Tag: parliament

parliament

  • 18th Lok Sabha Session: নয়া সরকার গঠনের পর আজ শুরু লোকসভার প্রথম অধিবেশন, কী হবে সারাদিন?

    18th Lok Sabha Session: নয়া সরকার গঠনের পর আজ শুরু লোকসভার প্রথম অধিবেশন, কী হবে সারাদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন সরকার গঠনের পর আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভার (18th Lok Sabha Session) প্রথম অধিবেশন। নয়া নির্বাচিত সাংসদদের শপথগ্রহণ দিয়ে শুরু হবে অষ্টাদশ লোকসভার এই বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনেই শপথ নেবেন সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদরা ৷ সেইসঙ্গে এই অধিবেশনে নির্বাচিত হবেন নব গঠিত লোকসভার স্পিকার ৷ আগামী ২৬ জুন লোকসভার স্পিকার নির্বাচন করা হবে। পরদিন অর্থাৎ ২৭ জুন লোকসভা এবং রাজ্যসভায় যৌথ ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মর্মু।

    আজ সংসদের সারাদিন

    সোমবার অধিবেশন (18th Lok Sabha Session) শুরুর আগেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু লোকসভার প্রোটেম স্পিকার হিসেবে ভ্রাতৃহরি মহতাবকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে এই শপথ অনুষ্ঠান হবে। এরপর সকাল ১১টা নাগাদ প্রোটেম স্পিকার পৌঁছবেন লোকসভায়। এরপরে বিজেপি সাংসদরা সকাল ১১টায় সংসদে পৌঁছবেন এবং অধিবেশন শুরুর আহ্বান জানাবেন। প্রথমদিনে নির্বাচিত  সাংসদরা ২ মিনিট নীরবতা পালনের পর লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল উৎপল কুমার সিং সকল নির্বাচিত সাংসদদের তালিকা পেশ  করবেন। এরপর প্রোটেম স্পিকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Pm Modi) লোকসভার দলনেতা হিসাবে শপথ পাঠের জন্য আহ্বান জানাবেন। এরপরে প্রোটেম স্পিকারকে সাহায্য করার জন্য রাষ্ট্রপতির সুপারিশে সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হবে। 

    কী কী হবে এবারের অধিবেশনে

    আগামী দুইদিন ধরে সংসদে কেবল প্রতিটি রাজ্য থেকে নির্বাচিত সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করানো হবে। লোকসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হবে আগামী ২৬ জুন। ২৭ জুন, দুই কক্ষে যৌথ ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের ধন্যবাদ জ্ঞাপন নিয়ে ২৮ জুন থেকে আলোচনা শুরু হবে। আগামী ২ বা ৩ জুলাই সংসদে বক্তব্য রাখতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এরপরে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাবে। আগামী ২২ জুলাই থেকে বাজেট পেশের জন্য ফের অধিবেশন শুরু হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ডাক্তারিতে সুযোগ, পরে আইএএস! চাকরি ছেড়ে ২৬ হাজার কোটির কোম্পানি রোমান সাইনির

    অধিবেশন সুষ্ঠভাবে চলার আর্জি

    এবারের লোকসভা (18th Lok Sabha Session) অধিবেশন সুষ্ঠভাবে চলুক চায় বিজেপি। দেশকে এগয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে অধিবেশন শান্তিপূর্ণ ভাবে চলা আবশ্যক বলে মত গেরুয়া শিবিরের। তাই অধিবেশন শুরুর আগে রবিবার লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তিনি জানিয়েছেন, সরকার চায় সংসদের অধিবেশন সুষ্ঠভাবে চলুক। সেই নিয়েই সুদীপের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi 3.0: পাশে নীতীশ, নায়ডু, মোদির নেতৃত্বেই সরকার গড়ার পথে এনডিএ

    Narendra Modi 3.0: পাশে নীতীশ, নায়ডু, মোদির নেতৃত্বেই সরকার গড়ার পথে এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi 3.0)। দুই প্রধান স্তম্ভ নীতীশ কুমারের জেডিইউ আর চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপিকে নিয়ে সরকার গড়বে এনডিএ (NDA)। শুক্রবার সেন্ট্রাল হলে মেগা-বৈঠকে সব শরিকদেরই দেখা গেল হাসি মুখে। সর্বসমক্ষে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের উপর অগাধ ভরসা দেখালেন নায়ডু, নীতীশ উভয়ই।

