Tag: Omar Abdullah

  • Jammu-Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ৬ বছর পার, উপত্যকায় উন্নয়নের ছাপ স্পষ্ট, কতটা বদলেছে ভূস্বর্গ?

    Jammu-Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ৬ বছর পার, উপত্যকায় উন্নয়নের ছাপ স্পষ্ট, কতটা বদলেছে ভূস্বর্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের উন্নতির পথে প্রধান বাধা ছিল ৩৭০ ধারা। কেন্দ্রের মোদি সরকার সেই বাধা অতিক্রম করেছে। দেশের অন্য অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন কাশ্মীরেও সমানভাবে উন্নতি হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ছয় বছর পর এমনই ভাবছে উপত্যকাবাসী। ৫ অগাস্ট— ২০১৯ সাল, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই সঙ্গে রাজ্যটিকে বিভক্ত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল—জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ—তৈরি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে থাকা এই পদক্ষেপকে “জাতীয় সংহতির পথে একটি সাহসী পদক্ষেপ” বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকাকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তোলার পথে এই সিদ্ধান্ত সঠিক। এই পদক্ষেপ জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অখণ্ড অংশ করে তুলতে সাহায্য করেছে।

    ৩৭০ ধারা বিলোপের পর পরিবর্তনের ছবি

    ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপের পর ব্যাপক পরিকাঠামো গত উন্নয়নের হাত ধরে বদলে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের চেহারা। নিত্যদিনের কার্ফিউ বা জঙ্গিদের সন্ত্রাস এখন নেই বললেই চলে। সেখানকার স্থানীয় মানুষই প্রতিহত করছেন প্রতিবেশী পাকিস্তানের যাবতীয় নাশকতার ছক। নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁরা এখন রাজ্যে চাইছেন শান্তি। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরে হিংসাত্মক ঘটনা কমে এসেছে। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে।

    সফল নির্বাচন ও ভোটারদের রেকর্ড উপস্থিতি

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর জম্মু-কাশ্মীর প্রথমবারের মতো একাধিক সফল নির্বাচন দেখেছে। কয়েক দশক পর প্রথমবার, সাধারণ মানুষ বিপুল উৎসাহে ভোটদান করেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় উপত্যকায়। একইভাবে, বিধানসভা নির্বাচনে ভোটাদাতাদের উপস্থিতি ছিল ৬৩.৮৮ শতাংশ, যা এক ঐতিহাসিক রেকর্ড। নির্বাচনের সময় কোনও বড় ধরনের বিক্ষোভ বা বয়কটের ডাক দেখা যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ছিল নিয়ন্ত্রণে।

    পর্যটনে ব্যাপক উত্থান

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ২০২৩ সালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে ২.১১ কোটির বেশি পর্যটক ঘুরতে গিয়েছেন। এতে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। যদিও পাহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু কিছুটা ধাক্কা দেয় পর্যটনে, তবুও পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে ওঠে এবং আবারও পর্যটকের ঢল নামে।

    পাথর ছোড়ার ঘটনা একেবারে বন্ধ

    অতীতে জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার ঘটনা নিয়মিত ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই ধরনের একটিও ঘটনা ঘটেনি। ২০১০ সালে যেখানে পাথর ছোঁড়ার সংখ্যা ছিল ২,৬৫৪টি, সেখানে আজ তা পুরোপুরি শূন্য বললেই চলে। পাশাপাশি, উপত্যকায় হরতালের ডাকও কার্যত নেই।

    পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগ

    বড় ধরনের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে জম্মু-কাশ্মীরে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ৪২ হাজার ৫০০ কোটির উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল প্রকল্প, যার অংশ হিসেবে চেনাব নদীর উপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু। এই রেল প্রকল্প কেবল জম্মু ও কাশ্মীরকে সংযুক্ত করে না, এর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ও ব্যবসায়িক সংযোগেও গতি এসেছে।

    চেনাব সেতু: কাশ্মীরের পরিকাঠামো উন্নয়নের সবচেয়ে বড় উদাহরনই হল চেনাব সেতু। চেনাব নদীর ওপর গড়ে উঠেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ এই আর্চ রেলসেতু। ইতিমধ্যেই চেনাব সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সেতু কাশ্মীরের আর্থসামাজিক অবস্থাকেই বদলে দিচ্ছে। চন্দ্রভাগা নদীর ৩৫৯ মিটার উঁচুতে তৈরি চেনাব আর্চ রেলসেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার। চেনাব সেতু এখন কাশ্মীরিদের গর্ব। ভূমিকম্পেও অটল থাকবে এই সেতু।

