Tag: Pakistan army

Pakistan army

  • Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭-৮ মে মধ্যরাতের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি এবং আখনুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে পাক সেনারা (Pakistan Army) ছোট অস্ত্র ও কামানের গোলা দিয়ে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই গোলাবর্ষণ শুরু করেছে (LOC)। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, পাক সেনা হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও।

    পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণ (Pakistan Army)

    এদিকে, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় এক জওয়ানও শহিদ হন। ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমার মঙ্গলবার গভীর রাতের গোলাবর্ষণে নিহত হন। হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে লেখা হয়েছে, “জিওসি এবং হোয়াইটনাইট কোরের সকল সদস্যরা ৫ ফিল্ড রেজিমেন্টের ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমারের সর্বোচ্চ ত্যাগকে স্যালুট জানাচ্ছেন, যিনি ৭ মে ২৫ তারিখে পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। পুঞ্চ সেক্টরে নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার সকল শিকার ব্যক্তির সঙ্গেও আমরা সংহতি প্রকাশ করছি।” জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৬ মে রাতে তাংধর এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অসামরিক এলাকাগুলিতে গোলাবর্ষণ শুরু করে এবং ৭ মে পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখে। এই গোলাবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন সাধারণ কাশ্মিরীর মৃত্যু হয়েছে। বহু ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক স্থানীয় বাসিন্দাকে পালাতে বাধ্য করা হন।

    ভারতীয় সেনার পাশে স্থানীয়রা

    স্থানীয়রা দৃঢ়ভাবে অটল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সিঁদুরের প্রতি সমর্থন জানান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা (Pakistan Army)। তারই পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে উদ্যোগী হয় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপারেশন সিঁদুরের পরেও বুধবার পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। এদিনও অসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় স্থানীয়দের মধ্যে। পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে অভিযানের পরেও গোলাবর্ষণের খবর মিলেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা এই জায়গা ছেড়ে যাব না এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন করব। যুদ্ধবিরতি আজও লঙ্ঘন হতে পারে। এই অভিযান একটি যথোপযুক্ত জবাব। আমরা এখান থেকে মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে নিয়েছি, কিন্তু পুরুষরা এখানেই থাকব (LOC)।”

  • Pakistan: ইস্তফা দিচ্ছে জওয়ানরা, সৈন্য খুঁজতে শশব্যস্ত পাকিস্তান, দৈনিক রোজে চলছে আম আদমি নিয়োগ

    Pakistan: ইস্তফা দিচ্ছে জওয়ানরা, সৈন্য খুঁজতে শশব্যস্ত পাকিস্তান, দৈনিক রোজে চলছে আম আদমি নিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে টানা ১০ দিন ধরে বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলিও চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনারা (Pakistan)। পাল্টা জবাবও দিচ্ছে ভারত। এবার পাকিস্তানের কার্যকলাপের আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আম জনতাকে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তান। বেতন নয়, দৈনিক রোজের ভিত্তিতেই এদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই এনিয়ে কটাক্ষের সুরে বলছেন, এবার কি তবে ১০০ দিনের কাজের মতো জওয়ান নিয়োগ করবে পাকিস্তান? প্রসঙ্গত, রবিবারই ফাঁস হয়েছিল পাকিস্তানের সেনা প্রধানকে পাঠানো একটি গোপন চিঠি। যেখানেই উঠে আসে পাক সেনার অভাবের চিত্র। সেনার হাত খরচ থেকে খাদ্য এমনকি অস্ত্র ভাণ্ডারেও ঘাটতি রয়েছে বলে সেনা প্রধানকে সেই চিঠিতে জানিয়েছিলেন এক সেনাকর্তা।

    অধিকৃত কাশ্মীরের সুধানৌতি এলাকায় সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাক সেনা

    জানা যাচ্ছে, অধিকৃত কাশ্মীরে (Pakistan) অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করে দিল পাক সেনা। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সুধানৌতি এলাকায় চলছে এই অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। তদারকি করছে পাক সেনাবাহিনী। যুদ্ধের আবহে একেবারে সাধারণ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে এই প্রশিক্ষণ। তাও আবার দৈনিক রোজের লোভ দেখিয়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় সীমান্তের পাখতুনখাওয়া সহ পার্বত্য অংশের সীমান্তের দায়িত্বে থাকা একাধিক ফ্রন্টিয়ার থেকে একাধিক সেনা জওয়ান ইস্তফা দিয়েছে বলে খবর। সেনা খুঁজতে তাই শশব্যস্ত পাকিস্তান। তাই নিয়োগ নয়, একেবারে স্থানীয় এলাকা থেকেই লোক টানতে চাইছে পাকিস্তান (Pakistan)। নিয়োগের শর্তে পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছে, এই নিয়োগ আসলে চুক্তিভিত্তিক। কোনও স্থায়ীপত্র পাওয়া যাবে না। সম্প্রতি, মানসিক চাপ ও অন্যান্য কারণ দেখিয়ে পাক সেনা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বা ছুটিতে গিয়েছেন এমন জওয়ানের সংখ্যা কয়েক হাজার। এই জওয়ানদের ধরে রাখতে আবার ১৯৫২ সালের সেনা আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে পাকিস্তান। এবার সেনার ঘাটতি মেটাতে সাধারণ মানুষকেই যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান। সামান্য টাকার বিনিময়ে।

