Tag: parliament

parliament

  • Pakistan: “আমরা টিআরএফ-কে অবৈধ বলে মনে করি না,” বললেন পাক বিদেশমন্ত্রী দার

    Pakistan: “আমরা টিআরএফ-কে অবৈধ বলে মনে করি না,” বললেন পাক বিদেশমন্ত্রী দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা টিআরএফ (দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট)-কে (TRF) অবৈধ বলে মনে করি না। প্রমাণ দিন যে তারা পহেলগাঁয়ে হামলা চালিয়েছে। টিআরএফ যে ওই কাজে যুক্ত, তার প্রমাণ দেখান। আমরা এই অভিযোগ মেনে নেব না।” সম্প্রতি নির্লজ্জভাবে কথাগুলি বলেছেন পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার। টিআরএফ লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়ে টিআরএফ বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে খুন করেছে বলে অভিযোগ। ১৮ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টিআরএফকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বিদেশি জঙ্গি সংগঠন এবং বিশেষভাবে মনোনীত আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আমেরিকার এই ‘দাওয়াই’ ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার কূটনৈতিক ও কৌশলগত একটি বড় ধাক্কা।

    কী কবুল করলেন দার (Pakistan)

    বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পাকিস্তান। এই অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয় দু’বছরের জন্য। এদিন দার কবুল করেন, “পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের সদস্য হিসেবে পহেলগাঁওয়ে হামলার নিন্দা জানানোয় নিরাপত্তা পরিষদের জারি করা বিবৃতিতে টিআরএফের নাম মুছে ফেলতে হস্তক্ষেপ করেছিল।” তিনি বলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে টিআরএফের নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করেছি। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন রাজধানী থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান তা কখনওই মেনে নেবে না।” তিনি বলেন, “টিআরএফের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং পাকিস্তান জিতেছে।”

    হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিবৃতি টিআরএফের

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে টিআরএফ নিজেই। ভারত এবং আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও আলাদা আলাদাভাবে লস্কর-ই-তৈবার পরিকাঠামোর সঙ্গে টিআরএফের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে। তার পরেও দার (Pakistan) নির্লজ্জভাবে দাবি করেন, “আমরা টিআরএফকে অবৈধ বলে মনে করি না। প্রমাণ দিন যে তারা পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছে। টিআরএফ যে ওই কাজে যুক্ত, তার প্রমাণ দেখান। আমরা এই অভিযোগ মেনে নেব না।” উল্লেখ্য যে, এই মন্তব্যগুলি শুধু পাকিস্তানের (Pakistan) সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে দ্বিচারিতা প্রকাশ করে না, বরং এটি বিশ্বব্যাপী দীর্ঘদিনের উদ্বেগকে ফের নিশ্চিত করে যে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে (TRF)।

    আমেরিকার প্রতিক্রিয়া

    দারের মন্তব্যের পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে দেশের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও টিআরএফকে একটি স্বীকৃত বিদেশি জঙ্গি সংগঠন (FTO) এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাসে জড়িত বিশেষভাবে মনোনীত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ঘোষণা করেন। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “টিআরএফ, যা লস্কর-ই-তৈবার একটি ফ্রন্ট ও প্রতিনিধি গোষ্ঠী, ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত হামলার দায় স্বীকার করেছে, যেখানে ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হন।” তারা আরও জানিয়েছে যে, টিআরএফ নামের এই গোষ্ঠী গত এক বছরে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডকে ২০০৮ সালের পর ভারতে নিরীহ মানুষের ওপর সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা বলে উল্লেখ করে রুবিও বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    ট্রাম্প সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল ভারত

    ট্রাম্প সরকারের এই পদক্ষেপকে পাকিস্তানের (Pakistan) জঙ্গি মদতদাতাদের বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সহযোগী টিআরএফকে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন এবং বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণার জন্য সেক্রেটারি রুবিও এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই সংগঠনই ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে। সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দারের এহেন মন্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদীদের রক্ষায় ইসলামাবাদের কূটনৈতিক ছলচাতুরির মুখোশ খুলে দিয়েছে (TRF)। তারা নিজেরাই নিজেদের ভিকটিম হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে আমেরিকা ভারতের পাশে থাকায় পাকিস্তানের দ্বিচারিতা এখন বৈশ্বিক পর্যায়ে নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণের মুখোমুখি বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    কী বলল চিন

    এদিকে, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য মূলত চিনের আপত্তিতেই নিরাপত্তা পরিষদের তরফে জারি করা বিবৃতি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় টিআরএফ এবং লস্করের মতো শব্দগুলি। এর পরেই পাকিস্তান আশা করেছিল, টিআরএফ ইস্যুতেও আমেরিকার অবস্থানের পরে পাকিস্তানের (Pakistan) পাশে থাকবে শি জিনপিংয়ের দেশ। তবে শুক্রবারই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান সাফ জানিয়ে দেন, “চিন দৃঢ়ভাবে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে এবং ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে।”

  • India Bloc: বাদল অধিবেশনের আগে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে ভার্চুয়াল বৈঠকে ইন্ডিয়া ব্লক

    India Bloc: বাদল অধিবেশনের আগে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে ভার্চুয়াল বৈঠকে ইন্ডিয়া ব্লক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session) আগে দেশজুড়ে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন ইন্ডিয়া ব্লকের (India Bloc) শীর্ষ নেতারা। তবে সেই বৈঠকে ঐক্যের বদলে ধরা পড়ল অনৈক্যের ছবিই। সামনেই বিহার বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে ইন্ডিয়া জোটে ফাটলের এই ছবির প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    বৈঠকে অনৈক্যের ছবি (India Bloc)

    এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিল ২৪টি রাজনৈতিক দল। আশ্চর্যজনকভাবে অনুপস্থিত ছিল আম আদমি পার্টি। এই বৈঠকে যেসব বিষয়ে ঐক্য এবং অনৈক্যের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, সেগুলি হল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বাম-আরএসএস মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সিপিআই নেতা ডি রাজা। সম্প্রতি রাহুল কেরালার বাম আদর্শের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন আরএসএসের সঙ্গে। তা নিয়েই এদিন ক্ষোভ উগরে দেন রাজা। জোট রাজনীতিতে শরিকদের মধ্যে সমালোচনা একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই থাকা উচিত বলে রাহুলকে মনে করিয়ে দেন এই সিপিআই নেতা।

    বাদল অধিবেশনে হতে পারে হইচই

    এদিনের বৈঠকে ইন্ডিয়া ব্লকের মধ্যে নিয়মিত বৈঠকের দাবি জানান কয়েকজন নেতা। এঁদের মধ্যে ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ার এবং রাম গোপাল যাদব-সহ কয়েকজন। তাঁরা জানান, অনিয়মিত যোগাযোগ কৌশলগত পরিকল্পনায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। অগাস্টের শুরুতে জোটের আর একটি বৈঠক হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের দাবিও ওঠে ইন্ডিয়া জোটের এই বৈঠকে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা সংসদে জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদার দাবি তোলার আহ্বানও জানান। উপস্থিত নেতারা এই প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেন। গত এপ্রিলে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার শিকার হন ২৬ জন হিন্দু পর্যটক। এই হামলাকে কেন্দ্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে চায় ইন্ডিয়া ব্লক। আসন্ন বাদল অধিবেশনে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের ব্যর্থতা নিয়েই সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপস্থিত নেতারা (Monsoon Session)।

    মাওবাদী বিরোধী অভিযান ও যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়েও আলোচনার আহ্বান

    মাওবাদী বিরোধী অভিযান ও যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা করার আহ্বান জানানো হয় এদিনের বৈঠকে। দীপঙ্কর ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় সরকারের মাওবাদী বিরোধী অভিযান এবং বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক (India Bloc) যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়টি উত্থাপন করার আহ্বান জানান। তিনি এই সংঘাত মোকাবিলার পদ্ধতি নিয়ে একটি বিস্তৃত আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। গোয়েন্দা ব্যর্থতা, পেগাসাস এবং এনআরসি নিয়ে সংসদে যে তৃণমূল সোচ্চার হবে, এদিন তারও ইঙ্গিত মিলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, পহেলগাঁও হামলার পরেও কেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধানের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হল। তাঁর অভিযোগ, পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার করা হচ্ছে। এসআইআর-কে এনআরসি বাস্তবায়নের এক গোপন পথ হিসেবেও তুলে ধরেন তিনি।

    ট্রাম্পের বারবার যুদ্ধবিরতির দাবি

    ট্রাম্পের বারবার যুদ্ধবিরতির দাবি নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৪ বার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করানোর দাবি করেছেন। এনিয়ে চুপ করে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতে জোট গভীরভাবে উদ্বিগ্ন (Monsoon Session)।” জাতীয় নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে। তিওয়ারি বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে পূর্ণ ঐকমত্য ছিল।” তাঁর অভিযোগ, বিজেপির শাসন কালে জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে (India Bloc)। বিহারে এসআইআর নিয়ে ঘোষণা ছাড়াই জরুরি অবস্থার অভিযোগও ওঠে। বিহারে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) প্রক্রিয়া তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। বিরোধী জোট একে ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার এক ছদ্ম চেষ্টা বলে আখ্যা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিকে তারা ঘোষণাহীন জরুরি অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে।

    অনৈক্যের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে আগেও

    এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না আম আদমির পার্টির তরফে কেউ। স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা ছড়ায়, তাহলে কি ইন্ডিয়া ব্লক থেকে ক্রমেই দূরত্ব বাড়াচ্ছে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Monsoon Session)! প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এনডিএকে ঠেকাতে জোটবদ্ধ হয় দেশের ২৬টি বিজেপি বিরোধী দল। এই জোটেরই নাম হয় ইন্ডিয়া ব্লক (India Bloc)। জন্মলগ্ন থেকেই এই জোটের অন্দরে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ বিবাদ। কখনও প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে হবেন তা নিয়ে জোটের অন্দরেই দেখা গিয়েছে অসন্তোষ, কখনও আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করায় এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় জোটের। এছাড়াও জোটের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়েও একাধিকবার চোখে পড়েছে জোটের ফাটল। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ফাটল আরও চওড়া হয়। বিহার নির্বাচনের আগে সেই জোটই তুলে ধরতে চেয়েছিল ঐক্যের ছবি। যদিও (Monsoon Session) প্রকাশ্যে যা এল, তার সঙ্গে ঐক্যের ফারাক বিস্তর (India Bloc)।

  • Hanuman Chalisa: ব্রিটেনের পার্লামেন্টে হনুমান চালিশা পাঠ, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর সঙ্গে গলা মেলালেন সাংসদরাও

    Hanuman Chalisa: ব্রিটেনের পার্লামেন্টে হনুমান চালিশা পাঠ, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর সঙ্গে গলা মেলালেন সাংসদরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের মাটিতে সমবেত কণ্ঠে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করে ‘ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম তুলেছিলেন মেহেন্দুপুর বালাজির মহন্ত নরেশপুরী মহারাজ। সেটা বছরদুয়েক আগের কথা। তবে সেটা ছিল ফ্রান্স। পরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে (UK Parliament) ‘ভারত গৌরব’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নরেশপুরী মহারাজ। সেখানেও তিনি গেয়েছিলেন হনুমান চালিশা। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন অনেকেই।

    ব্রিটেনের পার্লামেন্টে গীত হল হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa)

