Tag: Odisha

Odisha

  • PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে যাওয়া আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি।” শুক্রবার কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ওড়িশার ভুবনেশ্বরে জনতা ময়দানে রাজ্যে বিজেপি সরকারের এক বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি জানালেন, কীভাবে তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতির (Donald Trump) আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    ট্রাম্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাত্র দু’দিন আগে আমি জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডায় ছিলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যেহেতু আপনি ইতিমধ্যেই কানাডায় আছেন, তাই ওয়াশিংটনে কেন থামবেন না? আমরা এক সঙ্গে খাবার খাব এবং কথা বলব।” মোদি বলেন, “তিনি অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে আমন্ত্রণটি জানিয়েছিলেন। আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে ভ্রমণ করা আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি। আপনাদের ভালোবাসা ও ভগবানের প্রতি ভক্তিই আমায় এখানে এনেছে।”

    মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুরো ওড়িশা ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ এবং অনুপ্রেরণা এবং মহাপ্রভুর আশীর্বাদে পুরী শ্রীমন্দির সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও সমাধান করা হয়েছে। কোটি কোটি ভক্তের অনুরোধকে সম্মান করতে আমি মুখ্যমন্ত্রী মাঝি এবং তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানাই।” তিনি বলেন, “এখানে সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীমন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। রত্নভান্ডারও খুলে দেওয়া হয়েছে এবং এটি রাজনৈতিক জয়-পরাজয়ের বিষয় নয়। কোটি কোটি ভক্তের বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্য একটি করা হয়েছে।”

    বিজেপি জমানায় ওড়িশার প্রভূত উন্নতি

    বিজেপি জমানায় যে ওড়িশার প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওড়িশার দরিদ্র পরিবারগুলি আয়ুষ্মান যোজনার সুবিধা পেতে পারত না। কিন্তু এখন রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত জন আরোগ্য যোজনা এবং গোপবন্ধু জন আরোগ্য যোজনা উভয়ই বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ওড়িশার প্রায় তিন কোটি মানুষ নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।” নকশাল দমন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিজেপি সরকার হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং উপজাতি এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ফলস্বরূপ, নকশাল সম্পর্কিত (Donald Trump) হিংসা এখন মাত্র ২০টি জেলায় সীমাবদ্ধ। দেশ থেকে নকশালবাদ নির্মূল করা হবে। এটা মোদির গ্যারান্টি (PM Modi)।”

  • Maoist Gjarala Ravi: মাও-মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ফের মিলল সাফল্য, খতম আরও ৩ শীর্ষ নেতা

    Maoist Gjarala Ravi: মাও-মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ফের মিলল সাফল্য, খতম আরও ৩ শীর্ষ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশার সীমান্তে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে (Andhra Pradesh) মাওবাদীদের তুমুল লড়াই। এনকাউন্টারে খতম তিন শীর্ষ মাওবাদী নেতা (Maoist Gjarala Ravi)। বুধবার সকালে এই তথ্য প্রকাশ করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। আল্লুরি সীতারামা রাজু জেলায় মাত্র ২৫ মিনিটের অপারেশনে এই সাফল্য পায় যৌথবাহিনী। এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় মাওবাদীদের এওবিএসজেডসি-র স্পেশাল জোনাল কমিটির সেক্রেটারি গজারলা রবি ওরফে উদয়, ইস্টার্ন বিভাগের সেক্রেটারি বরি ভেঙ্কা চৈতন্য ওরফে অরুণা এবং মাওবাদী নেত্রী অঞ্জু। অরুণা মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা চালাপতির স্ত্রী। ২০১৫ সালে খতম করা হয় চালাপতিকে। অরুণা মাওবাদীদের খাতায় নাম লিখিয়েছিল বছর পঁচিশ আগে। সে ছিল মাওবাদীদের অন্ধ্রপ্রদেশ জোনাল কমিটির সদস্য।

    উদয়ের গোটা পরিবার মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত (Maoist Gjarala Ravi)

    পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে উদয়ের বয়স ৬২। সে তেলঙ্গানার বাসিন্দা। আটের দশকে সে যোগ দেয় মাওবাদীদের পিপলস ওয়ার গ্রুপে। দেশে বহু নাশকতার ঘটনায় নাম জড়ায় তার। ২০০৪-০৫ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডির সঙ্গে মাওবাদীদের শান্তি আলোচনায় যে দল যোগ দিয়েছিল, সেই দলে ছিলেন উদয়ও। পুলিশের দাবি, উদয়ের গোটা পরিবার মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত। যৌথবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হয় উদয়ের দাদা আজাদ এবং শ্যালিকা। আত্মসমর্পণ করে উদয়ের ভাই।

    খতম উদয়-সহ তিন মাওবাদী

    পুলিশ জানিয়েছে, সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে মারেদুমিল্লির জঙ্গলে অভিযান চালায় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী। ওই এলাকায় ১৬ জন মাওবাদীর একটি দল আত্মগোপন করে রয়েছে বলে খবর পায় বাহিনী। এর পরেই এলাকা ঘিরে ধরে শুরু হয় তল্লাশি। কোণঠাসা হয়ে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। দু’পক্ষে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলে। শেষমেশ খতম হয় উদয়-সহ তিন মাওবাদী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র (Maoist Gjarala Ravi)।