    ভারতের ভয়ে খাদ্য মজুদ করছে পাকিস্তান (Pakistan)

    ভারত যে প্রত্যাঘাত করবেই একথা একেবারে বুঝে গিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের যুদ্ধ মহড়া থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদির তরফ থেকে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া- এসব কিছু থেকেই ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা করছে পাকিস্তান (Pakistan Army)। এই আবহে অধিকৃত কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ চৌধরি আনোয়ার-উল হকের সরকার বেজায় চাপে পড়েছে। অর্থসংকটে ভোগা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই মাসের জন্য খাবারের জোগান রাখার কথা বলে দিয়েছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক নিজে বিধানসভায় জানিয়েছেন, ১৩টি নির্বাচনী এলাকায় দুই মাসের জন্য খাদ্য মজুত রাখতে হবে। জানা যাচ্ছে, এর জন্য এক অর্থ কোটি টাকার জরুরি তহবিলও গঠন করা হয়েছে।

    ভীত পাকিস্তান, অধিকৃত কাশ্মীরে বন্ধ হাজারের বেশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

    পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গলাতেও ভেসে এসেছে যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগের সুর। একাধিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ আছে যে ভারত আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে এতটাই ভয় পেয়েছে পাকিস্তান যে পিওকে-র কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার ১ মে থেকে ১০০০-এর বেশি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। দেশে খাদ্য সংকট, ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়, সেনার অভাব এগুলি তো রয়েছেই। একইসঙ্গে রয়েছে পাকিস্তানের ফাঁকা আওয়াজ। সম্প্রতি, সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। পাক সেনাপ্রধান এনিয়েই হুমকি দিচ্ছে, ভারত যদি সিন্ধুর জল আটকাতে কোনও কিছু নির্মাণ করে, তবে পাল্টা আক্রমণ করবে পাকিস্তান। পাক সেনা প্রধানের আরও হুমকি, ভারতের কোনও সেনা যদি দুঃসাহস করে, তাহলে নাকি কড়া জবাব দেওয়া হবে পাকিস্তানের তরফ থেকে।

    বিলাবলের ফাঁকা আওয়াজ

    একই সুরে প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গিয়েছে ভারত বিদ্বেষী সুর। সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্রবের বিষয়টি মেনে নিয়ে বিলাবল জারদারি ভুট্টো বলেছেন, ‘‘যদি ওরা (ভারত) সিন্ধুতে হামলা করে, ওরাও জানে, হয় এই সিন্ধু দিয়ে জল বয়ে যাবে, নইলে রক্ত বইবে।’’ বিলাবলের হুঁশিয়ারি, ‘‘ধমকি দিলে আমরাও যুদ্ধের জন্য তৈরি। তার জন্য চরম সীমায় যেতেও প্রস্তুত।’’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘অতীতে প্রতিটা যুদ্ধতেই ভারতের কাছে গোহারা ভাবে হেরেছে পাকিস্তান (Pakistan)। সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সরাসরি যুদ্ধের হিম্মত তাদের নেই। নেতা-মন্ত্রীরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন অন্যদিকে সেনা ইস্তফা দিচ্ছে। যুদ্ধের ময়দানে অসামরিক নাগরিকদের ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান।’’

  • Igla-S Missile: নিশানায় পাকিস্তান! ভারতের হাতে রাশিয়ার নয়া ইগলা-এস, হাতে করেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র

    Igla-S Missile: নিশানায় পাকিস্তান! ভারতের হাতে রাশিয়ার নয়া ইগলা-এস, হাতে করেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের হাতে এসে গেল ‘ইগলা-এস’ ক্ষেপণাস্ত্র (Igla-S Missiles)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জরুরি ভিত্তিতে সেনার জন্য রাশিয়ার নির্মিত এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইলের অর্ডার দেয়। সেই মতো, বেশ কিছুদিন আগেই ভারতীয় সেনা হাতে পেয়ে গেল নতুন এই মিসাইল। যার জন্য মোদি সরকারের খরচ হল ২৬০ কোটি টাকা। রাশিয়ায় তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে আসায় আকাশপথে হামলার বিরুদ্ধে এক লাফে অনেকটা শক্তিশালী হল ভারতের ঢাল।

    যুদ্ধবিমান, ড্রোন লক্ষ্য করে নির্ভুল আঘাত

    রাশিয়ায় তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র সহজেই বহন করা যায়। এটি নিক্ষেপ করার জন্য কোনও বিশেষ প্ল্যাটফর্মও লাগে না। কোনও ব্যক্তি কাঁধে করেই এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারবেন। নীচ দিয়ে ওড়া যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং হেলিকপ্টারগুলিকে নির্ভুল ভাবে আঘাত করার মতো করেই নকশা করা হয়েছে ‘ইগলা-এস’ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি (Igla-S missiles)। সম্প্রতি এই অতি স্বল্প পাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাতে এসেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। এর জন্য জরুরি ক্রয় ক্ষমতার অধীনে রাশিয়ার সঙ্গে ২৬০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে এসেছে ইগলা-এস বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন সরবরাহ। শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন হুমকির মোকাবিলা করার জন্য এগুলি সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন সেনা সদস্যদের দেওয়া হচ্ছে।

