Tag: parliament

parliament

  • Parliament Security Breach: চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ললিত ঝা-র, কী বলল লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?  

    Parliament Security Breach: চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ললিত ঝা-র, কী বলল লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি জেরায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি লোকসভাকাণ্ডে (Parliament Security Breach) ধৃত ললিত ঝায়ের। টানা পুলিশি জেরায় ললিতের স্বীকারোক্তি, প্ল্যান-এ সফল না হলে প্ল্যান-বি তৈরি ছিল সাগর-নীলমদের। লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড এই ললিতই। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করে সে। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে সে নষ্ট করে ফেলেছে নিজের ও বাকি অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনগুলি।

    মাস্টারমাইন্ড ললিত

    বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন দর্শক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে অধিবেশন কক্ষে পড়ে দুই হানাদার। আগে থেকে জুতোয় লুকিয়ে রাখা স্মোক গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। তার জেরে অধিবেশন কক্ষ ভরে যায় রঙিন ধোঁয়ায়। পরে দুই সাংসদের হাতে ধরা পড়ে যায় হানাদাররা। ওই ঘটনায় সংসদ চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। তার পরেই জানা যায়, লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) মাস্টারমাইন্ড ললিত। ললিতকে টানা জেরা করছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল।

    কী জানাল ললিত?

    লাগাতার জেরায় তদন্তকারীদের ললিত জানিয়েছে, যদি ভিজিটর্স গ্যালারি থেকে স্মোক গ্রেনেড বিস্ফোরণের সুযোগ সাগর-নীলমরা না পেত, তাহলে তৈরি ছিল প্ল্যান-বি। ললিত বলেন, “যদি প্রথম পরিকল্পনা অনুযায়ী নীলম ও আমল সংসদের সামনে পৌঁছতে না পারত, তাহলে মহেশ ও কৈলাশকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। অন্য দিক থেকে লোকসভায় গিয়ে কালার বম্ব ফাটাত ওরা। মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে স্লোগান দেওয়ার জন্যও তৈরি ছিল দুজন।”

    আরও পড়ুুন: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    অপারেশন সাকসেসফুল হওয়ার পর যাতে তারা পালাতে পারে, সেজন্য বাকিদের সাহায্য করতেও একটি প্ল্যান তৈরি করে রেখেছিল ললিত। কথা ছিল, সকলেই পালিয়ে যাবে রাজস্থানে। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে নীলম, সাগর, মনোরঞ্জন ও আমলকে পালাতে সাহায্য করার কথা ছিল মহেশের। ললিতের জন্য গেস্ট হাউসের ব্যবস্থা করেছিল এই মহেশই। এই গেস্ট হাউসে বসেই টেলিভিশনের পর্দায় লোকসভাকাণ্ডের খবরের ওপর নজর রাখছিল সে।

    এদিকে, সেদিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চাইছে দিল্লি পুলিশ। ঘটনার দিনের মতোই সাগর ও মনোরঞ্জন দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেবে লোকসভার চেম্বারে। নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি পেরিয়ে বুধবার তারা কীভাবে লোকসভার অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়েছিল, মূলত তা-ই জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা (Parliament Security Breach)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: “রাজনীতি করবেন না”, লোকসভাকাণ্ডে বিরোধীদের পরামর্শ শাহের

    Parliament Security Breach: “রাজনীতি করবেন না”, লোকসভাকাণ্ডে বিরোধীদের পরামর্শ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদের সময় একজোট হওয়াটাই দস্তুর। এমন উদাহরণ রয়েছে ‘মহাভারতে’ও। তবে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি আবার কবে মান্যতা দিয়েছে ‘রামায়ণ’-‘মহাভারত’কে? তাই লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) পরেও সরকারের পাশে না থেকে লড়াই করছেন রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে! অন্তত এমনই অভিযোগ শাসক দলের।