    জানা গিয়েছে, এওবিএসজেডসি-র স্পেশাল জোনাল কমিটির সেক্রেটারির পাশাপাশি উদয় ছিলেন অন্ধ্র-ওড়িশা বর্ডার জোনাল কমিটির সদস্যও। তার মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা। ২৫ লাখ টাকা মাথার দাম ছিল অরুণারও। আরাকুর বিধায়ক কিদারি সর্বেশ্বরা রাও এবং প্রাক্তন বিধায়ক সিভেরি সোমার হত্যাকাণ্ডে অরুণা জড়িত (Andhra Pradesh) ছিলেন। অরুণার বাড়ি বিশাখাপত্তনমের পেন্ডুরথি মণ্ডলের কারাকাভানিপালেম এলাকায় (Maoist Gjarala Ravi)।

  • Bangladesh: এবার বিহার-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডকেও দেখানো হল গ্রেটার বাংলাদেশের ম্যাপে, পোস্টার পড়ল ঢাকায়

    Bangladesh: এবার বিহার-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডকেও দেখানো হল গ্রেটার বাংলাদেশের ম্যাপে, পোস্টার পড়ল ঢাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানকে অস্ত্র ও সেনা দিয়ে সাহায্য করে তুরস্ক (Turkey)। তার মাশুল অবশ্য গুনতে হচ্ছে তুরস্ককে। নিরাপত্তা থেকে উড়ান, শিক্ষা, বাণিজ্য- সব ক্ষেত্রেই এই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে ভারত। তবে তুরস্কের ভারত বিরোধিতা এবার দেখা গেল বাংলাদেশে (Bangladesh)। ভারত মুখ ফেরাতেই নতুন করে কারসাজি শুরু করেছে এই দেশ। এক সর্বভারতীয় সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী অনুযায়ী, বাংলাদেশে ফের একবার হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠেছে তুরস্ক। ওই সংবাদমাধ্যমের খবর, তুরস্কের একটি এনজিও সমর্থিত ইসলামিক সংগঠন বাংলাদেশের ঢাকায় গজিয়ে উঠেছে। জানা যাচ্ছে, এই সংগঠনের নাম ‘সালতালাত-ই-বাংলা’। এই সংগঠনই এবার দাবি তুলেছে গ্রেটার বাংলাদেশের। এনিয়ে নতুন একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেছে তারা। ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও গোটা উত্তর-পূর্বকে বৃহত্তর বাংলাদেশ বা গ্রেটার বাংলাদেশের অংশ বলে দাবি করা হল।

    মানচিত্রের পোস্টার সাঁটানো হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Bangladesh)

    শুধু তাই নয়, এই ম্যাপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও অন্যান্য এলাকাতেও লাগানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, মূলত যে জায়গাগুলিতে পড়ুয়া ও যুব সম্প্রদায় যায়, সেখানেই এই গ্রেটার বাংলাদেশের (Bangladesh) পোস্টার লাগানো হয়েছে। এদিকে আবার ইউনূস সমর্থকরা এই ম্যাপের সমর্থনও জানিয়েছে। তারাও বিভিন্ন জায়গায় দাবি করছে, অন্তত উত্তর-পূর্ব ভারতকে বাংলাদেশের অংশ করা হোক।

    ২০২৪ সালে পতন হয় হাসিনা সরকারের, তারপরেই বেড়েছে ভারত বিরোধিতা

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রে হাসিনা সরকারের পতন এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত হয়। এর পর থেকেই সেদেশে হিন্দু নির্যাতনের পাশাপাশি বেড়েছে ভারত বিরোধিতাও। ওপার বাংলা থেকে ক্রমাগত উসকানিমূলক মন্তব্য এসেছে ভারতের বিভিন্ন অংশ দখল করার। শুধু তাই নয়, এই আবহে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপও বেড়েছে। সাম্প্রতিক, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আন্দোলনের নামে ব্যাপক হিংসা ছড়ায়। সেখানেও উঠে আসে বাংলাদেশ যোগ।

  • Bagha Nacha: ওড়িশায় দেবী বুধি ঠাকুরানিকে সন্তুষ্ট করতে বাঘের পোশাক পরে নাচ করেন শিল্পীরা

    Bagha Nacha: ওড়িশায় দেবী বুধি ঠাকুরানিকে সন্তুষ্ট করতে বাঘের পোশাক পরে নাচ করেন শিল্পীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার (Odisha) গঞ্জামের ঐতিহাসিক লোকনৃত্য় হল বাঘা-নাচ বা বাঘ নৃত্য (Bagha Nacha)। এই উৎসবে নৃত্যশিল্পীদের বাঘের পোশাক পরে নাচতে দেখা যায়। তাঁরা দেবীকে বুধি ঠাকুরানিকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন এভাবেই। এরসঙ্গে শুরু হয় ঠাকুরানি যাত্রা। ভক্তদের বিশ্বাস, এতে দেবী সন্তুষ্ট হন।

    বাঘা নাচ (Bagha Nacha) সম্পর্কে কী বলছেন জনৈক নৃত্যশিল্পী?

