Tag: parliament

parliament

  • Monsoon Session 2023: সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু ২০ জুলাই, কোথায় বসবে জানেন?

    Monsoon Session 2023: সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু ২০ জুলাই, কোথায় বসবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ নয়, সংসদের (Parliament) বাদল অধিবেশন শুরু হবে ২০ জুলাই। চলবে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত। তবে অধিবেশনের প্রথম কয়েকটা দিন সেশন হবে সংসদের পুরানো বিল্ডিংয়ে। পরে অধিবেশন (Monsoon Session 2023) বসবে নয়া ভবনে। ২০ জুলাই থেকে যে বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে, সেই বিষয়টি জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। এবারের অধিবেশনে বেশ কয়েকটি নতুন বিল উত্থাপন করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল

    এর মধ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code)  বিলটি রয়েছে কিনা, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ে কেন্দ্রের জারি করা অধ্যাদেশ সংক্রান্ত বিলটি পেশ হতে পারে এই অধিবেশনেই। ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন বিলটিও পেশ হতে পারে আসন্ন অধিবেশনেই। এ ব্যাপারে অনুমোদন মিলেছে মন্ত্রিসভার। চলতি অধিবেশনে (Monsoon Session 2023) অভিন্ন দেওয়ানি বিলটি পেশ হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লির এক বিজেপি নেতা। তিনি জানান, ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা। ৫ অগাস্টই শুরু হয়েছিল রাম মন্দির নির্মাণ। এবার ৫ অগাস্টই সংসদে পেশ হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল। বিজেপির অন্যান্য শীর্ষ নেতারা অবশ্য এ ব্যাপারে রা কাড়েননি।  

    কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী? 

    দিন কয়েক আগে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “কোনও পরিবারে যদি প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা আইন থাকে, তাহলে কি সেই সংসার চালানো যায়?” তিনি বলেন, “দেশের এক একটি সম্প্রদায়ের জন্য যদি এক এক রকম আইন থাকে, তাহলে দেশ এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান আইনের কথা বলা আছে।” সেই কারণেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল পেশ হতে পারে বলে চলছে জোর চর্চা।  

    এদিকে, বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session 2023) প্রথম কয়েকটা দিন পুরানো সংসদ ভবনে হলেও, অধিবেশনের বাকি দিনগুলি হতে পারে নয়া ভবনে। ২৮ মে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে সেখানে চলছে একেবারে শেষ মুহূর্তের কাজ। কাজ চলছে বেসমন্টে এবং মন্ত্রীদের অফিসগুলিতে। লোকসভা ও রাজ্যসভার অডিও, ভিডিও এবং অন্যান্য সিস্টেম পরীক্ষার কাজও চলছে জোরকদমে। কেবল সাউন্ড সিস্টেমই নয়, কুলিং সিস্টেমের কাজও চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। লোকসভায় কোরাম হয়েছে না হয়নি, তা জানা যায় যে সিস্টেমের সাহায্যে, সেই সিস্টেমের পরীক্ষার কাজও চলছে।

    আরও পড়ুুন: প্রয়োজনে ঘরে ঢুকে মেরে আসতে পারি, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানিকাণ্ডে বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) গড়ার দাবিকে ঘিরে সরকার ও বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে উত্তপ্ত সংসদের (Parliament) দুই কক্ষ। মঙ্গলবার বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ার দাবির পাল্টা হাতিয়ার হিসেবে বিজেপি প্রয়োগ করে ইংল্যান্ডে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীর মোদি সরকারের সমালোচনাকে। তার জেরে দু পক্ষে ব্যাপক হইচই হয়। যার জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ। কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী কয়েকটি দল যখন সংসদে হইহট্টগোল করছে, সেই সময় ওই একই দাবিতে সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না দেন তৃণমূল সাংসদরা।

