Tag: PCB

PCB

  • Imran Khan: ‘‘ভারতকে হারাতে ওপেনে নামুক নকভি আর মুনির’’! এশিয়া কাপে শাহিনদের ‘টোটকা’ জেলবন্দি ইমরানের

    Imran Khan: ‘‘ভারতকে হারাতে ওপেনে নামুক নকভি আর মুনির’’! এশিয়া কাপে শাহিনদের ‘টোটকা’ জেলবন্দি ইমরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক ক্রিকেটকে খোঁচা দিলেন সেদেশের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান (Imran Khan)। ক্রিকেট মাঠে ভারতকে কী করে পাকিস্তান হারাতে পারবে, জেলে বসেই তার উপায় বাতলে দিলেন ইমরান। তিনি বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি এবং পাক সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরের ব্যাট হাতে ওপেন করতে নামা উচিত। তা হলেই পাকিস্তান হারাতে পারবে ভারতকে!

    নকভির অযোগ্যতার ফল ভুগছে পাক ক্রিকেট

    একাধিক মামলায় আপাতত জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। সোমবার ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর বোন আলিমা খান। তারপরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আলিমা জানান, “ইমরান বলছে, ভারতকে হারাতে গেলে একটাই পথ রয়েছে পাকিস্তানের সামনে। সেটা হল, মুনির আর নকভি একসঙ্গে ওপেন করুক। তবে সেটুকুই যথেষ্ট নয়। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কাজি ফৈয়জ ইসা এবং প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার সিকন্দর সুলতান রাজাকে ওই ম্যাচের আম্পায়ার হতে হবে। ম্যাচের তৃতীয় আম্পায়ার হবেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সরফরাজ ডোগার।” ১৯৯২ সালের পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান মনে করেন, নকভির অযোগ্যতা এবং স্বজনপোষণই পাকিস্তান ক্রিকেটের দুর্দশার কারণ।

    মুনির তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন

    ইমরান মনে করেন, ২০২৪-এর নির্বাচনে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ -এর ভরাডুবির কারণ জেনারেল মুনির। তাঁর বিশ্বাস, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইশা এবং মুখ্যনির্বাচন আধিকারিক রাজার সাহায্যেই মুনির তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন। ২০২৩-এর অগাস্ট থেকে ইমরান জেলবন্দি। প্রসঙ্গত, পাক সেনার রোষের মুখে পড়ে গদি হারাতে হয়েছিল ইমরানকে। এর পরেই তাঁর ঠাঁই হয় জেলে। দু’বছর পার হয়ে গেলেও জেলমুক্তি ঘটেনি ইমরানের। বরং একের পর এক নয়া মামলা চেপেছে তাঁর উপর। ইমরানের মুক্তি চেয়ে কিছুদিন আগেও পাকিস্তান জুড়ে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল তাঁর দল পিটিআই। যদিও তাতে বিশেষ ফল হয়নি। নিষ্ঠুরভাবে সেই বিদ্রোহ দমন করে সরকার।

    স্বজনপোষণ করে পাক ক্রিকেটকে ধ্বংস

    দিনকয়েক আগেই মুনিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন ইমরান। জেলে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির উপর মানসিক নির্যাতন করছেন পাক সেনাপ্রধান, এমনটাই দাবি করেছিলেন ইমরান। অন্যদিকে স্বজনপোষণ করে পাক ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছেন পিসিবি প্রধান তথা পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নকভি, এমনটাও বারবার বলেছেন পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তাঁর অভিযোগ, ইসা এবং রাজার মদতে ২০২৪ সালের পাক নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়া হয়েছিল। তাই একসঙ্গে সকলকে বিঁধেছেন ইমরান খান। মাঠে ভরাডুবি, মাঠের বাইরে চরম বিতর্ক। আর এতকিছুর ভিড়ে ফের একবার আলোচনায় পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক, কিংবদন্তি অলরাউন্ডার, দেশকে বিশ্বকাপ জেতানো দলনেতা ইমরান খান (Imran Khan)। এবার জেল থেকে ছুড়লেন তির। লক্ষ্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মসনদ। ব্যঙ্গের সুরে জানালেন—ভারতকে হারাতে চাইলে পাকিস্তানের জার্সিতে ওপেনিংয়ে নামতে হবে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি (Mohsin Naqvi) আর আর্মি চিফ আসিম মুনিরকে (Asim Munir)। এ ছাড়া টিম ইন্ডিয়াকে কুপোকাত করার অন্য কোনও গতি নেই।

  • ICC: এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দাবিকে মান্যতা দেয়নি আইসিসি, এই ভারতীয়ের যুক্তির কাছে হারে পিসিবি

    ICC: এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দাবিকে মান্যতা দেয়নি আইসিসি, এই ভারতীয়ের যুক্তির কাছে হারে পিসিবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ চলাকালীন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC)-এর মধ্যে বিতর্কের সমাধান করলেন আইসিসি সিইও সঞ্জয় গুপ্তা। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সঞ্জয় গুপ্তা (Sanjay Gupta) একক নেতৃত্বে সেই দাবি কার্যত উড়িয়ে দেন এবং কঠোর বার্তা দেন যে, কোনওরকম প্রমাণ ছাড়া অফিসিয়ালদের অপসারণের দাবি মানা হবে না।

