Tag: Obesity

Obesity

  • Artificial sweeteners: ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির সঙ্গে বাদ থাকুক ‘কৃত্রিম চিনি’ও! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    Artificial sweeteners: ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির সঙ্গে বাদ থাকুক ‘কৃত্রিম চিনি’ও! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। পাশপাশি বিপত্তি বাড়াচ্ছে ওজন। তরুণ প্রজন্মের একাংশ, এই দুই শারীরিক সমস্যার জেরে নাজেহাল। তাই সহজ পথে অনেকেই হাঁটতে চাইছেন। নিত্যদিনের খাবারের তালিকা থেকেই সহজেই বাদ পড়ছে চিনি। কিন্তু অনেকেই আবার মিষ্টিবিহীন খাদ্যতালিকার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। তাই চিনি বাদ দিলেও, তার জায়গায় আসছে কৃত্রিম চিনি। অনেকেই মনে করছেন, চিনির থেকে ঢের ভালো এই ‘কৃত্রিম চিনি’ (Artificial sweeteners)। নিশ্চিন্তে চা-কফি কিংবা সরবতে দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একেবারেই নিশ্চিন্ত থাকা যাবে না। এই অভ্যাস (Sugar Substitutes) অজান্তেই শরীরের বিপদ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

    কেন উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (Artificial sweeteners)

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম চিনির একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং এই চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। সংস্থার নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সেফটি-র তরফে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম চিনি বা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে কোনও ভূমিকা পালন করে না। এমনকী ওজন নিয়ন্ত্রণে ও কোনো উপকার দেয় না। বরং, এই কৃত্রিম চিনির কিছু রাসায়নিক উপাদান শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, অ্যাসপার্টেম, সুক্রোজ, স্টিভিয়া, স্যাকারিনের মতো উপাদান কৃত্রিম চিনিতে অতিরিক্ত পরিমাণ থাকে। এগুলো শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।

    কী ক্ষতি করছে কৃত্রিম চিনি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যাসপার্টেমের মতো রাসায়নিক কৃত্রিম চিনিতে থাকে। চিনির থেকেও বেশি পরিমাণ থাকে। আর এই রাসায়নিক শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই উপাদান ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কৃত্রিম চিনিতে (Artificial sweeteners) নানান রাসায়নিক থাকে, যেগুলো প্রসেসড খাবারে থাকে। এর জেরে দেহে অতিরিক্ত মেদ জমার ঝুঁকিও তৈরি হয়। অর্থাৎ, ওজন তো কমেই না, বরং কৃত্রিম চিনি অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কৃত্রিম চিনি সহজলভ্য করতে অনেক সময়েই সিলিকা সহ একাধিক রাসায়নিক এর সঙ্গে মেশানো হয়। এই সব রাসায়নিক লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন যাঁরা নিয়মিত কৃত্রিম চিনি খান, তাঁদের স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি বাড়ে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কৃত্রিম চিনি খেলে মাথার যন্ত্রণা, হাত-পায়ে খিঁচুনি সহ নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। এমনকী দেহে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে হৃদরোগের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ এই কৃত্রিম চিনি। নিয়মিত কৃত্রিম চিনি খেলে, তা হৃদপিণ্ডের জন্য একেবারেই ভালো না। খুবই ক্ষতিকারক। এতে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা কমে‌। 
    সাধারণ চিনির তুলনায় এই কৃত্রিম চিনির মিষ্টত্ব প্রায় তিনশো গুণ বেশি। তাই পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, এই কৃত্রিম চিনি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। সুস্থ ভাবে বাঁচতে হলে এড়িয়ে চলতে হবে চিনি। তা যে কোনও ধরনের চিনিই হোক না কেন (Sugar Substitutes)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Fatty liver: ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, জানেন না ৪০ শতাংশ আক্রান্তই! কোন বিপদের হাতছানি?

    Fatty liver: ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, জানেন না ৪০ শতাংশ আক্রান্তই! কোন বিপদের হাতছানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সামান্য পরিমাণ খাবার খেলেও হজম করা যাচ্ছে না। প্রায়ই বমি হচ্ছে। শরীরের ওজন ক্রমশ বাড়ছে। আর তার সঙ্গে কমছে কাজের শক্তি। শরীরকে গ্রাস করছে ক্লান্তি। কিন্তু কেন এমন সমস্যা, জানেন না অনেকেই‌। রেহাই পেতে অনেকেই মুঠো মুঠো হজমের ওষুধ খাচ্ছেন। আবার অনেকে ওজনকে রাশে আনতে খাবার খাওয়াই ছেড়ে দিচ্ছেন। আর তার জেরে বিপদ আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অসচেতনতার জেরেই রোগ (Fatty liver) নির্ণয় হচ্ছে না। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য? (Fatty liver)

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক কিংবা ক্যান্সার নিয়ে যে সামান্য সচেতনতাও রয়েছে, ফ্যাটি লিভার নিয়ে সেটাও নেই। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ফ্যাটি লিভার আক্রান্তের ৪০ শতাংশ জানেন না, এই স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতার অভাবে রোগ নির্ণয় হচ্ছে না। ফলে, আরও অনেক বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত কিনা, তা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

