Tag: Operation Sindoor Satellite images

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর-এ ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে করাচি বন্দর ফাঁকা করে দিয়েছিল পাকিস্তান! বলছে উপগ্রহ চিত্র

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর-এ ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে করাচি বন্দর ফাঁকা করে দিয়েছিল পাকিস্তান! বলছে উপগ্রহ চিত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশি’! মুখে যতই তর্জন-গর্জন করুক না কেন, অপারেশন সিঁদুর-এ (Operation Sindoor) ভারতের প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের পিলে যে চমকে উঠেছিল, তার আরও একটা অকাট্য প্রমাণ মিলল। সম্প্রতি, প্রকাশিত হওয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে যে, অপারেশন সিঁদুরের সময় করাচি বন্দর থেকে রণতরীগুলিকে সরিয়ে ইরান সীমান্তের কাছে গ্বদর বন্দরের কাছে রেখে দেয় পাকিস্তান। অর্থাৎ, কার্যত পালিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচায় পাক নৌসেনা (Pakistan Navy)। ফের প্রমাণিত হল পাকিস্তানের ওই তর্জন-গর্জন শুধুই ছিল ‘মুখেন মারিতং জগৎ’।

    লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল পাক নৌসেনা

    অপারেশন সিন্দুরের (Operation Sindoor) সময়ে পাকিস্তান কীভাবে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল, তা প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে। সেই সময়কার স্যাটেলাইট ছবির কিছু ভিজ্যুয়াল প্রকাশ করেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সবগুলি ৬-৭ মে তারিখের বলে দাবি। ঠিক যে সময় পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, সংঘাত যখন শীর্ষে ছিল তখনই পাক সেনার পগারপার হওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে। ওই উপগ্রহ চিত্রগুলিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, করাচি বন্দর কার্যত ফাঁকা। অন্যদিকে, গ্বদর বন্দরে সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে পাক নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলি। তাও আবার কিনা বাণিজ্যিক টার্মিনালে নোঙর করা হয় রণতরীগুলিকে!

    পগারপার পাক নৌবাহিনির ‘বীরপুঙ্গব’রা

    ৭ মে’র রাতে যখন ভারত (Operation Sindoor) একের পর এক পাক জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছিল, তখন আরব সাগরে পাকিস্তানের করাচি বন্দরের ওপর ব্রহ্মোস দিয়ে নিশানা করে রেখেছিল ভারতীয় নৌবহর। অপেক্ষা ছিল শুধু নির্দেশের। যদিও শেষ পর্যন্ত সেখানে ভারত কোনও হামলা করেনি। কিন্তু হামলা হতে পারে আশঙ্কায়, ভারতের মিসাইলের ভয়ে আগেভাগেই জাহাজ নিয়ে পগারপার পাক নৌবাহিনির ‘বীরপুঙ্গব’রা। এক কথায় ‘চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা’-র মতো নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে তৎপর হয় পাক নৌসেনা। প্রকাশিত হওয়া ছবিগুলি অনুযায়ী, করাচি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ইরানের কাছে গ্বদর বন্দরে গিয়ে লুকোয় পাকিস্তান নৌবাহিনী। এর মধ্যে একটি ছিল জুলফিকার-ক্লাসের ফ্রিগেট। যা চিনের তৈরি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধজাহাজ। কারণ বেজিং পাকিস্তানকে এই উন্নত জাহাজগুলির মধ্যে মাত্র চারটি দিয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের মাত্র ছ’মাস আগে, ইসলামাবাদ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে ফ্রিগেটটিকে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছিল।

    ১৯৭১-এর যুদ্ধের ছায়া…

    ভারত-পাক যুদ্ধে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে শেষবার ১৯৭১-এর যুদ্ধের সময় হামলা চালিয়েছিল ভারত। সেই সময় কার্যত গুঁড়িয়ে যায় করাচি বন্দর। সে কথা মনে রেখেই, আগেই পালিয়ে যায় পাকিস্তানের নৌবহর। পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভারতের দক্ষিণ নৌ কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এসসি সুরেশ বাঙ্গারা, যিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে ভারতের হামলার সময়ও অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর মতে, ভারত আক্রমণ চালাতে পারে এ বিষয়ে পাকিস্তানের তিনটি বাহিনীরই পূর্ণ সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের প্রথম সারির যুদ্ধজাহাজগুলিকে তখনও বন্দরে দেখতে পাওয়া তাদের নিম্নমানের অপারেশনাল প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়।

