Tag: Organisation

  • Mohan Bhagwat: “আরএসএস নীতিকে সমর্থন করে, কোনও ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে নয়”, সাফ জানালেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “আরএসএস নীতিকে সমর্থন করে, কোনও ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে নয়”, সাফ জানালেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আরএসএস (RSS) নীতিকে সমর্থন করে, কোনও ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে নয়”। এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “কংগ্রেস যদি অযোধ্যায় রামমন্দিরের দাবি সমর্থন করত, তাহলে আরএসএস কর্মীরা কংগ্রেসকেই সমর্থন করতেন।”

    কী বললেন সরসংঘচালক (Mohan Bhagwat)

    সরসংঘচালক বলেন, “আমরা কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা নির্বাচনী রাজনীতিতে অংশ নিই না। সংঘ সমাজকে একত্রিত করার কাজ করে, আর রাজনীতি সমাজকে বিভক্ত করে। আমরা ব্যক্তি বা দলের নয়, নীতির সমর্থক। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, আমরা অযোধ্যায় রামমন্দির চেয়েছিলাম। তাই আমাদের স্বয়ংসেবকেরা তাঁদের ভোট দিয়েছেন যাঁরা মন্দির নির্মাণের পক্ষে ছিলেন।” তিনি জানান, বিজেপি সেই দাবি মেনে নিয়েছিল। এর পরেই সংঘ প্রধান বলেন, “কংগ্রেস যদি সমর্থন করত, তাহলে আমাদের স্বয়ংসেবকেরা কংগ্রেসকেই ভোট দিতেন।” তিনি বলেন, “আমাদের কোনও একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ নেই। সংঘের কোনও দল নেই, কোনও দলও আমাদের নয়। আবার সব দলই আমাদের, কারণ তারা ভারতীয় দল। আমরা ‘রাষ্ট্রনীতি’কে সমর্থন করি, ‘রাজনীতি’কে নয়। আমাদের নিজস্ব মত আছে এবং আমরা চাই দেশ একটি নির্দিষ্ট পথে এগিয়ে যাক। যে দল দেশকে সেই পথে নিয়ে যাবে, আমরা তাদেরই সমর্থন করব।”

    আরএসএসে মুসলমানরা

    মুসলমানরা আরএসএসে যোগ দিতে পারেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “সংঘে কোনও ব্রাহ্মণকে আলাদা করে অনুমতি দেওয়া হয় না, কোনও জাতির মানুষকে আলাদা করে অনুমতি দেওয়া হয় না, কোনও মুসলিমকে আলাদা অনুমতি দেওয়া হয় না, কোনও খ্রিস্টানকেও নয়। বিভিন্ন ধর্মমতের মানুষ, সে তিনি মুসলিমই হোন বা খ্রিস্টান, সংঘে আসতে পারেন, যদি তাঁরা তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় সরিয়ে রেখে আসেন। শাখায় আসার সময় সবাইকে ভারত মায়ের সন্তান হিসেবেই আসতে হয়। মুসলিম ও খ্রিস্টানরা শাখায় আসেন, কিন্তু আমরা তাঁদের গণনা করি না (RSS)। আমরা কখনওই জিজ্ঞেস করি না তাঁরা কোন ধর্মের (Mohan Bhagwat)।”

  • Criminal Organisation: ট্রাম্প জমানায় অতীত ইউএসএআইডি, স্বস্তির শ্বাস ফেলছে ভারত

    Criminal Organisation: ট্রাম্প জমানায় অতীত ইউএসএআইডি, স্বস্তির শ্বাস ফেলছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউএসএআইডি একটি অপরাধমূলক সংস্থা (Criminal Organisation)। এই সংস্থারই শেষ সময় ঘনিয়ে এসেছে। এই বার্তা দিয়েছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক স্বয়ং। তিনি এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনে ডিওজিই-র নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প।

    ট্রাম্পের পদক্ষেপ (Criminal Organisation)

    প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বিতর্কিত ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন কর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে কন্ট্রাক্টরদের। ট্রাম্প প্রশাসন যখন বৈদেশিক সহায়তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে, তখন স্বাধীন এই সংস্থার ওয়েবসাইটও অফলাইনে চলে যায়। রিপাবলিকান পার্টির নেতা ট্রাম্প ইউএসএআইডির সবচেয়ে বড় সমালোচক। তিনি বলেন, “এটি কিছু উগ্র পাগলদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। আমরা তাদের বের করে দিচ্ছি (USAID)।”

    হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন

    ২০১৭ সালে হেরিটেজ ফাউন্ডেশন দ্বারা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বারাক ওবামা (প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট) প্রশাসনের সময় ইউএসএআইডি বামপন্থী বিলিয়নিয়ার জর্জ সরোসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিল। তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল একাধিক দেশে তাদের চরমপন্থী অ্যাজেন্ডা প্রচার করা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, “গত আট বছরে সরোস, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন এবং তাদের বহু ছোট সহযোগী সংগঠন ইউএসএআইডির মাধ্যমে মার্কিন করদাতাদের অর্থ পেয়েছে এবং ইউএসএআইডি ওপেন সোসাইটিস ফাউন্ডেশনকে তার সহায়তা কার্যক্রমের প্রধান রূপায়ণকারী করেছে।”