    এবার আরও একবার ব্রিটেনের পার্লামেন্টেই সমবেত কণ্ঠে গীত হল হনুমান চালিশা। এবার অবশ্য পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী। ইউরোপীয় দেশ সফরের সময় পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে পাঠ করা হল ভগবান হনুমানের স্তবগাথা। বাগেশ্বর ধামের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ‘বাগেশ্বর ধামবাবা নামে পরিচিত পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর উপস্থিতিতে ভক্তি সহকারে শ্লোক পাঠ করতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু লোক, সাংসদ এবং পার্লামেন্ট আধিকারিকদের।’ ভিডিওটি শেয়ার করার সময় বাগেশ্বর ধামের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে, ‘লন্ডনের পার্লামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শ্রদ্ধেয় সরকারের পক্ষ থেকে শ্রী হনুমান চালিশা পাঠ…পার্লামেন্টে উপস্থিত সকল অতিথি ভক্তি সহকারে পাঠ করেছেন…”

    পাক হাইকমিশনের বাইরেও পাঠ হনুমান চালিশা

    চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার প্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস (Hanuman Chalisa) করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তবে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর প্রবাসী ভারতীয়রা পাক হাইকমিশনের বাইরে জড়ো হয়ে সমবেত কণ্ঠে পাঠ করেছিলেন হনুমান চালিশা। এবার ব্রিটিশ সাংসদদের হনুমান চালিশা পাঠ করিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছেন ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ। তবে তাঁর পোশাক এবং অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ও খবর হয়েছিলেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুরের এই তরুণ ঋষি স্টাইলিশ স্নানগ্লাস ও দামি জ্যাকেট পরা বিমানে চড়ে এমনকি ক্রুজ উপভোগ করার ছবি প্রকাশের পর অনলাইনে ব্যাপকভাবে ট্রোলড হয়েছিলেন।

    প্রসঙ্গত, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী বাগেশ্বর ধাম সরকার নামেও পরিচিত (UK Parliament)। তাঁর পূর্বাশ্রমের নাম ছিল ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ গর্গ। বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান তিনি (Hanuman Chalisa)।

  • Amit Shah: অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করলেই…! লোকসভায় পেশ ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল ২০২৫’

    Amit Shah: অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করলেই…! লোকসভায় পেশ ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল ২০২৫’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ হল ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল ২০২৫ (Immigration And Foreigners Bill)। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের অভিবাসন আইন আধুনিকীকরণ ও একীভূত করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) লোকসভায় বিলটি পেশ করার কথা ছিল। এই বিলটি ভারতে প্রবেশ ও প্রস্থানকারীদের জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ, বিদেশিদের ভিসা ও নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে ক্ষমতা দান করবে।  জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে বিলটি উপস্থাপন করার সময়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় বলেন, এই আইন কারও ভারত ভ্রমণে কোনও বাধা সৃষ্টি করবে না।

    প্রস্তাবিত বিলের মূল বিষয় (Amit Shah)

    প্রস্তাবিত বিলের মূল বিষয়গুলি হল, ভুয়া পাসপোর্ট ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রবেশের জন্য কঠোর শাস্তি। এক্ষেত্রে দোষীদের সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। যাদের অবৈধ বিদেশি বলে সন্দেহ করা হবে, দেশে থাকতে হলে তাদের নিজস্ব জাতীয়তা প্রমাণ করতে হবে। অভিবাসন কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়নও থাকছে প্রস্তাবিত বিলে। প্রবেশ সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে পারবে। এয়ারলাইন্স শিপিং এবং পরিবহণ সংস্থাগুলিকে ভারতে প্রবেশে অস্বীকৃত বিদেশিদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পরিবহণকারীদের ওপর কঠোর জরিমানার বিধানও রয়েছে। বৈধ ভ্রমণ নথি ছাড়া যাত্রীদের নিয়ে (Amit Shah) আসা পরিবহণ সংস্থাগুলিকে ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে (Immigration And Foreigners Bill) পরিবহণ মাধ্যমটি আটক বা বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।

    অভিবাসন সম্পর্কিত বিষয়

    ২০২৫ সালের অভিবাসন ও বিদেশি বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি অভিবাসন সম্পর্কিত বিষয়গুলি, যেমন অভিবাসন কর্তাদের কার্যাবলী, পাসপোর্ট ও ভিসার প্রয়োজনীয়তা এবং অন্যান্য বিষয়গুলির বিধান করে। এতে বিদেশি ও তাদের নিবন্ধন সম্পর্কিত বিষয়গুলি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে কোনও বিদেশিকে ভর্তি করার বাধ্যবাধকতা সম্পর্কিত বিধান, হাসপাতাল, নার্সিংহোম বা অন্য কোনও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিদেশিদের ভর্তি করার বাধ্যবাধ্যকতা সম্পর্কিত বিধানগুলি নির্দিষ্ট করা রয়েছে।

    নিশিকান্ত দুবে

    বিজেপির সংসদ সদস্য এবং যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান নিশিকান্ত দুবে এবং বিজেপি (Amit Shah) সাংসদ অনিল বালুনি সংসদে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কিত কমিটির পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ সম্বলিত তাঁদের ছাপান্নতম রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ‘ভারতে কেবল টেলিভিশন নিয়ন্ত্রণ’ সংক্রান্ত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের রিপোর্টটি পেশ করেন। এর পাশাপাশি, তাঁরা সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কিত কমিটির পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ সম্বলিত তাদের চুয়ান্নতম রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ‘ডিজিটাল পেমেন্ট এবং ডেটা সুরক্ষার জন্য অনলাইন নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ সংক্রান্ত ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সপ্তম রিপোর্টটিও পেশ করেন।

