Tag: North bengal

North bengal

  • Sukanta Majumdar: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। তাই, এবার উত্তরবঙ্গ চষে বেড়াবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে আরও চাঙা করাই লক্ষ্য বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। আগামীকাল ৩ তারিখ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতির।

    সভার পাশাপাশি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে বিজেপি অনেকটাই শক্তিশালী। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের লোকসভা আসনগুলিকে পুনরায় ধরে রাখার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আরও আসন বাড়াতে চাইছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি জনসভার পাশাপাশি দলীয় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। আগামী ৩ তারিখ উত্তর দিনাজপুর, ৪ তারিখ আলিপুরদুয়ার, ৫ তারিখ কোচবিহার এবং ৬ তারিখ জলপাইগুড়ি জেলা সফর করবেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ৭ জানুয়ারি তিনি কলকাতা ফিরে যাবেন। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সভাপতি তাঁর ম্যারাথন কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন। বালুরঘাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন দল ছেড়ে বহু কর্মী এদিন বিজেপিতে যোগদান করেন।

    উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,লোকসভা নির্বাচন সামনে চলে এসেছে। নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আগামীকাল থেকে আমার উত্তরবঙ্গ সফর শুরু হবে। প্রথমে রায়গঞ্জ তারপর আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি সব জায়গাতেই যাব।  রেশন ডিলারদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রেশন ডিলারদের নির্দিষ্ট কোনও দাবি আছে। ধর্মঘট কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। এক জায়গায় বসে আলোচনার মধ্যে সমস্যা মেটানো ভালো। এক সময় রেশন ডিলারদের প্রচুর সুযোগ সুবিধা ছিল। কিন্তু, আসতে আসতে তাঁদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ক্ষীণ হয়ে উঠছে। আগামীদিনে রেশন ডিলারদের আয় যেন ঠিক থাকে আমরা এই বিষয়ে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারকে জানাব।

    নির্বাচনে ভিভিপ্যাড ব্যবহার নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    লোকসভা নির্বাচনে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাডের দাবি বিরোধী জোটের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমাদের কোনও আপত্তি নেই ভিভিপ্যাড থাকলে। কিন্তু, অতগুলো ভিভিপ্যাড নির্বাচনের অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোথায় থেকে পাবে? তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে হবে। তাহলে আমাদের নরেন্দ্র মোদী আরো কয়েকদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবে তা কি আমাদের বিরোধীরা মেনে নেবে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বর্ষশেষ ও নববর্ষে শীত অধরাই, তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা নেই

    Weather Update: বর্ষশেষ ও নববর্ষে শীত অধরাই, তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠান্ডার কামড় কী, তা এই ভরা শীতের মরশুমেও মানুষ ভুলতে বসেছে। বাতাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। মাঝে আর মাত্র একটা দিন। তার পরই বর্ষশেষের উন্মাদনায় গা ভাসিয়ে দেবে আপামর জনতা। একই সঙ্গে চলবে ইংরাজি নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। সবার মনেই একটা প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। তা হল, ওই সময় কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া (Weather Update)। শীত কি ফের ঘুরে দাঁড়াবে, নাকি এমনটাই চলবে আরও কয়েক দিন। এসবেরই উত্তর মিলেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

    কী জানালেন আবহাওয়া অফিসের কর্তা? (Weather Update)

    সঞ্জীববাবু যা জানিয়েছেন, তাতে আপাতত দক্ষিণবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না (Weather Update)। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক, অর্থাৎ বৃষ্টি হবে না। ওই ৫ দিন পর সামান্য তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ৩১ শে ডিসেম্বর থেকে ১ লা জানুয়ারির মধ্যে রাতের তাপমাত্রা খুব সামান্য কমতে পারে। সেটা এক ডিগ্রির বেশি নয়। মোটের উপর একই রকম আবহাওয়া থাকবে আগামী সাতদিন। একই সঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আটকে উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়া। তাই আগামী ৭ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামার সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় দিনের তাপমাত্রাও বেশি থাকার কারণে শীতের পোশাক হয়তো গায়ে তুলতে হবে না। এর পাশাপাশি পূবালি হাওয়ায় জলীয় বাষ্প ঢুকছে। আর তার ফলে খুব ভোরে বা সকালের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা (Weather Update) থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে।

