Tag: pakistan high alert

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ের পাল্টা ‘বালাকোট-২’! ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে পাকিস্তানজুড়ে জারি হাই-অ্যালার্ট

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ের পাল্টা ‘বালাকোট-২’! ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে পাকিস্তানজুড়ে জারি হাই-অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) খবরের পর থেকে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে। বিশেষ করে রাওয়ালপিন্ডিতে। পুলওয়ামা হামলার প্রত্যুত্তরে ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল। পহেলগাঁওয়ের পর দেশজুড়ে ফের একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি উঠতে শুরু করেছে। কেউ কেউ আবার ইজরায়েলি দাওয়াই প্রয়োগ করার কথা বলছেন। এমনও বলছেন, পাকিস্তান হামাসের মতো হামলা করেছে। ভারতের উচিত ইজরায়েলের মতো জবাব দেওয়া। পাক সেনার আশঙ্কা, পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) পরও ভারত যে প্রত্যাঘাত করবে, তা একপ্রকার অনিবার্য। তবে ভারতের সেই পাল্টা মার কবে, কোথায় ও কীভাবে আছড়ে পড়বে, তা নিয়ে দিশেহারা পাক সেনাকর্তারা। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানজুড়ে জারি করা হয়েছে হাই-অ্যালার্ট (Pakistan On High Alert)। ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাক ফৌজের মধ্যে ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে গিয়েছে। যে দেশ সন্ত্রাসীদের মদত দিয়ে এসেছে চিরকাল, যে দেশ প্রতিনিয়ত আতঙ্কীদের আশ্রয়দাতা হয়ে রয়েছে, তারা এখন নিজেরাই আতঙ্কিত। যা দেখে ভারতের অনেকেই বলছেন, এটা হওয়া উচিত, ‘ইয়ে ডর আচ্ছা লাগা’। অর্থাৎ, পাকিস্তানের এই ভয় দেখে ভালো লাগছে।

    লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে ত্রাহি ত্রাহি রব

    বুধবার সকাল থেকে সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্টে এমন দাবি করা হচ্ছে যে, পাকিস্তান তার ফৌজকে ভারত সীমান্তবর্তী জায়গায় মোতায়েন করছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইটরেডার২৪’ থেকে নেওয়া স্ক্রিনশটগুলির পোস্টে ভরে গিয়েছে এক্স। পোস্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর বিমানগুলি করাচির দক্ষিণাঞ্চলীয় এয়ার কমান্ড থেকে উত্তরে অবস্থিত লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির কাছে বায়ুসেনা ঘাঁটির উদ্দেশে রওনা হচ্ছে। রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত পাক বায়ুঘাঁটি নূর খান, তাদের বায়ুসেনার অন্যতম প্রধান অপারেশনাল ঘাঁটি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডি বিমানঘাঁটি ভারত সীমান্তের খুব কাছেই। ঘাঁটি দুটি থেকে জম্মু-কাশ্মীরের (Pahalgam Attack) দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। পোস্টগুলিতে দুটি নির্দিষ্ট ফ্লাইট হাইলাইট করা হয়েছে— একটি পিএএফ-১৯৮ ফ্লাইট, যা পাক বায়ুসেনার একটি লকহিড সি-১৩০ই হারকিউলিস পরিবহণ বিমান। দ্বিতীয়টি, পিএএফ-১০১। এটি একটি ছোট এমব্রেয়ার ফেনম-১০০ জেট, যা প্রায়শই ভিআইপি পরিবহণ বা নজরদারির জন্যও ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, সীমান্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে যুদ্ধাস্ত্র (Pakistan On High Alert) এবং সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে বলেও দাবি।

    কোন পথে হামলা করবে ভারত? আতঙ্কে পাকিস্তান

    এর থেকে পরিষ্কার, ভারত সীমান্তের কাছে নজরদারি বাড়িয়েছে পাক বায়ুসেনা। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নিজেদের আকাশসীমায় প্রতিনিয়ত চক্কর কাটছে ওই নজরদারি বিমানগুলি। এর কারণটাও স্পষ্ট। ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে জঙ্গি-হামলায় ৪০ জওয়ানের হত্যার প্রত্যাঘাত হিসেবে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে বালাকোটে গজিয়ে ওঠা জয়েশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর তিনটি জঙ্গি শিবিরে মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ করে ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ যুদ্ধবিমানগুলি। সেই অভিযানে পাকিস্তান কিছু বুঝে ওঠার আগেই খতম হয়েছিল ৩২৫ জঙ্গি। ওই হামলার ফলে, পাকিস্তানের মুখ পুড়েছিল। সেই কারণে, ভারতের প্রত্যাঘাত (Pahalgam Attack) অনিবার্য ধরে নিয়ে এখন থেকেই নজরদারি শুরু করেছে পাক বায়ুসেনা। কিন্তু, পাকিস্তান বুঝতে পারছে না, ভারত কীভাবে, কখন ও কোথায় হামলা করবে। এই নিয়ে প্রবল আশঙ্কা ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে পাক সেনা ও সেদেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পাকিস্তানের আরও একটি বড় সমস্যা হল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) জেরে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলি। শুধু পাশে থেকে সমবেদনা জানানোই নয়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাসও দিয়ে রেখেছে তারা। সেই তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ফ্রান্স, সৌদি আরব (যে দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থাকাকালীন হামলা হয়) থেকে শুরু করে ইজরায়েল। ফলে, ভারত প্রত্যাঘাত করলেও, কেউ তার বিরুদ্ধাচরণ করবে না (Pakistan On High Alert)।

    ‘‘ইজরায়েলের মতোই প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত’’

    এদিকে, ভারতে বাড়ছে ক্ষোভের আগুন। জনমানসে জমছে প্রত্যাঘাতের দাবি। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের প্রাক্তন ডিজি এসপি বৈদ বুধবার পহেলগাঁও হামলাকে ‘‘ভারতের জন্য পুলওয়ামার দ্বিতীয় মুহূর্ত’’ বলে অভিহিত করেছেন। এসপি বৈদের মতে, এটি একটি সুপরিকল্পিত আক্রমণ ছিল এবং তিনি এও দাবি করেছেন যে, হামলাকারীরা আসলে পাকিস্তান স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ-এর (এসএসজি) কমান্ডো ছিল।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি যে এটি ভারতের জন্য পুলওয়ামার দ্বিতীয় মুহূর্ত। এটি কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়। এটি একটি সুপরিকল্পিত আক্রমণ (Pahalgam Attack)। আমি আগেও বলেছি, এরা সন্ত্রাসীদের পোশাক পরে পাকিস্তানি এসএসজি কমান্ডো।’’ এখানেই থেমে থাকেননি বৈদ। হামলার নেপথ্যে পাক সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক উসকানিমূলক মন্তব্যকেও দায়ী করেন তিনি। একইসঙ্গে জানান, এর জবাব দিতে হবে ইজরায়েলের ঢঙে। তিনি বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে এই হামলার ধরন মিলে যাচ্ছে। আসিম মুনির ‘জিহাদের’ ভাষা ব্যবহার করছেন, আক্রমণটিও একইভাবে করা হয়েছে। হামাসের হামলার পর ইজরায়েল যা করেছিল তার মতোই প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত। উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত।’’

LinkedIn
Share