Tag: Pahalgam Terror Attack

  • India vs Pakistan: “নির্লজ্জভাবে সন্ত্রাস ছড়ায়, লাদেনকে আশ্রয় দেয়”, কাশ্মীর-মন্তব্যে শরিফকে কড়া জবাব ভারতের

    India vs Pakistan: “নির্লজ্জভাবে সন্ত্রাস ছড়ায়, লাদেনকে আশ্রয় দেয়”, কাশ্মীর-মন্তব্যে শরিফকে কড়া জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব রাষ্ট্রসংঘে চির পরিচিত। এবার কূটনীতিবিদ তথা রাষ্ট্রসংঘে ভারতের (India vs Pakistan) প্রতিনিধি পেটাল গেহলট শরিফের কাশ্মীর-মন্তব্যকে ‘অদ্ভুত নাটক’ বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ এবং পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর পাকিস্তানের অবস্থান নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে পেটাল গেহলট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বক্তব্যকে তীব্র ভাষায় খণ্ডন করেন। এদিন শরিফের বক্তৃতায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং ভারতের সাতটি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দাবি নিয়ে সরব হন গেহলট। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই সভায় যে নাটকীয়তা প্রদর্শন করেছেন, তা একেবারে অদ্ভুত। আবারও তিনি সেই সন্ত্রাসবাদের মহিমা কীর্তন করলেন, যা তাদের বিদেশনীতির মূল ভিত্তি।”

    কাশ্মীরে সন্ত্রাসের বীজ বপন পাকিস্তানের

    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ রাষ্ট্রসংঘের ভাষণে কাশ্মীর নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তার কড়া জবাব দিল ভারত। এ বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পেটাল গেহলট মনে করিয়ে দিয়েছেন ওসামা বিন লাদেনের কথাও। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় এর আগে ভাষণ দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেখানে কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, কাশ্মীরের মানুষের উপর ভারত অত্যাচার চালায়। পাকিস্তানের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার ‘জবাব দেওয়ার অধিকার’ প্রয়োগ করে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, ‘‘সকালে এই সভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কিছু অদ্ভুত নাটক করেছেন। আরও এক বার তিনি সন্ত্রাসবাদকে মহান করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, যা দেশটির বিদেশনীতির অন্যতম অঙ্গ। তবে কোনও নাটক বা কোনও মিথ্যাভাষণ সত্যকে ঢেকে রাখতে পারবে না।’’

    লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ টেনে সে সময়ে পাকিস্তানের অবস্থান মনে করিয়ে দিয়েছেন নয়াদিল্লির প্রতিনিধি। বলেছেন, ‘‘এটাই সেই পাকিস্তান, যারা পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর গত ২৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপুঞ্জে ‘রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীকে আড়াল করতে চেয়েছিল। এই দেশের সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার ইতিহাস অনেক পুরনো। ওদের কোনও লজ্জা নেই। বছরের পর বছর ধরে এই দেশেই আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল ওসামা বিন লাদেনকে, সে কথা ভুলে গেলে চলবে না।’’

    সন্ত্রাসীদের গৌরবময় ছবি প্রকাশ করেছে পাকিস্তান

    গেহলট জানান, ৭ মে পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী পরিকাঠামো ধ্বংস করে। তিনি বলেন, “বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংসের পর বহু ছবি আমরা দেখেছি — সেইসব জঙ্গিদের যাদের পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী প্রকাশ্যে শহিদ ঘোষণা করে। ৯ মে পর্যন্ত পাকিস্তান আরও হামলার হুমকি দিচ্ছিল। কিন্তু ১০ মে তাদের সেনাবাহিনীই ভারতকে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়।”
    তিনি আরও বলেন, “৯ মে পর্যন্ত পাকিস্তান আরও হামলার হুমকি দিচ্ছিল। কিন্তু ১০ মে তাদের সেনাবাহিনীই ভারতকে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়।” গেহলট পাকিস্তান সরকারের দ্বিচারিতার কথাও তুলে ধরেন — “যে দেশ নিজেই স্বীকার করেছে যে তারা দশকের পর দশক ধরে জঙ্গি ক্যাম্প চালাচ্ছে, তাদের মুখে শান্তির কথা শুনে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।”

  • Operation Sindoor: জইশ-এর পর এবার লস্কর জঙ্গির স্বীকারোক্তি, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস

    Operation Sindoor: জইশ-এর পর এবার লস্কর জঙ্গির স্বীকারোক্তি, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসুদ আজহারের বাহাওয়ালপুর ক্যাম্প নিয়ে পাকিস্তানের দাবি জইশ-ই-মহম্মদের (জইশ) এক কমান্ডারের বক্তব্যে প্রশ্নের মুখে পড়ার কয়েক দিনের মধ্যেই এবার লস্কর-ই-তৈইবার (এলইটি) এক জঙ্গি স্বীকার করেছেন যে, মুরিদকেতে সংগঠনের সদর দফতর ‘মারকাজ তৈইবা’ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে লস্করের কমান্ডার কাসিম বলেন, ‘‘আমি মুরিদকের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে একসময় মারকাজ তৈইবা ছিল। ভারতের হামলায় এটি ধ্বংস হয়েছে। এখন আল্লাহর রহমতে এটি আরও বড় করে নির্মাণ করা হচ্ছে।’’ ভিডিওতে কাসিমের পেছনে একটি নির্মীয়মান বাড়ি দেখা যায়।

    মুরিদকে লস্কর ভবন পুনঃনির্মাণ

    ওই ভিডিওয় লস্কর কমান্ডার আরও স্বীকার করেন যে, বহু মুজাহিদ এবং ‘তালাবা’ (ছাত্র) এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতেন এবং ‘ফয়জ’ অর্জন করতেন। যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করেছে যে, এই ভবনটি দীর্ঘদিন ধরেই লস্করের দ্বারা ব্যবহার করা হচ্ছিল না, কাসিমের এই ভিডিও সেই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে খণ্ডন করে। আরেকটি ভিডিওতে কাসিম পাকিস্তানের তরুণদের ‘দাওরা-এ-সুফফা’ নামে পরিচিত লস্করের প্রাথমিক জিহাদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আহ্বান জানান। এই কর্মসূচিতে ধর্মীয় প্ররোচনার পাশাপাশি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের ৭ই মে জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারতীয় বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor)  অধীনে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি একযোগে ধ্বংস করে। এই অভিযানে বাহাওয়ালপুরে জইশ, শিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিন, বার্নালা ও মুজাফফরাবাদে লস্করের বিভিন্ন ঘাঁটি ছিল।

    ভারতের দাবিই সত্যি

    একটি ভয়াবহ ভিডিওতে লস্করের ডেপুটি চিফ সাইফুল্লাহ কাসুরি সম্প্রতি দাবি করেন, পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী মারকাজ তইবার পুনর্গঠনের জন্য অর্থ সাহায্য দিয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মুরিদকে লস্করের সদর দফতর গোপনে পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ২০২৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি — কাশ্মীর সংহতি দিবসকে সামনে রেখে — নতুন করে নির্মিত মারকাজ তইবা উদ্বোধন করা হবে, যেখানে আবারও প্রশিক্ষণ, প্ররোচনা ও জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আগে জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরিও এক ভিডিও বার্তায় স্বীকার করেছিলেন, বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় হামলায় মাসুদ আজহারের পরিবার “টুকরো টুকরো” হয়ে গিয়েছে। সেই ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির নিহত জঙ্গিদের জানাজায় অংশ নিয়েছেন। এই ভিডিওগুলি প্রমাণ করে ভারতের দাবি সত্যি। কাঁটাতারের ওপার থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে বহু হামলার পরিকল্পনা করা হয়।

     

     

     

     

     

  • Operation Sindoor: ‘‘জঙ্গি-দমনই লক্ষ্য, সাধারণ মানুষ নয়’’! রাত ১টায় কেন অপারেশন সিঁদুর, জানালেন সিডিএস অনিল চৌহান

    Operation Sindoor: ‘‘জঙ্গি-দমনই লক্ষ্য, সাধারণ মানুষ নয়’’! রাত ১টায় কেন অপারেশন সিঁদুর, জানালেন সিডিএস অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি এড়ানোর জন্যই রাত ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালান হয়। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করলেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক (CDS Anil Chauhan) অনিল চৌহান। এদিন নয়াদিল্লির রাজভবনে এক আলাপচারিতায় অনিলের কথায় উঠে এসেছে ‘সিঁদুর’ অভিযানের সাফল্য এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর দক্ষতার প্রসঙ্গ।

    রাতেও আমরা ছবি তুলতে পারব

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। রাত ১টায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে অপারেশন চালানো হয়। অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে যে রাত ১টাতেই কেন এই অপারেশন চালানো হয়েছিল? তার উত্তর দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি জানিয়েছেন যে ভারত ইচ্ছাকৃতভাবেই ৭ মে রাত ১টায় অপারেশন সিঁদুর চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের হতাহতের ঘটনা রোখা। ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জানান, মধ্যরাতে অভিযান করার নেপথ্যে ছিল দু’টি কারণ। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমত, রাতেও আমরা ছবি তুলতে পারব, আমাদের সেই ক্ষমতার উপর আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আর দ্বিতীয়ত, সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি এড়ানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের কাছে।’’