    কী বললেন শাহ?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “এটি একটি সিরিয়াস ঘটনা। বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে। নিশ্চয়ই কোথাও একটা ফাঁক ছিল। কিন্তু সবাই জানে, সংসদের নিরাপত্তা স্পিকারের অধীনে থাকে ও স্পিকার ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গড়েছি। খুব শীঘ্রই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে স্পিকারের কাছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, লোকসভায় নিরাপত্তা লঙ্ঘন কেন হল, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশের পাশাপাশি লোকসভার নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তদন্ত (Parliament Security Breach) কমিটিকে। তিনি বলেন, “কোনও ফাঁক থাকা উচিত নয়। যদি কোনও ফাঁক থেকে যায়, তা পূরণ করার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের আবেদন, এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।”

    নেপথ্য কাহিনি

    প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেয় দুই হানাদার। যে সময় তারা লাফিয়ে পড়েছিল, সেই সময় ছিল লোকসভার জিরো আওয়ার। প্রশ্ন করছিলেন মালদহ উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু। হঠাৎ করে এই ঘটনায় হকচকিয়ে যান সাংসদরা। সেই সুযোগে হানাদাররা জুতোয় লুকিয়ে রাখা স্মোক গ্রেনেডের ক্যান দেয়। রঙিন ধোঁয়ায় ঢেকে যায় অধিবেশন কক্ষ। সেই সময় কোনওমতে দুই সাংসদ – উত্তরপ্রদেশের বহুজন সমাজবাদী পার্টির মালুন নাগর ও রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির হনুমান বেনীওয়াল ধরে ফেলেন হানাদারদের।

    আরও পড়ুুন: বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা, সাফ জানালেন রাজ্যপাল

    সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি নামের ওই দুই হানাদারকে তুলে দেওয়া হয় মার্শালের হাতে। পরে সংসদের বাইরে একই কাণ্ড ঘটানোয় গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। চারজনকেই তুলে দেওয়া হয় দিল্লি পুলিশের হাতে। ঘটনার দিন লোকসভায় ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরের দিনই তিনি প্রবীণ মন্ত্রীদের ডেকে সবিস্তারে অবগত হন বিষয়টি। সেই সময়ই তিনিও জানিয়েছিলেন, এটা নিরাপত্তার বিষয়। এটা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তারই (Parliament Security Breach) প্রতিধ্বনি শোনা গেল তাঁরই সতীর্থ অমিত শাহের মুখেও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: ললিতের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের সেলফি, লোকসভাকাণ্ডে ‘প্রমাণ’ দিলেন সুকান্ত!

    Parliament Security Breach: ললিতের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের সেলফি, লোকসভাকাণ্ডে ‘প্রমাণ’ দিলেন সুকান্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) সঙ্গে উঠল তৃণমূল যোগের অভিযোগ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, সংসদে তাণ্ডবের মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা দীর্ঘদিন ধরে বিধায়ক তৃণমূলের তাপস রায়ের ঘনিষ্ঠ।

    কী বললেন সুকান্ত?

    বক্তব্যের স্বপক্ষে তাপসের সঙ্গে ললিতের ছবিও শেয়ার করেছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। একই অভিযোগ করেছেন হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে এক ফ্রেমে বন্দি ললিতের ছবিও দেখিয়েছেন লকেট। যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। বিজেপির জোড়া সাংসদের এই একই দাবিকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। লকেট যেখানে সাংবাদিক বৈঠক করে তাপসের সঙ্গে ললিত যোগের ‘প্রমাণ’ দিচ্ছেন (Parliament Security Breach), তখন এক্স হ্যান্ডেলে বিধায়কের সঙ্গে ললিতের ছবি শেয়ার করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    ‘সেদিনের রাজনীতিক’ আখ্যা

    ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “ললিত ঝা, আমাদের গণতন্ত্রের মন্দিরে আঘাত হানার মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তাপস রায়ের দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।…এটা কী তদন্তের জন্য প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ঠ নয়?” বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাপস। তাঁর দাবি, ললিত ঝা-কে তিনি চেনেনই না। সুকান্তকে ‘সেদিনের রাজনীতিক’ আখ্যা দিয়ে তাপস বলেন, “এটা ওঁকে প্রমাণ করতে হবে, নাহলে ওঁর সঙ্গে আমার দেখা হবে আদালতে।”

    এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লিখেছেন, “এ পর্যন্ত এই পুরো এপিসোডে যারা যুক্ত, তাদের সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই (মাওবাদী) এবং এখন তৃণমূলের লিঙ্ক রয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, বুধবার অধিবেশন চলাকালীন লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই হানাদার। ‘স্মোক গ্রেনেড’ ছড়িয়েও দেয় তারা। শেষমেশ তাদের পাকড়াও করে লোকসভারই দুই সাংসদ। তুলে দেওয়া হয় মার্শালদের (Parliament Security Breach) হাতে।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর নিরাপত্তায় বিস্তর ত্রুটি! রাজ্যের থেকে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Elections 2024: ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি, কেন্দ্র ফের গেরুয়াময়! বলছে ফিচ রেটিং

    Parliament Elections 2024: ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি, কেন্দ্র ফের গেরুয়াময়! বলছে ফিচ রেটিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দশ বছরে দেশে বইয়েছেন উন্নয়নের জোয়ার। বিশ্ব বাজারে দেশকে নিয়ে গিয়েছেন অকল্পনীয় এক উচ্চতায়। প্রত্যাশিতভাবেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে (Parliament Elections 2024) তিনিই ফিরছেন ক্ষমতায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে ক্ষমতায় ফিরছে, নানা সময় তা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এবার একই কথা জানাল বহুজাতিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি ফিচ রেটিং। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিনটিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। তার পর আরও জোরাল হয়েছে বিজেপির প্রত্যাবর্তনের ধারণা।

    ফিচ রেটিংয়ের দাবি

    ফিচ রেটিংয়েরও দাবি, আসন্ন নির্বাচনে কেন্দ্রে ফের উড়বে গৈরিক নিশান। সেক্ষেত্রে অর্থনীতি এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত নিয়ম-নীতির বিশেষ হেরফের হবে না বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের। তাই দীর্ঘমেয়াদি অগ্রগতির সামনে থাকা বাধার প্রাচীর পার হওয়া যাবে অবলীলায়। নতুন বছরের মার্চে লোকসভা নির্বাচন (Parliament Elections 2024) হওয়ার কথা। ফিচ রেটিংয়ের মতে, ক্ষমতায় ফিরতে পারে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারই। আর যদি তা হয়, তাহলে নীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলির ক্ষেত্রেও বাধা আসবে না। তবে বিজেপি কতগুলি আসনে জয়ী হবে, তার ওপর নির্ভর করবে শাসকের সংস্কারের সিদ্ধান্তের ওপর কী প্রভাব পড়বে।

    কী বলছেন অর্থনীতিবিদ?

    এমকে গ্লোবালের মুখ্য অর্থনীতিবিদ মাধবী অরোরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় ফিরলে কেবল যে দীর্ঘমেয়াদি অগ্রগতিই নিশ্চিত হবে তা নয়, জারি থাকবে নীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়াও। ভারতের পাশাপাশি পড়শি বাংলাদেশের রাজনৈতিক চিত্র নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে ফিচ রেটিং। তাদের অনুমান, বাংলাদেশেও ক্ষমতায় ফিরছে বর্তমান শাসক দলই। ভারত কিংবা বাংলাদেশ নয়, ফিচ রেটিংয়ের দাবি, গোটা এশিয়া মহাদেশেই রাজনৈতিক উত্থান-পতন খুব একটা দেখা যাবে না।

