Tag: Peace Talks

  • Pakistan Afghanistan Peace Talks: ভেস্তে গিয়েছে পাক-আফগান শান্তি আলোচনা, ভারতকে দুষছে ইসলামাবাদ

    Pakistan Afghanistan Peace Talks: ভেস্তে গিয়েছে পাক-আফগান শান্তি আলোচনা, ভারতকে দুষছে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রফাসূত্র না বেরনোয় তুরস্কে ভেস্তে গিয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের শান্তি আলোচনা (Pakistan Afghanistan Peace Talks)। এজন্য ভারতকে দুষছে শাহবাজ শরিফের দেশ। শান্তি আলোচনা (Ceasefire) বিশ বাঁও জলে চলে যাওয়ায় ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। যদিও, আলোচনার আগে অচলাবস্থায় পৌঁছানোর আসল কারণ ছিল পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলা রোধে ইসলামাবাদের অসহায়তা।

    কী বলছে কাবুলের সংবাদমাধ্যম (Pakistan Afghanistan Peace Talks)

    টোলো নিউজের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আলোচনায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেছিলেন যে আফগানিস্তান কেবল তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলার জন্য আফগান মাটি ব্যবহার রোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে যদি ইসলামাবাদ আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘন বন্ধ করে এবং মার্কিন ড্রোন ওড়ানো বন্ধ করে। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের ওই সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে যে পাকিস্তান এই শর্ত মানতে রাজি হয়নি। টোলো নিউজের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আলোচনা বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে পাঠান ও পাকিস্তানি প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে ফের আলোচনা শুরু করেছে। তুরস্কে শান্তি আলোচনার পর জানা গিয়েছিল যে একটি বিদেশি দেশ আফগান ভূখণ্ডে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করছে।

    টোলো নিউজের রিপোর্ট

    টোটো নিউজের ওই রিপোর্টে সাফ জানানো হয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই পাকিস্তান থেকে ড্রোন পরিচালনা করছে।’ কাবুলের (আফগানিস্তানের রাজধানী) সাংবাদিক তামিম বাহিস এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আফগানিস্তানের সংবাদ চ্যানেলগুলির মতে, পাকিস্তান একটি ‘বিদেশি দেশের’ সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা স্বীকার করেছে যা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে নজরদারি এবং সম্ভাব্য হামলার জন্য তার আকাশসীমায় ড্রোন পরিচালনার অনুমতি দেয়।”  এক্স হ্যান্ডেলেই টোলো নিউজের পোস্ট (Pakistan Afghanistan Peace Talks), “প্রথমবারের মতো, পাকিস্তান এই আলোচনার সময় স্বীকার করেছে যে ড্রোন হামলার অনুমতি দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি রয়েছে এবং দাবি করেছে যে তারা সেই চুক্তি ভঙ্গ করতে পারবে (Ceasefire) না।”

    ভারতের দোষ!

    সূত্রের উল্লেখ করে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “শান্তি আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা প্রাথমিকভাবে কিছু শর্ত মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু সম্ভবত পাকিস্তানের হাইকমান্ডের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর তাঁরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেন। তাঁরা বলেন, মার্কিন ড্রোনের ওপর তাঁদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই এবং আইসিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না।” রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “কাতার এবং তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীরাও পাক প্রতিনিধিদলের আচরণে অবাক হয়েছিলেন।” তার পরেও আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার দায় চাপানো হচ্ছে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন এবং ভারতের ঘাড়ে।

    পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “কাবুলের লোকেরা যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং পুতুলের নাটক করছেন, তাঁরা দিল্লির নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। যখনই আমরা কোনও চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছি (Pakistan Afghanistan Peace Talks), তখনই প্রতিনিধিরা কাবুলকে রিপোর্ট করেছেন, হস্তক্ষেপ করা হয়েছে এবং চুক্তিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে (Ceasefire)।” আসিফ যা বলেননি, তা হল পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলার বিষয়ে ফোনে কথা বলার পর পাক প্রতিনিধি দলের আচরণ কীভাবে দ্রুত বদলে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর, খাজা আসিফ ২০০১ সালের মার্কিন নেতৃত্বাধীন তোরা বোরা যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তালিবানদের হুমকিও দিয়েছিলেন।

    তালিবান শাসনকে নির্মূলের হুমকি!

    সংবাদমাধ্যমে আসিফ বলেন, “আমি তাদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, তালিবান শাসনকে নির্মূল করতে এবং তাদের গুহায় ফেরাতে সম্পূর্ণ অস্ত্রাগারের একাংশও ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই পাকিস্তানের। যদি তারা তা চায়, তাহলে তোরা বোরায় তাদের (তালিবানদের) পরাজয়ের দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হবে। তাদের লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য এই অঞ্চলের মানুষের কাছে দেখার মতো একটি দৃশ্য হবে (Pakistan Afghanistan Peace Talks)।” প্রসঙ্গত, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ইসলামাবাদ আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগত সংযোগ জোরদার করেছে (Ceasefire)। এনিয়ে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তড়িঘড়ি ওভাল অফিসে দৌড়ানোও। এই সফরে শরিফের সঙ্গে ছিলেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও।

    ট্রাম্পের হুমকি!

