Tag: Park Circus

Park Circus

  • Ashwini Vaishnaw: সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধসের আতঙ্ক, তাই কি পার্ক সার্কাস উচ্ছেদ অভিযানে রেলকে অসহযোগিতা রাজ্যের?

    Ashwini Vaishnaw: সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধসের আতঙ্ক, তাই কি পার্ক সার্কাস উচ্ছেদ অভিযানে রেলকে অসহযোগিতা রাজ্যের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধস নামলে খোয়াতে হতে পারে গদি। তাই কি কলকাতার পার্ক সার্কাস রেলওয়ে স্টেশন থেকে দখলদারদের হঠাতে (Eviction Drive) একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও, রেলকে সাহায্য করেনি তৃণমূল পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার? আপাতত এই প্রশ্নটাই ঘোরাফেরা করছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) একটি দাবির পর। ভনিতা ছেড়ে ফেরা যাক খবরে।

    রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ (Ashwini Vaishnaw)

    পার্ক সার্কাস এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। এই এলাকায় রেললাইন দখল করেও দিব্যিই ব্যবসা করে চলেছেন কিছু মানুষ। তার ফলে নিত্য বিস্তর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় রেলযাত্রীদের। সেই কারণেই রেলস্টেশনের ধার থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে বারংবার অভিযান চালিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাজ্য সরকার তাতে সহযোগিতা না করায় উচ্ছেদ অভিযান সফল হয়নি বলে জানালেন রেলমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য রেলমন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, পার্ক সার্কাস স্টেশনকে দখলদার মুক্ত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যসভায় এক লিখিত উত্তরে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কথা। লিখিত উত্তরে রেলমন্ত্রী বলেন, “দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পার্ক সার্কাস রেলস্টেশনে সময়ে সময়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় রেল। কিন্তু রাজ্য সরকার এই কাজে সাহায্য করেনি। তাই অভিযান সফল হয়নি।”

    কী বললেন রেলমন্ত্রী?

    ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষা প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযোগে ভারতীয় রেল সব সময় সাড়া দেয়। স্টেশনগুলিতে রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী থাকেন। সিসিটিভির নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সময়, স্থান ও কী ধরনের হুমকি রয়েছে, তা দেখেশুনে সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।” তিনি (Ashwini Vaishnaw) জানান, আরপিএফ মোতায়েনের বিষয়টি নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয়। সরকারের রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা হয়। অপরাধ দমনে যথাযথ পদক্ষেপ করে রেল। স্টেশন চত্বরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সম্পর্কে রেলমন্ত্রী জানান, এটা নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। স্টেশন চত্বরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে রেলমন্ত্রক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হচ্ছে, বর্জ্য পদার্থ ফেলার আলাদা আলাদা ডাস্টবিন রাখা হয়েছে, জল নিকাশি ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে এবং ঘন ঘন স্টেশন পরিষ্কার (Eviction Drive) রাখার কাজ চলছে। পে অ্যান্ড ইউজ প্রকল্পের মাধ্যমে শৌচালয়গুলিকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজও হচ্ছে (Ashwini Vaishnaw) নিয়মিত।

  • Park Circus Firing: ভরদুপুরে পার্কসার্কাসে গুলি, মৃত ২, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্য সচিবকে তলব রাজ্যপালের

    Park Circus Firing: ভরদুপুরে পার্কসার্কাসে গুলি, মৃত ২, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্য সচিবকে তলব রাজ্যপালের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক : ভরদুপুরে শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। মৃত্যু এক মহিলার। আত্মহত্যা এক কনস্টেবলের।  আজ দুপুর ২টো নাগাদ পার্ক সার্কাস (Park Circus Firing) মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।  বাইকে চলন্ত অবস্থায় পিঠে গুলি লাগে ওই মহিলার। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহত হন ওই গাড়ির চালক। এরপর নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা (Suicide) করেন পুলিশ (Police) কর্মীটি। 

    জানা গেছে, ওই মৃত পুলিশ কর্মীর নাম টুডুপ লেপচা। তাঁর বাড়ি দার্জিলিং। পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি যোগ দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের পঞ্চম ব্য়াটেলিয়নে। তবে আপাতত ছিলেন ছুটিতে। শুক্রবার সকালেই কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান,মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন টুডুপ। আর তা থেকেই আচমকা এই গুলি বৃষ্টি। মোট দশ রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন ওই পুলিশকর্মী। হাইকমিশের সামনে পুলিশ বুথেই কর্মরত ছিলেন তিনি। হঠাৎই নিজের ইনসাস রাইফেল থেকে গুলি চালাতে শুরু করেন। রাস্তা দিয়ে তখন বাইকের পিছনে চেপে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। সোজা পিঠে গুলি লাগে তাঁর। উল্টে পড়ে যান তিনি। ছিটকে যায় তাঁর পায়ের চটি। আহত হন ওই বাইক চালকও। তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কড়েয়া থানার পুলিশ। 
     
    পরপর দু দিন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি এক চিঠি লিখে শুক্রবার রাত দশটার মধ্য়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে তলব করেছেন। প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীরও হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন। আবেদন জানিয়েছেন শান্তির।   

    শান্তির আবেদন জানাচ্ছেন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সকলেই। তবে শহরের বুকে দিনদুপুরে যেভাবে গুলি চলল, আর বেঘোরে প্রাণ গেল এক মহিলার, তা আমজনতার নিরাপত্তা নিয়েই গভীর প্রশ্ন তুলে দিল। 

     

LinkedIn
Share