    নিরীহ মানুষের উপর আঘাত হানতে চায়নি ভারত

    অনিল জানান, ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে উপযুক্ত সময় ছিল। তার পরেও মধ্যরাতে অভিযান চালানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। কেন সকালে অভিযান করা হয়নি? অনিলের কথায়, ‘‘ওটা নমাজের সময়। অনেক সাধারণ মানুষ জড়ো হন ওই সময়ে। তাই চিন্তাভাবনা করে ভোরের সময় বাতিল করা হয়।’’ অর্থাৎ, ভোরবেলা অভিযান চালালে সাধারণ মানুষের হতাহতের সম্ভাবনা থাকত বেশি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জঙ্গি পরিকাঠামোয় আঘাত হেনেছিল ভারতীয় সেনা। এর মধ্যে ছিল মুজফ্‌ফরাবাদ, কোটলি, বহওয়ালপুর, রাওয়ালকোট, চক্‌সওয়ারি, ভিম্বার, নীলম উপত্যকা, ঝিলম এবং চকওয়াল। ছোড়া হয় মোট ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র। রাত ১টা বেজে পাঁচ মিনিটে শুরু হওয়া এই অভিযানের সময়সীমা ছিল ২৫ মিনিট। লশকর-এ-ত্যায়বা ও জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলিই ছিল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর লক্ষ্য। ভারতের দাবি, জঙ্গিদমন করতেই তাদের এই অভিযান। তাই নিরীহ মানুষের উপর আঘাত হানতে চায়নি ভারত।

    যুদ্ধের পরিবর্তিত চরিত্র

    ভারতীয় বাহিনীর সামরিক প্রধান শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন। যেখানে তিনি সামরিক ও অসামরিক মিশনের জন্য সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন। তিনি জানান, যুদ্ধের পরিবর্তিত চরিত্র এখন প্রযুক্তির দ্বারা বেশি চালিত হয়। যুদ্ধক্ষেত্র আর শুধু স্থল, বায়ু এবং সমুদ্রের মতো ক্ষেত্রগুলিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি মহাকাশ, সাইবার, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম এবং এমনকি নলেজ ডোমেনেও প্রসারিত হয়েছে। সাম্প্রতিক অপারেশনগুলিতে এই পরিবর্তন স্পষ্ট ছিল বলে জানিয়েছেন জেনারেল অনিল চৌহান।

  • Operation Sindoor: ‘‘১০ মে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ থামেনি’’, অপারেশন সিঁদুরের অনেক না বলা কথা শোনালেন সেনাপ্রধান

    Operation Sindoor: ‘‘১০ মে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ থামেনি’’, অপারেশন সিঁদুরের অনেক না বলা কথা শোনালেন সেনাপ্রধান

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জবাবে ৭ মে শুরু হওয়া ভারতের সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) কেবলমাত্র তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়নি, বরং এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। শুক্রবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আপনারা হয়ত ভাবছেন ১০ মে যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে; না, তা নয়। এটি আরও অনেক দিন ধরে চলেছে, অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যার সবকিছু বলা সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, সীমান্তে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাস এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি এবং নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

    সীমান্তে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি

    শুক্রবার দিল্লিতে একটি বই উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে জেনারেল দ্বিবেদী জানান, সিঁদুর অভিযানের প্রভাব সীমান্তে কতটা পড়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ, সীমান্তে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদত দেওয়াও চলছে। তাঁর কথায়, ‘‘নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতির উপরে সিঁদুর অভিযানের প্রভাব কতটা পড়েছে, তা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা যাবে না। পাকিস্তানের মদতে সন্ত্রাস কি বন্ধ হয়েছে? আমি মনে করি না। কারণ, নিয়ন্ত্রণরেখায় এখনও অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। আমরা সকলে জানি, কত জন জঙ্গি নিহত হয়েছে, কত জন পালিয়ে গিয়েছে।’’