    ফের তুষারপাতের সম্ভাবনা দার্জিলিঙে (Weather Update)

    উত্তরবঙ্গেও দুটি জেলা ছাড়া সর্বত্র আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। তবে রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে তুষারপাতের সম্ভাবনা (Weather Update) রয়েছে দার্জিলিঙে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং এবং কালিম্পয়ে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই দার্জিলিঙের উঁচু পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Saffron Cultivation: কাশ্মীরের মতো এবার বাংলায় চাষ হবে কেশর, জানালো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

    Saffron Cultivation: কাশ্মীরের মতো এবার বাংলায় চাষ হবে কেশর, জানালো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু কাশ্মীরে নয় এবার থেকে বাংলায়ও চাষ হবে কেশর (Saffron Cultivation)। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নিয়ে পরীক্ষামূলক গবেষণায় সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। উত্তরবঙ্গে চাষিদেরকে এই ফলনের জন্য দিশা দেখাবে সেন্টার অফ ফ্লোরিকালচার অ্যান্ড এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট বা কোফাম বিভাগ। চাষিরাও কেশর চাষে অত্যন্ত উৎসাহী বলে জানা গিয়েছে।   

    কোফাম বিভগের উদ্যোগ (Saffron Cultivation)

    উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ে এই কেশরের (Saffron Cultivation) চাষ বিশেষ উপযুক্ত হবে। বিশেষ করে কালিম্পংয়ে পরীক্ষালব্ধ ভাবে চাষের সাফল্য পেয়েছে। কাশ্মীর থেকে বীজ এনে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগে চাষ করা হচ্ছে। যদিও বাংলার জলবায়ু এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে কেশর চাষ করা খুব একটা উপযুক্ত নয়। কিন্তু এই অসাধ্য কাজকে সাধন করেছে কোফাম বিভাগ।

    মাত্র ১০০ বর্গ ফুট ছোট্ট জমিতে করা যাবে চাষ

    খুব বেশি বড় জায়গা দরকার নেই স্যাফ্রন বা কেশর (Saffron Cultivation) চাষের জন্য। মাত্র ১০০ বর্গ ফুটের মধ্যে ঘর থাকলেই কেশর চাষ করা যাবে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, খুব কম জায়গায় বেকার যুবক-যুবতীরা চাষ করেও ব্যাপক আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারবেন। মাত্র ১৫ দিনেই চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিম্পংয়ের দাঁড়াগাঁও এলাকায় আশিটি বীজ দিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হয়।

    তিনটি পদ্ধতিতে চাষ করা হবে

    সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশর (Saffron Cultivation) চাষ তিনটি ক্ষেত্রে পদ্ধতি মেনে চাষ করা হবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে, দ্বিতীয়টি কালিম্পংয়ে এবং তৃতীয়টি হল হাইড্রোফোনিক পদ্ধতিতে চাষ করা হবে। এই কেশর চাষের প্রশিক্ষণ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হবে। সাধারণত অক্টোবর মাসে কেশরের বীজে ফলন ফলানো হবে। ফুল পেতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ দিন।

    বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য

    উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগের বায়ো টেকনিস্ট অমরেন্দ্র পাণ্ডে বলেছেন, “১০০ বর্গফুট জায়গায় ১০০০ গাছ লাগানো যাবে। বাজারে ১ কেজি কেশরের দাম ৩ লাখ টাকা। পাহাড়ে এই কেশরের চাষ ভালো হবে। পরীক্ষায় আরও সফলতা আসলে সমতলেও চাষের চেষ্টা করা হবে।”এই প্রসঙ্গে কৃষক মহেন্দ্র ছেত্রী বলেন, “কেশর (Saffron Cultivation) খুব লাভ জনক ফলন শুনেছি। আগেও চাষের কথা ভেবে ছিলাম। কিন্তু বীজ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় বীজ দিয়েও আমাকে সাহায্য করেছে। চাষের সাফল্যে আমি আরও খুশি হবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Tourism: পর্যটকদের জন্য সুখবর, নিরাপদ এখন সিকিম, খুলে দেওয়া হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