    সঞ্জয় গুপ্তার দৃঢ় অবস্থান

    ১৪ই সেপ্টেম্বর, দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান গ্রুপ ‘এ’ ম্যাচের পরে বিতর্ক শুরু হয়। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করে ভারতীয় দল। এই ঘটনার পর, পিসিবি অভিযোগ করে যে ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট নাকি দুই অধিনায়ককে টিমশিট বিনিময় করতে বাধা দেন এবং সালমানকে করমর্দনের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেন। এরপর পাকিস্তান আইসিসি-কে লিখিতভাবে পাইক্রফটকে সরিয়ে রিচি রিচার্ডসনকে নিয়োগের প্রস্তাব দেয়। আইসিসি সূত্রে খবর, পিসিবি’র দাবির বিপরীতে কড়া অবস্থান নেন সঞ্জয়। আইসিসি জানায়, পাইক্রফট কোনও কোড অফ কনডাক্ট লঙ্ঘন করেননি এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। দুপক্ষের মধ্যে ৬টি ইমেল বিনিময় হয়, যার মধ্যে তিনটি করে ইমেল পাঠানো হয় দুই পক্ষ থেকে। অন্তর্দ্বন্দ্ব এড়াতে কিছু কর্মকর্তা ১৭ সেপ্টেম্বর আরব-আমিরশাহী ম্যাচে শুধু এক ম্যাচের জন্য পাইক্রফটকে সরানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু সঞ্জয় গুপ্ত তা স্পষ্টভাবে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, “এভাবে চাপের কাছে নতিস্বীকার করলে ম্যাচ অফিসিয়ালদের কর্তৃত্ব ক্ষুন্ন হবে এবং ভবিষ্যতে ভুল বার্তা যাবে।”

    কে এই সঞ্জয় গুপ্তা?

    ২০২৫ সালের জুলাই মাসে আইসিসি-র সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন সঞ্জয় গুপ্ত। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন। ভারতের ক্রীড়া সম্প্রচার মহলের পরিচিত নাম। ২০০২ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনমিক্সে স্নাতক ডিগ্রি (অনার্স)। ২০১০ সালে স্টার ইন্ডিয়ায় যোগ দেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে। এরপর একে একে কনটেন্ট, সম্প্রচার, বিপণন স্ট্র্যাটেজি—একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০২০ সালে সঞ্জয় ডিজনি ও স্টার ইন্ডিয়ার স্পোর্টস বিভাগের সিইও পদে বসেন। কেবল শহরেই নয়, ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও খেলাকে পৌঁছে দিতে চান। তাই তাঁর নেতৃত্বেই উঠে আসে স্লোগান: ‘স্পোর্টস ফর অল’! ২০২৪ সালের নভেম্বরে ভায়াকম ১৮ (Viacom 18) ও ডিজনি স্টার (Disney Star) মিলেমিশে গড়ে ওঠে জিওস্টার (JioStar)। সঞ্জয় সেখানে স্পোর্টস অ্যান্ড লাইভ এক্সপিয়িয়েন্সেস বিভাগের সিইও হন। এরপর আগে-পরে আইপিএলের জনপ্রিয়তা বাড়ানো, আইসিসি ইভেন্টের সম্প্রচারে নতুনত্ব আনা, প্রো কাবাডি লিগ (PKL)-এর উত্থান, ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL)-এর প্রতিষ্ঠা, উইম্বলডন ও ভারতে প্রিমিয়ার লিগ-এর মত আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর এবং ক্রীড়া সম্প্রচারের পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন সঞ্জয় গুপ্তা।

    ক্রিকেট দুনিয়াকে স্পষ্ট বার্তা

    পাইক্রফট বিতর্কে সঞ্জয় গুপ্তের দৃঢ় এবং পেশাদারী পদক্ষেপ ক্রিকেট মহলে প্রশংসিত হয়েছে। রাজনৈতিক চাপের মুখেও তিনি যে নিরপেক্ষতা ও নীতির প্রশ্নে আপসহীন, তা স্পষ্ট। সঞ্জয় বুঝিয়ে দিয়েছেন পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে, তবে প্রমাণ ছাড়া কোনওরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ন্যায়বিচার, প্রোটোকল ও পেশাদারিত্বকে সবচেয়ে বেশি মূল্য দেওয়া হবে।

  • India vs Pakistan: পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে দিল আইসিসি, নিজেদের লোককেই সাসপেন্ড করল পিসিবি

    India vs Pakistan: পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে দিল আইসিসি, নিজেদের লোককেই সাসপেন্ড করল পিসিবি

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: করমর্দন-বিতর্কে পাকিস্তানের (India vs Pakistan) দাবি খারিজ করল আইসিসি। এশিয়া কাপ থেকে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে সরানোর দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান। না হলে বুধবার আমিরশাহি ম্যাচ বয়কটের হুমকিও দিয়েছিল তারা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই আইসিসির একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, ‘‘সোমবার রাতে আইসিসি জবাব পাঠিয়ে দিয়েছে পিসিবিকে যে, পাইক্রফ্টকে সরানো হবে না। তাদের আবেদন খারিজ করা হচ্ছে।’’