    অপারেশন সিঁদুর: দ্য আনটোল্ড স্টোরি

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা, তার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে সংঘাত শুরু হয়। অবশেষে ১০ মে পাকিস্তানের (Pakistan) অনুরোধেই দুই দেশের ডিজিএমও (DGMO) স্তরে বৈঠক হয়। তারপরই সংঘর্ষ বিরতি হয়। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) কী কী হয়েছিল, তা নিয়েই বই প্রকাশ করলেন সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সেখানেই তিনি জানালেন যে ১০ মে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত শেষ হয়নি। ‘অপারেশন সিঁদুর: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অব ইন্ডিয়া’জ ডিপ স্ট্রাইক ইনসাইড পাকিস্তান’ শীর্ষক বইটি প্রকাশিত হয় শুক্রবার। এই বইটি লিখেছেন প্রাক্তন সেনা কর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজিএস ধিলন। তিনি উল্লেখ করেন যে এই অভিযান শুধুমাত্র ভারতীয় সেনার সামরিক অভিযানই ছিল না, একইসঙ্গে সেনার সাহসিকতা, পেশাদারিত্বকেও তুলে ধরেছিল। জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “এই দিকগুলি সাধারণত না শোনা, না বলা থেকে যায়, কারণ উর্দিধারীরা এই কথাগুলি বলতে পারেন না। নিয়ন্ত্রণ রেখায় এই ধরনের সংঘাতে আমরা অভ্যস্ত কিন্তু আমরা বুঝি না যে এর অনুভূতি, ক্ষতি, লাভ ও কী কী প্রতিবন্ধকতা থাকে। অপারেশন সিঁদুরেও না বলা কাহিনি ছিল।”

    বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়

    সিঁদুর অভিযানের সময় ভারতের বাহিনীগুলির মধ্যে সমন্বয়েরও প্রশংসা করেছেন দ্বিবেদী। তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেক বাহিনীর আধিকারিকেরা নিজেদের নির্দেশ নিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে অবহিত ছিলেন। সেই মতো পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা। তিনি বায়ু, নৌ এবং স্থলসেনাকে এক কমান্ডারের অধীনে (থিয়েটারাইজেশন) নিয়ে আসার বিষয়েও সওয়াল করেছেন। তাঁর মতে, কাজ সম্পাদনের জন্য এক জন কমান্ডার থাকা প্রয়োজন। অভিযান চলাকালীন তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়কে তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন এবং ভারতীয় সেনার সমন্বিত অগ্রযাত্রাকে “একটি ছন্দময় তরঙ্গের মতো” বলে আখ্যা দেন, যেখানে “প্রত্যেকে একে অপরের সঙ্গে সমন্বিত ছিল এবং নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন ছিল।” তিনি ব্যাখ্যা করেন যে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে, যেখানে তিন বাহিনী ছাড়াও অসামরিক ও সাইবার সংস্থাগুলো যুক্ত থাকে, সেখানে একীভূত কমান্ড কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “এত সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হলে থিয়েটারাইজেশনই সমাধান। ঐক্যবদ্ধ কমান্ড অপরিহার্য; কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য একজন মাত্র কমান্ডার থাকা প্রয়োজন।”

    জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত

    কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। ড্রোনের উপরে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন জেনারেল দ্বিবেদী। জেনারেল দ্বিবেদী সাম্প্রতিক জিএসটি সংস্কারকে সেনার আধুনিকীকরণে ত্বরান্বিত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানান। তিনি উল্লেখ করেন, ড্রোনে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা “বৃহৎ পরিসরে ক্রয়” সম্ভব করবে। তিনি আরও বলেন, এই সংস্কার প্রতিরক্ষা করিডরগুলিকে শক্তিশালী করবে এবং ছোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির অংশগ্রহণ বাড়াবে। “আমাদের প্রতিরক্ষা করিডরগুলো বড় ধাক্কা পাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং স্টার্ট-আপগুলো, যাদের প্রায়ই সীমিত সম্পদ থাকে, তারা এই জিএসটি কাট থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।”

  • SCO Summit: বড় জয় ভারতের, শাহবাজের সামনে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে বিবৃতি এসসিও-র

    SCO Summit: বড় জয় ভারতের, শাহবাজের সামনে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে বিবৃতি এসসিও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে (SCO Summit) কোনঠাসা পাকিস্তান। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সদস্য দেশগুলি গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতকে পূর্ণ সমর্থন করেছে এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো। সন্ত্রাসে মদতদাতাদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিও উঠল। তবে সরাসরি পাকিস্তানের নামোল্লেখ নেই বিবৃতিতে। চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে থেকে নাম না-করে পাকিস্তানকে ফের এ বিষয়ে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    এসসিও-র বিবৃতিতে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা

    তিয়ানজিন ঘোষণাপত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এসসিও সদস্য দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও ধরনের ‘দ্বিমুখী নীতি’ বরদাস্ত করা হবে না। একইসঙ্গে, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই জোটের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সদস্য রাষ্ট্রগুলি ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। নিহত এবং আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে তারা।” ঘটনাচক্রে, ভারত, চিনের পাশাপাশি এই বহুদেশীয় জোটে পাকিস্তানও রয়েছে। তিয়ানজিনে এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সামনেই সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে নাম না-করে ইসলামাবাদকে বিঁধেছেন মোদি।

