকি হ্যালি বলেন, ‘‘আমেরিকার জনগণ তাঁদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে শক্তিশালী জয়ের জন্য অভিনন্দন। এখন সময় এসেছে আমেরিকার জনগণের একত্রিত হওয়ার, আমাদের দেশটির জন্য প্রার্থনা করার, এবং শান্তিপূর্ণ রূপে ক্ষমতার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার।’’

    দুর্দান্ত দিন

    লুইজিয়ানার প্রাক্তন গভর্নর ববি জিন্দাল বলেন, ‘‘কী দুর্দান্ত দিন আমেরিকার জন্য! এক মিনিটের জন্য উদযাপন করি। তারপর শুরু হবে কঠিন কাজ, আমাদের দেশকে আবার ঠিক পথে আনার!’’ ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিবেক রামস্বামী বলেন, ‘‘এটি আমেরিকায় নতুন সকাল। এখন চলুন আমরা দেশটিকে বাঁচাই।’’

    সুপার ইউএস-ইন্ডিয়া সম্পর্কের সূচনা

    আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সংগঠন ‘ইন্ডিয়াসপোরা’র প্রতিষ্ঠাতা এমআর রঙ্গস্বামী বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে (Trump 2.0) অভিনন্দন। আমরা ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক আরও জোরদার করব। দুই দেশ নানা কাজে একসাথে নেতৃত্ব দেবে, এর অপেক্ষা করছি।’’ ভারত-আমেরিকা ফ্রেন্ডশিপ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণা রেড্ডিও ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এটি সুপার ইউএস-ইন্ডিয়া সম্পর্কের সূচনা, একসঙ্গে আমরা আবার পৃথিবীকে নিরাপদ রাখব। ভারতীয়-আমেরিকানরাও (Indian-Americans) এই সফলতার একটি বড় অংশ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • US Presidential Election: সরে দাঁড়ালেন নিকি হ্যালি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেন-ট্রাম্পের লড়াই

    US Presidential Election: সরে দাঁড়ালেন নিকি হ্যালি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেন-ট্রাম্পের লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (US Presidential Election) ফের মুখোমুখি হতে চলেছেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীর লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন নিকি হ্যালি (Nikki Haley)। জানা গিয়েছে, সুপার টুইসডেতে আমেরিকার ১৫টি প্রদেশে ছিল রিপাবলিকান প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট। এর মধ্যে ১৪টিতে ট্রাম্পের কাছে হারতে হয়েছে হ্যালিকে। এরপরেই রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার লড়াই থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। 

    কী বললেন হ্যালি

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনি নিকি হ্যালি (Nikki Haley) বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করন। তিনি সারা আমেরিকা থেকে যে ‘অভাবনীয় সমর্থন’ পেয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে যোগ করেন যে,’সময় এসেছে আমার প্রচারকে থামানোর।’ নিকি বলেন, ‘ এটাই সম্ভাব্য যে জুলাইতে আমাদের পার্টি কনভেনশনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই আমাদের পার্টির প্রার্থী করা হবে।’

    নিকি বলেন, ‘আমি তাকে অভিনন্দন জানাই এবং তার মঙ্গল কামনা করি।’ আগামী নভেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নতুন করে কোনও অঘটন না ঘটলে, ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের সঙ্গে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের লড়াইয়ের সম্ভাবনা বেশি। ভোটের ময়দান ছাড়লেও, যে ভাবনা চিন্তিায় তিনি বিশ্বাস করেন, সেই ভাবনা চিন্তাকে পূর্ণ সমর্থন যুগিয়ে যাবেন বলে জানান নিকি।

    আরও পড়ুন: জনসভায় মোদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ, রাহুলকে ফের সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন

    ট্রাম্প-বাইডেন দ্বৈরথ!

