Tag: pak

pak

  • Pakistan: ভারতে নজরদারি বাড়াতে বাংলাদেশে সক্রিয় হচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই?

    Pakistan: ভারতে নজরদারি বাড়াতে বাংলাদেশে সক্রিয় হচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চল-সহ ভারতের পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর নজরদারি করতে বাংলাদেশে নীরবে সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করেছে পাক (Pakistan) চর সংস্থা আইএসআই (ISI)। বিভিন্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সফর করে পাক সেনাবাহিনীর একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। এই সফরে ছিলেন আইএসআইয়ের কর্তারাও। তাঁদের লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে গোপন সহযোগিতা মজবুত করা।

    শেখ হাসিনার জমানা (Pakistan)

    শেখ হাসিনার দীর্ঘ রাজত্বে বাংলাদেশে সেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি আইএসআই। তাঁর জমানায় ঢাকার নিরাপত্তা নীতি ছিল নয়াদিল্লির নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। জেনারেল শামসাদ মিরজার নেতৃত্বে আসা ওই প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) ও ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই)-এর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে। আলোচনায় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মতে, উভয় পক্ষ যৌথ গোয়েন্দা-তথ্য বিনিময় ব্যবস্থার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছে। প্রস্তাবিত কাঠামোর লক্ষ্য হবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী সামুদ্রিক অঞ্চলে নজরদারি জোরদার করা।

    পাকিস্তানের বৃহত্তর কৌশলেরই অংশ

    বাংলাদেশ সম্পর্কে যাঁরা বিশেষভাবে খোঁজখবর রাখেন, তাঁদের মতে, এই উন্নয়ন পাকিস্তানের বৃহত্তর কৌশলেরই অংশ, এবং সেটা হল ভারতের পূর্ব সীমান্তজুড়ে পুরানো গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (অধুনা বাংলাদেশ) পাক সেনাবাহিনী ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার শক্তিশালী উপস্থিতি ছিল। বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আইএসআই এখন ফের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ খুঁজছে। উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার (Pakistan)।

    পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি নেটওয়ার্ক

    ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাশ ছিল আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনার হাতে। সেই সময় ঢাকা আইএসআইয়ের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কার্যকলাপ দমন করতে কঠোর ব্যবস্থা (ISI) নিয়েছিল। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থা প্রায়ই হাসিনার সরকারকে এ নিয়ে কৃতিত্বও দিত। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলি যাতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে টার্গেট করতে না পারে, সেই বিষয়ে কঠোর নজরদারির জন্য সর্বদা সক্রিয় ছিল হাসিনা সরকার। কিন্তু ২০২৪ সালে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন ও বিরোধী নেতৃত্বাধীন অস্থিরতার জেরে ক্ষমতাচ্যুত হন হাসিনা। ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এর ফলে সেই সব শক্তির জন্য নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়, যাদের এতদিন রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল (Pakistan)।

    আইএসআইয়ের নীরব উত্থান

    সূত্রের খবর, আইএসআই আগে থেকেই একটু একটু করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে কাজ করে আসছিল। ইউনূস জমানায় তারাই ভীষণভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এদের (ISI) প্রতি সহানুভূতিশীল বিভিন্ন সংগঠন, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপির একটা অংশ এবং জামায়াতে ইসলামীও সক্রিয় হয়ে ওঠে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্ক-সহ আরও কিছু গোষ্ঠী শেখ হাসিনার পতনে বিক্ষোভ-আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল। ফলে এখন আইএসআইয়ের উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা একদিকে যেমন তাদের পুরস্কৃত করা, তেমনি অন্যদিকে ঢাকার সহানুভূতিশীল শক্তিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো এবং ভারতের প্রভাব মোকাবিলা করার কৌশলগত প্রয়াস (Pakistan)।

    তিনটি মূল লক্ষ্য

    বিশ্লেষকদের মতে, এই জায়গাগুলি তিনটি মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যবহার করা হতে পারে। প্রথমত, সীমান্ত নিরাপত্তা চলাচল পর্যবেক্ষণ, দ্বিতীয়ত, সামুদ্রিক তৎপরতা নজরদারি, এবং সর্বোপরি, পাকিস্তানের স্বার্থের প্রতি সহানুভূতিশীল বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ আরও মজবুত করা। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল বিশেষ করে টেকনাফ এবং কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন এলাকাকে গোপন অপারেশনের কার্যকরী জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হয় (ISI)। নয়াদিল্লির নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মূল্যায়ন, বাংলাদেশে আইএসআইয়ের নতুন করে সক্রিয়তা শুধু ভারতের পূর্বাঞ্চল সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য জোগাড়ের উদ্দেশ্যেই নয়, বরং এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের বিকল্প পথ গড়ে তোলার একটি প্রচেষ্টাও। তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর সেখানে চলতে থাকা অপারেশনের ক্ষেত্র সংকুচিত হওয়ায়, ইসলামাবাদ বাংলাদেশের দিকে বেশি করে মনোযোগ দিচ্ছে। কারণ কৌশলগতভাবে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব অপিরসীম (Pakistan)।

    বাংলাদেশে আইএসআইয়ের কার্যকলাপ

    স্পষ্টতই, বাংলাদেশে আইএসআইয়ের কার্যকলাপের এই সম্প্রসারণ এলাকাটির গোয়েন্দা প্রেক্ষাপটে গোপন কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন এনে দিয়েছে। ভারতের জন্য এটি পূর্ব সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ প্রকৃতি, গুপ্তচরবৃত্তি ও সম্ভাব্য জঙ্গি তৎপরতা সম্পর্কে পুরানো আশঙ্কাকে নতুনভাবে সামনে নিয়ে আসছে। বাংলাদেশের কাছে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হল দ্রুত পরিবর্তনশীল আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা এবং বাইরের চাপের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখা। এই যোগাযোগ দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতায় রূপ নেবে, নাকি শুধু সতর্কতার মধ্যেই সীমিত থাকবে, তা নির্ভর করবে (ISI) ঢাকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আগামী মাসগুলিতে নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়ার ওপর (Pakistan)।

  • Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার ডেপুটি বিরোধী দলনেতা গৌরব গগৈ (Gaurav Gogoi) পাকিস্তানের এজেন্ট।” অন্তত এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। তিনি সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের এজেন্ট। তাঁর সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করুন। গৌরব গগৈ পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের নিযুক্ত চর। হ্যাঁ, আমি এ কথা বলছি একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই।”

    অভিযোগের প্রমাণও রয়েছে (Himanta Biswa Sarma)

    তিনি জানান, তাঁর কাছে এই অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণও রয়েছে। এটি যে কোনও নির্বাচনী ইস্যু নয়, তাও জানিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার মন্তব্যের পক্ষে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যেদিন আমি তা প্রকাশ করব, সেদিন মানুষ বুঝতে পারবেন যে তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট। বিদেশি শক্তি তাঁকে ভারতে নিয়োগ করেছে। আমি সব কথা প্রমাণ-সহই বলছি।” হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালে নির্বাচন রয়েছে। তা না হলে আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু এখন এমন ব্যবস্থা নিলে বিরোধীরা বলবেন, এটি নির্বাচনী ইস্যু। নইলে ওই সব প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এখন জেলেই থাকতেন।”

    রিপোর্ট জমা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, (Himanta Biswa Sarma) কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই-ঘনিষ্ঠ এক নাগরিকের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল অসম সরকার, তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সিটের রিপোর্টে পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য উন্মোচন করা হয়েছে। তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি অসম মন্ত্রিসভা পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছিল (Gaurav Gogoi)। এই তদন্তেই সিট এমন চমকপ্রদ তথ্য উদ্ঘাটন করেছে, যা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে।”

  • Pakistan Afghanistan Peace Talks: ভেস্তে গিয়েছে পাক-আফগান শান্তি আলোচনা, ভারতকে দুষছে ইসলামাবাদ

    Pakistan Afghanistan Peace Talks: ভেস্তে গিয়েছে পাক-আফগান শান্তি আলোচনা, ভারতকে দুষছে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রফাসূত্র না বেরনোয় তুরস্কে ভেস্তে গিয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের শান্তি আলোচনা (Pakistan Afghanistan Peace Talks)। এজন্য ভারতকে দুষছে শাহবাজ শরিফের দেশ। শান্তি আলোচনা (Ceasefire) বিশ বাঁও জলে চলে যাওয়ায় ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। যদিও, আলোচনার আগে অচলাবস্থায় পৌঁছানোর আসল কারণ ছিল পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলা রোধে ইসলামাবাদের অসহায়তা।

    কী বলছে কাবুলের সংবাদমাধ্যম (Pakistan Afghanistan Peace Talks)

    টোলো নিউজের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আলোচনায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেছিলেন যে আফগানিস্তান কেবল তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলার জন্য আফগান মাটি ব্যবহার রোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে যদি ইসলামাবাদ আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘন বন্ধ করে এবং মার্কিন ড্রোন ওড়ানো বন্ধ করে। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের ওই সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে যে পাকিস্তান এই শর্ত মানতে রাজি হয়নি। টোলো নিউজের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আলোচনা বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে পাঠান ও পাকিস্তানি প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে ফের আলোচনা শুরু করেছে। তুরস্কে শান্তি আলোচনার পর জানা গিয়েছিল যে একটি বিদেশি দেশ আফগান ভূখণ্ডে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করছে।

    টোলো নিউজের রিপোর্ট

    টোটো নিউজের ওই রিপোর্টে সাফ জানানো হয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই পাকিস্তান থেকে ড্রোন পরিচালনা করছে।’ কাবুলের (আফগানিস্তানের রাজধানী) সাংবাদিক তামিম বাহিস এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আফগানিস্তানের সংবাদ চ্যানেলগুলির মতে, পাকিস্তান একটি ‘বিদেশি দেশের’ সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা স্বীকার করেছে যা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে নজরদারি এবং সম্ভাব্য হামলার জন্য তার আকাশসীমায় ড্রোন পরিচালনার অনুমতি দেয়।”  এক্স হ্যান্ডেলেই টোলো নিউজের পোস্ট (Pakistan Afghanistan Peace Talks), “প্রথমবারের মতো, পাকিস্তান এই আলোচনার সময় স্বীকার করেছে যে ড্রোন হামলার অনুমতি দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি রয়েছে এবং দাবি করেছে যে তারা সেই চুক্তি ভঙ্গ করতে পারবে (Ceasefire) না।”

    ভারতের দোষ!

    সূত্রের উল্লেখ করে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “শান্তি আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা প্রাথমিকভাবে কিছু শর্ত মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু সম্ভবত পাকিস্তানের হাইকমান্ডের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর তাঁরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেন। তাঁরা বলেন, মার্কিন ড্রোনের ওপর তাঁদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই এবং আইসিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না।” রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “কাতার এবং তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীরাও পাক প্রতিনিধিদলের আচরণে অবাক হয়েছিলেন।” তার পরেও আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার দায় চাপানো হচ্ছে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন এবং ভারতের ঘাড়ে।

    পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “কাবুলের লোকেরা যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং পুতুলের নাটক করছেন, তাঁরা দিল্লির নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। যখনই আমরা কোনও চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছি (Pakistan Afghanistan Peace Talks), তখনই প্রতিনিধিরা কাবুলকে রিপোর্ট করেছেন, হস্তক্ষেপ করা হয়েছে এবং চুক্তিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে (Ceasefire)।” আসিফ যা বলেননি, তা হল পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলার বিষয়ে ফোনে কথা বলার পর পাক প্রতিনিধি দলের আচরণ কীভাবে দ্রুত বদলে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর, খাজা আসিফ ২০০১ সালের মার্কিন নেতৃত্বাধীন তোরা বোরা যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তালিবানদের হুমকিও দিয়েছিলেন।

    তালিবান শাসনকে নির্মূলের হুমকি!