    ভারতের কথা মানল এসসিও

    সাম্প্রতিক অতীতে এসসিও-র সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীদেরও বৈঠক হয়েছে তিয়ানজিনে। সেখানেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে বিবৃতি ঘিরে জটিলতার জেরে গত জুন মাসে এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলন কোনও যৌথ বিবৃতি ছাড়াই শেষ হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নয়াদিল্লি জানিয়েছিল, ভারত চায় বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ থাকুক। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট দেশ তা মানতে চায়নি। সেই কারণেই এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে বিবৃতি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। সোমবার এসসিও-র বৈঠকে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা তো শুধু ভারতের আত্মায় আঘাত নয়, বরং তা সেই সমস্ত দেশের প্রতি খোলামেলা চ্যালেঞ্জ, যারা মানবতায় বিশ্বাস রাখে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা বরদাস্ত করা হবে না।’’

    সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াই

    বৈঠকশেষে যৌথ বিবৃতিতেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “সদস্য দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদী, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে ‘ভাড়াটে সেনা’ হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা প্রতিহত করার দিকেও জোর দিচ্ছে সদস্য রাষ্ট্রগুলি।” সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই এবং এসসিও সেই প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

    ভারতের উদ্যোগকে স্বীকৃতি

    সোমবার, সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বিশেষ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দুই নেতা একই গাড়িতে যাত্রা করেন, যার ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তেজনার আবহে মোদির এই চিন সফর কূটনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের উদ্যোগকেও বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’- এই ধারণাকে সমর্থন জানানো হয়।

  • SCO Summit: ‘‘কোনও দেশ খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, আমরা মেনে নেব?’’ শরিফের সামনেই এসসিও সম্মেলনে প্রশ্ন মোদির

    SCO Summit: ‘‘কোনও দেশ খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, আমরা মেনে নেব?’’ শরিফের সামনেই এসসিও সম্মেলনে প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও সম্মেলনের (SCO Summit) মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) উপস্থিতিতেই সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে সরব হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা থাকতে পারে না। সন্ত্রাসবাদ মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ। এই হুমকি যতদিন থাকবে, ততদিন কোনও দেশ বা সমাজ নিরাপদ নয়। তাই সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবে সহ্য করা যায় না, অভিমত প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    খোলাখুলি সন্ত্রাস-কে সমর্থন

    সোমবার চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) উপলক্ষে ভারত, পাকিস্তান-সহ মোট ২০টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে সম্মেলনের আগে মোদি একান্তে কথা বলেন। তার পরেই মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হন। বলেন, ‘‘কোনও কোনও দেশ যে ভাবে খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, তা কি আমরা মেনে নিতে পারি? প্রশ্ন ওঠে।’’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সামনে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত নিয়ে কঠোর বার্তা দিলেন মোদি। আল কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনের নামও করলেন। জানালেন, সন্ত্রাসের জন্য শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের ক্ষতি হচ্ছে।

    পহেলাগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা

    পহেলাগাঁও হামলা (Pahalgam Terror Attack) নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘‘পহেলাগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা তো শুধু ভারতের আত্মায় আঘাত নয়, বরং তা সেই সমস্ত দেশের প্রতি খোলামেলা চ্যালেঞ্জ, যারা মানবতায় বিশ্বাস রাখে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা বরদাস্ত করা হবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে আমরা সন্ত্রাসবাদের একটা খুব খারাপ, উগ্র রূপ দেখেছি। আমাদের সন্তানদের হারিয়েছি। অনেকে অনাথ হয়ে গিয়েছে। গত চার দশক ধরে ভারত এই সন্ত্রাসবাদের শিকার। যে সমস্ত দেশ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের ধন্যবাদ।’’ মোদির এই ভাষণের সময় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফও।

    সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ

    সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে মোদি (PM Modi At SCO Summit) বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বের জায়গা নিয়েছে ভারত। আল কায়েদা এবং তার সহযোগী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে আমরা লড়়াই করেছি। অর্থ দিয়ে সন্ত্রাসবাদের সহযোগিতার বিরোধিতা করি আমরা।’’ মোদি সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিষয়টি “গভীর উদ্বেগের” বলে উল্লেখ করেন এবং এসসিও সদস্য দেশগুলোকে চরমপন্থা ও মৌলবাদ মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি

    এসসিও গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মোদি। কোনও ভাবেই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আপস না-করার অনুরোধ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা মানবতার জন্য যৌথ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ থাকলে কোনও দেশ, কোনও সমাজ সুরক্ষিত বোধ করতে পারে না। নিরাপত্তা সকল দেশের অধিকার।’’

    ভারতের পাশে চিন, চাপে পাকিস্তান!

