Tag: PCOD

PCOD

  • PCOD: ভারতে প্রকোপ বাড়ছে পিসিওডি-র, মোকাবিলায় কোন খাবারে বাড়তি জোর চিকিৎসক মহলের?

    PCOD: ভারতে প্রকোপ বাড়ছে পিসিওডি-র, মোকাবিলায় কোন খাবারে বাড়তি জোর চিকিৎসক মহলের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জলখাবারেই রয়েছে ‘দাওয়াই’! দেশ জুড়ে বাড়ছে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ বা পিসিওডি (PCOD)! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এটা একধরনের ‘লাইফস্টাইল’ ডিজিজ (Lifestyle Dieases)। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে, কিংবা রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে মহিলাদের জরায়ুতে একাধিক সিস্ট তৈরি হয়। এই সমস্যাকেই পিসিওডি বলা হয়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা মেয়েদের এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময়েই এই সমস্যা আজীবন থাকে। এই সমস্যা আরও জটিল রোগ তৈরি করে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতি দশ জন মহিলার মধ্যে একজন পিসিওডি সমস্যায় ভুগছেন। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, প্রথম থেকেই জীবন যাপনের ধরন এবং খাদ্যাভাস ঠিকমতো রাখলেই এই রোগের প্রকোপ আটকানো সহজ‌ হবে।

    কেন পিসিওডি বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি করছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি একটি জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ। ঠিকমতো পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এই রোগ মোকাবিলা করতে পারবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে ওভারিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এর ফলে, স্বাভাবিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে না। নিয়মিত ঋতুস্রাব হয় না। এর জেরে শারীরিক বিকাশেও সমস্যা হতে পারে। বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা‌ও দেখা দিতে পারে। পিসিওডি-র মতো সমস্যায় স্বাভাবিক জীবন যাপনে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সমস্যা বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে।

    কীভাবে জলখাবারে রয়েছে পিসিওডি (PCOD) মোকাবিলার চাবিকাঠি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে জলখাবারের মধ্যে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালের খাবার শরীরে বাড়তি পুষ্টি জোগায়। দিনের প্রথম খাবার, তাই শরীরে তার প্রভাব ও বাড়তি পড়ে। তাই জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ রুখতে সকালের জলখাবার খুবই জরুরি। কারণ এই খাবারেই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সাহায্য করে‌। ফলে, পিসিওডি-র মতো রোগ মোকাবিলাও সহজ হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারে পরিমিত প্রোটিন এবং নূন্যতম কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত জলখাবারে এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে, যাতে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কার্বোহাইড্রেট বাড়তি না পৌঁছয়। তবেই পিসিওডি-র মতো রোগের প্রকোপ কমবে।

    কাঠবাদাম এবং ওটস

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে কাঠবাদাম এবং ওটসের মতো‌ খাবার পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদামে রয়েছে প্রোটিন। তবে শুধু প্রোটিন নয়। বরং, তার পাশপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো নানান খনিজ পদার্থ। এর ফলে শরীরে বাড়তি এনার্জির জোগান হয়। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ, ওটস এবং কাঠবাদামে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ পর্যাপ্ত থাকলেও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুব কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    দানাশস্যের তৈরি রুটি

    এছাড়াও বাজরা, জোয়ার, মিলেট, রাগি জাতীয় দানাশস্যের তৈরি রুটির সঙ্গে সবুজ সব্জি খেলে পিসিওডি (PCOD) রুখতে সাহায্য হয়। কারণ, সবুজ সব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ। আর দানাশস্যে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। এই খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও ফাইবার সকালে শরীরে পৌঁছলে একদিকে শরীরে এনার্জির জোগান‌ বজায় থাকবে। হজম ঠিকমতো হবে। আবার স্থূলতার সমস্যা ও সহজেই আটকানো সম্ভব। তাই দানাশস্যে তৈরি রুটি এবং রঙিন সব্জি অর্থাৎ, গাজর, পালং শাক, রাঙা আলু, বিনসের মতো নানান রঙের মতো সব্জি দিয়ে তৈরি তরকারি খেলে পিসিওডি-র মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ সহজ।

    ডালের চিল্লা

    যে কোনও ডালের চিল্লা বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মুগ কিংবা মুসুর ডালে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং প্রোটিন। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। তাই সকালের জলখাবারের মেনুতে কড়াইয়ে সামান্য পরিমাণ বাটার দিয়ে তাতে মুগ কিংবা মুসুর ডালের পেস্ট ছড়িয়ে দিতে হবে। তার উপরে সামান্য পনির কুচি, পিঁয়াজ কিংবা শশা কুচি মিশিয়ে তৈরি করলেই অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার তৈরি হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অত্যন্ত কম। আবার পর্যাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন শরীর সহজেই পাবে। তাই এই ধরনের খাবার সহজেই শরীরকে পুষ্টি দেয়।

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি-র‌ মতো রোগ প্রতিরোধ করতে শরীরের ওজন নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণে করতে পারলে এই রোগ (PCOD) মোকাবিলা সহজ হবে। তাই খাওয়ার সময় প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ ওজন বাড়লেই এই ধরনের রোগ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়বে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • PCOD:  জীবন যাপনের বদলই পিসিওডি নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি! জানেন পিসিওডি কী, কেন হয়?