    কীভাবে কাজ করে

    নতুন এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম ভারতীয় সেনা কাঁধে চাপিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে বয়ে নিয়ে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে বাঁধলে যদি পাক যুদ্ধবিমান, ড্রোন বা চপার সীমান্তের কাছাকাছি চলে আসে তাহলে কাঁধে চাপিয়ে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে মিসাইল ফায়ার করা যায়। বহুদিন ধরেই বিশ্বের নানা প্রান্তে এই মিসাইল সিস্টেমের ব্যাপক কদর রয়েছে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা এটি পোর্টেবল, শোল্ডার লঞ্চড সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম। আকাশে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে একবার ‘লক’ করতে পারলে সিস্টেমের ইনফ্রারেড টার্গেটের হিট সিগনেচার লক্ষ্য করে ধেয়ে যায়। ৮ কিলোমিটার দূরের ও প্রায় ৪ কিলোমিটার উপরের উড়ন্ত টার্গেটকেও নিখুঁত নিশানায় আঘাত করে নিকেশ করতে পারে।

    সহজে বহনযোগ্য, দুর্গম এলাকায়ও নিয়ে যাওয়া যায়

    এটি একটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (Igla-S missiles) বা ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। ‘ইনফ্রারেড হোমিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনও বস্তুর ‘হিট সিগনেচার’ শনাক্ত করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। তার পর সেটিতে নির্ভুল ভাবে আঘাত হানতে পারে। এছাড়া সহজে বহনযোগ্য বলে, দুর্গম এলাকায় যেখানে বড় মাপের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব, সেই সমস্ত ক্ষেত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্র খুবই কাজে আসবে। একবার নিক্ষেপ করা হলে, লক্ষ্যবস্তুর ইঞ্জিনের তাপকে অনুসরণ করে সেটিতে আঘাত করে ক্ষেপণাস্ত্রটি। ফলে ড্রোন বা হেলিকপ্টারের মতো ছোটমাপের এবং দ্রুতগতির আকাশযানের বিরুদ্ধেও এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কার্যকর।

    ইগলা সিরিজের মিসাইল নতুন নয়, আরও আধুনিক

    ১৯৯০-থেকেই দেশে বিদেশে অনেক যুদ্ধে রুশ নির্মিত ইগলা সিরিজের মিসাইল (Igla-S missiles) ব্যবহার হয়। ‘ইগলা-এস’ হল একটি উন্নততর সংস্করণ। উড়ন্ত ড্রোন, চপার বা যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন থেকে বেরোনো তাপমাত্রাকে লক্ষ্য করে আঘাত হানে বলে ব্যর্থতার হার প্রায় শূন্য শতাংশ। ভারতীয় সেনা ওয়েস্টার্ন সেক্টরে অর্থাৎ পাক সীমান্তের কাছে এই সিস্টেম মোতায়েন করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে যে সমস্ত ইগলা ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, এক দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার মাধ্যমে সেগুলিরও কর্মক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।

    পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর গুরুত্বপূর্ণ ইগলা-এস

    পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর নতুন ইগলা-এস সিস্টেমগুলিকে এখন দ্রুত পাক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী (India Pakistan Conflict) এবং আইএসআই ক্রমে হামলার জন্য ড্রোনের ব্যবহার বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইগলা-এসের মতো স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ভারতের আকাশসীমা সুরক্ষিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই পাশাপাশি, সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে দেশি প্রযুক্তিতে নির্মিত মার্ক ওয়ান ইন্টিগ্রেটেড ড্রোন ডিটেকশন ও ইন্টারডিকশন সিস্টেমও। সম্প্ৰতি জম্মুতে সেনার ১৬ কোর-এর এলাকায় এই ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করেই পাক ড্রোন নামিয়েছে সেনা। যুদ্ধক্ষেত্রে এই মিসাইলের কদর ও সক্ষমতা এতটাই যে ভারতীয় বায়ুসেনাও ইনফ্রারেড নির্ভর এই একই মিসাইলের জন্য দরপত্র জারি করেছে। পাশাপাশি, পদাতিক বাহিনী আরও ৪৮টি লঞ্চার ও ৯০টি ইনফ্রারেড নির্ভর মিসাইলের নতুন বরাত দিয়েছে। সেগুলিও দ্রুতই চলে আসবে।

  • Pahalgam Attack: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান! পাক সেনায় বিদ্রোহ, গণ ইস্তফার হিড়িক

