Tag: Nirmala Sitharaman

Nirmala Sitharaman

  • S&P Global Rating: ভারতীয় অর্থনীতি পজিটিভ, জানিয়ে দিল এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং

    S&P Global Rating: ভারতীয় অর্থনীতি পজিটিভ, জানিয়ে দিল এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘স্টেবল’ তকমা আগেই জুটেছিল। এবার মিলল ‘পজিটিভ’ ছাপও। এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংয়ের (S&P Global Rating) তরফে এভাবেই ‘গুণকীর্তন’ করা হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির। ভারতীয় অর্থনীতির এই বদল যে আসলে দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই প্রমাণ করে, তাও জানানো হয়েছে ওই রেটিং সংস্থার তরফে। বুধবার সংস্থার তরফে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ভারতের ক্রেডিট রেটিং উল্লেখ করা হয়েছে ‘বিবিবি-’। ‘বিবিবি মাইনাস’ হল সর্বনিম্ন বিনিয়োগ গ্রেড রেটিং দেওয়া।

    কী বলছে রেটিং সংস্থা? (S&P Global Rating)

    সংস্থার (S&P Global Rating) তরফে বলা হয়েছে, আগামী দু-তিন বছরের মধ্যেই আমূল বদলে যাবে ভারতীয় অর্থনীতির হাল। গত দশ বছরে ভারত সরকার যে অর্থনৈতিক সংস্কার করে চলেছে, তার জেরেই ক্রমেই উন্নত হচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি। রেটিং ওই সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতির দৃঢ় প্রবৃদ্ধি, তাৎপর্যপূর্ণভাবে সরকারি ব্যয়ে নিয়ন্ত্রণ এবং দেশের অর্থনীতি মজবুত করার যে দৃঢ় অঙ্গীকার করেছে সরকার, তার জেরেই দেশের অর্থনীতির এই উৎকর্ষ সাধন। এস অ্যান্ড পি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, “আমরা বিশ্বাস করি এই ফ্যাক্টরগুলি এবং ক্রেডিট মেরিটের সুফলই পাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি।” রেটিং সংস্থার মূল্যায়নকে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, ‘‘এস অ্যান্ড পি-র সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আগামী বছরগুলিতে ভারতের মজবুত বৃদ্ধির হার এবং দেশের অর্থনৈতিক রূপরেখা প্রতিফলিত হচ্ছে।’’ 

    আউটলুক পরিবর্তনের অর্থ

    এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং (S&P Global Rating) হল একটি মার্কিন মূল্যায়ন সংস্থা। এটি এস অ্যান্ড পি গ্লোবালের একটি বিভাগ যা স্টক, বন্ড এবং পণ্যের ওপর আর্থিক গবেষণা ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।আউটলুক পরিবর্তন মানে আগামী দু’বছরে রেটিং আপগ্রেড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “বর্তমানে ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আর্থিক ঘাটতি, উচ্চ ঋণপত্র এবং করের বোঝা। তা সত্ত্বেও, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি অটূট।” সংস্থার আশা, আর্থিক ঘাটতির হার চলতি অর্থবর্ষে ৭.৯ শতাংশ থেকে কমে  ২০২৮ অর্থবর্ষ নাগাদ ৬.৮ শতংশ হতে পারে। সংস্থাটির মতে, আগামী তিন বছর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার যদি ৭ শতাংশ থাকে, তাহলে অচিরেই জিডিপি ও ঘাটতির অনুপাত কমে আসবে। এস অ্যান্ড পি তাদের রিপোর্টে বলেছে, “ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী প্রতিফলিত করে যে অব্যাহত নীতিগত স্থিতিশীলতা, গভীরতর অর্থনৈতিক সংস্কার এবং উচ্চ পরিকাঠামো বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বজায় রাখবে।”

    আর পড়ুন: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    ভারতের অর্থনীতির ভিত যে ক্রমেই মজবুত হচ্ছে, তার প্রমাণ মিলেছে মোদি সরকারের আমলে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তির অবস্থানেই। ২০১৪ সালের আগে বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত ছিল ১০ নম্বরে। মোদি সরকারের দশ বছরের রাজত্বে ওই তালিকায় ভারতের জায়গা হয়েছে পাঁচ নম্বরে। অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগের মতে, আগামী এক বছরের মধ্যেই ভারত চলে আসবে ওই তালিকার চার নম্বরে। তার আগে থাকবে কেবলই আমেরিকা, চিন এবং জাপান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nirmala Sitharaman: “ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বাজেট সংস্কার করা হয়েছে”, বললেন নির্মলা

