Tag: pak

pak

  • Bilawal Bhutto: রাষ্ট্রসংঘে ভারত-বিরোধী মন্তব্য, বিলাওয়ালকে ধুয়ে দিলেন বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক

    Bilawal Bhutto: রাষ্ট্রসংঘে ভারত-বিরোধী মন্তব্য, বিলাওয়ালকে ধুয়ে দিলেন বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চে ভারত বিরোধী মন্তব্য করতে গিয়ে ফাঁপরে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto)। তিনি যখন বলেন, “ভারত মুসলমানদের জঙ্গি রূপে চিত্রিত করছে”, তখন তাঁর এই বক্তব্যের (UN) তীব্র প্রতিবাদ করেন এক বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক।

    বিলাওয়ালকে ধুয়ে দিলেন বিদেশি সাংবাদিক

    মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি ভারতে মুসলমানদের অপমান ও তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।” বিলাওয়ালের এই দাবির পরেই তাঁকে ধুয়ে দেন আহমেদ ফাতহি নামে এক বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক। তিনি বলেন, “আপনি আজ যেটা বললেন যে, কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলাকে ভারত মুসলিমদের হেয় করার জন্য ব্যবহার করছে—আমি দু’পক্ষেরই ব্রিফিং দেখেছি। যতদূর মনে পড়ে, ভারতের পক্ষ থেকে ব্রিফিং পরিচালনা করেছিলেন এক মুসলিম সেনা অফিসার।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    প্রসঙ্গত, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরের ব্রিফিংয়ে নেতৃত্ব দেন দু’জন উচ্চপদস্থ মহিলা সেনা অফিসার— ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার পাইলট উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রিও। এই ঘটনার (UN) মাধ্যমে ভারতের সেনাবাহিনীতে জাতি ও ধর্ম নির্বিশেষে নারীর অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব প্রদানের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের (Bilawal Bhutto)।

    বিশ্বমঞ্চে মুখ পুড়ছে দেখে খানিক ভড়কে যান বিলাওয়াল। একপ্রকার প্রায় ঢোঁক গিলে মেনে নেন ফাতহির পেশ করা যুক্তি। সাংবাদিকের মন্তব্যে যে তিনি চরম অপ্রস্তুতে পড়েছেন, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু ওই ভাঙবো তবু মচকাবো না! ওই সাংবাদিক পরে প্রশ্ন করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, তাঁকে থামিয়ে নিজের কথা বলে চলেন বিলাওয়াল। তিনি বলেন, “পাকিস্তান এখনও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চায়। আমরা ১.৫ বা ১.৭ বিলিয়ন মানুষের ভবিষ্যৎকে কিছু অ-রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না, যাদের খেয়ালে দুটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধতে পারে। এটাই যেন নতুন স্বাভাবিক অবস্থা, যা আসলে একটি বিকৃত পরিস্থিতি — এবং ভারত সরকার তা এই অঞ্চলে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।” বিশ্ব দরবারে কাশ্মীর ইস্যুতে যে পাকিস্তান বারবার ব্যর্থ হয়েছে, এদিন তা কবুল করে নেন বিলাওয়াল। তিনি (UN) বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের অভ্যন্তরে বা বাইরে কাশ্মীরের স্বার্থে আমরা যে বাধাগুলির মুখোমুখি হই, তা এখনও রয়েছে (Bilawal Bhutto)।”

  • Pakistan: ‘ইসলাম কার্ড’ খেলতে গিয়ে মুসলিম দেশেই মুখ পোড়াল পাকিস্তান!