    ফ্যাটি লিভার কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভারে ফ্যাটের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে গেলে, ফ্যাটি লিভার হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান করলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে‌। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Fatty liver) সমস্যা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, যাঁরা মদ্যপান করেন না, তাঁদের মধ্যেও এই রোগ বাড়ছে। সাম্প্রতিক সর্বভারতীয় ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশ জুড়ে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগ উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। এমনকী শিশুদের শরীরেও এই রোগ বাসা বাঁধছে।

    কেন বাড়ছে এই রোগ? (Fatty liver)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনের ধরনের জেরেই এই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। মদ্যপান না করলেও লিভারের এই অসুখের অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাস ও অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। তাই এই রোগের দাপট থেকে শিশুরাও বাদ যাচ্ছেন না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ নিয়মিত শরীর চর্চা করেন না। শিশুদের মাঠে দৌড়নো বা খেলাধুলার সময় কমছে। আর তার সঙ্গে বাড়ছে ফাস্টফুড খাওয়ার রেওয়াজ। রাসায়নিক দিয়ে ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংস ভাজা খাওয়ায় এখন অনেকেই অভ্যস্ত। শিশুরাও পিৎজা, ফ্রেঞ্চফ্রাই, বার্গারের মতো খাবার নিয়মিত খাচ্ছে। বরং মোচা, পালং শাক, পটলের মতো সবজি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস কমছে। যার জেরে চাপ পড়ছে লিভারে। প্রোটিন, ফ্যাট ও ভিটামিনের মধ্যে ব্যালান্স থাকছে না। তাই দেহে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হচ্ছে। তার জেরেই দেহের ওজন বাড়ছে। আর লিভারে জমছে অতিরিক্ত ফ্যাট।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বারবার বমি, পেটে ব্যথা কিংবা ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মতো সমস্যা দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে কিনা, তা নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেই পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় জরুরি‌। তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসে প্রথম থেকেই নজর দেওয়া দরকার। নিয়মিত কম তেলমশলার হালকা খাবার বাড়িতে রান্না করে খেলে এই ধরনের অসুখ (Fatty liver) এড়ানো অনেক সহজ হয়ে যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • International Day of Yoga: শ্বাসকষ্ট থেকে স্থূলতা, মুশকিল আসান করতে পারে নিয়মিত যোগাভ্যাস!

    International Day of Yoga: শ্বাসকষ্ট থেকে স্থূলতা, মুশকিল আসান করতে পারে নিয়মিত যোগাভ্যাস!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবন যাপনে বদলে যাচ্ছে স্বাস্থ্যের সমস্যাও। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো নানান সমস্যা বাড়ছে। আর এই সবই জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগ ডেকে আনছে হৃদরোগ, কিডনির সমস্যার মতো নানান জটিল অসুখ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খুব কম বয়স থেকেই এখন ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজ, হৃদ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের অভ্যাসের জেরেই শারীরিক নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই যোগাভ্যাস জরুরি। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের আগে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (International Day of Yoga) থাকলে একাধিক জটিল রোগ মোকাবিলা করা যায়। এবার এক নজরে দেখে নিন, কোন কোন রোগের মোকাবিলা সহজ করে যোগাভ্যাস?

    হাঁটুর ব্যথা কমাবে যোগাভ্যাস (International Day of Yoga)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হাড় ও পেশির সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত ক্যালসিয়ামের অভাবেই নানান হাড়ের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কম বয়সিরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশেষত মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। আর এর জেরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে হাঁটুতে। খুব কম বয়স থেকেই হাঁটুর রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, উত্থানপদাসন কিংবা পেলভিস ব্রিজের মতো যোগাভ্যাস নিয়মিত করলে হাঁটুর ব্যথা কমবে। চিৎ হয়ে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে উপরের দিকে তোলার মতো এই যোগাভ্যাস নিয়মিত করলে হাঁটুর সমস্যা কমবে‌। হাঁটুর কার্যকারিতা বাড়বে‌।

    শ্বাসকষ্ট কমাবে যোগাভ্যাস

    বায়ুদূষণের জেরে বাড়ছে ফুসফুসের রোগ। শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সেই দেখা দিচ্ছে নানান ফুসফুসের রোগ। তার উপরে ধূমপানের অভ্যাস ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ছাড়ার পাশপাশি কিছু যোগভ্যাস (International Day of Yoga) নিয়মিত করলে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি কমবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ভোরে সিদ্ধাসনের মতো অভ্যাস তৈরি করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মেরুদণ্ড সোজা রেখে পদ্ধাসনে বসে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়ার মতো আসন করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়বে।

    স্থূলতার মোকাবিলা করবে যোগাভ্যাস (International Day of Yoga)