    পাকিস্তানের দাবি অযৌক্তিক

    আইসিসি সূত্রে খবর, পাকিস্তানের কোনও দাবি মানা হবে না। আইসিসি কর্তারা পাকিস্তান (India vs Pakistan) ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের দাবি মেনে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ নেই। হ্যান্ডশেক বিতর্কে পাইক্রফ্টের ভূমিকা ছিল অতি নগণ্য। তিনি শুধু পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘাকে একটি সতর্কতামূলক বার্তা দিয়েছিলেন। টসের সময় হ্যান্ডশেককে কেন্দ্র করে যাতে প্রকাশ্যে কোনও অপ্রীতিকর বা লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেটাই নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি হিসেবে। জিম্বাবোয়ের ৬৯ বছর বয়সি পাইক্রফ্ট আইসিসির এলিট প্যানেলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারিদের অন্যতম। সব মিলিয়ে তিনি ৬৯৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। রবিবারের ম্যাচের ঘটনায় পাইক্রফ্টের কোনও দোষ খুঁজে পাননি আইসিসি কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান কী করে সে দিকেই নজর ক্রিকেটবিশ্বের।

    পাক ক্রিকেট কর্তাকেই সরানো হল

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে হ্যান্ডশেক বিতর্কে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট নির্দোষ, আইসিসি-র এই চিঠি পেয়েই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মহসিন নকভির বোর্ড থেকে। সেই নির্দেশ পেয়েই দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে নিষেধ করেছিলেন পাইক্রফ্ট। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরও প্রধান নকভি। দু’টি দায়িত্বই সামলান তিনি। সূত্রের খবর, পিসিবির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট অপারেশনস উসমান ওয়ালহা তাঁর দলের অধিনায়ককেই জানাননি প্রতিযোগিতা চলাকালীন কী নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এর পরেই নাকি ক্ষুব্ধ পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি, যিনি আবার বর্তমান এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও, জাতীয় দল ও অধিনায়ক এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়ার জন্য ওয়ালহাকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওয়ালহারই নাকি দায়িত্ব ছিল পাক অধিনায়ক সলমন আঘাকে ‘‘নো-হ্যান্ডশেক’’ নীতি জানানোর। কিন্তু তিনি তা জানাননি। পাকিস্তান অধিনায়ককেও দেখে তাই মনে হচ্ছিল, তিনি কিছু জানেন না। পিসিবির একটি সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, ‘‘টসের সময় ওয়ালহার জানানো উচিত ছিল যখন দুই অধিনায়ক করমর্দন করেননি। তিনি যে ভাবে ওই পরিস্থিতি সামলেছেন তাতে প্রচণ্ড ভাবে ক্ষুব্ধ নকভি।’’

    পাকিস্তানের সরে দাঁড়ানো অসম্ভব

    পিসিবির এক সূত্রের দাবি, ‘পাকিস্তানের এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম। সেটা করলে, জয় শাহের নেতৃত্বাধীন আইসিসি পিসিবিকে বড় জরিমানা করতে পারে। সেটা আমাদের বোর্ড হতে দিতে পারবে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বোর্ডের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না।’ গত পরশু থেকেই পিসিবি (PCB) একযোগে কাঠগড়ায় তুলেছে ভারত ও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে (Andy Pycroft)। অভিযোগ ‘স্পিরিট অফ ক্রিকেট’ (Spirit of Cricket) লঙ্ঘনের। এমনকি, পাইক্রফটকে সরানো না হলে পরের ম্যাচ বয়কট করার হুমকিও শুনিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি এই মুহূর্তে এমন দাঁড়িয়েছে, যে বয়কট না করলেও এশিয়া কাপ থেকে তাদের ছুটি হয়ে যেতে পারে। পাক শিবিরের আশঙ্কা বাড়িয়েছে পয়েন্ট তালিকা। গ্রুপ এ–তে ভারতের অবস্থান নির্ভেজাল নিরাপদ। শুভমান–সূর্যরা ইতিমধ্যেই সুপার ফোরের টিকিট কেটে ফেলেছেন। অন্যদিকে ওমানকে হারিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE) এখন চাঙ্গা মেজাজে। ফলে আগামী বুধবার দুবাইয়ে পাকিস্তান-ইউএই ম্যাচ কার্যত নকআউট। দুই দলের ঝুলিতেই এখন ২ পয়েন্ট। জয়ী দল ৪ পয়েন্টে নিশ্চিত করবে সুপার ফোরের টিকিট। হেরে যাওয়া টিম ছিটকে যাবে।

    রবিবার ফের ভারতের সামনে!