    বাঘা নাচ (Bagha Nacha) সম্পর্কে বলতে গিয়ে একজন শিল্পী রাজকুমার বেহারা বলেন, ‘‘এখানে নাচটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেমন পরিবেশন হল সেই নাচটা, সেটাও খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসলে এই নৃত্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে আধ্যাত্মিকতার এবং দেবত্ব লাভের। দেবীকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এই বাঘা নাচ (Bagha Nacha) অনুষ্ঠিত হয়। এটি এক ধরনের ব্রত বলা যেতে পারে। ভক্তরা যাঁরা এই নৃত্যশিল্পীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং বাঘা নাচে অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা এই ব্রত পালন করেন। তাঁদেরকে উপবাস পালন করতে হয়। এই সময়কালে ব্রহ্মচর্য বজায় রাখতে হয়। এর পাশাপাশি মানসিকভাবে শান্ত থাকতে হয়। তাঁরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকেন এবং পবিত্র পোশাক পরেন। গোটা গায়ে তাঁরা পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে হলুদ এবং চন্দনের গুঁড়ো লাগান। একইসঙ্গে বাঘের মতো ডোরাকাটা দাগ দিয়েও তাঁরা শরীরে নকশা করেন।’’

    সারা রাত ধরে চলে বাঘা নাচ (Bagha Nacha)

    জানা যায়, এভাবে সেজে উঠতে প্রত্যেক ব্যক্তির পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা সময় লাগে। ব্যবহৃত রঙ গুলিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে নানা রকমের পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়। যাতে তা খুব সহজে গা থেকে উঠে না যায়। নৃত্যশিল্পী বেহেরা আরও বলেন,‘‘এই রঙ গুলি তৈরি করতেও আমাদের দু মাসের বেশি সময় লাগে। সারা শরীর এইভাবেই আমরা চিত্রকর্ম করি। দেবী বুধি ঠাকুরানীকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই শিল্পীরা বাঘের মুখোশ পরেন।’’ তবে, নৃত্যশিল্পীরা যে ধরনের পোশাক ব্যবহার করেন, তার দাম কিন্তু খুব একটা কম নয়। ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে এই পোশাক তাঁরা কেনেন। নিজেরাই কেনেন। দেবী বুধি ঠাকুরানির প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভক্তি অর্পণ করতেই তাঁরা এই কাজ করেন। এই পোশাক প্রস্তুত হয়ে গেলে নৃত্যশিল্পীরা এক একটি স্থানে যান। সেখানে অনেক মানুষের জমায়েত হয়। সারা রাত ধরেই তাঁরা নৃত্য পরিবেশন করতে থাকেন। এই সময়ের মধ্যে যে সমস্ত মানুষ বা ভক্তবৃন্দ বাঘা নাচ দেখতে আসেন, তাঁরাই এই শিল্পীদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যান।

  • Odisha: ওড়িশায় লাইনচ্যুত বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা এক্সপ্রেস, মৃত ১, উঠছে নাশকতার প্রশ্ন

    Odisha: ওড়িশায় লাইনচ্যুত বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা এক্সপ্রেস, মৃত ১, উঠছে নাশকতার প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইনচ্যুত হল বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা এক্সপ্রেস। বেঙ্গালুরু থেকে অসমের কামাখ্যা যাচ্ছিল ট্রেনটি। রবিবার ওড়িশার (Odisha) কটক স্টেশন ছেড়ে কেন্দাপাড়ার কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। শেষ খবর অনুযায়ী, কামাখ্যা এক্সপ্রেসের (Bangalore Kamakhya Superfast Express) ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এই ঘটনায় মৃত ১ জন ও আহত ৭ জন যাত্রী। দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় নাশকতার প্রশ্নও উঠছে। জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ১১টা ৫৪ মিনিট নাগাদ কটকের দিঘি ক্যানেলের কাছে, মাঙ্গুলিতে আচমকাই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। একেবারে আতঙ্কে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে আসেন।

    বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল (Odisha)

    এই ঘটনায় বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। জানা গিয়েছে, প্রথম কয়েক ঘণ্টা কোনও উদ্ধারকারী ট্রেন এসে পৌঁছায়নি। রেললাইনের ধারেই অপেক্ষা করছিলেন ট্রেনের যাত্রীরা। প্রসঙ্গত, রেল দুর্ঘটনার জেরে একাধিক ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। ধৌলি এক্সপ্রেস, নীলাচল এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে।

    দুর্ঘটনার মুহূর্তে কামাখ্যা এক্সপ্রেসের গতি ছিল অত্যন্ত কম

    ওড়িশা টিভি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার মুহূর্তে কামাখ্যা এক্সপ্রেসের গতি ছিল অত্যন্ত কম। লাইনে কোনও গোলমাল থাকায় প্রথমে ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর সেই ধাক্কার অভিঘাতে পর পর আরও ১০টি বগি লাইন থেকে সরে যায়। তবে আরও বড় দুর্ঘটনা হতে পারত, যা এড়ানো গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছোনোর বিকল্প বন্দোবস্ত করা হবে।

