Tag: Nirmala Sitharaman

Nirmala Sitharaman

  • Nirmala Sitharaman: রাজ্যগুলির বকেয়া ক্ষতিপূরণ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস নির্মলা সীতারামণের

    Nirmala Sitharaman: রাজ্যগুলির বকেয়া ক্ষতিপূরণ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস নির্মলা সীতারামণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যগুলির বকেয়া ক্ষতিপূরণ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। জিএসটি (GST) কাউন্সিলের ৪৯তম বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। তবে যে সব রাজ্য অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেবল তারাই পাবে ক্ষতিপূরণ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, যে সব রাজ্য এখনও পর্যন্ত তাদের রাজ্যের অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় এখনই বকেয়া টাকা পাবে না রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২০১৭-’১৮ এবং ’১৮-’১৯ অর্থবর্ষের অডিট রিপোর্ট দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

    নির্মলা সীতারামণ…

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) জানান, ডেটা লগার বা ট্র্যাকিং ডিভাইসের ওপর জিএসটির হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। বার্ষিক জিএসটি রিটার্ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হলে তার জরিমানার অঙ্ক কমানোর সুপারিশও করেছে জিএসটি কাউন্সিল। নির্মলা সীতারামণ বলেন, মে মাসের ৩১ পর্যন্ত সব বকেয়া আমরা মিটিয়ে দিয়েছি। জুনের জন্য কিছু বকেয়া রয়েছে। সেটাও ক্লিয়ার করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নিজস্ব রিসোর্স থেকে ওই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে সেস বাবদ যে বকেয়া রয়েছে, কেন্দ্র সেটা মিটিয়ে দেবে। এই টাকার অঙ্ক ১৬ হাজার ৯৮২ টাকা। ২০১৭ সালে আইন মোতাবেক ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অর্থমন্ত্রীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    কেন্দ্রীয় সরকারের বর্ষীয়ান আধিকারিকরা এই বৈঠকে যোগ দেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) জানান, পানমশলা ও গুটখা শিল্পে যে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিনের বৈঠকে ঝোলা গুড়, পেন্সিল শার্পনার ও কিছু কিছু ট্র্যাকিং ডিভাইসে পণ্য এবং পরিষেবা করও কমিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের জিএসটি আইন অনুযায়ী রাজ্যগুলির প্রাপ্য শুল্কের একটা পরিমাণ সরাসরি কেন্দ্রের কাছে যাচ্ছে। কিন্তু সেজন্য রাজ্যগুলির যে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, তা পুষিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেবে বলে স্থির হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Union Budget: প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তবেই টাকা পাবে রাজ্য, নয়া ভাবনার পথে মোদি সরকার

    Union Budget: প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তবেই টাকা পাবে রাজ্য, নয়া ভাবনার পথে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, ফেল কড়ি, মাখো তেল। একথার দিন বোধহয় ফুরোতে চলেছে। এবার যা দাঁড়াতে চলেছে, তা হল আগে তেল মাখাতে হবে, তার পরেই মিলবে কড়ি। হেঁয়ালি ছেড়ে এবার আসল কথায় আসা যাক। কেন্দ্র-রাজ্য (Center- State) যৌথ প্রকল্পে এতদিন পর্যন্ত কাজ শুরু হওয়ার পরে পরেই মিলত অর্থ। তবে পরে দেখা যেত কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। অথচ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এই পদ্ধতিতে বদল আনার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র (Union Budget)। জানা গিয়েছে, জল জীবন মিশন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা গ্রাম সড়ক যোজনার মতো যে সব কেন্দ্রীয় সাহায্যে চলা প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই অর্থ খরচ করে, তার মধ্যে বাছাই করা কিছু প্রকল্পে এই ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে মোদি সরকার। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে হলেও, পরে তা হয়ে যাবে পাকাপাকি।

    বাজেট…

    ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট (Union Budget) পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (nirmala sitharaman) বলেছিলেন, উন্নয়নের প্রয়োজনীয় অর্থ ঠিকভাবে খরচ করতে কিছু বাছাই করা প্রকল্পে অর্থ মঞ্জুরির পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে বদলানো হবে। কাজের অগ্রগতির বদলে কাজ শেষে ফল মেলার ভিত্তিতে টাকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রের যুক্তি, এর ফলে রাজ্যগুলি যে কোনও প্রকল্পের সুফল মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে উৎসাহিত হবে। দ্রুত কাজ শেষ হবে। কেন্দ্রের পাঠানো অর্থ খরচ না করে রাজ্যগুলি বসে থাকে। সেই সমস্যাও দূর হবে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রের ব্যাখ্যা, প্রাথমিকভাবে কাজ শুরুর জন্য রাজ্যকে পুঁজি হিসেবে কিছু অর্থ দেওয়া হবে। কিন্তু অধিকাংশ অর্থই মিলবে কাজের ফল মেলার পরে।