    এসসিও সম্মেলনের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে সোমবারই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর আগে রবিবার চিনের প্রেসিডেন্টের (Xi Jinping) সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। বিবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সীমান্তপারের সংঘাতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বোঝান যে, এই সন্ত্রাসবাদ ভারত এবং চিন, দুই দেশকেই প্রভাবিত করছে। তাই সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ রুখতে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগ জরুরি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয়েছে ভারত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নয়াদিল্লির নিশানায় থেকেছে ইসলামাবাদ। তবে জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ উত্থাপন তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক বরাবরই বেশ মসৃণ। এমনকি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ও পাকিস্তানকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে। এই আবহে সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের কথা বলে ভারত পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দিল, বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সোমবারই ভারতে ফেরার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০-র বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত! পাক মিডিয়ার রিপোর্টে ইঙ্গিত, পরে মুছে ফেলা হয়

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০-র বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত! পাক মিডিয়ার রিপোর্টে ইঙ্গিত, পরে মুছে ফেলা হয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০ জনেরও বেশি পাকিস্তানের সেনা নিহত হয়েছে। এই খবর উঠে এসেছিল পাকিস্তানেরই এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে। যদিও দ্রুত সেই খবর সরিয়ে ফেলা হয়। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) কোনওভাবেই দুর্বল পাকিস্তানের ছবি সামনে আনতে চায় না ইসলামাবাদ। সব সময়ই যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের ক্ষয়-ক্ষতি গোপন করার চেষ্টা করছে শাহবাজ শরিফের সরকার। তা পাক যুদ্ধ বিমান ধ্বংসই হোক বা পাক সেনা ঘাঁটিতে হামলা।

    কী উঠে এল প্রতিবেদনে

    প্রকাশিত ও পরে মুছে ফেলা প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের (India Pakistan) প্রেসিডেন্ট “অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুস”-এ অংশগ্রহণকারী সেনাদের বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন সামরিক পদক প্রদান করেছেন। কিন্তু সেই তালিকাতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে—অনেক পদকপ্রাপ্ত সেনার নামের পাশে লেখা “শহিদ”, অর্থাৎ তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধুমাত্র ইমতিয়াজি সানাদ পেয়েছেন ১৪৬ জন শহিদ সেনা। এই সনদ সাধারণত কর্তব্যে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেওয়া হয়। তাছাড়া, তামগা-ই-বাসালাত পদক পেয়েছেন আরও ৪৫ জন, যাদের মধ্যে ৪ জনের পুরস্কার মরণোত্তর। উচ্চতর বীরত্বের জন্য দেওয়া সিতারা-ই-বাসালাতেও একজন শহিদের নাম ছিল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়—তামগা-ই-জুরাত, যেটি ভারতের বীর চক্রের সমতুল্য, সেটি দেওয়া হয়েছে ৫ জনকে, যার মধ্যে ৪ জনই শহিদ।

    কূটনৈতিক মহলে আলোচনা

    এই তথ্য সামনে আসতেই কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। অনেকের মতে, এই ঘটনা ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে পাকিস্তান তাদের মৃত সেনার সংখ্যা গোপন করেছিল। এমনকি অনেক শহিদের দেহ ফিরিয়েও নেওয়া হয়নি। যুদ্ধক্ষেত্রে “গোপনীয়তা নীতি” বজায় রেখেই এই প্রতিবেদন দ্রুত মুছে ফেলা হয়েছে, বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যদি প্রতিবেদনটি সত্য হয়, তবে বলা যায় যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপর কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম বড় আঘাত হেনেছে ভারতীয় বাহিনী। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এখনো পর্যন্ত ভারত বা পাকিস্তান, কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি।

  • Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান তাদের একটি এফ-১৬ (Pak F-16) যুদ্ধবিমান হারিয়েছে কিনা এই প্রশ্নে সম্পূর্ণ নীরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলা ৮৮ ঘণ্টার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর তিন মাস কেটে গেলেও, এই প্রসঙ্গে মুখ খুলছে না ওয়াশিংটন। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন বিদেশ দফতর সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয়, “এ বিষয়ে যা বলার পাকিস্তান সরকারই বলতে পারবে।”