    সংবাদমাধ্যমে আসিফ বলেন, “আমি তাদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, তালিবান শাসনকে নির্মূল করতে এবং তাদের গুহায় ফেরাতে সম্পূর্ণ অস্ত্রাগারের একাংশও ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই পাকিস্তানের। যদি তারা তা চায়, তাহলে তোরা বোরায় তাদের (তালিবানদের) পরাজয়ের দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হবে। তাদের লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য এই অঞ্চলের মানুষের কাছে দেখার মতো একটি দৃশ্য হবে (Pakistan Afghanistan Peace Talks)।” প্রসঙ্গত, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ইসলামাবাদ আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগত সংযোগ জোরদার করেছে (Ceasefire)। এনিয়ে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তড়িঘড়ি ওভাল অফিসে দৌড়ানোও। এই সফরে শরিফের সঙ্গে ছিলেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও।

    ট্রাম্পের হুমকি!

    তাছাড়া, ট্রাম্প প্রকাশ্যে তালিবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তান থেকে বাগরাম বিমানঘাঁটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। আফগানিস্তানকে তিনি এই বলে সতর্কও করেন যে, আমেরিকা যদি এটি পুনরুদ্ধার না করে তবে খারাপ ঘটনা ঘটবে। কূটনীতিকদের মতে, পাক-আফগান সংঘাত বন্ধ হবে তখনই, যখন আফগানিস্তান ঔপনিবেশিক ব্রিটিশদের দ্বারা টানা ডুরান্ড লাইনকে স্বীকৃতি দেবে। এই লাইনই পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে পশতুন এলাকাকে বিভক্ত করেছে। যেহেতু পাঠানরা এই লাইনকে মান্যতা দেয় না, তাই চলতেই থাকে পাক-আফগান যুদ্ধ (Pakistan Afghanistan Peace Talks)। যদিও এক্স হ্যান্ডেলে কাবুলের সাংবাদিক আলি এম লতিফি লেখেন, “পাকিস্তান স্বীকার করেছে যে তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। আসলে পাকিস্তান যে (Ceasefire) এক সময় বারাক ওবামার ড্রোন হামলার শিকার হয়েছিল।”

  • Pak Afgan Peace Talks: ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা, জানুন আসল কারণ

    Pak Afgan Peace Talks: ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা, জানুন আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা (Pak Afgan Peace Talks)। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওই আলোচনা হচ্ছিল তিন দিন ধরে। তার পরেও সমঝোতায় পৌঁছতে পারেননি দুই দেশের প্রতিনিধিরা। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় দুই দেশই একে অন্যকে দুষছে। তবে হাল ছাড়েননি তুরস্ক ও কাতারের আধিকারিকরা, যাঁরা এই আলোচনার ব্যবস্থা করেছিলেন। মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও কাজ করছেন এঁরা। ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। শাহবাজ শরিফের দেশের দাবি, তারা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান, সংক্ষেপে টিটিপির (TTP) ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ, এই টিটিপি শ’য়ে শ’য়ে পাক সেনাকে হত্যা করেছে।

    প্রতিরোধ আফগানিস্তানের (Pak Afgan Peace Talks)

    পাকিস্তান হামলা চালাতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন। তারা সীমান্তজুড়ে পাল্টা-আক্রমণ চালায়। সংবাদ মাধ্যমের খবর, লড়াই ছিল অত্যন্ত তীব্র। তালিবানের দাবি, তারা পাকিস্তানের ২০টি নিরাপত্তা চৌকি ধ্বংস করেছে, খতম করেছে ৫৮ জন পাক সেনাকে। দুই দেশের এই সংঘাত থামাতে মাঠে নেমে পড়ে পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ দেশ সৌদি আরব এবং কাতার। তাদের মধ্যস্থতায় দু’পক্ষই ১৯ অক্টোবর তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। প্রথম দফার বৈঠক হয়েছিল দোহায়। দ্বিতীয় দফার শান্তি আলোচনা হয় ইস্তাম্বুলে (Pak Afgan Peace Talks)।

    কেন ভেস্তে গেল শান্তি আলোচনা?

    কেন ভেস্তে গেল শান্তি আলোচনা? সূত্রের খবর, পাকিস্তানের দাবি ছিল, তালিবান প্রশাসন লিখিতভাবে জানাক যে তারা কড়া হাতে দমন করবে টিটিপিকে। যদিও ইস্তাম্বুলের আলোচনায় পাক প্রতিনিধি দল সাফ জানিয়ে দেয়, টিটিপি যদি পাকিস্তানে হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তানেরও অধিকার থাকবে আফগান ভূখণ্ডে পাল্টা হামলা চালানোর। তালিবান প্রশাসনের প্রতিনিধি দলও পাকিস্তানকে জানিয়ে দেয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনগুলিকে আফগানিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া অবিলম্বে (TTP) বন্ধ করতে হবে।

    আফগানিস্তানের প্রতিনিধি দল সাফ জানিয়ে দেয়, টিটিপি পাকিস্তানের একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা, আফগানিস্তানের নয়। তারা পাকিস্তানকে এই বলেও আশ্বস্ত করে যে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড অন্য কোনও দেশের ওপর আক্রমণের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের আক্রমণ শুরু করার অধিকারও তারা মেনে নেবে না। দু’পক্ষই তাদের দাবিতে অনড় থাকায় ভেস্তে যায় শান্তি আলোচনা (Pak Afgan Peace Talks)।

  • Pakistan: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ করতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত

    Pakistan: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ করতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ধারাবাহিকভাবে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘ (UNSC) দিবসের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পারভথনেনি হরিশ এই মর্মে আহ্বান জানান পাকিস্তানকে (Pakistan)।

    ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধির আহ্বান (Pakistan)

    তিনি বলেন, “আমরা পাকিস্তানকে আহ্বান জানাচ্ছি যে বেআইনিভাবে অধিকৃত এলাকাগুলিতে অনবরত যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, সেখানে জনগণ পাকিস্তানের সামরিক দখল, দমন, নিষ্ঠুরতা এবং বেআইনি সম্পদ শোষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করছে।” হরিশ এদিন আরও একবার জানিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীর সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অবিনশ্বর অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। তিনি বলেন, “আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছিল, আছে এবং চিরকাল ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও অবিনশ্বর অংশ হিসেবেই থাকবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ ভারতের সুপ্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে তাঁদের মৌলিক অধিকারগুলি ভোগ করছেন। অবশ্যই আমরা জানি, এই ধারণাগুলি পাকিস্তানের কাছে একেবারেই অচেনা।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে হরিশ জানান, অধিকৃত কাশ্মীরে নিত্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। অবৈধভাবে দখলদারির পাশাপাশি সেখানে সাধারণ মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। শাসনযন্ত্রের ওপর ক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সেই বিক্ষোভ থামাতে জনতার ওপরই খড়্গহস্ত প্রশাসন। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের, জখম শতাধিক। রাষ্ট্রসংঘে তথ্য দিয়ে শাহবাজ শরিফ সরকারকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলল ভারত।

    “বসুধৈব কুটুম্বকম”

    এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে হরিশ ভারতের “বসুধৈব কুটুম্বকম” – এই চেতনার প্রতি ভারতের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন (Pakistan)। ন্যায়বিচার, মর্যাদা ও সবার সমৃদ্ধির পক্ষে ভারতের অবস্থানও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “এটি শুধু আমাদের বিশ্বদৃষ্টির ভিত্তি নয়, বরং এটাই সেই কারণ যার জন্য ভারত সর্বদা সকল সমাজ ও জনগণের জন্য ন্যায়, মর্যাদা, সুযোগ ও সমৃদ্ধির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই কারণেই ভারত বহুপাক্ষিকতা, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ওপর আস্থা রাখে।” রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) খোলা বিতর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হরিশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে রাষ্ট্রসংঘের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এর প্রাসঙ্গিকতা, বৈধতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কার্যকারিতা নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নগুলিও স্বীকার করেন।

    রাষ্ট্রসংঘের প্রাসঙ্গিকতা

    তিনি বলেন, “যে সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম বহুপাক্ষিক সংস্থা – রাষ্ট্রসংঘের প্রাসঙ্গিকতা, বৈধতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি, সেই সময়ে এই বিতর্কের বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।” তিনি বলেন, “রাষ্ট্রসংঘ উপনিবেশমুক্তি প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি আশার আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছে। এই সংগঠনটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আশার প্রদীপ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি উপনিবেশ-মুক্তির প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, গ্লোবাল সাউথের নতুন রাষ্ট্রগুলির উদ্ভবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির উচ্চাভিলাষী মানদণ্ড নির্ধারণ করেছিল, এবং আমাদের মনোযোগকে মহামারী, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলির দিকে কেন্দ্রীভূত করেছিল (Pakistan)।”

    পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছিলেন প্রেমচন্দ্রনও

    হরিশের এহেন মন্তব্যের দিন কয়েক আগেই রাষ্ট্রসংঘের ফোর্থ কমিটির বৈঠকে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছিলেন ভারতের প্রতিনিধি কেরলের বাম সাংসদ প্রেমচন্দ্রন। হরিশের মতোই তিনিও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তানের দমন-পীড়ন নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমরা পাকিস্তানকে স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে তারা যেন অবৈধভাবে দখল করে রাখা কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা বন্ধ করে। সেখানকার মানুষ নিজেদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করছে। পাক সেনা ও তাদের সহযোগীরা সেই নিরীহ আন্দোলনকারীদের হত্যা করছে (UNSC)।” পাকিস্তানের (Pakistan) মুখোশ খুলে দিয়ে প্রেমচন্দ্রন বলেন, “পাকিস্তান হল এমন একটি দেশ, যেখানে সামরিক একনায়কতন্ত্র চলে। ভুয়ো নির্বাচন, জনপ্রিয় নেতাদের কারাদণ্ড, ধর্মীয় উগ্রবাদ, রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের জনক এই দেশ। ফলে অন্যকে জ্ঞান দেওয়া ওদের উচিত নয়। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রসংঘ সনদ কার্যকর হওয়ার বার্ষিকী হিসেবে পালিত হয়। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য-সহ অধিকাংশ স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রের দ্বারা এই প্রতিষ্ঠাতা দলিলের অনুমোদনের পর জন্ম হয় রাষ্ট্রসংঘের (Pakistan)।

  • Afghanistan: পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে কি ভারতের পথেই হাঁটতে চলেছে আফগানিস্তান?