    আরও পড়ুুন: ‘ঈশ্বরের কাছে জাতি বর্ণের কোনও বিভেদ নেই’, রোহিদাসের জন্মবার্ষিকীতে বার্তা ভাগবতের

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার যে প্রকল্পের (Union Budget) যে নাম দেবে, তা কোনওভাবেই বদলানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব। যে কোনও প্রকল্পে অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জনের মূল শর্ত দুটি। এক কেন্দ্রীয় সরকার যে প্রকল্পের যে নাম দেবে, তা কোনওভাবেই বদলানো যাবে না। আর দুই, কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা পাওয়ার জন্য ওই প্রকল্পের জন্য একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। রাজ্যের অর্থও সেই অ্যাকাউন্টে যাবে। এর ফলে সেই অ্যাকাউন্টে কেন্দ্র ও রাজ্য দু পক্ষই নজরদারি করতে পারবে। কোনওভাবেই সেই অর্থ রাজ্য অন্য কোনও প্রয়োজনে খরচ করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় অনেক প্রকল্পেরই নাম বদলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এক খাতের অন্য খাতে খরচ করার অভিযোগও রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Nirmala Sitharaman: আয়কর সরল হোক, চেয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী, জানালেন নির্মলা সীতারমন

    Nirmala Sitharaman: আয়কর সরল হোক, চেয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী, জানালেন নির্মলা সীতারমন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়করের ক্ষেত্রে নতুন কর নীতিতেই ভরসা কেন্দ্রের৷ বাজেট পেশ করার পর সংবাদমাধ্যমকে নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) জানান, প্রধানমন্ত্রী নিজেও সরল কর ব্যবস্থার পক্ষে৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সবসময় চেয়েছেন যাতে ব্যক্তিগত আয়কর ব্যবস্থা সরল হোক৷ প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন, কর দেওয়ার জন্য যেন প্রচুর কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন না হয়৷”

    কী বলেন অর্থমন্ত্রী? 

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ করদাতা নতুন আয়কর ব্যবস্থাকেই বেছে নেবেন৷ তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুব পরিষ্কার ছিল, করদাতাদের জানা উচিত তাঁরা ঠিক কত টাকা আয়কর দিচ্ছেন৷” 

    বাজেট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) আরও বলেন, “ভাল বাজেট সেটাই যা সমাজের সব স্তরের মানুষকে ছুঁয়ে যায়৷ বাজেটের সুফল আগামী দিনে বোঝা যাবে৷ সরকার নতুন কর পদ্ধতিকে সাধারণ করদাতাদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চেয়েছে৷ মধ্যবিত্তের কথা ভেবেই নতুন কর কাঠামো তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷”

    বিমা শিল্প ও বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, নতুন ব্যবস্থা সঞ্চয়ের পাশাপাশি বিমাকেও নিরুৎসাহ করবে। ফলে কর বাঁচলেও, ঝুঁকি তৈরি হবে মধ্যবিত্তের আর্থিক সুরক্ষা নিয়ে। এই প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী নিশ্চিত হয়ে বলেন, তেমন কোনও আশঙ্কা নেই। আয়কর সংক্রান্ত প্রস্তাব বিমার প্রসারে বাধা সৃষ্টি করবে না। নতুন কর ব্যবস্থা সঞ্চয়েও কোপ ফেলবে, এই অভিযোগ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “কর কমে যাওয়ায় হাতে থাকা টাকা দিয়ে করদাতা খুশি মতো সঞ্চয় প্রকল্প বাছবেন। আর করছাড়ের সুবিধা পেতে পুরনো প্রকল্প তো রইলই।”

    কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে আরও বিভিন্ন ভ্রান্তি তৈরি হয়েছে দেশের জনগণের মধ্যে। কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে যে কোনও প্রকার সংশয় দূর করতে আমজনতাকে তা কীভাবে বোঝাতে হবে, তার রূপরেখা তৈরি করে দিলেন খোদ অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)। কোন কোন বিষয়গুলির জোর দিতে হবে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: সৌরভ গাঙ্গুলির বায়োপিকে কে অভিনয় করবেন নাম ভূমিকায়? কবে থেকে শুটিং?

