Tag: panihati

panihati

  • Bomb Blast: বিকট শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা, হাত উড়ল যুবকের, আতঙ্কিত পানিহাটিবাসী

    Bomb Blast: বিকট শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা, হাত উড়ল যুবকের, আতঙ্কিত পানিহাটিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়াল খড়দা থানার পানিহাটি পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডে। পুরসভার তেজপাল নগর এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম হন এক যুবক। আক্রান্ত যুবকের নাম জিতেন্দ্র গুপ্তা। তাঁর বয়স ২২ বছর। ঘনবসতি এলাকার মধ্যে এভাবে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পানিহাটি পুরসভা এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    দুদিন আগেই পুরানো বিবাদকে কেন্দ্র করে টিটাগড় পুরসভার উড়ানপাড়া এলাকায় এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে এক যুবককে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই খড়দা থানার পানিহাটি এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। দুদিন আগে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে গুলিকাণ্ডের পরই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমায় জখম যুবক জিতেন্দ্র গুপ্তা ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন। আচমকাই বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। প্রতিবেশী সুমনা চক্রবর্তী বলেন, আমি ঘরের মধ্যেই ছিলাম। সামনেই বাড়ি জিতেন্দ্রদের। বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। আমি  বাইরে বেরিয়ে দেখি, চারদিকে ধোঁয়ায় ভর্তি। পাড়ার লোকজন জিতেন্দ্রকে কোলে করে তুলে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। ওর হাতে অঝরে রক্ত ঝরছে। সম্ভবত, হাত উড়ে গিয়েছে। পরে পুলিশ আসার পর জানতে পারলাম, বোমা পাওয়া গিয়েছে বাড়ি থেকে।  আক্রান্ত যুবকের এক আত্মীয় বলেন, জিতেন্দ্র ঘর পরিষ্কার করছিল। সেই সময় সে একটি কৌটো দেখতে পায়। কৌটোটা খুলতে গিয়েই বিপত্তি বাধে। বাড়িতে কোনও বোমা রাখা ছিল বলে জানা নেই।  বাইরে থেকে কেউ বোমা বাড়িতে রেখে যেতে পারে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, বোমা রাখা ছিল, না বাইরে থেকে কেউ বোমা রেখেছিল, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জখম যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: মদ্যপানের প্রতিবাদের জের,পানিহাটিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ

    Panihati: মদ্যপানের প্রতিবাদের জের,পানিহাটিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের কাউন্সিলার এবং শহর তৃণমূলের সহ সভাপতির মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। এবার সেই কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল। মদ্যপানের প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়প্রকাশ কলোনি এলাকায় তৃণমূল কার্যালয়ের পাশে প্রায়ই মদ্যপানের আসর বসে। তৃণমূলের একটি অংশ মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীর মজুমদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল পশ্চিম পানিহাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি প্রবীর দের। রবিবার রাতে ফের মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় গোলমাল হয়। মারামারি বাঁধে। পরে কাউন্সিলর প্রবীর মজুমদারের অনুগামীরা তৃণমূল কার্যালয়ের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ের ভেতরে চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে টিভি ভাঙচুর করে। বাদ যায়নি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেতাজি সুভাষ বোসের ছবিও। ভাঙ্গা হয়েছে পার্টি অফিসের চেয়ার টেবিলও। ভেঙে ফেলে সব ছবিও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। এই অফিসটি বেলঘড়িয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিস কমিশনারের অফিসের সামনেই। সেখানে ভাঙচুরের ঘটনায় হতবাক সকলে। রাতেই ভিড় হয়ে যায় জয়প্রকাশ কলোনিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার বিশাল পুলিস বাহিনী।

    শহর তৃণমূলের সহ সভাপতি কী বললেন?(Panihati)

    পানিহাটি (Panihati) শহর তৃণমূলের সহ সভাপতির প্রবীর দে’র অভিযোগ, তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে বসে মদ্যপান করেন কাউন্সিলারের অনুগামীরা। এরা সিন্ডিকেট সহ সবকিছুতে যুক্ত। আমি বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং তীর্থঙ্কর ঘোষকে জানিয়েছিলাম। বেশ কিছুদিন ধরে সেই মদ্যপানের তিনি প্রতিবাদ করছিলেন।

    তৃণমূলের কাউন্সিলার কী বললেন?

    সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় কাউন্সিলর প্রবীর মজুমদার। তিনি বলেন,  যাদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ, তারা কিছুদিন আগে পর্যন্ত প্রবীর দের সঙ্গে থাকতো। বনি বনা না হওয়ায় প্রবীরের সঙ্গে তাদের গোলমাল বাধে। এখানে আমার কোনও ব্যাপার নেই। এদেরকে নিয়েই প্রবীর আমাকে হারাবার সব রকম চেষ্টা করেছিল। এখন আমার অনুগামী বলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি এসবের বিন্দু বিসর্গ জানি না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন,তৃণমূল কংগ্রেস দল নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল ও বখরার লেনদেন নিয়ে মারপিট করতে করতেই শেষ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati:পানিহাটি হাসপাতালে দালাল চক্র! ডাক্তারের চেয়ারে বসে ওষুধের দোকানের মালিক

    Panihati:পানিহাটি হাসপাতালে দালাল চক্র! ডাক্তারের চেয়ারে বসে ওষুধের দোকানের মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ওষুধের দালাল চক্রের হদিশ মিলল। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য  ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকদের একাংশ এই দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ। ওধুষের দোকানের মালিকের কথা মতো চিকিৎসকরা ওষুধ লিখছেন। রোগীর পরিবারের লোকজন বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকারই এক ওষুধের দোকানের মালিক জরুরি বিভাগে এসে চিকিৎসকদের পাশে তাঁদের বলার চেয়ারে বসে রোগীদেরকে কি ওষুধ লিখছেন তা নজরদারি রাখছেন। মূলত তার দোকানে যে সমস্ত ওষুধ রয়েছে, সেই সব ওষুধ রোগীদের জন্য প্রেসক্রিপশনে লেখার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর খোদ ওষুধের দোকানের মালিকই  হাসপাতালে চিকিৎসকদের চেম্বারে বসে নজরদারি করায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রোগীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, জরুরি বিভাগে লাইন দিয়ে রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। কিন্তু, ওই ওষুধের দোকানের মালিক নির্দ্বিধায় হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে চিকিৎসকদের পাশে পাশেই বসে নজরদারি করেন। বাইরে কেউ আসলে অনেকেই তাকে চিকিৎসক ভাববেন। কিন্তু, তিনি দিব্যি হাসপাতালে ঢুকে দিনের পর দিন চিকিৎসকদের উপরে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন। মূলত চিকিৎসকদের লেখা প্রেসক্রিপশনে তার দোকানে থাকা ওষুধ লেখার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    কী বললেন হাসপাতালের সুপার?

    দালাল চক্রের সক্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে হাসপাতালে সুপারেরও বিষয়টি নজর এসেছে। হাসপাতালে সুপার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কেউ যেন জরুরি বিভাগর এসে চিকিৎসকদের পাশে বসে না থাকে তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন বিষয়টি নজরদারি করব। নিয়ম না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    কী বললেন অভিযুক্ত ওষুধের দোকানের মালিক?

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওষুধের দোকানের মালিক দেবাশিস দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, এক মাসের ফিট সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য আমি হাসপাতালে এসেছিলাম। তবে চিকিৎসকের পাশে বসা আমার ঠিক হয়নি। আগে কখনো বসিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। চিকিৎসকদের ওষুধ লেখার ব্যাপারে আমি কোন প্রভাবিত করি না। আমাকে বদনাম করার জন্য এসব করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বাড়ি কিনে তোলাবাজির মুখে শিক্ষক, ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় বাড়িতে তাণ্ডব, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার

    TMC: বাড়ি কিনে তোলাবাজির মুখে শিক্ষক, ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় বাড়িতে তাণ্ডব, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বাড়ি কিনেছেন। আর কাউন্সিলারের কাছে নজরানা পাঠাননি। এটাই পানিহাটি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোমনাথ সর্দারের অপরাধ। পেশায় শিক্ষক সোমনাথবাবু এত সব নিয়ম জানতেন না। তাই, বাড়ি কেনার পর পরই স্থানীয় তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারের কাছে থেকে তাঁর কাছে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে ফোন আসে বলে অভিযোগ। সেই টাকা না দিলে তার বাড়িতে তাণ্ডব চালায় হয় বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  সোমনাথ সর্দারের বাবা অসুস্থ। বাড়িতে সদ্যোজাত সন্তান রয়েছে। পরিবারের আরও অনেক সদস্যদের সামনে তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারের অনুগামীরা চড়াও হন। এর আগে ১০ জুলাই কাউন্সিলারের ছেলেরা চড়াও হয়েছিলেন। এবার চড়াও হয়ে বাড়ির লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ৫ লক্ষ টাকা অবিলম্বে কাউন্সিলারে কাছে পৌঁছে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। পরে, সোমনাথবাবু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    কী বললেন অভিযোগকারী শিক্ষক?

    সোমনাথবাবু বলেন, নতুন বাড়ি কেনা কী আমার অপরাধ? আমার কাছে থেকে ৫ লক্ষ কাউন্সিলারের লোকজন দাবি করছে। তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার নিজে ফোন করে দেখা করতে বলছে। আর দাবি মতো ৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়নি বলে ওরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। বাড়ির ভিতরে তাণ্ডব চালায়। আমার ভাইকে মারধর করেছে। আমার অসুস্থ বাবাকে শারীরীকভাবে হেনস্থা করা হয়। এই ঘটনার পর চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারের কী বক্তব্য?

    অন্যদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার হিমাংশু দেব। তিনি উল্টে অভিযোগ করেন, সোমনাথবাবু তাঁর শ্বশুর ও শালির কাছ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়ে না দেয়নি। শুধু তাই নয় একজন বিধবা মহিলার কাছ থেকে স্থানীয় ক্লাবের নাম করে ৫ লাখ টাকা তিনি নিয়েছেন। সকলেই আমার কাছে জানিয়েছে। অখন তিনি নিজে এসব ঘটনা জড়িয়ে রয়েছেন বলে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির  উত্তর কলকাতা শহরতলির জেলার সহ-সভাপতি কৌশিক চট্টোপাধ্যায়  বলেন, এই ঘটনা নতুন নয়। গোটা রাজ্যজুড়েই এমন চলছে। মানুষকে  ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। সাধারণ মানুষ যেন ভয় না পেয়ে প্রতিবাদ করে, রাস্তায় বেড়িয়ে এসে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: গরমে পানিহাটির মহোৎসবতলার চিড়া উৎসবে অসুস্থ হয়ে পড়়লেন ১৫ জন ভক্ত

    Panihati: গরমে পানিহাটির মহোৎসবতলার চিড়া উৎসবে অসুস্থ হয়ে পড়়লেন ১৫ জন ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের গাফিলতি আর লাগামছাড়া ভিড়ে গত বছর পানিহাটির (Panihati) দণ্ড মহোৎসবতলায় পুজো দিতে এসে ৩ জন ভক্তের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। গতবারের দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু, গতবারের আতঙ্কে এবার ভক্ত সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই ফি বছর এই উৎসবে কয়েক লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়। এবার সেখানে লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়েছে। তবে, এবার প্রচণ্ড গরমে ১৫ জন ভক্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন।

    কী বললেন মন্দিরের মূল সেবাইত?