    ভারতের ভয়ে কাঁটা…

    বিগত কয়েক মাস ধরে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সম্পর্কে পাকিস্তান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গল্প বানিয়ে শুনিয়েছে। অস্ত্রের লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পারলেও মুখের লড়াইয়ে কোনও খামতি ছিল না পাকিস্তানের। ভারতের সঙ্গে সংঘাত চলাকালীন একাধিকবার পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে পাকিস্তানের নেতা-মন্ত্রীদের মুখে। ভারতের সেনাঘাঁটি ধ্বংসের মিথ্যে দাবিও করা হয়েছিল। এমনকি সংঘর্ষবিরতির পর মিথ্যে যুদ্ধ জয়ের বিজয় উৎসবও করেছে। কিন্তু ভারতের হামলাতেই যে পাল্টা পাকিস্তানের সেনাঘাঁটি ধ্বংস হয়েছিল তা স্পষ্ট। এবার উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে ফের একবার প্রমাণ হল অপারেশন সিঁদুর-এর সময় কতটা ভয়ে কাঁটা হয়ে ছিল পাক নৌসেনা (Pakistan Navy)।

  • Indian Army: ভারতের ১৫ শহরে হামলার চেষ্টা রুখল সেনা, পাল্টা ধ্বংস করা হল পাকিস্তানের রেডার

    Indian Army: ভারতের ১৫ শহরে হামলার চেষ্টা রুখল সেনা, পাল্টা ধ্বংস করা হল পাকিস্তানের রেডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীররাতে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারতীয় সেনা। এর পরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স রেডারকে নিশানা করল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের ১৫টি শহরকে নিশানা করছিল পাকিস্তান। বুধবার রাতেই পাক হামলার এমন প্রচেষ্টা রুখে দেয় ভারতের সেনা। এর পরেই পাকিস্তানের রেডার ধ্বংস করতে শুরু করে ভারত। কাজে লাগানো হয় ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার UAS গ্রিড অ্যান্ড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে।

    কোন কোন শহরকে নিশানা করেছিল পাকিস্তান?

    কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কপূরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফলোরি, উত্তরলই, ভুজে হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। এই হামলার ক্ষেত্রে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তারা। কিন্তু এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে তাদের হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ভারত। ভারতের (Indian Army) বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাকিস্তানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।

    লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়

    মঙ্গলবার গভীররাতে পাকিস্তান (Pakistan) এবং অধিকৃত কাশ্মীরে সেনা অভিযান চালায় ভারত (Indian Army)। অপারেশন সিঁদুরের আওতায় জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা। এর পর বুধবার রাতেই ভারতের ওপর হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। উত্তর এবং পশ্চিম ভারতকে নিশানা করে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের এমন প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয় দেশের সেনা। এর পরই বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সেনা (Indian Army) পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় রেডার সিস্টেমকে নিশানা করে। আর তাতে লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। লাহোর ইসলামাবাদ-সহ (Pakistan) একাধিক জায়গা থেকে এমন ঘটনা সামনে আসতে থাকে। আতঙ্কে ঘর-বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় পাক নাগরিকরা।এরপরেই পাকিস্তানের তরফ থেকে জানানো হয়, ভারতের ১২টি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে তারা।

  • Operation Sindoor: বাজপেয়ী জমানার মিশন কাজে লাগল মোদির আমলে! পাকিস্তানের জঙ্গি শিবির কীভাবে ট্র্যাক করল ভারত?