    দেশের মহিলা এবং যুব সম্প্রদায়ের জন্য বাজেটে যে সমস্ত ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলি মানুষের সামনে বেশি করে তুলে ধরার জন্য দলীয় সাংসদদের পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)। শুক্রবার সংসদের অধিবেশন শুরুর আগেই বিজেপি সাংসদদের বাজেট নিয়ে বোঝান নির্মলা। বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কী কী রয়েছে, তার সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরে কোন কোন বিষয়গুলিকে নিয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে সেই তালিকাও একপ্রকার ঠিক করে দেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Nirmala Sitharaman: ‘এটা কেন্দ্রের জবাব দেওয়ার মতো বিষয় নয়’, আদানি ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী

    Nirmala Sitharaman: ‘এটা কেন্দ্রের জবাব দেওয়ার মতো বিষয় নয়’, আদানি ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রিসার্চ সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের কারণে বড় ক্ষতির মুখে আদানি গ্রুপ। গৌতম আদানির সম্পত্তি মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই কার্যত অর্ধেকে এসে ঠেকেছে। শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের সবকটি স্টকেরই দাম পড়েছে। আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দর শেষ ৫ দিনে ৫০ শতাংশ কমেছে। ভারতের শেয়ার বাজারের সূচকও নিম্নমুখী। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)।

    শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) আশ্বাস দিয়ে বলেন, দেশের বাজার রয়েছে ‘যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে’। পাশাপাশি তিনি বলেন, আদানি গ্রুপের বিতর্কের জেরে যে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বিশ্বাসকে প্রভাবিত করবে, তা তিনি আশা করেননি। তিনি এও বলেন যে, এটা কেন্দ্রের উত্তর দেওয়ার মতো বিষয় নয়। নিয়ন্ত্রকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।  

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মার্কিন আর্থিক রিসার্চ সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করে। আর তাতেই ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্থ আদানি গ্রুপ। খোদ গৌতম আদানির সম্পত্তি ১২০ বিলিয়ন ডলার থেকে নেমে এসেছে ৬১.৯ বিলিয়ন ডলারে। বিশ্বের তৃতীয় ধনীতম ব্যক্তি এক ধাক্কায় ছিটকে গিয়েছেন ২১ তম স্থানে। রিসার্চ সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আদানি গ্রুপ কারচুপি করে নিজেদের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে। যদিও আদানি গ্রুপ হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্টকে ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছে। 

    সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে স্বাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) দাবি করেন, দেশ ‘সম্পূর্ণ সুশাসনে’ রয়েছে। দেশের বাজার ‘খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রিত আর্থিক বাজার’ হিসেবে রয়েছে। সীতারমন এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “গোটা বিশ্বে অনেক কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু ভারতীয় আর্থিক বাজারগুলি কতটা ভালোভাবে পরিচালিত হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু বলা হচ্ছে না।”

    এসবিআই- এলআইসি নিয়ে কী বললেন অর্থমন্ত্রী? 

    এদিকে, আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম যত পড়ছে, তত দুশ্চিন্তা বাড়ছে আমজনতার। কারণ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং জীবন বিমা নিগমের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে। এই দুই সংস্থাই আদানি গ্রুপকে বড় অঙ্কের ঋণ দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আবার আদানি গ্রুপে বিনিয়োগ করেছে এলআইসি। সেই উদ্বেগের মধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) আশ্বাস দিলেন, এখনও আদানি গ্রুপে টাকা ঢেলে লাভ করছে এলআইসি এবং এসবিআই।

    অর্থমন্ত্রী সীতারামন (Nirmala Sitharaman )বলেন, “আদানি নিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং এলআইসি বিস্তারিত বিবৃতি জারি করেছে। আদানি গ্রুপে ওরা বেশি টাকা ঢালেনি। ওরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে অনুমোদিত সীমার মধ্যেই ওরা টাকা ঢেলেছে এবং লাভজনক অবস্থায় আছে।”

    শুক্রবার ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআইয়ের চেয়ারম্যান দীনেশ খারা দাবি করেছেন, আদানি গ্রুপে সার্বিকভাবে ২৭,০০০ কোটি টাকা ঢেলেছে এসবিআই। যা রাষ্টায়ত্ত ব্যাঙ্কের মোট মূলধনের ০.৮৮ শতাংশ।