    যোগাযোগ ব্যবস্থায় বদল: রেল ছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিরাট বিরাট সড়ক। হাটবাজার, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ প্রভৃতি গড়ে উঠছে অতি দ্রুত। ভারত স্বাধীনতার বহু যুগ কেটে গেলেও কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ২০১৯ সালের আগে খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু গত ৬ বছরে আমূল বদলে গিয়েছে উপত্যকার সড়ক ব্যবস্থা। ভারত নেট প্রকল্পে মার্চেই ৭ হাজার ৭৮৯ ফাইবার-টু-দ্য-হোম সংযোগ পৌঁছে দেওয়া বয়েছে। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বিমানবন্দরেরও। ২০১৯ সালে যেখানে ৩৫টি বিমান প্রতিদিন যাতায়াত করতো এখন সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১২৫।

    লগ্নি বেড়েছে উপত্যকায়: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন নারীরা এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষজন। কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়়ে উঠছে উপত্যকায়। বর্তমানে ৮৩৭টি নতুন শিল্প উদ্যোগ চালু আছে। এরমধ্যে ৩০২টি প্রতিষ্ঠানই নারীদের দ্বারা পরিচালিত। শ্রীনগর শহর এখন স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষ এ ফলে উপকৃত হচ্ছেন। গত পাঁচ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার কোটি টাকার লগ্নি এসেছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও, এই ধারা রদের পর থেকে পরিসংখ্যান বলছে জম্মু-কাশ্মীরে ভোটার অংশগ্রহণ, পর্যটন, শান্তি ও উন্নয়নের দিক থেকে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

  • Sukanta Majumdar: “চোর কি কখনও নিজের চুরির তদন্ত করতে পারে?” প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “চোর কি কখনও নিজের চুরির তদন্ত করতে পারে?” প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চোর কি কখনও নিজের চুরির তদন্ত করতে পারে?” শনিবার এমনই প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপির সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের নিশানা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা (Pakistan PMs Offer)। ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্ট।

    সুকান্তর প্রশ্ন (Sukanta Majumdar)

    ওই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তাঁর সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন সুকান্ত এবং জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পাক প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাবকে সুকান্ত ‘মুখ রক্ষার হতাশাপূর্ণ চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেন। এর পরেই পাক প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে সুকান্ত বলেন, “এরা কী তদন্ত করবে? চোর কি কখনও নিজের চুরির তদন্ত করতে পারে?” কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভয়ে একথা বলেছেন। এই ভয় ভালো। তাঁর এই ভয় থাকা উচিত। যখন পাকিস্তান প্রস্তুত থাকবে না, ঠিক তখনই আমরা তাদের আঘাত করব। আর সেটা হবে প্রবল আঘাত।”

    কী বললেন ওমর

    এদিকে, রামবান থেকে পাক প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাব সম্পর্কে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, “প্রথমত পহেলগাঁওয়ে কিছু ঘটেছে বলেই তারা স্বীকার করনি। শুরুতে তারা বলেছিল যে এর পেছনে ভারতের হাত আছে।” তিনি বলেন, “যারা শুরুতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল, তাদের ব্যাপারে এখন কিছু বলা কঠিন। আমি তাদের বক্তব্যকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই না।”

    এদিকে, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর উপত্যকায় জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আটক করা হয়েছে ১৭৫ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে। পহেলগাঁওয়ের এই হামলাকে সমর্থন (Sukanta Majumdar) করায় অসমে গ্রেফতার করা হয়েছে ১০জনকে।

    পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও পীযূষ গোয়েল। তাঁরা বলেন, “পাকিস্তানকে (Pakistan PMs Offer) এর ভারী মূল্য চোকাতে হবে।” পুরী পাকিস্তানকে “চূড়ান্ত পতনশীল এক দুশ্চরিত্র রাষ্ট্র” বলে আখ্যা দিয়েছেন (Sukanta Majumdar)।

  • Omar Abdullah: বিজেপি এবং মোদির সঙ্গে দূরত্ব কমছে ভূস্বর্গের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার!