    এদিন রঘুনাথ দাস গোস্বামীর ৫০৭ বছরের পানিহাটি (Panihati) দণ্ড মহোৎসব শুরু হল। গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে পুরসভা এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। ছিল ৪০০র বেশি পুলিশ। এছাড়া প্রত্যেক ভক্তের জন্য ছিল পানীয় জলের সুব্যবস্থা। ২০০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা সহ ড্রোনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মেলার মাঠ সহ বিভিন্ন জায়গায় ভক্তদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছিল অনেকগুলি স্বাস্থ্য শিবির। কিন্তু, আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা ছিল তীব্র দাবদাহের। দাবদাহ উপেক্ষা করেই ভোর থেকে ভক্ত সমাগম শুরু হয়। জানা গিয়েছে, এদিন ভোর ৪ টে থেকে শুরু হয় মঙ্গল আরতি ও পূজা পাঠ। শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর শ্রী মন্দিরের মূল সেবাইত বঙ্কুবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রশাসনের থেকে যথাযথ ব্যবস্থা ছিল। তবুও, এই উত্সবে প্রধানত বয়স্ক ভক্তের সমাগম বেশি মাত্রায় হয়। কিন্তু গরমের দাপটে এবার ভক্ত সমাগম এবার অনেক কম হয়েছে।”

    কী বললেন স্থানীয় বিধায়ক?

    পানিহাটির (Panihati) বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, “আমরা এলাকায় পুরসভার পক্ষ থেকে মেডিক্যাল ক্যাম্প করেছিলাম। এদিন প্রচণ্ড গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকলকে মেডিক্যাল ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সা করা হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে ভক্তদের জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা ছিল।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাটের মন্দিরের ভিতরে এবার পুজো দিতে পারবেন না ভক্তরা, কেন জানেন?

    Panihati: পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাটের মন্দিরের ভিতরে এবার পুজো দিতে পারবেন না ভক্তরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাল, শুক্রবার পানিহাটির (Panihati) মহোৎসবতলা ঘাটে চিঁড়ে উৎসবের সূচনা হচ্ছে। সাজো সাজো রব গোটা এলাকা। গতবারের  দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পানিহাটির মহোত্সবতলা ঘাটের মন্দিরের ভিতরে ঢুকে এবার আর ভক্তরা পুজো দিতে পারবেন না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রস্তুতি রয়েছে। গতবার পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন বহু ভক্ত। মন্দিরের মূল সেবাইত বঙ্কুবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুর্ঘটনা এড়াতে এবার ভক্তের সংখ্যা কমবে মনে হয়। আর ভক্তরা এসে মন্দিরে পুজো দিতে না পারলে তাঁরা হতাশ হবে। ফলে, আগামীদিনে ভক্তের সংখ্যা আরও কমবে। তবে, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে নিতে হবে।”

    দুর্ঘটনা এড়াতে এবার কী উদ্যোগ নিল প্রশাসন?

    জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) দণ্ড মহোৎসব এবছর প্রশাসন কিছু নির্দিষ্ট রুটে দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য ধার্য করা হয়েছে। মূলত দর্শনার্থীরা সোদপুর ট্রাফিক মোড় ও স্বদেশী মোড় দিয়ে হেঁটে প্রবেশ করতে পারবে উৎসব প্রাঙ্গণে। কিছুটা দূরত্ব থেকে একমুখী পথ রাখা রয়েছে দর্শনার্থীদের  জন্য। সেই পথ ধরে কয়েকটি ড্রপ গেট ধরে এগিয়ে শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর শ্রী মন্দির পানিহাটি (Panihati) দণ্ড মহোৎসব তলায় প্রবেশ করতে পারবেন  দর্শনার্থীরা। মূল মন্দিরে পুজোর ক্ষেত্রেও রয়েছে কিছু নির্দেশিকা। মূল মন্দির থেকে ইসকন পানিহাটি হয়ে রাঘব ভবন (পাটবাড়ী) যাওয়ার পথ সম্পূর্ণ একমুখী রাখা রয়েছে। পানিহাটি বৈষ্ণব সমিতি মাঠে করা হচ্ছে পূর্ণার্থীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা। রয়েছে স্বাস্থ্য শিবির। এছাড়াও দুটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া থাকছে ফ্রায়ার ব্রিগেড থেকে শুরু করে পানীয় জলের সুব্যবস্থা। প্রসাদ বিতরণের জন্য মন্দিরগুলিকে আলাদা ভাবে ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে প্রশাসন সূত্রে। মেলার ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো স্টল বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবার। এছাড়া খুব গরম থাকায় থাকবে বিশেষ জল বর্ষণের ব্যবস্থা। এছাড়া থাকছে ২০০ টির বেশি সিসিটিভির মাধ্যমে সুরক্ষা ব্যবস্থা।

    কবে শুরু হয়েছিল এই উৎসব?