    এদিকে, গত ৩০ জানুয়ারি এলআইসির তরফে বিবৃতিতে (Nirmala Sitharaman) দাবি করা হয়, আদানি গ্রুপে যে পরিমাণ টাকা ঢেলেছে এলআইসি, তা মোট বিনিয়োগের এক শতাংশেরও কম। ৩৬,৪৭৪.৭৮ কোটি টাকা। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদানি এন্টারপ্রাইজের ফলো-অন পাবলিক অফারিংয়ে বিনিয়োগ করেছিল এলআইসি। যদিও সেই এফপিও তুলে নিয়েছে আদানি এন্টারপ্রাইজ। টাকা ফিরিয়ে দেওয়া বলেও জানিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     

  • Union Budget: নির্মলার বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা তালিবানের মুখে, কেন জানেন?

    Union Budget: নির্মলার বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা তালিবানের মুখে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (Union Budget) পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। স্কুল অফ লন্ডন ইকনোমিক্সের এই প্রাক্তনীর করা সেই বাজেটকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এবার নির্মলার বাজেটের সুখ্যাতি শোনা গেল সুদূর আফগানিস্তানেও। এবং প্রশংসা করল খোদ তালিবান প্রশাসন। বুধবার ভারতের বাজেটের দেদার প্রশংসা করল তালিবানরা। তারা জানাল, বাজেটে ভারত আফগানিস্তানকে সাহায্যের জন্য যে বরাদ্দ করেছে তাতে দু দেশের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। মজবুত হবে দুই দেশের বিশ্বাসের সম্পর্কও। কেন্দ্রীয় এই বাজেটে আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্য ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই কারণেই নির্মলার পেশ করা বাজেটের স্তুতি শোনা গিয়েছে তালিবানের মুখে।

    বাজেট…

    ১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় সংসদে বাজেট (Union Budget) পেশ করেন নির্মলা সীতারামণ। এটাই ছিল মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথা অনুযায়ী, ওই বছর পেশ হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট, পূর্ণাঙ্গ বাজেট নয়। চলতি বাজেটে আফগানিস্তানের জন্য ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন নির্মলা। নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর এটা আফগানিস্তানকে দ্বিতীয়বার সাহায্য ভারতের। প্রথমবার সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল গতবারের বাজেটে।

    ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেটকে (Union Budget) স্বাগত জানিয়েছেন সোহেল শাহিন। তিনি তালিবানের আলোচনাকারী দলের প্রাক্তন সদস্য। শাহিন বলেন, আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্য ভারতের সাহায্যকে সমর্থন জানাচ্ছি। এটা দুই দেশের সম্পর্ক ও বিশ্বাসের জায়গাটিকে দৃঢ় করবে। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে এমন অনেক প্রকল্প চলছিল, যাতে অর্থায়ন করেছিল ভারত। ভারত যদি ফের এগুলি চালু করে, তাহলে দুই দেশের সম্পর্ক হবে মজবুত। অবিশ্বাসের প্রাচীর যাবে ভেঙে।

    আরও পড়ুুন: ‘রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির কোনও বিরোধী নেই’, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশেই কোনও না কোনও পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে ভারত। এখনও হাতে রয়েছে বেশ কিছু প্রকল্প। দেশটির রাশ তালিবানের হাতে চলে যাওয়ার পর আর সম্পূর্ণ করা যায়নি সেই সব প্রকল্প। সম্প্রতি তালিবান জানিয়ে দিয়েছে, ভারত আফগানিস্তানে তাদের অসমাপ্ত অন্তত যে ২০টি প্রকল্প রয়েছে, তা সম্পূর্ণ করার কাজ শুরু করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Union Budget: ‘ঐতিহাসিক বাজেট’ নিয়ে জন দরবারে যাচ্ছে বিজেপি, জানুন বিশদে  

    Union Budget: ‘ঐতিহাসিক বাজেট’ নিয়ে জন দরবারে যাচ্ছে বিজেপি, জানুন বিশদে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেট (Union Budget) হয়েছে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে। মোদি সরকারের (PM Modi) এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তাই সেবার বাজেট পেশ হবে না, হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ। তবে এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) যে বাজেট পেশ করেছেন, তাতে খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এবারের বাজেটকে তিনি ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন। সেই ঐতিহাসিক বাজেট নিয়ে এবার জনতার দরবারে হাজির হচ্ছে বিজেপি (BJP)। জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে ১২ দিন ধরে দেশব্যাপী প্রচার শুরু করবে গেরুয়া শিবির।