    মঙ্গলবার আইসিসি অ্যাকাডেমিতে ভারত এবং পাকিস্তানের ট্রেনিং করার কথা। সময় আলাদা হলেও, পরের ম্যাচের জন্য একই ভেন্যুতে প্রস্তুতি নেবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। সন্ধে ৬টা থেকে রান ৯টা পর্যন্ত ভারতের ট্রেনিং। রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্র্যাকটিস করবে পাকিস্তান। বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচ পাকিস্তানের। জিতলে রবিবার সুপার ফোরে আবার ভারতের মুখোমুখি। প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপের প্রথম সাক্ষাতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। কোনও বিভাগেই সূর্যকুমার যাদবদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি সলমন আঘার দল। এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর টেস্ট ক্রিকেটে দশ হাজারি ক্লাবের প্রথম সদস্য গাভাসকর কটাক্ষ করে বলেছেন, পাকিস্তানের জাতীয় দল এখন পোপটওয়াড়ি দলের (Pakistan Popatwadi team) কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। মারাঠি ভাষায় পোপট মানে হল টিয়া পাখি আর ওয়াড়ি মানে মাঝারি। গাভাসকর আদতে মুম্বই নিবাসী। মুম্বইয়ের দুর্বল দলকে বলা হয় পোপটওয়াড়ি দল। ম্যাচের কথা বলতে গেলে, ভারত একতরফাভাবে পাকিস্তানকে পরাজিত করে সাত উইকেটে ম্যাচটি জিতেছে। ভারত ২৫ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তানকে পরাজিত করে বর্তমান টুর্নামেন্টে তাদের টানা দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করেছে। এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, পাকিস্তান ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান করে। জবাবে, ভারত ১৫.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩১ রান করে ম্যাচটি জিতে নেয়। ভারতীয় বোলারদের পর, ব্যাটাররাও হতাশ করেননি এবং সহজেই লক্ষ্য অর্জন করেন।

    হাত মেলালে সেটাই অস্বাভাবিক

    হ্যান্ডশেক বিতর্কে অবশেষে মুখ খুলল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রবিবার এশিয়া কাপের ম্যাচে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। এই ঘটনা নিয়ে জলঘোলা করেই চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ভারতীয় দল ও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা। অবশেষে ৪৮ ঘণ্টা পর পাক বোর্ডকে কড়া জবাব দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সরকারি ভাবে বিসিসিআই কোনও বিবৃতি না দিলেও সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সূর্যকুমার যাদবেরা যা করেছেন, তা একেবারে ঠিক। ভারতীয় বোর্ড ক্রিকেটারদের পাশে রয়েছে। ওই আধিকারিক বলেন, “দেখুন, ক্রিকেটের নিয়মে খেলা শেষে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক নিয়ে কিছু লেখা নেই। সাধারণত সম্মান জানাতে দু’দলের ক্রিকেটারেরা হাত মেলান। বিশ্ব জুড়ে সেটাই দেখা যায়। কিন্তু এর তো কোনও নিয়ম নেই। তা হলে পাকিস্তান কোন ভিত্তিতে অভিযোগ করছে।” ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক তাতে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলালে সেটাই অস্বাভাবিক হত। সূর্যেরা ঠিক করেছেন। তিনি বলেন, “যদি কোনও নিয়মই না থাকে তা হলে সূর্যেরা একদম ঠিক করেছে। যে দেশের সঙ্গে আমাদের এত খারাপ সম্পর্ক, যে দেশ সব সময় আমাদের খারাপ চেয়েছে তাদের সঙ্গে হাত কেন মেলাব। কোনও রকম সম্পর্ক রাখব না। সূচি অনুযায়ী ভারত খেলেছে। তার বেশি কোনও সম্মান দেখানো হবে না।”

  • India vs Pakistan: বাইশ গজেও বয়কট পাকিস্তান! এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহারের পথে ভারত

    India vs Pakistan: বাইশ গজেও বয়কট পাকিস্তান! এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহারের পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত উত্তেজনার রেশ ফের বাইশ গজে। ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) সাম্প্রতিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (ACC) আসন্ন প্রতিযোগিতাগুলি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)। ইতিমধ্যে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে এই ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।

    কেন সরছে ভারত

    আগামী মাসেই শ্রীলঙ্কায় মহিলাদের এমার্জিং এশিয়া কাপ (Asia Cup) শুরু হতে চলেছে। এরপর আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পুরুষদের এশিয়া কাপের আসর বসবে। এই দুটো টুর্নামেন্ট থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দল নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বর্তমানে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের শীর্ষপদে রয়েছেন পাকিস্তানের মন্ত্রী মহসিন নকভি। তিনি আবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেরও (PCB) চেয়ারম্যান। সূত্রের খবর, পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে দুরত্ব বজায় রাখার জন্যই এহেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় দল এমন কোনও টুর্নামেন্ট খেলবে না যেটা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজন করবে। কারণ এই কাউন্সিলের শীর্ষপদে একজন পাকিস্তানের মন্ত্রী রয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে দেশের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। আমরা মৌখিকভাবে এসিসি-কে এই ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছি। বলে দিয়েছি যে আসন্ন মহিলা এমার্জিং এশিয়া কাপে টিম ইন্ডিয়া অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এমনকী, ভবিষ্যতেও অন্য টুর্নামেন্টে ভারত অংশগ্রহণ করবে কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। ভারত সরকারের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রেখে যাচ্ছি।’