    Pakistan: ‘ইসলাম কার্ড’ খেলতে গিয়ে মুসলিম দেশেই মুখ পোড়াল পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব দরবারে আরও একবার মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (Pakistan)! মালয়েশিয়ায় ‘ইসলামিক তাস’ খেলতে গিয়ে মুখে চুন করে ফিরতে হল শাহবাজ শরিফের দেশকে। সূত্রের খবর, পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘে আলোচিত কাশ্মীর সমস্যার কথা উল্লেখ করে মালয়েশিয়ায় ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সমস্ত কর্মসূচি (Indian Delegations Visit) বাতিল করার আবেদন জানায়।

    পাকিস্তানের অনুরোধ (Pakistan)

    পাকিস্তানি দূতাবাস মালয়েশিয়ার সরকারি কর্তাদের বলেছে, “আমরা একটি ইসলামিক দেশ, আপনারাও ইসলামিক দেশ। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের কথা শুনবেন না। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করুন। মালয়েশিয়ায় তাদের সব কর্মসূচি বাতিল করা হোক।” সূত্রের খবর, মালয়েশিয়ার সরকার পাকিস্তানকে তিরস্কার করেছে। নস্যাৎ করে দিয়েছে তাদের দাবি। মালয়েশিয়ায় ভারতের ১০টি কর্মসূচি ছিল। সেই সবকটিতেই অনুমোদন দেয় মুসলিম রাষ্ট্র মালয়েশিয়া।

    প্রতিনিধি দলের বক্তব্য

    সোমবার রাতে ভারতে ফিরেছে জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝা-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পাঁচটি দেশ – জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া সফর শেষ করে আমি দেশে ফিরেছি। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নিউ নর্মাল নীতি এবং অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে সঠিক তথ্য বিশ্বকে জানানো। এই সময়ে পাঁচটি দেশের সিনিয়র মন্ত্রী, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আমরা যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি, তাতে আমি অভিভূত।” তিনি বলেন, “মালয়েশিয়া-সহ সমস্ত দেশ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার শিকার প্রত্যেক পরিবারের উদ্দেশে তাদের সমবেদনা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে জঙ্গিঘাঁটিগুলির নির্ভুল নিশানায় ভারতের আক্রমণের ভূয়সী প্রশংসাও করেছে।” জানা (Pakistan) গিয়েছে, ভারতের মাটিতে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের ভূমিকা এবং পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু, ভারতের প্রত্যাঘাত, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য সবই আলোচনা হয়েছে (Indian Delegations Visit)।

    প্রসঙ্গত, সঞ্জয়ের দলে ছিলেন বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গি, ব্রিজ লাল, প্রদন বড়ুয়া, হেমাঙ্গ জোশী, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএমের জন ব্রিটাস (Indian Delegations Visit), কংগ্রেস সাংসদ সালমান খুরশিদ এবং বাহরিন ও ফ্রান্সে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মোহন কুমার (Pakistan)।

  • Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Gujarat Man Arrested) অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক। পড়শি দেশে পাকিস্তানের চরের জাল যে সর্বত্র বিছানো, তার প্রমাণ মিলল ফের। শনিবার গুজরাটের কচ্ছ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Pakistan) স্থানীয় যুবক সহদেব সিং গিলকে। এটিএসের (সন্ত্রাস দমন) হাতে ধৃত সহদেব পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।

    মহিলাকে তথ্য পাচার করত ওই স্বাস্থ্যকর্মী! (Gujarat Man Arrested)

    আরও অভিযোগ, এক তরুণী চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার গোপন তথ্য পাচার করত সে। গুজরাট এটিএসের এসপি কে সিদ্ধার্থ জানান, পাক চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার বিষয়ে সংবেদনশীল তথ্য পাচারের জন্য ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ মে সহদেবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে জানিয়েছিল ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাস নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে সে জানতে পেরেছিল ওই মহিলা আদতে পাকিস্তানি গুপ্তচর। তার পরেও তার সঙ্গে সে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল

    জেরায় সহদেব দাবি করেছে, বিএসএফ এবং নৌসেনার ঘাঁটি, অন্যান্য নির্মাণের ছবি, ভিডিও তুলে তাকে পাঠাতে বলেছিল অদিতি, বিশেষত নতুন তৈরি হওয়া বা নির্মীয়মাণ ঘাঁটির ছবি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সে অদিতিকে ওই সব ছবি, ভিডিও পাঠাত। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ২০২৫ সালের শুরুতে নিজের আধার কার্ডের নথি দিয়ে মোবাইলের একটি সিমকার্ড কিনেছিল সহদেব। পরে হোয়াটসঅ্যাপও চালু করেছিল (Gujarat Man Arrested)। সেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই সে অদিতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ। পাঠাত ছবি, ভিডিও-ও। অপরিচিত একজনের কাছ থেকে এজন্য সে ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল। সহদেবকে কে টাকা দিয়েছিল, তার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সহদেবের মোবাইল।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে (Pakistan)। এদের বেশিরভাগই হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল গুজরাটের নামও (Gujarat Man Arrested)।