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (US Presidential Election) রিপাবলিকান প্রার্থীর দৌঁড়ে প্রথম থেকে ছিল চারজনের নাম। ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়া এই তালিকায় ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত বিবেক রামস্বামী, ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস এবং সাউথ ক্যারোলিনার প্রাক্তন গভর্নর নিকি হ্যালি (Nikki Haley)। রিপাবলিকান প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক পর্বেই ছিটকে গিয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত রামস্বামী। সেই সময় রিপাবলিকানদের ট্রাম্পকে সমর্থন করার জন্য জানিয়েছিলেন আবেদন। গত ২১ জানুয়ারি প্রার্থী বাছাইয়ের লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে দেখা যায় ফ্লোরিডার গভর্নরকে।এরপর লড়াই মূলত ছিল হ্যালি ও ট্রাম্পের মধ্যেও। এবার সাউথ ক্যারোলিনার প্রাক্তন গভর্নরও সরে দাঁড়ালেন। নিকির এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে আরও কোনও বাধা রইল না বলে মনে করছে মার্কিন ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nikki Haley: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী লড়াইয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিক্কি হ্যালি, বক্তব্যে ভারতের প্রসঙ্গ

    Nikki Haley: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী লড়াইয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিক্কি হ্যালি, বক্তব্যে ভারতের প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিক্কি হ্যালি নিজেই ঘোষণা করলেন যে, রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন তিনি। তাঁর কথাতে পরিষ্কার,  ডোনাল্ড ট্রাম্পের পথে বাধা হয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী হতে তৈরি তিনি। জেতার ব্যাপারে আশাবাদীও তিনি। তিনি নিজের প্রার্থীপদ ঘোষণার পর এই প্রথম কোনও জনসভায় সামনে এলেন। সেখানেও ঘোষণা করলেন তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    আগামী বছর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই নির্বাচনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্য রয়েছে, এমনটাই ঘোষণা করলেন রিপাবলিকান পার্টির নেত্রী নিক্কি হ্যালি। আমেরিকার নেতৃত্বে নতুন প্রজন্মের আসার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন নিক্কি। তাতেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড়ে নামার কথা জানিয়েছেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেছেন, “এটা নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের সময়। আর্থিক দায়িত্ব থেকে সীমান্তের নিরাপত্তা এবং দেশকে আরও মজবুত করা এটাই সময়।”

    অন্যদিকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পও আগেই জানিয়েছিলেন যে, তিনি ফের নামবেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড়ে। ফলে নিক্কি এই পরিস্থিতিতে নিজেকে ট্রাম্পের থেকে কমবয়সী এবং যোগ্য হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন। কারণ এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বয়স ৭৬। নিক্কি হ্যালি ৫১ বছর বয়সী।

    নিজেকে ভারতীয় বলে গর্বিত নিক্কি

    সেই ভিডিও বার্তায় নিক্কি আরও বলেছেন যে, “আমি ভারতীয় অভিবাসীর গর্বিত সন্তান। আমি কালো নই, আমি সাদা নই। আমি আলাদা।” আবার নিজের মায়ের প্রসঙ্গ এনেও নিক্কি বলেছেন, “আমার মা বলতেন, পার্থক্যগুলোতে মনোযোগ দেওয়া তোমার কাজ নয়, মিলগুলিতে মনোযোগ দেওয়া কাজ।”

    নিক্কির পরিচয় ও রাজনৈতিক জীবন

    তাঁর পুরো নাম, নিম্রতা নিক্কি রণধাওয়া। ১৯৭২ সালে জন্ম। বাবার নাম রণজিত সিং রণধাওয়া, মায়ের নাম রাজ কউর রণধাওয়া। ষাটের দশকে তাঁরা পাঞ্জাব থেকে কানাডা হয়ে আমেরিকায় চলে গিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে মাইকেল হ্যালিকে বিবাহ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি অভিবাসী ভারতীয় দম্পতির গর্বিত সন্তান।’

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় দক্ষিণ ক্যারোলাইনার গভর্নরের দুবার দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও সামলেছেন ৫১ বছরের নিক্কি হ্যালি। রিপাবলিকান দলে ট্রাম্পের ঘোর সমালোচক হিসেবেই নিক্কি বেশি পরিচিত বলে জানা গেছে। ২০১১ সালে ৩৯ বছর বয়সে গর্ভনর হয়েছিলেন নিক্কি হ্যালি। যা আমেরিকায় সবচেয়ে কমবয়সে গভর্নর হওয়ার নজির গড়েছিলেন তিনি। দক্ষিণ ক্যারোলাইনার প্রথম মহিলা গভর্নরও ইনি।

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মূল পর্বে পৌঁছনোর আগে নিক্কি হ্যালিকে জিততে হবে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারি। সেটা হবে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। আর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে ২০২৪ সালের নভেম্বরে। ফলে এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছেন নিকি হ্যালি। আগামী মাস থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেই সঙ্গে জেতার ব্যাপারেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।

LinkedIn
Share