    Operation Sindoor: বাজপেয়ী জমানার মিশন কাজে লাগল মোদির আমলে! পাকিস্তানের জঙ্গি শিবির কীভাবে ট্র্যাক করল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। সফল লক্ষ্যে আঘাত হেনে তছনছ করে দিয়েছে ৯টি জঙ্গি শিবির। এতদিন পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওই জঙ্গি শিবিরগুলি থেকে ভারতে হামলা চালাত সন্ত্রাসবাদীরা। দশকের পর দশক ধরে এই হামলা চালিয়ে এসেছে তারা। অবশষে মিলেছে জবাব। কিন্তু কীভাবে সঠিক লক্ষ্যে আঘাত হানল ভারতীয় সেনা? এত নিখুঁত অপারেশন কীভাবে ?

    NTRO- র চমৎকার

    পাকিস্তান ও পিওকে-তে নিখুঁত নিশানায় (Operation Sindoor) আঘাত হানার পিছনে কাজ করেছে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা এনটিআরও (NTRO)। তারাই খুঁজে নিয়েছে কোথায় কোথায় জঙ্গি শিবির আছে। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরের ওপর নির্ভর করেই তারা স্থান বাছাই করেছে। আর তারপর সেনাবাহিনীকে সেই তথ্য দিয়ে গেছে। একটা নিখুঁত অর্কেস্ট্রা কাজ করেছে এই আক্রমণের পিছনে। পাকিস্তানের মাটি থেকে তুলে আনা গোয়েন্দা বাহিনীর খবর, এনটিআরও-র বিশ্লেষণ, আর অঙ্ক কষে সেনাবাহিনীর মিসাইল হানা। এক তারে বেঁধে এই কাজ করেছে ভারত।

    NTRO কী?

    NTRO আসলে ভারতের টেকনিক্যাল এজেন্সি। ২০০৪ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী তখন এটি তৈরি হয়। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে এটি কাজ করে। এর প্রাথমিক কাজ হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত খবর সংগ্রহ করা। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এর মধ্যে আছে সন্ত্রাসবাদ, সাইবার হানা, সীমান্ত সন্ত্রাস ইত্যাদি।

    ভারতের চোখ ও কান NTRO

    সোজা কথায় ভারতের চোখ ও কান বলা হয় এই NTRO-কে। জঙ্গিরা কোথায় অবস্থান করছে, তা খতিয়ে দেখতে এর জুড়ি নেই। এটা একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এই NTRO-র সাহায্যেই সঠিক লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় সেনা।

    NTRO-র প্রয়োজন কবে হয়?

    ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান যখন কারগিলে হামলা চালায়, তখনই ভারত বুঝতে পারে এমন একটি সংস্থা তৈরির দরকার আছে। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর নির্দেশে তৎকালীন উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বে গ্রুপ অফ মিনিস্টার্স এই বিশেষ উইং তৈরির অনুমোদন দেয়। তবে এর রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। তিনি তখন প্রিন্সিপ্যাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজার। আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির আদলে ২০০৪ সালের অক্টোবরে নিরাপত্তা বিষয়ক কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট কমিটি এটিকে অনুমোদন দেয়।

    NTRO ব্যাকগ্রাউন্ড

    এর আসল নাম ছিল ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ফেসিলিটিজ অরগ্যানাইজেশন বা NTFO. আর NTRO প্রতিষ্ঠা করা হয় এজেন্সিগুলিকে টেকনিক্যাল ইনটেলিজ্যান্স দেওয়ার জন্য। তখন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন ব্রজেশ মিশ্র। বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ও উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী এদের সঙ্গে আলোচনা করেই ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীকে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করার সংকল্প নেন। এই NTRO স্যাটেলাইট ও ইন্টারনেট মনিটারিংয়ে সক্ষম। এই সরঞ্জাম জোগাড় করতে ৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়। এই NTRO অনেক স্যাটেলাইট অপারেট করে। যেমন টেকনোলজি এক্সপেরিমেন্ট স্যাটেলাইট, কার্টোস্যাট সিরিজ, ইজারয়েল থেকে আনা রাডার ইমেজিং স্যাটেলাইট।