    Nirmala Sitharaman: “ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বাজেট সংস্কার করা হয়েছে”, বললেন নির্মলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত দশ বছরে মোদি সরকার কেন্দ্রীয় বাজেটের পুনঃসংস্কার করেছে। এতদিন বাজেট বলতে ছিল কেবল খরচের খতিয়ান। মোদি সরকার তাকে পরিণত করেছে সমবণ্টনের ব্লপ্রিন্টে। ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে করা হয়েছে এই সংস্কারের পদক্ষেপ।” সোমবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। তিনি জানান, মোদি সরকার করদাতাদের কষ্টার্জিত প্রতিটি পাই পয়সার মূল্য যাতে ঠিকঠাকভাবে কাজে লাগানো যায়, নিরন্তর সেই চেষ্টাই করে চলেছে। সরকারের সেই কাজের সুফলও যাতে সকলের কাছে পৌঁছায়, সেই ব্যবস্থাও করছে। বাজেটে স্বচ্ছতাই যে মোদি সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে, তা-ও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)।

    কী বললেন সীতারামণ? (Nirmala Sitharaman)

    তিনি বলেন, “দেশে যে স্বচ্ছ বাজেট পেশ করা হচ্ছে গত দশ বছর ধরে, তার প্রশংসা শোনা গিয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের কণ্ঠে। এর ফলে দেশ তামাম বিশ্বের বিশ্বাস অর্জন করতে পারছে।” এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, “ইন্ডিয়ান জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার বারংবার বাজেট পরবর্তীকালে ধার করে বাজেটের ঘাটতি লুকিয়ে রাখত। তারা ওয়েল বন্ড ইস্যু করত। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঘাড়ে চাপত ঋণের বোঝা। আমাদের আমলে এসব হয় না। বাজেট কীভাবে ফেভারেবল হয় ইউপিএ সরকার সর্বদাই তার চেষ্টা করত’।

    বাজেটের বিশ্বাসযোগ্যতা

    তিনি বলেন, “গত দশক দেখেছে কেন্দ্রীয় বাজেটের পবিত্রতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা। অতীতের ধারা বদলে এই নয়া ট্রেন্ড শুরু করেছে মোদি সরকার।” এর পরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকার বাজেটের পুনঃসংস্কার করেছে। বাজেটে বজায় রাখা হচ্ছে স্বচ্ছতা। বাজেটে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে বাজেটারি প্রসেসেও।” তিনি জানান, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষ থেকে বাজেট পেশ হয়ে আসছে পয়লা ফেব্রুয়ারি। তার আগে বাজেট পেশ হত ফেব্রুয়ারির শেষ দিনে। এতে ব্যয়-চক্র (এক্সপেন্ডিচার সাইকেল) দু’মাস এগিয়ে এসেছে। ট্রেজারি সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট (টিএসএ) নিয়ে এসে সরকার ব্যয়ে সংস্কার সাধন করেছে বলেও জানান সীতারামণ। তিনি (Nirmala Sitharaman) জানান, টিএসএ চালু হওয়ায় আজ পর্যন্ত বেঁচেছে ১৫ হাজার কোটিরও বেশি টাকা।

    আর পড়ুন: ১১৩ পাতার চার্জশিট! জমি দখল করে কত কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nirmala Sitharaman: “বড় শিল্প তো আসেই না”- ব্যর্থতার অভিযোগে সরকারকে বিঁধলেন নির্মলা

    Nirmala Sitharaman: “বড় শিল্প তো আসেই না”- ব্যর্থতার অভিযোগে সরকারকে বিঁধলেন নির্মলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহে কলকাতায় দাঁড়িয়ে সরকারকে ব্যর্থতার অভিযোগে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতায় দাঁড়িয়ে শিল্পায়নের প্রসঙ্গ তুলে পূর্বতন বাম এবং বর্তমান তৃণমূল সরকারকে একাধারে ব্যর্থতার অভিযোগে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 

    সীতারামনের মন্তব্য  (Nirmala Sitharaman)