    Sikkim Tourism: পর্যটকদের জন্য সুখবর, নিরাপদ এখন সিকিম, খুলে দেওয়া হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় দিনের আগেই পর্যটকদের জন্য সুখবর। চালু হয়ে গেল সিকিমের জাতীয় সড়ক। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরমতির পর এবার স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যেতে আর কোনও বাধা নেই। সিকিমের পর্যটন (Sikkim Tourism) ব্যবসায়ীরা এবার আশার আলো দেখছেন।

    সিকিম প্রশাসনের বক্তব্য (Sikkim Tourism)

    সিকিম রাজ্যের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞাপন জারি করে জানানা হয়েছে যে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক চালু করা হয়েছে। এবার খুব সহজেই সিকিমে যাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত বাকি রাস্তাগুলিও সারাই করা হয়েছে। পর্যটক (Sikkim Tourism) এবং ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে এই রাস্তা দ্রুত মেরামত করা হয়েছে। সিকিম এখন পুরোপুরি নিরাপদ। এই শীতে পর্যটনের জন্য  বেশ উপযুক্ত। 

    সিকিমের পর্যটন দফতরের সচিব বন্দনা ছেত্রি বলেন, “সোমবার থেকেই পর্যটনের জন্য সিমিক প্রবেশের জন্য সড়ক পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। সিকিমে বেড়াতে এলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। তবে উত্তর সিকিমের বেশ কিছু জায়গায় যেতে নিষেধ আজ্ঞা রয়েছে।”

    ভ্রমণ নিরাপদ

    সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে উত্তর সিকিমের কিছু কিছু এলাকা এখনও বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ওই অংশ ছাড়া বাকি অংশগুলিতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত নিরাপদ। ফলে শীতের আগেই পর্যটকদের (Sikkim Tourism) টানতে এই বিপর্যয়কে অতিক্রম করতে সিকিম সরকার বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন। গ্যাংটক, নামচি, সোরেং, গেজিং, পাকিয়ং ইত্যাদি এলাকা এখন সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ। তাই শীতের মরসুমে বেড়াতে যাওয়াতে কোনও অসুবিধা নেই বলে জানা গিয়েছে।

    হড়পা বানে বিপর্যস্ত ছিল সিকিম

    দুর্গাপুজোর আগে অক্টোবর মাসের প্রথমের দিকে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদ ভেঙে গিয়েছিল। তিস্তার জলের স্রোতে ভেঙে পড়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বাড়িঘর, গাছপালা লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এর প্রভাব পড়েছিল তিস্তা নদীর পাড় সংলগ্ন জলপাইগুড়ির এলাকায়। বিপর্যয় মোকাবেলায় উদ্ধার কাজে তৎপর হয়েছিল সুরক্ষা বাহিনী। আটকে পড়েছিলেন প্রচুর পর্যটক (Sikkim Tourism)। কেন্দ্রের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল বিশেষ অনুদান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিক্ষায় নয়া দুর্নীতি, কলেজে কলেজে ছাত্র সংসদই নেই, তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা!

    Siliguri: শিক্ষায় নয়া দুর্নীতি, কলেজে কলেজে ছাত্র সংসদই নেই, তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে আরও এক বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ। ২০১৭ সাল থেকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নেই। অথচ গোটা রাজ্যে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে অবৈধভাবে ইউনিয়ন ফি বাবদ টাকা আদায় করছে বিভিন্ন কলেজ। কয়েকশো কোটি টাকার এই দুর্নীতির অভিযোগে প্রমাণ সহ রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল এবিভিপি’র উত্তরবঙ্গ শাখা (Siliguri)।

    কেন অবৈধ ছাত্র সংসদ ফি? (Siliguri)

    এবিভিপির উত্তরবঙ্গ শাখার রাজ্য সম্পাদক শুভব্রত অধিকারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ হয়ে রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নেই। কাজেই কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের কোনও ভূমিকাও নেই। যার অস্তিত্ব নেই, তার নামে টাকা তোলা যায় না। কিন্তু আমরা প্রমাণ সংগ্রহ করেছি, উত্তরবঙ্গ (Siliguri) সহ রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ফি বাবদ ১০০ থেকে ২৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে। এটা পুরোপুরি অবৈধ। শিক্ষাক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকার এই দুর্নীতি নিয়ে আমরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছি। মঙ্গলবার প্রমাণ সহ তাঁকে বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।

    সরব শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক (Siliguri)

    শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, রাজ্যে ভুরি ভুরি দুর্নীতির মধ্যে এও এক বড় দুর্নীতি। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না। কিন্তু দু’-একটি ক্ষেত্র ছাড়া বিভিন্ন কলেজে (Siliguri) ছাত্র সংসদ তহবিলে টাকা নেওয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে। ছাত্র সংসদ নেই, তাহলে এই টাকা কেন তোলা হচ্ছে, কোথায়ই বা যাচ্ছে তা, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হবে। এভাবে কোটি কোটি টাকা তোলা হচ্ছে। এর সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব জড়িত বলে অভিযোগ করেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক। অবৈধভাবে এই টাকা তোলার বিষয়টি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নজরেও আনবেন বলে জানান শঙ্কর ঘোষ। তিনি তাঁর অভিযোগের স্বপক্ষে শিলিগুড়ি বাণিজ্য মহাবিদ্যালয়ের একটি রসিদ তুলে ধরেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ফান্ডে আড়াইশো টাকা নেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন অধ্যক্ষ? (Siliguri)

    এব্যাপারে শিলিগুড়ি বাণিজ্য মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রঞ্জন সরকারের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করেও তাঁর কোনও বক্তব্য মেলেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: পুজোর আগে অতি বর্ষণে উত্তরবঙ্গে বন্যার ভ্রুকুটি! দুশ্চিন্তায় পর্যটকরা

    North Bengal: পুজোর আগে অতি বর্ষণে উত্তরবঙ্গে বন্যার ভ্রুকুটি! দুশ্চিন্তায় পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। কিন্তু এর মধ্যে নিম্নচাপের কারণে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণে বিপর্যয়ের মুখে উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষের জীবন। পুজোর প্যান্ডেল থেকে শুরু করে পুজোর কেনাকাটাকে ঘিরে ব্যবসায় মন্দার প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি উৎসবের সময়ে ধাক্কা খেতে পারে পর্যটন শিল্পও। টানা বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) তিস্তা-তোর্সা, জলঢাকা, রায়ডাক, সঙ্কোশের মতো পাহাড়ি নদীগুলিতে জলের স্তর বেড়েছে। ফুঁসছে নদীগুলি। বৃষ্টির পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে, তিস্তায় সম্ভব হচ্ছে না জল ধরে রাখা।

    জলপাইগুড়িতে বন্যা সতর্কতা (North Bengal)

    জলপাইগুড়ি জেলা (North Bengal) প্রশাসন ইতিমধ্যেই নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরাতে শুরু করেছে। সিকিম পাহাড়ে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম ভেঙে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির তিস্তায় দু-কূল ছাপিয়ে বন্যার আশঙ্কা। নদীর পাড়ের এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। নদীর চর এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিস্তায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর।  তিস্তা নদীতে পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। 

    গাজলডোবা ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে জল

    তিস্তার (North Bengal) গতিপথের দু পাশে পড়ছে গাজলডোবা ব্যারাজ, দোমহনি, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি শহর। তিস্তার বৃদ্ধি পাওয়া জলস্তরের জেরে ওই সব এলাকাই প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশেরও বিস্তীর্ণ এলাকাও। সকাল সাতটা নাগাদ গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৭ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত এ বছরে পরিমাণের অঙ্কে সর্বোচ্চ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

    অপর দিকে গজলডোবা ব্যারেজে ভেসে আসছে মৃতদেহ। এখন পর্যন্ত ২টি মৃতদেহ দেখা গিয়েছে বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।তিস্তার জলে গজলডোবা ব্যারেজে ভেসে আসছে জীবজন্তু, গাড়ি, সিন্দুক, গ্যাস সিলিন্ডার। সেইসব জিনিস উদ্ধার করতে ব্যস্ত এলকার মানুষ। গজোলডোবা ব্যারেজে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছে। 

    জলমগ্ন দার্জিলিং

    শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং দার্জিলিং (North Bengal) যাওয়ার বিকল্প রাস্তার উপর থেকেই বইছে জল। প্রাথমিক ভাবে জানতে পারা গিয়েছে, রাতে হু হু করে জল ঢুকে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন যে, আচমকাই জলস্তর দোতলা বাড়ির সমান বেড়ে গিয়েছে। এলাকার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জল ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সেই কারণেই জল ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে।