    ভারত না থাকলে প্রভূত ক্ষতি

    আগামী সেপ্টেম্বর মাসে যে পুরুষদের এশিয়া কাপে ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা খেলতে নামার কথা। গোটা বিষয়টা নিয়ে আপাতত চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, বিসিসিআই খুব ভালো করেই জানে যে ভারত ছাড়া এশিয়া কাপ আয়োজন কার্যত দুষ্কর ব্যাপার। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অধিকাংশ স্পনসরই ভারত থেকে আসে। তার উপরে এশিয়া কাপে যদি ভারত-পাকিস্তান ম্য়াচেরই আয়োজন করা না হয়, তাহলে সম্প্রচারকারী সংস্থাকেও ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ২০২৪ সালে এশিয়া কাপের স্বত্ত্ব আগামী ৮ বছরের জন্য সোনি পিকচার্স নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়াকে দেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির জন্য সোনি পিকচার্সকে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। যদি এই বছর এশিয়া কাপে ভারত না খেলে, তাহলে এই চুক্তি নিয়েও নতুন করে ভাবনাচিন্তা করতে হবে।

  • PCB: ৮৬৯ কোটি খরচ করে লোকসান ৮৫ শতাংশ! বাবরদের ব্যর্থতায় ভাঁড়ার শূন্য পাক ক্রিকেট বোর্ডের

    PCB: ৮৬৯ কোটি খরচ করে লোকসান ৮৫ শতাংশ! বাবরদের ব্যর্থতায় ভাঁড়ার শূন্য পাক ক্রিকেট বোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পাক ক্রিকেট (PCB)। ২৯ বছর পর দেশের মাটিতে কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। সেখানে লাভের বদলে বিপুল লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে মহসিন নকভিদের। তার প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে। ভাঁড়ার খালি হওয়ায় কমেছে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি।

    কেন লোকসানের মুখে পাক ক্রিকেট

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে সকলের আগে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান (PCB)। মাত্র চার দিনেই তাদের প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে গিয়েছে। দেশে খেলেছে মাত্র একটি ম্যাচ। ফলে পাকিস্তানের দর্শক এই প্রতিযোগিতা থেকে আগ্রহ হারিয়েছে। পরের ম্যাচগুলিতে মাঠ ফাঁকা ছিল। টিকিটের চাহিদা কমেছে। তার ফলে মুখ ফিরিয়েছে স্পনসররা। সব মিলিয়ে সমস্যায় পড়েছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, দেশের তিনটি জায়গায় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসানোর জেরে ইতিমধ্যে প্রায় ৭৩৭ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। যার জেরে কোপ পড়েছে ক্রিকেটারদের বিলাস-ব্যাসনে। বাবর আজমরা বিদেশ সফরে গেলে আগে বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেলে থাকতেন। এবার থেকে ছাপোষা হোটেলেই দিন কাটাতে হবে।

    কমল পাক ক্রিকেটাদরদের ম্যাচ ফি

    এর প্রভাব পড়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে (PCB)। আসন্ন জাতীয় টি২০ প্রতিযোগিতায় ক্রিকেটারদের বেতন ৯০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। জাতীয় টি২০ প্রতিযোগিতায় আগে প্রতিটি ম্যাচের জন্য ক্রিকেটাররা ৪০ হাজার টাকা করে পেতেন। সেটা কমে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। ঘরোয়া লাল বলের প্রতিযোগিতাতেও আগে ম্যাচপিছু ৪০ হাজার টাকা করে দেওয়া হত। এ বার থেকে দেওয়া হবে ৩০ হাজার টাকা।

    ৭৩৭ কোটি টাকা লোকসান

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য স্টেডিয়াম ঠিকঠাক করার পর টুর্নামেন্ট আয়োজন বাবদ পিসিবিকে কয়েক প্রস্থ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫২০ কোটি টাকা। এছাড়, প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিতে খরচ হয়েছে আরও প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। এতকিছুর পর আয়োজন ফি বাবদ পিসিবি-র হাতে আসে ৫২ কোটি টাকা। মোট খরচের তুলনায় যা নামমাত্র। আর দিনের শেষে লাভ-ক্ষতির যোগ-বিয়োগের পর পাক ক্রিকেট বোর্ডের ভাঁড়ার থেকে কিছু আসার বদলে বেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ৭৩৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ক্ষতির পরিমাণ ৮৫ শতাংশ।

  • ICC Champions Trophy: ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে হিংসা! কেন দুবাইয়ের মঞ্চে নেই আয়োজক পাকিস্তান?

    ICC Champions Trophy: ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে হিংসা! কেন দুবাইয়ের মঞ্চে নেই আয়োজক পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ফাইনালে একজনও প্রতিনিধি না পাঠানোর জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়ে ভারত শিরোপা জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিসিসিআই-এর সভাপতি রজার বিনি এবং সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি) পরিচালক রজার টোয়েস মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও আয়োজক দেশ হিসেবে অনুপস্থিত ছিল পাকিস্তান। বিতর্কের মুখে আইসিসির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি রবিবার দুবাইয়ে আসতে পারেননি। তাঁকে পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী শুধু বোর্ড কর্তারাই পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে থাকতে পারেন। পিসিবির অন্য কোনও কর্তাও ছিলেন না। পাকিস্তানই প্রতিযোগিতার মূল আয়োজক। পিসিবির পক্ষে কারও উপস্থিত থাকা উচিত ছিল।’’