    উত্তপ্ত সংসদ (Parliament)…

    এদিন অধিবেশনে রাহুলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বলেন, এক সংসদ সদস্য (পড়ুন রাহুল গান্ধী) যেভাবে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন, তাতে সংসদ (Parliament) চুপ থাকতে পারে না। রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিজেপি। দেশের সমস্ত সাংসদ যাতে রাহুলের মন্তব্যের নিন্দা করেন, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে পদ্ম শিবিরের তরফে। পাল্টা কটাক্ষ করেছে কংগ্রেসও। বিজেপির উদ্দেশে সোনিয়া গান্ধীর দলের কটাক্ষ, গণতন্ত্রের হত্যাকারীর মুখে আজ এ কী কথা শুনি! এ নিয়ে দু পক্ষে হইহট্টগোলের জেরে মুলতুবি করে দেওয়া হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    এদিকে, দ্বিতীয় দফার (Parliament) অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে সিপিএম, আরজেডি, জেডিইউ, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির, এনসিপি সহ ১৬টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস বিরোধী আম আদমি পার্টিও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে। এদিন সংসদ ভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধীরা। তাতে যোগ দেয় কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিআরএসও। তবে এখানেও তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। লোকসভার দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, বিরোধী ঐক্য যেন না থাকে, মোদির যেন সুবিধে হয়, এটাই করছে তৃণমূল। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, বিরোধীদের কোনও ঐক্য নেই। কখনও হবেও না। মোদিই থাকবেন। ওরা নিজেদের ঘর বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Prime Minister: ‘ভারতের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না কেউ কেউ’, বিরোধীদের খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    Prime Minister: ‘ভারতের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না কেউ কেউ’, বিরোধীদের খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ কেউ ভারতের (India) অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না। বুধবার এই ভাষায়ই বিরোধীদের আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন বাজেটের জবাবী ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেউ কেউ ভারতের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না। শেষ ন বছর ধরে সারা দেশে ৯০ হাজার স্টার্ট আপ চালু হয়েছে। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে এটিই তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ তৈরির দেশ। সেই উন্নতি কেউ কেউ সহ্য করতে পারছে না। ইউপিএ জমানায় যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুর্নীতি দেখে ভারত। সেই সময় ভারতে সব চেয়ে বেশি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। সেই দশ বছরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত নিজের অবস্থান নষ্ট করেছে। 

    মোদি উবাচ…

    বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশের তুলনায় ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা যে ভাল, এদিন সে প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন মোদি (Prime Minister)। বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখেছে। কোনও কোনও দেশে মুদ্রাস্ফীতি তীব্র আকার ধারণ করেছে, কোথাও কোথাও বেকারত্বের করাল থাবা এসে গ্রাস করেছে। তার মধ্যে রয়েছে আমাদের প্রতিবেশী দেশও। এই কঠিন সময়েও ভারত পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উপস্থিত হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে! সংসদে বিস্ফোরক সুকান্ত

    আদানি বিতর্ককে হাতিয়ার করে মঙ্গলবার লোকসভায় ঝড় তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতকাল দেখেছিলাম, একজনের ভাষণের সময় বেশ কয়েকজন তো আনন্দের সঙ্গে বলেছিলেন যে এটাই হতে হত। ওঁরা হয়তো ভালভাবে ঘুমিয়েছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে উঠতে পারেননি। তিনি বলেন, দেশের ১৪০ কোটি মানুষ যে ঘটনার জন্য গর্বিত, তাতে কয়েকজন মানুষ দুঃখিত। এই ধরনের মানুষদের আত্মসমীক্ষা করা উচিত। 

    প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) বলেন, নৈরাশ্যে ডুবে থাকা কিছু লোক দেশের উন্নতি মেনে নিতে পারছেন না। দেশের মানুষের উন্নতি তাঁদের নজরে আসছে না। এই নৈরাশ্য এমনি এমনি আসেনি। বারবার জনতার কাছে ধাক্কা খেয়ে এই অবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Amit Shah: আপনার বয়স ও অভিজ্ঞতার দিক থেকে এটা শোভা পায় না! সৌগতকে বললেন বিরক্ত শাহ

    Amit Shah: আপনার বয়স ও অভিজ্ঞতার দিক থেকে এটা শোভা পায় না! সৌগতকে বললেন বিরক্ত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে বক্তব্য রাখার সময় বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের আচরণে মেজাজ হারালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে মাদক সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিতর্ক চলাকালে তার পক্ষে অনেক বিষয় তুলে ধরা হয়, তবে এদিন বক্তব্য রাখার মাঝেই বিরক্ত হন অমিত। নেপথ্যে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। অমিত শাহের বক্তব্যের সময়ই সংসদে কথা বলতে শুরু করেন সৌগত রায়। এতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেগে যান। তিনি বলেন, ‘দাদা, আপনি যদি ভাষণ দিতে চান, আমি বসে যাচ্ছি। ১০ মিনিট বলুন।’ আরও রেগে গিয়ে শাহ বলেন, ‘কথার মধ্যে কথা বলার বিষয়টি আপনার বয়স ও অভিজ্ঞতার দিক থেকে শোভা পায় না।’ লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের উপর তুমুল চটে এমনই বললেন অমিত শাহ। 