    Omar Abdullah: বিজেপি এবং মোদির সঙ্গে দূরত্ব কমছে ভূস্বর্গের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দূরত্ব কমছে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার (Omar Abdullah)! অন্তত ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত এমনই। এর আগে প্রায়ই তিনি জম্মু-কাশ্মীর ধ্বংস করার জন্য দায়ী করেছিলেন বিজেপিকে। সেই তিনিই এখন বদলাচ্ছেন ভোল।

    ৩৭০ ধারা রদ (Omar Abdullah)

    ২০১৯ সালে ভূস্বর্গ থেকে বাতিল হয়ে যায় ৩৭০ ধারা। তার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে যাঁরা সব চেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন ওমর-ও। মুসলমান অধ্যুষিত উপত্যকায় উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্যও তিনি বিভিন্ন সময় দুষেছিলেন পদ্ম-পার্টিকে। বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ তুলেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের আশা-আকাঙ্খা উপেক্ষা করারও। লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘সংকল্পপত্র’ (ইশতেহার) প্রকাশ করেছিল বিজেপি। তাকে কটাক্ষ করে ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতা বলেছিলেন, “এটি জম্মু-কাশ্মীর ধ্বংসের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে।”

    ওমরের মুখে মোদি প্রশস্তি!

    তবে জম্মু-কাশ্মীরের (Omar Abdullah) মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বিবৃতি ও কার্যকলাপ তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানে লক্ষণীয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাস পরেই ওমর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য। গত ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী যখন ২৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সোনমার্গ টানেলের উদ্বোধন করেন, তখনও মোদি-প্রশস্তি শোনা গিয়েছিল ওমরের মুখে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, নির্বাচন জয়ের পরপরই ওমর প্রকাশ্যে স্বীকার করেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীর সরকারের প্রয়োজন “কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখা।” তিনি এও স্বীকার করেছিলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক সমস্যার সমাধান কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করে সম্ভব নয়।”

    ওমরের বাবা তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি, ফারুক আবদুল্লা সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করতে পারে না।” ওমরের এই ‘বিজেপি-প্রীতি’ ভালো চোখে দেখছেন না জম্মু-কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্সের নেতা তথা বিধায়ক সাজ্জাদ লোন। ওমরের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। লোন বলেন, “নির্বাচনী প্রচারের সময় সবই ছিল ৩৭০ ধারা সংক্রান্ত এবং কীভাবে অন্য সবাই বিজেপির (PM Modi) সঙ্গে রয়েছে, সেই প্রশ্ন। আর এখন আদর্শগত মিল। কী বিশাল পতন (Omar Abdullah)!”

  • Omar Abdullah: শাহি দরবারে ওমর, আলোচনা ভূস্বর্গের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে

    Omar Abdullah: শাহি দরবারে ওমর, আলোচনা ভূস্বর্গের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ (Omar Abdullah) দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। সূত্রের খবর তাঁদের মধ্যে ত্রিশ মিনিট ধরে আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা করেছেন ওমর আব্দুল্লাহ। ওই বৈঠকে ওমর শাহকে জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন নিয়েও অবগত করেন। জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় সম্প্রতি হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। সে নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অবগত করেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী।

    বৈঠকের পরে কী বললেন ওমর আবদুল্লাহ (Omar Abdullah)

    জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকের পরে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ট্যুইট বার্তা দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বৈঠকের পরে ওমর (Omar Abdullah) নিজের এক্স মাধ্যমে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমি জম্মু-কাশ্মীরের আইন-শৃঙ্খলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক করলাম এবং প্রত্যেকটি ঘটনা সম্পর্কে তাঁকে অবগত করেছি। এই ঘটনাগুলি স্বচ্ছ তদন্ত হবে বলেই আমি আশা করি।’’

    সম্প্রতি মোদির প্রশংসা ওমরের মুখে

    কাশ্মীরে ‘জেড–মোড়’ তথা ‘সোনমার্গ টানেল’ মোদি উদ্বোধন করেন সম্প্রতি। এরপরেই তাঁর উদ্দেশে ধন্যবাদ জ্ঞাপক বক্তব্য রাখেন ওমর। তিনি বলেন, ‘‘তৃতীয় বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন শ্রীনগরে এলেন, তখন থেকেই লোকে তাঁর কথা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজের কাজের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কাশ্মীরের মানুষের দিল এবং দিল্লির দূরত্ব মুছে ফেলতে তিনি বদ্ধপরিকর। আপনি আশ্বাস দিয়েছিলেন— চার মাসের মধ্যে জম্মু–কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হবে, আপনি কথা রেখেছেন। লোকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আমার মন বলছে, আপনি খুব শিগ্‌গির আপনার তৃতীয় প্রতিশ্রুতিও রাখবেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু–কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা নিশ্চয়ই ফেরাবেন আপনি।’’ মোদির সামনে মুখ্যমন্ত্রী ওমরের (Omar Abdullah) এই মন্তব্য শুনে হাততালিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে জনতা। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর জম্মু-কাশ্মীর সফর নিয়ে প্রশংসা করেন ওমর। এনিয়ে এক্স মাধ্যমে পোস্টও করেন।

LinkedIn
Share