    তাছাড়া, ট্রাম্প প্রকাশ্যে তালিবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তান থেকে বাগরাম বিমানঘাঁটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। আফগানিস্তানকে তিনি এই বলে সতর্কও করেন যে, আমেরিকা যদি এটি পুনরুদ্ধার না করে তবে খারাপ ঘটনা ঘটবে। কূটনীতিকদের মতে, পাক-আফগান সংঘাত বন্ধ হবে তখনই, যখন আফগানিস্তান ঔপনিবেশিক ব্রিটিশদের দ্বারা টানা ডুরান্ড লাইনকে স্বীকৃতি দেবে। এই লাইনই পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে পশতুন এলাকাকে বিভক্ত করেছে। যেহেতু পাঠানরা এই লাইনকে মান্যতা দেয় না, তাই চলতেই থাকে পাক-আফগান যুদ্ধ (Pakistan Afghanistan Peace Talks)। যদিও এক্স হ্যান্ডেলে কাবুলের সাংবাদিক আলি এম লতিফি লেখেন, “পাকিস্তান স্বীকার করেছে যে তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। আসলে পাকিস্তান যে (Ceasefire) এক সময় বারাক ওবামার ড্রোন হামলার শিকার হয়েছিল।”

  • Pak Afgan Peace Talks: ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা, জানুন আসল কারণ

    Pak Afgan Peace Talks: ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা, জানুন আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা (Pak Afgan Peace Talks)। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওই আলোচনা হচ্ছিল তিন দিন ধরে। তার পরেও সমঝোতায় পৌঁছতে পারেননি দুই দেশের প্রতিনিধিরা। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় দুই দেশই একে অন্যকে দুষছে। তবে হাল ছাড়েননি তুরস্ক ও কাতারের আধিকারিকরা, যাঁরা এই আলোচনার ব্যবস্থা করেছিলেন। মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও কাজ করছেন এঁরা। ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। শাহবাজ শরিফের দেশের দাবি, তারা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান, সংক্ষেপে টিটিপির (TTP) ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ, এই টিটিপি শ’য়ে শ’য়ে পাক সেনাকে হত্যা করেছে।

    প্রতিরোধ আফগানিস্তানের (Pak Afgan Peace Talks)

    পাকিস্তান হামলা চালাতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন। তারা সীমান্তজুড়ে পাল্টা-আক্রমণ চালায়। সংবাদ মাধ্যমের খবর, লড়াই ছিল অত্যন্ত তীব্র। তালিবানের দাবি, তারা পাকিস্তানের ২০টি নিরাপত্তা চৌকি ধ্বংস করেছে, খতম করেছে ৫৮ জন পাক সেনাকে। দুই দেশের এই সংঘাত থামাতে মাঠে নেমে পড়ে পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ দেশ সৌদি আরব এবং কাতার। তাদের মধ্যস্থতায় দু’পক্ষই ১৯ অক্টোবর তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। প্রথম দফার বৈঠক হয়েছিল দোহায়। দ্বিতীয় দফার শান্তি আলোচনা হয় ইস্তাম্বুলে (Pak Afgan Peace Talks)।

    কেন ভেস্তে গেল শান্তি আলোচনা?

    কেন ভেস্তে গেল শান্তি আলোচনা? সূত্রের খবর, পাকিস্তানের দাবি ছিল, তালিবান প্রশাসন লিখিতভাবে জানাক যে তারা কড়া হাতে দমন করবে টিটিপিকে। যদিও ইস্তাম্বুলের আলোচনায় পাক প্রতিনিধি দল সাফ জানিয়ে দেয়, টিটিপি যদি পাকিস্তানে হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তানেরও অধিকার থাকবে আফগান ভূখণ্ডে পাল্টা হামলা চালানোর। তালিবান প্রশাসনের প্রতিনিধি দলও পাকিস্তানকে জানিয়ে দেয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনগুলিকে আফগানিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া অবিলম্বে (TTP) বন্ধ করতে হবে।

    আফগানিস্তানের প্রতিনিধি দল সাফ জানিয়ে দেয়, টিটিপি পাকিস্তানের একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা, আফগানিস্তানের নয়। তারা পাকিস্তানকে এই বলেও আশ্বস্ত করে যে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড অন্য কোনও দেশের ওপর আক্রমণের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের আক্রমণ শুরু করার অধিকারও তারা মেনে নেবে না। দু’পক্ষই তাদের দাবিতে অনড় থাকায় ভেস্তে যায় শান্তি আলোচনা (Pak Afgan Peace Talks)।

LinkedIn
Share