    সর্বসম্মত নেতা মোদি

    শুক্রবার বৈঠকে মোদির (Narendra Modi 3.0) নেতৃত্বেই আগামীর উন্নয়ন দেখছেন বলে জানালেন জোট শরিকেরা। এদিন বৈঠকে রাজনাথ সিং এনডিএ-র (NDA) নেতা হিসাবে মোদির নাম প্রস্তাব করেন। শুধু তা-ই নয়, সংসদে বিজেপির নেতা হিসাবেও মোদির নাম প্রস্তাব করা হয়। এই প্রস্তাবে সায় দিলেন এনডিএ-র শরিক দলের নেতারা। শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু, জনতা দল ইউনাইটেড দলের নেতা নীতীশ কুমার, শিবসেনা দলের নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, এনসিপির নেতা অজিত পওয়ার, জেডিইউ নেতা এইচডি কুমারস্বামীরা। এদিন মোদির নাম প্রস্তাব করার পর প্রথমেই তা সমর্থন করেন অমিত শাহ। তার পর নিতিন গড়করিও সমর্থন জানান। শাহ-গড়করির পর একে একে কুমারস্বামী, চন্দ্রবাবু, নীতীশ, একনাথ, অজিত, চিরাগ পাসোয়ানরা সমর্থন জানান। 

    আরও পড়ুন: মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে শরিকদের দাবি-দাওয়া, কী ভাবছে বিজেপি?

    সকলকে নিয়ে চলার বার্তা মোদির

    শরিক দলের সকলের প্রতি ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন মোদি (Narendra Modi 3.0) বলেন, ‘‘এনডিএ দলের নেতা রূপে সর্বসম্মত ভাবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ২০১৯ সালের পর আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় আমি নিজেকে সৌভাগ্য মনে করি। এটাই আমার কাছে বড় পুঁজি। জোট করে নির্বাচন লড়া এবং সরকার গড়ার ব্যাপারে এত বড় সাফল্য আগে আসেনি। সরকার চালানোর জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা আবশ্যক, তবে দেশ চালানোর জন্য সর্বমত জরুরি। নির্বাচনের আগে জোট করে লড়াই করে এনডিএ-র মতো সাফল্য কেউ পায়নি।’’ এনডিএ-র (NDA) শরিকদের মধ্যে বিজেপি এ বার ২৪০টি আসন পেয়েছে। তার পরই রয়েছে চন্দ্রবাবুর দল। তাদের ঝুলিতে রয়েছে ১৬টি আসন। এ ছাড়াও নীতীশের জেডিইউ বিহারে পেয়েছে ১২টি আসন।

    রাষ্ট্রপতির দরবারে

    এদিন মোদির (Narendra Modi 3.0) নেতৃত্বকে সমর্থন জানিয়ে টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু বলেন, “নির্বাচনী প্রচারের সময়ে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে দেখেছি। অটল দৃঢ়তা নিয়ে তিনি তিন মাস দিনরাত অক্লান্ত ভাবে প্রচার করে গিয়ছেন।” বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মোদির উপর পূর্ণ আস্থা রেখে বলেন, “এবার বিহারের সমস্ত মুলতুবি থাকা কাজ করা হবে৷ এটা খুবই ভালো হল যে, আমরা সবাই একত্রিত হতে পেরেছি। আমরা সবাই আপনার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করব৷” জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলেই রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন এনডিএ-র (NDA) নেতারা। সেখানে বিজেপি-সহ এনডিএ-র ২৯৩ জন সাংসদ সই সম্বলিত সমর্থনপত্র পেশ করবেন ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: গত পাঁচ বছরে সংসদে প্রথম স্থান সুকান্তর, এডিআরের রিপোর্টে সর্বাধিক প্রশ্ন তাঁর

    Sukanta Majumdar: গত পাঁচ বছরে সংসদে প্রথম স্থান সুকান্তর, এডিআরের রিপোর্টে সর্বাধিক প্রশ্ন তাঁর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত পাঁচ বছরের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে এডিআর। এই তালিকায় সেরা ১০ জন সাংসদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকার প্রথমেই রয়েছেন বালুরঘাট কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এখানে বলা হয়েছে সারা দেশে প্রশ্ন করার তালিকায় প্রথম হয়েছেন এই রাজ্যের বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি। তিনি সংসদে প্রশ্ন তালিকায় ফাস্ট বয়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কেন্দ্র বালুরঘাট থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। নির্বাচনে জয় বিষয়ে আশাবাদী তিনি।

    এডিআর কী বলেছে (Sukanta Majumdar)?