    কী বললেন রেল আধিকারিক

    পূর্ব উপকূলীয় রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অশোক মিশ্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘রবিবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিট নাগাদ কামাখ্যা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। আমরা সেই খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে আর একটি ট্রেন পাঠানো হয়েছে। রেল আধিকারিক এবং উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরাও পৌঁছেছেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’অশোক আরও বলেন, ‘‘কী কারণে দুর্ঘটনা, এত দ্রুত তা বলা মুশকিল। এখন আমাদের অগ্রাধিকার দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করে তোলা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই কাজ শুরু হয়েছে।’’

  • Nilamadhaba Temple: স্বপ্নাদেশ পেয়ে ভগবানকে খুঁজতে যান রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন! জানুন ওড়িশার নীলমাধব মন্দিরের মাহাত্ম্য

    Nilamadhaba Temple: স্বপ্নাদেশ পেয়ে ভগবানকে খুঁজতে যান রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন! জানুন ওড়িশার নীলমাধব মন্দিরের মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ওড়িশার কন্টিলোতে অবস্থিত নীলমাধব মন্দির (Nilamadhaba Temple) পরিদর্শন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বৈষ্ণব ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দির ওড়িশা তথা ভারতবর্ষের হিন্দু সমাজের কাছে এক উল্লেখযোগ্য তীর্থস্থান। সারা বছর ধরেই প্রচুর ভক্ত নিজেদের মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য এই মন্দিরে আসেন। নীলমাধব মন্দিরেই প্রতিফলিত হয় হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য। প্রাচীন জনজাতি সমাজের রীতিনীতিও বোঝা যায় এই মন্দিরে পৌঁছালে। এই মন্দির যেন কথা বলে। হাজার হাজার বছর ধরে সমুদ্র, নদী, অরণ্য কীভাবে আমাদের মানব সমাজকে প্রতিমুহূর্তে লালন পালন করে আসছে, সেই কথাই ধ্বনিত হয় এই মন্দিরে। ওড়িশা রাজ্যের প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী তথা সে রাজ্যের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস হল, ভগবান জগন্নাথ এই প্রাচীনতম বৈষ্ণব উপাসনা তীর্থে সর্বদাই বাস করেন। তিনি এখানে থেকেই ভক্তদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেন। ভগবান নীলমাধব হলেন ভগবান বিষ্ণুরই অন্যতম রূপ। পুরীতেই ইনি ভগবান জগন্নাথ হিসেবে পূজিত হচ্ছেন। ভক্তদের বিশ্বাস ও ওড়িশা রাজ্যের প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, পুরীতে জগন্নাথদেবের পুজোর আগে থেকেই ভগবান বিষ্ণুর রূপ হিসেবে নীলমাধবের পুজো করা হত। গবেষকরা জানাচ্ছেন, নীলমাধব শব্দটি এসেছে নীলা মাধব থেকে। বিষ্ণুসহস্র নামে উল্লেখ রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর ২৪টি প্রধান নামের কথা। এই নামগুলির মধ্যে অন্যতম হল নীলমাধব। ঐতিহাসিক তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়, নীলমাধবের পুজো ওড়িশায় প্রায় হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে হয়ে আসছে। এই প্রতিবেদনে জানব নীলমাধবের পুজো কীভাবে শুরু হল?

    নীলমাধবের পুজো চারটি নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল

    ওড়িশা রাজ্যে (Odisha) নীলমাধবের পুজো (Nilamadhaba Temple) চারটি নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। এই নদীগুলি হল- মহানদী, ঋষিকুল্য, বৈতরণী এবং প্রাচী। যে স্থানে এই মন্দির অবস্থিত সেই কন্টিলো হল ওড়িশার নয়াগড় জেলায় অবস্থিত একটি জনপদ। এই স্থানের দূরত্ব পুরী থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে। ওড়িশা রাজ্যের লোককথা থেকে জানা যায়, ভগবান বিষ্ণু প্রথমে নীলমাধবের আকারে কাঠের মূর্তি হিসেবে কন্টিলোতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। অর্থাৎ পুরীর মন্দিরের আগে থেকেই কন্টিলোতে চলে আসছে পুজো। প্রসঙ্গত, পুরীর জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। ভক্তদের বিশ্বাস- জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি স্থাপন করেছিলেন তিনি।

    ভগবান বিষ্ণু স্বপ্নে নির্দেশ দেন রাজাকে (Nilamadhaba Temple)