    Pahalgam Attack: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান! পাক সেনায় বিদ্রোহ, গণ ইস্তফার হিড়িক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে পাক সেনায় বিদ্রোহের খবর মিলেছে! বুধবার মধ্যরাতে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত আক্রমণ করবেই। এর পরেই একাধিক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেনাপ্রধান মুনিরকে ঘিরে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে সেদেশে। সূত্রের খবর, পাক সেনায় গণ-ইস্তফার হিড়িক লেগে গিয়েছে। ইতিমধ্যে, ২৫০ অফিসার ও সাড়ে ৪ হাজার জওয়ান ছুটি চেয়েছেন বা ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পাক প্রশাসন। ইস্তফা রুখতে জরুরি নির্দেশ জারি করেছে সেনা-আইএসআই। এদিকে, আকাশপথে ভারত আক্রমণ করতে পারে ধরে নিয়েই, সীমান্তে রেডার সিস্টেম বসিয়েছে (Pahalgam Attack) পাকিস্তান।

    ইস্তফার কারণ হিসেবে অনেকেই অসুস্থতা ও মানসিক চাপকে দেখিয়েছেন

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই বিপুল সংখ্যক পদত্যাগের ফলে প্রচুর সামরিক পদ পাকিস্তানে খালি হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই সৈন্যদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত তাদের দ্বাদশ কোরের ২০০ জন অফিসার এবং ৬০০ জন সৈন্য পদত্যাগ করেছেন (Pahalgam Attack) বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে নর্দার্ন কমান্ড এরিয়ায় ১০০ জনেরও বেশি অফিসার এবং ৫০০ জন সৈন্য পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মঙ্গল কোরের ৭৫ জন অফিসার এবং ৫০০ জনেরও বেশি সৈন্য পদত্যাগ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার আধিকারিকরাও ইস্তফা দিচ্ছেন। ইস্তফার কারণ হিসেবে অনেকেই অসুস্থতা ও মানসিক চাপকে দেখিয়েছেন।

    ভাইরাল গোপন চিঠি

    এমন গণপদত্যাগের খবরের মধ্যেই একটি চিঠি ভাইরাল হয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অন্দরে। ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তাতেই এই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলেই পদত্যাগের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। ওই চিঠিতে সৈন্যদের ভয় না পেতে বলা হয়েছে। পাকিস্তানের সেনার (Indo Pak War) উদ্দেশে বলা হয়েছে, তারা যেন এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মনোবল অক্ষুন্ন রাখে। ওই চিঠিতেই আহ্বান জানানো হয়েছে, সৈন্যরা যেন অর্ধচন্দ্র এবং তারার নিচে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন। ওই চিঠিতে সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, তোমরা আমাদের শহিদের উত্তরাধিকারী। শুধু তাই নয়, ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে যারা পদত্যাগ করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। সেখানে লেখা হয়েছে, যাঁরা পদত্যাগ করতে চাইবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ১৯৫২ সালের পাকিস্তান সেনা আইনের অধীনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ফাঁস করল কারা?

    কিন্তু পাকিস্তানের এমন গোপন চিঠির ফাঁস হলই বা কীভাবে? বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (Pahalgam Attack) ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই কারণে এমন ফাঁসের খবর সামনে এসেছে। বর্তমান সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং প্রাক্তন জেনারেল ফাইজ আহমেদ ও কামার জাভেদ- এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই বিভেদের কারণেই চিঠি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। একদিকে ভারতের প্রত্যাঘাতের তীব্র আশঙ্কা, তারপর দেশের মধ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা, বেহাল অর্থনীতি, খাদ্য সংকটের পরে এবার জুড়ল এই পাকিস্তান (Indo Pak War) সেনাবাহিনীর আভ্যন্তরীণ অসন্তোষ।পহেলগাঁও হামলার পরপরই একের পর এক গরম গরম কথা বলতে শোনা গিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী-সহ একাধিক মন্ত্রীকে। পরমাণু হামলার হুমকিও দিতে দেখা গিয়েছে তাদের। তার মধ্যেই এই ঘটনায় স্পষ্ট যে তাঁরা সবাই ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছিলেন। কারণ ময়দানে তো নেতা মন্ত্রীরা যুদ্ধ করবেন না। লড়াই করবে পাক সেনা। তারাই এখন পিছিয়ে যাচ্ছে ভয়ে।

    দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভূ রাজনৈতিক অস্থিরতাও বাড়িয়ে তুলেছে পহেলগাঁও হামলা

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ের পরেই ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় (Pahalgam Attack)। শুধু তাই নয়, এই হামলা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে তা নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে। এই আবহে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে। সীমান্ত বন্ধ করেছে। এর ফলে ইসলামাবাদকে কূটনৈতিকভাবে আরও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এই আবহে বুধবারই এক উচ্চপর্যায়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। কোথায় কখন হামলা হবে তা ঠিক করতে।