    NTRO –র ভূমিকা

    ● মিলিটারি অপারেশনের জন্য এই সংস্থা স্যাটেলাইট ইনটেলিজেন্স সরবরাহ করে।
    ● কীভাবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস মোকাবিলা করা যায়, তাতে সাহায্য করে।
    ● রিমোট সেন্সিং ইনটেলিজেন্স সংগ্রহ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
    ● নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখে।
    ● কৌশলগত পরিকল্পনার জন্য নির্দিষ্ট ভৌগলিক স্থানের তথ্য সংগ্রহ করে।
    ● যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য ক্রিপটোলজি প্রযুক্তি দেখভাল করে।
    ● ক্ষেপণাস্ত্র মনিটরের জন্য বায়ুসেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।
    ● আইএনএস ধ্রুব-র সঙ্গে সমুদ্রে যোগাযোগ বজায় রাখে।

    সাফল্য এল কীভাবে

    এই NTRO দিনরাত বিশ্লেষণ করে যাচ্ছে নানা তথ্য। তবে সাফল্য এসেছে বিভিন্ন সংস্থা এক সুরে কাজ করায়। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইং বা ‘র’ যে খবর পাচ্ছিল, তা নির্দিষ্ট সময় পৌঁছনো হয়েছে (Operation Sindoor) এই সংস্থার কাছে। তা অঙ্ক কষে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তা তুলে দেওয়া হয়েছে সেনা বাহিনীর হাতে। আর পরিকল্পনা করেই নিখুঁত ছকে করা হয়েছে প্রত্যাঘাত (Operation Sindoor)  সকলের মিলিত প্রয়াসেই এসেছে সাফল্য।

  • Operation Sindoor: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ধ্বংস জৈশ ও লস্করের জঙ্গি ঘাঁটি, উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়ল ছবি

    Operation Sindoor: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ধ্বংস জৈশ ও লস্করের জঙ্গি ঘাঁটি, উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়ল ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার বদলা হিসেবে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। এবার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর প্রকাশ্যে এল পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের আরও অনেক ছবি। এর পাশাপাশি মিলল কৃত্রিম উপগ্রহচিত্রও। জানা গিয়েছে, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ওই ছবিগুলি প্রকাশ্যে এনেছে ম্যাক্সার টেকনোলজিস নামের একটি সংস্থা। এই সংস্থার আনা চিত্রে ধরা পড়েছে পাকিস্তানের বহাওয়ালপুর এবং মুরিদকেতে অপারেশন সিঁদুরের পরবর্তী চিত্র।

    উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর ধ্বংসের ছবি

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের (Pakistan) বহাওয়ালপুরের উপকণ্ঠে সেদেশের জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় ১৫ একর জমি জুড়ে রয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম)-এর সদর দফতর। এখানেই ছিল মারকাজ শুভান আল্লা কমপ্লেক্স। এর ঠিক পাশেই অবস্থান শুভান আল্লা মসজিদও। জানা যাচ্ছে, ভারতের প্রত্যাঘাতের পর সেই ইমারতগুলি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে (Operation Sindoor) পরিণত হয়েছে। হামলার আগে ও পরের যে উপগ্রহচিত্র সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভেঙে পড়েছে মসজিদের তিনটি গম্বুজই। একইসঙ্গে ওই উপগ্রহ চিত্রগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ইমারতের স্থানে স্থানে বিস্ফোরণের চিহ্ন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দেওয়াল এবং মেঝেতে দেখা যাচ্ছে একাধিক গর্ত। কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে ছাদের একাংশও ভেঙে পড়েছে।

    বহাওয়ালপুর, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট-এই তিন জায়গাকে টার্গেট করা হয়

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে প্রিসিশন স্ট্রাইক (Operation Sindoor) করে ভারতীয় সেনা। এই ন’টি জায়গার মধ্যে চারটি জায়গা পাকিস্তানে এবং পাঁচটি জায়গা অবস্থিত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। বহাওয়ালপুর, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট, মূলত এই তিনটি এলাকার জঙ্গিঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। যে জায়গাগুলিতে বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার ছক কষা হয়েছিল, সেই ঘাঁটিগুলিকে উড়িয়ে দেয় ভারতীয়।

