Tag: panchayat election 2023

panchayat election 2023

  • Panchayat Election 2023: প্রার্থী পছন্দ নয়! জেলায় জেলায় দলের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীরা

    Panchayat Election 2023: প্রার্থী পছন্দ নয়! জেলায় জেলায় দলের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) টিকিট না পেয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে বহু জায়গায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নব্য তৃণমূল এবং আদি তৃণমূলের দ্বন্দ্বই প্রকাশ্যে আসছে। এরকমই বিক্ষোভের চিত্র দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের কালনা এবং মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। 

    টিকিট না পেয়ে কালনায় বিক্ষোভ

    গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Election 2023) প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল সামনে এল। বুধবার বিকেলে হাট কালনা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধর্মডাঙ্গা এলাকায় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভে সরব হল দলেরই একাংশ। এঁদের দাবি, নির্মল বৈদ্য এবং শোভা রায় দুজনই তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন এই এলাকায়। কিন্তু এই প্রার্থীদের মেনে নিতে চাইছেন না এলাকার তৃণমূলের একাংশ। আর তাই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার আদি তৃণমূল কর্মীরা। এলাকার এক তৃণমূল কর্মী অরুণ মণ্ডল বলেন, আমরা এলাকায় ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করছি। বহু সময় ধরে আমরা অত্যাচার সহ্য করে সিপিএমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এলাকায় রাজনীতি করছি। আজ আমাদের উপেক্ষা করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্য লোককে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করলে, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। কালনা ছাড়া মুর্শিদাবাদেও টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভের চিত্র নজরে আসে।

    লালগোলায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) প্রার্থী তালিকায় নাম নেই তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য হজরত উমরের। তাঁর বদলে নাম রয়েছে মোতাহার হোসেনের। আর তার জেরেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানালেন তৃণমূলের নশিপুর এলাকার নেতা ও কর্মীরা। ক্ষোভে গত বুধবার পথ অবরোধও করেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের সমর্থকরা। এদিন লালগোলার তৃণমূলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় কর্মীরা। অপর দিকে মোতাহার হোসেন রিপন নামক ব্যক্তি জেলা পরিষদের প্রার্থী হলেও তাঁর স্ত্রীকে আবার পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী করা হয়েছে। এক পরিবার থেকে এত প্রার্থী কেন? এই নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে উঠেছে প্রশ্ন! আর তাই শাসক দলের প্রার্থী তালিকায় নাম দেখেই এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বিক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এখানকার তৃণমূল বিধায়ক এবং সাংসদ টাকা নিয়ে প্রার্থী ঠিক করে আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি যাদের প্রার্থী করা হয়েছে তারা এই অঞ্চলের বাসিন্দা নয়। কোনও বহিরাগত লোককে অঞ্চলের পদপ্রার্থী হিসাবে মানতে নারাজ তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ায় (Bankura) বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধা দিতে পুলিশকে নিয়ে ময়দানে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল। আর এই অভিযোগ তুলে মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই সরব গেরুয়া শিবির। আজ ইন্দাসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় গেরুয়া বাহিনীর। আক্রান্ত হন বিজেপির বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া।

    বাঁকুড়ায় (Bankura) অভিযোগ কী?

    বুধবার ইন্দাস (Bankura) বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু পুলিশ বিজেপিকে বাধা দেয়। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল আটকাতে পাল্টা ইন্দাসের পিরতলায় জমায়েত করে তৃণমূল। পাশাপাশি, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপির মিছিলকে জোর করে আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে সেখানেই ধর্ণা ও বিক্ষোভ শুরু করে দেন তাঁরা।

    পুলিশের ভূমিকা

    এরপর ইন্দাসের (Bankura) বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া দলবল নিয়ে মিছিল করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিডিও অফিসের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। আর তাতেই ছড়ায় উত্তেজনা। মুহূর্তের মধ্যে বিজেপি ও পুলিশে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। বিধায়কের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি, ইটের আঘাতে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে। বিধায়ক নিজেও আহত হন বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    আক্রান্ত সাংসদও