    এদিন এক সংগঠনের আয়োজিত নাগরিক সম্মেলনে যোগ দিতে কলকাতায় আসেন নির্মলা। সেখানেই সীতারামনের দাবি করেন, এক সময় বাংলা শিল্পের নিরিখে দেশের প্রথম সারির রাজ্যগুলির অন্যতম হিসেবে গণ্য হত। কিন্তু গত ৫০ বছরে পরিস্থিতি লাগাতার অবনতির দিকে অগ্রসর হয়েছে। যদিও বর্তমান সরকারকে একটু বেশি দুষলেন নির্মলা। তিনি বলেন, “শিল্পের হাল এখন বামফ্রন্ট জমানার থেকেও অনেক বেশি খারাপ হয়েছে। বড় শিল্প তো আসেই না। বরং যারা ছিল তাদের অনেকে রাজ্য ছেড়ে চলে যাচ্ছে।” এছাড়াও এদিন  তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, তোলাবাজি এবং গুন্ডাগিরির অভিযোগ তুলে তাঁর মন্তব্য, এই সব কারণেই বড় সংস্থা থাকছে না। শিল্প তৈরির অনুকূল পরিবেশই নেই। 

    সন্দেশখালি ইস্যুতেও আক্রমণ  

    এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির অন্যতম অস্ত্র সন্দেশখালি (Sandeshkhali Issues)। নারী নির্যাতনের অভিযোগ থেকে ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে এই এলাকার নাম। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি ইস্যুতেও আক্রমণ শানান নির্মলা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, “সন্দেশখালিতে ভিক্টিম শেমিং করছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও করেছেন। পার্ক স্ট্রিটের সময়।’’

    মূলধন তৈরির নিরিখেও পিছিয়ে রাজ্য 

    মূলধন তৈরির নিরিখেও রাজ্য পিছিয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন নির্মলা (Nirmala Sitharaman)। তাঁর দাবি, এখানে এক সময়ে মূলধন সৃষ্টির হার ছিল ৬.৭%। এখন তা ২.৬%। এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধির এটি অন্যতম কারণ। 

    আরও পড়ুন: ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে, চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    কুণাল ঘোষের মন্তব্য

    নির্মলার মন্তব্যের প্রসঙ্গে তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘নির্মলা সীতারামন যে পরিবেশে থাকেন, সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব নয়। এখানে গত ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিকল্প অর্থনৈতিক ভাবনা প্রতিষ্ঠা করেছেন। শুধু শিল্প লগ্নি হয়নি, তার বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বহু মানুষ যুক্ত হয়েছেন।’’  কুণালের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিকে মূল্যায়ন করতে করোনার সময় লকডাউন চলাকালীন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আর্থিক অবস্থার সঙ্গে এ রাজ্যের তুলনা করলেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) তা বুঝতে পারতেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: “আগামী বছরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত” দাবি অর্থমন্ত্রী নির্মলার

    Nirmala Sitharaman: “আগামী বছরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত” দাবি অর্থমন্ত্রী নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:আর মাত্র এক বছরের অপেক্ষা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করার পরই ভারত আগামী বছরের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। ঝাড়খণ্ডে বৃহস্পতিবার নির্বাচনী জনসভায় এমনই দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তাঁর কথায়, অদূর ভবিষ্যতে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত। চিন, জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় দেশগুলি বর্তমানে আর্থিক সংকটে রয়েছে। কিন্তু তারই মধ্যে এগিয়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি।

    কী বললেন নির্মলা

    বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্যের সময় নির্মলা (Nirmala Sitharaman) জানান, ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করার কথা আগেও বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথামতোই এগিয়ে চলেছে দেশ। মোদি সরকার তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলেই সামনের বছরই অর্থনীতিতে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে দেশ। নির্মলা বলেন, ” প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ভারতের অর্থনীতি আগামী বছর পঞ্চম স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে যাবে। ভারতের জিডিপি ক্রমশ বাড়ছে। ভারত বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম উজ্জলতম স্থান। সম্প্রতি ব্রিটিশ যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয় ভারত।  ভারত এখন শুধুমাত্র আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, চিন, জাপান ও জার্মানির পেছনে রয়েছে।”  দেশের মঙ্গল এবং দুর্নীতিমুক্ত শাসনের জন্য ঝাড়খণ্ডবাসীকে ভোট দিতে আহ্বান জানান নির্মলা। 