    চৈতন্য মহাপ্রভু পানিহাটির (Panihati) মহোত্সবতলা ঘাটে চিঁড়ে উত্সবের সূচনা করেছিলেন। ৫০৭ বছর আগেই ভক্তদের উপস্থিতিতে মহাপ্রভুর নির্দেশে এই উত্সব শুরু হয়েছিল। কথিত আছে ১৫১৬ সালে সপ্তগ্রামের জমিদার রঘুনাথ দাসকে দই চিঁড়ে বিতরণের কৃপাদণ্ড দিয়েছিলেন। মহাপ্রভু ও ভক্তদের সকলের জন্য দই, চিঁড়া, কলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই থেকেই  এখানে এই চিঁড়ে উত্সব পালিত হয়ে আসছে। ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস এই উত্সবে আসতেন। এছাড়াও রামদাস বাবাজী, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মতো মণীষীদের পদধূলি ধন্য এই মহোত্সব তলা ঘাট। কালের নিয়ম মেনেই কয়েকশো বছর ধরেই এই পানিহাটিতে এই উত্সব পালিত হয়ে আসছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: তীব্র দাবদাহে নেই পানীয় জলের পরিষেবা, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে মহিলারা

    Agitation: তীব্র দাবদাহে নেই পানীয় জলের পরিষেবা, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে পানীয় জল পাচ্ছেন না পানিহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে পানিহাটি পুরসভা ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। পানীয় জল না পাওয়ায় এলাকার বাসিন্দাদের যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রবিবার এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জলের দাবিতে বিক্ষোভ (Agitation) ও রাস্তা অবরোধ করেন। অবরোধ কর্মসূচিতে বাড়ির মহিলারা সামিল হয়েছিলেন। যদিও ঘোলা থানার পুলিশ গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।

    অবরোধ নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    এক বছর আগেও এই এলাকার মানুষ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) দেখিয়েছিলেন। সেই সময় পুরসভার পক্ষ থেকে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও পানীয় জলের সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। এরপরই এলাকাবাসী জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তা অবরোধে সামিল হন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই গরমে এলাকায় তীব্র জলকষ্ট। পুরসভার ট্যাপ দিয়ে জল পড়ছে না। বাধ্য হয়ে প্রতিদিন জল কিনে খেতে হচ্ছে। পুরসভার কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। বছরের পর বছর ধরেই আমাদের এইভাবে চলতে হচ্ছে। ভোটের সময় নেতারা এসে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। পানীয় জলের সমস্যা আমাদের কোনদিনও মেটে না। আন্দোলন করলে নেতারা এসে শুধু আশ্বাস দিয়ে চলে যায়। কাজের কাজ কিছুই হয় না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে পানীয় জলের সমস্যা সমাধান করতে হবে। দাবি আদায়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) দেখানো হয়েছিল। দাবিপূরণ না হলে আগামীদিনে ভোট বয়কট করার হুমকি দেন তাঁরা। পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ তুলতে পুলিশি অভিযানের কড়া সমালোচনা করেন আন্দোলনকারীরা।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, শুধু ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে নয়, এই পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। আসলে গঙ্গার জলস্তর কমে যাওয়ায় পানীয় জলের পরিষেবা দিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে, আমাদের পুরসভার যে সব এলাকায় সমস্যা রয়েছে, সেখানে জলের গাড়ি পাঠানো হয়। ওই এলাকার মানুষের দাবি শুনেছি। দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: তৃণমূলের তোলাবাজির রাজনীতির বলি দলেরই কর্মী, টাকা না পেয়ে পিটিয়ে খুন