    সাতচল্লিশতম প্রতিবেদন

    তাঁরা লোকসভায় ২০২৪-২৫ সালের যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির নিম্নোক্ত প্রতিবেদনের ওপর সরকারের গৃহীত পরবর্তী কার্যক্রম সংক্রান্ত বিবৃতিও উপস্থাপন করবেন। তাঁরা ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র শংসাপত্র বোর্ডের কার্যক্রম পর্যালোচনা’ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সপ্তদশ লোকসভায় উপস্থাপিত সাতচল্লিশতম প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত পর্যবেক্ষণ এবং সুপারিশের ওপর সরকারের গৃহীত কার্যক্রম সংক্রান্ত তিপ্পান্নতম প্রতিবেদনও উপস্থাপন করবেন। তাঁরা ‘ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের নাগরিকদের তথ্য নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা’ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সপ্তদশ লোকসভায় উপস্থাপিত আটচল্লিশতম প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশের ওপর সরকারের গৃহীত কার্যক্রম সংক্রান্ত পঞ্চান্নতম প্রতিবেদনও উপস্থাপন করবেন।

    রেলওয়ে (সংশোধনী) বিল পাস

    প্রসঙ্গত, সোমবার ১০ মার্চ সংসদে রেলওয়ে (সংশোধনী) বিল পাস হয়েছে, যা রেল পরিচালনাকে আধুনিক ও সুবিন্যস্ত করবে। লোকসভায় বিলস অফ লেডিং বিল ২০২৪-ও পাশ হয়েছে, যা আধুনিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরলীকরণ ও বোধগম্যতা বাড়াবে। তবে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে রাজ্যসভায় (Amit Shah) বিরোধীরা সীমানা পুনর্নিধারণ ও নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে ওয়াকআউট করে। লোকসভায়ও শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের বক্তৃতার সময় ডিএমকে-কে অসৎ বলে সমালোচনা করার প্রতিবাদে বিরোধী সাংসদরা ওয়েলে নেমে আসেন।

    প্রসঙ্গত, রেলওয়ে (সংশোধনী) বিলের লক্ষ্য হল ভারতে রেলওয়ে পরিচালনাকে সহজতর ও আধুনিক করা। আর ২০২৪ সালের বিলস অফ লেডিং বিলের উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন বিধানকে আধুনিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা, যাতে আইন বোঝা সহজ হয় এবং বর্তমান আইনের মৌলিক দিকগুলি সংরক্ষিত থাকে (Immigration And Foreigners Bill)। উল্লেখ্য, সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে ১০ই মার্চ। চলবে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত (Amit Shah)।

  • Modi in Rajya Sabha: পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ, দেশে নয়া মডেল! রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে কী কী বললেন মোদি?

    Modi in Rajya Sabha: পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ, দেশে নয়া মডেল! রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে কী কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘কংগ্রেসের নীতি হল, পরিবার প্রথম৷’’ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদজ্ঞাপন বক্তৃতায় স্বভাব-সিদ্ধ ভঙ্গিতেই কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Rajya Sabha) ৷ রাজ্যসভায় তাঁর আক্রমণ শুরু হয় বিজেপি সরকারের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মডেল দিয়ে৷ জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান দেশবাসী ২০১৪ সালের পরে একটা নতুন মডেল পেয়েছে, আদর্শ পেয়েছে। যা নিয়ে অমৃতকালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। তিনি বিজেপি সরকারের সাফল্যের কথাও বলেন।

    পরিবারতন্ত্র নিয়ে কটাক্ষ

    এদিন জবাবি ভাষণে দেশের সবচেয়ে পুরনো জাতীয় দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) বলেন, “কংগ্রেসের থেকে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ আশা করাই উচিত নয়। এটা যেমন ওদের ধারণার বাইরে, ঠিক তেমনই ওদের দলের আর্দশের মধ্য়ে পড়ে না। কারণ গোটা দলটাই টিকে আছে পরিবারতন্ত্রের উপর ভিত্তি করে।” জরুরি অবস্থার সময়ে দেশের পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ওই সময় দেশবাসীর বাক্‌স্বাধীনতা হনন এবং সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হয়েছিল। বেশ কিছু উদাহরণও তুলে ধরে মোদির অভিযোগ, শিল্পীদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি সেই সময়। জরুরি অবস্থাকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে রাজি না হওয়ায় দেবানন্দের সিনেমা দূরদর্শনে সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা এখন সংবিধানের কথা বলছেন, তাঁরা বছরের পর বছর সংবিধানকে নিজেদের পকেটে ঢুকিয়ে রেখে দিয়েছিলেন।”

    আম্বেদকরকে স্মরণ

    আম্বেদকর-প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) বলেন, “কংগ্রেস সরকার বিআর আম্বেদকরকে ভারতরত্ন দেয়নি ৷ তাঁকে ভারতরত্নের যোগ্য মনেই করা হয়নি ৷ কিন্তু আজ তারা ‘জয় ভীম’ বলতে বাধ্য হচ্ছে৷ ভীমরাও আম্বেদকরের প্রতি কংগ্রেসের ঘৃণা, রাগের কথা ইতিহাসে খুব ভালোভাবেই নথিবদ্ধ রয়েছে৷ তাঁর প্রতিটি কথায় কংগ্রেস বিরক্ত হয়ে যেত। এর সব তথ্য রয়েছে। বাবাসাহেবকে দু’বার নির্বাচনে হারানোর জন্য তারা কী করেনি! তবে দেশবাসী আম্বেদকরের ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই আজ বাধ্য হয়ে কংগ্রেসকে জয় ভীম বলতে হয়। এ কথা বলতে গিয়ে তাদের গলা শুকিয়ে আসে।”

    সংরক্ষণ ইস্যুতে কংগ্রেসকে তোপ

    মোদির (Modi in Rajya Sabha) বক্তৃতায় উঠে আসে আদিবাসী, দলিত, তফশিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রসঙ্গ। তাঁর সরকার যে সাধারণ শ্রেণির গরিব মানুষদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ এনেছে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উঠে আসে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য সুবিধা, তৃতীয় লিঙ্গকে আইনি স্বীকৃতির কথাও। মোদি বলেন, “গত বেশ কয়েকবছর ধরে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর আওতাভুক্ত সাংসদরা দাবি করছেন, যেন ওবিসি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু বারংবারই সেই আবেদন খারিজ হয়ে এসেছে। অবশেষে আমরা সেই সম্প্রদায়ের দাবিকে সম্মান জানিয়ে তাদের আবেদন রাখতে চলেছি।”