    এদিকে ইন্দাস যাওয়ার পথে কাঁকরডাঙ্গায় আক্রান্ত হন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকজন এমনকী মহিলারা মিলে তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে কোনও রকমে বাঁচিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ বিধায়ক নির্মল ধাড়ার ওপর আক্রমণ চালায়। এবং এই ঘটনায় তিনি বিষ্ণুপুরের (Bankura) এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খানকে তীব্র ধিক্কার জানান। তিনি অভিযোগ তোলেন, এই অফিসার বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ, নেতা-কর্মীদের মেরে ফেললেও মনোনয়ন দেওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নে যদি এই পরিস্থিতি হয়, নির্বাচনের দিনে কী হবে? তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই  এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি থানার অন্তর্গত কুমারষণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া মোড়ে রীতিমতো রাস্তায় নেমে, এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধের আন্দোলন করতে দেখা যায়। প্রতিবাদীদের একটাই দাবি, কেন তৃণমূল কর্মীদের টিকিট না দিয়ে সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের টিকিট দেওয়া হল।

    কী ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দিতে

    কান্দির (Murshidabad) দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার যাঁদের মনোনয়ন করার কথা ছিল, সকালে হঠাৎ তাঁরা জানতে পারেন, নাম বাদ গিয়েছে। আর তার পরিবর্তে সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বিক্রি করেছেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই অভিযোগ করেন কান্দি ব্লক মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক হাবিবুর রহমান। তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় বর্তমান বিধায়ক এবং তাঁর ভাই মিলে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। টিকিট না পেয়ে আরেক প্রতিবাদী তৃণমূল কর্মী বলেন, আমরা এই এলাকায় ২০০১ সাল থেকে তৃণমূল দল করি। অত্যাচার সহ্য করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, এই এলাকা থেকে সিপিএমকে উৎখাত করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের নেতা বগবুল হোসেন। আজ পুরাতন তৃণমূল কর্মী হওয়ায় আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই এলাকার তৃণমূল নেতা বগবুল হোসেনের অনুগামী হওয়ার জন্য আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

    কেন এই দ্বন্দ্ব?

    বগবুল হোসেন বলেন, আমার অনুগত কেউ নন, সবাই আমরা দলের অনুগত। কে বা কারা বিক্ষোভ করছেন, আমার জানা নেই। তবে সবাইকে বলব, দলের হাত শক্ত করুন। অপরদিকে পাশেই রয়েছে ভরতপুর (Murshidabad) বিধানসভা এবং বিধায়ক হলেন হুমায়ন কবীর। উল্লেখ্য, অঞ্চলে ভোটের আগেই প্রায় ৪১ জনকে নিয়ে একটি বিশেষ অঞ্চল কমিটি গঠন করেন বিধায়ক হুমায়ন কবীর। কিন্তু কান্দি তৃণমূল ব্লক সভাপতি বগবুল হোসেন এবং তাঁর অনুগামীদের কাউকেই কমিটিতে রাখা হয়নি। ফলে কীভাবে নির্বাচন হবে এবং কারা দলের হয়ে কাজ পাবেন, তাও স্পষ্ট হয় এই কিমিটিতে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পাওয়াটা দলের অন্দরে কোন্দলেরই ফল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ঘর ওয়াপসি, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক  

    Jalpaiguri: ঘর ওয়াপসি, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাল (Jalpaiguri), রাজগঞ্জ এবং ধূপগুড়ি ব্লকের অনেকেই তৃণমূল ছাড়লেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনগুলিতে বড় চমকের ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ি জেলায়। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মাল পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি রীনা বরা নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন। আবার খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লি এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা অঞ্জলি সরকার সহ শতাধিক তৃণমূলকর্মী বিজেপিতে ফিরলেন। একই সঙ্গে ধূপগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় ৩৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। জলপাইগুড়ি জেলায় সব মিলিয়ে একদিকে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক এবং অপরদিকে বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জেলার রাজনীতি বেশ সরগরম।

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কেন তৃণমূল ছাড়লেন?

    তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মাল পঞ্চায়েত (Jalpaiguri) সমিতির জন্য দলের প্রার্থী তালিকা এখনও ঘোষণা হয়নি। অথচ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ব্যক্ত করে গত সোমবার সরাসরি এসে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়ন জমা দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীনা বরা বলেন, আমি একজন মহিলা। দলের ব্লক সভাপতি সুশীল প্রসাদের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি, অনশন-ধর্নায় বসেছিলাম, দলের নেতৃত্বের কাছেও জানিয়েছি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সাময়িক ভাবে সুশীল প্রসাদকে সরিয়ে দিলেও আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তাঁকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে! বিচার না পেয়ে আমি তৃণমূল ছেড়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছি।

    ধূপগুড়ি ব্লকে ৩৫ টি পরিবারের বিজেপিতে যোগদান

    ধূপগুড়ি ব্লকের (Jalpaiguri) ঝাড় আলতা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা রায়ের বুথে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় ৩৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করে। এদিনই তৃণমূল দল ছাড়লেন রাজগঞ্জের শিকারপুর অঞ্চলের প্রধান রঞ্জিতা রায়। তাঁর সঙ্গে শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করে শিকারপুর অঞ্চলের প্রধান হিসেবে রঞ্জিতা রায় কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁকে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি, একের পর এক দুর্নীতি হয়েছে শিকারপুর অঞ্চলে। আর যার কারণে সোমবার তিনি তৃণমূল দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেন।

    মেটেলি বাজার এলাকায় তৃণমূলে ভাঙন

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে মেটেলি বাজার এলাকায় তৃণমূলে ভাঙন। বিজেপিতে যোগ দিলেন মেটেলি (Jalpaiguri) বাজারের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। মেটেলি বাজার হাটখোলায় ওই যোগদান সভা হয়। মেটেলি বাজারের শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় মাহাতো, ইনডং মাটিয়ালি অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি মনোজ মন্ডল, তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রাজেন লোহার সহ একাধিক তৃণমূল নেতা এদিন বিজেপির ঝান্ডা হাতে তুলে নেন বলে জানা গেছে।

    খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লিতে শতাধিক ‘ঘর ওয়াপসি’

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লি এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা অঞ্জলি সরকার, তাঁর স্বামী প্রশান্ত সরকার সহ শতাধিক মানুষ বিজেপিতে ফিরলেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন অঞ্জলি সরকার। পরে তিনি ও তাঁর স্বামী তৃণমূলে যোগ দেন। অভিযোগ, চাপ দিয়ে তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছিল। আজ সেই চাপ দূরে সরিয়ে রেখে অনুগামীদের নিয়ে ঘর ওয়াপসি করলেন তাঁরা। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে স্বাগত জানান বিজেপি নেতা সৌজিৎ সিংহ, জীবেশ দাস, অলীক দত্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই অভূতপূর্ব যোগদানে এই জেলা থেকে তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: আরাবুল-পুত্রের গাড়িতে বোমা উদ্ধার! ‘বাপ কা বেটা’ বলে খোঁচা সুকান্তর

    Panchayat Election: আরাবুল-পুত্রের গাড়িতে বোমা উদ্ধার! ‘বাপ কা বেটা’ বলে খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়ন ঘিরে মঙ্গলবারই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড়। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ছুড়তে থাকে শাসকদলের গুন্ডা বাহিনী, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। এদিনই তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলামের গাড়ির ড্যাশ বোর্ড থেকে বোমা উদ্ধার হয়। যা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর

    কী বললেন সুকান্ত?

    আরাবুলের ছেলের নাম না করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, ‘‘বাপ কা বেটা সিপাহি কা ঘোড়া, কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া!’’ সুকান্ত মজুমদার এদিন আরও বলেন, ‘‘কলেজের অধ্যাপিকাকে যখন জগ ছুড়ে মেরেছিল, তখনই তো পুলিশ আরাবুলকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের সেই সাহস নেই। যতদিন তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন লাফালাফি করবে। তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত হলে ইঁদুরের গর্তে ঢুকে পড়বে।’’ এদিন ভাঙড়ের অশান্তি প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘শওকত মোল্লা গোটা ভাঙড় নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা আগেই বলেছিলাম পুলিশকে দিয়ে ভোট হবে না। তার কারণ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গুলি চালাতে পারে না। সেজন্য তাদের কেউ ভয় পায় না। বোমা মারছে তাদের লক্ষ্য করে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বন্দুকের নলে মাকড়সার জাল বিছিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে কারও ক্ষমতা ছিল না বোমাবাজি করার।’’

    ক্যানিং-এর অশান্তি নিয়ে কী বললেন বালুরঘাটের সাংসদ?