    হৃদরোগ থেকে কোমরের সমস্যা, একাধিক রোগের কারণ স্থূলতা। এর জেরে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধছে। তরুণ প্রজন্মের একাংশ এই সমস্যায় ভুক্তভোগী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতাকে সহজেই মোকাবিলা করে যোগাভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাসন করলে ক্যালরি ক্ষয় হয়। তার সঙ্গে নিয়মিত অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটা জরুরি। এতে দেহে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। পেটের চর্বি কমে‌। ফলে স্থূলতার মোকাবিলা সহজ হয়।

    হজমের গোলমাল কমাবে যোগাভ্যাস

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অন্ত্র এবং পাকস্থলীর রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এর জেরে‌ ভোগান্তিও বাড়ছে। অনিয়মিত খাবারের অভ্যাস তরুণ প্রজন্মের একাংশের রয়েছে। আর তার জেরেই এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। ঠিক সময়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কিছু যোগাভ্যাস (International Day of Yoga) নিয়মিত করলে অন্ত্র, পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়বে। হজমের সমস্যা কমবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত বজ্রাসন কিংবা পবনমুক্তাসনের মতো যোগাভ্যাস করলে হজমের গোলমাল কমে‌।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pulses: শিশু থেকে বয়স্ক, নিয়মিত ডাল খেলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে? 

    Pulses: শিশু থেকে বয়স্ক, নিয়মিত ডাল খেলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভাত হোক কিংবা রুটি, ভারতীয়দের খাবারে ডাল (Pulses) অতি পরিচিত এক পদ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাল খেলে শরীরে রোগের ঝুঁকি কমবে। এমনকী বেশ কিছু রোগের মোকাবিলা সহজ করে দেবে ডাল। তাই শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সেরই খাবারের তালিকায় ডাল রাখতে হবে‌। দুপুর কিংবা রাতে ভাত-রুটির সঙ্গে ডাল আবশ্যিক। এবার দেখে নেওয়া যেতে পারে, কোন ডালে কোন রোগ কাবু হয়?

    মুগ ডালে বাড়তি উপকার ডায়াবেটিস আক্রান্তদের (Pulses)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মুগ ডালে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফেনলিগ যৌগ। এই দুই উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। বিশেষত ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান খুবই জরুরি। কারণ, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের একাধিক রোগে বিশেষত সংক্রামক রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই মুগ ডাল তাদের জন্য বাড়তি উপকারী। এছাড়াও, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শরীরে এনার্জির জোগানে ঘাটতি দেখা দেয়। মুগ ডালে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, দস্তার মতো খনিজ পদার্থ। এর জেরে এই ডাল নিয়মিত খেলে শরীরে খনিজ পদার্থের চাহিদা পূরণ হবে। ফলে, ক্লান্তি বোধ কমবে‌।

    কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে ছোলার ডাল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছোলার ডাল শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। বিশেষত, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্তদের এই ডাল বাড়তি উপকারী। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছোলার ডাল দেহে জমে থাকা অতিরিক্ত টক্সিন দূর করে। বাজে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে‌। তাছাড়া এই খাবারে রয়েছে ফাইবার। তাই মস্তিষ্ক ও হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়ায়‌। তাই চল্লিশোর্ধ্বদের নিয়মিত ছোলার ডাল (Pulses) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সপ্তাহে অন্তত দুই বা তিন দিন ভাত-রুটির সঙ্গে থাকুক এক বাটি ছোলার ডাল। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমবে।

    মুসুর ডাল পেশির সমস‌্যা কমাবে, রুখবে অস্ট্রিয়পোরেসিস (Pulses)

    মুসুর ডালে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, মহিলাদের নিয়মিত অন্তত এক বাটি মুসুর ডাল খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে পেশির সমস্যা। কম বয়স থেকেই পেশি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে‌। হাড় ক্ষয়ের সমস্যাও বাড়ছে। বিশেষত অধিকাংশ পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাদের অস্ট্রিয়পোরেসিসের মতো সমস্যা বাড়ছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জেরেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই দেহে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের জোগান বজায় রাখতে মুসুর ডাল খুবই উপকারী (Pulses in Diet)।

    হজমের গোলমাল কমাবে মটর ডাল

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মটর ডালে (Pulses) রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। তাই নিয়মিত মটর ডাল খেলে হজমের গোলমাল কমে। অন্ত্রের জন্য মটর ডাল খুবই উপকারী।

    উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করবে রাজমা

    ভারতের আরেক জনপ্রিয় ডাল‌ হল রাজমা। এই ডালে (Pulses) প্রোটিন, ভিটামিনের পাশপাশি রয়েছে ফাইবার। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজমা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। পাশাপাশি রাজমা ওজন নিয়ন্ত্রণে খুবই সাহায্য করে। তাই ভাতের সঙ্গে রাজমা খেলে শরীর ভালো থাকে। ভাতে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তার সঙ্গে রাজমার মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে দেহে এনার্জির জোগান হয়। আবার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ভাতের সঙ্গে রাজমা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও বাড়ছে ঝুঁকি! কীভাবে বুঝবেন সন্তান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? 

    Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও বাড়ছে ঝুঁকি! কীভাবে বুঝবেন সন্তান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শিশুদের বাড়ছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। তরুণ প্রজন্মের পাশপাশি একেবারে সদ্য স্কুলের গন্ডিতে পা রেখেই ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্ত হচ্ছে, এমন সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে‌। ছোটদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে‌। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সচেতনতাই পারবে এই বিপদ রুখতে। পরিবারের কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে, বিশেষত বাবা বা মায়ের ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সন্তানের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বেশি হয়। তাই স্বাস্থ্য সচেতনতা জরুরি। মন্ত্রকের তরফে লাগাতার ডায়াবেটিস স্ক্রিনিংয়ের বিষয়েও নজর দেওয়া হয়েছে। বিশেষত স্কুল কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে বাড়তি উদ্যোগ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুলে শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো দরকার। কারণ, ভারতীয় শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কীভাবে বুঝবেন সন্তান ডায়াবেটিস আক্রান্ত? (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু শিশু টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। এই রোগে দেহে ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর জেরে কৃত্রিম ইনসুলিন হরমোন দিতে হয়। কিন্তু, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, শিশুদের মধ্যে বাড়ছে টাইপ ২ ডায়বেটিস। মূলত কিশোর বয়সে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিছু উপসর্গ জানান দেয়, সন্তান‌ ডায়াবেটিস আক্রান্ত কিনা।

    কোন কোন উপসর্গ দেখে বুঝবেন?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই খিদে বেড়ে গেলে সতর্ক হওয়া জরুরি। অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়ার ইচ্ছে, ঠিকমতো খাবার খাওয়ার পরেও পেট ভরছে না মনে হওয়া, ওজন মারাত্মক বেড়ে যাওয়া ডায়াবেটিসের লক্ষণ। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতা ডায়াবেটিসের অন্যতম উপসর্গ। তাঁদের পরামর্শ, সন্তানের ওজন মারাত্মক বাড়লে, স্থূলতার সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। কারণ, ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি স্থূলতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। পাশপাশি অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ অত্যন্ত বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান যদি খুব সামান্য কাজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সতর্কতা জরুরি। ডায়াবেটিসের আরেকটি উপসর্গ এই ক্লান্ত হয়ে পড়া। কিংবা দুর্বল হয়ে পড়া। ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে, দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। তাই নানান রোগে বিশেষত সংক্রামক রোগে সন্তান বারবার আক্রান্ত হলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা জরুরি।

    মূত্রত্যাগের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে? (Diabetes)

    এছাড়াও, মূত্রত্যাগের পরিমাণ বেড়ে গেলে সতর্কতা জরুরি। কারণ এটা ডায়াবেটিসের অন্যতম উপসর্গ। আবার খুব কম বয়সে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে রোগী অনেক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। একে ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস বলা হয়। এর জেরে পেটে ব্যথা, এক ধরনের খিঁচুনি, এমনকি দেহে জলের পরিমাণ কমে যাওয়ার মতো নানান জটিল সমস্যা তৈরি হয়। এমন ঘটনা বারবার ঘটলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। না হলে প্রাণঘাতী বিপদ ঘটতে পারে। এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ মহল‌। 
    বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে তাদের ত্বকেও নানান সমস্যা দেখা দেয়। ঘাড়ের কাছে কালো দাগ‌ দেখা দেয়। এমন উপসর্গ দেখ দিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে রুখবেন সন্তানের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি?

    পরিবারের কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তবে এখন যে হারে ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ বাড়ছে, তাতে সব অভিভাবকদের সচেতন থাকা দরকার। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, শিশুদের জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর হলেই এই ধরনের রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। তাই শিশুদের নিয়মিত যোগাভ্যাসের মতো শারীরিক কসরতে অভ্যস্ত করতে হবে। যাতে তাদের মস্তিষ্ক ও শরীরের সমস্ত অংশ সচল থাকে। এর জেরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। পাশপাশি মেদ কমবে। স্থূলতার ঝুঁকি কমবে। নিয়মিত খেলাধুলায় অভ্যস্ত করা জরুরি। যাতে শারীরিক কসরত ঠিকমতো হয়। পাশপাশি খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর হওয়া জরুরি। অতিরিক্ত ভাজা খাবার একেবারেই নয়। বার্গার, হটডগ, পিৎজার মতো প্রিজারভেটিভ খাবারে শিশুদের অভ্যস্ত করতে চলবে না। বরং শাক, সব্জির সঙ্গে প্রাণীজ প্রোটিনের ভারসাম্য বজায় রেখে ডায়েট তৈরি করতে হবে। যাতে শিশুর চাহিদা মতো ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট সবকিছুই শরীরে পৌঁছয়। ব্যালান্স খাবার খেলে বেশির ভাগ রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nutrition: ক্যান্সার থেকে হার্ট অ্যাটাক, রুখতে পারে কোন খাবার? কী কী খাবারে বাড়ছে সমস্যা?