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জেলাগুলির মধ্যে বুধবার কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ওই তিনটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাছাড়া দার্জিলিং, কোচবিহার, মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হবে। ওই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে।

     প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজু বিস্তা

    সিকিমের বিপর্যয় নিয়ে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা৷ চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রীকে। চিঠিতে বলেন, “সিকিমের হড়পা বানের প্রভাব উত্তরবঙ্গেও পড়বে। উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে তিস্তার জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর প্রভাব পড়তে চলেছে দার্জিলিং, সিকিম ও কালিম্পং জেলায়৷” তিনি আরও বলেন, “সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনকে আরও জানিয়েছি বুধবার সকাল ছ’টা থেকেই বিপদসীমার ৩ মিটার উপরে বইছে জল৷ কালিম্পং জেলার ডিএম-এর সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি, এ ছাড়া ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর তৈরি আছে বিশেষ বিপর্যয় মোকাবিলা দল৷ এই তিন পার্বত্য এলাকার বেশ কিছু অংশ হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে৷ শিলিগুড়িতেও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল অপেক্ষা করছে, যদি কোনও বড় প্রয়োজন হয়, তা হলে অবশ্যই দল দ্রুত পৌঁছে যাবে৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণে ধস জাতীয় সড়কে, গাড়ি পড়ল তিস্তায়, বিপাকে পর্যটকরা

    North Bengal: উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণে ধস জাতীয় সড়কে, গাড়ি পড়ল তিস্তায়, বিপাকে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির কারণে বেহাল উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জনজীবন। দার্জিলিংয়ে শ্বেতিঝোরার কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বৃষ্টির কারণে নেমেছে ব্যাপক ধস। ব্যাহত হয়ে পড়েছে যান চলাচল। রাস্তা ভেঙে গাড়ি গিয়ে পড়েছে তিস্তা নদীতে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম বা কালিম্পং যেতে, ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গাড়ির গতিপথ। উল্লেখ্য গত দুই দিন ধরে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর বেশ কিছু জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে। উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরাও।

    ধসে বেহাল জনজীবন (North Bengal)

    নিন্মচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও (North Bengal) হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাত। আর এই বৃষ্টির কারণে দার্জিলিংয়ে ব্যাপক ধস নেমেছে। শনিবার রাত থেকেই এই বৃষ্টিপাত চলছে। দার্জিলিংয়ের রম্ভী থানার লোহাপুরের কাছে শ্বেতিঝোরায় জাতীয় সড়কে ধসের কারণে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। রাস্তায় ধস এবং গর্ত দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সিকিম থেকে শিলিগুড়িতে আসা সব গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য পথে। রাস্তায় চলা বড় গাড়ি, ট্রাকগুলিকে কালিম্পং হয়ে লাভা এবং করোনেশন ব্রিজ ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ে যেতে ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি মালদা, ধূপগুড়িতেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমে গেছে। অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

    আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে (North Bengal) দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার সহ আট জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। সেই সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিম আবহাওয়া দফতরের নির্দেশক গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় একই রকম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আগামী ২৪ ঘণ্টা পরেই কমার সম্ভাবনা রয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • BARC: ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী হওয়ার পথে উত্তরবঙ্গের কৌস্তভ

    BARC: ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী হওয়ার পথে উত্তরবঙ্গের কৌস্তভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের কৌস্তভ ঘোষ আজ দেশের অন্যতম সেরা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী (নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট) হওয়ার পথে। ইতিমধ্যেই ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের (বার্ক) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কৌস্তভ। চলতি মাসেই তিনি দক্ষিণ ভারতের ইন্দিরা গান্ধী রিসার্চ সেন্টারে জুনিয়র নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট পদে এক বছরের প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন। সম্ভবত উত্তরবঙ্গ থেকে একমাত্র নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট-এর সুযোগ পেয়েছেন কৌস্তভ। তিনি নিউক্লয়ার ফুয়েল সাইকেলের উপর কাজ করবেন। এক বছর এই প্রশিক্ষণের পরেই তাঁকে সায়েন্টিফিক অফিসার হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেবে বার্ক।

    কোন পথে তাঁর এই উত্তরণ? 