    আরও পড়ুুন: লোকসভার অন্দরে হানাদার, সংসদের সুরক্ষা নিয়ে বৈঠক উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    ফিচ রেটিংয়ের পাশাপাশি বিজেপির অপ্রতিরোধ্য গতি সম্পর্কেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে জাপানের বৃহত্তম বিনিয়োগ ও আর্থিক সংস্থা নোমুরা। তাদেরও অনুমান, আগামী সাধারণ নির্বাচনে ভারতের চালকের আসনে বসবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি। নোমুরা বলছে, “এটা (তিন রাজ্যের ফল) ইঙ্গিত দিচ্ছে, বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির পক্ষে বিপুল জনসমর্থন রয়েছে। সাধারণ নির্বাচনে (Parliament Elections 2024) বিজেপি যে ফের ক্ষমতায় ফিরছে, তার ইঙ্গিত মিলেছে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষাতেও। প্রসঙ্গত, তিন রাজ্যে বিজেপির বিপুল জয়ের পরেই ভারতের শেয়ার বাজারের লেখচিত্র দ্রুত ওপরে উঠেছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: লোকসভার অন্দরে হানাদার, সংসদের সুরক্ষা নিয়ে বৈঠক উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: লোকসভার অন্দরে হানাদার, সংসদের সুরক্ষা নিয়ে বৈঠক উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের সুরক্ষা নিয়ে মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক হয়। বুধবার লোকসভায় দর্শক গ্যালারি থেকে অধিবেশন কক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই হানাদার। এদিন মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল দুই মুখ্যমন্ত্রীর। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় লোকসভায় গরহাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    উদ্বেগে প্রধানমন্ত্রী

    তাই এদিন বুধবারের ঘটনা সম্পর্কে বিশদে অবহিত হন তিনি। বিষয়টিকে তিনি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে বলেছেন মন্ত্রীদের। তিনি বলেছেন, “বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার সময় নয়। আমাদের সকলকে এক সঙ্গে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।” মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বিরোধীদের চাপের মুখে রণকৌশল স্থির করার বিষয়েও পরামর্শ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও আলোচনা করেন।

    সাসপেন্ড ১৫ সাংসদ

    এদিকে, লোকসভাকাণ্ডের জেরে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার দফায় দফায় মুলতুবি হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। ঘটনার জেরে সাসপেন্ড হয়েছেন দুই কক্ষের ১৫ জন সাংসদ। অন্যদিকে, সুরক্ষা ব্যবস্থায় গাফিলতির অভিযোগে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আট রক্ষীকে সাসপেন্ড করেছে লোকসভার সচিবালয়। বুধবার যে সময় লোকসভায় ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় সংসদ ভবনের মূল প্রবেশপথ সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ওই আটজন।

    ২৮ মে উদ্বোধন হয় নয়া সংসদ ভবনের। উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদ ভবনের নিরাপত্তায় রয়েছে ত্রিস্তরীয় সুরক্ষা বলয়। সেই বেড়া ভেঙে কীভাবে চার হানাদার ‘স্মোক গ্রেনেড’ নিয়ে সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে পড়ল, কীভাবেই বা তাদের মধ্যে দুজন দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ মারল অধিবেশন কক্ষে, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এই প্রশ্নগুলোকে হাতিয়ার করছে বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

    আরও পড়ুুন: মথুরার শাহি মসজিদে সমীক্ষায় সায় আদালতের, হদিশ মিলবে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের?

    এদিন যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের ৯জন, সিপিএমের ২জন, ডিএমকের ২জন এবং সিপিআইয়ের একজন সাংসদ। লোকসভাকাণ্ডে বাংলা যোগ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সন্দেহভাজনের তালিকায় যে ললিত ঝায়ের নাম রয়েছে, সেই ললিতের বাড়ি কলকাতায়। ঘটনার (PM Modi) ভিডিও রেকর্ডিং করেছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: আঁটসাঁট হচ্ছে সংসদের নিরাপত্তা বলয়, কী ব্যবস্থা হচ্ছে জানেন?