    পাক সেনায় গণ-ইস্তফার পর সীমান্ত রক্ষা করবে কে

    এখন একটা প্রশ্নই উঠছে বারবার,পাক সেনায় গণ-ইস্তফার পর সীমান্ত রক্ষা করবে কে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু জওয়ানরাই নয়, তাদের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অফিসাররাও গণইস্তফা দিচ্ছেন। এখন ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ লাগলে, তা পরিচালন করবে কে, তা নিয়েই চিন্তিত পাকিস্তান। এক্ষেত্রে বলা দরকার, এক মাস আগেই পাকিস্তানি সেনার জুনিয়র অফিসার ও সেনারা চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, আসিম মুনিরের নেতৃত্ব ভালো লাগছে না তাঁদের। শুধু তাই নয়, তাঁকে পদ থেকে না সরালে, বিদ্রোহ শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাক সৈন্যদের একাংশ। এবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর যেখানে দুই দেশের মধ্যে কার্যত যুদ্ধ আবহ তৈরি হয়েছে, সেখানেই পাক সেনার গণইস্তফা একদিকে চিন্তা, অন্যদিকে বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে।

    আকাশপথে ভারত হামলা চালাতে পারে, আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে পাকিস্থানের, সীমান্তে বসছে রেডার সিস্টেম

    অন্যদিকে, আকাশপথে ভারত হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে পাকিস্থানের। তারা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও করেছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের সম্ভাব্য বিমান হামলার ঠেকাতে সীমান্তে রেডার বসাচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী শিয়ালকোট সীমান্তে রেডার সিস্টেমগুলিকে বসাচ্ছে। ভারতের সম্ভাব্য বিমান হামলা ঠেকাতে সেদেশের চোর ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তান টিপিএস-৭৭ রেডার ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এই চোর ক্যান্টেনমেন্ট হল নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ৫৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলার পরে এই আবহে টানা পঞ্চম বার পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে গুলি চালাল। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই ভারতের যুদ্ধ মহড়া চলছেই। একসঙ্গে স্থলবাহিনী নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনী মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। তীব্র উত্তেজনার মাঝে সেদেশের যুদ্ধ বিমানগুলিকে করাচি থেকে লাহোর এবং সে দেশের উত্তরের রাওয়ালপিণ্ডির দিকে ঘাঁটির দিকে রওনা হতে দেখা গিয়েছে। গত সোমবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ জানিয়েছিলেন, ভারত সামরিক হামলা চালাবেই।

  • Baloch Human Rights Protests: বালোচ বিদ্রোহ পাকিস্তানের তৈরি! মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তির দাবিতে উত্তাল করাচি

    Baloch Human Rights Protests: বালোচ বিদ্রোহ পাকিস্তানের তৈরি! মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তির দাবিতে উত্তাল করাচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচিস্তানের মানবাধিকার কর্মী (Baloch Human Rights Protest) মেহরান বালোচকে মুক্তির দাবিতে উত্তাল করাচি। বালোচিস্তানে (Balochistan) মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কোয়েটায় বালোচ ইয়াকজেহতির (BYC) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিবার্গ জেহরি, তার ভাই হাম্মাল জেহরি, ডাঃ ইলিয়াস, মানবাধিকার কর্মী সাঈদা বালোচসহ বেশ কয়েকজন বেলুচ কর্মীর বলপূর্বক অন্তর্ধানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অভিযোগ, বালোচ নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী (Pakistan Army) কঠোর পদক্ষেপ করছে। বালোচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (BNM) এবং বালোচ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন আজাদ (BSO-A)-এর কর্মীদের নিশানা করে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। পাক সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে নারী ও শিশুরাও আক্রান্ত।

    বালোচ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, জিন্নার বিশ্বাসঘাতকতা

    ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্মলগ্নে বালোচিস্তানকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন মহম্মদ আলি জিন্না। ওই সময়ে বালোচিস্তান মোট চারটি এলাকায় বিভক্ত। কালাত ছাড়া বাকি তিনটি জায়গা হল খারান, লাসবেলা এবং মাকরান। এগুলিও আর পাঁচটা দেশীয় রাজ্যের মতোই ছিল। ভারত ভাগ হওয়ার পর ২২৭ দিন পর্যন্ত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র ছিল স্টেট অব কালাত বা বালোচিস্তান। কিন্তু ব্রিটিশদের চলে যাওয়ার পর শুরু হয় বিশ্বাসঘাতকতা! ১৯৪৮ সালের মার্চের মধ্যে সুচতুর জিন্না এক এক করে খারান, লাসবেলা এবং মাকরানকে পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে নেন। কালাত তখনও স্বাধীনতার ধ্বজা টিকিয়ে রেখেছে। ১৯৪৮ সালের ২৮ মার্চ মেজর জেনারেল আকবর খানের নেতৃত্বে ওই এলাকায় হামলা চালায় পাক সেনা। কালাতের শেষ শাসককে বন্দি করে করাচি নিয়ে যায় তারা। করাচিতে পাকিস্তানের সঙ্গে কালাতের (ইনস্ট্রুমেন্ট অব অ্যাকসেশন) সংযুক্তির চুক্তিতে সই করতে বাধ্য করা হয় বালোচদের। ফলে বালোচিস্তান পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়। আর তার প্রতিবাদেই শুরু হয় প্রথম বালোচ বিদ্রোহ (১৯৪৮-১৯৫০)। এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন প্রিন্স আবদুল করিম। তিনি দোস্ত-ই-ঝালাওয়ান নামে বাহিনী নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেন। শুরু হয় বালোচিস্তানের স্বাধীনতার লড়াই।