    ২০১৬ সালে তিনি বালুরঘাট হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০১৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিশ্বভারতীতে ভর্তি হন। এরপর ২০২১ সাল থেকে তিনি গুয়াহাটি আইআইটিতে পড়াশোনা শুরু করেন। সেখান থেকেই তিনি ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে নিয়োগের পরীক্ষায় বসেন। ডঃ এ পি জে আব্দুল কালামকে আইডল মেনে আজ তিনি সাফল্যের শিখরে পৌঁছলেও শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না। কৌস্তভের বাবা অসিতবাবু শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি সংস্থায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন। মা রুমু ঘোষ গৃহিণী। বাবার সামান্য আয়ের উপর ভিত্তি করেই তাঁদের সংসার চলে। ছোট থেকে অভাবকে সঙ্গী করেই জীবন কেটেছে কৌস্তভের।

    কী বললেন কৌস্তভ এবং তাঁর মা?

    এই বিষয়ে কৌস্তভ বলেন, ‘ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম আমার আইডল। আমি ছোট থেকেই বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলাম। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এবার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ এসেছে। খুব আনন্দ হচ্ছে।’ মা রুমু ঘোষ বলেন, ‘ছেলে অনেক পরিশ্রমের ফল পেয়েছে। যতটা পেরেছি ওর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। খুব কষ্টে চলতে হয়েছে আমাদের। আজ ছেলের সাফল্যে আমি গর্বিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: প্রবল বর্ষণে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত, জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা

    North Bengal: প্রবল বর্ষণে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত, জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে তেমন বৃষ্টি না হলেও উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতে বেহাল সাধারণ জনজীবন। গোটা উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলে চাষের জমি, বাড়িঘর প্লাবিত। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিঙে আগামী দুই থেকে তিনদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। পাহাড় থেকে সমতল, উত্তরের বেশ কিছু  জেলায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।

    কোচবিহার

    কোচবিহারের (North Bengal) তোর্সা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জলে প্লাবনের সৃষ্টি হয়েছে। তুফানগঞ্জ, বালাভূত অঞ্চলর অনেক মানুষের বাড়িঘর অধিক বৃষ্টিপাতে জলামগ্ন হয়ে পড়েছে। মেখলিগঞ্জে ক্ষেতের জমি, সৌরসেচ প্রকল্প, বৈদ্যুতিক ল্যাম্প ঝাউকুঠি নদীর জলে ডুবে গেছে।

    আলিপুরদুয়ার

    আলিপুরদুয়ারের (North Bengal) মেচপাড়া এলাকয় জলমগ্ন হয়ে আটকে পড়েছেন অনেক মানুষ। উদ্ধার কাজের জন্য সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, বায়ুসেনা একযোগে কাজ শুরু করেছে। বাঙরি নদীর জল ঢুকে ভেসে গেছে অঙ্গনঅওাড়ির এক কেন্দ্র। বৃষ্টির জলের স্তর এবং স্রোত এতটাই প্রবল ছিল যে লালো নাগাসিয়া নামক এক বৃদ্ধার রাস্তা পার হতে গিয়ে মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গেছে।

    জলপাইগুড়ি

    জলপাইগুড়ির (North Bengal) বানারহাটে সবথেকে অধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়াও মালবাজার, হাসিমারায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়। অপর দিকে তিস্তা, জলঢাকা, ডায়না নদীর জল বিপদ সঙ্কেতের উপর দিয়ে বইছে। অধিকাংশ নদীর জল ঢুকে পড়ছে আশেপাশের গ্রামে। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য শুকনো খাবার এবং রান্না করে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্গতদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কার্যত অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

    পাশাপাশি পাহাড় অঞ্চলের ভূটান, সিকিম, দার্জিলিং (North Bengal) সর্বত্র ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। শিলিগুড়ি পুরনিগমের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে গেছে। ফুলেশ্বরী, জোড়াপানি, সাহু নদীতে জলের স্তর অনেক বেড়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই বর্ষণ আগামী আরও ২ দিন হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: পুজোর ষষ্ঠী-সপ্তমীর বুকিং-এর কী পরিস্থিতি? কী ব্যবস্থা নিল রেল? 