    ক্যানিংয়ের অশান্তি নিয়েও এদিন সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘ক্যানিংয়ে এদিন দলীয় নেতৃত্ব প্রার্থীদের সঙ্গে মনোনয়ন কর্মসূচিতে গেলে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী আচমকা হামলা চালায়। সজল ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সহ অনেকেই হামলায় জখম হয়েছেন। এটা নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বিজেপি প্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ক্যানিং-এ। বিজেপির মহিলা প্রার্থী সহ বেশ কয়েকজন জখম হন তৃণমূলের হামলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মনোনয়ন পত্র জমা ঘিরে রণক্ষেত্র, আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক তৃণমূল নেতা

    Murshidabad: মনোনয়ন পত্র জমা ঘিরে রণক্ষেত্র, আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন পত্র জমাকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলে। বিরোধীদেরকে মনোনয়নপত্র জমা করতে বাধা দেওয়া হয় এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুরো বিডিও অফিস চত্ত্বর ঘিরে রাখা হয়েছে বলে জানা যায়। এরপর তৃণমূল এবং সিপিএম-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কারণে তৃণমূলের সারাংপুরের অঞ্চল সভাপতি বশির মোল্লাকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ।

    কী হয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর প্রথম দিনেই উত্তপ্ত ডোমকল ব্লকের ইসলামপুর (Murshidabad)। শনিবার দিন সকাল থেকেই সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীরা পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে, তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী গোটা এলাকা ঘিরে রাখে এবং মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেয়। আর তারপর সেখান থেকেই শুরু হয় উত্তেজনা। সিপিএম কর্মীরা নমিনেশন পত্র নিতে এলে মারধর শুরু হয়। শাসক দলের কর্মীরা রীতিমত কিল-ঘুষি মারতে থাকে তাঁদের। এরপর ব্লক অফিস থেকে বের করে দেয় তাঁদের। কোনও রকমে পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দিলেও কিছুক্ষণ বাদে ফের শুরু হয় অশান্তি। এবারে একপক্ষ সিপিএম-কংগ্রেস এবং অপর পক্ষ শাসক দল তৃণমূল। এরপর চলে দুই পক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টি। উভয় পক্ষ পরস্পরকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ। এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ডোমকল থানার বিশাল পুলিশ। উত্তেজিত জনতাদের নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করা হয় বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত সারাংপুরের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বশির মোল্লাকে কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার জন্য আটক করে মুর্শিদাবাদ পুলিশ। আপাতত তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    সিপিএমের প্রতিক্রিয়া

    সিপিএমের এক প্রার্থী বলেন, আমি মনোনয়ন জমা দিতে এসেছি, কিন্তু লাইন থেকে আমাকে মেরে বার করে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আবার এক মহিলা প্রার্থী রিনা খাতুন বলেন, পুলিশ আমাদেরকে কোনও সহযোগিতা করছে না, তৃণমূলের গুন্ডারা কেন বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছে? এই কথা বলে পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যের কাছে জবাব চান তিনি। সেই সঙ্গে বলেন, যতদিন বাঁচব এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই করব। 

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই শুরু অশান্তি

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার প্রথম দিন থেকেই ডোমকলে (Murshidabad) অশান্তির বাতাবরণ। গতকাল, শুক্রবার ডোমকল বিডিও অফিসে ডিসিআর আনতে গিয়ে সিপিএমের কর্মীরা রীতিমত লাঠি হাতে আক্রমণ করে তৃণমূল কর্মীদের। ভাঙা হয় বাইক, ক্যাম্পে থাকা চেয়ার। এরপর শনিবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত ডোমকল। দেখা গেল বিপরীত চিত্র, এইদিন সকাল থেকে রীতিমতো সিপিএম দলের পক্ষ থেকে আসা কর্মীদের বেধড়ক মারতে থাকে শাসক তৃণমূলের কর্মীরা। পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয় যে পুলিশের সামনেই চলে মারামারি। দুই পক্ষের মধ্যে হয় ইট বৃষ্টি। প্রথমে পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও, পুনরায় কিছুক্ষণ পর শুরু হয় অশান্তির ঘটনা। এবার সিপিএম এবং কংগ্রেস যৌথ ভাবে লাঠি হাতে আক্রমণ করে শাসক দলের কর্মীদের। চলে ইটবৃষ্টি। পরে র‍্যাফ নামে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।  