    আরও পড়ুন: ‘ছাপ্পা কমতেই বাংলায় কমেছে ভোটের হার’ দাবি নির্বাচন কমিশনের

    রেটিং এজেন্সিদের মতে

    বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি হিসাবে ভারতের কথা উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্য একাই ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যা খুবই স্বাস্থ্যকর একটি পরিবেশ। 8 মে, প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন বলেছিলেন যে ২০২৪ অর্থনৈতিক বর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ স্পর্শ করার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় কেন্দ্রের পূর্বাভাস, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতি ৭ শতাংশ হারে বাড়বে। চলতি অর্থবছরে অর্থনীতি ৭.৩% হারে বাড়বে বলে সরকারের অনুমান। বিশেষজ্ঞমহলের মতে, এই আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাসকে মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) এই দাবি করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPI transaction: ডিজিটাল ভারতের পথে আরও একধাপ, অনলাইন পেমেন্টে রেকর্ড গড়ল ইউপিআই

    UPI transaction: ডিজিটাল ভারতের পথে আরও একধাপ, অনলাইন পেমেন্টে রেকর্ড গড়ল ইউপিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিআই অর্থাৎ ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস অনলাইন পেমেন্টের (UPI transaction) জন্য বেশ বিখ্যাত। সেই খ্যাতিই এবার রেকর্ড গড়ল অনলাইন পেমেন্টের বাজারে। সোমবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন,  ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ২০০ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ১৩ হাজার কোটি ইউপিআই (UPI) লেনদেন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে ভারত। ইউপিআই পরিচালনাকারী ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে, ইউপিআই-এর মাধ্যমে ১৩৯ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের লেনদেন হয়েছিল।

    সীতারামনের বক্তব্য (UPI transaction)

    সম্প্রতি বিশাখাপত্তনমে ‘বিকশিত ভারত অ্যাম্বাসাডর’-এর একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সীতারামন বলেন, “অনলাইন পেমেন্ট (UPI transaction) এখন সব জায়গায় চলেছে। শহর থেকে গ্রাম— সব জায়গার মানুষই অনলাইন পেমেন্টের (Online Payment) প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে। শুধু আদানি-আম্বানিরাই নন, সাধারণ ক্রেতা থেকে বিক্রেতা— সকলেই নির্ভর করছে অনলাইন লেনদেনের উপর।” এদিন সীতারামন আরও বলেছেন যে, সরকার ইতিমধ্যেই ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতবর্ষকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। যার ফলে আগামী বছরগুলিতে দেশটি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।

    আরও পড়ুনঃ শাহজাহানের জমি দখলের টাকা নিয়েছেন রাজ্যের আরও ২ মন্ত্রীও, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    ৫৫ শতাংশ বেড়েছে

    এনপিসিয়াই-এর তথ্য অনুসারে, জানা গিয়েছে বর্তমানে লেনদেনের সংখ্যার নিরিখে ইউপিআই (UPI transaction)-এর বাজার শেয়ার প্রায় ৮৬%। যার মধ্যে ফোন পে ৪৮.৩% এবং গুগুল পে ৩৭.৬%। যদিও জানুয়ারি মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) পেটিএম পেমেন্টসের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করার পরে বাজারের এর শেয়ার হ্রাস পেয়েছে। গত অর্থবর্ষে ইউপিআই লেনদেনের সংখ্যা ১০ হাজার কোটি অতিক্রম করেছে এবং এবছর তা ১৩ হাজার কোটিতে পৌঁছেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “যথেষ্ট অর্থ নেই”, তাই নির্বাচনে লড়ছেন না অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন!

    Lok Sabha Elections 2024: “যথেষ্ট অর্থ নেই”, তাই নির্বাচনে লড়ছেন না অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দেশের অর্থমন্ত্রী। দেশের যাবতীয় প্রয়োজনে টাকা জোগান তিনি। সেই তিনিই কিনা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) লড়ছেন না টাকার অভাবে! শুনে যতই চোখ কপালে উঠুক না কেন, ঘোর বাস্তব এটাই। দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী? (Lok Sabha Elections 2024)

    ‘টাইমস নাও সামিট ২০২৪’ এ অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা আমায় অন্ধ্রপ্রদেশ কিংবা তামিলনাড়ু থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন, তা আমার নেই। তাই ওঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছি আমি।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “নাড্ডাজির প্রস্তাব পাওয়ার পর আমি এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন সময় নিয়েছিলাম। তারপর বললাম, না, নির্বাচনে লড়ার মতো অর্থ আমার নেই।”