    ভারত-বিরোধী প্রচারে অর্থায়ন

    অবশ্য এটি কোনও গোপন বিষয় নয়। সরোস বহু ভারতবিরোধী প্রচারে অর্থায়ন করেছেন। তিনি দেশে একটি “কালার রিভোলিউশন” (বর্ণ বিপ্লব) সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। সরোস আদানি গ্রুপের উত্থান নিয়েও অসন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, মোদি এবং আদানি ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাদের ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। তিনি আরও বলেছিলেন, আদানি স্টক মার্কেটে তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন, যদিও ব্যর্থ হন। তিনি আদানিকে শেয়ার মূল্য কারসাজির অভিযোগেও অভিযুক্ত করেছিলেন, যার জেরে আদানি গ্রুপের শেয়ারের দর ধসে পড়ে (Criminal Organisation)।

    মোদিকে কটাক্ষ সরোসের

    সরোস ইউএসএআইডির সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পুঁজিপতিদের ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “মোদি এই বিষয়ে নীরব। কিন্তু তাঁকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।” তাঁর আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র তৈরি করছেন। তাঁর অ্যাজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে ভারতে তাঁর অনেক অনুগামী রয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, তাঁর অর্থায়নে থাকা শীর্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন অমৃতা সিং। অমৃতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত মনমোহন সিংয়ের কন্যা (USAID)।

    প্রতিরক্ষা চুক্তি ব্যাহত

    ২০১৮ সালে সরোস একটি এনজিওকে অর্থায়ন করেছিলেন। তার জেরে ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা চুক্তি একসময়ে বিঘ্নিত করার চেষ্টা হয়েছিল। ভারতে রাফাল যুদ্ধবিমানগুলির সরবরাহ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। এই রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন সোসিও-লিগ্যাল ইনফর্মেশন সেন্টারকে অর্থায়ন করেছে। এই সংস্থা দেশদ্রোহিতা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। ইউএসএআইডির ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫১ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এই বছরই প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান “ভারত জরুরি খাদ্য সহায়তা আইন” স্বাক্ষর করেছিলেন (Criminal Organisation)। ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইউএসএআইডির কর্মসূচি দশকের পর দশক ধরে ধাপে ধাপে বিকশিত হয়েছে—জরুরি খাদ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে পরিকাঠামো উন্নয়ন, ভারতের প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, অর্থনীতির উন্মুক্তকরণে সহায়তা এবং আরও অনেক কিছু।”

    রাসায়নিক সার কারখানা

    ইউএসএআইডি ভারতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও টেকনোলজি কলেজ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছিল এক সময়ে। তবে এই সহায়তা সবসময়ই এসেছে কিছু শর্তসাপেক্ষে। ১৯৬৫ সালে, ইউএসএআইডি চেন্নাই শহরে একটি রাসায়নিক সার কারখানা নির্মাণের জন্য ভারতকে ৬৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিল। শর্ত ছিল, ভারত সরকারের পরিবর্তে একটি মার্কিন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সার বিতরণের দায়িত্ব নেবে। ওই অঞ্চলে নতুন কোনও সার কারখানা নির্মাণও করা যাবে না (USAID)।

    বিপাকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ

    ২০০৪ সালে ভারত সরকার শর্তযুক্ত বিদেশি সাহায্য গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই এই ধরনের সহায়তার পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকে।  ২০০১ সালে ভারতে ইউএসএআইডির (Criminal Organisation) সাহায্যের পরিমাণ ছিল ২০৮ মিলিয়ন ডলার । ২০২৩ সালে তার পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১৫৩ মিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ১৪১ মিলিয়ন ডলারে।

    তবে, ইউএসএআইডির সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে ভারতের দুই পড়শি – পাকিস্তান ও বাংলাদেশ (বিশেষ করে বর্তমান প্রশাসন)। তবে ভারত এনিয়ে আদৌ চিন্তিত নয়। অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের সহায়তা বন্ধ হলেও ভারতের কোনও বড় সমস্যা হবে না। যদিও এটি কিছু প্রকল্পে অর্থায়ন করে, তবে ভারতের সামগ্রিক সামাজিক (USAID) কল্যাণ ব্যয়ের তুলনায় তা অতি নগণ্য (Criminal Organisation)।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ইউএসএআইডি। এমনটাই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। তাঁর অপসারণের কয়েক মাস আগে, তিনি মার্কিন ষড়যন্ত্রের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে সরব হয়েছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে মার্কিন প্রশাসন এবং এর সংস্থাগুলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল।

LinkedIn
Share