মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (Online Arms Licences) প্রদান ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে অসম সরকার। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেই চালু হতে চলেছে এই অনলাইন পোর্টাল। এই পোর্টালের মাধ্যমে যারা নিজেদের সুরক্ষার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র প্রয়োজন মনে করছেন, তারা আর জেলা শাসকের (ডিসি) দফতরে না গিয়েই অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় যে ভূমিপুত্ররা থাকেন, তাঁদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ বলে খবর। অসমের যে সমস্ত প্রত্যন্ত এলাকায় বা উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় রাজ্যের বাসিন্দারা ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়ছেন, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ক্যাবিনেট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন।
কেন এই সিদ্ধান্ত
ডিব্রুগড়ের এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আগামী দিনে অসমের পরিস্থিতি অত্যন্ত বিস্ফোরক হতে চলেছে। সেই সময় স্থানীয় মানুষ কীভাবে বাঁচবেন বা নিজেদের রক্ষা করবেন? একমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রই তখন তাদের রক্ষা করবে।” বিরোধী কংগ্রেসের (Online Arms Licences) সমালোচনার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার বক্তব্য স্পষ্ট। ৪০,০০০ একরেরও বেশি জমি বাংলাদেশি মুসলিম দখলদারদের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করার পর, অসমবাসী নির্ভয়ে বাঁচতে শিখেছে। ভবিষ্যতেও এই সাহস ধরে রাখতে হবে। শুধু আন্দোলন করেই অধিকার আদায় হয় না, বাস্তববাদী হতে হবে। অসমবাসীকে বাঁচতে হলে বাস্তববাদী হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সরকার অসমবাসীর নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য একাধিক বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ করেছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আরও পদক্ষেপ করবে। আমাদের সামনে কিছু লক্ষ্য রয়েছে এবং আমরা তা সংবিধানের সীমার মধ্যে থেকে দ্রুত বাস্তবায়ন করব।”
কীভাবে লাইসেন্স দেওয়া হবে
বর্তমানে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের (Online Arms Licences) আবেদন করা গেলেও, ‘সেবা সেতু’ পোর্টালে এই পরিষেবা যুক্ত হওয়ায় আবেদন আরও সহজ হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আবেদন করার পর ডিসি যাচাই করবেন, আবেদনকারী লাইসেন্সের যোগ্য কি না, তারপরই লাইসেন্স প্রদান করা হবে। এর আগে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, ধুবড়ি, বরপেটা এবং হাইলাকান্দি জেলার মতো এলাকায়, যেখানে স্থানীয়রা সংখ্যালঘু, সেখানে তারা ভয় এবং হুমকির মধ্যে বাস করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর, বাংলাদেশি মুসলিমদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের হুমকি দেওয়ার একাধিক অভিযোগও উঠেছে। এমনকি এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, আগামী ২০ বছরের মধ্যে অসমবাসীর জমি ও সম্পত্তি দখল করার হুমকি দিচ্ছেন এক বাংলাদেশি।