    প্রচারে পদ্মশিবির…

    দলের একটি সূত্রের মতে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজেট নিয়ে দেশব্যাপী প্রচার করবে পদ্ম শিবির। এ জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যসভার সাংসদ সুশীল কুমার মোদিকে। ৪ এবং ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী অফিসার এবং অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের রাজধানী সহ ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে বাজেট নিয়ে একটি সম্মেলন করবেন। এর পাশাপাশি, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য সভাপতি, মন্ত্রী, সাংসদ এবং বিধায়করা আগামী দু সপ্তাহ সারা দেশে সম্মেলন এবং জনসভা করবেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাজেট এবং এর সুবিধাগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন।

    আরও পড়ুুন: “আমি অমৃতকাল বাজেটে বিশ্বাস করি”, বললেন শুভেন্দু, কী প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের?

    বিজেপির তৈরি এই কমিটিতে দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল, কিষান মোর্চার সভাপতি রাজকুমার চাহার, বিজেপি যুব মোর্চার জাতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য সহ বহু হেভিওয়েট নেতাকে সদস্য করা হয়েছে। সুশীল মোদির বিবৃতি অনুসারে, এই কমিটি দিল্লিতে দলের সদর দফতরে প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৪ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, দলের সর্বভারতীয় পদাধিকারিরা সমস্ত রাজ্যের রাজধানী সহ ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। দেশের অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বাজেট নিয়ে সম্মেলন করবেন।

    জানা গিয়েছে, প্রতিটি রাজ্যে এই কর্মসূচির জন্য ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সভাপতি এবং বিরোধী দলের নেতারা সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। সব জেলায় সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। বাজেটের (Union Budget) বিষয়গুলি পৌঁছে দেওয়া হবে ব্লকস্তর পর্যন্ত জনগণের কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Union Budget: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকা! জানেন কী কী অস্ত্র কিনতে পারে ভারত?

    Union Budget: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকা! জানেন কী কী অস্ত্র কিনতে পারে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের ওপর জোর দিয়ে বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল বরাদ্দ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০২৩-২০২৪ সালের জন্য ঘোষিত বাজেটে প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ বাড়ছে ১২.৯৫ শতাংশ। গতবারের ৫.২৫ লক্ষ কোটি থেকে তা বেড়ে হচ্ছে ৫.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা!যার বড় অংশই ব্যয় হবে দেশে যুদ্ধাস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণের কাজে। 

    কোন খাতে কত বরাদ্দ

    অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, এবার এই বাড়তি বরাদ্দের ফলে ভারত আগামী দিনে তার সেনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্র কিনতে পারবে, কিনতে পারবে নতুন ফাইটার জেট, সাবমেরিন, ট্যাংক ইত্যাদি। অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনা এবং সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার আধুনিকীকরণের জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উৎপাদনে বেসরকারি সংস্থা এবং স্টার্ট আপ সংস্থাকে সহায়তার কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সুইডেনের প্রতিরক্ষা সমীক্ষা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)-এর ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সামরিক ব্যয়ে আমেরিকা এবং চিনের পরেই ভারতের অবস্থান। এ বারও ভারতের সেই অবস্থান বহাল থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ঐতিহাসিক বাজেট’! অমৃতকালের প্রথম বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী মোদি

    এবারের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের মধ্যে শুধু বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতেই বরাদ্দ হয়েছে ২.৭০ লক্ষ কোটি টাকা।  রেভিনিউ এক্সপেন্ডিচার বাবদ বরাদ্দ হয়েছে ২.৩৯ লক্ষ কোটি টাকা। প্রতিরক্ষা দফতরের পেনশন দেওয়ার খাতে বরাদ্দ হয়েছে ১.৩৮ লক্ষ কোটি টাকা। এ বছর আর্মড ফোর্সেস মডার্নাইজেশন বাজেটেও বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেখানে ১.৫২ লক্ষ কোটি থেকে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৬২ লক্ষ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ থেকে ভারত সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় দেশের মাটিতে তৈরি হওয়া অস্ত্রশস্ত্রও কেনা হবে।