    দেশে এক নয়া মডেল

    প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) দাবি করেন, কংগ্রেস আমলে জাতপাত প্রচারেরও চেষ্টা হয়েছে৷ তিনি বলেন, “জাতপাতের বিষ ছড়ানোর চেষ্টাও হয়েছে৷ সংরক্ষণের বিষয়টি যখনই সামনে এসেছে, তখনই দেশে একটা ঝড় উঠেছে৷ আমরা প্রথম বার, একটা মডেল দিয়েছি দেশকে৷ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকা শ্রেণিকে আমরা ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছি। তাদের কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে না নিয়েই আমরা সংরক্ষণের এই মডেল দিয়েছি৷ এসসি, এসটি, ওবিসি-রা তাকে স্বাগত জানিয়েছে৷ কারও কোনও সমস্যা হয়নি৷ এর আগে বিশেষত কংগ্রেসের সময় তোষণ ছিল সবকিছু ৷ সেটাই রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল৷ এতে কয়েকটি ছোট দলের অনেক সুবিধা হয়েছে৷ কিন্তু অন্যরা বঞ্চিত হয়েছে৷ নির্বাচনের সময় তারা মিথ্যা আশা জাগিয়েছিল৷ মানুষকে বোকা বানানোর রাজনীতি করেছে ওরা।”

    এনডিএ সরকারের উদ্যোগ

    বিজেপি দেশের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রেখেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) ৷ তিনি বলেন, “আমরা সম্পৃক্তকরণের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছি ৷ চেয়েছি, প্রকল্পগুলির একশো শতাংশই রূপায়িত হোক৷ কেউ যেন বঞ্চিত না হয়, কাউকে যেন হতাশার দিকে ঠেলে দেওয়া না হয়৷ বিগত দশকগুলিতে প্রতিটি স্তরে আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়েছি৷ এখন তার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি ৷” তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প এবং উদ্যোগের কারণে দরিদ্র শ্রেণির মানুষকে মধ্যবিত্তের পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। দরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উঠে আসা মানুষদেরই তিনি ব্যাখ্যা করছেন ‘নব্য মধ্যবিত্ত’ বলে। মোদির কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার মধ্যবিত্ত এবং নব্য মধ্যবিত্তের পাশে সব সময় রয়েছে। আমরা মধ্যবিত্তদের একটি বড় অংশের জন্য আয়কর শূন্য করে দিয়েছে। ২০১৩ সালে (মোদি জমানা শুরুর আগে) বার্ষিক ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর ছাড় ছিল। আজ আমরা বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপরে করে ছাড় দিয়েছি।”

    কেন্দ্রের একগুচ্ছ প্রকল্প

    রাজ্যসভায় মোদির (Modi in Rajya Sabha) বক্তৃতায় উঠে আসে আয়ুষ্মান যোজনা, আবাস যোজনার মতো প্রকল্পগুলির কথাও। আয়ুষ্মান যোজনায় সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধদের চিকিৎসা বিমা দেয় কেন্দ্র। মোদির দাবি, এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন দেশের মধ্যবিত্ত প্রবীণেরাই। পাশাপাশি, মধ্যবিত্তদের জন্য কেন্দ্রের তরফে ৪ কোটি বাড়িও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের পর্যটন প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যবিত্তেরা উপকৃত হচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, অতীতে বিদেশিরা ভারত বলতে দিল্লি, মুম্বই বা বেঙ্গালুরুকেই চিনতেন। তবে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে জি-২০ বৈঠক আয়োজন করানোর ফলে এখন বিশ্ববাসী ভারতকে নতুন করে চিনেছেন। দেশীয় পর্যটনেও আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটনের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসাও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মধ্যবিত্তেরাই এর সুবিধা পাচ্ছেন বলে মত প্রধানমন্ত্রীর।

  • AB-PMJAY Scheme: প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় বিপুল সাড়া, প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ৮ কোটির বেশি মানুষ

    AB-PMJAY Scheme: প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় বিপুল সাড়া, প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ৮ কোটির বেশি মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুষ্মান ভারত – প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (AB-PMJAY Scheme) প্রকল্পে বিপুল সাড়া মিলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadda) মঙ্গলবার রাজ্যসভায় জানান, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আয়ুষ্মান ভারত – প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (AB-PMJAY Scheme) প্রকল্পের অধীনে ৮.৫ কোটির বেশি মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পাবলিক ও প্রাইভেট দুই সেক্টরই রয়েছে। পাবলিক সেক্টরে ৪.২ কোটি এবং প্রাইভেট সেক্টরে ৪.৩ কোটি মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েছেন।

    আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা কী

    ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই প্রকল্পে বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পায় কোনও পরিবার। গত ২৯ অক্টোবর পরিবারের প্রবীণ সদস্যের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যবিমার ঘোষণা করেন মোদি। তিনি জানান, কোনও পরিবারে ৭০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সি সদস্য আলাদা করে স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পাবেন। তিনিও বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা পাবেন। এর সঙ্গে ওই পরিবারের স্বাস্থ্যবিমার কোনও সম্পর্ক নেই। প্রবীণ নাগরিকদের আয়ুষ্মান ভায়া বন্দনা কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করা হবে না। দেশের সমস্ত প্রবীণ নাগরিকই এই কার্ড পাবেন।