    কন্টিলোর নীলমাধব মন্দির এবং রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের পৌরাণিক কাহিনীও বেশ জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে। প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু ধর্মপ্রাণ রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে একদিন স্বপ্নে দেখা দেন। ভগবান বিষ্ণু এরপর ইন্দ্রদ্যুম্নকে জানান, ওড় দেশের (ওড়িশা) মহানদীর তীরে (Odisha) তিনি নীলমাধব রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। যেখানে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন সেখানে শবর জনগোষ্ঠীর প্রধান তাঁকে একটি বড় গাছের নিচে পুজো করছে। এই স্বপ্ন দেখার পরের দিনই ইন্দ্রদ্যুম্ন, তাঁর বিশ্বস্ত ব্রাহ্মণ পুরোহিত বিদ্যাপতিকে নীলমাধবের মূর্তি খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, ওই মূর্তি নিয়ে আসতে হবে পুরুষোত্তম (পুরী) ক্ষেত্রে। সেখানেই একটি মন্দিরে তা স্থাপন করা হবে।

    বিদ্যাপতির শবর রাজ্যে গমন (Nilamadhaba Temple)

    রাজার নির্দেশে বিদ্যাপতি ব্রাহ্মণ বেরিয়ে পড়েন। পথে ঘুরতে ঘুরতে তিনি পৌঁছান সেই শবর রাজ্যে। যে রাজ্যের কথা ভগবান বিষ্ণুর দেওয়া স্বপ্ন থেকে জানতে পেরেছিলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। শবর রাজ্যে পৌঁছে সেখানকার জনজাতি গোষ্ঠীর প্রধান বিশ্ববসুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। বিশ্ববসুর কাছে বিদ্যাপতি জনজাতি রাজ্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। এই সময় বিদ্যাপতি বিশ্ববসুর কন্যা ললিতার প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ে করেন। পরবর্তীকালে বিদ্যাপতি লক্ষ্য করেন যে বিশ্ববসু প্রায়ই একটি গোপন স্থানে নীলমাধবের পুজো করতে যাচ্ছেন। স্থানটি কোথায় তা দেখা যায় না। কারণ অরণ্যের মধ্যে ঢুকেই অদৃশ্য হয়ে যেতেন বিশ্ববসু।

    বিদ্যাপতির নীলমাধব দর্শন

    এতে বিদ্যাপতির কৌতূহল বাড়তে থাকে। সেই মতো বিদ্যাপতি এ কথা জানান তাঁর স্ত্রী ললিতাকে । ললিতা সেই মতো তাঁর বাবা বিশ্ববসুকে রাজি করান যাতে তিনি বিদ্যাপতিকে নীলমাধবের দর্শনের জন্য নিয়ে যান। কিন্তু বনের গভীরে নিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যাপতির চোখ বেঁধে দেন বিশ্ববসু। বিদ্যাপতি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তি। তিনি হাতে করে সর্ষের বীজ লুকিয়ে রেখেছিলেন। চলার পথে সেই বীজগুলোকে ফেলতে ফেলতে যান। এরপর বিদ্যাপতিকে নীলমাধবের দর্শন করান বিশ্ববসু। পরবর্তীকালে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের কাছে ফিরে গিয়ে বিদ্যাপতি জানান যে, নীলমাধবকে তিনি জনজাতি রাজ্যে খুঁজে পেয়েছেন। পরবর্তীকালে নিজের দলবল নিয়ে বনের মধ্যে বেড়ে ওঠা সরিষা গাছের পথ অনুসরণ করেন রাজা। কিন্তু সে সময় নীলমাধবের দর্শন তিনি পাননি।

    ভগবান বিষ্ণু আবির্ভূত হন রাজার সামনে

    এরপরে ব্যর্থতায় হতাশ হয়ে পড়েন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। শুরু করেন কঠোর তপস্যা। অন্ন-জল কোনও কিছু গ্রহণ করেননি। সারাক্ষণ ভগবান বিষ্ণুর দেখা পাওয়ার জন্য তিনি ব্যাকুল হয়ে ধ্যান করতে লাগলেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান বিষ্ণু এরপর হতাশ করেননি তাঁর এই পরম ভক্তকে। প্রকট হন রাজার সামনে। তাঁকে জানান যে, পুরীর সমুদ্র সৈকতে তিনি কাঠের রূপে (দারু ব্রহ্মা) আবির্ভূত হবেন। একইসঙ্গে ভগবান বিষ্ণু রাজাকে পুরীতে বিশাল মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেন। তিনি জানান, ওই মন্দিরেই তিনি জগন্নাথদেব হিসেবে পূজিত হবেন। এর পরবর্তীকালে রাজা দারু ব্রহ্মা বা ঐশ্বরিক কাঠকে খুঁজে পান। পরবর্তীকালে সেগুলোকে তিনি প্রাসাদে নিয়ে আসেন। এরপরে ভগবান বিশ্বকর্মা এক ছুতোরের রূপ ধারণ করে মূর্তি খোদাই এর কাজ শুরু করেন। বিশ্বকর্মা রূপী ওই ছুতোরের শর্ত একটিই ছিল, বন্ধ দরজার পিছনে এই কাজ হবে এবং সম্পূর্ণ গোপনীয়তার সঙ্গে। যদি কাজ করার সময় তাঁকে কেউ বিরক্ত করে তাহলে কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবেই মূর্তি তৈরির কাজ চলতে থাকল। সাতদিন পরে রাজা ও রানি মূর্তি দেখতে অস্থির হয়ে পড়েন এবং ওই ছুতোর যেখানে কাজ করছিলেন সেই দরজা খুলে দেন। সে সময় দেখা যায় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার তিনটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে বটে তবে তা অসম্পূর্ণ। আজও পুরীতে পূজিত হয় এই তিন মূর্তি। তবে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন জনজাতিদের প্রতি তাঁর কর্তব্য তখনও ভোলেননি। ললিতা যে গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তাঁদেরকে দৈত্যপতি বলা হত। সেই ললিতার গোত্রকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে বিশেষ সেবায়েত হিসেবে মর্যাদা দেন রাজা। এইভাবেই শবর জনগোষ্ঠী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে পুরীতে। আজও পর্যন্ত ললিতার সেই বংশধর এবং দৈত্যপতিরা সেবা করে চলেছেন জগন্নাথদেবের।