    এলাকার সাধারণ মানুষের বক্তব্য, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের চিত্র যা উঠে আসছে, তাতে ভোট আসতে আসতে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, তা নিয়েই রয়েছে অনেক সংশয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: নন্দীগ্রামে প্রশাসনের অব্যবস্থায় মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না বেশ কিছু বিজেপি প্রার্থী

    Purba Medinipur: নন্দীগ্রামে প্রশাসনের অব্যবস্থায় মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না বেশ কিছু বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৮ই জুলাই এক দফায় রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্‌হা ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনী আচরণ বিধিও লাগু হয়েছে। শুক্রবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা করার প্রথম দিন। নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) বিজেপির ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা করলেন এদিন। ইতিমধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েতের প্রায় ৭৪ হাজার আসনে কেবলমাত্র ৬ দিনের মধ্যে মনোনয়ন জমা করতে হবে বলে সময় নির্ধারিত হয়েছে। এত কম সময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে লোকসভার বিরোধী নেতা কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে মামলা করছেন।

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) কীভাবে মনোনয়ন জমা হল?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনই নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) হরিপুর অঞ্চলে ১৪ জন বিজেপি প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা করেন। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীরা রীতিমতো মন্দিরে পুজো দিয়ে, ঢাকঢোল বাজিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা করেন। অন্যদিকে, বিষ্ণুপুর ব্লকে এই মনোনয়ন জমা করা খুব সহজ হয়নি। বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকে বেশ কিছু বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন জমা করতে পারেননি বলে জানা গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিশেষ প্রস্তুতি এদিন লক্ষ্য করা যায়নি। যথা সময়ে ডিসিআর দফতরে এসে পৌঁছাননি বলে বিশেষ অভিযোগ করছেন প্রার্থীরা।সমস্যার কথা কার কাছে জানানো হবে, সেই জন্য কোনও নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি ছিলেন না ঘটনা স্থলে। সোমবার বাকি আসনে মনোনয়ন জমা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। 

    বিরোধী দলনেতা কী বলেছিলেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Purba Medinipur) রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের মৃত্যু হল! কোনওরকম সর্বদলীয় বৈঠক হল না, নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আলোচনা হল না। অথচ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেল। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: “ভোট লুটতে এলে তৃণমূল গুন্ডাদের লাঠি নিয়ে তাড়া করবে সাধারণ মানুষ”

    Uttar Dinajpur: “ভোট লুটতে এলে তৃণমূল গুন্ডাদের লাঠি নিয়ে তাড়া করবে সাধারণ মানুষ”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা ভোট লুট করতে এলে এবছর সাধারণ মানুষ লাঠি নিয়ে তাড়া করবে।” ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর দেওয়াল লিখন কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার বিজেপি সভাপতির।

    জেলা সভাপতি কী বললেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর শুক্রবার দেওয়াল লিখন আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি ২ অঞ্চলের ১৯১ নম্বর বুথে দেওয়াল লিখন করলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। বাসুদেববাবু জানিয়েছেন, শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার সর্বত্র দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের চাইতে এবারের ফলাফল অনেক ভাল হবে। গত বছর আমাদের ২১টি পঞ্চায়েত হাতে এসেছিল, এই বছর আমাদের তিনগুণ ভাল ফলাফল হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা জানি তৃণমূল ভোটদানে ঝামেলা পাকাবে। আমরা এই বাধা অতিক্রম করে সবরকম ভাবে মত প্রকাশের চেষ্টা করব। গত বারের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে আমরা এই বছর আরও বেশি প্রস্তুতি নিয়েছি।

    তিনি আরও বলেন, গত এগারো বছরে তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ সজাগ হয়ে উঠেছেন। সাধারণ মানুষ এই চোরেদের অপশাসন থেকে মুক্তি চায়। বাসুদেববাবু আরও বলেন, জেলা পরিষদে এবার গেরুয়া আবিরের খেলা হবে। বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশ আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার মধ্যে জেলায় ১০০ শতাংশ আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা মনোনোয়ন পত্র দাখিলের কাজ শেষ করবে। পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠভাবে করতে হবে বলে বিশেষ দাবি রাখেন তিনি। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে চাইলে বিজেপি সমর্থকরা সবরকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান। শাসক দল বিরোধীদের নির্বাচনে বাধা দিলে, লাঠি নিয়ে তাড়া করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সালার, আহত ১৪