  • Nishikant Dubey: “১৯৯১ সালে করা ভারত-পাক চুক্তি মনে আছে?” রাষ্ট্রদ্রোহিতা কী, রাহুলকে মনে করালেন নিশিকান্ত

    Nishikant Dubey: “১৯৯১ সালে করা ভারত-পাক চুক্তি মনে আছে?” রাষ্ট্রদ্রোহিতা কী, রাহুলকে মনে করালেন নিশিকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ তুলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Indo Pak Military Pact)। তার পরেই শুক্রবার সোনিয়া গান্ধীর দলকে একেবারে ধুয়ে দিলেন সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey)। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এই পদ্ম সাংসদ লিখেছেন, “রাহুল গান্ধীজি, এটি আপনার সরকারের সময় করা একটি চুক্তি। ১৯৯১ সালে আপনার দল সমর্থিত সরকার একটি চুক্তি করেছিল যে ভারত ও পাকিস্তান যে কোনও আক্রমণ বা সেনা আন্দোলন সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করবে। এই চুক্তি কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা?” তিনি লিখেছেন, “কংগ্রেস পাকিস্তানি ভোটব্যাঙ্কের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করজি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করা কি আপনার পক্ষে শোভা পাচ্ছে?”

    নিশিকান্তর নিশানায় কংগ্রেস (Nishikant Dubey)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিশিকান্ত দুবে বলেন, “আমরা ১৯৪৭ সাল থেকে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী জাতি হিসেবে বিবেচনা করি। ৭৮ বছর ধরে কাশ্মীর ইস্যুতে আমরা তাদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের কাশ্মীরের অংশ পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। তার পরেও আপনারা (কংগ্রেস) পাকিস্তানকে ছাড় দিয়ে আসছেন। সেটা ১৯৫০ সালে নেহরু-লিয়াকত চুক্তি হোক, সিন্ধু জল চুক্তি হোক কিংবা ১৯৭৫ সালের শিমলা চুক্তিই হোক। আমরা সংসদেও কোনও জাতির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে কথা বলি না।” পদ্ম সাংসদ বলেন, “কিন্তু ১৯৯১ সালে যখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। তখন কেন্দ্রে চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করছিল কংগ্রেস এবং ১৯৯৪ সালে যখন পিভি নরসিমহা রাওয়ের সরকার ছিল, তখন এই চুক্তি (চুক্তি) বাস্তবায়িত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী কোথায় মোতায়েন করা হবে এবং বিমান বাহিনী কীভাবে কাজ করবে তা পাকিস্তানকে ১৫ দিন আগে থেকে জানাতে হবে…এসব কি রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমান নয়?” তিনি বলেন, “কংগ্রেস কেবল ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে…ভারতের উচিত রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা শুরু করা এবং যারা এই চুক্তি করেছে এবং কংগ্রেস পার্টি…তাদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা উচিত।” এখানেই থেমে থাকেননি নিশিকান্ত। তিনি তুলে ধরেন, কীভাবে ১৯৬৮ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার কচ্ছ এলাকায় ৮২৮ বর্গিকিমি পাকিস্তানকে দিয়ে দিয়েছিল।  বিজেপি সাসংদ বলেন, ‘‘গোটা সংসদ বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু, আন্তর্জাতিক সালিশিসভার কাছে মাথা নত করে ভারতের ‘আয়রন লেডি’ পাকিস্তানকে গুজরাটের কচ্ছ প্রণালীর থেকে ৮২৮ বর্গ কিমি ভূমি পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এটা পরিষ্কার যে, কংগ্রেস সর্বদা পাকিস্তানের পক্ষে।’’