  • KIIT Suicide: কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় নেপালি পড়ুয়াদের পাশে এবিভিপি

    KIIT Suicide: কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় নেপালি পড়ুয়াদের পাশে এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-নেপাল কূটনৈতিক বিবাদের সূত্রপাত ঘটতে যাচ্ছিল ওড়িশায় নেপালি ছাত্রীর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে। তবে তার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ভারত সরকার। এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ওড়িশা বিজেপি ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। নেপালি ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ায় এবিভিপি। নেপাল দূতাবাসের ভারতীয় শাখা দুই কর্মকর্তাকে পাঠানোর আগে, এবিভিপি ও তাদের ওড়িশা শাখা তিনটি দিকনির্দেশনা দেয়: শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং অবিলম্বে বিক্ষোভ শুরু করা। এবিভিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দেশনা ছিল স্পষ্ট  “ওডিশায় নেপালি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক জায়গায় থাকার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”

    কী ঘটেছিল কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে

    গত রবিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি(KIIT) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মেয়েদের হস্টেলের ঘর থেকে এক নেপালি ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, তিনি বি টেক তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর নেপালি পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেপালি পড়ুয়াদের ক্যাম্পাস খালি করার নির্দেশ দেয়। ২০ বছর বয়সী নেপালি ছাত্রী প্রাকৃতী লামসালের আত্মহত্যা দুই দেশের সম্পর্কেও চিড় ধরাতে শুরু করে। যদিও ভারতে নেপালি ছাত্রদের পাশে দাঁড়ায় এবিভিপি।

    নেপালি পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা

    ভুবনেশ্বরে কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নেপালি ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর নেপালে ফিরে যাচ্ছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপালি পড়ুয়ারা। আর নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার পথে যাতে খাবার কিংবা অন্য কোনও অসুবিধায় তাঁদের না পড়তে হয়, সেজন্য এগিয়ে যায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। বিভিন্ন স্টেশনে খাবার, জল-সহ নানা সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যান এবিভিপির সদস্যরা। নেপালি পড়ুয়াদের দিকে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের গোরখপুর, রাক্সৌল, মুজফ্ফরপুর, পটনা-সহ বিভিন্ন স্টেশনে পৌঁছে যান এবিভিপি সদস্যরা। এছাড়াও এই দুই রাজ্যের সঙ্গে অন্য রাজ্যে একাধিক ট্রানজিট পয়েন্টে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। নেপালি পড়ুয়াদের সুরক্ষা ও ভারতে তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করার ছিল এবিভিপি-র কাজ।

    কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব এড়ানোর চেষ্টা

    ভুবনেশ্বর কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি)-তে নেপালি ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে নানা মহলে। বিক্ষোভরত নেপালি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে ‘জাতিবিদ্বেষী’ এবং ‘অপমানজনক’ মন্তব্য করার অভিযোগও উঠেছে। এদিকে, নেপালি পড়ুয়াদের এভাবে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে এবিভিপি। ওড়িশার এবিভিপি ইউনিট এক্স হ্যান্ডলে এই নির্দেশের নিন্দা করে। এদিকে, ক্যাম্পাসে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার। এমনকি, নেপালি পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবিভিপি তিনটি মোবাইল নম্বর প্রকাশ করে, যার মাধ্যমে নেপালি শিক্ষার্থীরা তাদের সাহায্য নিতে পারেন।

    ওড়িশা বিজেপির প্রয়াস

    নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য, এবিভিপি বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ শুরু করে, কেআইআইটির ক্যাম্পাসের বাইরে এবং ভুবনেশ্বরে বাইক র‍্যালি আয়োজন করে। এবিভিপি নেতা, বীরেন্দ্র সোলাঙ্কি, শিক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে, রাজ্য বিজেপি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে, বিধায়ক বাবু সিং, কেআইআইটি প্রতিষ্ঠাতা অচ্যুত সমন্তাকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন। ওডিশার উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী সূর্যবানশী সুরাজও জানতে চান, “নেপালি শিক্ষার্থীদের কটক রেলওয়ে স্টেশনে কেন নামানো হয়েছিল? কেন কেআইআইটি কর্তৃপক্ষ সরকারকে এ বিষয়ে জানায়নি?”