    Parliament Security Breach: আঁটসাঁট হচ্ছে সংসদের নিরাপত্তা বলয়, কী ব্যবস্থা হচ্ছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে বজ্র আঁটুনির গেরো যে ফস্কা ছিল, বুধবার লোকসভার ঘটনাই তার প্রমাণ (Parliament Security Breach)। অধিবেশন চলাকালীন দর্শক গ্যালারি থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে দুই ব্যক্তি। দুই হানাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তার ফোকর গলে কীভাবে ওই দুই ব্যক্তি রং বোমা (স্মোক গ্রেনেড) নিয়ে ঢুকে পড়ল লোকসভার অন্দরে, সে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এহেন পরিস্থিতিতে এদিন দুপুরেই সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে হয় সর্বদল বৈঠক। পরে সংসদ সচিবালয়ের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করতে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ প্রস্তাব। এর মধ্যে রয়েছে লোকসভায় যাঁরা ঢুকবেন, বিমানবন্দরের ধাঁচে তাঁদের শরীর পরীক্ষা করতে বডি স্ক্যানার বসানো, সাংসদ, সংসদ কর্মী, সাংবাদিক এবং দর্শকদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ নির্দিষ্ট করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

    এদিন হানাদারেরা লাফ দিয়েছিল (Parliament Security Breach) দর্শক গ্যালারি থেকে। তাই মূল অধিবেশন কক্ষ ও দর্শক আসনের মধ্যে বসানো হবে কাচের দেওয়াল। দর্শকরা যাতে বেপরোয়া আচরণ করতে না পারেন, তাই অধিবেশন চলাকালীন বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। সাংসদদের নিরাপত্তায় এসব ব্যবস্থা যতক্ষণ না বাস্তবায়িত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দর্শকদের পাশ দেওয়া হবে না। দর্শকদের যখন ফের নতুন করে পাস দেওয়া হবে, তখন তাঁদের ঢুকতে হবে সংসদের চতুর্থ গেট দিয়ে। সাংসদদের প্রবেশের জন্য স্মার্ট কার্ড চালুর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সচিবালয়ের তরফে।

    প্রসঙ্গত, বুধবার সংসদ ভবনের ভেতরে যে দুই হানাদারকে ধরা হয়েছে, তাদের একজন লখনউয়ের সাগর শর্মা, অন্যজন মাইসুরুর ডি মনোরঞ্জন। সংসদের বাইরে থেকে যাদের ধরা হয়েছে, তাদের একজন মহারাষ্ট্রের লাটুরের অমল শিণ্ডে ও হরিয়ানার হিসারের নীলম দেবী। এই চারজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় আরও দুজনের নাম উঠে এসেছে। এরা হল, ললিত ঝা ও ভিকি শর্মা। এদের মধ্যে শেষোক্ত জনকে বৃহস্পতিবার সকালে পাকড়াও করা হয়। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ললিত অধরা।

    আরও পড়ুুন: সংসদের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের, গ্রেফতার পঞ্চম অভিযুক্ত

    এদিকে, লোকসভাকাণ্ডে (Parliament Security Breach) উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি বলেন, “আজ যে ঘটনা ঘটল, তা আমাদের সবার কাছে উদ্বেগের। গুরুতরও। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তও চলছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha: সংসদে প্রশ্ন করছিলেন বাংলার বিজেপি সাংসদ, তখনই লাফ দিল ওরা! জানেন কারা তারা?

    Lok Sabha: সংসদে প্রশ্ন করছিলেন বাংলার বিজেপি সাংসদ, তখনই লাফ দিল ওরা! জানেন কারা তারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভার (Lok Sabha) প্রশ্নোত্তর পর্বে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে আমি প্রশ্ন উত্থাপন করছিলাম। তিরিশ সেকেন্ড মতো বলেছি, তখনই পিছনে আমার ডান দিকের গ্যালারি থেকে এক যুবক চেম্বারে ঝাঁপ দেন। আমি ঘাড় ঘুরিয়ে তাঁকে দেখি। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশ্নপাঠ শেষ করতে হয় বলে প্রথমে থামিনি। ফের স্পিকারের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন পাঠ করতে থাকি। তখন দেখি আমার সামনে থাকা সাংসদরা হইহই করে ওই যুবককে ধরতে ছোটেন। এগিয়ে আসেন নিরাপত্তাকর্মীরাও। এর মধ্যে এক যুবতী গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেন। সবাই মিলে দুজনকে ধরে ফেলেন। তবে তাঁরা আগে থেকে জুতোয় রাখা কোনও রাসায়নিক কক্ষে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। যার জেরে অধিবেশন কক্ষ ধোঁয়ায় ভরে যায়। এর মধ্যেই অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার।” বুধবার লোকসভায় ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন মালদহ উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু।