    পদ্ম-পার্টিকে ধন্যবাদ

    বিজেপি তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানোয় পদ্ম-পার্টিকে ধন্যবাদ দিয়েছেন নির্মলা। বলেন, “আমি কৃতজ্ঞ যে (Lok Sabha Elections 2024) তারা আমার যুক্তিগুলি মেনে নিয়েছে। তাই আমি এবার নির্বাচনে লড়ছি না।” দেশের অর্থমন্ত্রী হয়েও তাঁর কাছে নির্বাচনে লড়ার মতো প্রয়োজনীয় অর্থ নেই কেন? প্রশ্ন শুনে নির্মলা বলেন, “দেশের অর্থ আমার ব্যক্তিগত নয়। আমার বেতন এবং সঞ্চয় অল্প। সেটা দেশের অর্থ নয়।”

    আরও পড়ুুন: “চিন-ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে যদি…”, কী শর্ত দিলেন জয়শঙ্কর?

    মনে রাখতে হবে, নির্মলা রাজ্যসভার সদস্য। সেখানে দল কাউকে মনোনীত করে পাঠায়। আর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। তবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও, তিনি যে বিজেপির হয়ে প্রচার করবেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি অনেক মিডিয়া প্রোগ্রামে অংশ নেব। প্রার্থীদের সঙ্গেও থাকব। প্রচারেও থাকব।” লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার আরও একটি কারণ দেখিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বলেন, “নির্বাচনে জয়ের জন্য আরও অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। আমাকে ভাবতে হয়েছে অন্ধ্রে দাঁড়াব নাকি তামিলনাড়ুতে। এর বাইরেও বহু প্রশ্ন রয়েছে। আপনি এই সম্প্রদায়ের নাকি অন্য সম্প্রদায়ের। এই ধর্মের নাকি অন্য ধর্মের। এই জাতির নাকি অন্য জাতির। আমার মনে হল, এসব আমার দ্বারা হবে না (Lok Sabha Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Union Budget: কর্মসংস্থানের উপরও বিশেষ জোর! কেন্দ্রীয় বাজেটে বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ১০ লক্ষ কোটি টাকা

    Union Budget: কর্মসংস্থানের উপরও বিশেষ জোর! কেন্দ্রীয় বাজেটে বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ১০ লক্ষ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি লোকসভায় বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই ছিল মোদি সরকরারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই সব দিক মাথায় রাখতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। একাধারে তিনি যেমন আয়কর সীমা বাড়িয়েছেন, তেমনি প্রবীণ নাগরিক ও মহিলাদের জন্য দিয়েছেন একগুচ্ছ সুবিধা। তাই খুশি আম জনতা। একই সঙ্গে সীতারামন জোর দিয়েছে পরিকাঠামো উন্নয়নে। তার জন্য বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ১০ লক্ষ কোটি টাকা। যা গত বাজেটের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি। আসলে আরও বেশি চাকরি দেওয়াই লক্ষ্য মোদি সরকারের।  

    মূলধন বৃদ্ধির হার

    বাজেটে বলা হয়েছে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার চারগুণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই তথ্যে জানা গিয়েছে, ২০১১-১২ সাল থেকে ২০২১-২২ আর্থিক বছরের মধ্যে দেশের গড় মূলধনী ব্যয় বৃদ্ধির হার প্রায় ১৩ শতাংশ। ২০২২-২৩ সালের প্রথম আট মাসে দেশের বৃদ্ধির হার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬৩.৪ শতাংশ। অন্যদিকে,২০২১-২২ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের ত্রৈমাসিকে ব্যক্তিগত মূলধনের পরিমাণ লাফিয়ে বেড়েছে। এটি দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। কেন্দ্রের এই মূলধনী ক্ষেত্রে রাস্তা, হাইওয়ে, রেলপথ এবং পরিকাঠামো নির্মাণের সেক্টরগুলিতে বিনিয়োগ দেখা যেতে পারে। এই ধরনের বিনিয়োগে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রয়েছে। এ বিষয়ে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, “মূলধনী ব্যয় সামগ্রিকভাবে চাহিদাকে শক্তিশালী করে। ঝুঁকি না নেওয়ার সময় এটি ব্যক্তিগত ব্যয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পাশাপাশি, দীর্ঘমেয়াদে উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়ায়।”

    আরও পড়ুন: বাজেটে বাংলার জন্য রেলের রেকর্ড বরাদ্দ! ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকার ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    কাজের সুযোগ