    এরপর যখন বিরোধী দলের এক সাংসদ জানতে চান কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেগে গেলন, তখন অমিত শাহ শুধু বলেন যে তিনি রাগ করেননি, তবে বিষয়টির গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন।  তাঁর কথায়, “মাঝে মাঝে বড়রা ভুল করলে ছোটদের শুধরে দিতে হয়।”

    আরও পড়ুন: আসানসোলের পদপিষ্ট কাণ্ডে জিতেন্দ্রজায়া চৈতালিকে রক্ষাকবজ দিল হাইকোর্ট

    মাদক প্রসঙ্গে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাদক ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের সময় লোকসভায় শাহ জানান, ভারতে যে রুট ধরে মাদক পাচার করা হয়, তা চিহ্নিত করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা দেশের ৪৭২ টি জেলায় ছড়িয়ে আছে। সেইসঙ্গে মাদকের পরিবর্ত হিসেবে যে সামগ্রী ব্যবহার করা হয়, সেগুলিরও বড় অংশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দু’বছরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে যে কেউ রেহাই পাবে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদক একটি বড় সমস্যা। মাদকের অর্থ সন্ত্রাসে ব্যবহৃত হয়। এই সমস্যার মোকাবিলা করার তিনটি উপায় আছে – সহযোগিতা, সমন্বয় এবং সহায়তা। এই লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা (মাদক) কোনও একটি সরকার বা রাজনৈতিক দল বা সরকারি এজেন্সির কোনও লড়াই নয়। এটার (মাদক) বিরুদ্ধে সার্বিকভাবে পদক্ষেপ করা উচিত।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid-19: লোকসভায় ফিরে এল মাস্ক! করোনা রুখতে সচেষ্ট কেন্দ্র

    Covid-19: লোকসভায় ফিরে এল মাস্ক! করোনা রুখতে সচেষ্ট কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। চিনের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতও। চিন থেকে ভারতেও যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য অতি তৎপর কেন্দ্র। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়তেই তাই সংসদেও দেখা গেল সচেতনতা। রাজ্যসভায় মাস্ক পরে এলেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর (Jagdeep Dhankar)। একই সঙ্গে মাস্ক পরে থাকতে দেখা গেল লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকেও (Om Birla)। উভয় কক্ষের বহু সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখেও দেখা গেল মাস্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়াল-সহ অনেক মন্ত্রী, সাংসদকেই মাস্ক পরে অধিবেশনে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে।

    সকলকে মাস্ক পরার আর্জি

    বৃহস্পতিবার করোনার (Corona) পুনঃ প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কায় সকল সাংসদকে মাস্ক পরে থাকা ও কোভিডবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন উপরাষ্ট্রপতি ধনকড় ও লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করার কথাও বলেন তাঁরা।  ভারতেও যাতে সংক্রমণের পুরনো ছবি আর ফিরে না আসে, তা নিশ্চিত করতে বুধবারই বিকেলে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বি কে পল-সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। তাঁদের সকলেরই মুখে ছিল মাস্ক। বৈঠকের শেষেও সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরা ও করোনাবিধি অনুসরণ করে চলার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: দেশে ফের কোভিড-হানার আশঙ্কা, রুখতে তৎপর কেন্দ্র, উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মোদি

    বুধবার কংগ্রেসের ধর্নামঞ্চেও মাস্ক পরে থাকতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস সংসদীয় দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীকেও (Sonia Gandhi)। তবে এখনও বহু সাংসদকেই বিনা মাস্কে দেখা গিয়েছে সংসদ চত্বরে। তাঁদেরও করোনা প্রতিরোধী মাস্ক পরার জন্য আর্জি জানিয়েছেন সংসদ ভবনের দুই কক্ষের সভাধ্যক্ষরা। এদিন কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্য়সভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের ঘরে যে বিরোধী দলের বৈঠক বসেছিল, তাতে অধিকাংশ সাংসদেরই অরক্ষিত মুখ দেখা যায়। মাস্ক ছিল না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের মুখেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sushil Modi: ‘সমলিঙ্গে বিয়ে সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করবে’, সুশীল মোদি