    কী বললেন নাড্ডা

    সংসদে একটি প্রশ্নের উত্তরে নাড্ডা (JP Nadda) জানান যে, ভারতের ৪০ শতাংশ আর্থিকভাবে দুর্বল জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের জন্য এই প্রকল্প অমৃত সুধার মতো। সম্প্রতি, এই প্রকল্পে ৭০ বছর বা তার উপরের ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি দেশব্যাপী তিন স্তরের মডেলে বাস্তবায়িত হচ্ছে— জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ (এনএইচএ), রাজ্য স্বাস্থ্য সংস্থা (এসএইচএ) এবং জেলা বাস্তবায়ন ইউনিট (ডিআইইউ)। রাজ্য পর্যায়ে প্রকল্পের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকারগুলি এসএইচএ গঠন করেছে। এই সংস্থা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করে। এই প্রকল্প এখন ২৫টি রাজ্যে ইউটিতে ট্রাস্ট মোডে, ৭টি রাজ্যে ইউটিতে বিমা মোডে এবং ২টি রাজ্যে হাইব্রিড মোডে বাস্তবায়িত হচ্ছে। নতুন নতুন হাসপাতালকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে।

  • BJP: ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে ঐক্যের ছবি এনডিএতে, বাজেট অধিবেশনে বিল পাশে প্রত্যয়ী বিজেপি

    BJP: ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে ঐক্যের ছবি এনডিএতে, বাজেট অধিবেশনে বিল পাশে প্রত্যয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী (Waqf Amendment) বিল ২০২৪ অনুমোদন করেছে যৌথ সংসদীয় কমিটি। এনডিএ সদস্যদের প্রস্তাবিত সমস্ত সংশোধনী-সহ অনুমোদিত হল বিলটি। সংসদে বিলটি পাশ করানোর ক্ষেত্রে এটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে পারে বিজেপির (BJP)। কারণ এর আগে বিল নিয়ে দ্বিমত ছিল এনডিএর কয়েকটি শরিকের মধ্যে। সংশোধনী খসড়া পেশ করার পর কাটল জট। সংসদের বাজেট অধিবেশনেই পেশ হবে বিলটি। তার আগে এনডির ঐক্যের চেহারা দেখল গোটা দেশ। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এই ছবি হলে, আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই সহজেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিতে সক্ষম হবে বিজেপি।

    এনডিএ-র পক্ষে রায় (BJP)

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে মাত্র ২৪০টি আসনে। ২৭ জানুয়ারি ১৪টি সংশোধনী অনুমোদন করেছে জেপিসি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সদস্যদের প্রস্তাবিত সমস্ত সংশোধনী খারিজ করা হয়েছে। কারণ ভোটাভুটিতে এনডিএর পক্ষে রায় গিয়েছে ১৬:১০ ব্যবধানে। এনডিএর বিভিন্ন শরিক দল যেমন নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল ইউনাইটেড এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন তেলুগু দেশম পার্টি কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব করেছিল।

    এনডিএ দলগুলোর সম্মতি

    এই প্রস্তাবগুলি সমর্থন করেছিল সমস্ত রাজনৈতিক দল। এ থেকেই স্পষ্ট হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সংশোধিত সংস্করণের প্রতি এনডিএ দলগুলোর সম্মতি রয়েছে। গত অগাস্টে এই বিল নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান (BJP) নিয়েছিল জেডি(ইউ), লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) এবং চন্দ্রবাবুর টিডিপি। যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছিল গত বছরের অগাস্ট মাসে। সেই সময় এনডিএর দুটি শরিক দল মুসলমানদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর উদ্বেগগুলোর সমাধানের পক্ষে মতপ্রকাশ করেছিল। প্রায় ছ’মাস পরে দেখা গেল, এনডিএর সব শরিক দল ওয়াকফ বিল নিয়ে একজোট হয়েছে। সংশোধনীগুলির পক্ষেও ভোট দিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, এজন্য শরিক দলগুলির কাছে আবেদন করেছেন সংখ্যালঘু ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

    জানা গিয়েছে, লোকসভায় বিলটি পাশ করাতে বিজেপির প্রয়োজন হবে ১৬ জন টিডিপি সদস্য, ১২ জন জেডিইউ সদস্য এবং ৫ জন এলজেপি (আরভি) সদস্যের ভোট। এনডিএর ছোট শরিক দলগুলির মধ্যে আরএলডির ২, জেডিএসের ২, এবং আপনা দল (এস)-এর একটি ভোটও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রসঙ্গত, সংসদের উভয় কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পরে ওই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললে ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের (Waqf Amendment) নয়া নাম হবে ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট (BJP)।

  • Budget Session: বেতন বৃদ্ধি থেকে আয়কর ছাড়ের প্রত্যাশা, সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু ৩১ জানুয়ারি

    Budget Session: বেতন বৃদ্ধি থেকে আয়কর ছাড়ের প্রত্যাশা, সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু ৩১ জানুয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের শেষ দিন থেকেই শুরু হবে সংসদের (Parliament) বাজেট অধিবেশন (Budget Session)। দু’দফায় অধিবেশন চলবে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে৷ বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি৷  শেষ হবে ৪ এপ্রিল৷ এর মধ্যে চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করবেন৷ রীতি মেনে সংসদীয় বাজেট অধিবেশনের সূচনা হবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণ দিয়ে৷

    সংসদে কবে কী

    সংসদ (Parliament) সূত্রে খবর, বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) প্রথম অংশটি ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বাজেট অধিবেশনের প্রথম ভাগে সংসদ বন্ধ থাকবে ২, ৫, ৮, ৯ এবং ১২ ফেব্রয়ারি। ৩১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি বাজেট সংক্রান্ত আলোচনায় ওঠা নানা প্রশ্নের উত্তরও দেবেন তিনি৷ তারপরে অধিবেশনের প্রথম অংশ জুড়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে উভয় কক্ষে। সংসদের উভয় কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জবাব দিয়ে শেষ হবে এই অধিবেশন। এরপর ২৪ দিনের বিরতি৷ এই বিরতিতে বাজেটের নানাবিধ প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে৷ সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগ শুরু হতে পারে ১০ মার্চ থেকে। তা চলতে পারে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এর মাঝে সংসদ বন্ধ থাকবে ১৪ থেকে ১৬ মার্চ, ২ থেকে ২৩ মার্চ, ২৯ থেকে ৩১ মার্চ। এই পর্বে বিভিন্ন মন্ত্রকের ত্রাণ মঞ্জুর থেকে আরম্ভ করে বাজেট প্রক্রিয়ার সমাপ্তি হবে৷ পুরো সংসদীয় বাজেট অধিবেশনে ২৭টি অধিবেশন হবে বলে জানা গিয়েছে৷