    এডিআর অর্থাৎ অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদে গত পাঁচ বছরে পারফরম্যান্সে কেমন ছিল। কোন সাংসদ কত প্রশ্ন করেছিলেন, তার সাপেক্ষে সারা দেশে কার্যত শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন রাজ্যের বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি সংসদে মোট ৫৯৬ টি প্রশ্ন করেছেন। এই পাঁচ বছরে মোট ৫০৫ জন সাংসদ, মোট ৯২২৭১টি প্রশ্ন সংসদে তোলেন। এই ১০ জন সাংসদের মধ্যে সুকান্ত ছাড়া বাংলার আর কেউ কোনও সাংসদের নাম নেই। ঠিক তার পরেই রয়েছেন সুধীর গুপ্তা। তিনি অবশ্য মধ্যপ্রদেশের সাংসদ। এনসিপির সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে আছেন তালিকার পঞ্চম স্থানে। এই এডআরের রিপোর্ট অনুযায়ী এই পাঁচ বছরের সব থেকে বেশি প্রশ্ন এসছে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ বিষয়ে। ঠিক তার পরে পরে রয়েছে কৃষি সংক্রান্ত প্রশ্ন। এছাড়াও রয়েছে রেল, শিক্ষা এবং পরিবেশ বিষয়। উল্লেখ্যে আগেও সুকান্তকে সেরা সাংসদ সম্মানের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সবটা মিলিয়তে ভোটের আবহে সুকান্তের খাতায় ক্রেডিট পয়েন্ট আরও যুক্ত হল।

    আরও পড়ুনঃ ঝড়ে তছনছ এলাকা, উড়ে গেল গোটা বাড়ি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

    তপনে আজ প্রচারে সুকান্ত

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আজ নিজের সংসদীয় কেন্দ্র বালুরঘাটের তপনে নির্বাচনী প্রচার করেন। এলাকার অলিগলিতে পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সঙ্গে ছিলেন জেলার অনেক বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থক। সকল কর্মীদের মধ্যে ভোটের প্রচারে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। কর্মীদের মধ্যে একটাই শ্লোগান ছিল, রাজ্যের দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন গড়তে কেন্দ্রের মোদি জির হাত শক্ত করুন। তাঁর জয় নিয়ে এলাকার বিজেপি কর্মীরা দারুণ আশাবাদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyan Banerjees Mimicry: কল্যাণকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ সাংসদরা!

    Kalyan Banerjees Mimicry: কল্যাণকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ সাংসদরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অকল্যাণকর’কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ জোটের রাজনৈতিক দলগুলির সাংসদরা। মঙ্গলবারই উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের স্বর নকল করেছিলেন কল্যাণ। উপরাষ্ট্রপতির উদ্দেশে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই এদিন রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএর ১০৯ জন সাংসদ।

    কী বললেন তৃণমূল নেত্রী?

    ঘটনাচক্রে এদিন দিল্লিতেই ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের মিমিক্রির দায় যে তিনি নেবেন না, তা তাঁর বয়ানেই স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “ওই বিষয়টি (কল্যাণের মিমিক্রি)দেখার জন্য সাংসদরা রয়েছেন। যা বলার, তাঁরাই বলবেন। আমি ও আমার দলের সাংসদরা সবাইকে সম্মান করেন।” মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বসেছিলেন বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। সেখানে কল্যাণকে ধনখড়ের স্বর নকল (Kalyan Banerjees Mimicry) করতে দেখা যায়। কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেন। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কল্যাণের মিমিক্রি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলেন উপস্থিত সাংসদরা। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই কল্যাণকে ‘মুর্খো কি সর্দার’ আখ্যা দিয়েছেন নেট নাগরিকরা।