    প্রশ্ন প্রাক্তন পাক তারকারই

    এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রাক্তন পাক তারকা শোয়েব আখতার। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওবার্তায় শোয়েব বলেন, “ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে নিয়েছে। ভারতকে অভিনন্দন। যোগ্য দল হিসেবেই ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু আমি একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কেউ ছিল না ফাইনাল ম্যাচে। অথচ পাকিস্তানই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক। কেউ কোনও ট্রফি দিতে এল না? কেন কেউ এখানে উপস্থিত নেই? এটা নিয়ে ভাবা উচিত। এটা একটা আন্তর্জাতিক মঞ্চ। এখানে আসা উচিত ছিল পাক বোর্ডের প্রতিনিধিদের।” অন্য আরও একটি ভিডিও বার্তায় তিনি প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় দলকে। সেখানে তিনি বলেন, “টুর্নামেন্টের সেরা দল ভারত। বরুণ অসাধারণ বল করেছে। বিরাটের কামব্যাক ঘটেছে। রোহিত আজ দারুণ খেলল। তাঁরা দেখিয়ে দিল কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে হয়। ভারতকে অভিনন্দন। ওরা যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে।”

    পিসিবির ক্ষোভ

    যদিও জানা গিয়েছে, ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন পিসিবির সিইও সুমাইর আহমেদ। তিনি প্রতিযোগিতার ডিরেক্টরও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সুমাইরই ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিনিধি। তবু তাঁকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আইসিসির পক্ষে সমাপ্তি অনুষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তেরা নাকি সুমাইরের উপস্থিতির কথা জানতেন না। আইসিসির এক কর্তা জানিয়েছেন, ভুল বোঝাবুঝি বা যোগাযোগের অভাবের ফলে এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আইসিসির ব্যাখ্যায় অসন্তুষ্ট পিসিবি।

    সমালোচনার মুখে পাকিস্তান

    ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) আয়োজনের দায়িত্ব ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু, টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছিল যে নিরাপত্তার কারণে টিম ইন্ডিয়া পাকিস্তান যাবে না। শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রত্যেকটা ম্যাচ দুবাইয়ে আয়োজন করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে আয়োজক দেশ পাকিস্তান হলেও ফাইনাল ম্যাচ দুবাইয়ে আয়োজন করা হল বলে অনুপস্থিত পাকিস্তান। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে পাকিস্তানের ভূমিকা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সেটা পরিকাঠামো হোক বা ম্যাচ আয়োজন। কিন্তু তা বলে ফাইনালে পাকিস্তান বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন না? যতই হোক, তারাই তো আয়োজক। সেটা কি ভারতের সাফল্যে ‘রাগ’ করে?

  • ICC Champions Trophy: যত জারিজুরি সোশ্যাল মিডিয়াতেই! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌড় শেষ পাকিস্তান, বাংলাদেশের

    ICC Champions Trophy: যত জারিজুরি সোশ্যাল মিডিয়াতেই! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌড় শেষ পাকিস্তান, বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) থেকে ছুটি হয়ে গেল বাংলাদেশ এবং আয়োজক দেশ পাকিস্তানের। গ্রুপ এ থেকে ভারতের সঙ্গে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল নিউজিল্যান্ড। এরপর পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ স্রেফ নিয়মরক্ষার। আর গ্রুপের শেষ ম্যাচে রবিবার গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড।

    ৬ দিনেই বিদায় আয়োজকদের

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) নিয়ে উত্তেজনায় ফুটছিল পাকিস্তান। আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল তারা। ২০১৭ সালে শেষ বার এই টুর্নামেন্ট হয়েছিল। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান উদ্বোধনী ম্যাচেই হেরেছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে। সেখানেই খাদের কিনারায় ছিল। এরপর দুবাইয়ে ভারতের কাছে হার। পাকিস্তানের বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এদিন রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ড জিততেই সরকারিভাবে টুর্নামেন্টে ছুটি হয়ে গেল পাকিস্তান ও বাংলাদেশের। টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র ৬ দিনের মধ্যে আয়োজক দেশ পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় শোকের ছায়া পাক ক্রিকেট মহলে।

    রাচীনের যাদু

    রাওয়ালপিন্ডিতে সোমবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিউয়িরা। বাংলাদেশ ৫০ ওভার ব্যাট করলেও পুঁজি ছিল মাত্র ২৩৬ রান। ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত মন্থর ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন। লোয়ার অর্ডারে অবদান রাখেন জাকের আলি ও রিশাদ হোসেন। ব্যাটিং সহায়ক পিচে ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট মাইকেল ব্রেসওয়েলের। রাওয়ালপিন্ডির পিচে ২৩৭ রানের টার্গেট নিউজিল্যান্ডের জন্য অন্তত বড় ছিল না। কিন্তু শুরুতেই ওপেনার উইল ইয়ং ও কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে বন্য আনন্দে মেতেছিল বাংলাদেশ শিবির। ওপেনার ডেভন কনওয়ের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন রাচিন রবীন্দ্র। বাবা-মা দু’জনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। সেই শহরে এখনও থাকেন তাঁর দাদু-দিদা। সেই রাচিন রবীন্দ্রের ব্যাটে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে গেল নিউজিল্যান্ড। এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকলেন। এদিন ১১২ রান করে আউট হন রাচীন। ততক্ষণে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। বাইশ গজে নয়, পাকিস্তান, বাংলাদশের যাবতীয় জারিজুরি যে সোশ্যাল মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ তা-ও এদিন ফের স্পষ্ট হয়ে গেল।