    আমেরিকার কাছে তথ্য রয়েছে

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের এফ-১৬ (Pak F-16) ব্যবহার নিয়ে কঠোর চুক্তি রয়েছে। যার অধীনে মার্কিন “টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিম” সব সময় পাকিস্তানে থাকে। এই দল পাক এফ-১৬ (F-16) বিমানের অবস্থান, সংখ্যা এবং কার্যক্ষমতা সবসময় নজরদারিতে রাখে। এর ফলে আমেরিকার কাছে প্রতিটি বিমানের তথ্য থাকে। ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর ভারতের এফ-১৬ (F-16) ভূপাতিত করার দাবিকে আমেরিকা সরাসরি অস্বীকার করেছিল। তবে এবার, অপারেশন সিঁদুরের তিন মাস পর, এ নিয়ে ভারতের দাবিকে সরাসরি খন্ডন করেনি আমেরিকা।

    কেন কিছু বলছে না আমেরিকা

    সম্প্রতি, ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এক বিবৃতিতে বলেন, “শাহবাজ জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটি ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। ওখানে একটি এফ-১৬ (Pak F-16) হ্যাঙ্গার ছিল, যার অর্ধেক ধ্বংস হয়েছে। আমি নিশ্চিত, সেখানে কিছু বিমান থাকতেই পারে।” ভারতের বায়ুসেনা (IAF) দাবি করছে, এই যুদ্ধে তারা ছয়টি পাকিস্তানি বিমান গুলি করে নামিয়েছে — যার মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি বড় ইলেকট্রনিক বিমান রয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছে। তবে পেন্টাগন ও মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্রদের কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন পাঠানো হলেও কোনও জবাব মেলেনি। ফলে এখনও পর্যন্ত, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান আদৌ এফ-১৬ (F-16) হারিয়েছে কিনা — সেটি নিশ্চিত নয়। তবে, আমেরিকার কাছে সমস্ত তথ্য থাকার কথা, কিন্তু তারা এই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না। এ থেকে কূটনৈতিক মহলের অনুমান, পরোক্ষে চুপ থেকে ভারতের দাবিকে মৌন সম্মতি জানাচ্ছে ওয়াশিংটন।

  • Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন এক তুলনা টেনেছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রবল ট্রোল ও সমালোচনা। ঘটনার সূত্রপাত হয় পাক সেনাপ্রধানের এক বক্তব্য ঘিরে। আসিম মুনির বলেন, “আমি একটি রূঢ় উপমা দিয়ে বোঝাতে চাইছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে ফেরারির মতো। আর আমরা একটি ডাম্প ট্রাক, যা ভর্তি কাঁকর-নুড়িপাথর দিয়ে। এখন যদি এই ট্রাক গিয়ে মার্সিডিজকে ধাক্কা দেয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত কে হবে?” এই বক্তব্যে মুনির বোঝাতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তান হয়তো মার্সিডিজের মতো ঝকঝকে নয়, কিন্তু একটি ডাম্প ট্রাকের মতো ভারি ও ধাক্কা দিতে সক্ষম। তবে তাঁর এই উপমা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল

    এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হন মুনির। এক নেটিজেন বলেন, “এই তুলনায় আসলে পাকিস্তানকেই তিনি ‘ডাম্প ট্রাক’ বলে স্বীকার করেছেন, যা একধরনের আত্ম-অপমান।” একজন ব্যবহারকারী লেখেন, “মুনিরের বক্তব্যে একমাত্র সত্য হলো, ভারত একটি মার্সিডিজ, আর পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক। বাকিটা কল্পনা।” আরেকজন লিখেছেন, “অন্তত পাকিস্তান নিজেদের বাস্তবতা জানে… তারা ডাম্প ট্রাক ছাড়া অন্য কিছুই নয়। ব্যর্থ মার্শাল স্বীকার করলেন যে তারা কতটা করুণ অবস্থায় আছেন।” কেউ আবার এআই জেনারেটেড ছবি দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, মার্সিডিজ ও ডাম্প ট্রাকের সংঘর্ষে কী হতে পারে। একজন মজা করে লেখেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম এটা মজা। পরে বুঝলাম, না — এটা আসলেই বলেছে! পাকিস্তান সত্যিই আসিম মুনিরের মতো সেনাপ্রধানকে ডিজার্ভ করে।”

    মার্কিন মুলুকে মুনির

    একদিকে ভারতের উপরে ক্রমাগত চাপাচ্ছেন ট্যারিফ, অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েই চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এবার ফের মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। বিগত দুই মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন সফরে আসিম মুনির। আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সরাসরি ভারতকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পাকিস্তান যদি অস্তিত্বের সংকটে পড়ে, তাহলে পাকিস্তান পুরো অঞ্চলকে পারমাণবিক সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেবে।

  • Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় পাকিস্তানের অন্তত ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল ভারত। শনিবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। বায়ুসেনা প্রধান জানান, ভারত ‘সুদর্শন চক্র’ অর্থাৎ এস-৪০০ ব্যবহার করে ধ্বংস করেছিল ৫টি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। এছাড়াও, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জ্যাকোবাবাদে থাকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গারেও নিখুঁত ভাবে আঘাত হানা হয়েছিল বলে দাবি করলেন এপি সিং। তিনি দাবি করেছেন, এই হামলাতেও হ্যাঙ্গারের মধ্যে থাকা বিমানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

    পাক হামলার মোক্ষম জবাব ভারতের

    অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর এই প্রথম প্রকাশ্যে কথা বললেন বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিহ্নিত কিছু জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। ওই সময় পাকিস্তানের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়নি। কিন্তু ভারতের অভিযানের পরে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের উপর হামলা শুরু করে। জবাব দেয় ভারতও। ওই সংঘর্ষের আবহে অন্তত ছ’টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা। শনিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এমনটাই জানালেন বায়ুসেনা প্রধান।

    সুদর্শন চক্রের সাফল্য

    শনিবার বেঙ্গালুরুতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে মন্তব্যের সময় বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান আমরা নিশ্চিত ভাবে ধ্বংস করেছি। এ ছাড়া একটি বড় (সামরিক) বিমান রয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা করা হয়েছিল।” অমরপ্রীত জানান, এখনও পর্যন্ত ভূমি থেকে আকাশে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় রেকর্ড। বায়ুসেনা প্রধান জানান, এই ছ’টি পাকিস্তানি বিমানকেই ধ্বংস করা হয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ব্যবহার করে। ভারত এর নাম দিয়েছে সুদর্শন চক্র। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এর পরেই অপারেশন সিঁদুর শুরু করে সেনাবাহিনী। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। তার জবাব দেয় ভারতও। এই সংঘর্ষের সময়েই যুদ্ধবিমানগুলি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা।

    এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস!

    এদিন বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল লক্ষ্মণ মাধব কাত্রের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং বলেন, “জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটিতে এফ-১৬ বিমানের হ্যাঙ্গার আছে। হ্যাঙ্গারের অর্ধেকটাই উড়ে গিয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভিতরে কিছু বিমান ছিল, সেগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।” বস্তুত, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আমেরিকা তৈরি করে। আমেরিকার থেকেই এই যুদ্ধবিমান কেনে পাকিস্তান। ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিন্টন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয় এফ-১৬ সংক্রান্ত। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিষয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধানের এই মন্তব্যও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    রাশিয়ার তৈরি অস্ত্রের সাফল্য

    একইসঙ্গে শনিবার বেঙ্গালুরুতে ওই অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং বলেছেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স দুরন্ত কাজ করেছে। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ সিস্টেম, যেটা আমরা সম্প্রতি মোতায়েন করেছিলাম সেটা খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ওই সিস্টেমের শক্তি ওদের বিমানগুলিকে সত্যিই দূরে রেখেছিল। যেমন ওদের কাছে থাকা দূরপাল্লার গ্লাইড বোমাগুলির মতো অস্ত্রকে ওরা ব্যবহারই করতে পারেনি। কারণ এই সিস্টেমটাকে ওরা ভেদই করতে পারেনি।” বর্তমানে উদ্ভূত কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য বর্ণনাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে ভারত জ্বালানি এবং অস্ত্র কেনায় অসন্তুষ্ট আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে তা একাধিক বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার জন্য নয়াদিল্লির উপর বাড়তি শুল্কও চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে শনিবার রাশিয়ার তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য তুলে ধরলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান।

    যুদ্ধবিরতি ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না

    ভারত হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের বায়ুসেনার শক্তির সমূলে আঘাত হানে বলেও জানিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল। বায়ুসেনা প্রধানের মতে, এর পরে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানানো ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না। জঙ্গি ঘাঁটিগুলোর ‘বিফোর অ্যান্ড আফটার’ স্যাটেলাইট ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। বাহাওয়ালপুরে চুরমার হয়ে যাওয়া জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পাশের কোন বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। সব অক্ষত রয়েছে। আমাদের কাছে শুধু স্যাটেলাইট ছবি নয়, স্থানীয় মিডিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ছবিও আছে।’ লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর মুরিদকের ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। তাঁর কথায়, ‘এগুলো ওদের অফিস। এখানেই বৈঠক করত।’ তাঁর দাবি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

LinkedIn
Share