  • Mohan Charan Majhi: “২০২৬ সালের আগেই ওড়িশা মাওবাদী মুক্ত হবে,” বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    Mohan Charan Majhi: “২০২৬ সালের আগেই ওড়িশা মাওবাদী মুক্ত হবে,” বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৬ সালের আগেই ওড়িশা মাওবাদী মুক্ত হবে।” কথাগুলি বললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি (Mohan Charan Majhi)। তাঁর দাবি, ওড়িশায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার জনগণের জন্য সেবা প্রদান করতে শুরু করেছে। মাও দমনে (Maoist Free) ডেড লাইন বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    মাওবাদী মুক্ত রাজ্য (Mohan Charan Majhi)

    তিনিও বলেছিলেন, “৩১ মার্চের মধ্যেই মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ।” বিধানসভার রাজ্যপালের ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব বিতর্কের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের বিজেপি সরকার অগ্রগতি সাধন করছে এবং প্রথম আট মাসের মধ্যে তার সাফল্য বিজেডির ২৪ বছরের কাজের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রভাব বিশেষ করে পরিকাঠামো খাতে তো আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। সড়ক, রেল, বন্দর, বিমানবন্দর এবং অন্যান্য পরিবকাঠামো খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ হয়েছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।” তিনি জানান, তাঁর সরকার ওডিশার ৩০টি জেলাকেই রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

    রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে বিরোধীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী (Mohan Charan Majhi) বলেন, “গত আট মাসে সমস্ত মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মহিলা সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার একক সংখ্যায় ছিল। আইপিসি সংক্রান্ত মামলার হার ১২ শতাংশের নীচে ছিল। আগামী দিনে আপনি অবশ্যই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হারে উন্নতি দেখতে পাবেন।”

    মাওবাদী ও নকশাল সমস্যা মোকাবিলায় তাঁর সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এই আগস্ট হাউসকে আশ্বস্ত করতে চাই যে ৩১ মার্চ, ২০২৬-এর জাতীয় সময়সীমার অনেক আগেই ওডিশা থেকে মাওবাদী হিংসার অবসান ঘটবে। আপনারা জানেন, ওডিশার কিছু এলাকা একসময় মাওবাদী-প্রভাবিত ছিল। তবে গত কয়েক দিনে আমরা এই অঞ্চলটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পেরেছি।” মাওবাদীদের (Maoist Free) প্রতি তাঁর আবেদন, “হিংসা ছেড়ে আপনারা সমাজের মূলস্রোতে যোগ দিন। তা না হলে ভয়ঙ্কর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে (Mohan Charan Majhi)।”

  • Naxalism: বাহিনীর গুলিতে খতম ১৪ মাওবাদী, ‘‘শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে নকশালরা’’, মন্তব্য শাহের

    Naxalism: বাহিনীর গুলিতে খতম ১৪ মাওবাদী, ‘‘শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে নকশালরা’’, মন্তব্য শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা-ছত্তিশগড় সীমানায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে রাতভর গুলির লড়াই মাওবাদীদের। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিকেশ হল ১৪ মাওবাদী (Naxalism)। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে একজনের মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। জানা গিয়েছে, মৃত মাওবাদীদের তালিকায় রয়েছে সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য মনোজ ও স্পেশাল জোনাল কমিটির সদস্য গুড্ডুও। এই মনোজেরই মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা ও গুড্ডুর মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা। এই ঘটনার পরেই এক্স মাধ্যমে পোস্ট করেন অমিত শাহ। সমাজমাধ্যমে তাঁর মন্তব্য, ‘‘শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে নকশালরা।’’

    এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানালেন অমিত শাহ (Amit Shah) 

    এই অভিযানকে (Naxalism) মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়তে আরও একটা বড় সাফল্য পেল। সিআরপিএফ, ওড়িশার এসওজি, ছত্তিশগড় পুলিশের যৌথ অভিযানে ওড়িশা-ছত্তিশগড় সীমানায় ১৪ মাওবাদী নিহত হয়েছে। শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে নকশালরা।’’

    কয়েকদিন ধরেই চলছে অভিযান (Naxalism)

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই মাওবাদী (Naxalism) দমনে আন্তঃরাজ্য অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই অভিযান। সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথবাহনী মিলে এই অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর। সোমবার ওড়িশার নওপাড়া এবং ছত্তিশগড় গরিয়াবন্দের সীমানায় মাওবাদীদের জড়ো হওয়ার খবর গোপন সূত্রে পায় বাহিনী। এরপরে সোমবার রাতেই তল্লাশি অভিযানের সময় বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে মাওবাদীরা। তখন মাওবাদীদের ঘিরে ফেলে পাল্টা জবাব দেয় যৌথবাহিনীও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raghubar Das: ‘মিশন’ ওড়িশার পর এবার ঝাড়খণ্ড! রঘুবর দাসের বিজেপির রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে জোর জল্পনা

    Raghubar Das: ‘মিশন’ ওড়িশার পর এবার ঝাড়খণ্ড! রঘুবর দাসের বিজেপির রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে জোর জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার রাজ্যপাল রঘুবর দাস (Raghubar Das) পদত্যাগ করলেন। এরপর থেকে ঝাড়খন্ডে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসার বিষয়ে বিজেপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে  নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। রাজভবন থেকে একটি সরকারি বিবৃতিতে রঘুবর দাসের পদত্যাগের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। মিজোরামের গভর্নর কামহামপতি হরি বাবুকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