    কর্মসংস্থানের উপরও বিশেষ জোর দিয়েছে কেন্দ্র। এবারের বাজেটে মেক ইন ইন্ডিয়া পণ্যের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। তাতে মূলধন বিনিয়োগের কথাও বলা হয়েছে। ক্ষুদ্র শিল্পের মাধ্য়মে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ করে দেওয়ার কথাও বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন নতুন সংস্থা বা স্টার্টআপের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। অমৃতকালে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতি গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হয়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনায় স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করা হবে। পিএম বিশ্বকর্মাস্কিল ডেভেলপমেন্ট স্কিম চালু করা হবে। শিল্পীদের স্কিলের উন্নয়েনর উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প নিয়ে আসা হবে। এর ফলে আরও প্রফেশনাল উপায়ে শিল্পীরা কাজ করতে পারবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sandeshkhali Incident: ‘‘মণিপুর নিয়ে শুধু কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?’’, কলকাতায় এসে প্রশ্ন অর্থমন্ত্রী নির্মলার

    Sandeshkhali Incident: ‘‘মণিপুর নিয়ে শুধু কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?’’, কলকাতায় এসে প্রশ্ন অর্থমন্ত্রী নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (SandeshKhali Incident) ইডির উপরে হামলার ৫৪ দিন অতিক্রান্ত। তবুও অধরা মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। সেখানকার মহিলারা নির্যাতনের শিকার। বিরোধীদের সেখানে কথা বলতে দেওয়া হয় না। সর্বত্র আতঙ্কের পরিবেশ। এবার রাজ্যে এসে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, ‘বলা হচ্ছে ৭ দিনে গ্রেফতার হবে শেখ শাহজাহান। তা হলে শেখ শাহজাহান কোথায়, সবাই জানে?’ লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে মহানগরে দাঁড়িয়ে নির্মলা বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে এত মৃত্যু হয়েছে। তার জবাব না দিয়ে শুধুই অন্যদের আক্রমণ। মণিপুর নিয়ে এত কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?’

    কী বললেন নির্মলা

    জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নির্মলা (Nirmala Sitharaman) দাবি করেন, “ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলার তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ প্রায় নীচের দিকে।” তিনি বলেন, ‘‘গত জানুয়ারিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে কী ভাবে ইডি আধিকারিকরা উন্মত্ত জনতার দ্বারা আক্রান্ত হন। গুরুতর জখম হন। তার পরেও পুলিশ রাজনৈতিক প্রভুদের নির্দেশ মতো কাজ করে।’’ শাহজাহানের গ্রেফতার না হওয়া নিয়েও এ দিন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন নির্মলা। তাঁর কথায়, ‘‘সন্দেশখালির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার হয়নি। প্রশাসনের ঔদ্ধত্য দেখে অবাক হতে হয়!” তাঁর অভিযোগ, “সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ মন্ত্রীরা যাচ্ছেন। পুলিশের আচরণ তৃণমূলের গুন্ডাদের মতো।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    মণিপুর প্রসঙ্গ

    রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।  মণিপুর নিয়ে তৃণমূলের ভূমিকা মনে করিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, “সন্দেশখালির (SandeshKhali Incident) কথা বলতে গিয়ে আমার গা-হাত-পা কেঁপে ওঠে। আইন শৃঙ্খলার কেমন ছবি এটি? সংসদে মণিপুর নিয়ে কত প্রশ্ন! কেন গেলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? তিনি তো সেখানে গিয়েছেন। শিবিরে থেকেছেন। যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, নিয়েছেন।” কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি চলতি মাসের মাঝামাঝিই সন্দেশখালির অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেছিলেন,”শুধু জমি নয়, সন্দেশখালির মহিলাদের সম্মান লুঠ করেছে তৃণমূল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • White Paper On Economy: কী ছিল, কী হল! গত ১০ বছরে মোদি সরকারের অর্থনীতির শ্বেতপত্রে বিধ্বস্ত কংগ্রেস