    Sushil Modi: ‘সমলিঙ্গে বিয়ে সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করবে’, সুশীল মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গে বিয়ে (Same Sex Marriage) সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করবে। সোমবার জিরো আওয়ারে এ কথা বলেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা সুশীল মোদি (Sushil Modi)। তাঁর মতে, তথাকথিত কিছু উদারপন্থী এ বিষয়ে অন্ধভাবে পশ্চিমী সংস্কৃতি অনুকরণ করতে চাইছে। এদিন সংসদে সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতির বিরোধিতা করেন তিনি। তাঁর দাবি, ভারতীয় সামাজিক মূল্যবোধ সমলিঙ্গ বিয়ে অনুমোদন করে না। এদিন বিচার বিভাগের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, মাত্র দুজন বিচারপতি মিলে এমন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

    সুশীল মোদি বলেন…

    সুশীল মোদি বলেন, যদিও দেশে এই ধরনের সম্পর্ক স্থাপন হচ্ছে, তবে বিয়ে এখনও একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠান। তাই সমলিঙ্গের নারী-পুরুষ এক সঙ্গে বসবাস করছেন সেটা এক জিনিস, আর তাঁদের বিয়েকে আইনি স্বকৃতি দেওয়া অন্য জিনিস। ওই বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া যায় না।

    সম্প্রতি সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি অধিকার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মত জানতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার সংসদে এই মন্তব্য করেন বিজেপির সুশীল মোদি (Sushil Modi)। প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে একটি জনস্বার্থ মামলার জেরে সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের মত জানতে চেয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই সময় সলিসটির জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানিয়েছিলেন, ১৯৫৬ সালের হিন্দু বিবাহ আইনের আওতায় সমলিঙ্গের বিয়েকে নথিবদ্ধকররণের আইনি অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাবে কেন্দ্রের সম্মতি নেই।

    আরও পড়ুন: ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারেন মমতা, কেন জানেন?

    ২০১৮ সালে সমকামিতাকে আইনি অপরাধের তালিকা থেকে বাদ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক সেই রায়কে  স্বাগত জানিয়েছিল কংগ্রেস সহ বিভিন্ন দল। সেই সময় চুপ করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। ব্রিটিশ আমলে তৈরি ১৮৬১ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারায় সমকামী যৌন সম্পর্ককে অপরাধের তকমা দেওয়া হয়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter 

  • BJP Attacks TMC: তৃণমূল ‘উদ্ধত’, ডেরেককে তোপ প্রহ্লাদ জোশীর

    BJP Attacks TMC: তৃণমূল ‘উদ্ধত’, ডেরেককে তোপ প্রহ্লাদ জোশীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্ধারিত সময়ের চার দিন আগেই মুলতুবি হয়ে গিয়েছে  সংসদের বাদল অধিবেশন। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলেরাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien)। এবার তাঁকেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী (Pralhad Joshi)। তৃণমূলকে (TMC) উদ্ধত (Arrogant) বলেও দাগিয়ে দেন তিনি।

    মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরকার এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে বারবার বিতণ্ডার জেরে এবারের বাদল অধিবেশন মুলতুবি হয়েছে একাধিকবার। প্রথম দু সপ্তাহ কোনও বিতর্কই হয়নি। এমতাবস্থায় নির্ধারিত ১২ অগাস্টের চারদিন আগে মুলতুবি করে দেওয়া হয় অধিবেশন। তার পরেই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েন। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে এই নিয়ে টানা সাতবার সংসদের অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করা হল। সংসদকে উপহাস করবেন না। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই প্রচেষ্টা রুখে সংসদের পবিত্রতা রক্ষা করব। অমিত শাহ এই মহান প্রতিষ্ঠানকে গুজরাট জিমখানায় (Gujarat Gymkhana) পরিণত করার যে চেষ্টা চালাচ্ছেন, তা প্রতিরোধ করব।

    আরও পড়ুন : ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে?

    ডেরেকের তিরকে তুলোধোনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। ট্যুইট বার্তায় ডেরেককে নিশানা করে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সংসদের পবিত্রতা নিয়ে তৃণমূল নেতার শিক্ষাদান বন্ধ হওয়াই উচিত। এর পরেই তৃণমূলকে উদ্ধত আখ্যা দেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রশ্ন, কতগুলি দিন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় কাজ হয়?  রাজ্য বিধানসভা মমতা জিমখানায় পরিণত হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, এ মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত চলার কথা ছিল বাদল অধিবেশন। তার আগে সোমবার বিকেলে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের উভয় কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন। বিজেপি সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে দুদিন সরকারি ছুটি। একটি মহরম ও অন্যটি রাখিবন্ধনের। রাখিবন্ধনের অনুষ্ঠান পালন করতে সিংহভাগ সাংসদ স্ব স্ব এলাকায় গিয়ে এই উৎসবে অংশ নেবেন। তাই বাদল অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয় নির্ধারিত সময়ের চারদিন আগেই।