    ভারত-পাক চুক্তি

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ৬ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত (Nishikant Dubey) হয়েছিল সামরিক মহড়া, কৌশল এবং সৈন্য চলাচলের অগ্রিম নোটিশ সম্পর্কিত চুক্তিটি। এই চুক্তির (Indo Pak Military Pact) লক্ষ্য ছিল স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা এবং দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বা অনিচ্ছাকৃত উত্তেজনার ঝুঁকি হ্রাস করা। চুক্তিটির মূল বিধান ছিল, উভয় দেশ সীমান্তের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহড়া, কৌশল এবং সৈন্য চলাচল সম্পর্কে একে অপরকে পূর্বাভাস দেবে। পরিকল্পিত কার্যকলাপ শুরু হওয়ার আগে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি আদান-প্রদান করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আগ্রাসনের কোনও ধারণা রোধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে এই ধরনের সামরিক কার্যকলাপ পরিচালনা করা উচিত নয়। দুই দেশই সম্মত হয়েছিল যে প্রধান সামরিক মহড়ার কৌশলগত দিকটি অন্য দিকে পরিচালিত হবে না এবং সীমান্তের কাছাকাছি কোনও লজিস্টিক নির্মাণ করা হবে না।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য

    অপারেশন সিঁদুরের অধীনে জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে তাদের জঙ্গি পরিকাঠামোর ওপর হামলার বিষয়ে ‘অবহিত’ করেছিলেন বলে রাহুল গান্ধী যে অভিযোগ তুলেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে রাহুলের অভিযোগকে তথ্যের সম্পূর্ণ ভুল উপস্থাপনা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমরা শুরুতেই পাকিস্তানকে সতর্ক করেছিলাম – এটা স্পষ্টতই অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। একে অভিযান শুরুর আগে বলে মিথ্যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তথ্যের এই সম্পূর্ণ ভুল উপস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হচ্ছে।” পাকিস্তানের গভীরে ঢুকে (Nishikant Dubey) জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানি প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের কথা উল্লেখ করেছে বিদেশমন্ত্রক।

    পিআইবির ফ্যাক্ট চেক ইউনিটের দাবি

    প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক (Indo Pak Military Pact) ইউনিটও দাবি করেছে যে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তারা বলেছে যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওটি দর্শকদের বিভ্রান্ত করার জন্য বেছে বেছে সম্পাদনা করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে জানানো হয়েছে, “সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে ইএএম অ্যাট দ্য রেট ডঃ জয়শঙ্করের উদ্ধৃতি দিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে ভারত অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে পাকিস্তানকে আগাম তথ্য দিয়েছিল। এটি মিথ্যে।”

    পিআইবির কর্তাদের বক্তব্য, বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য অভিযানের সময় একটি পরিকল্পিত বার্তার অংশ ছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল এটি তুলে ধরা যে ভারতীয় সেনাবাহিনী কেবল জঙ্গি শিবিরগুলিকে টার্গেট করবে এবং পাকিস্তানি সামরিক কাঠামোগুলিতে হামলা এড়িয়ে চলবে (Indo Pak Military Pact), যতক্ষণ না পাকিস্তান পরিস্থিতি আরও খারাপ করে (Nishikant Dubey)।

  • Bhavika Mangalanandan: “এত ঔদ্ধত্য”! রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন ভাবিকা মঙ্গলানন্দন

    Bhavika Mangalanandan: “এত ঔদ্ধত্য”! রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন ভাবিকা মঙ্গলানন্দন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসের জন্য পরিচিত পাকিস্তানের এত ঔদ্ধত্য!” রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে কথাগুলি বললেন ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। তিনি বলেন, “যে দেশের সন্ত্রাসবাদের কথা তামাম বিশ্ব জানে, তারা ভারতের মতো দেশের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে আক্রমণ করে কীভাবে?” সন্ত্রাস বাড়ালে তার ফল ভুগতে হবে বলেও এদিন ফের একবার পাকিস্তানকে (Shahbaz Sharif) হমকি দিয়েছে ভারত।

    পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত (Bhavika mangalanandan)

    রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠতেই পাকিস্তানকে একেবারে ধুয়ে দিল নয়াদিল্লি। প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি ভারতের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কার্যত, তার পরেই পাকিস্তানকে আক্রমণ শানান ভাবিকা (Bhavika mangalanandan)। ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেয়। সে প্রসঙ্গও তোলেন শরিফ। তার পরেই পাকিস্তানকে চাঁদমারি করেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রতিনিধি। ভাবিকা বলেন, “যে দেশটি সেনার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং যে যাদের সন্ত্রাসবাদের কথা সবারই, সে দেশের ঔদ্ধত্য সবারই জানা।”

    কী বললেন ভাবিকা

    এর পরেই ভাবিকা বলেন, “ওদের এত ঔদ্ধত্য যে ভারতের মতো বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক একটা দেশকে আক্রমণ করে!” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের চেহারাটা যে ঠিক কেমন, তা সবারই জানা।” এ প্রসঙ্গে তিনি ২০০১ সালের সংসদে হানা এবং ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার প্রসঙ্গ টানেন। ভাবিকা বলেন, স্মৃতি এখনও আমাদের মলিন হয়নি।” ভারতীয় এই কূটনীতিক বলেন, “পাক প্রধানমন্ত্রীর কথা যে ফাঁকা আওয়াজ, তা সকলেরই জানা। সত্যি কথার জবাব দিতে পাকিস্তান বারবার মিথ্যা কথা বলে। মনে রাখতে হবে, আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট।”

    আরও পড়ুন: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    তিনি বলেন, “পাকিস্তান হল সেই দেশ, যারা গোটা বিশ্বের ত্রাস ওসামা বিন লাদেনকে বছরের পর বছর ধরে আশ্রয় দিয়েছিল। একাত্তরের যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে ভাবিকা বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তান যেভাবে দেশের পূর্বপ্রান্তে সংখ্যালঘুদের নিকেশ করার চেষ্টা করেছিল, এখনও সেভাবেই করে চলেছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে আজও।” তাঁর প্রশ্ন, “এমন একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক মঞ্চে (Shahbaz Sharif) দাঁড়িয়ে ভারতের দিকে আঙুল তোলেন কোন সাহসে (Bhavika mangalanandan)?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
  • Pakistan: বালোচদের ওপর দমনপীড়ন, করাচির রাস্তায় প্রতিবাদ সমাজকর্মীদের

    Pakistan: বালোচদের ওপর দমনপীড়ন, করাচির রাস্তায় প্রতিবাদ সমাজকর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আমেরিকার ঢেউ এসে আছড়ে পড়ল পাকিস্তানে (Pakistan)! গত বছর ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ স্লোগান উঠেছিল মার্কিন মুলুকে। এবার পাকিস্তানে (Karachi Activists) আওয়াজ উঠল ‘বালোচ লাইভস ম্যাটার’। পাকিস্তানের বালোচ প্রদেশে দমন পীড়ন চালাচ্ছে পাকিস্তান প্রশাসন। তার প্রতিবাদেই শনিবার করাচির রাস্তায় নামেন সে দেশের সমাজকর্মীরা। সেখানেই আওয়াজ ওঠে ‘বালোচ লাইভস ম্যাটার’।

    করাচির রাস্তায় সমাজকর্মীরা (Pakistan)

    পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন বালুচিস্তানবাসী। তার জেরেই চলছে প্রতিবাদ। সিন্ধ এবং বালুচিস্তানেও জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন। বিক্ষোভকারীদের কড়া হাতে দমন করতে চাইছে পাক প্রশাসন। চলছে দমন-পীড়ন। এরই প্রতিবাদে করাচির রাস্তায় নামেন সমাজকর্মীরা। মুন্ডুপাত করেন পাক সরকারের। সরকারের ভীরুতা ও হিপোক্র্যাসির বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন তাঁরা। গদওয়ারে নিপীড়ন বন্ধের দাবিও জানান তাঁরা। পাক সরকারের দমন পীড়নের প্রতিবাদে তাঁরা যে এককাট্টা, তা স্পষ্ট সমাজকর্মী বীরসা পিরজাদোর কথায়।

    কী বললেন আন্দোলনকারীরা?