    Panihati: তৃণমূলের তোলাবাজির রাজনীতির বলি দলেরই কর্মী, টাকা না পেয়ে পিটিয়ে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলতেন বিরোধীরা। তোলা না দিলেই হামলা করার অভিযোগ উঠত শাসক দলের বিরুদ্ধে। এবার সেই তাদের তৈরি ফাঁদে পড়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক তৃণমূল কর্মীর। তোলার টাকা না দেওয়ায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হল। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটির (Panihati) ঘোলা থানার অপূর্বনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অভিজিৎ বিশ্বাস। এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে তিনি পরিচিত। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোলা থানায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে, ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটির (Panihati) অপূর্বনগরে ওই তৃণমূল কর্মীর চানাচুরের কারখানা রয়েছে। দল করার পাশাপাশি তিনি ব্যবসা করতেন। বাদল মণ্ডল ও তাঁর লোকজন এলাকায় অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। এই বাদল মণ্ডল অভিজিৎ বিশ্বাসের কাছে ২ লক্ষ টাকা তোলা চান বলে অভিযোগ। বেশ কিছুদিন ধরে তোলা চাওয়া নিয়ে অভিজিতের সঙ্গে তাদের ঝামেলা হয়েছে। অভিজিৎবাবুর স্ত্রী মৌ বিশ্বাস বলেন, এলাকার কিছু দুষ্কৃতী আমার স্বামীকে হুমকি দিত। তোলার টাকা চাইত। কয়েকদিন ধরে ওকে বাড়ি থেকে বের হতে দিইনি। রবিবার বাবাইদা বলে এক তৃণমূলে ওকে ডেকেছিল বলে আমার স্বামী গিয়েছিলেন। পরে, মেয়ের জন্য কিছু জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তাতে আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। পরে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    তৃণমূল কর্মীর দাদা কী বললেন?

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, অভিজিৎ আমার মামার ছেলে। রবিবার রাতে বাইকে করে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। পাড়ার কাছে বাদল, অর্জুন সহ কয়েকজন আমাদের পথ আটকায়। আমি অভিজিৎকে কথা না বলে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু, ও শুনল না। আমি বাইক থামাতে পাশের গলি থেকে সাত-আট জন বেরিয়ে এসে আমাকে বেধড়ক মারতে শুরু করে। আমি মাথায় চোট পাই। অভিজিৎ ছুটে পালাতে গেলে ওকে ঘিরে ধরে। আমি সেখান থেকে কিছুটা দূরে চলে যাই। এরপর ঘটনাস্থলে ফিরে গিয়ে দেখি, ভাইকে ওরা বেধড়ক মারছে। ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করছে। আশপাশের লোকজন আসতেই হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বাদল ও তাঁর লোকজন এলাকায় দুষ্কৃতীরাজ কায়েম করে রেখেছে। অভিজিতের কাছ থেকে তোলার টাকা না পেয়ে ওরা এই কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনা তীব্র নিন্দা করছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক  শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tollywood Actress: শ্যুটিং সেরে ফেরার পথে বেপরোয়া লরি পিষে দিল জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রীকে

    Tollywood Actress: শ্যুটিং সেরে ফেরার পথে বেপরোয়া লরি পিষে দিল জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্যুটিং সেরে বাড়ি ফেরার সময় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক টেলি অভিনেত্রীর (Tollywood Actress) । শনিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর থানার ঘোষপা়ড়া রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই টেলি অভিনেত্রীর নাম সুচন্দ্রা দাশগুপ্ত (২৯)। তাঁর বাড়ি পানিহাটি রেলওয়ে পার্ক এলাকায় তাঁর বাপের বাড়ি। বাইকে করে বাপের বাড়িতে ফেরার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুচন্দ্রা টেলি (Tollywood Actress) জগতে পরিচিত মুখ। “গৌরী এলো” সহ একাধিক সিরিয়ালে তিনি সহ অভিনেত্রীর কাজ করতেন। অন্যদিনের মতো শনিবারও তাঁর শ্যুটিং ছিল। তিনি শ্যুটিং শেষ করে রাতে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। ডানলপের দিক থেকে তিনি বাইকে করে যাওয়ার সময় বরানগর ঘোষপাড়া রোডের কাছে একটি সাইকেল আচমকাই রাস্তা পার করে। সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে অভিনেত্রীর বাইকের চালক জোরে ব্রেক কষে। সেই সময় বাইকের পিছনে বসে থাকা অভিনেত্রী রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায়। ঠিক ওই সময়ই পিছন দিক থেকে আসা একটি লরি তাঁকে পিষে দেয়। যদিও ঘটনার পর পরই লরিটিকে পুলিশ আটক করেছে। লরির চালককে গ্রেফতার করা হয়।

    কী বললেন প্রত্যক্ষদর্শীরা?