     

  • Parliament Monsoon Session: কেন আগেই মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের অধিবেশন? জানুন আসল কারণ

    Parliament Monsoon Session: কেন আগেই মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের অধিবেশন? জানুন আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশন (Monsoon Session) শেষ হওয়ার কথা ছিল ১২ অগাস্ট। যদিও সোমবার বিকেলেই তা মুলতুবি হয়ে যায়। যার অর্থ নির্ধারিত সময়ের চারদিন আগেই মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের বাদল অধিবেশন। যা নিয়ে শাসক ও বিরোধী পক্ষে শুরু হয়েছে ট্যুইট যুদ্ধ। এনিয়ে সাতবার নির্ধারিত সময়ের আগেই মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের উভয় কক্ষ লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশন। আসুন, জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই মুলতুবি করে দেওয়া হল বাদল অধিবেশন।

    সরকারি সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে দুদিন সরকারি ছুটি। একটি মহরমের জন্য, অন্যটি রাখিবন্ধনের। এই দুই অনুষ্ঠান পালন করতে সিংহভাগ সাংসদ নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে উৎসবে অংশ নিতে চাইছিলেন। তাই বাদল অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে নির্ধারিত সময়ের চারদিন আগেই। চলতি বাদল অধিবেশেন শুরু হয়েছিল ১৮ জুলাই। চলার কথা ছিল ১২ অগাস্ট পর্যন্ত। চারদিন আগেই সংসদ মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় সরকার ও বিরোধী পক্ষে শুরু হয়েছে ট্যুইট যুদ্ধ। 

    আরও পড়ুন :তৃণমূল ‘উদ্ধত’, ডেরেককে তোপ প্রহ্লাদ জোশীর

    অন্য একটি সূত্রে খবর, চলতি অধিবেশনে যেসব পরিষদীয় বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, তার সিংহভাগই হয়ে গিয়েছিল। তাই উৎসবে যোগ দেওয়ার যে অনুরোধ করেছিলেন সাংসদরা, সেই অনুরোধ রাখতেই নির্ধারিত সময়ের আগেই মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে সংসদ।

    জানা গিয়েছে, চলতি অধিবেশনে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে সংসদে বিশৃঙ্খলা এবং তার জেরে ২৩ সাংসদকে সাসপেন্ড করা ও অধীর চৌধুরীর রাষ্ট্রপতিকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ সম্বোধন দুয়ের জেরে বারবার মুলতুবি হয়েছে সংসদের অধিবেশন। সব মিলিয়ে রাজ্যসভার অধিবেশন বন্ধ ছিল ৩৫ ঘণ্টা এবং লোকসভার অধিবেশন স্থগিত ছিল ৪৪ ঘণ্টা ২৯ মিনিট। সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে ইডির জেরা নিয়েও হইচই হয়েছে সংসদে। যার জেরে মুলতুবি হয়েছে সংসদ। রাজ্যসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু জানান, হট্টগোলের জেরে ক্ষতি হয়েছে ৪৭ ঘণ্টারও বেশি। জানা গিয়েছে, বাদল অধিবেশনে সংসদের উভয় কক্ষে পাঁচটি বিল পাশ হয়েছে। লোকসভায় পাশ হয়েছে সাতটি বিল। আর রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে চারটি বিল।

    আরও পড়ুন :সংসদ চত্বরে প্ল্যাকার্ড বহন ও বিক্ষোভ! বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড চার কংগ্রেস সাংসদ

  • Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্কে ইতি টানতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অধীর 

    Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্কে ইতি টানতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অধীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি (Rastrapati) নির্বাচিত হয়েছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের জনজাতি সম্প্রদায়ের দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁকে রাষ্ট্রপত্নী বলে সম্বোধন করে বসেন কংগ্রেস (Congress) সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। অধীরের এই মন্তব্যে দেশজুড়ে শুরু হয় হইচই। বিজেপির (BJP) পাশাপাশি কংগ্রেসের অন্দরেও অধীরের বিরুদ্ধে বইতে থাকে উষ্মার চোরা স্রোত। এর পরেই স্বয়ং রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন কংগ্রেস সাংসদ।

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে লেখা চিঠিতে অধীর লিখেছেন, আপনার অবস্থান বর্ণনা করার জন্য একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করতেই এই চিঠি লিখছি। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, শব্দটি ভুল করেই বেরিয়েছে। আমি ক্ষমাপ্রার্থী এবং আপনাকে আমার ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।