    উপরাষ্ট্রপতির পাশে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী

    ঘটনায় উপরাষ্ট্রপতিকে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। যেভাবে অঙ্গভঙ্গি করে একজন সাংসদ উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করেছেন ও বাকি সাংসদরা যেভাবে তাতে প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাতে মর্মাহত প্রধানমন্ত্রীও। ঘটনায় (Kalyan Banerjees Mimicry) সমব্যথী প্রধানমন্ত্রী। আমায় উনি বললেন ২০ বছর উনিও এরকম অপমান সহ্য করেছেন। তবে সংসদ চত্বরে এধরনের আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে সংসদ চত্বরে এই অপমান দুর্ভাগ্যজনক বলেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুন: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    কল্যাণকাণ্ডে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। ধনখড়ের অপমান আদতে জাঠ সম্প্রদায়ের অপমান বলে মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি সম্মানিত জাঠ সম্প্রদায়ের ভাই ও বোনেদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, বাংলার মানুষও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত একজন সাংসদের অসম্মানজনক ও সম্পূর্ণ লজ্জাজনক আচরণে বিরক্ত। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Kalyan Banerjees Mimicry) একজন কৃষকের পুত্র এবং সম্মানিত জাঠ সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। তিনি সব চেয়ে শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তি, কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গে তাঁর শাসনকালে সাংবিধানিক মূল্যবোধ, নিয়ম ও নিয়মাবলী সমুন্নত রেখেছিলেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেস (যা পরিবার ভিত্তিক দল) সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি শুধুমাত্র ভারতের মাননীয় উপরাষ্ট্রপতিকে বিদ্রুপ করেননি। সাংসদ প্রাঙ্গনে যখন অন্য সাংসদরা নির্লজ্জভাবে হাতহাতি দিচ্ছেন এবং উল্লাস করছেন তখন তাঁকে নকল করা কাম্য নয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার জনগণ অবশ্যই এই কাজের জন্য সাংসদ ও তাঁর আঞ্চলিক পরিবারভিত্তিক দলকে শিক্ষা দেবে।” 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Kalyan Banerjees Mimicry: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    Kalyan Banerjees Mimicry: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সাংসদ। তা সত্ত্বেও তিনি করেছেন ‘অসংসদীয়’ আচরণ। দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের স্বর নকল করেছেন। উপরাষ্ট্রপতির উদ্দেশে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেছেন। এহেন সাংসদ তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjees Mimicry) সমালোচনায় মুখর বিজেপি। মঙ্গলবারই তৃণমূলের এই সাংসদকে ‘মুর্খো কি সর্দার’ বলে অভিহিত করেছেন নেটিজেনরা।

    কল্যাণের ‘অকল্যাণকর’কাণ্ড

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বসেছিলেন বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। সেখানে কল্যাণকে ধনখড়ের স্বর নকল করতে দেখা যায়। কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেন। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কল্যাণের মিমিক্রি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলেন উপস্থিত সাংসদরা। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ‘মুর্খো কি সর্দার’ তকমা পেয়েছেন কল্যাণ। ঘটনায় উপরাষ্ট্রপতিকে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। যেভাবে অঙ্গভঙ্গি করে একজন সাংসদ উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করেছেন ও বাকি সাংসদরা যেভাবে তাতে প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাতে মর্মাহত প্রধানমন্ত্রীও। ঘটনায় (Kalyan Banerjees Mimicry) সমব্যথী প্রধানমন্ত্রী। আমায় উনি বললেন বিগত ২০ বছর উনিও এ ধরনের অপমান সহ্য করেছেন। তবে সংসদ চত্বরে এধরনের আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে সংসদ চত্বরে এই অপমান দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।”

    ধনখড়কে প্রধানমন্ত্রী ফোনে বলেন, “মন থেকে আমি মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনও অপমানের কাছে আমি মাথা নোয়াব না। কোনও অপমানই আমার পথ পরিবর্তন করতে পারবে না। এঁরা সংবিধান রক্ষায় আমায় রুখতে পারবে না।”