    Nutrition: ক্যান্সার থেকে হার্ট অ্যাটাক, রুখতে পারে কোন খাবার? কী কী খাবারে বাড়ছে সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক, যে কোনও বড় স্বাস্থ্যসঙ্কট আটকে দিতে পারে সঠিক খাবার (Nutrition)। আবার, শরীরে ফুসফুস থেকে লিভার, যে কোনও অঙ্গে রোগের অন্যতম কারণ হল খাবার। ওয়ার্ল্ড নিউট্রিশন ডে-তে পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারেই রয়েছে সুস্থ জীবনযাপনের চাবিকাঠি। সঠিক পুষ্টি যেমন মানুষকে সুস্থ রাখে, ঠিক তেমনি পুষ্টি সম্পর্কে অসচেতনতা বিপদ বাড়িয়ে দেয়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। একাধিক রোগেরও ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষত অপরিকল্পিত ডায়েটের অভ্যাস কমবয়সিদের জন্য একাধিক রোগের কারণ হয়ে উঠছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন খাবারে বাড়ছে কোন রোগের ঝুঁকি?

    চিনি ও ময়দার তৈরি তেলে ভাজা খাবার বাড়াচ্ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! (Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহের যে কোনও অঙ্গের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, বিশেষত ময়দা আর চিনি দিয়ে তৈরি তেলে ভাজা খাবার এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ময়দা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ ময়দার তৈরি জিনিস‌ খেলে ক্যান্সারের মতো‌ রোগের ঝুঁকিও বাড়ে‌।

    অতিরিক্ত মিষ্টি ডায়াবেটিসের কারণ

    পেস্ট্রি, কেক হোক কিংবা রসগোল্লা, সন্দেশ-যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবার নিয়মিত খেলেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়বে। দেশজুড়ে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। শিশুদের মধ্যেও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ভারতীয় শিশুকাল থেকেই নিয়মিত মিষ্টি খাওয়ায় অভ্যস্থ। এর জেরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। কিডনি, হার্ট সহ একাধিক অঙ্গের উপরে তার প্রভাব পড়ছে (Nutrition)। পাশপাশি চিনি খাওয়ার অভ্যাস শরীরে বিপদ বাড়াচ্ছে। রান্নায় অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি দেওয়া‌ কিংবা চা-কফিতে চিনি খাওয়ার অভ্যাস অত‌্যন্ত বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    চর্বিযুক্ত খাবার বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি (Nutrition)

    মাংসের পদ হোক কিংবা প্রিজার্ভ করা খাবার বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি।‌ পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে প্রাণীজ প্রোটিনের ভারসাম্য থাকে না।‌ অর্থাৎ সব্জির পরিমাণ কম থাকে। অথচ মাছ, মাংসের পরিমাণ বেশি থাকে। এর ফলে শরীরে প্রোটিন ও ফ্যাট বেশি পরিমাণে যায়। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। এর জেরে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে।

    হজমের গোলমাল থেকে ত্বকের সমস্যা বাড়াচ্ছে বাড়তি তেল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ভারতীয় প্রয়োজনের অতিরিক্ত তেল খাবারে খান। নিয়মিত রান্নায় অতিরিক্ত পরিমাণ তেল ব্যবহারের জেরে একদিকে লিভার, পাকস্থলীতে চাপ পড়ছে‌। হজমের গোলমাল হচ্ছে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে। আবার অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার (Nutrition) খেলে ত্বকের একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সঠিক পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেলেই উপকার পাওয়া যাবে। রুখে দেবে নানান‌ রোগ।

    নিয়মিত মাশরুম ও রসুন রুখবে ক‌্যান্সার

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত না হলেও অন্তত সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাশরুম খাওয়া জরুরি। একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে ক্যান্সার রুখতে মাশরুম খুবই উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে দ্রুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জোগান দেয় মাশরুম। ক্যান্সার রুখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই জরুরি। তাই মাশরুম খাদ্যতালিকায় রাখলেই উপকার পাওয়া যাবে। এর পাশপাশি ক্যান্সার রুখতে আরেক ভারতীয় উপকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। সেটা হলে রসুন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে থাকে অ্যালিসিস। এই যৌগ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

    নিয়মিত ৫-৬ লিটার জল কমাবে হজমের গোলমাল ও ত্বকের সমস্যা (Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিশ্রুত জল কমাবে হজমের সমস্যা।‌ লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ও হজমের গোলমাল কমাতে নিয়মিত একজন প্রাপ্তবয়স্কের ৫-৬ লিটার জল খাওয়া জরুরি। এর জেরে ত্বকও ভালো থাকবে। শুষ্কতা কমবে। ত্বকের যে কোনও রকমের সমস্যা কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়াবে।

    খেজুর ও বাদাম কমাবে হৃদরোগের ঝুঁকি

    রোজকার খাবারের তালিকায় খেজুর, কাজু, আখরোট কিংবা কাঠবাদামের মতো উপাদান রাখলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে (Nutrition)। খেজুর, কাঠবাদাম কিংবা কাজুতে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ পদার্থে ভরপুর এই খাবার নিয়মিত খেলে দেহে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

    লেবু বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Nutrition)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও ঋতুতেই শরীর সুস্থ রাখতে জরুরি দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো। নিয়মিত লেবু জাতীয় ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। কারণ লেবুতে থাকে‌ ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত লেবু খেলে যে কোনও ভাইরাস‌ঘটিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ‌ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water: জলেই মুশকিল আসান! জল খেলে কোন কোন রোগের মোকাবিলা সহজ হবে? 