    আধুনিক অস্ত্রের চাহিদা

    দেশের নিরাপত্তার খাতিরে নানান ধরনের আধুনিক অস্ত্র কিনতে চায় প্রতিরক্ষা বিভাগ। বায়ুসেনা চায় নতুন ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট। দেশে নির্মিত ফাইটার জেটও কিনতেআগ্রহী বায়ুসেনা। ফ্রান্স থেকে ফাইটার জেট কিনতে চায় নৌসেনা। লাদাখ সীমান্তে চিনের মোকাবিলা করার জন্য  সেনাবাহিনী চায় লাইট ট্যাংক,আর্টিলারি গান-এর মতো আধুনিক অস্ত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Union Budget: প্রবীণ নাগরিকদের পাশেও মোদি সরকার, বাজেটে বাড়ল সুদের হার, বিনিয়োগের সীমা

    Union Budget: প্রবীণ নাগরিকদের পাশেও মোদি সরকার, বাজেটে বাড়ল সুদের হার, বিনিয়োগের সীমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার পেশ হল নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Union Budget)। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তাই সেবার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হবে না। পেশ হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট। প্রতিবারের মতো এবারও যে মধ্যবিত্ত-ফ্রেন্ডলি বাজেট পেশ হবে তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, আমি মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠেছি। মধ্যবিত্তদের সমস্যাটা আমি বুঝি।

    সুদের হার…

    এবারের বাজেট যে আগের বারের চেয়ে আরও ভালো বাজেট হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায়ও। সেই মতো এদিন পেশ হয়েছে মধ্যবিত্ত-ফ্রেন্ডলি বাজেট। এবারের বাজেটে সিনিয়র সিটিজেনদের বিরাট সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, সরকার সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের ঊর্ধ্বসীমা ১৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ লক্ষ টাকা করেছে। এর অর্থ হল, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে সুদের হার ২০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। পোস্ট অফিসে সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেও প্রবীণ নাগরিকদের ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে সুদের হার আগে ছিল বার্ষিক ৭.৪ শতাংশ। এবার তা বেড়ে হল ৭.৬ শতাংশ। এছাড়া, মহিলাদের জন্য একটি নতুন ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প, আজাদি কা অমৃত মহোৎসব মহিলা সম্মান বাচত পত্রও চালু করবে সরকার।

    আরও পড়ুুন: বাজেটে মহিলাদের জন্য বিশেষ স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের ঘোষণা! সুদের হার ৭.৫ শতাংশ

    প্রসঙ্গত, এদিন ছিল মোদি সরকারের নবম বাজেট (Union Budget)। প্রতিবারের মতো এবারও বেলা ১১টায় নির্দিষ্ট সময়ে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবারের বাজেটের শুরুতেই প্রবীণদের জন্য সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে বরাদ্দ টাকা বাড়ানোর কথা বলেন তিনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, কোভিড পরিস্থিতি অনেকখানি সামলে উঠেছে ভারত। নির্মলা সীতারামন জানান, বিশ্বের তুলনায় অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে ভারত। এখন ভারতকে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে দেখছে বিশ্ব। তিনি জানান, বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Union Budget 2023: ‘ঐতিহাসিক বাজেট’! অমৃতকালের প্রথম বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Union Budget 2023: ‘ঐতিহাসিক বাজেট’! অমৃতকালের প্রথম বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে আজ মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ‘অমৃত কালের প্রথম বাজেট’-কে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে অভিবাদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার অমৃতকালের প্রথম বাজেট এটি। যা বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই বাজেট একটি উন্নত ভারত গড়ার জন্য শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করবে ও দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, কৃষকসহ উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভারতীয় সমাজের স্বপ্ন পূরণ করবে।

    বাজেট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

    বুধবার সংসদের অধিবেশনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেন। এরপরেই একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে বাজেটের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন মোদি বলেন, “নির্মলাজি এবং তাঁর দলকে এই ঐতিহাসিক বাজেট পেশের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। অমৃত কালের প্রথম বাজেট এটি। এই বাজেট উন্নত ভারত গড়ার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করবে। এটিতে বঞ্চিতদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এই বাজেট দরিদ্র, মধ্যবিত্ত মানুষ এবং কৃষক সহ একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী সমাজের স্বপ্ন পূরণ করবে।”

    আরও পড়ুন: মোদিকে আমন্ত্রণ বাইডেনের, জুন-জুলাইয়ে আমেরিকা যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