    এই ঘটনায় অভিনেত্রীর (Tollywood Actress)  পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। টেলি জগতের অনেকেই এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করেছেন। জানা গিয়েছে, শ্যুটিং শেষ হওয়ার পর তিনি অনলাইনে একটি বাইক বুক করেন। সেই বাইকে চড়েই তিনি কলকাতা থেকে পানিহাটিতে বাপের বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তাতেই বেপরোয়া লরি তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাইকে যথেষ্ট গতি ছিল। কিন্তু, আচমকা ব্রেক না করার জন্যই ওই মহিলা ছিটকে পড়েন। পিছনে লরিটি না থাকলে হয়তো তিনি বেঁচে যেতেন। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই লরিটি তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ওই অভিনেত্রীর ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Car: সোদপুরে মেলার মাঠে দাবিদারহীন চারচাকা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ, কী ছিল গাড়ির ভিতরে?

    Car: সোদপুরে মেলার মাঠে দাবিদারহীন চারচাকা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ, কী ছিল গাড়ির ভিতরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এক সপ্তাহ ধরে শুরু হয়েছে মেলা। আর সেই মেলার মাঠে রাখা রয়েছে দুধ সাদা এক্সইউভি-৫০০ গাড়ি (Car)। আর এই গাড়ি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সোদপুর অমরাবতী এলাকায়। এই অমরাবতীর মাঠে শুরু হয়েছে “পানিহাটি এক্সপো মেলা”। সেই মেলার মঞ্চের পিছনে ভিআইপি গেটের কাছে গত কয়েকদিন ধরে রহস্যজনকভাবে পড়ে থাকা একটি এক্সইউভি গাড়ি শুক্রবার রাতে বাজেয়াপ্ত করে খড়দহ থানার পুলিশ।

    গাড়ির (Car) ভিতর থেকে কী বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটির (Car) রেজিস্ট্রেশন রয়েছে বাঁকুড়া আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের। নথি অনুযায়ী গাড়িটি সেলিম মিদ্যা নামে এক ব্যক্তির। গাড়িটির (Car) বয়স প্রায় ১০ বছর। কিন্তু বাঁকুড়ার গাড়ি সোদপুরে এল কী করে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে গাড়িটি ওই মাঠে রাখা ছিল। ওই গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৬ টি মোবাইল ফোন ও টাকা গোনার মেশিন। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু প্যান কার্ড, এটিএম কার্ড, প্রেস কার্ড, নথিপত্র সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। শনিবার পর্যন্ত গাড়ির মালিকের হদিশ মেলেনি।

    কী বললেন মেলা কমিটির উদ্যোক্তারা?

    গাড়িটির (Car) কোনও মালিকানা না পাওয়ায় মেলা উদ্যোক্তারা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেন। পরে, বিষয়টি নজরে আসে খড়দহ থানার পুলিশের। এরপরই পুলিশ গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। মেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক তথা পূর্ব পানিহাটি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোময় রায় বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে গাড়িটি মাঠে পড়েছিল, আমরা পাড়াতে খোঁজখবর নিয়েছিলাম। কিন্তু গাড়ির মালিকানার বিষয় কেউ কিছু বলতে পারেনি। এরপর পুলিশ মেলার মাঠ খতিয়ে দেখতে আসলে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশ গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। গাড়ির (Car) ভিতরে কী ছিল তা আমরা জানতাম না। কারণ গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে লক করা ছিল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির যুব নেতা জয় সাহা বলেন, একটি গাড়ি (Car) থেকে যদি টাকা গোনার মেশিন উদ্ধার হতে পারে, তাহলে কেন ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হবে না। বিষয়টি প্রশাসনের খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা উচিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share