    কল্যাণকাণ্ডে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “সংসদ চত্বরে আমাদের শ্রদ্ধেয় উপরাষ্ট্রপতিকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, তা দেখে আমি হতাশ হয়েছি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অবশ্যই নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। তবে তাঁদের অভিব্যক্তি মর্যাদা ও সৌজন্যের নিয়মের মধ্যে হওয়া উচিত। যে সংসদীয় ঐতিহ্যের জন্য (Kalyan Banerjees Mimicry) আমরা গর্বিত ও যা ভারতের জনগণ আশা করে, সেটি বজায় থাকা উচিত।”

    আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ট্রাম্প, রায় মার্কিন আদালতের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Menstruation Leave: অফিসে ঋতুকালীন ছুটি কাম্য নয়! সংসদে এর ব্যাখ্যা দিলেন স্মৃতি ইরানি

    Menstruation Leave: অফিসে ঋতুকালীন ছুটি কাম্য নয়! সংসদে এর ব্যাখ্যা দিলেন স্মৃতি ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজের জায়গায় মহিলাদের বেতনযুক্ত ঋতুস্রাবকালীন ছুটির কোনও প্রয়োজন নেই, অভিমত কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani)। সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে স্মৃতি জানান, ঋতুস্রাব মহিলাদের জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ, এটি কোনও প্রতিবন্ধকতা নয়। ঋতুস্রাবের জন্য বিশেষ ছুটি মঞ্জুর করার করা উচিত নয়।

    কোন প্রশ্ন সাপেক্ষে উত্তর

    ঋতুমতী মহিলারা ঋতুচক্রের সময় নানা শারীরিক কষ্ট সহ্য করেন। মহিলাদের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই একাধিক দেশে চালু করা হয়েছে মেনেস্ট্রুয়েশন লিভ (Menstruation Leave) বা ঋতুকালীন ছুটি। ভারতেও কি এই ছুটি চালু করা হবে? কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)-র কাছে এই প্রশ্নই রেখেছিলেন আরজেডি সাংসদ মনোজ কুমার ঝা (Manoj Kumar Jha)। জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, “ঋতুমতী মহিলা হিসাবে, ঋতুস্রাব ও ঋতুচক্র নারী জীবনের অত্যন্ত সাধারণ একটি অংশ। আমাদের এমন ইস্যু তৈরি করা উচিত নয় যেখানে তাদের সমানাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে শুধুমাত্র একজনের নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির কারণে, যার ঋতুস্রাব হয় না।”

    আরও পড়ুন: বালুর স্ত্রী-কন্যার নামে ৫৮টি ফিক্সড ডিপোজিট রেশন ‘দুর্নীতি’র টাকায়? অনুমান ইডির

    অকপট স্মৃতি

    মাসিক ছুটির ফলে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের প্রতি বৈষম্য হতে পারে বলে স‌ংসদে সকলকে সতর্ক করেন স্মৃতি। ঋতুস্রাবের সময় স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব কথা বিবেচনা করে স্মৃতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কর্তৃক জাতীয় নীতি প্রণয়ন করার কথা ঘোষণা করেন। এই নীতির লক্ষ্য হবে দেশবাসীকে ঋতুস্রাবের বিষয়ে আরও বেশি সজাগ করা, ঋতুস্রাবের সময় স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সতর্ক করা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখিত জবাবে বলেন, “অল্প সংখ্যক মহিলা অত্যাধিক ডিসমেনোরিয়া বা এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু ঋতুচক্র ও তার সঙ্গে জড়িত কার্যকলাপকে আড়ালে রাখা হয়। সামাজিক ছুৎমার্গের কারণে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়। সাধারণ কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়, যা শেষ অবধি হেনস্থা ও সমাজে বিতাড়িত করার পর্যায়ে পৌঁছয়। যখন কোনও কিশোরী শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং এই পরিবর্তন সম্পর্কে অবগতই না হয়, তখন বিষয়টি আরও স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adhir Ranjan Chowdhury: দুঃখ প্রকাশ অধীর চৌধুরীর! সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল স্বাধিকার রক্ষা কমিটি