    Drinking Water: জলেই মুশকিল আসান! জল খেলে কোন কোন রোগের মোকাবিলা সহজ হবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ব্যস্ত জীবনে বাড়ছে একাধিক রোগের ঝুঁকি। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সেই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি সহজ বিষয় নজরে রাখলেই এই ব্যস্ত জীবনেও শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব। আর তার মধ্যে অন্যতম হল জল খাওয়া। জল (Drinking Water) স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। এমন একাধিক রোগ রয়েছে, যা পর্যাপ্ত জল খেলে সহজেই এড়ানো সম্ভব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছোট থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে সুস্থ জীবনের পথ অনেকটাই সহজ হয়। এখন দেখে নেওয়া যাক, কোন রোগ এড়িয়ে চলা সহজ করে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার অভ্যাস?

    হজম ক্ষমতা বাড়ায় জল (Drinking Water)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকলে হজমের ক্ষমতা বাড়ে। হজমের গোলমালের অন্যতম কারণ পাকস্থলী এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিকমতো না থাকা। জল ঠিকমতো খেলে অন্ত্র, পাকস্থলী সুস্থ থাকে। তাদের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে, হজম ক্ষমতাও বাড়ে, শরীর সুস্থ থাকে।

    স্থূলতা কমাতে জল জরুরি

    স্থূলতা এড়াতে এবং মেদ ঝরাতে জল খুবই উপকারী। কারণ, জল শরীরে পর্যাপ্ত থাকলে স্থূলতার ঝুঁকি কমে। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিশেষ উপায়ে জল খাওয়া জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ভারী খাবার খাওয়ার আগে একটু বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। এতে খাওয়ার অতিরিক্ত ইচ্ছে কমবে। ফলে বাড়তি খাওয়া হবে না। এতে শরীরে মেদ কম জমবে। পাশপাশি সকালে খালি পেটে জলে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে সহজেই মেদ কমে। স্থূলতা কমাতে তাই জল (Drinking Water) অত্যন্ত উপকারী।

    লিভারের রোগের ঝুঁকি কমায় জল (Drinking Water)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভার সুস্থ রাখার চাবিকাঠি জল। পরিশ্রুত জল না খেলে যেমন জন্ডিস, হেপাটাইটিস সহ একাধিক লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তেমনি পরিশ্রুত পর্যাপ্ত জল লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়। এতে হজমের অসুবিধা কমে। একাধিক রোগের ঝুঁকিও কমে।

    হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় জল

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ভারত গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। তাই হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যায় এই দেশের অধিকাংশ মানুষ কমবেশি চিন্তিত। তবে পর্যাপ্ত জল খেলে এই বিপদ কাটবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিহাইড্রেশনের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই জল (Drinking Water) পর্যাপ্ত খেলে এই রোগের ঝুঁকি কমবে।

    ত্বক ভালো রাখে জল

    ত্বকের শুষ্কতা কমাতে, ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ রাখতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার জল। ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ ত্বকের সমস্যার কারণ জল‌ কম খাওয়ার অভ্যাস। নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খেলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। ত্বকের রোগ কম হয়।

    পর্যাপ্ত জল বলতে কী বলা হয়? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী, প্রাপ্ত বয়স্কদের নিয়মিত অন্তত ৪-৫ লিটার পরিশ্রুত জল (Drinking Water) খাওয়া জরুরি। একাধিক রোগ এড়াতে এই জল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতেই হবে। শিশুদের দিনে অন্তত ২-৩ লিটার জল খেতে হবে বলেই‌ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arthritis: আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত কিনা জানবেন কীভাবে? ছোট থেকে কোন দিকে খেয়াল রাখা দরকার?