    তিনি বলেন, “যতক্ষণ না সরকার দমন পীড়ন বন্ধ করছে, ততক্ষণ আমরা ফিরে যাব না।” বীরসা প্রতিবাদী আন্দোলনের অন্যতম মুখ। সিন্ধ কমিশন অন দ্য স্টেটাস অফ উইমেনের সদস্যও তিনি। প্রতিবাদীদের সাফ কথা, রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা মেনে নেওয়া যায় না। তারা যেভাবে প্রতিবাদীদের গ্রেফতার করছে, তাও মেনে নেওয়া যায় না। যেভাবে বালোচ নারী ও শিশুদের মারধর করা হচ্ছে, তাও সহ্য করা যায় না। তাঁরা জানান (Pakistan), নিখোঁজ ব্যক্তিদের ইস্যুটি জেনুইন।

    আরও পড়ুন: গণধর্ষণকাণ্ডে ডিএনএ টেস্ট চান, অখিলেশের মুসলিম তোষণে ক্ষুব্ধ বিজেপি

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে আর্টস কাউন্সিল গোলচত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় বালোচ ইয়াকজেহতি কমিটির কয়েকজন কর্মকর্তাকে। ওই এলাকায় তাঁরা জড়ো হয়েছিলেন গোয়াদরে নির্যাতন ও আটকের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে। সেই সময়ই কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করে পাক প্রশাসন। বালোচ ইয়াকজেহতি কমিটির অভিযোগ, মহিলা-সহ প্রায় ৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। কেপিসি এলাকায় মিছিল করার চেষ্টা করতেই আটক করা হয় তাঁদের। যদিও পাক পুলিশের দাবি, সংগঠকরা রেড জোনে বেআইনি সমাবেশ করার নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছেন। ১৪ জন আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মহিলা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সঙ্গেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

    পুলিশের দাবি যে সত্য নয়, তা স্পষ্ট করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক রিয়াজ আহমেদের কথায়। তিনি বলেন, “গতকাল রাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন ১৫০ বালোচ আন্দোলনকারী (Karachi Activists)। এঁদের মধ্যে ছাত্রছাত্রীরাও ছিলেন। কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। কোনও কারণ ছাড়াই করা হয় গ্রেফতার (Pakistan)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • India US Relation: ‘‘নাক গলাব না, আলোচনায় মিটিয়ে নিন’’, পাকিস্তানকে বার্তা মার্কিন প্রশাসনের

    India US Relation: ‘‘নাক গলাব না, আলোচনায় মিটিয়ে নিন’’, পাকিস্তানকে বার্তা মার্কিন প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের মারছে ভারত। মার্কিন প্রশাসনের কাছে এমনই অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান। তবে প্রতিবেশী এই দুই দেশের দ্বন্দ্বে আমেরিকা যে নাক গলাবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে জো বাইডেনের দেশ (India US Relation)।

    মার্কিন-বার্তা (India US Relation)

    পাকিস্তানের তরফে যিনি উজিয়ে আমেরিকায় গিয়েছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে, বাইডেন প্রশাসন তাঁকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সীমান্তে উত্তেজনা কমান। বিভিন্ন স্তরে কথাবার্তা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শও ভারত-পাকিস্তান দুই দেশকেই দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের কর্তারা। পাকিস্তানের অভিযোগকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। বিদ্বেষমূলকভাবে ভারত-বিরোধী প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ম্যাথিউ মিলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র। তিনি বলেন, “এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ (India US Relation) মাধ্যমের প্রতিবেদনগুলিতে আমরা নজর রাখছি। যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। তবে আমরা এই বিষয়ে নাকও গলাব না। ওই পড়শি দুই দেশের সীমান্তে যেভাবে দিন দিন উত্তেজনা বাড়ছে, সেই উত্তেজনা কমাতে বলেছি উভয়পক্ষকেই। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।”

    ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

    জানুয়ারি মাসে দুই পাক নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল পাকিস্তান। সেবারও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এই ঘটনায় ভারত কোনওভাবেই যুক্ত নয়। ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। ভারত-বিরোধী প্রচারও চালানো হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পাকিস্তানের বিদেশ সচিব কী বলেছেন, সে সংক্রান্ত (India US Relation) প্রতিবেদন আমরা দেখেছি। ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করার এটা পাকিস্তানের একটা সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা। বিদ্বেষমূলকভাবে ভারত-বিরোধী এই প্রচার করা হচ্ছে। পাকিস্তান যে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য, সন্ত্রাসবাদীদের ভরকেন্দ্র, সংগঠিত অপরাধীদের চারণভূমি, অবৈধ কারবারিদের লীলাক্ষেত্র, তা জানে তামাম বিশ্ব।”