    হানাদারদের পরিচয়

    জানা গিয়েছে, এদিন জিরো আওয়ারে যারা দর্শক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা হলে মহারাষ্ট্রের অমল শিন্ডে ও হরিয়ানার নীলম সিংহ। লাফ দেওয়ার সময়ও তারা স্লোগান দিচ্ছিল ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’। এদিনই ছিল সংসদ হানার বর্ষপূর্তি। থতমত খেয়ে যান সাংসদরা। সাহস করে তাদের ধরে ফেলেন লোকসভার দুই সাংসদ। একজন বহুজন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ মালুক নাগর এবং অন্যজন রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল। দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হয়েছে সাগর শর্মা নামে আরও একজন।

    ভিজিটর পাস কোথায় পেলেন?

    সে-ই পুরো ঘটনায় নেতৃত্ব দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। সাগর এক সংসদ সদস্যের কাছ থেকে ভিজিটর পাস জোগাড় করেছিল। তারই সঙ্গে নীলম কৌর নামেও একজন ঢোকার চেষ্টা করেছিল সংসদে। দুই দলের দুই সাংসদের হাতে ধরা পড়ার আগেই জুতোয় রাখা কোনও রাসায়নিক ছড়িয়ে দেয় হানাদারেরা। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় অধিবেশন কক্ষ (Lok Sabha)। অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার। সাংসদ কংগ্রেসের কার্তি চিদম্বরম জানান, তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন দর্শক গ্যালারি থেকে কেউ পড়ে গিয়েছেন। দ্বিতীয় ব্যক্তি লাফ দেওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে কেউ ঢুকে পড়েছে (Lok Sabha)।

    আরও পড়ুুন: আইসিইউ থেকে কার্ডিওলজি বিভাগে, ‘কাকু’র ‘নাগাল’ পেতে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে ইডি!

    সভায় ছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, “দুই যুবক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তাঁরা এমন কিছু একটা ছুড়েছিলেন, যা থেকে গ্যাস নির্গত হচ্ছিল। আমাদের দুই সাংসদের হাতে ধরা পড়েন তাঁরা। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের বের করে নিয়ে যান।” এদিনই ছিল সংসদে হামলার ২২ বছর পূর্তি। সেদিনই কীভাবে ওই দুই ব্যক্তি ‘স্মোক গ্রেনেড’ নিয়ে নিরাপত্তার বলয় পেরিয়ে ঢুকে পড়ল সংসদের অন্দরে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সাংসদদের নিরাপত্তায় যে ফোকর রয়েছে, তাও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সংসদের (Lok Sabha) এদিনের ঘটনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Winter Session: ‘‘ভোটে হেরে সংসদে রাগ দেখাবেন না’’! বিরোধীদের হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Parliament Winter Session: ‘‘ভোটে হেরে সংসদে রাগ দেখাবেন না’’! বিরোধীদের হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session) শুরুর ঠিক আগে বিরোধীদের সাহায্য চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্ত তাতে কর্ণপাত করলেন না বিরোধীরা। প্রথম দিনে বিরোধীদের হৈ হট্টগোলে প্রথম দফায় অধিবেশন মুলতবি করে দিতে বাধ্য হলেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। প্রধানমন্ত্রী যে আশঙ্কা করেছিলেন তাই সত্যি হল। অধিবেশনের শুরু থেকেই হট্টগোল পাকিয়ে সভা বানচাল করার চেষ্টা চালালো বিরোধীরা। লক্ষ্য একটাই, এই সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে যাতে কোনও বিল সরকারপক্ষ পাশ না করাতে পারে।

