Tag: OIC

OIC

  • OIC: বিশ্বমঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কাশ্মীর ইস্যুতে কঠোর ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ  

    OIC: বিশ্বমঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কাশ্মীর ইস্যুতে কঠোর ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব মঞ্চে ফের একবার মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত হয় ইসলামিক কো-অপারেশন সংস্থার বৈঠক (OIC)। ওই বৈঠকে পাকিস্তান (Pakistan) কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করে। যদিও তা ব্যর্থ হয়। এই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হল ইন্দোনেশিয়া, মিশর এবং বাহরিন। এই তিন মুসলিম দেশই পাকিস্তানের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। যার ফলে চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়নি সেটি। আয়োজক দেশ ছিল ইন্দোনেশিয়া।

    ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকা (OIC)

    ইসলামিক এই দেশটি পাকিস্তানের এই উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার নীতিতে বিশ্বাসী দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ইন্দোনেশিয়া। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, তারা ওআইসির মঞ্চকে কোনও সদস্য রাষ্ট্রকে টার্গেট করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চায় না। ইন্দোনেশিয়ার এই অবস্থানকে সমর্থন করে মিশর এবং বাহরিনও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্দোনেশিয়া, মিশর এবং বাহরিনের এই অবস্থান ভারতের সঙ্গে তাদের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্কের প্রতিফলন।

    চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র

    জাকার্তা সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে প্যালেস্তাইন ও গাজায় চলা পরিস্থিতির কড়া নিন্দা করা হয়। যদিও ভারতের প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে সংযমী ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় মুখ পুড়লেও (OIC) স্বদেশে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে পাকিস্তান। তাদের দাবি, তাদের অবস্থান ওআইসি দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হলেও, ইসলামাবাদ নিজের দেশে তাদের কলঙ্কিত ভাবমূর্তি বজায় রাখতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে।

    কাশ্মীর ইস্যুতে সমর্থন আদায়ের জন্য ওআইসির দিকে দীর্ঘদিন ধরে তাকিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী দেশগুলির মধ্যে এই বিষয়ে অনীহা ক্রমেই বাড়ছে যে তারা নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে এই ধরনের কাজে ব্যবহৃত হতে দিতে চাইছে না। অনেক দেশ এখন আদর্শগত সংহতির চেয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও কৌশলগত সহযোগিতাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তার জেরেই বারবার বিশ্ব দরবারে মুখ পুড়ছে ইসলামাবাদের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওআইসি পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের বৈঠকে পাকিস্তানের প্রস্তাব আটকে যাওয়া ইসলামাবাদের (Pakistan) একটি বিরাট কূটনৈতিক ব্যর্থতা। নয়াদিল্লির কাছে এটি একটি বড় সাফল্য, যা মুসলিম বিশ্বের ভেতরে পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক অবস্থানগুলির ইঙ্গিত দেয় (OIC)।

  • Yasin Malik: ‘ধর্তব্যের মধ্যেই আনি না!’, ইয়াসিনকে নিয়ে ইসলামিক দেশগুলির সংগঠনের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Yasin Malik: ‘ধর্তব্যের মধ্যেই আনি না!’, ইয়াসিনকে নিয়ে ইসলামিক দেশগুলির সংগঠনের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইয়াসিন মালিককে (yasin malik) নিয়ে ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন, সংক্ষেপে ওআইসি-র (OIC) মন্তব্যের কড়া নিন্দা করল ভারত (India)। ওই সংগঠন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছে বলেও অভিযোগ নয়াদিল্লির।

    সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানো (Terror Funding) ও বিচ্ছন্নতাবাদী আন্দোলনে মদত দেওয়ার দায়ে কাশ্মীরের জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF) নেতা ইয়াসিন মালিককে দোষী সাব্যস্ত করে পাতিয়ালার বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত। বুধবার শোনানো হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। বিচারক প্রবীণ সিং ইয়াসিন মালিককে ওই সাজা দেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে ইয়াসিন মালিক নিজেই জঙ্গিদের মদত দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয়। নয়ের দশকে সে ভারতীয় বায়ুসেনার এক আধিকারিককে খুনও করেছিল। এহেন জঙ্গিনেতা ইয়াসিনের সাজা ঘোষণার পর প্রতিবাদে সরব হয় পাকিস্তান। ভারতের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইসলামিক দেশগুলি। ইয়াসিন মালিককে সাজা দেওয়ার পরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ভারতের কড়া সমালোচনা করে ওআইসি। 

    আরও পড়ুন : যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    শুক্রবার তারই প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। ওআইসিকে সন্ত্রাসবাদে মদত না দেওয়ার আহ্বান জানায় নর্থ ব্লক। জানিয়ে দেয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির (Zero tolerance policy) পক্ষপাতী তাবৎ বিশ্ব।

    বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “মালিকের সন্ত্রাসবাদমূলক কার্যকলাপ নথিভুক্ত করা হয়েছে। আদালতে তা প্রমাণও হয়েছে।” মালিক সম্পর্কে এনআইএ বিশেষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ওআইসি-আইপিএইচআরসির (OIC-IPHRC) করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করা এক প্রশ্নের জবাবে বাগচি বলেন, “ভারত ওই সংগঠনের মন্তব্যগুলিকে ধর্তব্যেই মধ্যেই আনে না।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের মতে, এই মন্তব্যগুলির মাধ্যমে ওআইসি-আইপিএইচআরসি ইয়াসিন মালিকের সন্ত্রাসবাদমূলক কার্যকলাপের প্রতি পরোক্ষে সমর্থন প্রকাশ করছে।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি চায়। তাই আমরা ওআইসি-কে অনুরোধ করছি যে সন্ত্রাসবাদকে যেন কোনওভাবেই মান্যতা দেওয়া না হয়।” বাগচি বলেন, “যেহেতু আদালতে ইয়াসিন মালিকের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে, তাই এই বিষয়ে ওআইসি-র মন্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

    আরও পড়ুন : ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    প্রসঙ্গত, ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছে আদালত। তবে ইয়াসিন মালিকের মতো এক জঙ্গি নেতার এহেন সাজায় খুশি নয় তার হাতে খুন হওয়া বিভিন্ন ব্যক্তির পরিবার। ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা।

     

LinkedIn
Share