    Arthritis: আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত কিনা জানবেন কীভাবে? ছোট থেকে কোন দিকে খেয়াল রাখা দরকার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হাতে-পায়ে যন্ত্রণাতেই ভোগান্তি আটকে নেই। কিছুক্ষণ একটানা হাঁটাচলা করলেই, এমনকি দাঁড়িয়ে থাকলেও হাঁটু, কোমরে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। স্বাভাবিক জীবন যাপনে ব্যাঘাত ঘটে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স্কদের পাশপাশি কমবয়সিরাও আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আধুনিক জীবন যাপনের জেরে মানুষের শরীরে একাধিক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর জেরেই আর্থ্ররাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আর আর্থ্ররাইটিস কেবল ব্যথা-যন্ত্রণার ভোগান্তি বাড়ায় না। এতে আক্রান্ত হলে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। যেমন, হৃদরোগ, ত্বকের সমস্যা, চোখের শক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। তাই আর্থ্ররাইটিস (Arthritis) নিয়ে সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে বুঝবেন আপনি আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি উপসর্গ আর্থ্ররাইটিসের লক্ষণ স্পষ্ট করে‌। প্রথমত, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট যেমন হাঁটু, কোমরে লাগাতার যন্ত্রণা অনুভব হলে সতর্ক‌ থাকা জরুরি। লাগাতার যন্ত্রণা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি রাখতে হবে। তাহলে আর্থ্ররাইটিসের প্রকোপ কমবে। বারবার পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অনেকে কম বয়সিরাও‌ রাস্তায় বা বাড়ির ভিতরে হঠাৎ পড়ে যান।‌ বারবার পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে, বুঝতে হবে শরীরের ফিটনেসের সমস্যা রয়েছে। আর্থ্ররাইটিস (Arthritis) আক্রান্ত হলে শরীরের হাড় দুর্বল হয়। তখন শারীরিক কসরতের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা করা, ব্যায়াম করার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। তবেই শারীরিক ফিটনেস বাড়বে। শরীরের ওজন মারাত্মক বেড়ে গেলে আর্থ্ররাইটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই মারাত্মক স্থূলতায় ভোগেন। স্থূলতা দেখা দিলে হাড়ের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। আর্থ্ররাইটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের দিকে নজরদারি জরুরি।

    সন্তানের কোন দিকে নজরদারি ঝুঁকি কমাবে? (Arthritis)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর্থ্ররাইটিস আর প্রবীণ বয়সের রোগের সীমারেখায় আটকে নেই। এই রোগের দাপট তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। ছোট থেকেই কয়েকটি বিষয়ে অভিভাবকেরা সচেতন হলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের শরীরে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ জরুরি। খাবারে যাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। তাই দরকার ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। যেমন ডিম, সমুদ্রের মাছ, ওলিভের মতো ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। 

    ক্যালসিয়ামের অভাব যেন না থাকে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড় মজবুত হলেই আর্থ্ররাইটিসের (Arthritis) ঝুঁকি কমবে। তাই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে। তাই নিয়মিত ডিম ও দুধ, পনীর, ছানা, মুসুর, ছোলার মতো খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এগুলো হাড় শক্ত করে। 

    নিয়মিত যোগাভ্যাস করা জরুরি (Arthritis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীর সুস্থ থাকে। একদিকে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফিটনেস বাড়ে। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাই নিয়মিত শিশুকে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত করলে আর্থ্ররাইটিসের‌ মতো রোগের ঝুকি কমানো‌ যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Back Pain: সন্তানের পিঠের ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্তা? খেলার পরেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে? কীভাবে কমবে সমস্যা? 

    Back Pain: সন্তানের পিঠের ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্তা? খেলার পরেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে? কীভাবে কমবে সমস্যা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সাঁতার কেটে ফেরার পরে কিংবা বিকেলে মাঠে খেলাধুলোর শেষে বাড়িতে ফিরতেই ক্লান্তি গ্রাস করে। একরত্তির চোখ বুজে আসে। টানটান করে পড়তে বসতে চায় না পরিবারের সবচেয়ে খুদে সদস্য। আবার, মাঝেমধ্যেই কোমরে কিংবা পিঠের ব্যথায় কষ্ট হয়। স্কুল পড়ুয়াদের অনেকেই পিঠে ব্যথার (Back Pain) সমস্যায় ভুগছে।‌ এমনকি হাতে-পায়ের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে অনেক শিশু। দুশ্চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের। তবে, চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাবা-মায়েরা সতর্ক না হলে পরবর্তীতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই সন্তানের ক্লান্তিভাব বাড়লে, অতিরিক্ত হাত-পায়ের যন্ত্রণা কিংবা ঘনঘন কোমরে আর পিঠে ব্যথায় কষ্ট পেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শিশু ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভুগছে কিনা, সেদিকে নজর রাখতে হবে। ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়বে। এমনকি খুব কম বয়স থেকেই অস্ট্রিয় পোরেসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ও বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশাপাশি হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    অভিভাবকেরা কীভাবে সতর্ক হবেন? (Back Pain)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাচ্চারা অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লে অভিভাবকদের বাড়তি নজরদারি দরকার। মাঠে খুব বেশি খেলাধুলো করলে বা দীর্ঘ সময় সাঁতার কাটার মতো শারীরিক কসরত করলে ক্লান্ত হয়ে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ সব সময় থাকলে তা বিপজ্জনক। একেবারেই পড়াশোনায় মনোযোগ করতে না পারলে বুঝতে হবে, সমস্যা বাড়ছে। পাশপাশি, পিঠ টানটান করে বসতে না পারলে, লাগাতার পিঠে ও কোমরে যন্ত্রণা অনুভব করলে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, দশ বছরের কম বয়সি শিশুদের অনেক সময়েই হাতে-পায়ে গ্রোইং পেন হয়। অর্থাৎ, এই বয়সের ছেলেমেয়েদের শরীর বড় হয়। তাই পেশিতে তার প্রভাব পড়ে (Back Pain)। তাই অনেক সময়েই বিশেষ করে রাতে হাতে ও পায়ে যন্ত্রণা অনুভব হয়। তবে যদি হাতে-পায়ে লাগাতার যন্ত্রণা অনুভব হয়, তাহলে কিন্তু বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের পরামর্শ, চিকিৎসকের কাছে দ্রুত যাওয়া জরুরি। সন্তানের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে কিনা, তা নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেই ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ সম্ভব? (Back Pain)