    ওড়িশার রাজ্যপাল হিসেবে মাত্র ১৪  মাস দায়িত্ব পালন (Raghubar Das)

    ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস (Raghubar Das) ওড়িশার রাজ্যপাল হিসেবে মাত্র ১৪ মাস দায়িত্ব পালন করার পরে পদত্যাগ করেছেন। সক্রিয় রাজনীতিতে তার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আলোচনাটি সাম্প্রতিক ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি তার পুত্রবধূ পূর্ণিমা সাহুকে শক্ত ঘাঁটি জামশেদপুর পূর্ব থেকে প্রার্থী করার পর বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে। সেই আসনে পূর্ণিমা সাহু জিতেছিলেন। দাস ছিলেন ঝাড়খণ্ডের একমাত্র অ-উপজাতি মুখ্যমন্ত্রী, যিনি একটি পূর্ণ মেয়াদ শেষ করেছেন। তাঁর সক্রিয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

    রঘুবর দাস কী বললেন?

    পুরী জগন্নাথ মন্দিরে প্রার্থনা করার পর রঘুবর দাস (Raghubar Das) সাংবাদিকদের বলেন, “আমি একটি শ্রমজীবী পরিবার থেকে উঠে এসেছি। ১৯৮০ সালে আমি দলে (বিজেপি) যোগদানের পর আমাকে বুথ, মণ্ডলে অনেক কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য এবং জাতীয় স্তরেও আমি ঝাড়খণ্ডের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি (মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে)। দল এবার নতুন ভূমিকা নির্ধারণ করবে।”

    ওড়়িশার বিজেপি নেতা কী বললেন?

    ওড়িশার এক বিজেপি (BJP) নেতা বলেন, ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে দাসের (Raghubar Das) “দৃঢ় প্রভাব” রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় দলের নেতৃত্বের “তার জন্য একটি পরিকল্পনা” থাকতে পারে।” ওড়িশা বিজেপি প্রধান মনমোহন সামল বলেন, “দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে দাস হয়তো পদত্যাগ করেছেন। দাস গত বছরের ১৮ অক্টোবর ওড়িশার রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। গত তিন দশকে তার পাঁচজন পূর্বসূরি তাদের সম্পূর্ণ পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছিলেন বলে রাজভবনে তাঁর সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম কার্যকাল ছিল।” ওড়িশায় দাসের ভূমিকাকে “গুরুত্বপূর্ণ” হিসেবে দেখা হয়েছিল। কারণ বিজেপি শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি না থাকা সত্ত্বেও, নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজু জনতা দলকে (বিজেডি) ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে রাজ্যে প্রথম সরকার গঠন করেছিল। 

    বিজেডি নেতা কী বললেন?

    বিজেডির অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা দাবি করেছেন যে একই সঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের পিছনে দাসের (Raghubar Das) “ভুমিকা” ছিল। জুলাই মাসে বার্ষিক রথযাত্রার সময় পুরীতে তার ছেলে ললিত কুমারের দ্বারা রাজভবনের এক কর্মচারীর হামলার জন্যও বিজেডি দাসকে নিন্দা করেছিল। বিজেডি দাসকে তার পদত্যাগের পরেও এই ইস্যুতে টার্গেট করা অব্যাহত রেখেছিল। দলের মুখপাত্র লেলিন মোহান্তি উল্লেখ করেছেন যে সেই হামলার শিকার ব্যক্তি এখনও বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলে বিজেপির দাবি একটি প্রহসন”। বিজেডি আরও অভিযোগ করেছিল যে গত মাসে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের সময় “রাজনৈতিক কৌশলের” জন্য রাজভবনকে “যুদ্ধ কক্ষে” পরিণত করা হয়েছিল। একজন বিজেডি নেতা বলেছিলেন, “দাসই বিজেপি নেতৃত্বকে দলের মধ্যে পান্ডিয়ানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। “

    ওড়িশায় মিশনে বিজেপি তার লক্ষ্য অর্জন করেছে

    আরেক বিজেডি নেতা বলেছিলেন, দাসকে (Raghubar Das) বিজেপি নেতৃত্ব “দলকে ক্ষমতায় আসতে সহায়তা করার জন্য ওড়িশায় মিশনে” প্রেরণ করেছিলেন। “যেহেতু বিজেপি তার লক্ষ্য অর্জন করেছে, তাদের এখন তার জন্য আলাদা পরিকল্পনা থাকতে পারে”। রঘুবর দাস অবশ্য বলেছিলেন যে রাজ্যে বিজেপির জয়ে তাঁর কোনও অবদান নেই। এটি মহাপ্রভু জগন্নাথের আশীর্বাদের কারণে হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল হিসেবে তার মেয়াদকালে রাজ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে নতুন বিজেপি সরকারের সঙ্গে তাঁর মতভেদ দেখা যায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share