    বালোচদের সাম্প্রতিক লড়াই

    বালোচিস্তানের মানবাধিকার কর্মীদের (Baloch Human Rights Protest) অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার প্রথম থেকেই বালোচ জনগণের ন্যায্য দাবিকে সহিংস দমন-পীড়নের মাধ্যমে দমিয়ে রাখছে। সম্প্রতি পাক সেনার হামলায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং নির্বিচারে গণগ্রেফতারের মাধ্যমে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়ে ওঠে, যখন সরিয়াবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে তিনজন বালোচ বিক্ষোভকারী নিহত হন এবং বহু আহত হন। এছাড়া, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে বিক্ষোভের খবর আন্তর্জাতিক মহলে না পৌঁছায়। শুধু বিক্ষোভকারীরাই নয়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সাধারণ বালোচ জনগণের ওপরও ভয়াবহ নির্যাতন চালাচ্ছে।

    আন্তর্জাতিক মহলে চর্চা

    যতই পাক সরকার আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করুক, বালোচিস্তানে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন আন্তর্জাতিক মহলের নজর এড়ায়নি। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (UNHRC) ৫৮তম অধিবেশনে বালোচিস্তানের এই পরিস্থিতি গুরুতরভাবে উত্থাপিত হয়েছে। বালোচ জাতীয় আন্দোলনের নেতা নিয়াজ বালোচ বলেছেন, “বলপূর্বক অন্তর্ধান এখন বালোচিস্তানে নিপীড়নের একটি পদ্ধতিগত অস্ত্র হয়ে উঠেছে।” তিনি অভিযোগ করেন যে বিবার্গ জেহরি, হাম্মাল জেহরি এবং আরও বহু বালোচ কর্মীকে পরিকল্পিতভাবে গুম করা হয়েছে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বালোচিস্তানের সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে। নিয়াজ বালোচ আরও বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সরকার-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে বালোচ জনগণের ওপর দমননীতি চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে বহু পরিবার সম্মিলিত শাস্তির শিকার হচ্ছে।

    বালোচরা শুধু প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস

    পাকিস্তানের কাছে বালোচরা শুধু প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস। বালোচিস্তানের খনিজ সম্পদ, গ্যাস, খনিগুলি লুট করা শুরু হল। অথচ, বালোচদের উন্নয়নে কিছুই করা হল না। রাজস্বের ভাগও তারা পেল না। বিনিয়োগও এল না। পাকিস্তানের অধীন এসে বালোচরা টের পেল, তাদের শুধু লুট-ই করা হচ্ছে! পরিসংখ্যান বলছে, এখানকার ৭০ শতাংশ বাসিন্দা এখনও দারিদ্র্যসীমার নীচে। আর ১৫ শতাংশ বালোচ ভোগেন হেপাটাইটিস বি এবং সি-তে। বালোচিস্তানের প্রায় ১৮ লাখ শিশু স্কুলে পড়ার সুযোগই পায় না। সেখানকার পাঁচ হাজার বিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র একটি করে ক্লাসরুম। পাকিস্তানের শিশুমৃত্যুর হার যেখানে প্রতি এক লক্ষে ২৭৮, সেখানে বালোচিস্তানে তা ৭৮৫। মৃত্যুহারের এই পার্থক্যের পিছনে রয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা। এসব পরিসংখ্যানে ইসলামাবাদের কোনও যায় আসে না।

    বালোচ বিদ্রোহ পাকিস্তানের তৈরি

    পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, বালোচ বিদ্রোহ আসলে বাইরের শক্তির ষড়যন্ত্র। একসময় এই ‘বাইরের শক্তি’ বলতে তারা ভারতকে বোঝাত। এখন তারা আফগানিস্তানকেও সেই তালিকায় ঢুকিয়েছে। কিন্তু আসলে বালোচদের বিদ্রোহ পাকিস্তানের হাতেই তৈরি। সেই ১৯৪৮ সাল থেকে। বালোচদের প্রতি ইসলামাবাদের বছরের পর বছর ধরে অবহেলা, দমননীতি আর নিপীড়নের ফল— বালোচ লিবারেশন আর্মির সশস্ত্র বিদ্রোহ! পাকিস্তানের ভুল নীতির কারণে যেসব সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার জন্য কখনও নিজেদের দায় স্বীকার করেনি ইসলামাবাদ। তার উপর রয়েছে ‘চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর’-এর (সিপিইসি) প্রকল্প ঘিরে বালোচিস্তানের প্রতি দীর্ঘ বঞ্চনা।

  • Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাল পাকিস্তানি জঙ্গিরা। অনুঘটক হিসেবে তাদের কভারিং ফায়ার দিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালাল পাকিস্তান সেনা। তবে, প্রস্তুত ছিল ভারতও। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের কৃষ্ণঘাটি (Krishna Ghati) সেক্টরে মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় পাকিস্তান। পাল্টা জবাব দেয় ভারত। সূত্রের খবর, এই গুলির লড়াইয়ে পাকিস্তান সেনার একাধিক সদস্যর মৃত্যু হয়েছে। শেষ খবর, অন্তত পাঁচ পাক জওয়ান নিহত হয়েছেন। সীমান্তে একাধিক পাক বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ফৌজ।

    কৃষ্ণাঘাঁটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিং (Jammu-Kashmir) 

    ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এলওসি-তে (Line of Control) একটি মাইন বিস্ফোরণের পরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গোলাগুলি বিনিময় হয়। পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে সংঘর্ষ শুরু করে, যার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। ভারতের দিকে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও, পাকিস্তানি বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখায় (Jammu-Kashmir) কৃষ্ণঘাটি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালিয়েছে। এর জবাব দিয়েছেন নাঙ্গি টেকরি ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। সেনা সূত্রে খবর, এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও কৃষ্ণাঘাটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল। মঙ্গলবারের ঘটনায় পাকিস্তানের সেনার একাধিক সদস্য হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

    পাকিস্তানের প্রয়াস ব্যর্থ করল ভারত 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, সীমান্তরেখা এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছেন, ওই গুলির লড়াইয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) এলাকায়, ৪-৫ জন পাক সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। এই নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দিন ভর সেখানে গুলির লড়াই চলে। ওই এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। গত দুই মাস ধরে দক্ষিণ পীর পঞ্জাল এলাকায়, সীমান্তরেখায় ক্রশ-ফায়ারিংয়ের (Pakistan Violates Ceasefire) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই এলাকায় সেনা এবং জঙ্গিদের লড়াইও হচ্ছে। শনিবার তল্লাশি অভিযানের সময় সেনার রাইজিং স্টার কোর-র প্রত্যাঘাতে নিহত হয় দুই জঙ্গি। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করে বাহিনী।

  • Pakistan Army: ভুল তথ্য দিচ্ছে পাক-সেনা, ২১৪ পণবন্দি হত, দাবি বালোচ বিদ্রোহীদের

    Pakistan Army: ভুল তথ্য দিচ্ছে পাক-সেনা, ২১৪ পণবন্দি হত, দাবি বালোচ বিদ্রোহীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবারই ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রীবাহি একটি ট্রেন হাইজ্যাক করে বালোচ বিদ্রোহীরা (Balochistan Liberation Army)। এরপরেই পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে ৩৩ জন বালোচ বিদ্রোহীকে তারা হত্যা করতে পেরেছে। যদিও পাকিস্তানের (Pakistan Army) এই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। তারা জানিয়েছে, এমন বিবৃতি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৩ মার্চ এই মর্মে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে তাদের তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখেও পড়তে হয়েছে বলে দাবি বিদ্রোহীদের। তাদের এও দাবি যে ২১৪ জন পণবন্দি পাক সেনাকে হত্যা করেছে তারা। এই পণবন্দিদের হত্যার দায় তারা চাপিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ওপরে।

    আলোচনায় না বসে পণবন্দিদের মৃত্যুকে নিশ্চিত করেছে পাক সেনা, তোপ বালোচ বিদ্রোহীদের

    এক্ষেত্রে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি বলছে যে পাকিস্তান (Pakistan Army) সেনাবাহিনী তাদের সঙ্গে কখনও আলোচনায় বসতে চায়নি, যদি তারা আলোচনায় বসত, তাহলে এমনটা হত না। অর্থাৎ পণবন্দিদের মৃত্যুর দায় একেবারে পাকিস্তানের সেনার ওপরেই চাপাচ্ছে বালোচ বিদ্রোহীরা। প্রসঙ্গত, বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র হলেন জিয়ান বালোচ। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে আমরা যে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা দিয়েছিলাম। তারা সেটাকে উপেক্ষা করেছে। এই কারণেই এর ফল ভুগতে হয়েছে ওই রেল যাত্রীদের অর্থাৎ পণবন্দিদের। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এমন উপেক্ষার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই পণবন্দিদের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘৪৮ ঘণ্টার সময় সীমার মধ্যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাদের দেশের নাগরিকদেরকে বাঁচাতে পারত। কিন্তু তারা সেটা করেনি।’’ একইসঙ্গে পাকিস্তান (Pakistan Army) সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বিএলএ মুখপাত্র জিয়ান বালোচ আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান প্রথম থেকেই একগুঁয়ে মনোভাব ঔদ্ধত্য ও স্পর্ধা দেখিয়ে গিয়েছে। যেমনটা তারা চিরকাল করে এসেছে। তারা এড়িয়ে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলি। তাদের এই ধরনের কার্যকলাপের কারণেই তারা বাস্তবতাকে বুঝতে পারেনি। আর এটা না বোঝার কারণে ২১৪ জন পনবন্দিকে তারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।’’

    শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে শহিদ হওয়া বালোচ বিদ্রোহীদের উদ্দেশে