    আরও পড়ুন: জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে সিমকার্ড কেনার সময় বায়োমেট্রিক যাচাই হবে বাধ্যতামূলক

    কী কী ঘোষণা হতে পারে

    গত শীতকালীন অধিবেশনে (Budget Session) প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নানাবিধ ইস্যুতে উত্তপ্ত ছিল সংসদ৷ লোকসভায় (Parliament) পেশ হয় ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল৷ এবার বাজেট নিয়েও সংসদে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারেন বিরোধীরা, এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এই নিয়ে টানা আটবার সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবারের বাজেটে আয়কর ছাড় থেকে শুরু অষ্টম বেতন কমিশন সংক্রান্ত ঘোষণা করা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা করদাতাদের ছাড় দেওয়া হতে পারে বাজেটে। এর ফলে বিশেষত শহরের মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীরা উপকৃত হবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: মোদি নন, তাঁর ‘প্রতিপক্ষ’ ইন্ডি-নেতারাই! অস্তিত্বের সঙ্কট থেকেই কি আগ্রাসী রাহুল?

    Rahul Gandhi: মোদি নন, তাঁর ‘প্রতিপক্ষ’ ইন্ডি-নেতারাই! অস্তিত্বের সঙ্কট থেকেই কি আগ্রাসী রাহুল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অম্বেডকর ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা। হইচই যিনি বাঁধাচ্ছেন, তিনি কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সম্প্রতি সংসদে মারামারিকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তাঁর। তাঁরই আঘাতে বিজেপির দুই সাংসদ জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। সংসদে আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। আপাতত দেশের কোনও অঙ্গরাজ্যে নির্বাচন নেই। লোকসভার নির্বাচন তো হয়েছে এই বছরেই।

    আগ্রাসী আচরণের কারণ (Rahul Gandhi)

    তাই রাহুলের এহেন আগ্রাসী আচরণের কারণ কী? তাঁর লক্ষ্য কী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকল্প হয়ে ওঠা? সে গুড়ে বালি! কারণ সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়ই ধরা পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তার কথা। তাঁর স্লোগান, তাঁরা বাগ্মীতা, তাঁর বাচনভঙ্গী সব মিলিয়ে মোদি একজন আদর্শ মানুষ। ধারে এবং ভারে কোনওভাবেই রাহুল তাঁর তুল্য নন! তাহলে কী কারণে হঠাৎই এত আগ্রাসী হয়ে উঠলেন রাহুল? সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনেও জয় পায়নি কংগ্রেস কিংবা ইন্ডি জোট। জয় বলতে ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রে বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার জয়। কিন্তু তাতে তো লাফালাফি করার জন্য যে বাড়তি অক্সিজেনের প্রয়োজন, তা মেলে না! তাহলে হঠাৎই কেন এত আগ্রাসী হয়ে উঠলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি?

    ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে

    রাজনীতির কারবারিদের মতে, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে বিরোধী জোটের অন্দরেই। বিজেপিকে রুখতে লোকসভা নির্বাচনের আগে জোট বাঁধে বিজেপি বিরোধী ২৮টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছিল ইন্ডি। মোদি ম্যাজিকে সেই জোট বিশেষ ট্যাঁ-ফোঁ করতে পারেনি লোকসভা নির্বাচনে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন কিছু কমেছে, তবে তার পরেও নিশ্চিন্তে রাজ করছে বিজেপিই এবং নেতৃত্বে সেই মোদিই। ওই নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছে শ’খানেক আসন। ইন্ডি জোটের অন্য দলগুলি পেয়েছে এর চেয়েও কম আসন। তার মানে এই নয় যে, কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে হবে। বরং রাহুল ভোট ক্যাচার না হওয়ায় ইন্ডি জোটের অন্দরেই মাথা তুলেছেন একাধিক নেতা। তাঁদের কেউ প্রকাশ্যে, কেউ বা আবডালে প্রশ্ন তুলছেন রাহুলের নেতৃত্ব নিয়েই। সহজ কথায়, বর্তমানে ইন্ডি জোটের মধ্যেই রাহুলের একাধিক ‘প্রতিপক্ষ’ তৈরি। 

    আরও পড়ুন: ‘মোদি ম্যাজিকে ভর করেই মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় বাজিমাত বিজেপির’, বলছে সমীক্ষা

    মমতা-অখিলেশ

    লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা চেয়েছিলেন মমতাকে প্রধানমন্ত্রী মুখ করে নির্বাচনে লড়ুক ইন্ডি জোট (Rahul Gandhi)। নিতান্তই একটি আঞ্চলিক দলের নেত্রী হওয়ায় পানি পায়নি মমতা দলের নেতানেত্রীদের সেই দাবি। যার জেরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে আগে যে দুটো বৈঠক ডেকেছিল ইন্ডি জোট, তাতে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি। কেবল মমতাই নন, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশই বা কীসে কম যান?  তিনি এক সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। রাজ্য চালানোর অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে (রাহুলের সেটাও নেই)। কংগ্রেসের (Congress) সভাপতি পদে বসেও, তিনি কিস্যু করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে ব্যর্থতার কলঙ্ক মুছতে সভাপতি পদে ইস্তফা দেন রাহুল।