    Adhir Ranjan Chowdhury: দুঃখ প্রকাশ অধীর চৌধুরীর! সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল স্বাধিকার রক্ষা কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। বুধবারই কমিটির বৈঠক বসে এবং সেখানেই বহরমপুরের সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করার বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ওই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে লোকসভার স্পিকারের কাছে। স্বাধিকার রক্ষা কমিটির এই বৈঠকে হাজির ছিলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) নিজেও।

    চলতি বছরের বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড হন অধীর (Adhir Ranjan Chowdhury)

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের বাদল অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় অধীর চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury)। কংগ্রেসের দলনেতা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নীরব মোদির সঙ্গে তুলনা করেন। পাশাপাশি, মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে ধৃতরাষ্ট্র বলেও কটাক্ষ করেন অধীর (Adhir Ranjan Chowdhury)। ১০ অগাস্ট তাঁর এই সংসদীয় আচরণের জন্য স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব এনেছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেই স্পিকার ওম বিড়লা অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করেন। সাসপেন্ডের সময় জানানো হয়, লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি অধীরের বিষয়ে রিপোর্ট যতক্ষণ না জমা দিচ্ছে, ততদিন তিনি সাসপেন্ড থাকবেন।

    ১৮ অগাস্ট হয় কমিটির প্রথম বৈঠক

    ১৮ অগাস্ট হয় কমিটির প্রথম বৈঠক। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় প্রিভিলেজ কমিটি অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) বক্তব্য শুনেই সেই পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রসঙ্গত, সাসপেনশনের সময় ওয়াক আউট করেছিলেন কংগ্রেসের সাংসদরা, সেখানে ছিলেন অধীর চৌধুরী নিজেও। পরে অবশ্য অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) জানিয়েছিলেন, স্বাধিকার রক্ষা কমিটি তাঁকে ডেকে পাঠালে তিনি অবশ্যই যাবেন। স্বাধিকার রক্ষা কমিটির তরফ থেকে এদিন বিজেপি সাংসদ সুনীলকুমার সিংহ জানিয়েছেন, অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) বৈঠকে বলেছেন, কাউকে আঘাত করা তাঁর মন্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল না। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্যে কেউ আঘাত পেলে তিনি তাঁর জন্য দুঃখিত। এরপরেই সর্বসম্মতিতে সাসপেনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বৈঠকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nalanda University: ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়! শুরু শিক্ষাদান

    Nalanda University: ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়! শুরু শিক্ষাদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন ভারতের শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞানচর্চা ও সংস্কৃতি কেমন ছিল, তা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস জানলেই আমরা বুঝতে পারি। সমগ্র এশিয়া মহাদেশ ও বিশ্বজুড়ে এর খ্যাতি ছিল। প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nalanda University) ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলেও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের একেবারে সঠিক অবস্থান সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে নানান বিবাদ আছে। প্রাচীন ভারতের ১৬ টি মহাজনপদের অন্যতম শক্তিশালী জনপদ মগধের রাজধানী রাজগৃহ, যা বর্তমনকালের রাজগীর। সেই রাজগীরের কাছেই এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ এসেছিলেন শিক্ষা গ্রহণ করতে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি এখানে অধ্যাপক হিসাবে বহুদিন কাজ করেন। 

    কেমন ছিল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়?

    এটি ছিল একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়  (Nalanda University)। এখানে সবরকম সুযোগসুবিধা পাওয়া যেত। এখানে ছিল এক মস্ত বড় গ্রন্থাগার, যার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এই গ্রন্থাগারটি ছিল সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বিশাল গ্রন্থাগার, যেখানে অজস্র বইয়ের সমাহার ছিল। দূর দূর থেকে ছাত্ররা ছুটে আসতেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে। চিন, কোরিয়া, তিব্বত, সুমাত্রা ইত্যাদি দেশ থেকে দলে দলে ছাত্ররা আসতেন। এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষাদান করা হত। সমগ্র বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এটি। ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত নালন্দা মহাবিহার ছিল ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আনুমানিক ১২০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বখতিয়ার খিলজি এই মহাবিহার ধ্বংস করেন, যার ধ্বংসাবশেষ ১৯৯৫ সালে খনন করা হয়। বেদ, ‘হেতুবিদ্যা’ (ন্যায়শাস্ত্র), ‘শব্দবিদ্যা’ (ব্যাকরণ ও ভাষাতত্ত্ব), ‘চিকিৎসাবিদ্যা’ (ভেষজবিদ্যা), জাদুবিদ্যা-সংক্রান্ত অন্যান্য গ্রন্থ (অথর্ববেদ) ও সাংখ্য দর্শন সম্মন্ধে এখানে শিক্ষাদান করা হত। গবেষণা অনুযায়ী আইন, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও নগর-পরিকল্পনা প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষাদান করা হত।