    মারকাজ শুভান আল্লা গড়ে ওঠে ২০১৫ সালে

    প্রসঙ্গত, বহাওয়ালপুর পাকিস্তানের ১০০ কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত, ভারতীয় সীমান্ত থেকে। ১৯৭১ সালের পর প্রথমবার ভারতীয় বিমান বাহিনী এত দূরে আঘাত হানল এবং সেখানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জৈশ-ই-মহম্মদের সদর ঘাঁটি মারকাজ শুভান আল্লা। এই সদর দফতরে জঙ্গি সংগঠনটি ২০১৫ সাল থেকে সেখানে কাজ চালাচ্ছিল বলে জানতে পেরেছিলেন ভারতের গোয়েন্দারা। এখানেই এতদিন ধরে চলত বিভিন্ন ধরনের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। ভারত বিরোধী কার্যকলাপের প্রধান ঘাঁটি হয়ে উঠেছিল এটি। তবে মঙ্গলবার গভীররাতে তা ধূলিসাৎ করে দিল ভারতীয় বিমান বাহিনী (Operation Sindoor)।

    পুলওয়ামা হামলার ষড়যন্ত্র এখানে বসেই করা হয়

    সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য যা সামনে এসেছে তা হল, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামাতে যে ভয়ঙ্কর হামলা হয় ভারতীয় সেনার কনভয়ের উপর, সেই ষড়যন্ত্রটিও রচনা করা হয়েছিল বহাওয়ালপুরের এই জৈশ-ই-মহম্মদের এই ঘাঁটিতে বসেই। এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এই মারকাজ হচ্ছে জয়েশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজাহারের বাড়ি।

    মারকাজ শুভান আল্লায় চলত জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ

    ভারতের বিমান হানায় তাদের পরিবারের ১৪ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, জৈশ নেতা মুফতি আব্দুর রহমান আজগর সমেত মাসুদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও থাকত এখানেই। মাসুদ আজহার নিজে এখানে বসেই চালাত ভারত বিরোধী কার্যকলাপ। ভারত বিরোধী কার্যকলাপ (Pakistan) এবং ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের অন্যতম ঘাঁটি হয়ে উঠছিল মারকাজ শুভান আল্লা। এখানেই চলত জঙ্গিদেরকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। তাদের শারীরিক অনুশীলন করানো হত এবং মৌলবাদী শিক্ষাও দেওয়া হত এখানে বসেই।

    মুরিদকেতে অবস্থিত লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি ধ্বংসের উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ্যে

    জৈশের ঘাঁটির পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় মুরিদকেতে অবস্থিত লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটিতেও। মুরিদকেতে যে স্যাটেলাইট চিত্র সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে কীভাবে ধ্বংস হয়ে পড়েছে লস্করের ঘাঁটি। এই ঘাঁটি দুটি উপগ্রহ চিত্র সামনে এসেছে। একটিতে দেখা যাচ্ছে অপারেশন সিঁদুরের আগের ছবি। অপরটিতে দেখা যাচ্ছে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরের ছবি। যা শুধুই ধ্বংসস্তূপ। জানা যায়, এখানেই লস্কর-ই-তৈবার কাজ চলছিল ২০০০ সাল থেকে। হাফিজ সঈদের নেতৃত্বেই এখান থেকে ভারত বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করা হয়। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম সন্ত্রাসী আজমল আমির কাসভ এবং ডেভিড হেডলির প্রশিক্ষণও এখানেই দেওয়া হয়। জানা যায়, ওসামা বিন লাদেন এখানে এক কোটি টাকা দান করেছিল। মসজিদ এবং অতিথি নিবাস নির্মাণের জন্য। ভারতীয় সীমান্ত থেকে ১৮ থেকে ২৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে অবস্থিত ছিল এই লস্কর ঘাঁটি, যা মঙ্গলবার গভীর রাতে ধ্বংস করল ভারতীয় সেনা।

LinkedIn
Share