    লড়াইয়ের ময়দানে কেজরি-পাওয়ারও

    ইন্ডি জোটে রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও। কেজরিওয়ালের শিক্ষাগত যোগ্যতা কিংবা রাজনীতির অভিজ্ঞতা, কোনও দিক থেকেই আপ সুপ্রিমোর সঙ্গে এঁটে উঠতে পারবেন না রাহুল (Rahul Gandhi)। অর্থাৎ, ইন্ডি জোটে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার তিনিও। কেজরিওয়ালের দল ক্ষমতায় রয়েছে দেশের দুটি অঙ্গরাজ্যে – দিল্লি এবং পঞ্জাবে। সেখানে তৃণমূল রয়েছে কেবল পশ্চিমঙ্গে। সেদিক থেকে দেখলে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে মমতার চেয়েও এগিয়ে কেজরিওয়াল। অবশ্য একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। সেটা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোদস্তুর রাজনীতির লোক। আর কেজরিওয়াল ছিলেন শিক্ষাবিদদের সারিতে, পরে এসেছেন রাজনীতিতে। তবে রাজনীতিতে তাঁর অভিজ্ঞতাও খুব কম নয়। যে কারণে কেজরিওয়ালও বিশেষ পাত্তা দেন না রাহুলকে, বলা ভালো ইন্ডি জোটকে। ইন্ডি জোটে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি রাখেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারও। দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। প্রবীণ। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর সমর্থকরাও ধুয়ো তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মুখ করা হোক তাঁকে। তবে তাঁর দাবিও বিশেষ পাত্তা পায়নি ইন্ডি জোটে। 

    মাথা তোলাটা তাঁর দায়!

    রাজনৈতিক মহলের (Congress) মতে, এই প্রধানমন্ত্রীর দাবিদারের ভিড়ে যে কোনও সময়ই হারিয়ে যেতে পারেন রাহুল (Rahul Gandhi)। তিনি ভালো মতোই টের পাচ্ছেন যে, ইন্ডি জোটে তাঁর আধিপত্য শেষ হচ্ছে। পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। এখন, অস্তিত্বের জানান দিতে তাই মাথা তোলাটা তাঁর দায়। তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের সিংহভাগই নির্ভর করছে ইন্ডি জোটের বাকি মাথাদের ছাপিয়ে উঠতে তিনি পারেন কিনা, তার ওপর! সেই কারণেই ইদানিং আগ্রাসী হয়ে উঠছেন রাহুল। এত মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর লক্ষ্য, মোদি নন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য ইন্ডি জোটের বাকিদের ছাপিয়ে নেতা হওয়া। সেই কারণেই লোকসভায় আগ্রাসী হয়েছেন তিনি। সেই কারণেই মারপিট করে ‘হিরো’ হওয়ার চেষ্টা করছেন রাহুল। তিনি কী পারবেন ‘আসলি হিরো’ হতে? কোটি টাকার এই প্রশ্নের (Congress) উত্তর দেবে সময় (Rahul Gandhi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।          

  • India China Ties: “চিন-ভারত সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    India China Ties: “চিন-ভারত সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন-ভারত সম্পর্কের (India China Ties) উন্নতি হয়েছে।” মঙ্গলবার লোকসভায় এমনই দাবি করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, ২০২০ সালের এপ্রিলে গালওয়ানে দুই দেশের সেনা সংঘাতের পর থেকে ক্রমাগত কূটনৈতিক আলোচনার কারণেই পরিস্থিতি বদলেছে।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (India China Ties)

    জয়শঙ্কর বলেন, “২০২০ সাল থেকে আমাদের সম্পর্ক টালমাটাল হয়েছিল। চিনের কার্যকলাপের কারণে সীমান্ত এলাকায় শান্তি এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়। সেই থেকে আমরা ক্রমাগত কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে গিয়েছি। যার ফলে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।” তিনি জানান, সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য চিনের সঙ্গে কথা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর ভারত। স্বচ্ছ এবং দুই দেশের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করার দিকেই নজর রয়েছে সরকারের। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “সাম্প্রতিক ঘটনাবলী যা ক্রমাগত (India China Ties) কূটনৈতিক ব্যস্ততার প্রতিফলন ঘটায় ভারত-চিন সম্পর্ক  কিছুটা উন্নতির দিকে গিয়েছে।”

    বিচ্ছিন্নতার পর্বের সমাপ্তি

    তিনি বলেন, “আগামী দিনগুলিতে আমরা সীমান্ত এলাকায় কর্মকাণ্ডের উত্তেজনা হ্রাস ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা উভয় বিষয়েই আলোচনা করব।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বিচ্ছিন্নতার পর্বের সমাপ্তি এখন আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার অন্যান্য দিকগুলিতে ফোকাস করতে পারে। এর পরেই ডি-এসকালেশন নিয়ে এগোতে চায় দিল্লি।” তিনি বলেন, “পরবর্তী (India China Ties) অগ্রাধিকার হবে ডি-এসকালেশন বিবেচনা করা যা এলএসি বরাবর সৈন্য জমায়েতের সমাধান করবে। তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার ছিল ফ্রকশন পয়েন্ট থেকে ডিসএনগেজমেন্ট নিশ্চিত করা।”

    আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে ‘ইন্ডি’ জোটের ফাটল, কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গরহাজির তৃণমূল, সপা

    জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা সীমানা বিষয়ে নিষ্পত্তির জন্য ন্যায্য, পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য কাঠামোয় পৌঁছানোর জন্য চিনের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” জাতীয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের (India China Ties) জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থকে সর্বাগ্রে রেখে, চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে আমার সাম্প্রতিক বৈঠকে আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি যে বিশেষ প্রতিনিধি এবং বিদেশ সচিব পর্যায়ের প্রক্রিয়া শীঘ্রই আহ্বান করা হবে।”

    প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনা প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং এলএসি (S Jaishankar) থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হন (India China Ties)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

      

LinkedIn
Share