    একই সঙ্গে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানি (Pakistan Army) সেনার সঙ্গে যুদ্ধে তাদের যে সমস্ত সদস্যরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বিএলএ-এর মুখপাত্র এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে তাঁদের বারো জন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি তাঁরা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর (Pakistan Army) সঙ্গে যুদ্ধে শহিদ হওয়া ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যাঁরা শত্রুর বিরুদ্ধে এক অসাধারণ যুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। এই অবিস্মরণীয় যুদ্ধের কারণেই তাঁদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই। বুধবার রাতে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। বৃহস্পতিবার রাতে আরও চারজন যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও মাজিদ ব্রিগেডের পাঁচ জন আত্মঘাতী বাহিনীর সদস্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। তাঁরা শত্রুপক্ষকে উচিত জবাবও দিতে পেরেছেন। যার কারণে ইতিহাস তাঁদের সর্বদা মনে রাখবে।’’ বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির তরফ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে যে তারা আন্তর্জাতিক আইন সীমার মধ্যেই কাজ করছেন।

    ভুল তথ্য দিচ্ছে পাক সেনা!

    গত মঙ্গলবার, গুদালার এবং পিরু কুনরির কাছে মাশকাফ টানেলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস। এই ট্রেন অপহরণ করে বিএলএ। জানা গিয়েছে, ট্রেনটি বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে আসছিল। গত বুধবার অর্থাৎ ১২ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হাইজ্যাক করা জাফর এক্সপ্রেস থেকে সমস্ত পণবন্দিদের উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা করে। বিবৃতিতে বলা হয় অভিযানের সময় ৩৩ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন এবং ২১ জন যাত্রী এবং ৪ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। ট্রেনটিতে মোট ৪৪০ জন ছিলেন বলে জানায় পাক সেনা। কিন্তু পাক সেনার দাবি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উড়িয়ে দেয় বিএলএ। তাদের বক্তব্য ছিল, জাফর এক্সপ্রেস অভিযানে পাক সেনা চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে তাই তারা বাস্তবকে অস্বীকার করছে এবং ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে পাক সেনা। জানা গিয়েছে, বালোচ বিদ্রোহীরা সাধারণ যাত্রীদের মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। বিস্ফোরক ভর্তি জ্যাকেট পরে যাত্রীদের মধ্যে মিশে গিয়েছিলেন বেশ কিছু বালোচ বিদ্রোহী। তার ফলে পাক বাহিনীকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় ওই অভিযানে। উদ্ধারকাজ নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। তবে পাক নিরাপত্তা বাহিনী (Pakistan Army) পরে জানায়, স্নাইপার বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে বিদ্রোহীদের কৌশলকে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। পরে অবশ্য জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের নেপথ্যে আফগানিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেখানকার তালিবান সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, এই ঘটনায় তাদের আদৌ কোনও যোগ নেই।

  • Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে? কার কার নাম গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে?

    Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে? কার কার নাম গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) বর্তমান সেনা প্রধান কমার জাভেদ বাজওয়ারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কে বসবেন পাকিস্তানের পরবর্তী সেনা প্রধানের পদে (Pakistan Army Chief)?  জানা গিয়েছে, সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে ছ’ জনের একটি নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) অফিসে পাঠানো হয়েছে। যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে, তাঁরা সবাই সিনিয়র মোস্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল। প্রধানমন্ত্রীর অফিস যে নামে সিলমোহর দেবে, তিনিই বসবেন বাজওয়ারের চেয়ারে।

    যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে…

    সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য, তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনীর, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা, কোর কমান্ডার রাওয়ালপিন্ডি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুমান মাহমুদ, প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স বিশ্ববিদ্যালয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়জ হামিদ, কোর কমান্ডার বাহাওয়ালপুর এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ আমের, কোর কমান্ডার গুজরানওয়ালা।

    তালিকায় ছ’ জনের নাম থাকলেও, সূত্রের খবর, আপাতত সেনা প্রধানের (Pakistan Army Chief) দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনজন। এঁরা হলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনির। মির্জা এবং আব্বাসকে ভারত সংক্রান্ত পুরানো ঘোড়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার সময় পাক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের প্রধান ছিলেন মুনির। এই মুনির সেই সময় পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান! ক্ষুব্ধ ভারত, জানেন তার কারণ?

    জানা গিয়েছে, সেনা প্রধান (Pakistan Army Chief) পদে নাম চূড়ান্ত করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বর্তমান সেনা প্রধান বাজওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডি জি আএসআই-ও। পরে এদিনই আরও একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন খাওয়াজা আসিফ, প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল অ্যাসিস্টেন্ট মালিক আহমেদ খান এবং অর্থমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে। পরে শরিফ আরও একটি বৈঠক করেন পিপিপি সহকারি চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে। বৈঠকটি হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। জানা গিয়েছে, শরিফ চাইছেন আসীম মুনিরই হোন পরবর্তী সেনা প্রাধান। আর জারদারি চাইছেন বাজওয়ারের মেয়াদ বাড়ানো হোক আরও ছ মাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share