  • ICC Champions Trophy: ভুল সংশোধনে বাধ্য হল পাকিস্তান, করাচির স্টেডিয়ামে উড়ল ভারতের পতাকা

    ICC Champions Trophy: ভুল সংশোধনে বাধ্য হল পাকিস্তান, করাচির স্টেডিয়ামে উড়ল ভারতের পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুল শুধরে নিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি ঘুরছে, তাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশের সঙ্গে রয়েছে ভারতের পতাকাও। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) মাঠে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের (India vs Pakistan) মহারণ। তার আগে বিসিসিআই-এর দাবি মেনে নিতে বাধ্য হল পিসিবি।

    ভুল স্বীকার পিসিবির

    আইসিসির (ICC Champions Trophy) নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি আয়োজক দেশকে তাদের মাটিতে খেলা প্রতিটি দলের পতাকা ওড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দু’দিন পাকিস্তানের করাচি স্টেডিয়ামে ভারতের পতাকা দেখা যায়নি। এই ঘটনা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পিসিবির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেছিল যে দলের খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে খেলবেন, শুধুমাত্র তাদের পতাকা উড়বে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে যেহেতু তারা দুবাইয়ে খেলা চালিয়ে যাবে, তাই পাকিস্তানের স্টেডিয়ামে ভারতীয় পতাকা রাখা হয়নি। কিন্তু পিসিবির এই যুক্তি শেষমেশ বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বিসিআই-এর দাবি মেনে তড়িঘড়ি উদ্যোগ নিয়ে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে বাধ্য হয় পিসিবি। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি শেয়ার করা হয়েছে, তাতে ভারত সহ আট দেশের পতাকাই রয়েছে।

    পাকভূমে উড়ল ভারতের পতাকা

    বিসিসিআইয়ের ভাইস-চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে অন্যান্য দেশের পতাকার সঙ্গে ভারতের তেরঙ্গাও ওড়ে। রাজীব শুক্লার এই ‘হুঙ্কারে’ পিসিবি বাধ্য হয় সিদ্ধান্ত বদলাতে। মঙ্গলবার রাতেই সেই ‘ফয়সালা’ আসে এবং টুর্নামেন্ট শুরুর দিন পাকিস্তানে ভারতের পতাকা ওড়ানো হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতের সঙ্গে টেক্কা নিতে গিয়ে বারবারই মুখ থুবড়ে পড়ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। টুর্নামেন্ট শুরুর দিনও একইভাবে নিজের ভুল শুধরে নিতে বাধ্য হল পিসিবি। পাকভূমে ভারতীয় পতাকা না রাখার যে ‘স্পর্ধা’ তারা দেখিয়েছিল, হাজারো বিতর্কের পর সেই ইস্যুতে নতিস্বীকার করে নিলেন নাকভিরা। বুধবার অন্যান্য দেশের পতাকার পাশাপাশি বাবর আজমদের দেশে উড়ল তেরঙ্গাও। এবার লড়াই বাইশ গজে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় পাকিস্তানকে টেক্কা দেওয়ার পালা বিরাট-রোহিতদের।

  • ICC Champions Trophy: হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! ভারতের দাবি না মানলে কত ক্ষতি হত আইসিসির? 

    ICC Champions Trophy: হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! ভারতের দাবি না মানলে কত ক্ষতি হত আইসিসির? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইব্রিড মডেলেই হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy)। সরকারি ঘোষণা না করা হলেও আইসিসি সূত্রে খবর, সব বোর্ডের কর্তারাই হাইব্রিড মডেল মেনে নিয়েছে। যে কারণে পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে। ভারত নিজেদের সব ম্যাচ দুবাইতে খেলবে। ইতিমধ্যেই, ভারত না খেললে আইসিসির কতটা ক্ষতি হবে তা দেখিয়ে দিয়েছে সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার ইন্ডিয়া। এই প্রতিযোগিতা থেকে মোট আয়ের ৯০ শতাংশ ভারতের বাজার থেকে পাবে তারা। ফলে ভারতকে (India vs Pakistan) ছাড়া যে কোনও ভাবেই প্রতিযোগিতা সম্ভব নয় তা পরিষ্কার জানিয়েছিল আইসিসি। ফলে শেষ পর্যন্ত ভারতের কথা মতো নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই খেলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    কোন নিয়মে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