    প্রধানমন্ত্রীর আর্জি

    এদিন শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session) শুরুর আগেই প্রথা মেনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সংসদে আসুন৷ আমরা দশ পা এগোলে আপনারা বারো পা এগোন৷ কিন্তু সংসদে আলোচনা করতে দিন৷ সবার ভবিষ্যৎই উজ্জ্বল৷ এই নেতিবাচক রাজনীতির ফলে দেশবাসীর মনে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, কে বলতে পারে তা হয়তো ভালবাসায় বদলে যেতে পারে৷ ফলে বিরোধীদের সামনেও এটা একটা দারুণ সুযোগ৷’ একই সঙ্গে তিন রাজ্যে বিজেপির বিপুল জয় ও বিরোধীদের পরাজয়ের কথাও উল্লেখ করেন মোদি। তার সূত্র ধরেই মোদীর পরামর্শ, ‘‘তিন রাজ্যে হার বিরোধীদের কাছে সুবর্ণ সুযোগ। এই হার থেকে তারা শিক্ষা নিক। হারের কারণে সংসদে রাগ দেখাবেন না।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘সনাতন ধর্মকে সম্মান না জানানোর পরিণতি’’! কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ভেঙ্কটেশ প্রসাদের

    উন্নয়ন সঠিক ভাবে হলে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা বলে কিছু থাকে না, বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, ‘‘এত ভাল জনাদেশের পর আমরা নতুন সংসদ ভবনে আজ মিলিত হচ্ছি। নেতিবাচক সবকিছুকে ত্যাগ করতে হবে। বিরোধীদের সঙ্গে আমি সবসময় আলোচনা করি। দেশের ভিত্তি আরও মজবুত করার মঞ্চ হল সংসদ। প্রত্যেক সাংসদের কাছে আবেদন, আলোচনায় অংশগ্রহণ করুন, পরামর্শ দিন। দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক পদক্ষেপ করুন, বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করবেন না।’’ তিনি এ-ও বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের জন্য বিরোধীদের ইতিবাচক মনোভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের অভ্যেস বদলান, হার থেকে হতাশা হতেই পারে। পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে চলুন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: আজই ‘সদস্য’ পদ হারাবেন মহুয়া? সোমবার লোকসভায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ

    Mahua Moitra: আজই ‘সদস্য’ পদ হারাবেন মহুয়া? সোমবার লোকসভায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বল্পমেয়াদী শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই মহুয়া (Mahua Moitra) ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠতে পারে লোকসভা (Loksabha Winter Session)।  আজ, সোমবার থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসছে। চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই অধিবেশনে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাতটি সহ ২১টি বিল পাশ করাতে চায়। তার মধ্যে অন্যতম হল ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধনী বিল। এ ছাড়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিলও এই অধিবেশনে পাশ করানোর কথা। 

    মহুয়ার ভবিষ্যত

    শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই নজরে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে লোকসভার এথিক্স কমিটির তদন্ত রিপোর্ট আজই অধিবেশনে পেশ হওয়ার কথা। নানা সূত্রে ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, এথিক্স কমিটি মহুয়াকে লোকসভা (Loksabha Winter Session) থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। এই রিপোর্ট লোকসভার অধিবেশনে পেশ করার পর সেটির উপরে আলোচনা হতে পারে অথবা সরাসরি ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রস্তাব পাশ করানো যায়। মহুয়ার ব্যাপারে এখন স্পিকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাঁর উপর নির্ভর করবে পরবর্তী পরিস্থিতি। স্পিকার ওম বিড়লা চাইলে প্রস্তাব পেশের পর ভোটাভুটি আপাতত স্থগিত রাখতে পারেন।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানের যোগী! বালকনাথ কি বসতে চলেছেন মরুরাজ্যের কুর্সিতে?