    Afghanistan: পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে কি ভারতের পথেই হাঁটতে চলেছে আফগানিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে (Pakistan) শিক্ষা দিতে তবে কি ভারতের পথেই হাঁটতে চলেছে আফগানিস্তান (Afghanistan)? ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) দিকে জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছে কাবুলও (আফগানিস্তানের রাজধানী)। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সীমান্ত সংঘাত ও কাবুলে ইসলামাবাদের বিমান হামলার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন পাঠানরা। আফগানিস্তানের তথ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, তালিবান নেতৃত্বাধীন সরকার একটি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যাতে পাকিস্তানের দিকে জলপ্রবাহ সীমিত করা যায়।

    আফগানিস্তানের বক্তব্য (Afghanistan)

    আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা মাওলাভি হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা ঘোষণা করেছেন, তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব কুনার নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। এভাবে কাবুল তাদের জলের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই লক্ষ্য পূরণে দেশীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে বাঁধ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য দ্রুত আলোচনা চলছে বলেও আফগানিস্তানের তথ্য উপমন্ত্রী মুহাজের ফারাহী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন। আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ, “বিদেশি সংস্থার জন্য অপেক্ষা না করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেই যেন দ্রুত চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।” বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের পর এবার যদি আফগানিস্তানও জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে ঘোর বিপাকে পড়বে ভারত এবং আফগানিস্তানের এই পড়শি দেশটি। এমনিতেই দেশটি এখন দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক সংকট, বিশৃঙ্খল অভ্যন্তরীণ অবস্থা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার জালে জড়িত। এমতাবস্থায় কাবুল পদক্ষেপ করলে, ভয়ঙ্কর সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে ইসলামাবাদকে।

    পহেলগাঁওকাণ্ড

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে (Afghanistan) বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা। তার পরেই ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে হওয়া সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দেন, “রক্ত ও জল একসঙ্গে বইতে পারে না।” এর ফলে পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত জল এখন ভারতের প্রয়োজন ও নীতির ভিত্তিতে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। ভারতের এসব সিদ্ধান্তের জন্য পাকিস্তানকে কোনও জবাবদিহি করতে হয় না। ফলে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত পাকিস্তানে জলসঙ্কট, অপ্রত্যাশিত বন্যা বা খরার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

    সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। ওই চুক্তি অনুযায়ী, বিপাশা, শতদ্রু, ইরাবতীর জলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে ভারতের হাতে। আর সিদ্ধু, বিতস্তা, চন্দ্রভাগার জল ব্যবহার করতে পারবে পাকিস্তান। সিন্ধু ও তার শাখা এবং উপনদীর ৩০ শতাংশ জল ব্যবহার করতে পারবে ভারত। বাকি ৭০ শতাংশ পাবে পাকিস্তান (Pakistan)। চুক্তিতে বলা হয়েছে, সিন্ধু, বিতস্তা এবং চন্দ্রভাগা – এই তিন নদীর জল সেচের কাজের পাশাপাশি নৌ চলাচল, মাছ চাষ, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করতে পারবে ভারত। পাকিস্তানের হুঁশিয়ারির পরেও (Afghanistan) এই চুক্তি ফের লাগু করেনি ভারত।

    কুনার নদী

    এদিকে, ৪৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ কুনার নদীর উৎপত্তি আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায়। এই পর্বতমালা আবার রয়েছে পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি। নদীটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। এই পাকিস্তানের জালালাবাদ শহরে নদীটি কাবুল নদীর সঙ্গে মিশেছে। তার পর কাবুল নদী পাকিস্তানের অ্যাটক শহরের কাছে সিন্ধু নদের সঙ্গে মিশেছে। পাকিস্তানে কুনার নদীকে “চিত্রাল নদী” নামে ডাকা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই নদী আফগান-পাকদের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কাবুল নদীতে জলের জোগান দিয়ে থাকে এই কুনার নদীই। এই জল কেবল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেই নয়, পাঞ্জাব প্রদেশেও কৃষি এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। আফগান সাংবাদিক সামি ইউসুফজাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “কাবুল এবং কুনার নদী পাকিস্তানের জলের অন্যতম উৎস (Pakistan)।”

    তালিবান সরকারের অগ্রাধিকার

    কাবুলে প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়ার পর তালিবান সরকার তাদের দেশের নদী ও জলবিদ্যুৎ সম্পদের ওপর সার্বভৌমত্বকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হল (Afghanistan), জ্বালানি, কৃষি ও সেচ ব্যবস্থায় আত্মনির্ভরতা অর্জন করা এবং প্রতিবেশী দেশগুলির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো। ভারত ও পাকিস্তানের মতো ইসলামাবাদ (Pakistan) এবং কাবুলের মধ্যেও কোনও দ্বিপাক্ষিক নদীজল বণ্টন চুক্তি। ফলে আফগানিস্তানের পক্ষে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হবে। তবে কাবুলের সাম্প্রতিক এই অবস্থান নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের জন্য একাধিক দিক থেকে জলসঙ্কট সৃষ্টি করবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক সঙ্কট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় জর্জরিত দেশটি, নিজেদের ভুল নীতি ও জঙ্গি কার্যকলাপের জেরে এখন নয়া জলসংঘাতের মুখোমুখি হতে চলেছে (Afghanistan)।

  • ISI: আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার মঙ্গত

    ISI: আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার মঙ্গত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) হয়ে চরবৃত্তির (Spy) অভিযোগে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার বছর বত্রিশের মঙ্গত সিং। তদন্তের পর ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় তাকে গ্রেফতার করে রাজস্থান পুলিশের সিআইডি। মঙ্গত আলওয়ারের গোবিন্দগড়ের বাসিন্দা। আলওয়ারের সেনানিবাস এলাকার ওপর নজরদারির সময় প্রথম মঙ্গতের কার্যকলাপ সন্দেহজনক বলে মনে করেন আধিকারিকরা। তাঁরা লক্ষ্য করেন, সে দীর্ঘদিন ধরে কিছু সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত। এর পরেই কর্তৃপক্ষ তার ওপর নজরদারি করতে শুরু করেন। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, মঙ্গত নিয়মিতভাবে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত।

    ঈশা শর্মার ফাঁদে মঙ্গত (ISI)

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঈশা শর্মা নামে এক মহিলার পরিচয়ে কাজ করত পাক গুপ্তচর সংস্থার এক কর্মী। তারই ফাঁদে পড়েছিল মঙ্গত। বিপুল টাকার টোপও দেওয়া হয় তাকে। রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মঙ্গত আলওয়ার সেনা ক্যান্টনমেন্ট ও তার আশপাশের এলাকার ছবি এবং সামরিক তথ্য নিয়মিত তুলে দিত পাক গুপ্তচর সংস্থার হাতে। অপারেশন সিঁদুরের সময় থেকেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কেন্দ্রগুলির পাশে নজরদারি শুরু করেছিল সেনা ও পুলিশ।