    Indian Railway: পুজোর ষষ্ঠী-সপ্তমীর বুকিং-এর কী পরিস্থিতি? কী ব্যবস্থা নিল রেল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোয় ভ্রমণের তালিকায় পুরী যাওয়ার ট্রেনগুলিতে (Indian Railway) টিকিটের চাহিদা ভালোই। তবে পুজোয় গন্তব্য হিসেবে পর্যটকরা বেছে নিচ্ছেন মূলত এ রাজ্যের উত্তরবঙ্গকে। কারণ উত্তরবঙ্গে যাওয়ার অনেকগুলি ট্রেন রয়েছে। সেইসব ট্রেনের মধ্যে হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল বা পদাতিক এক্সপ্রেসে টিকিটের চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। উত্তরবঙ্গের পর দ্বিতীয় গন্তব্য হিসেবে পর্যটকরা বেছে নিচ্ছেন দিল্লি ও সিমলাকে। দিল্লি ও সিমলার ট্রেনেও টিকিটের চাহিদা যথেষ্ট রয়েছে। উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলিতে টিকিট এখনও পর্যন্ত কনফার্ম পাওয়া গেলেও সিমলাগামী কালকা মেল বা নেতাজি এক্সপ্রেসে এখন থেকেই টিকিট ওয়েটিং লিস্ট চলছে বলে জানিয়েছেন ট্রাভেল এজেন্টরা।

    রিজার্ভেশন  কাউন্টারগুলি (Indian Railway) আগামী চারটি রবিবার খোলা

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ এবং দিল্লি ও সিমলার টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। তাই যাত্রীদের কথা ভেবে রবিবারেও রিজার্ভেশন কাউন্টার খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আসন্ন শারদীয়া উৎসবে যাত্রীদের সুবিধার্থে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনের রিজার্ভেশন  কাউন্টারগুলি (Indian Railway) আগামী চারটি রবিবার ২৫ জুন, ২, ৯, ও ১৬ ই জুলাই সকাল ৮ টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত খোলা থাকবে। বারাকপুর, নৈহাটি, যাদবপুর, সোনারপুর, বারাসত, বারুইপুর, টালিগঞ্জ সহ শিয়ালদহ ডিভিশনের ৩৪ টি রিজার্ভেশন কাউন্টার এবং হাওড়া ডিভিশনের সমস্ত রিজার্ভেশন কাউন্টার এই সময়ে খোলা থাকবে। তিনি বলেন, ষষ্ঠীর বুকিং বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে।

    কী জানাচ্ছেন ট্রাভেল এজেন্ট ও যাত্রীরা?

    উত্তর হাওড়ার এক ট্রাভেল এজেন্ট অভিজিৎ মণ্ডল জানান, উত্তরবঙ্গের মধ্যে দার্জিলিং রয়েছে বাঙালির পুজোয় ভ্রমণের তালিকায় প্রথম স্থানে। তারপরে রয়েছে অন্যান্য পর্যটন স্থলগুলি। তবে দিল্লি ও সিমলার ক্ষেত্রেও টিকিটের চাহিদা বেশি। কিন্তু সিমলার ক্ষেত্রে তাঁরা টিকিট পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ষষ্ঠীর বুকিং শুরু হলেও একদিনের মধ্যেই দার্জিলিংয়ের সমস্ত রিজার্ভেশন টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। যাতে ট্রেনগুলিতে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে না পারে এবং কোনও ধরনের বড় দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া যায়, তাই শুক্রবারই ষষ্ঠী ও সপ্তমীর বুকিং ক্লোজ করে দেওয়া হয়। এর ফলে তাঁরা ওয়েটিং লিস্ট টিকিটও কাটতে পারছেন না। হাওড়ার এক বাসিন্দা নয়না সাহা জানান, সম্প্রতি দক্ষিণের ট্রেনগুলিতে (Indian Railway) কয়েক মাস ধরেই ট্রেন বাতিল ও ট্রেন লেট হওয়ার ঘটনা ঘটছে। সর্বোপরি ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও তাঁদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কোনও ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা। তাই এবারের পুজোর গন্তব্য হিসেবে তাঁরা উত্তরবঙ্গকেই বেছে নিয়েছেন। এদিকে পুজোর বুকিং চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে টিকিটের কালোবাজারিও। আরপিএফ বৃহস্পতিবারই এক টিকিট দালালকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে। আরপিএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, যাত্রীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে টিকিট কাটতে পারে্‌ তার জন্য রেল পুলিশ যথেষ্ট তৎপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share