    আজই কি শেষ দিন

    ইতিমধ্যেই বিজেপি (BJP) সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, তার সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। লোকসভার (Loksabha Winter Session) পোর্টালে প্রত্যেক সাংসদের আলাদা লগইন ও পাসওয়ার্ড থাকে। এথিক্স কমিটি (Ethics Committee) রিপোর্টে উল্লেখ, ‘সেই লগইন ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। এরপরই দেশের বাইরে থেকে পোর্টালে লগইন করা হয়’। কমিটির মতে, ‘স্রেফ অনৈতিক নয়, এই কাজ সংসদের অবমাননা’।  কমিটির আরও সুপারিশ, ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের’। এ প্রসঙ্গে লোকসভার অধিকাংশ সাংসদই চাইছেন মহুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সংখ্যাধিক্যের জোরে এথিক্স কমিটির প্রস্তাব আজ পাস হয়ে যেতে পারে লোকসভায়। তেমন হলে সোমবারই এই লোকসভায় হবে মহুয়ার শেষ দিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Winter Session: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ২১টি বিল আনতে চলেছে সরকার, জানাল সর্বদল বৈঠকে

    Parliament Winter Session: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ২১টি বিল আনতে চলেছে সরকার, জানাল সর্বদল বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই সোমবার। এদিনই শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session)। চলবে চলতি মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত। অধিবেশন শুরুর আগে প্রথা মেনে শনিবার হয়েছে সর্বদলীয় বৈঠক। যদিও রীতি অনুযায়ী এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল রবিবার। কারণ, সংসদ শুরুর ঠিক আগের দিনই হয় সর্বদলীয় বৈঠক। এবার যেহেতু রবিবার গণনা হচ্ছে চার রাজ্যের বিধানসভার ফল, তাই সর্বদল বৈঠক হয়েছে তার একদিন আগে, শনিবার।

    ২১টি বিল

    এ দিনের বৈঠকে সব মিলিয়ে ২১টি বিল নিয়ে আসতে চায় সরকার। এর মধ্যে আবার দুটি অর্থ বিল। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “আসন্ন অধিবেশনে আমরা ১৯টি বিল ও দুটি অর্থবিল নিয়ে আসছি। সব মিলিয়ে ২১টি বিল। তিনটি বিল আসবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি, কনস্টিটিউশনাল অর্ডার বিলও আনা হবে।” শনিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। জোশী জানান, শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর, চলবে চলতি মাসেরই ২২ তারিখ পর্যন্ত। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “১৯ দিনের মধ্যে অধিবেশন হবে ১৫ দিন।”

    সর্বদল বৈঠক

    এদিনের বৈঠক সম্পর্কে তিনি বলেন, “এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ২৩টি রাজনৈতিক দলের ৩০ জন নেতা। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজনাথ সিংহ। বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের কাছ থেকে আমরা একাধিক প্রস্তাব পেয়েছি।” আসন্ন অধিবেশনে (Parliament Winter Session) যে বিলগুলি পেশ হবে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভারতীয় দণ্ড সংহিতা। ব্রিটিশ জমানার ফৌজদারি আইনের বদলে আনা হচ্ছে এই সংহিতা। সংসদে পাশ না হওয়া ৩৭টি বিলও রয়েছে। এর মধ্যে এক ডজন বিল বিবেচনা ও পাশের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ৭টি বিল তালিকাভুক্ত করা হয়েছে পেশ, বিবেচনা ও পাশের জন্য।

    আরও পড়ুুন: ৩ রাজ্যে বিজেপির কাছে ভরাডুবি কংগ্রেসের, উচ্ছ্বাসে মেতেছে গেরুয়া শিবির

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ও ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে প্রতিস্থাপন করতে সংসদের বাদল অধিবেশনেই ভারতীয় দণ্ড সংহিতা বিল ২০২৩, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বিল ২০২৩ ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিল পেশ করেছিল মোদি সরকার। আসন্ন অধিবেশনে এই তিনটি বিলই পাশ করানোর চেষ্টা করবে সরকার। কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে নিয়েও উত্তাল হতে পারে আসন্ন অধিবেশন (Parliament Winter Session)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share