    মঙ্গতের ওপর নজরদারি

    সেই সময়ই মঙ্গতের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। নজরদারি শুরু করে পুলিশ। মঙ্গতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই অভিযানে নামে রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স) রাজেশ মিল বলেন, “গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্তও পাক হ্যান্ডলারদের ছবি ও তথ্য পাঠিয়েছে মঙ্গত (Spy)। পাকিস্তানের দুটো নম্বরে নিয়মিত ফোন করত। সামরিক তথ্য পাচার করে প্রচুর টাকাও পেয়েছে। তার লেনদেনের উৎস খুঁজে দেখা হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, জয়পুরের সেন্ট্রাল ইন্টারোগেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে মঙ্গতকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্রও মিলেছে (ISI)।

    প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে পাক চর সন্দেহে অন্তত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের। এদের মধ্যে যেমন ছিলেন ইঞ্জিনিয়র, তেমনই ছিলেন নেটপ্রভাবী, সিআরপিএফ জওয়ান-সহ নানা পেশার মানুষ (ISI)।

  • India: ‘‘যারা ১৯৭১ সালে ৪ লক্ষ মহিলাকে গণধর্ষণ করেছিল…’’, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত

    India: ‘‘যারা ১৯৭১ সালে ৪ লক্ষ মহিলাকে গণধর্ষণ করেছিল…’’, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে একেবারে ধুয়ে দিল ভারত (India)। নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করেছিল পাকিস্তান। তারই জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে একহাত নেন ভারতের প্রতিনিধি। তামাম বিশ্বকে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলামাবাদের অনুমোদিত ৪ লাখ মহিলার ওপর সংঘটিত গণধর্ষণ অভিযানের কথা। ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক’ আলোচনার সময় এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয় ভারতের তরফে।

    পাকিস্তানের মিথ্যাপূর্ণ তথ্যের কড়া সমালোচনা (India)

    বিতর্ক সভায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত পর্বতনেনি হরিশ পাকিস্তানের মিথ্যাপূর্ণ তথ্যের কড়া সমালোচনা করেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চকে অপব্যবহার করে প্রচার চালানোর অভিযোগও তোলেন তিনি। হরিশ বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত প্রতি বছরই আমাদের আমার দেশকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানের এই ভ্রান্তিপূর্ণ বিষোদ্গার শুনতে হয়, বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে — যে ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রতি তারা লোভাতুর দৃষ্টি দেয় সর্বক্ষণ।” তিনি বলেন, “এটাই সেই দেশ যারা ১৯৭১ সালে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ পরিচালনা করেছিল এবং নিজেদের সেনাবাহিনী দিয়ে ৪ লক্ষ মহিলা নাগরিকের ওপর পরিকল্পিত গণধর্ষণ চালিয়ে এক গণহত্যার অভিযানে অনুমোদন দিয়েছিল। বিশ্ব পাকিস্তানের এই প্রচারের ভেতরটা স্পষ্টভাবেই দেখতে পায় (UNSC)।”

    পাকিস্তান নিজেদের জনগণকে বোমা মারে

    হরিশ পাকিস্তানকে এমন একটি দেশ হিসেবে বর্ণনা করেন, যেখানে তারা নিজেদের জনগণকে বোমা মারে এবং পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালায়। তিনি আরও বলেন, “ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক সমাজের নজর ঘোরাতে ভুল দিকনির্দেশনা করছে, করছে অতিরঞ্জনও। এভাবেই তারা তাদের দোষ আড়াল করার চেষ্টা করছে (India)।” ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত হরিশ বলেন, যে দেশ নিজের নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণ করে এবং গণহত্যা চালায়, সেই দেশ মানবাধিকারের নামে মুখ খোলার যোগ্যই নয়। রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী মিশনের কাউন্সিলর সাইমা সেলিম অভিযোগ করেন, কাশ্মীরি নারীরা কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত যৌন হিংসার শিকার হয়ে আসছেন। তাঁর বক্তব্য, ভবিষ্যতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) প্রতিবেদনগুলিতে কাশ্মীরি নারীদের দুর্দশা প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

    বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বক্তব্য

    পাকিস্তানের এহেন অভিযোগ খারিজ করে দেন ভারতের রাষ্ট্রদূত। তিনি রাষ্ট্রসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে ভারতের দীর্ঘদিনের অবদান ও শান্তির অপরিহার্য প্রতিনিধি হিসেবে নারীদের প্রাথমিক স্বীকৃতির কথা তুলে ধরেন (UNSC)। উদাহরণ হিসেবে তিনি ছয়ের দশকে কঙ্গোয় ভারতীয় নারী চিকিৎসক আধিকারিকের নিয়োগের ঘটনাটিরও উল্লেখ করেন (India)। কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের চিরাচরিত অভিযোগেরও কঠোর প্রতিবাদ করেন হরিশ। তিনি বলেন, প্রতি বছর পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বক্তব্য পেশ করে। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। হরিশ বলেন, পাকিস্তান অধিকার নিয়ে নানা কথা বলে। অথচ নিজের দেশেই বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যায়। তিনি মনে করিয়ে দেন, গত মাসে পাক সেনা কীভাবে খাইবার পাখতুনখোয়ায় বোমাবর্ষণ করেছিল। নারী, শিশু নির্বিশেষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে সেই হিংসায়। এর পরেই হরিশ বলেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, চিরকালই থাকবে। কারও অতিরঞ্জিত বক্তব্য এখানে ছাপ ফেলতে পারবে না (India)।