    নালন্দার পুনরুজ্জীবন, আবার শুরু হয়েছে শিক্ষাদান

    প্রথমে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম ২০০৬ সালে নালন্দাকে (Nalanda University) আবার ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেন। তার বছর চারেক বাদে অর্থাৎ ২০১০ সালে ভারতীয় পার্লামেন্টে পাশ হয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বিল, যেখানে প্রস্তাব রাখা হয় নতুন আকারে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং তাতে পড়ানো হবে ভাষাতত্ত্ব, ইতিহাস, পররাষ্ট্রনীতি, পরিবেশবিদ্যা বা বৌদ্ধ দর্শনের মতো নির্বাচিত কিছু বিষয়। যাতে নালন্দা আবার সেই আগের মতো এক উচ্চশিক্ষা দানকারী বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে। তার জন্য গড়ে তোলা হয় ‘নালন্দা মেন্টর গ্রুপ’-যার নেতৃত্বে ছিলেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার পর অমর্ত্য সেন আচার্যের পদে মনোনীত হন। সেই বিশ্ববিদ্যালয় আজ আবার তার শিক্ষাদান শুরু করেছে। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, দেশ বিদেশ থেকে আসছে ছাত্ররা, এখানে শিক্ষা গ্রহণ করতে। 

    কী কী বিষয় এখন পড়ানো হয়?

    বর্তমানে এখানে (Nalanda University) ৬টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পড়ানো হয়। সেগুলি হল-হিন্দু স্টাডিজ, বিশ্ব সাহিত্য, Sustainable Development, বাস্তুশাস্ত্র ও পরিবেশ বিদ্যা, ইতিহাস, বুদ্ধিস্ট স্টাডি এবং দর্শন। 
    তাছাড়া এই বিষয় গুলিতে PhD ও করানো হয় এখান থেকে। আবার ধীরে ধীরে পুরনো জায়গা ফিরে পাচ্ছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের গর্ব, ভারতবাসীর গর্ব নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “সংবিধানের দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে এই লোকসভা”, বললেন মোদি

    PM Modi: “সংবিধানের দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে এই লোকসভা”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সপ্তদশ লোকসভার এই টার্ম দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি গেমচেঞ্জার ছিল। সংবিধান মানুষকে যে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে, এই লোকসভা তা বাস্তবায়িত করেছে।” দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদের শেষ দিনে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ‘ভূস্বর্গের মানুষের ভয় কেটেছে’

    তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা লোপ পেয়েছে। ভূস্বর্গের মানুষের ভয় কেটেছে। এই কাজ আমরা করে দেখিয়েছি। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে সামাজিক ন্যায় প্রদানের প্রতিশ্রুতি রেখেছি। আজ আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। দেশমাতৃকা অনেক আতঙ্কবাদীর কারণে রক্তাক্ত হয়েছে। অনেক বীর সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। সেই সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা এই সদনেই আইন তৈরি করেছি। এতে দেশের সেনার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তিন তালাকের মতো নিকৃষ্ট বিষয় থেকে মুসলিম মহিলাদের মুক্তি দিয়েছে লোকসভার এই টার্ম। যা চিরকাল লেখা থাকবে ইতিহাসে।”

    ‘নতুন উদ্যম তৈরি হয়েছে’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিগত পাঁচ বছরে দেশে রিফর্ম, পারফর্ম ও ট্রান্সফর্ম হয়েছে। এই সপ্তদশ লোকসভায় দেশে একাধিক উন্নয়নমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার জেরে দেশে সংশোধন হয়েছে। আর এর ফলেই দেশের রূপান্তর হচ্ছে। দেশে এক নতুন উদ্যম তৈরি হয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রতিটি গলি, পাড়ার ছেলেমেয়েরাও বলছে আগামী পঁচিশ বছরে দেশ বিকশিত ভারত হবে। আমরা কেউ কেউ সেই বিকশিত ভারত তৈরির স্বপ্ন নিজেদের সঙ্কল্প হিসেবে তৈরি করে ফেলেছি। যাঁরা সেই সঙ্কল্পে নেই, তাঁরা নিজেদের জীবদ্দশায় সেই বিকশিত ভারতের সাফল্য অনুভব করতে পারবেন।”