    শিশুদের শরীরে বাড়তি ক্যালসিয়াম সব সময় জরুরি। কারণ বাড়ন্ত শরীরে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেশি থাকে। তাই শিশুদের পুষ্টিতে বাড়তি নজরদারি দরকার। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। আবার ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে সমস্যা রয়েছে (Back Pain)। অধিকাংশ শিশু চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত। আবার প্রয়োজনের তুলনায় অধিক ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়ায় বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা। তাই সন্তানের ডায়েট নিয়ে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

    ১) পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সন্তানকে নিয়মিত দুধ খাওয়াতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে দুধ। তাই নিয়মিত দুধ খেলে হাড়ের জোর বাড়ে। হাড় মজবুত হয়। আবার ক্লান্তি কমে। তাই নিয়মিত ডায়েটে রাখতে হবে দুধ। 
    ২) দুধের পাশপাশি ছানা এবং পনির খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পনীরের একাধিক পদ তৈরি করা যায় (Back Pain)। তাই শিশুদের একঘেয়ে লাগবে না। নিয়মিত পনীর খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া ছানা‌ ক্যালসিয়ামের জোগান দেওয়ার পাশপাশি এনার্জি জোগাতে বাড়তি সাহায্য করবে। 
    ৩) নিয়মিত অন্তত একটা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। তবে ডিম সিদ্ধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিদ্ধ ডিম সহজপাচ্য। তাই শরীরের জন্য বেশি উপকারী। 
    ৪) মুসুর গাল, মটর, ছোলার মতো দানাশস্য নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন এই ধরনের খাবারে শরীরে ক্যালসিয়ামের পাশপাশি ফাইবারের ঘাটতিও পূরণ করে। তাই পেশি ও হাড় মজবুত হয়। 
    ৫) সন্ধ্যা কিংবা সকালের জলখাবারে সন্তানকে চাউমিন, এগরোলের পরিবর্তে সিদ্ধ ডাল, ভিজে ছোলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব সহজেই পূরণ হবে (Back Pain)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Curdled Milk: নিয়মিত ছানা খান? কতটা উপকারী ছানা? কোন রোগ প্রতিরোধে বাড়তি সাহায্য করে? 

    Curdled Milk: নিয়মিত ছানা খান? কতটা উপকারী ছানা? কোন রোগ প্রতিরোধে বাড়তি সাহায্য করে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দুধ খেলে অনেকেরই হজমের গোলমাল হয়। অনেকে আবার নিয়মিত দুধ খেতে পছন্দ করেন‌ না। তাই তাঁদের জন্য উপকারী হল ছানা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ছানা খেলে শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধান হয়। এমনকী একাধিক রোগ প্রতিরোধেও ছানা (Curdled Milk) সাহায্য করে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত ছানা খাওয়া দরকার। দিনের যে কোনও সময় একবার ছানা খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কারণ ছানাতে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম। তাই নিয়মিত ছানা খেলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়।

    কোন কোন রোগ রুখতে সাহায্য করে ছানা? (Curdled Milk)

    নিয়মিত ছানা খেলে স্থূলতার সমস্যা কমে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স বাড়লে অনেকেই স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন। আবার শিশুদের মধ্যেও এখন স্থূলতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।আধুনিক খাদ্যাভ্যাসের জেরে খুব কম বয়স থেকেই অনেকে স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। তাই নিয়মিত ছানা খেলে এই সমস্যা কমে। ছানায় যে ধরনের প্রোটিন থাকে, তাতে পেশি মজবুত হয়। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ছানা (Curdled Milk) সব বয়সীদের জন্য খুব উপকারী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছানায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়ামের‌ মতো উপাদান থাকে। তাই নিয়মিত ছানা খেলে হাড় মজবুত হয়। বয়স বাড়লে অনেকেই হাড় ক্ষয়ের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে হাড়ের সমস্যা বাড়ছে। আর তার জেরেই হাঁটু, কোমরের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হাঁটাচলাতেও হয়রানি হচ্ছে। তাই হাড়কে মজবুত রাখা জরুরি। নিয়মিত ছানা খেলে এই সমস্যা কমবে। হাড় মজবুত হবে।

    হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে (Curdled Milk)

    হার্টকে সুস্থ ও কার্যকরী রাখতে নিয়মিত ছানা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তারা জানাচ্ছেন, ছানায় থাকে ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এই দুই উপাদান হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়াতে নিয়মিত ছানা (Curdled Milk) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশপাশি, ছানা কোলেস্টেরল কমাতেও‌ বিশেষ সাহায্য করে। নিয়মিত ছানা খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। শরীর সুস্থ থাকে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় ছানা। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছানায় থাকে প্রচুর ভিটামিন। তাই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে ছানা বিশেষ‌ সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share