    সাইমা সালেমের বক্তব্য

    পাক কূটনীতিবিদ সাইমা সালেম সভায় অভিযোগ করেছিলেন যে, কাশ্মীরি মহিলারা কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। তাঁর সেই বক্তব্যের জবাবে ভারতীয় প্রতিনিধি বলেন, যে দেশ নারী, শান্তি ও নিরাপত্তার নামে কুমিরের কান্না কাঁদে, তারাই সেনাবাহিনীর ইতিহাসে সব চেয়ে বর্বর যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটিয়েছে (UNSC)। পাকিস্তান নারী সুরক্ষার কথা বলার আগে নিজের অতীতের দিকে তাকাক। তিনি বলেন, নারীর অধিকার ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে তাদের রেকর্ড নিষ্কলঙ্ক ও অক্ষত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার মিথ্যে প্রচার চালিয়ে পাকিস্তান বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সার্চলাইটের নামে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ) অত্যাচার চালিয়েছিল তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান (অধুনা পাকিস্তান)। সেবার পাক সেনা হত্যা করেছিল তিন লাখেরও বেশি বাঙালিকে। শুধু তাই নয়, প্রায় চার লাখ মহিলাকে পাকিস্তানি সেনার ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল (India)। পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সহায়তায় জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের (UNSC)।

  • Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার পর কিছুদিন ভয়ে গুটিয়ে ছিল জঙ্গিরা। অভিযোগ, পাকিস্তানের মদত পেয়ে তারা ফের মাথা তুলেছে। ওই অভিযানে পাক পাঞ্জাবের মুরিদকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar E Taibas) সদর দফতর মার্কাজ তায়েবা। ধ্বংসপ্রাপ্ত সেই সদর দফতর পুনর্নিমাণে ফের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠন। এই তথ্য জানা গিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে প্রাপ্ত একটি রিপোর্টে।

    অপারেশন সিঁদুর (Lashkar E Taibas)

    পাকিস্তানের সময় অনুযায়ী, ওই দিন রাত ১২টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ভারতীয় মিরাজ বিমান পাঞ্জাব প্রদেশের গভীরে ঢুকে মার্কাজ তায়েবা ক্যাম্পাসের ১.০৯ একর এলাকায় তিনটি প্রধান কাঠামোর ওপর বিমান হামলা চালায়। টার্গেটে ছিল, একটি লাল রংয়ের বহুতল ভবন, যেটি ব্যবহৃত হত ক্যাডারদের ব্যবস্থাপনা ও অস্ত্রসংগ্রহের জন্য, এবং হলুদ রংয়ের দুটি ভবন যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত এবং সংগঠনের সিনিয়র কমান্ডারদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হত। অপারেশন সিঁদুরের জেরে ওই তিনটি ভবনেরই ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই হামলা লস্করের পরিকাঠামোর ওপর ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর সব চেয়ে বিধ্বংসী আঘাত। সূত্রের খবর, ১৮ অগাস্ট লস্কর-ই-তৈবা ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করে ধ্বংসাবশেষগুলি সরিয়ে ফেলে। লস্করের ক্যাডারদের দেখা গিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সরানোর তদারকি করতে।

    পুনর্নির্মিত ভবনের উদ্বোধন ফেব্রুয়ারিতে!

    সূত্রের খবর, বর্তমানে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নজর আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির দিকে। ফি বছর এই দিনটি পালিত হয় ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে। এই দিনেই উদ্বোধন করা হতে পারে পুনর্নির্মিত ভবনের। এদিনই হতে পারে লস্করের বার্ষিক সম্মেলনও। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পুনর্নির্মিত মার্কাজ ফের প্রশিক্ষণ, আদর্শায়ন এবং অপারেশনাল পরিকল্পনার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। সদর দফতর পুনর্নির্মাণের কাজ ব্যক্তিগতভাবে তত্ত্ববধান করছেন মাওলানা আবু জার। তিনি মার্কাজ তৈবার পরিচালক এবং লস্করের প্রধান প্রশিক্ষক। তিনি উস্তাদ উল মুজাহিদ্দিন হিসেবেও পরিচিত। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ইউনূস শাহ বুখারিও। অপারেশনাল তত্ত্বাবধানে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বুখারি (Lashkar E Taibas)।

    জঙ্গি গোষ্ঠীটির অস্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    জানা গিয়েছে, এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি অস্থায়ীভাবে তাদের প্রশিক্ষণ শাখাগুলিকে বাহাওয়ালপুরের মারকাজ আকসায় এবং পরে কাসুর জেলার পাটোকির মারকাজ ইয়ারমুকে স্থানান্তরিত করেছে (Operation Sindoor)। এর নেতৃত্বে ছিলেন উপ-প্রধান সাইফুল্লাহ কাসুরির বিশ্বস্ত সহযোগী আবদুল রশিদ মহসিন। ডসিয়ার অনুসারে, ইসলামাবাদ প্রকাশ্যে লস্কর-ই-তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) ধ্বংস হওয়া কার্যালয়গুলির জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এগুলিই ধ্বংস হয়েছিল অপারেশন সিন্দুরে। অগাস্ট মাসে লস্কর-ই-তৈবা পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা পেয়েছে। অনুমান, ওই ভবনগুলি তৈরি করতে খরচ হবে ১৫ কোটি টাকারও বেশি। এই আর্থিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বন্যা ত্রাণ কর্মসূচি তহবিলের আড়ালে অর্থ সংগ্রহ করেছে লস্কর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানের এহেন আচরণ মুখোশ খুলে দিয়েছে ইসলামাবাদের ভন্ডামির। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা দাবি করছে, পাকিস্তান উগ্রপন্থার শিকার, যদিও রাষ্ট্র স্বয়ং অর্থায়ন করে চলেছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে (Lashkar E Taibas)।

    পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    ২০০৫ সালে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) ভূমিকম্পের পরে লস্কর (সেই সময় জামাত-উদ-দাওয়া নামে পরিচিত ছিল) মানবিক সাহায্যের নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। পরবর্তীকালে জানা যায় যে, সংগৃহীত অর্থের  ৮০ শতাংশই জঙ্গিঘাঁটি গড়তে খরচ করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতলি অঞ্চলে অবস্থিত মার্কাজ আব্বাস নির্মাণও ছিল, অপারেশেন সিঁদুরে যেটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত সাফল্যের পরেও, লস্করের দ্রুত উত্থান তার মজবুত সংগঠনেরই প্রমাণ দেয়, যে গোষ্ঠীতে নিয়মিত অর্থায়ন করে চলে রাষ্ট্র নিজে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মার্কাজ পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করেছে (Operation Sindoor)। এটি প্রতিরোধ ও প্রচারের কাজ করবে। নিশ্চিত করবে পাকিস্তানের ভারতের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে তার কেন্দ্রীয় ভূমিকা। লস্করের প্রক্সি ফ্রন্টগুলির বিস্তার দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট, কাশ্মীর টাইগার্স এবং মাউন্টেন ওয়ারিওর্স অফ কাশ্মীর – একদিকে যেমন পাকিস্তানকে অস্বীকার করার সুযোগ করে দেয়, তেমনি অন্য দিকে ভারত-বিরোধী হিংসার ধারাবাহিকতাকে নিশ্চিত করে (Lashkar E Taibas)।

    ইসলামাবাদের অর্থায়ন

    মুরিদকের এই ঘটনা পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ও জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যের গভীর সম্পর্কের সুস্পষ্ট নিদর্শন। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করার বদলে, ইসলামাবাদের অর্থায়ন, সাহায্য এবং উদাসীনতা নিশ্চিত করে যে লস্করের মতো গোষ্ঠীগুলি শুধু টিকে থাকবে না, বরং আরও ডালপালা বিস্তার করবে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার দিন পনেরো পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত (Lashkar E Taibas)।

  • India: যৌন হিংসা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত, স্মরণ করানো হল ’৭১-এর অপরাধের রেকর্ড

    India: যৌন হিংসা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত, স্মরণ করানো হল ’৭১-এর অপরাধের রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে (Pakistan) ধুয়ে দিল ভারত (India)। ইসলামাবাদের অভিযোগ ছিল, জম্মু-কাশ্মীরে মহিলাদের যৌন হিংসার শিকার হতে হচ্ছে। এর পরেই ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারত তার প্রতিবেশী দেশকে তাদের নিজেদেরই মহিলাদের বিরুদ্ধে নিন্দনীয় অপরাধের রেকর্ড স্মরণ করিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন হিংসার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় কূটনীতিক এলডোস ম্যাথিউ পুন্নোস স্পষ্ট করে দেন, পাকিস্তানের অন্যদের নীতি শেখানোর কোনও নৈতিক অধিকারই নেই। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে পূর্বতন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) লাখ লাখ নারীর ওপর পাক সেনাবাহিনী যে ভয়াবহ যৌন হিংসা চালিয়েছিল, তা এক লজ্জাজনক ইতিহাস।” রাষ্ট্রসংঘে ভারতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স পুন্নোস বলেন, “পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী ও কিশোরীরা আজও অপহরণ, পাচার, জোরপূর্বক বিয়ে এবং ধর্মান্তরের শিকার হচ্ছেন। দেশের বিচারব্যবস্থাও এই নারীর প্রতি অপরাধগুলিকে বৈধতা দেয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “এটি কতটা বিদ্রূপাত্মক যে যারা এসব অপরাধ করছে, তারাই এখন ন্যায়বিচারের রক্ষক সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের দ্বিচারিতা ও ভণ্ডামি নিজেরাই প্রমাণ করে দিচ্ছে।”

    পুন্নুসের বক্তব্য (India)

    ২০২৪ সালে সাসটেনেবল সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরে পাকিস্তানে ২৪,০০০-রও বেশি অপহরণ ও কিডন্যাপের ঘটনা, ৫,০০০টি ধর্ষণের ঘটনা এবং ৫০০টি “অপমানজনক” হত্যার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। সিন্ধ প্রদেশে বহু ভুক্তভোগী ছিলেন হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিশোরী, যাদের জোরপূর্বক বিয়ে ও ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। পুন্নুস (India) বলেন, “বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে আইনি সহায়তা পর্যন্ত সর্বাত্মক সহায়তা প্রয়োজন। সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন হিংসার নৃশংস কার্যকলাপে যুক্ত অপরাধীদের (Pakistan) কঠোরতম ভাষায় নিন্দা জানাতে হবে এবং ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে হবে।” তিনি বলেন, “লিঙ্গভিত্তিক হিংসার মোকাবিলায় ভারত দেশীয় পর্যায়ে যেমন কাজ করছে, তেমনি বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা মিশনগুলিতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।” তিনি জানান, যৌন শোষণ ও নির্যাতনের শিকারদের সাহায্যে রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিবের ট্রাস্ট ফান্ডে অবদান রাখা প্রথম দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। এছাড়া ২০১৭ সালে ভারত রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে স্বেচ্ছায় একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে এ ধরনের অপরাধ নির্মূল করা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে (India) রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যকলাপে যৌন শোষণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের সার্কেলে যুক্ত হয়েছে ভারত। পুন্নোস মনে করিয়ে দেন, ভারত ২০০৭ সালে লাইবেরিয়ায় প্রথম সর্বমহিলা পুলিশ ইউনিট পাঠিয়েছিল এবং এখনও রাষ্ট্রসংঘের মিশনে নারী কন্টিনজেন্ট পাঠিয়ে আসছে। তিনি বলেন, এই দলগুলি স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং লিঙ্গ-সংবেদনশীল বিষয়গুলির (Pakistan) সমাধান করতে অসাধারণভাবে সফল হয়েছে” (India)।

LinkedIn
Share