    আরও পড়ুুন: “তৃতীয় দফায় আরও বড় সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি সরকার”, বললেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকে হয়তো একটু টেনশনে রয়েছেন ভোট নিয়ে। কিন্তু আমি আশ্বাস দিচ্ছি, এই নির্বাচনেও দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অটুট থাকবে। মজাদার আক্রমণ হয়েছে। আমি আরও আনন্দিত হয়েছি। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। লড়াইয়ের মোকাবিলা করেছি।” তিনি বলেন, “রাম মন্দির নিয়ে বক্তব্যের যে প্রস্তাব আজ এই সংসদ ভবনে রাখা হয়েছে, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচয় করতে আরও সাহায্য করবে।” এদিন প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ভাষণে উঠে এসেছে জি-২০ সম্মেলনে ভারতের সাফল্য, নয়া সংসদ ভবন নির্মাণের প্রসঙ্গও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Loksabha Elections 2024: রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ, ভোটের ঘোষণা কবে?

    Loksabha Elections 2024: রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ, ভোটের ঘোষণা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদ্যি বাজতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Elections 2024)! নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যেতে পারে লোকসভার। এই মাসের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মার্চের ১০ তারিখের মধ্যেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হতে পারে। উনিশের লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছিল ১১ এপ্রিল। সেবার ভোট হয়েছিল সাত দফায়। নির্বাচন-পর্ব শেষ হয়েছিল ১৯ মে। ফল প্রকাশ হয়েছিল ২৩ মে।

    নির্বাচনের ঢাকে কাঠি!

    সূত্রের খবর, রাজ্যে এসে নির্বাচন কমিশনার একাধিক বৈঠক করবেন। পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি। নির্বাচনের (Loksabha Elections 2024) সময় আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, মাঝ-এপ্রিলে নির্বাচন হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল মাধ্যম। সেই মতোই প্রস্তুতি চলছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। গতবারের চেয়ে এবার আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

    আব কি বার ৪০০ পার!

    দিন দুই আগে সংসদে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলেওছিলেন, বিজেপি একাই পাবে ৩৭০টি আসন। এনডিএ পার করবে ৪০০-র গণ্ডী। অবশ্য এই প্রথম নয়, মাস দুয়েক আগে দিল্লিতে দলের সদর দফতরে আয়োজিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের বলে দিয়েছিলেন, এবার (Loksabha Elections 2024) ৪০০-র বেশি আসন পেতে হবে। তার পরেই প্রচারের সুর বেঁধে ছিল বিজেপি-‘আব কি বার চারশো পার।’

    আরও পড়ুুন: প্রকাশ করা হবে ইউপিএ জমানার ‘কেলেঙ্কারি’, বাড়ছে বাজেট অধিবেশনের মেয়াদ

    কেন্দ্রের শাসক দলের প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখন ছন্নছাড়া দশা বিরোধী শিবিরে। অথচ মাস ছয়েক আগেই বিজেপিকে হারাতে জোট বেঁধেছিল ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছিল ‘ইন্ডি’। তার পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকট হয়েছে ‘ইন্ডি’র অন্দরের ফাটল। কখনও আসন রফা নিয়ে, কখনও আবার প্রধানমন্ত্রী মুখ কাকে করা হবে, তা নিয়ে অশান্তি লেগেই রয়েছে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে, বাংলায় ন্যায় যাত্রায় এসে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। উত্তরপ্রদেশে আবার ১৬টি আসনে একতরফাভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। আর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, যিনি কিনা ‘ইন্ডি’ জোটের অন্যতম মূল উদ্যোক্তা, তিনি তো ফিরে এসেছেন এনডিএ শিবিরে (Loksabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

       

     

LinkedIn
Share