    আগামী বছর ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) হওয়ার কথা। পাকিস্তানে (India vs Pakistan) প্রতিযোগিতা না হলে নাম তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু তারা নিজেদের দাবি থেকে পিছিয়ে এসে হাইব্রিড মডেল মেনে নিয়ছে, এমনই খবর। কিন্তু ২০৩১ সাল পর্যন্ত ভারতে খেলতে না গিয়ে তাদেরও হাইব্রিড মডেলে নিরপেক্ষ দেশে খেলা আয়োজনের সুযোগ দিতে হবে বলে দাবি করেছিল পিসিবি। সেটা ২০২৭ সাল পর্যন্ত মানা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ভারত মেয়েদের এক দিনের বিশ্বকাপ এবং ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। এই নিয়ম মেনে ওই দু’টি প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান ভারতে খেলতে আসবে না। ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে আয়োজক দেশ হিসাবে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফলে পাকিস্তানের ম্যাচগুলি সে দেশে দেওয়া হতে পারে। মেয়েদের বিশ্বকাপে হয়তো পাকিস্তান অন্য কোনও নিরপেক্ষ দেশে ম্যাচগুলি খেলবে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ওপেনার হিসেবে রাহুলই যোগ্য’’, অ্যাডিলেড টেস্টের আগে অধিনায়কোচিত সিদ্ধান্ত রোহিতের

    ভারত না খেললে ক্ষতির পরিমাণ

    চার বছরের জন্য স্টার ইন্ডিয়াকে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করেছে আইসিসি। এই প্রথম বার ভারতে আলাদা করে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করা হয়েছে। সেই কথা আইসিসিকে মনে করিয়ে দিয়েছে স্টার ইন্ডিয়া। তারা জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) সম্প্রচারের জন্য আইসিসিকে ৬৩৫২ কোটি টাকা দিয়েছে তারা। ১৫টি ম্যাচ সম্প্রচারের জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে। যদি ভারত না খেলে তা হলে এই টাকার ৯০ শতাংশ তাদেরকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে হবে। অর্থাৎ, রোহিত শর্মারা না খেললে আইসিসির ৫৭১৬ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। তুলনায় পাকিস্তান যদি এই প্রতিযোগিতায় না খেলে তা হলে আইসিসির ক্ষতি হবে ৬৩৪ কোটি টাকা, যা অনেকটাই কম। তাই ভারতের (India vs Pakistan) দাবি মেনেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে আইসিসি-কে জোর দিয়েছে সম্প্রচারকারী সংস্থা। আইসিসি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনও অবশ্য চ্যম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি জয় শাহ। তবে বিসিসিআই সচিব হিসাবে তাঁর দেওয়া যুক্তি সুবিধাজনক জায়গায় রেখেছে ভারতকে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • ICC Champions Trophy: পাকিস্তানের প্রস্তাবে নারাজ বিসিসিআই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে দোলাচল অব্যাহত

    ICC Champions Trophy: পাকিস্তানের প্রস্তাবে নারাজ বিসিসিআই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে দোলাচল অব্যাহত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে আইসিসি (ICC) ইভেন্টের জন্য পিসিবির হাইব্রিড মডেল মানতে নারাজ বিসিসিআই (BCCI)। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দাবি, পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা থাকলেও, ভারতে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তাই ভারত থেকে কোনও খেলা অন্য কোথাও সরানোর কোনও মানে নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে তাই অচলাবস্থা অব্যাহত। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এর আগে তার অবস্থান বদলেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) হাইব্রিড মডেল মেনে নিয়েছে। কিন্তু, তাদের শর্ত, পিসিবি ভবিষ্যতে ভারতে আয়োজিত আইসিসি টুর্নামেন্টের জন্য একইরকম হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করতে চায়। 

    বিসিসিআই-এর যুক্তি

    বিসিসিআই পাকিস্তানে দল না পাঠানোর প্রধান কারণ হিসেবে জানিয়েছে, নিরাপত্তাই প্রধান সমস্যা। গত মাসে, ভারত সরকার দৃষ্টিহীনদের টি২০ বিশ্বকাপেও নিরাপত্তার কারণে দলকে পাকিস্তান যেতে দেয়নি। বিসিসিআইয়ের যুক্তি হল, ভারতে কোনও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা নেই। তাই ভারতে আয়োজিত কোনও টুর্নামেন্টে হাইব্রিড মডেল গ্রহণের প্রয়োজনও নেই। ভারত আগামী বছর মহিলা একদিনের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে, পাশাপাশি ২০২৬ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে টি-২০ বিশ্বকাপও আয়োজন করবে। ২০২৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) এবং ২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপও ভারতে হবে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান নতুন করে যে দাবি তুলেছে, তা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে অগ্রহণযোগ্য।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাইয়ের বাড়ির পাশেই থাকি’’! দাউদ-যোগ উস্কে দিল্লির দাবিতে সিলমোহর প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কোথায়

    পিসিবি (PCB) ও বিসিসিআই (BCCI) দ্বৈরথে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) আয়োজন এখনও দোলাচলে। তবে আইসিসি সূত্রে খবর, হাইব্রিড মডেলেই হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তানের শর্ত কতদূর মানা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে ভারতকে ছাড়া টুর্নামেন্ট অসম্ভব। বিসিসিআই-এর দাবিও যুক্তি সঙ্গত। ভারতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় যে কোনও দল ভারতে খেলতে পছন্দ করে। এই আবহে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল তাদের সিরিজ মাঝপথে বাতিল করে দেশে ফিরে যায়। পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতাও চলছে, যা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share