    বিজেপি-বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী যশোবন্ত সিনহাকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন দ্রৌপদী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয় ২৫ জুলাই। দ্রৌপদী দেশের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা যিনি রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হয়েছেন। তিনি দেশের কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রপতিও। তাঁকেই অপমান করায় অধীরের পাশাপাশি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধীকেও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায় বিজেপি।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জেরা করছে ইডি। এনিয়ে এদিন সংসদে সরব হন বহরমপুরের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই সময়ই অধীর দ্রৌপদী সম্পর্কে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে লোকসভার পাশাপাশি গন্ডগোল শুরু হয় রাজ্যসভায়ও। পাল্টা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে কংগ্রেসও। একসময় উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ। ঘটনার জেরে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় দুই কক্ষের অধিবেশন।

    ঘটনার জেরে অধীরকে তলব করে জাতীয় মহিলা কমিশন। ঘটনার পরে পরেই অধীর অবশ্য বিষয়টিকে স্লিপ অফ টাং বলে ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও তার পরেও অধীরকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানাতে থাকেন পদ্ম নেতৃত্ব। বিজেপির দাবি, মুখ ফস্কে নয়, ভেবেচিন্তেই অধীর এ কথা বলেছেন। আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, শব্দটি মুখ ফস্কে বেরোয়নি। আপনারা যদি ভিডিও ক্লিপটি দেখেন, দেখবেন অধীররঞ্জন চৌধুরী স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে উল্লেখ করে দুবার রাষ্ট্রপতি শব্দটি বলেছেন, তারপর তিনি তাঁকে রাষ্ট্রপত্নী বলেছেন।

    আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

  • Rashtrapatni Remark Row: অধীরের ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যে তোলপাড় সংসদ, ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজেপির

    Rashtrapatni Remark Row: অধীরের ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যে তোলপাড় সংসদ, ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনে পা রেখেছেন দেশের পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। তাঁর উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপত্নী (Rashtrapatni) মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেস (Congress) সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) বিরুদ্ধে। অধীরের এই মন্তব্যের জেরে রাষ্ট্রপতিকে অবমাননার অভিযোগে সরব বিজেপি (BJP)। অধীরের এই মন্তব্যের জন্য কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে লোকসভায় দাবি করেন স্মৃতি ইরানি, নির্মলা সীতারামণরা। ওই একই দাবিতে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখান পদ্ম শিবিরের সাংসদরা।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জেরা করছে ইডি। এনিয়ে এদিন সংসদে সরব হন বহরমপুরের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই সময়ই অধীর দ্রৌপদী সম্পর্কে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে লোকসভার পাশাপাশি গোল শুরু হয় রাজ্যসভায়ও। পাল্টা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে কংগ্রেসও। একসময় উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ। ঘটনার জেরে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    অধীরের এহেন মন্তব্যে ভারতের মহিলা ও আদিবাসীদের অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। স্মৃতির অভিযোগ, দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার পর থেকেই কংগ্রেস বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেও এই ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। অধীরের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, এই ধরনের মন্তব্য কেবল নারী বিদ্বেষী নয়, সেই সঙ্গে অপমান করা হয়েছে আদিবাসী সম্প্রদায়কে। এদিকে, দ্রৌপদীকে ইচ্ছে করে রাষ্টপত্নী বলেননি বলে দাবি অধীরের। তাঁর দাবি, এটি নিছকই স্লিপ অফ টাং।

    [tw]


    [/tw]

    এদিকে, লোকসভায় যখন অধীরের মন্তব্য নিয়ে হইচই হচ্ছে, তখন বিজেপি সাংসদ রমাদেবীকে সোনিয়া বলেন, অধীর চৌধুরী তো আগেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন, তার পরেও আমার নাম নেওয়া হচ্ছে কেন? এই সময় স্মৃতি সোনিয়াকে বলেন, আমি আপনার নাম নিয়েছিলাম। সেই সময় মেজাজ হারিয়ে সোনিয়া তাঁকে বলেন, আমার সঙ্গে কথা বোলো না। এদিকে, পরিস্থিতির মোকাবিলায় এদিনই জরুরি ভিত্তিতে দলের বৈঠক ডেকেছেন সোনিয়া। সেখানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে অধীরকেও। থাকতে বলা হয়েছে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকেও। অন্যদিকে, এদিনই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে সংসদে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন অধীর।

    আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

     

LinkedIn
Share