    White Paper On Economy: কী ছিল, কী হল! গত ১০ বছরে মোদি সরকারের অর্থনীতির শ্বেতপত্রে বিধ্বস্ত কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএ ও এনডিএ আমলে দেশের আর্থিক অবস্থার তুলমূল্য বিচার করা হল। বৃহস্পতিবার লোকসভায় ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র  (White Paper  On Economy) প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বাজপেয়ী সরকারের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে একটি ‘সুস্থ অর্থনীতি’ পেয়েছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। কিন্তু, ১০ বছর আগে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট ভারতীয় অর্থনীতিকে শুধু খারাপ অবস্থায় নয়, ‘সঙ্কটাপন্ন’ অবস্থায় ছেড়ে গিয়েছিল, বলে দাবি করা হয়েছে শ্বেতপত্রে।

    কী আছে শ্বেতপত্রে

    ‘শ্বেতপত্র’ এক ধরনের তথ্য সম্বলিত রিপোর্ট। এতে কোনও বিষয় নিয়ে সরকারি নীতি, সরকারের কৃতিত্ব এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। কেন্দ্রের দাবি, ২০০৪ সালে যখন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় আসে তখন দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশ। শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে তা ছিল ৭ শতাংশ। কৃষিক্ষেত্রে তা ছিল ৯ শতাংশে। কিন্তু সেই পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে ব্যর্থ কংগ্রেস। শ্বেতপত্রে দেখানো হয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০১৪- এই এক দশকে গড় বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৮.২ শতাংশ। আর এই চড়া মুদ্রাস্ফীতি রুখতে ইউপিএ কোনও পদক্ষেপই করেনি বলে অভিযোগ। এরই পাশাপাশি শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, বৃহত্তর অর্থনৈতিক কল্যাণের জন্য বহু কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনডিএ সরকার। তৈরি করেছে শক্তিশালী পরিকাঠামো। 

    কী হয়েছে

    ভারতীয় অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলিকে ‘সুস্থ’ করতে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল মোদি সরকার। সেই সময় বিশ্বের অন্যতম ভঙ্গুর অর্থনীতির একটি ছিল ভারতের অর্থনীতি। পরের দশ বছরে, মোদি সরকার ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় সর্ববৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। ইউপিএ আমলে ২জি কেলেঙ্কারি ছিল। এখন, ভারতের জনসংখ্যার অধিকাংশ সর্বনিম্ন মূল্যে ৪জি যোগাযোগের সুবিধা পান। ২০২৩-এ গোটা বিশ্বের মধ্যে সবথেকে দ্রুত ৫জি রোলআউট হয়েছে। সেই সময় কয়লা কেলেঙ্কারি ছিল। আজ প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগাতে, স্বচ্ছ এবং উদ্দেশ্যমূলক নিলাম ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। সেই সময়, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার সংকট ছিল। এখন, ভারতের ঘরে রেকর্ড পরিমাণ, ৬২০ বিলিয়নের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Interim Budget 2024: ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর আওতায় আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও, বাজেট-ঘোষণার প্রশংসা হু-র

    Interim Budget 2024: ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর আওতায় আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও, বাজেট-ঘোষণার প্রশংসা হু-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সমস্ত আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। বৃহস্পতিবারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে (Interim Budget 2024) এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। পাশাপাশি জরায়ু ক্যান্সার ঠেকাতে টিকাকরণের কথাও বলেছেন তিনি। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারত সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ভারতে হু-র প্রতিনিধি ড: রডরিকো অফরিন জানান, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা একদম নীচু তলায় কাজ করেন, তাই তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে ভারত সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অভূতপূর্ব।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তা

    প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সকলে আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পেতেন না। এবার তাঁদের সবাইকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। বর্তমানে এই প্রকল্পে পরিবার পিছু বছরে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হাসপাতালের চিকিৎসার খরচ দিয়ে থাকে কেন্দ্র। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ কোটি পরিবারের ৫৫ কোটি সদস্য আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সরকার। রডরিকো বলেন, “হু-র লক্ষ্য হল সর্বত্র সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা। ভারত সরকার সকলের জন্য উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে কাজ করছে। সেই সঙ্গে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবাকে আরও সক্রিয় ও সচল করে তোলার জন্য বাজেটে যে অর্থ বরাদ্দের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তাকে স্বাগত জানায় হু। “

    আরও পড়ুন: সারভাইক্যাল ক্যানসার রুখতে কিশোরীদের টিকা, নির্মলার এই ঘোষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প

    অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান প্রকল্প। আয়ুষ্মান কার্ড থাকলে কেউ প্রতি বছর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমা পেতে পারেন বিনামূল্যে। এই বিমার সুবিধা পেতে হলে যে কোনও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এটি প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা নামেও পরিচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share