    তিনি বলেন, “পরম্পরা ধরে দেশের কয়েক কোটি বিশ্বকর্মা এই দেশকে নির্মাণ করে চলেছেন। এই সব বিশ্বকর্মার সৃজন ও পরিশ্রমকে এই বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ট্রেনিং, টেকনোলজি, মার্কেট সাপোর্ট দিয়ে সাহায্য করা হবে। পিএম বিকাশের মাধ্যমে এই কাজ করা হবে। যার জেরে কোটি কোটি বিশ্বকর্মার জীবনে বিশাল পরিবর্তন আসবে।”

    এবারের বাজেটে মহিলাদের জীবন উন্নত করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শহর থেকে গ্রামে মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্প আনা হয়েছে। মহিলা স্বনির্ভর গ্রুপ যা ভারতে নিজেদের অনেক বড় জায়গা করে নিয়েছে। এই মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্যও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিবারের মহিলাদের জন্য বিশেষ সঞ্চয় প্রকল্প চালু করা হবে।”

    তিনি আরও বলেছেন, “ডিজিটাল পেমেন্টের সাফল্যকে কৃষিক্ষেত্রেও আনতে হবে এবং এর জন্য ডিজিটাল এগ্রিকালচার পরিকাঠামোর প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, পরিকাঠামো উন্নয়নে ১০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।                      

  • Union Budget: রেলের জন্য রেকর্ড বরাদ্দ! বাজেটে ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

    Union Budget: রেলের জন্য রেকর্ড বরাদ্দ! বাজেটে ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যবিত্তদের ভরসাযোগ্য যান রেলে বিপুল বরাদ্দ ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট পেশ করতে গিয়ে নির্মলা বলেছেন, ‘‘এর আগে কখনও ভারতীয় রেল এত বরাদ্দ পায়নি।’’ এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, রেলের জন্য ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নতুন রেলপথ তৈরি, আরও রেলপথের বৈদ্যুতিকরণ, রেলস্টেশন এবং ট্রেনের পরিচ্ছন্নতা, রেলের পরিকাঠামোর উন্নতি, রেল সুরক্ষা ব্যবস্থা, নতুন আরও বন্দে ভারত ট্রেন, বুলেট ট্রেন এবং হাইড্রোজেন জ্বালানিতে ট্রেন চালানোর খাতে খরচ করা হবে বরাদ্দ অর্থ।

    রেলের জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ

    অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, আগামী ১০ বছরে রেলে বিশাল পরিমাণ খরচ হতে চলেছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত, রেলে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল বাৎসরিক ৪৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা পর্যন্ত। এবার তা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। তা থেকেই এবারের বাজেটে যে  রেলের গুরুত্ব বাড়তে চলেছে তা অনুমান করেছিলেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। কিন্তু বুধবার সেই অনুমানকে টপকে গিয়ে রেলের জন্য বড় বরাদ্দ ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় সে অর্থে অনেক ক্ষেত্রে রেলের উন্নতি এখনও আটকে রয়েছে, তাই যাত্রী সুরক্ষা ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই এই বরাদ্দ, বলে জানান নির্মলা। ২০২৩ সালে রেলে আরও বেসরকারি বিনিয়োগ আসতে চলেছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: বাজেটে মহিলাদের জন্য বিশেষ স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের ঘোষণা! সুদের হার ৭.৫ শতাংশ

    অর্থমন্ত্রী জানান, ভারতীয় রেল বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ বৈদ্যুতিক রেল নেটওয়ার্ক পরিষেবায় পরিণত হতে চলেছে। এই প্রক্রিয়ায় চলতি অর্থবর্ষে ১ হাজার ৯৭৩ কিলোমিটার রেলপথ বৈদ্যুতিকরণের আওতায় আনা হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি। এতদিন দেশের যে সব প্রান্তে রেল নেটওয়ার্ক সে অর্থে পৌঁছায়নি, এবার সেইসব জায়গাতেও পৌঁছে দেওয়া হবে রেল পরিষেবা। জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বের প্রকল্পে আরও নজর দেওয়া হবে। গত কয়েক বছরে রেল সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেন্দ্র। রেলকে দেশের জাতীয় আর্থিক উন্নতির ইঞ্জিন হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফলে রেলের বরাদ্দ ব্যয় অনেকখানি বৃদ্ধি পাওয়ারও কথা। তার জন্যই এই বিপুল বরাদ্দ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share