    আরও পড়ুুন: “যদি নয়াদিল্লি চিনের কিছু অঞ্চলের নাম বদলে দেয়…”, বেজিংকে খোঁচা রাজনাথের

    তিনি বলেন, “জঙ্গি কার্যকলাপে রাশ টানতে পাকিস্তানকে সতর্ক করেছে ভারত এবং অনেক দেশই। তার পরেও সে দেশে অবাধে চলছে জঙ্গি কার্যকলাপ। পাকিস্তান যেমন কর্ম করেছে, তেমন ফলই পাচ্ছে। নিজেদের দোষ ঢাকতে এবার অন্যকে দোষারোপ করে গা বাঁচাতে চাইছে তারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: তোষাখানা মামলায় স্বস্তি পেলেন সস্ত্রীক ইমরান খান, কেন জানেন?

    Imran Khan: তোষাখানা মামলায় স্বস্তি পেলেন সস্ত্রীক ইমরান খান, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষাখানা মামলায় (Toshakhana Case) স্বস্তি মিলল প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan)। তাঁর স্ত্রী বুসরা বিবিকেও স্বস্তি দিয়েছে ইসালামবাদ হাইকোর্ট। ৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন পুনর্বিবেচনা সংক্রান্ত বিশেষ আদালত ইমরান ও তাঁর স্ত্রীকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। সোমবার বিশেষ আদালতের সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি পেলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সুপ্রিমো ইমরান ও তাঁর স্ত্রী।

    ইমরানের সাজা (Imran Khan)

    কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাকিস্তানের ওই বিশেষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ইমরান বা তাঁর স্ত্রী কেউই ১০ বছরের জন্য সরকারি কোনও পদে বসতে পারবেন না। পাকিস্তানি মুদ্রায় খান দম্পতির প্রায় ৭৯ কোটি টাকাও জরিমানা করা হয়। প্রসঙ্গত, দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগ ওঠে ইমরানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে। তার জেরে পাকিস্তানের বিশেষ আদালত প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার তথা প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। পরের দিনই ফের তাঁকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

    তোষাখানা মামলা

    পাকিস্তানের আইন মোতাবেক, বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কোনও মন্ত্রী যদি উপহার পান, তা জমা করতে হবে সরকারি কোষাগারে। দশ হাজার টাকার কম মূল্যের উপহার হলে, প্রধানমন্ত্রী তা নিজের কাছে রাখতে পারেন। এর বেশি মূল্যের কোনও উপহার প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ হলে বাজার মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ তোষাখানায় জমা করে সেই উপহার নিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান সেই নিয়মের তোয়াক্কাই করেননি বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: “মনে হল রামলালা আমায় বলছেন, দেশের স্বর্ণযুগ শুরু হয়েছে”, বললেন মোদি

    ইমরান গদিচ্যুত হওয়ার পরেই প্রকাশ্যে আসে তোষাখানা মামলা। দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ীর দাবি, বিদেশ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া একটি মূল্যবান ঘড়ি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বিক্রি করেছেন ২০ লক্ষ ডলারে। ২০১৯ সালে সৌদি আরবের রাজা মহম্মদ বিন সলমন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে ওই ঘড়িটি উপহার দিয়েছিলেন। গত বছরের অগাস্ট মাসের পাঁচ তারিখে তোষাখানা মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত। তিন বছরের কারাদণ্ডও দেয়। এর পরেই গ্রেফতার হন পাকিস্তানের তারকা-রাজনীতিক। পাঠানো হয় গারদে। ইমরানের দলের দাবি, এই মামলার সঙ্গে বুসরা বিবির কোনও সম্পর্কই নেই (Imran Khan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Pervez Musharraf: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    Pervez Musharraf: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তবে তাঁকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। সে দেশের বিশেষ আদালত প্রয়াত প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে (Pervez Musharraf) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। যদিও তার প্রায় সাত বছর আগেই পাকিস্তান ছেড়ে প্রয়াত সেনা প্রধান আশ্রয় নিয়েছিলেন দুবাইয়ে। ক্রিমিনাল ট্রায়াল এড়াতেই দুবাইয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট।

    মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল বিশেষ আদালত 

    বুধবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয় এই মামলার। বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি কাজি ফিরোজ ইসা। ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারি এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়ে ওই সাজা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। যে সময় ওই অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত মুশারফ নিয়েছিলেন, সেই সময় ক্ষমতায় ছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ। মুশারফের (Pervez Musharraf) তরফে করা আবেদন খারিজ করে পাক সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, একাধিক নোটিশ পাওয়ার পরে পারভেজ মুশারফের উত্তরসূরিরা মামলাটি নিয়ে নাড়াচাড়া করেননি। মুশারফের আইনজীবী সলমান সফদর বলেন, “আদালত যখন মুশারফের করা আবেদনের শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমি ওঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা তাতে সাড়া দেননি।”

    দুবাইয়ে প্রয়াত মুশারফ

    গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে প্রয়াত হন পাকিস্তানের একনায়ক শাসক মুশারফ। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। বীরবিক্রমে দেশ শাসন করলেও, প্রয়াত একনায়ক শাসককে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হয় বিদেশে। ভারতের সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল মুশারফের। তাঁর পরিবার বাস করতেন দিল্লিতে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তাঁর পরিবার চলে যান পাকিস্তানে। পরে হয়ে ওঠেন সে দেশের একনায়ক (Pervez Musharraf)।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মুশারফ পাকিস্তানের সেনা প্রধান হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই বাসে করে লাহোরে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তিনি যখন পড়শি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করার চেষ্টা করছিলেন, তখনই কার্গিল সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল পাক সেনা। যার জেরে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ। যে যুদ্ধে ধরাশায়ী হয় পাক সেনা (Pervez Musharraf)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Citizenship: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    Indian Citizenship: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) দুই জেলায় বসবাসকারী তিন দেশের সংখ্যালঘুদের দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian Citizenship)। নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। সোমবার এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকাও। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর না হওয়ায় ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    গুজরাটের মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাসকারী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian Citizenship) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জেলা আধিকারিকদের এই মর্মে শংসাপত্র দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে এ দেশে অন্তত পাঁচ বছর বসবাস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাও প্রযোজ্য হবে না।

    ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian Citizenship) কয়েকটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে অর্জন করা যায়। এগুলি হল, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তির রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে, কোনও ভারতীয়কে বিয়ে করে, নাবালক, শিশু যার বাবা মা ভারতের নাগরিক, ভারতের বিদেশি নাগরিক এবং ভারতীয় কনস্যুলেটে একটি শিশুর রেজিস্ট্রেশন। তবে গুজরাটের দুই জেলার যাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এগুলির কোনওটিই প্রযোজ্য নয়। তা সত্ত্বেও তাঁদের নাগরিকত্ব দিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিল ভারত। অন্তত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের অভিমত এমনই।

    গত বছরই এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই কারণে গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের মোট ১৩টি জেলায় বসবাসকারী অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পেতে আবেদন জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেখানে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন ও ২০০৯ সালের নিয়ম অনুযায়ী এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছিল। কারণ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, ২০১৯ এ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু এই আইনের অধীনে বিধিগুলি এখনও সরকার প্রণয়ন করেনি, তাই এখনও পর্যন্ত কাউকে এই আইনের অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি। ২০১৬, ২০১৮ এবং ২০২১ সালেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা এই পাঁচটি রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার কালেক্টরদের বৈধ নথিতে ভারতে আসা ছটি সম্প্রদায়ের অভিবাসীদের নাগরিকত্ব (Indian Citizenship) শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দান করে।

    আরও পড়ুন: ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে সমাজসেবা, সবার ওপরে মাতৃত্ব…’, জানুন আরএসএসের মহিলা সংগঠনের আদর্শ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share