    PCOD: জীবন যাপনের বদলই পিসিওডি নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি! জানেন পিসিওডি কী, কেন হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিক ব্যস্ত জীবনে বেড়েছে নানান সমস্যা। তার মধ্যে অন্যতম হল পিসিওডি। পিসিওডি হল পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ। মহিলাদের বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই সাধারণত এই সমস্যা দেখা যায়। দেহে হরমোনের পরিবর্তনের জেরেই এই সমস্যায় ভুগছেন বহু মহিলা। ভারতে এক নিঃশব্দ মহামারির মতো বাড়ছে এই সমস্যা। পিসিওডি একদিকে যেমন বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলছে, তেমনি স্থূলতা, অবসাদের মতো জীবনযাপনের সমস্যাকেও বাড়িয়ে দিচ্ছে। চলতি বছরে এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে প্রায় ৭ কোটি মহিলা পিসিওডি-র সমস্যায় ভুগছেন। ১৪-১৫ বছর বয়স থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত মহিলারা এই সমস্যায় ভোগেন।

    পিসিওডি-র উপসর্গ

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঋতুস্রাবের পরেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অনিয়মিত ঋতুস্রাব এই রোগের প্রধান উপসর্গ। নিয়মিত ঋতুস্রাব না হওয়া, অতিরিক্ত পরিমাণ ঋতুস্রাব, দেহে অতিরিক্ত লোম এই ধরণের উপসর্গ দেখা দিলে পিসিওডি-র লক্ষণ বুঝতে হবে। তাছাড়া, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলেও সেগুলো পিসিওডি-র উপসর্গ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

    কেন বাড়ছে বিপদ?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে বাড়ছে পিসিওডি-র সমস্যা। কারণ, ভারতে অধিকাংশ মহিলারাই নিয়মিত শরীর চর্চা করেন না, যোগাভ্যাস নেই। তাই দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকছে না। নিয়মিত যোগাভ্যাস দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এই রোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। আধুনিক জীবনে বদলে গিয়েছে খাওয়ার ধরণ। তাই শরীরে তৈরি হচ্ছে নানান নতুন বিপদ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যস্ত জীবনে খাবারের মেনুতে থাকে নানান চটজলদি খাবার। তাছাড়া প্রিজারভেটিভ খাবারে অধিকাংশ অভ্যস্ত। পিৎজা, বার্গার, হটডগ, নানা রকমের ফ্রাই এখন দিন রাতের সঙ্গী। আর এগুলো শরীরে নানান হরমোনের তারতম্য ঘটাচ্ছে। স্থূলতার সমস্যা ডেকে আনছে। আর তার ফলেই পিসিওডি-র মতো রোগ দেখা দিচ্ছে।

    আরও পড়ুন: শীতের খাদ্য তালিকায় আদা রাখুন, জানুন এর গুণাগুণ

    মোকাবিলার উপায়

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পিসিওডি-র সম্পূর্ণ মুক্তি সম্ভব নয়। অর্থাৎ, পিসিওডি সারে না। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। জীবনযাপনের ধরণ বদলেই এই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তাই পিসিওডি-কে কাবু করতে হলে জীবনযাপনের নিয়ন্ত্রণ জরুরি। প্রথমেই নিয়মিত যোগাভ্যাস করতে হবে। এতে একদিকে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে, অন্যদিকে স্থূলতা কমবে। পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে দেহের ওজন কোনওভাবেই যাতে অতিরিক্ত না হয়, সে দিকে নজর দিতে হবে। বিরিয়ানি, চাউমিন, পিৎজার মতো অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত মাংস, মাছ খাওয়া চলবে না। প্রোটিনের প্রয়োজন মেটাতে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। চিকেন খাবারের তালিকায় থাকলেও মটন, কাতলা মাছের মতো খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। কারণ, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় কোনও খাবার একেবারেই উপযুক্ত নয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, নিয়মমাফিক চললে পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রয়োজন মতো ওষুধ যেমন নিতে হবে, তেমনি জীবনযাপনেও বদল আনতে হবে। জীবনযাপনের বদলই পিসিওডি নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি। পিসিওডি নিয়ন্ত্রণে থাকলে বন্ধ্যাত্বের মতো বিপদও আটকানো সম্ভব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share