    Murshidabad: মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সালার, আহত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। ঘটনায় আহত প্রায় ১৪ জন। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর দুই ব্লকের অন্তর্গত সালারে তৃণমূলের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল আবার। পুরো এলাকা ঘিরে দিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। শান্তিরক্ষার আবেদন জানিয়েছেন বিধায়ক।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কী হয়েছে?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী কারা হবেন এবং মনোনয়নপত্র জমা কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় এবং আহত প্রায় ১৪ জন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী তালিকা তৈরি করা নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক চলছিল সালারে। সেই সময় এলাকার শিরিষতলায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বিবাদ শুরু হয়। পরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং তারপরই তা ব্যাপক সংঘর্ষের রূপ নেয়। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও সালারের ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই বিবাদ বাধে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সালার ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা এসে ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে। হাতে গোনা কয়েকদিন বাদেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগেই সালারে ফের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।

    কী বলেন বিধায়ক

    সালারের (Murshidabad) তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি মিটিং-এ গিয়েছিলাম। যতটা সময় আমি উপস্থিত ছিলাম, কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, দলের নেতৃত্বে সরকার চলছে। সরকারের নেতৃত্বে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাইব পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক। দলের জন্য কোন্দল কাম্য নয়, আমাদের দলের প্রতি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। বিধায়ক আরও বলেন, সকল কর্মীকে বলব এই সময়ে নিজেদের সংযত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। সকলের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনও অসুবিধা হবে না কারও। আইনশৃঙ্খলা ঠিক যাতে থাকে, সেই বিষয়ে আমরা নজর রাখবো। অপর দিকে সালার তৃণমূল ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেছন, বক্ল অফিসে মিটিং-এর পরে আমি চলে আসি, বিধায়কের সঙ্গে আমার কোনও মতভেদ নেই। আগামী নির্বাচনে তৃণমূল ভালো ফল করবে বলে তিনি জানান। 

    তৃণমূলই যদি তৃণমূলের কাছে সুরক্ষিত না থাকে, তাহলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কতটা গণতান্ত্রিক মত প্রকাশ করতে সুরক্ষিত থাকবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে প্রার্থী সংখ্যা ৭০ হাজার, মনোনয়ন পেশে বরাদ্দ মাত্র ২৪ ঘণ্টা!

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে প্রার্থী সংখ্যা ৭০ হাজার, মনোনয়ন পেশে বরাদ্দ মাত্র ২৪ ঘণ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) ৭০ হাজারেরও বেশি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পেশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টা! অন্তত এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। অভিযোগ যে অমূলক নয়, তাও হিসেব কষে দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

    ২৪ ঘণ্টার হিসেব

    ৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ পর্ব। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে একদিন রবিবার, সেদিন মনোনয়নপত্র পেশ করা যাবে না। হাতে রইল ৬ দিন। মনোনয়নপত্র পেশের সময় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত। দিনে ৪ ঘণ্টা। তাহলে ৬ দিনে দাঁড়াল ২৪ ঘণ্টা। এত কম সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র পেশ করা সম্ভব কীভাবে, সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই নির্ঘণ্ট।

    বিজেপির তোপ

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর ট্যুইট-বার্তা, এখন থেকেই রিংগিং শুরু হয়ে গেল। বিরোধী প্রার্থীদের আটকাতেই মনোনয়নপত্র পেশের জন্য অল্প সময় দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্রের হত্যা বলে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও।

    বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নিয়েছেন রাজীব সিনহা। বৃহস্পতিবারই তিনি বাজিয়ে দেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দামামা। তিনি জানান, নির্বাচন হবে ৮ জুলাই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৯ জুন থেকে। শেষ দিন ১৫ জুন। ১৭ তারিখ শেষ দিন স্ক্রুটিনির। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য প্রার্থীরা সময় পাবেন ২০ জুন পর্যন্ত।

    ভোট গণনার সম্ভাব্য দিন ১১ জুলাই। রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে ৩ হাজার ৩১৭টি। নির্বাচন কেন্দ্র রয়েছে ৫৮ হাজার ৫৯৪টি। পঞ্চায়েতের মোট আসন ৬৩ হাজার ২৮৩টি। প্রার্থী হতে পারেন ৭০ হাজারেরও বেশি। এত প্রার্থী (Panchayat Election 2023) কীভাবে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মনোনয়নপত্র পেশ করবেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘সর্বদল বৈঠক না ডেকেই ভোট ঘোষণা’! রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share